টানা সাত ম্যাচ জয়ের ধারায় থাকায় ফেভারিট হিসেবেই নেমেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। তবে কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি দলকে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড চ্যালেঞ্জ নিয়ে। পুরো ম্যাচে প্রাধান্য দেখালেও রক্ষণের এক ভুলে প্রায় হারার দশাই হচ্ছিল বাভারিয়ানদের। তবে হারের মুখ থেকে দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হলেন জামাল মুসিয়ালা। কষ্টার্জিত এক পয়েন্ট নিয়েই তাই সন্তুষ্ট থাকতে হল বায়ার্নকে।
বুন্দেসলিগায় শনিবার রাতের ম্যাচে বায়ার্ন ও ডর্টমুন্ডের ম্যাচ ১-১ সমতায় শেষ হয়েছে। ১২ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রইল কোম্পানির দল। আর সমান ম্যাচে ২০ পয়েন্ট পাওয়া ডর্টমুন্ডের স্থান পঞ্চম।
ম্যাচে ৬৭ শতাংশ পজেশন রাখা বায়ার্ন গোলের জন্য মোট শট নিয়েছে ১৪টি, আর লক্ষ্যে থাকে পাঁচটি। প্রায় পুরো ম্যাচেই দ্বিতীয় সেরা দল হয়ে থাকা ডর্টমুন্ড মাত্র ২টি শট লক্ষ্যে রেখে প্রায় বাজিমাত করেই ফেলছিল। শেষ রক্ষা অবশ্য আর হয়নি।
হাইভোল্টেজ ম্যাচের উত্তাপ দেখা যায় শুরুতেই। ব্যাক পাস ঠিকমত রিসিভ করতে ব্যর্থ হয়ে গ্রেগর কোবেল প্রায় গোল হজম করেই বসছিলেন, তবে ভুল শুধরে নেন ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক। প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই বল দখলে রাখার ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষকে পেছনে ফেলে দেয় বায়ার্ন। বিরতির আগে অর্ধেকের বেশি পজেশন ছিল কোম্পানিদের দলের দখলে।
প্রথম পঁচিশ মিনিটে কোনো দলই পারেনি বলার মত আক্রমণ শানাতে। যাও সুযোগ তৈরি হচ্ছিল, সেটাও আসছিল বায়ার্নের কাছ থেকে। তবে ২৭তম মিনিটে ম্যাচের ধারার বিপরীতে গোল পেয়ে যায় ডর্টমুন্ড।
মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে নিকো শ্লোটারবেক বল বাড়ান বক্সে থাকা জেমি গিটেনসের দিকে। বল পেয়ে বাম দিক থেকে কোনাকুনি শটে মানুয়েল নয়ারকে পরাস্ত করে জাল খুঁজে নেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। লিগে এই মৌসুমে এটি তার পঞ্চম গোল।
৩৭তম মিনিটে বক্সের ভেতরে হেডার ছিল টমাস মুলারের, তবে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধে মলিন বায়ার্ন পারেনি আর উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে। তবে বিরতির পর কিছুটা ছন্দ ফিরে পায় দলটি।
৫৯তম মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ডান পায়ের দারুণ এক শট নিয়েছিলেন জামাল মুসিয়ালা, তবে সেটাও থাকেনি লক্ষ্যে। থ্রু বল থেকে দুই মিনিট পর লেরয় সান বল নিয়ে বক্সের ভেতরে গিয়ে শট নেন, তবে দলকে হতাশ করে তিনিও মিস করেন পোস্ট।
এক গোলের লিড নিয়ে অনেকটাই ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলতে থাকা ডর্টমুন্ড দ্বিতীয়ার্ধে বলতে গেলে গোলের সুযোগই সাজাতে পারেনি সেভাবে। এর মাশুলও গুনতে হয় তাদের। ৮৫তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে অনেকটা ফ্রি-কিক স্টাইলে ক্রস বাড়ান মাইকেল ওলিস, ঝাঁপিয়ে নেওয়া হেডারে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি মুসিয়ালা। লিগে এটি তার সপ্তম গোল।
২ জুলাই ২০২৫, ৯:৩৭ পিএম
২ জুলাই ২০২৫, ৯:০৫ পিএম
২ জুলাই ২০২৫, ৬:২০ পিএম
২ জুলাই ২০২৫, ৫:৩৩ পিএম
২ জুলাই ২০২৫, ১২:২৪ পিএম
গত মৌসুম শেষ না হতেই জোর গুঞ্জন ছিল বার্সেলোনার আগ্রহ নিয়ে। তবে শুরুতেই লুইস দিয়াজের ক্লাব ছাড়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে লিভারপুল। তারকা এই উইঙ্গারের দিকে এরপর নজর ছিল বায়ার্ন মিউনিখের। তবে ইএসপিএন একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, জার্মান ক্লাবের প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
গত মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন দিয়াজ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই কলম্বিয়ান উইঙ্গার ১৭টি গোল করে লিভারপুলের প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। স্বাভাবিকভাবেই তাকে দলে টানার দিকে আগ্রহী হয় ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলো।
লিভারপুলে দিয়াজের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ আরও দুই বছর বাকি রয়েছে। ইএসপিএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সম্প্রতি দিয়াজকে নেওয়ার জন্য বায়ার্ন মিউনিখের ক্রীড়া পরিচালক ম্যাক্স এবার্ল লিভারপুলের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করেন। আর তখনই তাকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, লিভারপুল তাকে নিয়ে কোনো দলবদলের আলোচনায় যেতে রাজি নয়।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তো থেকে লিভারপুলে যোগ দেন দিয়াজ। প্রাথমিকভাবে ট্রান্সফার ফি ছিল ৩৭.৫ মিলিয়ন পাউন্ড, যা বিভিন্ন শর্ত পূরণ সাপেক্ষে বোনাস মিলিয়ে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত গড়াতে পারে।
