২৫ মে ২০২৫, ১:২২ পিএম

ইচ্ছা ছিল আরও একটি বছর কাটানোর। তবে লুকা মদ্রিচের রিয়াল মাদ্রিদ অধ্যায় শেষ হচ্ছে এই মৌসুমের পরই। স্প্যানিশ ক্লাবটির জার্সিতে লম্বা এক ক্যারিয়ারে দুহাতে পেয়েছেন সাফল্য, সাক্ষী হয়েছেন অজস্র সব ম্যাচের। এর মধ্য থেকে সেরা ম্যাচ বেছে নেওয়াটা কঠিন কাজই৷ তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বিদায়ের ক্ষণে ক্রোয়াট মিডফিল্ডার জানিয়েছেন সেটাই। মদ্রিচ বলেছেন, ২০২২ সালে পিএসজির সাথে জেতা ম্যাচই তার কাছে সেরা।
২০২১/২২ মৌসুমের সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬-তে প্রথম লেগে ১-০ গোলে হেরে গিয়েছিল রিয়াল। তবে ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে জ্বলে ওঠে কার্লো আনচেলত্তির দল। করিম বেনজেমার দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে লড়াইয়ে জেতা রিয়াল পরে হয় চ্যাম্পিয়নও।
আরও পড়ুন
| প্রিমিয়ার লিগেরও সেরা খেলোয়াড় সালাহ |
|
গত শনিবার রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নিজের শেষ ম্যাচের পর মদ্রিচ তুলে ধরেন ম্যাচটিকে সেরা ভাবার কারণ।
“বার্নাব্যুতে আমার সবচে প্রিয় স্মৃতি? তাহলে আমাকে (২০২২ সালে) পিএসজির সাথে ম্যাচের কথাই বলতে হবে। কারণ, এই ম্যাচের আগে আমি বলেছিলাম, আমরা যদি আজ রাতে জিততে পারি… তাহলে আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে যাচ্ছি, আর পরে সেটাই হয়েছিল।”
সেবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় ছাড়াও রিয়ালের হয়ে আরও অনেক শিরোপাই জিতেছেন মদ্রিচ। ২৮ শিরোপা নিয়ে ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় তিনিই এখন। ২০১২ সালে যিনি এসেছিলেন সামান্য প্রত্যাশা নিয়ে, ১৩ বছর পর তিনিই রিয়াল ছাড়ছেন ক্লাব কিংবদন্তি হয়ে। মাঝের এই পথচলায় সতীর্থ, সমর্থক থেকে শুরু করে প্রতিপক্ষ সবার ভালোবাসা পেয়েছেন ৩৯ বছর বয়সী মদ্রিচ।
আরও পড়ুন
| ক্লাব বিশ্বকাপে রোনালদোকে দেখার আশায় ফিফা সভাপতি |
|
রিয়ালকে বিদায় জানাতে গিয়ে তাই আবেগ ধরে রাখাটা অবশ্য কঠিনই হয়ে যায় মদ্রিচের জন্য।
“সেই সময়টা এসে গেছে, যা আসুক তা আমি চাইনি। তবে এটা লম্বা তবে দুর্দান্ত এক পথচলা ছিল। প্রথমত তাই আমি ক্লাব, সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি এই পুরো সময়ে আমার সব কোচকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, সাথে আমার সব সতীর্থ এবং যারা আমাকে সহায়তা করেছিলেন তাদেরও। আমার হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার পরিবারকেও ধন্যবাদ। আমরা অনেক কিছুই জিতেছি, আমাদের দুর্দান্ত কিছু মুহুর্ত ছিল। আপনারা আমাকে বছরের পর বছর ধরে যা কিছু দিয়েছেন, তার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানানোর কোনো শব্দ আমার জানা নেই। আমি শুনেছি এবং পছন্দ করেছি এমন একটি বাক্য বলতে চাই : কান্নাকাটি করবেন না, কারণ এটা শেষ হয়েছে। হাসুন, কারণ এটা ঘটেছে। আলা মাদ্রিদ!”
লস ব্লাঙ্কোসের সাথে অবশ্য আরও কিছুটা সময় থাকছেন মদ্রিচ। আগামী জুনের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে তিনি রিয়ালের হয়ে খেলবেন বলে নিশ্চিত করেছেন নিজেই।
No posts available.
