নেপালের বিপক্ষে দুই প্রীতি ম্যাচে হামজা চৌধুরীকে পাওয়া যাবে কি না, এ নিয়ে দোলাচলে ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। অবশেষে স্পষ্ট হলো- আন্তর্জাতিক বিরতিতে আগামী দুই ম্যাচে এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে পাচ্ছেন না কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। আজ বাফুফে ভবনে সাংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান।
আগের দিন পূর্ণ ২৩ জনের স্কোয়াড নিয়ে জাতীয় স্টেডিয়ামে হয় অনুশীলন। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কোচ কাবরেরা ও আমের খান। দুজনেই কথা বলেন হামজাকে নিয়ে। গতকাল কোচের কথাতে মোটামুটি পরিস্কার ছিল হামজা না আসার বিষয়টি।
এক দিন পরই আমের খান জানালেন নেপালের বিপক্ষে পাওয়া যাবে না হামজাকে। কাল নেপালের উদ্দেশে উড়ান ধরবে বাংলাদেশ। আজ লেস্টার সিটির তারকাকে না পাওয়ার ব্যাপারে জাতীয় দলের ম্যানেজার বলেন, ‘তাকে (হামজার) পেতে ফেডারেশন থেকে চেষ্টা করা হয়েছিল। তার এজেন্টকে আমরা জানাই। সে জানায় হামজার ক্লাব লেস্টার সিটিকে। কিন্তু সবশেষ ম্যাচে হামজা চোটে পড়ায় আপাতত এই দুই ম্যাচের জন্য তাকে ছাড়বে না লেষ্টার সিটি।’
হামজাকে ছাড়া নেপাল ম্যাচের ছক কষছেন কাবরেরা। গতকাল তাঁর কথায়ও ছিল হামজাকে না পাওয়ার ইঙ্গিত, ‘নেপাল সফরের জন্য এই দলটি প্রস্তুত। হামজা যদি শেষ পর্যন্ত না আসতে পারে সমস্যা হবে না।’
নেপালের বিপক্ষে আগামী ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। কাল দেশ ছাড়বে দল। দলের বর্তমান অবস্থান জানাতে গিয়ে আমের খান বলেছেন ‘ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের চোট চিন্তা আছে, পর্যবেক্ষণে আছে। তবে দলের সঙ্গে সে নেপাল যাবে। যদি ফিট থাকে নেপাল ম্যাচে খেলবে।’
No posts available.
ফিফা বিশ্বকাপের খেলা চলাকালে গ্যালারিতে দর্শকদের সম্ভাব্য অপরাধ ঠেকাতে স্টেডিয়ামের ভেতরেই বিচার বিভাগীয় কমিটি বা অস্থায়ী কোর্ট বসানোর কথা চিন্তা করছে মরক্কো। দেশটির আইনমন্ত্রী আব্দেল লতিফ ওহাবি জানিয়েছেন এই খবর।
২০৩০ সালের ফিফা বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশ মরক্কো। ওই টুর্নামেন্টের অন্য দুই আয়োজক দেশ মরক্কো ও পর্তুগাল। বৈশ্বিক এই আসরকে ঘিরে এরই মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মরক্কো।
মূলত বিশ্বকাপের আগে ও বিশ্বকাপ চলাকালে ছোটখাটো অভিযোগ ও মামলায় স্থায়ী আদালতগুলোর ওপর যেন বাড়তি চাপ না পড়ে, তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মরক্কো। লিখিত বার্তায় এই কথা জানিয়েছেন ওহাবি।
আরও পড়ুন
আরও বাড়ছে আইপিএলের টিকিটের দাম |
![]() |
“প্রসিকিউটরদের নেতৃত্বে থাকা কমিটিগুলো বিচারিক ও নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে স্টেডিয়ামের ভেতরে কাজ করবে। এর মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে দ্রুত ঘটনাগুলো সামলানো সম্ভব হবে।”
মরক্কোর আশা, বিশ্বকাপ ঘিরে ২০৩০ সালে ২ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষের আগমন ঘটবে তাদের দেশে। ২০২৪ সালে যা ছিল ১ কোটি ৭৪ লাখের কাছাকাছি। এত বেশি সংখ্যক মানুষকে আইনশৃঙ্খলার ভেতরে রাখতেই স্টেডিয়ামে কোর্ট বসানোর ভাবনা।
ওহাবি জানিয়েছেন, স্পেন ও পর্তুগালের সঙ্গে একটি বিচারিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করবে মরক্কো। যার ফলে যে কোনো অভিযুক্তের সম্ভাব্য প্রত্যর্পণ বা মামলা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া দ্রুততর হবে, পারস্পরিক আইনি সহায়তাও পাওয়া যাবে।
