৬ অক্টোবর ২০২৪, ৬:৩৪ পিএম
ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ম্যাচে যেভাবে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন, তাতেই ধারণা করা হচ্ছিল যে আঘাত গুরুতর। লিভারপুল কোচ ম্যাচের পরই বলেছিলেন, কয়েক সপ্তাহের জন্য ছিটকে যেতে পারেন আলিসন বেকার। ব্রিটিশ গণমাধ্যমও যে খবর প্রকাশ করেছে, তাতে এটা নিশ্চিত যে অন্তত তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরেই থাকতে হবে ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক।
প্যালেসের বিপক্ষে ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে একটি ক্লিয়ারেন্স করতে গিয়ে চোট পেয়ে লুটিয়ে পড়েন আলিসন। মাঠ ছাড়ার সময় তাকে হ্যামস্ট্রিং টানতে দেখা যায়। তার বদলি হিসেবে নামেন এই ম্যাচ দিয়ে লিভারপুলের জার্সিতে অভিষেক হওয়া গোলরক্ষক ভিতেজস্লাভ জারোস। লড়াইয়ে স্লটের দল জেতে ১-০ ব্যবধানে।
ম্যাচের পর বিবিসি ম্যাচ অফ দ্য ডে-তে লিভারপুল কোচ আলিসনকে নিয়ে দুঃসংবাদ দেন। “আলিসনের ব্যাপারে এটা স্পষ্ট যে, তাকে হয়তো কয়েক সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে।”
চলতি মাসের আন্তর্জাতিক বিরতির আগে এটাই ছিল লিভারপুলের শেষ ম্যাচ। পরবর্তী ম্যাচ আগামী ২০ অক্টোবর, চেলসির বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ। এই ম্যাচ তো বটেই, মাঝে ব্রাজিলের হয়েও বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচে আলিসনের খেলার সম্ভাবনা নেই, এমনটাই খবর গণমাধ্যমের। সব ঠিক থাকলে এই মাসের শেষে বা নভেম্বরের শুরুতে মাঠে ফিরতে পারেন ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
অবশ্য স্লটও এমন কিছুরই আভাস দিয়েছিলেন প্যালেস ম্যাচের পরই। “সে আমাদের এক নাম্বার গোলকিপার, বিশ্বসেরা একজন গোলকিপার। তার চোট তাই দলের জন্য বড় এক ধাক্কা। সে যেভাবে মাঠ ছেড়েছে, তার মানে হল, (বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে) সে ব্রাজিলের হয়ে খেলতে পারবে না। এরপর আমাদের (চেলসির বিপক্ষে) প্রথম ম্যাচেও তাকে আমরা পাওয়ার আশা করছি না।”
২০১৮ সালে লিভারপুলে যোগ দেওয়া আলিসন এই মৌসুমে এর আগেও চোট পেয়েছেন একবার। হ্যামস্ট্রিং নিগলের কারণে গত মাসে দুটি ম্যাচ মিস করেছেন অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষক। এবারের চোটে অবশ্য নিশ্চিতভাবেই আরও বেশি ম্যাচ মিস করতে যাচ্ছেন তিনি। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে সংখ্যাটা কমপক্ষে চার থেকে ছয়টি ম্যাচের হতে পারে।
১৮ মে ২০২৫, ৬:১৭ পিএম
১৮ মে ২০২৫, ৫:০৭ পিএম
১৭ বছর বয়সেই রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছেন লামিন ইয়ামাল। বার্সা ফরোয়ার্ড তো এই বয়সেই নামের সঙ্গে যুক্ত করেছেন বিশ্ব সেরার তকমা। তার হাত ধরে বার্সেলোনাও পাচ্ছে সাফল্য। তবে আর এক মৌসুম বাদেই বার্সার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ইয়ামালের। নতুন চুক্তি নিয়ে কথা উঠলেও সেটা এখন আলোচনার বাইরে। তবে বার্সেলোনা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা বেশ আত্মবিশ্বাসী ইয়ামালের চুক্তি নিয়ে। বার্সা সমর্থকদের দিয়েছেন স্বস্তির খবর।
সম্প্রতি লা ভ্যাঙ্গরদিয়ার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে লাপোর্তা নিশ্চিত করেছেন চুক্তি প্রায় হয়ে গেছে দুই পক্ষের। এখন কেবল সেটা অনুমদনের অপেক্ষা। খুব সম্প্রতি সেটা হয়ে যাবে বলেও বিশ্বাস বার্সেলোনা সভাপতির।
