
বিশ্বকাপে ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। বিশ্বফুটবলে আধিপত্য বিস্তার করা সেলসাওদের গৌরব অনেকটা অস্তগামী। ২০০২ সালের পরের বিশ্বকাপগুলোতে হলুদ জার্সিধারীরা উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স উপহার দিতে পারেনি। তবে আর্নে স্লট দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন স্বপ্ন দেখছে ব্রাজিল।
লাতিন আমেরিকার দেশটি ২০২৬ বিশ্বকাপে তুলনামূলক কঠিন প্রতিপক্ষ পেয়েছে। ‘সি’ গ্রুপে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ মরোক্কো, স্কটল্যান্ড ও হাইতি।
ফুটবলে অন্যতম পরাশক্তি মরক্কো। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে পর্তুগালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে অ্যাটলাস লায়ন্সরা। তবে ফ্রান্সের কাছে হেরে বসে শেষ চারে। আসরে চতুর্থ স্থান অর্জন করে আশরাফ হাকিমির দেশ।
২০২২ বিশ্বকাপে ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে বাদ পড়ে। ক্রোয়েশিয়ার কাছে পেনাল্টি শুটআউটে স্বপ্নভঙ্গ হয় ভিনিসিয়ুস জুনিয়রদের। তবে তার আগে দাপটের সঙ্গে গ্রুপ পর্ব পার করে তারা।
ব্রাজিলের দলের আরেক অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্কটল্যান্ড। যদিও দলটি সবশেষ কাতার বিশ্বকাপে অংশ নেয়নি, ইউরোপীয় অঞ্চল থেকে বাদ পড়ে। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৯ বার অংশ নেওয়া দলটি কখনও রাউন্ড অব ১৬ উত্তীর্ণ হতে পারেনি। তবে স্কট ম্যাকটমিনিদের নিয়ে গঠিত দলটি বেশ গুছানো।
গ্রুপের চতুর্থ দলটি হাইতি। দলটির বিশ্বকাপ ইতিহাস খুব বেশি সমৃদ্ধ নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির জন এফ. কেনেডি হলে ড্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইংল্যান্ডের সাবেক ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ড। তাঁকে সহযোগিতা করেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সুপরিচিত সঞ্চালক সামান্থা জনসন।
এর আগে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো-র সূচনা বক্তব্য দিয়ে শুরু হয় ২০২৬ বিশ্বকাপ ড্র। উপস্থিত ছিলেন আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর প্রধানমন্ত্রী এবং অংশগ্রহণকারী দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
ব্রাজিলের কোচ কার্লো আনচেলত্তি উপস্থিত ছিলেন স্বস্ত্রীক। উপস্থিত ছিলেন দেশটির সাবেক কিংবদন্তি রোবের্তো কার্লোস, মিডফিল্ড জেনারেল রিকার্দো কাকা ও রোনালদো।
সুপারমডেল হাইডি ক্লুম, অভিনেতা কেভিন হার্ট ও ড্যানি রামিরেজ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
No posts available.
৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৪ এম

বিশ্বব্যাপী শান্তি বার্তা নিয়ে আসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফিফা শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আজ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির জন এফ. কেনেডি সেন্টারে তাঁর হাতে ফিফা পিস প্রাইজ ২০২৫ তুলে দেওয়া হয়।
আলো ঝলমলে অনুষ্ঠানে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো-র বক্তব্যের পরই মঞ্চে ডাকা হয় ট্রাম্পকে। উপস্থিত হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, এটি তাঁর জীবনের অন্যতম সম্মানের পুরস্কার। এ জন্য তিনি পরিবারকে ধন্যবাদ জানান, বিশেষ করে স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প তাঁর বিশেষ অর্জনের ভাগিদার বলেও জানান।
তিনি বলেন, “আপনাদের অনেক ধন্যবাদ, এটি সত্যিই আমার জীবনের বিশেষ সম্মাননা।”
এরপর তিনি যোগ করেন,
“আমরা কোটি কোটি জীবন বাঁচিয়েছি। কঙ্গো এর অন্যতম উদাহরণ, যেখানে ১০ মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছিল, এবং তারা খুব দ্রুত ১০ মিলিয়নের দিকে যাচ্ছিল। এছাড়াও ভারত ও পাকিস্তানকেও আমরা সাহায্য করেছি; যুদ্ধগুলো শুরু হওয়ার ঠিক আগে আমরা তা থামিয়েছি।”
