গত মৌসুমটা লামিন ইয়ামাল কাটিয়েছেন স্বপ্নের মতই। বার্সেলোনার জার্সিতে জিতেছেন লা লিগা ও কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা। ব্যক্তিগতভাবে দুর্দান্ত এক মৌসুমে বল পায়ে ছড়িয়েছেন আলো। তাতে চলতি মৌসুমে তাকে ব্যালন ডি’অর বিজয়ী হিসেবে দেখছেন অনেকে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোর জরিপও দিচ্ছে সেই আভাস।
সম্প্রতি মুন্দো দেপর্তিভো ব্যালন ডি’অর নিয়ে এক জরিপ চালিয়েছে। যেখানে ৮৩ ভাগ ভোটই গেছে ইয়ামালের পক্ষে। ১৪ শতাংশ মানুষ অবশ্য মনে করছেন, ইয়ামালের ব্যালন ডি’অর জেতা উচিত না। বাকি তিন ভাগ ছিল নিরপেক্ষ।
আরও পড়ুন
এসি মিলানে ‘গড়পড়তা পারফরম্যান্স’ মেনে নেবেন না মদ্রিচ |
![]() |
সব মিলিয়ে গেল মৌসুমে ইয়ামাল খেলেছিলেন ৫৫ ম্যাচ। করেছেন ১৮ গোল, সেই সঙ্গে ২৫ অ্যাসিস্ট। অবশ্য শুধু গোল অ্যাসিস্টই না, বল পায়ে ইয়ামাল যে জাদু দেখিয়েছেন তা ছিল নজরকাড়া। মৌসুমজুড়ে পেয়েছেন প্রশংসা। নিয়মিত তো তাকে তুলনা করা হচ্ছে লিওনেল মেসির সঙ্গেও। এই কদিন আগে তাকে দেওয়া হয়েছে বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সি।
অবশ্য মুন্দো দেপোর্তিভোর জরিপ যাই বলুক না কেন, ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে ইয়ামালের চেয়ে এগিয়ে আছেন পিএসজি ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলেই। ফরাসি ফরোয়ার্ড পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সহ জিতেছেন ট্রেবল। ৫৩ ম্যাচে করেছেন ৩৫ গোল, নামের পাশে আছে ১৬ অ্যাসিস্ট।
এছাড়াও বার্সেলোনার হয়ে গোলের ফোয়ারা ছোটানো রাফিনিয়াও আছেন আলোচনায়। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ৫৭ ম্যাচে করেছিলেন ৩৪ গোল, সেই সঙ্গে নামের পাশে রয়েছে ২৫ অ্যাসিস্টও।
No posts available.
৭ অক্টোবর ২০২৫, ৫:৪৮ পিএম
ক্রিস্টাল প্যালেসে সময়টা দারুণ যাচ্ছে ইংলিশ ডিফেন্ডার মার্ক গেহির। আলো ছড়িয়ে নজর কাড়ছেন বড় জায়ান্ট ক্লাবগুলোরও। ২০২৬ সালের জুনে ক্রিস্টালের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে তাঁর। নতুন চুক্তি না করলে ফ্রি এজেন্ট হয়ে যেকোনো ক্লাবে নাম লিখানোর সুযোগ তাঁর।
এরই মধ্যে গেহিকে পেতে লড়াইয়ে নেমেছে রেয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউনিখের মতো জায়ান্টরা। গেহির প্রতি মাদ্রিদের আগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্কাই স্পোর্টসের সাংবাদিক ফ্লোরিয়ান প্লেটেনবার্গ।
গত মাসে গ্রীষ্মকারীন দলবদলের শেষ দিন গেহির লিভারপুলে যোগ দেওয়া প্রায় নিশ্চিত ছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, খেলোয়াড় ও ক্লাবের মধ্যে ব্যক্তিগত শর্তেও সমঝোতা হয়েছিল। তবে ক্রিস্টাল প্যালেস উপযুক্ত বিকল্প না পাওয়ায় শেষ মুহূর্তে চুক্তিটি আর হয়নি।
ইংল্যান্ড হয়ে ২৫ ম্যাচ খেলেছেন গেহি। ক্লাব ক্যারিয়ারে প্যালেসের হয়ে ১৩৯ ম্যাচে করেছেন ৭ গোল। যদিও জানুয়ারিতে তাঁর দলবদলের সম্ভাবনা কম, তবে আগামী জুনে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে কোনো বড় ক্লাবে যোগ দেওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
গত গ্রীষ্মে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ড, ডিন হুইসেন ও আলভারো কারেরাসকে দলে নিয়েছিল রেয়াল। তবে ২০২৬ মৌসুমকে সামনে রেখে তারা আরও একজন ভালো সেন্টার-ব্যাক খুঁজছে। অ্যান্তেনিও রুডিগার ও ডেভিড আলাবার চুক্তির শেষ বছর চলছে। এখনো তাঁদের নতুন কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।