মুসলিম প্রধান দেশ মরক্কোতে বিশ্বকাপের সময় মদ্যপানের বিষয় নিয়েও চিন্তার জায়গা রয়েছে। এখন দেশটিতে অ্যালকোহল পাওয়া গেলেও প্রকাশ্যে মদ্যপান নিষিদ্ধ। কিন্তু বিশ্বকাপের খেলা দেখতে বিভিন্ন দেশ থেকে দর্শকদের জন্য কিছুটা শিথিল হবে এই নিয়ম।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপের টিকেটে ‘ডায়মানিক প্রাইস’, ৭ হাজার টাকা থেকে শুরু |
![]() |
ওহাবি আভাস দিয়েছেন, নির্ধারিত ফ্যান জোনে মদ্যপানের সুযোগ রাখা হবে।
“বিদেশ থেকে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের কিছু প্রচলিত অভ্যাস থাকেই, যেমন মধ্যপান। তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট জোন এবং স্পষ্টভাবে নির্ধারিত শর্তের অধীনে অনুমোদন দেওয়ার জন্য সম্ভাব্য নিয়ন্ত্রক কাঠামো নিয়ে আলোচনা চলছে।”
এছাড়া অতিরিক্ত প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিদেশি দর্শনার্থীদের সহায়তায় বহুভাষিক বিচারিক কাউন্টার, খেলাধুলা, পর্যটন ও ভোক্তা-সংক্রান্ত বিরোধে বিশেষ প্রশিক্ষিত বিচারক এবং আদালতের কাজের চাপ কমাতে মধ্যস্থতা ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিস্তৃত ব্যবহার থাকবে।
এর বাইরেও টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ, রেল ও বিমানবন্দর নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, হোটেল ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি ও নগর উন্নয়নসহ বড় ধরনের অবকাঠামো উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছে মরক্কো।
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:১৭ পিএম
২০২৬ বিশ্বকাপের প্রথম ধাপের টিকিট বিক্রিতে থাকছে ডাইনামিক প্রাইসিং বা চাহিদাভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ। অর্থাৎ বাজারের চাহিদা অনুযায়ী একই ম্যাচের টিকিটের দাম ভিন্ন হতে পারে।
আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ফিফা।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী বছর হতে যাওয়া বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রির প্রথম ধাপ শুরু হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। যা চলবে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন
মেসির বিদায়ী ম্যাচের আগে স্কালোনির চোখে জল |
![]() |
প্রথম ধাপের এই 'প্রি সেল' ড্রতে অংশ নিতে পারবেন ভিসা কার্ডধারীরা। গ্রুপ পর্বের ম্যাচের টিকিট শুরু হবে ৬০ ডলার থেকে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৭ হাজার টাকার কিছু বেশি। আর ফাইনালের টিকিটের দাম পৌঁছাতে পারে ৬ হাজার ৭৩০ ডলার বা সোয়া ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত।
টিকেটের ব্যাপারে তথ্য জানিয়েছেন ফিফার টিকিটিং ও আতিথেয়তা বিভাগের পরিচালক ফাল্ক এলার।
“প্রথম ধাপে প্রায় ১০ লাখ টিকিট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। দাম নির্ধারিত হবে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী।”
এলার আরও জানান, এ প্রক্রিয়াটি মূলত এয়ারলাইন্সের টিকিট বা হোটেল ভাড়ার মতো, যেখানে ছুটির মৌসুমে চাহিদা বেড়ে গেলে দামও বেড়ে যায়।
ডাইনামিক প্রাইসিং নিয়ে সমালোচনার ইতিহাসও আছে। সম্প্রতি ব্রিটিশ ব্যান্ড ওয়েসিসের পুনর্মিলনী কনসার্টে ভক্তরা দীর্ঘ অপেক্ষার পর দেখেন, টিকিটের দাম বেড়ে গেছে এই প্রক্রিয়ার কারণে।