ফিফা সভাপতির প্রশংসা করে ট্রাম্প আরও বলেন,
“জিয়ান্নি অসাধারণ কাজ করেছেন। তিনি টিকিট বিক্রির নতুন রেকর্ড গড়েছেন। এটি তার ফুটবলের প্রতি অনন্য ভালোবাসা প্রকাশ করে।”
এর আগে ফিফা জানিয়েছে, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানুষকে একত্রিত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন এমন ব্যক্তিদের সম্মান জানাতেই এই পুরস্কার চালু করা হয়েছে। ফিফার ভাষায়, এই পুরস্কার দেওয়া হবে “বিশ্বের পাঁচশ কোটি ফুটবল সমর্থকের পক্ষ থেকে।”
তবে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, তারা ফিফার কাছে পুরস্কারটির মানদণ্ড, মনোনীতরা কারা এবং বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে আবেদন করেছিল, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি।

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্র চলছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির কেনেডি সেন্টারে।
আর সেখানে থেকেই এক ঐতিহাসিক ঘোষণা এল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেওয়া হয়েছে প্রথম ফিফা শান্তি পুরস্কার (ফিফা পিস প্রাইজ ২০২৫)। ফিফার নতুন এই পুরস্কার নিয়ে ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
ফিফা জানিয়েছে, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানুষকে একত্রিত করার ক্ষেত্রে যাঁরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন, তাঁদের সম্মান জানাতেই এই পুরস্কার চালু করা হয়েছে। ফিফার ভাষায়, এই পুরস্কার দেওয়া হবে 'বিশ্বের পাঁচ শ কোটি ফুটবল–সমর্থকের পক্ষ থেকে।'
বিশেষ পদক্ষেপ এবং নিরলস প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে যারা বিশ্ববাসীকে শান্তির বার্তায় যুক্ত করেছেন, তাদের তুলনাহীন অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই এই পুরস্কার। ট্রাম্পই হলেন ফিফার এই তালিকায় প্রথম।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এই নতুন পুরস্কারকে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর ভাষায়,
'একটি ক্রমশ অস্থির ও বিভাজিত বিশ্বে শান্তির জন্য নিরলসভাবে কাজ করা মানুষদের স্বীকৃতি দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। ফুটবল শান্তির প্রতীক, আর ফিফা পিস প্রাইজ—ফুটবল ইউনাইটস দ্য ওয়ার্ল্ড সেইসব ব্যক্তিকে সম্মান জানাবে যাঁরা মানুষকে একত্রিত করেছেন।'
তবে ইনফান্তিনোর এই উদ্যোগকে সবাই ইতিবাচকভাবে দেখছেন না। সমালোচকদের মতে, ট্রাম্পের সঙ্গে ইনফান্তিনোর সাম্প্রতিক ঘনিষ্ঠতা এই পুরস্কার ঘোষণার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। কয়েক মাস আগেই ইনফান্তিনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য।
সে সময় নোবেল কমিটি ট্রাম্পকে পুরস্কারের জন্য বিবেচনা না করায় অনেকে মনে করছেন, ফিফার এই পুরস্কার যেন ট্রাম্পের জন্য একধরনের সান্ত্বনা পুরস্কার।
যদিও বিতর্ক থামছে না, ফিফার দাবি— ফুটবলের মাধ্যমে বিশ্বকে একত্রিত করার মূল বার্তাটিকেই সামনে আনতে চায় তারা। শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে ফুটবলের প্রভাবের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যেই এই পুরস্কার চালু।
ভারত-পাকিস্তান, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে মধ্যস্থতা ছিল ট্রাম্পের এবারের মেয়াদে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা।

আগামী বছরের ১১ জুন শুরু হবে ফুটবলের মহাযজ্ঞ—বিশ্বকাপ! উদ্বোধনী ম্যাচের ঠিক ১৮৮ দিন আগে ওয়াশিংটন ডিসির কেনেডি সেন্টারে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় বসেছে দলগুলোর ভাগ্য নির্ধারণী মিলনমেলা—বিশ্বকাপের ড্র!