এদের মিলিতাও চোটপ্রবণ, ছন্দ হারিয়ে রাউল আসেনসিওর অনিয়মিত। রেয়াল গেহির মতো একজন নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডারের সন্ধানে আছে তারা। তবে জাবি আলোনসোর দলকে লড়তে হবে লিভারপুলের সঙ্গে, কারণ সেপ্টেম্বরের ট্রান্সফার উইন্ডোতে গেহিকে তারা একেবারে শেষ মুহূর্তে হারিয়ে ফেলেছিল।
ইনিগো মার্তিনেজকে ছেড়ে দেওয়া, রোনাল্ড আরোউহোর অফফর্ম, পাও কুবার্সিও ছন্দে নেই-বার্সেলোনাও লেগে আছে গেহিকে পেতে।
চলতি মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ছন্দে ফর্মে রয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তাঁর ১০ ম্যাচে ১৮ গোল। গত মাসে টটেনহ্যাম কোচ থমাস ফ্রাঙ্ক আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন কেইনকে পুনরায় দলে ফেরানোর জন্য। তবে এই স্ট্রাইকার জানালেন, ইংলিশ লিগে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁর আগের মতো আগ্রহ নেই। বায়ার্নের সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতেও প্রস্তুত কেইন।
প্রিমিয়ার লিগে ফেরার প্রসঙ্গে কেইন বলেন,
‘প্রিমিয়ার লিগের কথা বললে, জানি না। যদি আপনি আমাকে প্রথম বায়ার্নে যাওয়ার সময় জিজ্ঞাসা করতেন, নিশ্চয় বলতাম অবশ্যই ফিরব। এখন সেখানে কয়েক বছর কাটিয়েছি, আমি সম্ভবত বলব সেই আগ্রহটা কিছুটা কমে গেছে। কিন্তু বলব না যে কখনো ফিরে যাব না।’
৩২ বছর বয়সী কেইন ২০২৩ সালে টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে ৮৬.৪ মিলিয়ন পাউন্ডে বায়ার্নে যোগ দেন। জার্মান ক্লাবটির হয়ে এরই মধ্যে ১০৬ ম্যাচে করেছেন ১০৩ গোল। ২০২৪-২৫ মৌসুমে বুন্দেসলিগা জেতাতেও বায়ার্নকে সহায়তা করেছেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। কেইনের ক্যারিয়ারে এটিই ছিলো প্রথম বড় কোনো ট্রফি।
বায়ার্নেই চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চান কেইন,
‘বর্তমানে আমরা একটি চমৎকার মুহূর্তে আছি এবং অন্য কিছু নিয়ে ভাবছি না। যদি বায়ার্নের সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর আলোচনা হয়, আমি কথা বলতে প্রস্তুত।’
টটেনহ্যাম ও ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল কেইনের। গত মাসে বায়ার্নের হয়ে ১০০ গোলের মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। সেই সঙ্গে ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগে একটি ক্লাবের হয়ে দ্রুততম গোলের সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েন এই স্ট্রাইকার।
বায়ার্নের হয়ে গত মৌসুমে শিরোপা জয়কে নিজের অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন কেইন,
‘গত বছর যখন একটি শিরোপা জিতেছিলাম, তখন হয়তো সহজ হতে পারত ভাবা। ঠিক আছে, যা চেয়েছিলাম তা অর্জন করেছি। কিন্তু এটা আমাকে আরও ভালো করতে, আরও অর্জন করতে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। অন্যান্য শিরোপা এবং বড় শিরোপা জয় করতে চাই।‘
আগামী সপ্তাহে জর্ডানে এএফসি নারী অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাই খেলবে বাংলাদেশ। তার আগে আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সিরিয়ার বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে তারা। একদিন বিরতি দিয়ে স্বাগতিক দেশের অনূর্ধ্ব-১৭ মেয়েদের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে আগামী শুক্রবার জর্ডান যাবে সাইফুল বারী টিটুর দল। তার আগে এই দুটি প্রীতি ম্যাচকে আসল পরীক্ষা মনে করছেন কোচ।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পাঠানো ভিডিও বার্তায় কোচ সাইফুল বারী বলেছেন,
‘এটা ভালো সুযোগ। ফেডারেশনের কারণে আমরা এখানে দুইটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারছি। আমার মনে হয়, জর্ডানের আসল প্রস্তুতিটা এখানে।’