“ইয়ামাল বার্সায় অনেক উপভোগ করে, তার বন্ধুরা এখানে আছে। দলের সঙ্গে অনেক সময় পার করে। সে দারুণ প্রতিভাবান, কিন্ত দলের জন্য তার নিবেদনটা চোখে পড়ার মত। তার এজেন্ট হোর্হে মেন্দিসের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করতে পারি সহজেই। তার চুক্তি নবায়ন অনেকটাই হয়ে গেছে এখন কেবল সই করাটাই বাকি। সেটাও হয়ে যাবে।”
এর আগে ইএসপিএনও জানিয়েছিল ইয়ামালের নতুন চুক্তির খবর। বার্সা ডিরেক্টর ডেকোর বরাতে তারা ইঙ্গিত দিয়েছিল নতুন চুক্তি এরই মধ্যে হয়ে গেছে, কেবল সই বাকি। সেই সাথে তারা ইঙ্গিত দিয়েছে নতুন চুক্তিতে ১৮ বছর হলেই সই করবেন ইয়ামাল। বেশ কিছু শর্ত যেখানে নতুন করে যুক্ত করা হচ্ছে, বাড়বে বেতনের অঙ্কও।
গেল মৌসুম ইয়ামাল যেখানে শেষ করেছিলেন, চলতি মৌসুম সেখান থেকে যেন শুরু করেছিলেন। বল পায়ে জাদু দেখিয়ে মুগ্ধ করেছেন। হরহামেশাই প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের খাবি খাইয়েছেন। সব মিলিয়ে খেলেছিলেন ৫৩ ম্যাচ, ১৭ গোলের পাশাপাশি করেছেন ২৫ অ্যাসিস্ট।
ম্যানচেস্টার সিটির তারকা ফরোয়ার্ড আর্লিং হলান্ড যে এখনো ওয়েম্বলিতে খুলতে পারেননি গোলের খাতা। এফএ কাপের ফাইনালেও ক্রিস্টাল প্যালেসের সাথেও কাটেনি হলান্ডের সেই খরা।
এই মাঠে সবমিলিয়ে ৬ ম্যাচ খেললেও হলান্ড গোল পাননি। এমনকি শনিবারের ম্যাচে ম্যান সিটি পেনাল্টি পেলেও সেটা নিজে না নিয়ে ওমর মারমুশকে দিয়ে দেন হলান্ড। ওমর মারমুশের সেই শট থেকে গোলও হয়নি। হলান্ড কী তবে ওয়েম্বলি ভয়ের কারণেই নিজে শট নেননি? ম্যাচের পর আলোচনায় এখন এই প্রশ্নই। এমনকি ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাও ভেবেছিলেন পেনাল্টি শটটা নেবেন আর্লিং হলান্ডই।
হলান্ডের এমন ঘটনায় সমালোচনা করেছেন সাবেক ফুটবলাররাও। ইংল্যান্ড ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক তারকা ফুটবলার ওয়েইন রুনি তো বলেই ফেললেন রোনালদো আর মেসির সাথে হলান্ডের অন্যান্যদের পার্থক্য এটাই। তিনি বলেন,
“হলান্ড দারুণ ফুটবলার, কিন্তু যখন আপনি মেসি এবং রোনালদোর কথা বলবেন, তখন তারা কখনই এভাবে বল দিয়ে দিতো না। এটাই মেসি-রোনালদোর সাথে হলান্ড অথবা এমবাপের পার্থক্য। মেসি-রোনালদো প্রতি মুহূর্তে গোল করতে চায়।” ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও নিউকাসল কিংবদন্তি অ্যালেন শিয়েরারও হলান্ডকে শুনিয়েছেন কড়া কথা। “আমার বিশ্বাস হচ্ছে না যে, ও শটটা নিজে না নিয়ে অন্য কাউকে নিতে বলেছে।“
এই মৌসুমে পেনাল্টি ভাগ্যটাও ভালো যাচ্ছে না হলান্ডের। ৭ বার পেনাল্টি শট নিয়ে ৩টাই যে মিস করেছেন নরওয়ের এই ফরোয়ার্ড। নিজের পেনাল্টির অফ ফর্ম, তাইতো এফএ কাপের ফাইনালে পিছিয়ে থাকার পর যখন সুযোগ এলো, কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি আর্লিং হলান্ড। ওমর মারমুশ পেনাল্টিটা মিস না করলে আর ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচটা না হারলে হয়তো আলোচনাই হতো না হলান্ডের এই ঘটনা নিয়ে।
১১৯ বছরের ক্লাবের ইতিহাসে ক্রিস্টাল প্যালেসের প্রথম বড় সাফল্য-মর্যাদার এফএ কাপ জেতা এবং সেটাও পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে। এবেরেচি এজের দেওয়া গোলের জবাব হলান্ড-মারমুশরা মিলে দিতে পারেননি পুরো ৯০ মিনিটে। তবে তার বড় কৃতিত্বটা পাবেন ঈগলসদের গোলকিপার ডিন হেনডারসন। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে মারমুশের নেওয়া পেনাল্টি ঠেকিয়েছেন, করেছেন ম্যাচ বাঁচানো কিছু সেভ।