বিশ্বকাপ ড্র অনুষ্ঠানে বসেছে তারকার হাঁট। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সভাপতিত্বে যেখানে অংশ নিয়েছেন অংশগ্রহণকারী সব দেশের প্রতিনিধি ও ফুটবল কিংবদন্তিরা।
জন এফ. কেনেডি হলের সবচেয়ে বড় মুখ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। আরেক আয়োজক দেশ কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ও তাঁর স্ত্রী ডিয়ানা ফক্স। উপস্থিত হয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমও।
কেনেডি সেন্টারে বিভিন্ন দেশের কোচদের মধ্যে দেখা গেছে, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিকে, ইংল্যান্ডের কোচ টমাস টুখেল, ব্রাজিলের কোচ কার্লো আনচেলত্তি, উজবেকিস্তানের কোচ ফাবিও কানাভারো, সৌদি আরবের হেড কোচ হার্ভে রেনার্ডও ছিলেন উপস্থিত।।
সেলেসাওদের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য— রর্বেত কার্লোস, মিডফিল্ড জেনারেল রিকার্দো কাকা ও রোনালদো উপস্থিত হয়েছেন বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে।
ফ্রান্সের ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী দলের ডিফেন্ডার মার্সেল দেশাইয়েও উপস্থিত হয়েছেন। দেখা গেছে বুলগেরিয়ার ফরোয়ার্ড হ্রিস্টো স্টইচকভকেও।
ঝলমলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন ইতালির বিখ্যাত ফুটবল রেফারি পিয়েরলুইজি কল্লিনা, যাকে ফুটবল ইতিহাসের সেরা রেফারি বলে মনে করা হয়।
ইংল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার রিও ফের্ডিনান্ড উপস্থিত হয়েছেন জন এফ. কেনেডি হলে।
সুপারমডেল হাইডি ক্লুম, অভিনেতা কেভিন হার্ট ও ড্যানি রামিরেজ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে রয়েছেন।

মাইনাস ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা। বরফ পেরিয়ে ভেতরে ঢুকছেন সংবাদকর্মী ও অতিথিরা। ওয়াশিংটন ডিসিতে এ আর নতুন কি। এসব অবশ্য আজ আর ধোপে টেকবে না। ফিফা বিশ্বকাপের ড্র এমন একটি ইভেন্ট, যা চার বছর পরপর একবার আসে। ফুটবল–সমর্থকদের মধ্যেও বড়সড় প্রভাব ফেলে এটি। কারণ ড্র–ই ঠিক করে দেয় কোন দলের সামনে কেমন পথ অপেক্ষা করছে।
ওয়াশিংটন ডিসির কেনেডি সেন্টারে তাপমাত্রা কম, কিন্তু প্রত্যাশার মাত্রা বেশ উঁচু। বরফঢাকা পরিবেশে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে তারকাখচিত লাইনআপ—যেখানে সঞ্চালনায় থাকবেন সুপারমডেল হাইডি ক্লুম, অভিনেতা কেভিন হার্ট ও ড্যানি রামিরেজ।
বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনো ২০০ দিনের কম সময় বাকি, তাই কে কার মুখোমুখি হবে— এটি জানার জন্য সবার দৃষ্টি থাকবে ড্রয়ের দিকে। যদিও কোন ম্যাচ কখন ও কোথায় হবে, তা জানতে ভক্তদের আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
নজর থাকবে বিতর্কিত ‘ফিফা পিস প্রাইজের' দিকেও, যা ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার পর প্রদান করা হবে। কর্মকর্তারা পুরস্কারজয়ীর বিষয়ে এখনো মুখে কুলুপ এঁটেছেন, তবে ফিফা প্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এই সপ্তাহে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘নিঃসন্দেহে’ এটির যোগ্য।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, তারা ফিফার কাছে পুরস্কারটির মানদণ্ড, মনোনীতেরা কারা এবং কারা বিচার করবেন—এসব জানতে আবেদন করেছিল, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি।
অধিক সংখ্যক দেশ অংশ নেওয়ায় এবার আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও খেলাধুলার ছেদ আরও বেশি দেখা যেতে পারে। আয়োজক দেশগুলোর নেতাদের— কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম— আজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে, বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের মাঝেই।
কীভাবে হবে ড্র
ড্র শুরু হবে পট–১ দিয়ে। পট থাকবে মোট ৪টি। প্রত্যেক পটে ১২টি প্লাস্টিক বল থাকবে। আর প্রত্যেক বলে কাগজে লেখা একটি করে দলের নাম। ১২টি করে চার পটে মোট ৪৮ দল।
পটের বলগুলো প্রতিনিধিরা মেশাবেন। প্রতিটি পট থেকে একটি করে বল (দল) তোলা হবে, আর গ্রুপে বসানো হবে। ‘এ’ থেকে ‘এল’ পর্যন্ত ১২টি গ্রুপ। প্রত্যেক পট থেকে একটি দল সব গ্রুপে জায়গা পাবে। এভাবে ৪ দল নিয়ে একটি গ্রুপ হবে।
পট নির্ধারণেও আছে নিয়ম
ড্র শুরু হবে পট–১ দিয়ে। ফিফা নির্ধারিত ১২টি শীর্ষ বাছাই দল থাকবে ১ নম্বর পটে। সেখান থেকে গ্রুপ ‘এ’ থেকে ‘এল’ পর্যন্ত রাখা হবে একটি করে দল।