সিরিয়ার বিপক্ষে আজ বাংলাদেশ সময় ১০টায় মাঠে নামবেন অর্পিতা বিশ্বাস ও সুরভী আকন্দ প্রীতিরা। দলটির বিপক্ষে খেলা দেখে নিজ দলের ফুটবলারদের যাচাই করবেন সাইফুল বারী,
‘সিরিয়ার সঙ্গে খেলে আমাদের খেলোয়াড়দের দেখতে পারব, তাদের শক্তি-দুর্বলতা জানতে পারব। সেটা কাজে দেবে জর্ডানের বিপক্ষে ম্যাচে।’
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ‘এইচ’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক জর্ডান ছাড়াও গ্রুপে অপর দলটি শক্তিশালী চাইনিজ তাইপে।
প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১৩ অক্টোবর জর্ডানের বিপক্ষে। ১৭ অক্টোবর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ চাইনিজ তাইপে।
এএফসির এবারের সংস্করণে দারুণ কিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশের মেয়েরা। কোচ টিটু বললেন,
‘আমাদের প্রস্তুতির ব্যাপারে মেয়েরা অনেক সিরিয়াস। যদি একটা জায়গায় আমাদের একটু সমস্যা, গোলকিপার কোচসহ আরও দুজন কোচ আসতে পারে নাই এখানে, কিন্তু ওরা আমাদের সঙ্গে, আমাদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। আশা করি দ্রুতেই তারা আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে। সব মিলিয়ে আমি বলব, মেয়েরা খুব সিরিয়াস এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার্স নিয়ে।’
হঠাৎ করেই রেয়াল মাদ্রিদের শুরুর একাদশে জায়গা হয় না রদ্রিগোর। জায়গা হারানোরও যৌক্তিক কারণ ছিল, গত মৌসুম থেকে লম্বা সময় ধরে ছন্দে নেই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। কার্লো আনচেলত্তির শেষ সময় থেকে জাবি আলোনসোর দলেও অনিয়মিত।
একজন ফুটবলারের জন্য নিঃসন্দেহে এক কঠিন সময়- যা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দিয়ারিও এএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রদ্রিগো মুখ খুললেন জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ের কথা। মাঠের বাইরে থাকার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এক গভীর মানসিক সংকটের কথা। সেই সময়ে তিনি নিজেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিলেন সবকিছু থেকে। রদ্রিগো বললেন, ‘অনেকদিন কারো সঙ্গে কথা বলিনি।’
গত মৌসুমের শেষ দিকে হঠাৎ করেই দলে দেখা মিলছিল না রদ্রিগোর। এপ্রিলের পর থেকে আর শুরুর একাদশে ছিলেন না তিনি। এমনকি বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা দেল রে ফাইনালে প্রথমার্ধের পরই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। তারপর পুরো মৌসুমেই আর খেলার সুযোগ পাননি। অনেকে ভেবেছিলেন, হয়তো চোট বা অসুস্থতা এর কারণ। কিন্তু আসল ঘটনা জানালেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নিজেই।
রদ্রিগো বলেন,
‘সত্যি বলতে, ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব কঠিন সময়ের ভেতর দিয়ে গিয়েছি। অনেকদিন কারো সঙ্গে কথা বলিনি। কেউ জানত না আমি কী পার করছি। সেটা ছিল ভয়ানক সময়। আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো ছিলাম না। বিষয়টা আমার জন্য ভীষণ কঠিন হয়ে উঠেছিল। প্রথমে সৃষ্টিকর্তা, তারপর আমার পরিবার… আর কোচ আনচেলত্তি আমাকে সবকিছু কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেছেন। কার্লো আমাকে ভীষণ সাহায্য করেছেন। তিনি প্রতিদিনই দেখতেন আমি ভালো নেই, খেলার উপযুক্ত নই, দলকে সাহায্য করতে পারছি না।’
প্রতি তিন দিন পর পর ম্যাচের চাপ, মানসিক পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই—এমন বাস্তবতায় রদ্রিগো ডুবে গিয়েছিলেন দুশ্চিন্তার গভীরে। এ সময় পাশে ছিলেন কোচ আনচেলত্তি,