তবে মাঠে থেকে যে পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন–সেখানে কপালের ছোঁয়া আছে বলতে হয়। মারমুশের পেনাল্টি ঠেকানোর আগে ১২ মিনিট আগেই এমন ঘটনা ঘটেছে, যেখানে তাকে দেখতে হতে পারত লাল কার্ড। হলান্ড বল নিয়ে বক্সে ঢোকার আগমুহূর্তে বলে হাত দিয়ে বসেন ২৮ বছর বয়সী সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গোলকিপার।
পরিষ্কার গোলে সুযোগ বঞ্চিত করার সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে ভিএআর হস্তক্ষেপ করলেও লাল কার্ড দেখা থেকে বেঁচে যান হেন্ডো। সেটাকে ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে সরাসরি না বললেও আকার ইঙ্গিত করেছেন মৌসুমে কোনো ট্রফি না জিতে শেষ করা পেপ গার্দিওলা।
‘ওটা রেফারিকে জিজ্ঞেস করুন,’- ম্যাচ শেষে বিবিসিকে দেওয়া ইন্টারভিউতে ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেন পেপ। ম্যাচ শেষে হেনডারসনের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করতেও দেখা যায় গার্দিওলাকে।
অবশ্য এসব ঘটনাকে একদম গায়ে মাখছেন না ক্রিস্টাল প্যালেসের নাম্বার ওয়ান শট স্টপার। উল্টো বলছেন, নিজেদের ভাগ্য গড়ে নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত ১০ মিনিট সিটি পেয়েছিল, তাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। আর লাল কার্ড দেওয়া-না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে মাথাও ঘামাচ্ছেন না হেনডারসন, কারণ শিরোপাটা তারা জিতেই ফেলেছেন।
‘বল বক্সের ভেতর ঢুকে গিয়েছিল আর আমি জানতাম এতে কোনো অসুবিধা নেই–আর কার কী যায় আসলো! আর পেনাল্টিটাতো হলান্ডও নিতে পারত। ও মারমুশকে দিয়ে দিল আর আমি জানতাম ও কোন দিকে বলটা মারবে।’
২০ মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার ফিতে ২০২৩ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ক্রিস্টাল প্যালেসে এসেছিলেন ডিন হেনডারসন। এবছরের শুরুতে বাবাকে হারিয়েছেন। তবে ক্রিস্টাল প্যালেসের ঐতিহাসিক এফএ কাপ জয়ের দিন বাবার আশীর্বাদ অনুভব করেছেন ম্যাচ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা হেনডারসন।
দুই ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত হয়ে গেছে শিরোপা। ২৮তম লা লিগা জয়ের আনন্দ তাই আগেভাগেই উদযাপন করেছে বার্সেলোনা। এমন উৎসবের আমেজে সামনের ম্যাচগুলোতে কিছুটা হালকা মেজাজে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তাই ভালোই। তবে কোচ হান্সি ফ্লিকের স্পষ্ট বার্তা, মাঠে এসবের কোনো প্রতিফলন পড়া চলবে না। জয় দিয়েই মৌসুম শেষ করতে চান তিনি।
গত শুক্রবার বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা তাদের লা লিগা শিরোপা জয়ের আনন্দ রাস্তায় নেমে আসা হাজার হাজার সমর্থকের সঙ্গে উন্মুক্ত বাসে বিজয় মিছিল করে উদযাপন করেন। নেচে-গেয়ে পুরোপুরি পার্টি মুডেই ছিলেন রাফিনিয়া-কুন্দে-ইয়ামালরা। উল্লেখ্য, লা লিগা ছাড়াও কোপা দেল রে এবং স্প্যানিশ সুপার কাপেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন
আনচেলত্তির মত কোচেরই ব্রাজিলের দরকার : কাসেমিরো |
![]() |
তবে লা লিগায় এখনও দুটি ম্যাচ বাকি আছে, শনিবার সংবাদ সম্মেলনে খেলোয়াড়দের তা মনে করিয়ে দিয়েছেন ফ্লিক।