আরও পড়ুন
ইংল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফুটবলার হয়ে স্পেন্স বললেন, ‘অনেক প্রার্থনা করি’ |
![]() |
ভিসা কার্ডধারীরা ফিফার ওয়েবসাইটে লগইন করে প্রিসেল ড্রতে অংশ নিতে পারবেন। ড্রয়ের মাধ্যমে র্যান্ডমভাবে সময়সীমা বরাদ্দ করা হবে। তবে ড্রতে নাম উঠলেই যে টিকিট মিলবে, এমন নিশ্চয়তা নেই।
ফিফা জানিয়েছে, পরে আরও কয়েকটি ধাপে টিকিট বিক্রি হবে। পাশাপাশি চলতি বছরের মধ্যেই একটি অফিশিয়াল রি-সেল প্ল্যাটফর্ম চালু করা হবে। যেখানে নিরাপদে টিকিট পুনরায় বিক্রি করা যাবে। এ প্ল্যাটফর্মে দাম সীমাবদ্ধ থাকবে না, যাতে অনিয়ন্ত্রিত কালোবাজার মোকাবিলা করা যায়।
বিদায় শব্দটার সঙ্গে কষ্ট কিংবা আবেগের সর্ম্পক বেশ গভীর। আর সেই বিচ্ছেদ যদি হয় এমন কিছুর সাথে, যেখানে হাসি-কান্না, ব্যর্থতা কিংবা উল্লাসের মতো হাজারও গল্প লেখা হয়েছে, তাহলে তো আর কথাই নেই।
আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আইরেসের এস্তাদিও মনুমেন্তালেও এমনই এক বিদায়ী বাঁশির সুর শুনতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্ব। চেনা আঙিনায় নিজের শেষ ম্যাচটি খেলার সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচটি শুরু হতে ২৪ ঘন্টাও বাকি নেই। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মেসি ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ খেলবেন, আর আবেগের জোয়ারে পুরো দেশ ভেসে যাবে সেটাই যে স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন
মেসির ২১ বছর আগের পাওনা ৬ হাজার টাকা ফেরত দিতে চান সাবেক সতীর্থ |
![]() |
এই আবেগ ছুঁয়ে গেছে মেসির একসময়ের সতীর্থ থেকে বর্তমানে আর্জেন্টিনার দলের কোচ লিওনেল স্কালোনিকেও। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও উঠে এসেছে নানান প্রসঙ্গ। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারে বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে স্কালোনির।
খেলোয়াড়ি জীবনের সঙ্গী মেসিকে ছোটবেলা থেকেই চেনেন স্কালোনি। তাই একসঙ্গে পথচলার স্মৃতি মনে করতে গিয়েই তার চোখ ভিজে ওঠে। এক পর্যায়ে উপস্থিত এক সাংবাদিকও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
পরিবেশটা হালকা করতে স্কালোনি মৃদু হাসিতে বলেন, ‘আপনি কাঁদছেন? আমার তো এমন ইচ্ছে ছিল না।’ জবাবে সেই সাংবাদিক বললেন, ‘আপনি আমাকে জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দটা দিয়েছেন।’
এই কথা শুনে আর আবেগ সামলাতে পারেননি আর্জেন্টিনা কোচ। চোখের কোণে জল চলে আসে। তবে পরক্ষণেই হালকা রসিকতা করে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের বোধহয় এখানেই থামা উচিত।’
আর্জেন্টিনা জাতীয় দল ও স্কালোনির হৃদয়ে মেসি যে কতটা জায়গা জুড়ে আছে সেটাই বুঝালেন আলবিসেলেস্তাদের বিশ্বকাপ জয়ী কোচ।
“আমি তার সঙ্গে খেলেছি, কেবল বলটা তার কাছে পাস দেওয়াটাই ছিল এক বিশেষ অনুভূতি। বিশ্বকাপে তার পাশে থাকা, আর তাকে ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে দেখাও এক অদ্ভুত আবেগের মুহূর্ত। সময় যত গড়াবে, আমরা সবাই আরও ভালোভাবে বুঝতে পারব সেটার মানে।”
“আগামীকাল হবে এক অনন্য ও আবেগঘন দিন। আমি নিশ্চিত, এটা তার আর্জেন্টিনায় শেষ ম্যাচ নয়। আমরা নিশ্চিত করব, যদি সে চায় তবে আবারও এখানে খেলুক। কারণ সে এর যোগ্য।”
আরও পড়ুন