১ নভেম্বর ২০২৫, ৬:৩২ পিএম
১ নভেম্বর ২০২৫, ৫:০৯ পিএম
১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪০ পিএম

ক্যারিয়ারে পুরো ইউরোপ চষে বেড়িয়েছেন তিনি। ইউরোপের জায়ান্ট সব ক্লাব মাতিয়ে পড়ন্ত বেলায় ফিরেছেন শৈশবের ক্লাব রোসারিও সেন্ট্রালে। এক ক্লাব থেকে অন্য ক্লাব হয়ে শেষে ‘ঘরে’ ফিরে এখনও যেন একই ছন্দেই আছেন আর্জেন্টিনা সাবেক হয়ে যাওয়া তারকা উইঙ্গার ডি মারিয়া।
রোসারিও সেন্টালের সবশেষ ম্যাচের জয়ের নায়ক ডি মারিয়া। আর্জেন্টিনার লিগ ‘লিগা প্রফেশনালে’ ইনস্টিটিউটোরের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচে একটি গোলের সঙ্গে সহায়তা করেছেন আরেকটি গোলে।
প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুতে পিছিয়ে পড়া ম্যাচে প্রথামার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়। এরপর বিরতির পর ৬৪ মিনিটে দলকে পেনাল্টি থেকে লিড এনে দেন ডি মারিয়া। আর এই গোলের লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে উঠে এলেন ৩৭ বছর বয়সী বিশ্বকাপজয়ী তারকা। এই সাত গোলের চারটি গোল পেনাল্টি থেকে।
পেনাল্টি থেকে গোল করা বেশ দক্ষই হয়ে উঠেছেন ডি মারিয়া। স্পটকিক থেকে সবশেষ ১৫টি শট নিয়ে সবক’টি জালে পাঠিয়েছেন সাবেক আর্জেন্টাইন উইঙ্গার।
দলকে লিড এনে দেওয়া গোলের মিনিট তিনেক পর ডি মারিয়ার ফ্রি-কিক থেকেই হেডে ব্যবধান ৩-১ করেন ইভান ওভান্ডো। ডি মারিয়ার সঙ্গে দারুণ ছন্দে আছে তাঁর ক্লাবও। ১৪ জয়ে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে রোসারিও সেন্ট্রাল।
শৈশবের ক্লাবে ফিরে এই ম্যাচেই প্রথম অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করেন ডি মারিয়া। ম্যাচ শেষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজির সাবেক তারকা বলেন, ‘তারা আমাকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিল, এবং সেটা করতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। কিন্তু এটি বড় কোনো ব্যাপার নয়, কারণ এখানে কোনো একক অধিনায়ক বা তারকা নেই। এখানে এমন একটি দল আছে যারা জার্সির জন্য সব উজাড় করে দেয়। এই দল গত মরশুমে তার সব দিয়েছে, এবং এই মরশুমেও আমরা একই পথে এগোতে হবে।’
১৯৯২ সালে মাত্র ৪ বছর বয়সে রোজারিও সেন্ট্রাল একাডেমিতে যোগ দেন ডি মারিয়া। ১৩ বছর ক্লাবটির বয়সভিত্তিক ও যুব দলে খেলার পর ২০০৫ সালে মূল দলে তাঁর অভিষেক হয়। ২০০৭ সাল পর্যন্ত মূল দলের হয়ে ৩৯ ম্যাচ খেলেন, ৬ গোলের পাশাপাশি ২টি অ্যাসিস্ট করেন।

মুদ্রার অনেকটা উল্টো পিঠ দেখতে হচ্ছে লামিনে ইয়ামালকে। বার্সেলোনার এই তারকার উইঙ্গার সবশেষ মৌসুমেও রীতিমতো উড়ছিলেন। অসাধারণ পারফরম্যান্সে ফুটবলবিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন বিস্ময় বালক খ্যাতি পাওয়া ইয়ামাল। তবে এই মৌসুমে একের পর হোঁচট খেতে হচ্ছে ১৮ বছর বয়সী তারকাকে।
এল ক্লাসিকোর আগে-পরে বিতর্কে তো জড়িয়েছেনই পাশপাশি ইয়ামালের ব্যাক্তিগত জীবনও হয়েছে সংবাদের শিরোনাম। তবে সে সব বিষয় পাশ কাটিয়ে যেতে পারলেও, চোট থেকে তো আর চাইলেই মুক্তি মিলবে না। ‘পিউবালজিয়া’ নামক চোট ভোগা ইয়ামালকে নিয়ে বড় দুঃসংবাদই দিলেন চিকিৎসক।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্তের’ একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পিউবালজিয়া একটি জটিল চোট। ঠিক কতটা গুরুতর ইয়ামালের সমস্যা এখনই বলা সম্ভব না, তবে হয়তো সে আর শতভাগ ফিট হয়ে ফিরতে পারবেন না।
ইয়ামালের চোট নিয়ে ফিজিওথেরাপিস্ট লুইস পুইগের কথায় হতাশই হতে হবে। তিনি বলেন,