“গতকাল ছিল আমাদের উদযাপন এবং বিশ্রামের দিন। অনেক খেলোয়াড় পার্টি করতে গিয়েছিল। কিন্তু যারা পার্টি করতে পারে, ভালো করতে পারবে না, এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না। আমি চাই আমরা যেভাবে মৌসুমটা শুরু করেছিলাম, ঠিক সেভাবেই যেন শেষ করি।”
রোববার ভিয়ারিয়ালের সাথে ম্যাচটি হবে ঘরের মাঠে এই মৌসুমে বার্সেলোনার শেষ ম্যাচ। লা লিগা জয়ের পথে ৯৭ গোল করা ফ্লিকের দল গত ডিসেম্বর থেকে লিগে অপরাজিত রয়েছে। দুর্দান্ত এই মৌসুমে চারটি এল ক্লাসিকোতেই রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়েছে কাতালান ক্লাবটি।
আরও পড়ুন
আবাহনীর হারে মোহামেডান ঘরে তুলল বহুল কাঙ্ক্ষিত শিরোপা |
![]() |
বাকি দুই ম্যাচেও সেরা ছন্দ ধরে রাখতে চান ফ্লিক।
“এটাই আমাদের ঘরের মাঠে আমাদের শেষ ম্যাচ। আর আমরা এখানে স্রেফ জয়ই চাই। আমরা চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই মৌসুম শেষ করতে চাই। ২০২৫ সালে আমরা এখনো লিগে অপরাজিত আছি। আমরা সেটা ধরে রাখতে চাই।”
মৌসুমের শুরুর দিকে বার্সেলোনার চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও মাঝের দিকে শিরোপা লড়াই জমিয়ে তুলেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে সবশেষ এল ক্লাসিকোতে হেরে আগেভাগেই প্রতিপক্ষের লা লিগা জয়ের কাজটা সহজ করে দেয় দলটি। হান্সি ফ্লিকের তাতে পূর্ণ করেছে ঘরোয়া ট্রেবল জয়ের চক্র। রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি মনে করেন, এই মৌসুমে বার্সেলোনাই ছিল লিগ জয়ের যোগ্য দাবিদার।
গেল বছরের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় অপরাজিত থাকা বার্সেলোনা সবশেষ এল ক্লাসিকোতে রিয়ালকে হারায় ৩-২ গোলে। এরপরের ম্যাচ জিতে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ২৮তম লিগ জয় নিশ্চিত করে কাতালান ক্লাবটি। এই পথচলায় ফ্লিকের দল লিগে গোল করেছে বিস্ময়করভাবে ৯৭টি, যা কিনা রিয়ালের চেয়ে ২৩টি বেশি।
আরও পড়ুন
রিয়ালে নাম লেখালেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হুইসেন |
![]() |
রোববার লা লিগায় সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের বার্সেলোনার প্রশংসার করলেন রিয়াল কোচ আনচেলত্তি।
“এটাই ফুটবলের অংশ! কখনও কখনও আপনি সবার কাছ থেকে সেরা পারফরম্যান্স বের করে আনতে পারবেন না। বার্সেলোনা খুব ভালো খেলেছে, কারণ তারা লিগে আমাদের চেয়ে বেশি ধারাবাহিক ছিল এবং তারা খুব সুন্দর ফুটবল খেলেছে। আমি তাদের অভিনন্দন জানাতে চাই। তারা এই লিগ জয়ের যোগ্য দাবিদার ছিল। তবে আগামী বছর ভিন্ন একটা গল্প রচনা হবে।”
এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় বার্সেলোনার সঙ্গে চার ম্যাচের চার ম্যাচেই পরাজিত হয়েছে রিয়াল। স্প্যানিশ সুপার কাপ ও কোপা দেল রের ফাইনালে তাদের হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয় ইয়ামাল-রাফিনিয়া-সেজনিরা।
এই মৌসুম শেষে রিয়াল ছেড়ে ব্রাজিলের দায়িত্ব নিতে যাওয়া আনচেলত্তি মনে করেন, চোট সমস্যাই তাদের পিছিয়ে দিয়েছে বারবার।
“যখন কেউই আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখেনি, এই দল তখনও নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা রেখেছে। তাই আমি কখনই এই খেলোয়াড়দের সমালোচনা করব না, যারা কিনা আমাকে বছরের পর বছর ধরর অনেক আনন্দময় মূহুর্ত উপহার দিয়েছে। এই মৌসুমে আমাদের অনেক বেশি চোট ছিল, তাও সেগুলো ছিল গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের। এই ধরনের চোটগুলো আমাদের অনেক সমস্যায় ফেলেছে।”