র্যাংকিংয়ের শীর্ষ চার দল থাকবে ১ নম্বর পটে- স্পেন, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড। পরের পাঁচ সেরা দল- বেলজিয়াম, ব্রাজিল, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল। তাদের সঙ্গে থাকবে তিন স্বাগতিক দেশ- কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র।
তারপর যথাক্রমে পট–২, ৩ ও ৪ থেকে দল ওঠানো হবে।
বাকি আরও ছয় দল
বিশ্বকাপের মূলপর্ব নিশ্চিত করেছে ৪২টি দল। আগামী বছরের মার্চে ২২ দলের প্লে-অফ শেষে বাকি ছয় দলের টিকিট নিশ্চিত হবে।
ইউরোপ ব্যতীত দুই দল থাকবে না একই কনফেডারেশনের
কোনো গ্রুপে একই কনফেডারেশনের দুই দল থাকবে না। ব্যতিক্রম হলো ইউয়েফা। ১৬টি ইউরোপীয় দল থাকায় প্রত্যেক গ্রুপে সর্বোচ্চ দুটি ইউরোপীয় দল থাকতে পারবে।
আগেই নির্ধারিত হয়েছে তিন স্বাগতিক দেশের গ্রুপ
মেক্সিকো— গ্রুপ ‘এ’
কানাডা— গ্রুপ ‘বি’
যুক্তরাষ্ট্র— গ্রুপ ‘ডি’
১ নম্বর পটে রয়েছে স্বাগতিক তিন দল। বাকি ৯টি দল নয় গ্রুপে রাখা হবে।
শীর্ষ দলগুলো কবে মুখোমুখি হতে পারে
২০২৬ বিশ্বকাপ ড্র শীর্ষ চার দলকে— স্পেন, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ডকে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে। টেনিস–স্টাইল ব্র্যাকেট অনুযায়ী চার দলকে আলাদা সেকশনে রাখা হবে। ফিফা বলেছে, যদি এই চার দল গ্রুপে প্রথম হয়, সেমিফাইনালের আগে দেখা হবে না তাদের।
লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ও লামিন ইয়ামালের স্পেনের মধ্যে ফাইনালের আগে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
৪৮ দলের কোন দল কোন পটে
পট-১: কানাডা, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, ব্রাজিল, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, জার্মানি।
পট-২: ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো, কলম্বিয়া, উরুগুয়ে, সুইজারল্যান্ড, জাপান, সেনেগাল, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইকুয়েডর, অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া।
পট-৩: নরওয়ে, পানামা, মিশর, আলজেরিয়া, স্কটল্যান্ড, প্যারাগুয়ে, তিউনিসিয়া, আইভরি কোস্ট, উজবেকিস্তান, কাতার, দক্ষিণ আফ্রিকা
পট ৪: জর্ডান, কেপ ভার্দে, কুরাসাও, ঘানা, হাইতি, নিউজিল্যান্ড, ইউরোপীয় প্লে–অফ বিজয়ী এ, বি, সি, ডি, আন্তঃমহাদেশীয় প্লে–অফ বিজয়ী ১ ও ২।

লাতিন-বাংলা সুপার কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের রেড গ্রিন ফিউচার স্টার দলকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিলের সাও বার্নার্দো।
ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ ২৭ মিনিট পর্যন্ত গোলমুখ অক্ষত রাখে বাংলাদেশ। বাইলাইনের একটু উপর থেকে মেন্দেসের কাট ব্যাকে মুরিওর জোরালো প্লেসিং শট এগিয়ে নেয় সাও বার্নার্দোকে।
৩১ মিনিটে সমতার সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল মোহাম্মদ মানিকের সামনে। গোলকিপারকে একা পেয়েও শট নেননি তিনি। সতীর্থকে পাস বাড়াতে গিয়ে হারান বল। এর একটু পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় ব্রাজিলের দলটি।
৫০ মিনিটে উরি ভিয়ানার সফল স্পট কিকে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় লাতিন আমেরিকার দলটি। ৬৫তম মিনিটে বডি ডজে ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে নিচু শটে কাছের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ভিতিনিও।
শেষ দিকে ব্যবধান কমাতে মরিয়া হয়ে ওঠে রেড গ্রিন। কিন্তু ৮০ মিনিটে রিফাত কাজীর শট পোস্টে লেগে ফিরলে সান্ত্বনার গোলও পাওয়া হয়নি স্বাগতিকদের।
সোমবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রেড গ্রিন ফিউচার স্টার খেলবে আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসভিত্তিক স্থানীয় ক্লাব আতলেতিকো চার্লোনের বিপক্ষে। এই দলটি মূলত স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ও প্রীতি ম্যাচ খেলে থাকে।
১১ ডিসেম্বর মুখোমুখি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার দুই ক্লাব। এদিন দুই গ্রেট কাফু ও ক্লদিও ক্যানিজিয়া উপস্থিত থাকবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এই প্রতিযোগিতার আয়োজক প্রতিষ্ঠান এ এফ বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।