‘প্রথমে আমাদের বলতে হবে, পিউবালজিয়া একটি মাংসপেশীর ইনজুরি নয়। এটি পাবিস অঞ্চলের একটি পরিবর্তন, যেখানে বিভিন্ন পেশী একত্রিত হয়। আমাদের বিভিন্ন স্তরে কাজ করতে হবে। আমরা বলতে পারি না যে এটি একটি মাসেই সেরে যাবে। আমাদের এই চোট নিয়েই থাকতে হবে এবং প্রতিরোধমূলক কাজ করতে হবে, যাতে তিনি (ইয়ামাল) সর্বোচ্চ স্তরে খেলতে পারেন।’
পুইগ আরও জানিয়েছেন, ইয়ামালের পেশীর পরিবর্তনও হতে পারে এই চোটের কারণ। স্পোর্টস ট্রমাটোলজিস্ট বা আঘাত বিশেষজ্ঞ ডা. রিপোল বলেন এই চোট খেলোয়াড়দের সক্ষমতা অনেকটাই কমিয়ে দেয়,
‘এটি এমন একটি ইনজুরি যা চিকিৎসা করা সত্যিই কঠিন। এটি এমন ব্যথা সৃষ্টি করে যা খেলোয়াড়ের চলাচল ও শট নেওয়ার ক্ষমতা প্রায় অর্ধেকই কমিয়ে দেয়। এই চোট এমন যে সে (ইয়ামাল) নিয়মিত খেলতে পারবে, কিন্তু মাঠে তার থেকে শতভাগ পাওয়া যাবে না।’
যদিও বার্সেলোনা এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি। তবে ইয়ামাল যে পিউবালজিয়ায় আক্রান্ত সেটা ইতোমধ্যে সবারই জানা। ঊরুর উপরাংশে এই চোটের কারণে অ্যাথলেটদের স্ট্যামিনা ও চলাচলে অস্বস্তিবোধ হয়। আর চিকিৎসকের কথা যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে শুধু বার্সা নয় পুরো ফুটবলের জন্যই এটি বড় দুঃসংবাদই হবে।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ‘সবচেয়ে বাজে চালক’ চেলসি ডিফেন্ডার ওয়েসলি ফোফানা! যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য সান থেকে এমন তকমা পেয়েছেন এই ফরাসি তারকা। ২৪ বছর বয়সী ফোফানা অল্পের জন্য জেল এড়ালেও শাস্তি হিসেবে পেয়েছেন ১৮ মাসের ড্রাইভিং নিষেধাজ্ঞা ও ৩০০ ঘণ্টা সমাজসেবার আদেশ।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বের প্রদেশ সারের হুক শহরে মোটরওয়েতে বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগ প্রমাণিত হয় ফোফানার বিরুদ্ধে। আদালতে দেখানো ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা যায়, তিনি ল্যাম্বরগিনি চালিয়ে হার্ড শোল্ডার দিয়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি ওভারটেক করছেন।
ফোফানার এটি নবম ড্রাইভিং অপরাধ। এর আগেও একাধিকবার অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য ধরা পড়েছেন তিনি। কখনো রোলস রয়েস, কখনো অডি, কখনো ল্যাম্বরগিনি— সব সময়ই গতির নেশায় মত্ত ছিলেন ফরাসি এই ডিফেন্ডার।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ‘ইস্টএন্ডারস’ তারকা ডিন গাফনির গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ফোফানা। তাতেও শুধরানো হয়নি। নতুন এই অপরাধের জন্য এখন আবারও নিষেধাজ্ঞায় পড়লেন তিনি।
আদালতে বিচারক জুলি কুপার বলেন, ‘তুমি অনেক তরুণের আইডল। তোমার এমন বেপরোয়া আচরণ অন্যদের জন্য ভয়ংকর উদাহরণ তৈরি করছে।’ তবে ফোফানার আইনজীবী জানান, তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন এবং ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
২০২২ সালে ৭৫ মিলিয়ন পাউন্ডে লেস্টার সিটি থেকে চেলসিতে যোগ দিয়েছিলেন ফোফানা। চোট ও অনিয়মে ভরা ক্যারিয়ারে মাঠের বাইরেই যেন বেশি আলোচনায় এই তরুণ ডিফেন্ডার।

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের আরও একটি ফাইনাল হতে যাচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখের ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায়। ২০২৮ সালের ফাইনাল আয়োজন করবে তারা। পরের বছরের ফাইনাল আয়োজন নিয়ে লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে বার্সেলোনার হোম ভেন্যু ক্যাম্প ন্যু।
শুক্রবার খবরটি নিশ্চিত করেছে উয়েফা। এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি ভেন্যুর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে। উয়েফা তার সদস্য অ্যাসোসিয়েশনগুলির কাছ থেকে পাওয়া আবেদনের তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে অন্তত এটি নিশ্চিত যে ২০৩০ সালের আগে নিউইয়র্কে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোনো ফাইনাল হচ্ছে না।