ইংল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফুটবলার হয়ে স্পেন্স বললেন, ‘অনেক প্রার্থনা করি’ |
![]() |
মেসির আরও অনেক ভক্ত-সমর্থকের মতো স্কালোনিও বিশ্বাস করেন মেসির কোনো বিকল্প কখনো ছিল না, এমনকি ভবিষ্যতেও রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর কোনো উত্তরসূরি দেখা যাবে না।
“আর্জেন্টিনা কিংবা বিশ্ব ফুটবলে মেসির উত্তরসূরি? না, তেমন কেউ হতে পারে না। হবেও না। হয়তো কিছু মহান খেলোয়াড় আসবেন, যারা একটি যুগে ছাপ রাখবেন। কিন্তু তিনি যে কাজগুলো এত দীর্ঘ সময় ধরে করে গেছেন, আমি মনে করি তা আর পুনরাবৃত্তি হবে না।”
“ফুটবলে অনেক অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে, তবু আমি প্রায় নিশ্চিত করে বলতে পারি ওর মতো কিছু আবার দেখা অসম্ভব। আমার বিশ্বাস, তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।”
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:৪৩ পিএম
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে আর্জেন্টিনার মাটিতে নিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবেন লিওনেল মেসি। এই ম্যাচকে সামনে রেখে ২১ বছর আগের একটি স্মৃতি মনে করে আলোচনায় এসেছেন তার সাবেক সতীর্থ পাবলো আলভারাদো।
মেসির কাছে বকেয়া থাকা ৫০ ডলার (প্রায় ৬ হাজার টাকা) ফেরত দিতে চান আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলের সাবেক ফুটবলার।
ঘটনাটি ২০০৪ সালের জুন মাসের। হুগো টোকাল্লির কোচিংয়ে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দল প্যারাগুয়েকে ৮-০ গোলে হারিয়েছিল। এই ম্যাচেই আর্জেন্টিনা জার্সিতে প্রথমবার মাঠে নামেন মেসি। একটি গোলও করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন
জাতীয় দলে যোগ দিয়ে ছিটকে গেলেন বার্সা ডিফেন্ডার |
![]() |
এরপর প্রীতি ম্যাচ খেলতে উরুগুয়েতে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দল। তখন বয়সভিত্তিক দলের ফুটবলারদের বিদেশ সফরের জন্য ভাতা হিসেবে ৫০ ডলার করে দিতো আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)।
ওই সফরের ভাতার অর্থই মূলত মেসিকে দেননি আলভারাদো। প্রায় ২১ বছর পর এবার সেই ঋণের কথাই মনে করালেন মেসির এই সাবেক সতীর্থ।
“তখন দেশের হয়ে বিদেশে সফর করলে ৫০ ডলার ভাতা দেওয়া হতো। আমাকে একটি ১০০ ডলারের নোট দেওয়া হয়েছিল, যা মেসির সঙ্গে ভাগ করে নিতে বলেছিল। আমি ওকে বলেছিলাম, লিও আমি এটা রাখছি। যেহেতু তোমার কাছে ৫০ ডলার ভাংতি নেই। মেসি বলল, কোনো সমস্যা নেই। খুচরা না থাকায় আমি পুরো নোটটাই রেখে দিয়েছিলাম।”
আলভারাদো জানান, সেই টাকা আর ফেরত দিতে না পারায় এখনও তার মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করে।
আরও পড়ুন
ম্যাচ সেরা শ্রাবণকে প্রশংসায় ভাসালেন ভিয়েতনাম কোচ |
![]() |
“ও (মেসি) কোনোদিন সেই টাকা ফেরত চায়নি। কিন্তু আমি এখনও মনে রেখেছি, একটু অপরাধবোধও হয়। আমার কাছে এখনও সেই নোটটা আছে। যদি ওর কাছে এখন খুচরা থাকে, আমি ওকে ফেরত দিয়ে দিতে পারি।”
বর্তমানে সিক্লোনের রিজার্ভ দলের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আলভারাদো।
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:৩১ পিএম
প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়ে চমকে যাওয়া জেড স্পেন্সের সামনে আরও বড় অর্জনের হাতছানি। ইংল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে অভিষেক হতে পারে ২৫ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারের।