‘কিন্তু সমস্যা হলো, তখন প্রতি তিন দিন অন্তর ম্যাচ থাকত। তাই থেমে গিয়ে সমস্যার সমাধান করার সুযোগই ছিল না। কার্লো বুঝেছিলেন আমি একজন মানুষ, আমারও বাস্তব সমস্যা আছে। তিনি আমার জটিল পরিস্থিতি বুঝেছিলেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন, শান্ত থাকো, এখন তুমি খেলার উপযুক্ত নও। আমি তাকে ধন্যবাদ দিয়েছিলাম এবং খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি জানতেন খেলোয়াড়কে ফেরানোর আগে মানুষটিকে সুস্থ করা জরুরি।’
রদ্রিগো জানান, আনচেলত্তি ছাড়াও তাঁর ছেলে দাভিদ, পরিবার ও কোচিং স্টাফদের সহায়তায় মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন,
‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সুস্থ হওয়া। আমার জীবনের ভীষণ কঠিন সময় ছিল সেটি, কিন্তু এখন আমি সব কাটিয়ে উঠেছি, ভালো আছি। যখনই সুযোগ পাই, আমি কার্লেত্তোকে, তার ছেলে দাভিদেকে আর কোচিং স্টাফকে ধন্যবাদ জানাই। সবাই আমাকে সহায়তা করেছেন, আর অবশ্যই আমার পরিবারও। এখন আমার মধ্যে শুধু আনন্দ, আমি খুশি, এবং দুর্দান্ত এক মৌসুম কাটানোর জন্য ভীষণ উদ্দীপ্ত।’
রদ্রিগো বলেন, সেই দুঃসময় তাঁকে বদলে দিয়েছে, আরও পরিণত করেছে,
‘এটা সত্যি, আমি এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন একজন মানুষ। আমি নতুন মানসিকতা নিয়ে ফিরেছি, নতুন উদ্দীপনা নিয়ে, আরও পরিণত হয়েছি। আমি খুব ভালো অনুভব করছি, আর নিশ্চিত যে এই মৌসুম সবার জন্যই ভালো হবে—দলের জন্যও, আমার জন্যও।’
এখন রদ্রিগো শুরুর একাদশে ফেরার লড়াই করছেন। জাবি আলোনসোর অধীনে বেশিরভাগ সময়ই তাকে বাঁপ্রান্ত থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে। মাত্র দুটি ম্যাচে শুরুর একাদশেছিলেন। তবে নিয়মিত হতে চাইলে তাঁকে টপ ফর্মে থাকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
তবে চ্যালেঞ্জের ভয় পাচ্ছেন না রদ্রিগো,
‘আমি যেখানে খেলতে বলবেন, সেখানেই খেলব। সেটা বেঞ্চ থেকে ২০ মিনিট হোক বা শুরুর একাদশে পূর্ণ সময়। আমার লক্ষ্য শুধু দলের জন্য সেরাটা দেওয়া।’
সামনে এএফসি নারী অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাই। তার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রথমটিত প্রতিপক্ষ সিরিয়া। মঙ্গলবার ম্যাচটি হবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ফুটবল গ্রাউন্ডে, বাংলাদেশ সময় রাত ১০ টায়।
সিরিয়ার পর বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত অনূর্ধ্ব-১৭ মেয়েদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে লাল সবুজের কিশোরীরা।
এই ম্যাচ দুটিকে মূলত এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নিচ্ছেন কোচ সাইফুল বারী টিটু। জর্ডানে কঠিন প্রতিযোগিতায় মাঠে নামার আগে ম্যাঠের অনুশীলন এবং নিজেদের বাজিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ।
এই দুটি ম্যাচ সামনে রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুদিন অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। গতকালও সংযুক্ত আরব আমিরাত ফুটবল গ্রাউন্ড-২-তে বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুশীলন সেশন করেছে দল। এবার মাঠে নামার পালা।
আগামী ১০ অক্টোবর বাংলাদেশ যাবে জর্ডানে। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে 'এইচ' গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক জর্ডান ছাড়াও গ্রুপে অপর দলটি শক্তিশালী চাইনিজ তাইপে।
প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১৩ অক্টোবর জর্ডানের বিপক্ষে। ১৭ অক্টোবর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ চাইনিজ তাইপে।
ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রতিপক্ষ দুই দল। এই তালিকায় বাংলাদেশ আছে ১০৪তম অবস্থানে। ২৮ ধাপ এগিয়ে থাকা জর্ডান আছে ৭৬তম অবস্থানে। আর চাইনিজ তাইপে ৪২-তম।