আগামী বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল হবে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে পুসকাস অ্যারেনায়। ২০২৭ সালের ফাইনালের ভেন্যু আতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠ- মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামে।
২০২৮ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের জন্য একমাত্র দরপত্র আহবান করে মিউনিখ। সর্বশেষ ২০২৪-২৫ মৌসুমের ফাইনাল এখানে হয়েছিল। আর লন্ডনের ওয়েম্বলিতে ২০২৩-২৪ মৌসুমের ফাইনাল হয়। তবে ১৯৯৯ সালের পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল আয়োজন করা হয়নি বার্সেলোনার। সেবার ইনজুরি টাইমের জোড়া গোলে বায়ার্নকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জেতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
বর্তমানে সংস্কারাধীন বার্সেলোনার হোম ভেন্যু ক্যাম্প ন্যু। সংস্কারের পর স্টেডিয়ামে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার দর্শক খেলা দেখতে পারবেন। ধারণক্ষমতার দিক থেকে ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম হতে চলেছে এটি।
তবে তার আগেই সমর্থকদের জন্য উন্মুক্ত অনুশীলনের আয়োজন করবে বার্সেলোনা। আগামী শুক্রবার এই মাঠে সমর্থকদের সামনে অনুশীলন করেন লামিনে ইয়ামাল, রবার্ট লেভানডফস্কিরা। নতুন রূপে সাজানো ক্যাম্প ন্যুতে মাঠে নামবে দল, আর গ্যালারিতে বসে তা দেখবেন সমর্থকেরা। তবে এখনই এই মাঠে কোনো ম্যাচ খেলবে না স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

অনলাইন জুয়ায় রেফারিদের সম্পৃক্ততা নিয়ে গত সোমবার চোখ কপালে তোলার মতো তথ্য জানায় তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ)। তদন্তে বেরিয়ে আসে, শত শত রেফারি বেটিংয়ে (অনলাইন জুয়া) জড়িত ছিলেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ১৪৯ জন রেফারিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে টিএফএফ।
ফেডারেশনের শৃঙ্খলা কমিটি তাদের বিরুদ্ধে ৮ থেকে ১২ মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আরও তিনজন রেফারির বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে বলে গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে টিএফএফ।
ফেডারেশনের তদন্তে দেখা যায়, তুরস্কের পেশাদার লিগের ৫৭১ জন রেফারির মধ্যে ৩৭১ জনেরই বিভিন্ন বেটিং সাইটে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যার মধ্যে ১৫২ জন নিয়মিত বাজি ধরতেন। ১০ জন রেফারি গত পাঁচ বছরে ১০,০০০ এর বেশি ম্যাচে বাজি ধরেছেন, আর একজন রেফারি একাই ১৮,২২৭টি ম্যাচে বাজি রেখেছেন।
এছাড়া ৪২ জন রেফারি ১ হাজারেরও বেশি ম্যাচে বাজি ধরেছেন। তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশন জানায়, অভিযুক্তদের মধ্যে ২২ জন কর্মকর্তা (৭ জন ম্যাচ রেফারি ও ১৫ জন সহকারী) তুরস্কের শীর্ষ লিগে দায়িত্ব পালন করতেন।
টিএফএফ সভাপতি ইব্রাহিম হাজিওসমানোগলু বলেন,
'রেফারিং একটি সম্মানের পেশা। যে এই সম্মান নষ্ট করবে, সে আর কখনও তুর্কি ফুটবলে জড়িত থাকতে পারবে না।'
তবে কর্মকর্তারা জানাননি, অভিযুক্তদের কেউ নিজেদের পরিচালিত ম্যাচে বাজি ধরেছিলেন কি না।
ঘটনার তদন্তে ইস্তানবুল পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। তুর্কি সংবাদমাধ্যম হাবেরতুর্ক জানিয়েছে, শুধু রেফারিরাই নয়, কিছু ক্লাব ও খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ৩,৭০০ খেলোয়াড় বর্তমানে তদন্তের আওতায় রয়েছেন।