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অ্যান্ডোরা ও সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের জন্য স্পেন্সকে দলে ডেকেছেন ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ টমাস টুখেল। টটেনহ্যাম হটস্পারের এই ফুলব্যাকের আশা, প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারবেন তিনি।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বরের পর পুরোপুরি বদলে গেছে স্পেন্সের ক্যারিয়ার। এর আগ পর্যন্ত ২০২৪-২৫ মৌসুমে মাত্র ৬৪ মিনিট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। আর এরপর থেকে টটেনহ্যামের ২২ ম্যাচের ১৯টিতেই পুরো সময় মাঠে ছিলেন তিনি।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার প্রথমবার জাতীয় দলের দরজাও খুলে গেছে স্পেন্সের জন্য। যদিও ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কখনও তাদের দলে ফুটবলারদের ধর্মের তথ্য সংগ্রহে রাখে না। তবে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পেন্সই হবেন ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে নামা প্রথম মুসলিম ফুটবলার।
এই সাফল্যের পর আনন্দে আত্মহারা স্পেন্স। একইসঙ্গে তিনি জানালেন, নিয়মিতই প্রার্থনা করেন ২৫ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার।
“এটি একটি আশীর্বাদ। এটি অসাধারণ। আমি জানার পর খুবই অবাক হয়েছি যে, আমিই প্রথম! দারুণ ব্যাপার। আমি আসলে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।”
“আল্লাহ্-ই সর্বশক্তিমান। আমি অনেক প্রার্থনা করি। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ে, সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে, আল্লাহ্ আমার সঙ্গে আছেন। এই বিশ্বাসই আমার সবচেয়ে বড় বিষয়।”
প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে কোনো চাপ অনুভব করছেন না স্পেন্স। অন্যদের অনুপ্রাণিত করার আনন্দই বেশি তার।
“আমি আসলে নির্দিষ্ট কিছুর জন্য চাপ অনুভব করি না। মুখে হাসি নিয়ে ফুটবল খেলতে চাই। আনন্দে থাকতে চাই। বাকি সব কিছু নিজ থেকেই হয়ে যাবে।”
“আমি যদি করতে পারি, তুমিও করতে পারবে। শুধু মুসলিম বাচ্চারাই নয়, যে কোনো বিশ্বাসের শিশুদের বলছি, যে কোনো কিছু মন স্থির করো। তাহলেই তুমি করতে পারবে।”
অথচ গত মৌসুমের শুরুতেও টটেনহ্যামের হয়ে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না স্পেন্স। ইউরোপা লিগের গ্রুপ পর্বের জন্য তাকে স্কোয়াডেও রাখেননি কোচ। পরে নক আউট পর্ব থেকে দলে ফিরে শেষ ষোলোর দুই লেগে পুরো ম্যাচই খেলেন তিনি।
পরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ইউরোপা লিগের ফাইনালে বদলি হিসেবে নামেন স্পেন্স। সেই ছন্দ ধরে রেখে জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষায় এরই মধ্যে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ খেলা ফুলব্যাক।
স্পেন্সের আশা, নতুন এই যাত্রাও ভালো কাটবে তার।
“ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারা অবশ্যই অনেক বড় ব্যাপার হবে। কোনো সন্দেহ নেই। কোচ আমাকে স্বস্তিতে রেখেছে। ফুটবলাররা সবাই আমাকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। আমি অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলেছি। তাই কিছুটা জানি।”
“তবে সিনিয়র পর্যায়ে জাতীয় দলে কখনও খেলিনি। এই দলের ফুটবলাররা আমাকে সাদরে স্বাগত জানিয়েছে, তাদের একজন করে নিয়েছে।”