এখন পর্যন্ত লিভারপুলের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৪৮টি ম্যাচ খেলেছেন দিয়াজ। নামের পাশে রয়েছে ৪১টি ও ২৩টি অ্যাসিস্ট। প্রিমিয়ার লিগ ছাড়াও জিতেছেন এফএ কাপ ও দুটি লিগ কাপ।
বুধবার মরক্কোর রাজধানী রাবাতে অবস্থিত রয়্যাল মরোক্কান ফুটবল ফেডারেশন পরিদর্শন করেছেন মাননীয় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এই সময় ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল জনাব তারিক নাজেম ও ডিরেক্টর জনাব হাসান খারবোশ তাঁকে স্বাগত জানান এবং ফেডারেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। সেখানে মরোক্কান ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বাংলাদশে কোচ, ফুটবলার, রেফারি তৈরিতে সাহায্য করত আগ্রহের কথা জানানো হয়েছে।
আলোচনা চলাকালে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তাসহ সার্বিক সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হয় মরক্কোর পক্ষ থেকে। তারা ফুটবল ‘ইকোসিস্টেমে’ নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছে, যা দিয়ে তারা বিশ্ব ফুটবলে এখন নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের এই প্রস্তাব বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য দারুণ এক আশার সঞ্চার হতে পারে। ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে চমকের পর চমক জাগিয়ে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে জায়গা করে নেয় সেমিফাইনালে। সেই পথচলায় বিদায় করে হারায় স্পেন-পর্তুগালের মত দুই পরাশক্তিকে।
আর মরক্কোর সেই দলটিতে ছিলেন বেশ কয়েকজন বিদেশী লিগে খেলা ফুটবলার, যারা দুটি দেশের নাগরিকত্ব থাকলেও শেষ পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলার জন্য বেঁছে নেন মরক্কোকে। এই তালিকায় এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য নাম পিএসজির আশরাফ হাকিমি, রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাহিম দিয়াজের মত খেলোয়াড়রা। বাংলাদেশ দলেও এই বছর শুরু হয়েছে সেই ধারা। এরই মধ্যে জাতীয় দলে খেলে ফেলেছেন ইংলিশ ফুটবলের হামজা চৌধুরী, ইতালিয়ান লিগে খেলা ফাহমিদুল ইসলাম, কানাডিয়ান লিগে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সামিত শোম।
পরিদর্শনের সময় মাননীয় উপদেষ্টাকে ফেডারেশনের ফুটবল কমপ্লেক্সের বিভিন্ন অবকাঠামো—প্রশিক্ষণ মাঠ, আধুনিক মেডিকেল ও রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার, ফিটনেস ইউনিটসহ অন্যান্য ক্রীড়া সুবিধাসমূহ ঘুরিয়ে দেখানো হয়। এসময় কর্মকর্তারা মরক্কোর ফুটবলের কাঠামো, খেলোয়াড় উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মরোক্কান ফুটবল ফেডারেশনের আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ মরক্কোর জাতীয় দলের সাম্প্রতিক অর্জন, বিশেষ করে সর্বশেষ ফিফা বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে মরক্কো জাতীয় দলের বিপুলসংখ্যক অনুরাগী রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে তিনি দুই দেশের মধ্যে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব করেন, যা ক্রীড়াক্ষেত্রে দুই দেশের পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা জোরদারে ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক মানের একটি ফুটবল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে মরোক্কোর পরামর্শ, দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের উপরও গুরুত্বা দেন উপদেষ্টা।
এই আলোচনায় উভয় পক্ষই আশা প্রকাশ করেন, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদের এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মরক্কোর মধ্যে ফুটবল উন্নয়ন ও ক্রীড়াবিষয়ক সহযোগিতার একটি কার্যকর ও টেকসই ভিত্তি গড়ে উঠবে।
নারীদের এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব পার করার পথে বড় বাধা পার করল বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা শক্তিশালী মিয়ানমারকে গোলে হারিয়ে দারুণ এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। জোড়া গোলে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন ঋতুপর্ণা চাকমা।
বুধবার ইয়াংগুনের থুয়ান্না স্টেডিয়ামের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত এই জয়ে গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মত মূল পর্বে ওঠার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে পিটার জেমস বাটলারের দল।
এর আগে বাহরাইনের বিপক্ষে ৭-০ গোলের বড় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। টানা দুই জয়ে দলটির নামের পাশের এখন আছে ৬ পয়েন্ট। অন্যদিকে তুর্কমেনিস্তানকে ৮-০ গোলে হারানো মিয়ানমার রয়েছে ৩ পয়েন্টে।
১৯তম মিনিটে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন ঋতুপর্ণা চাকমা। ফ্রি কিক থেকে নেওয়া নেওয়া শট প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে বাধা পায়। তবে ফিরতি শটে বল জালে জড়ান এই ফরোয়ার্ড। পুরো ম্যাচেই দারুণ খেলা দ্বিতীয়ার্ধে ঋতুপর্ণা আবারও দেখান ঝলক। ৭২তম মিনিটে বক্সের সামান্য বাইরে থেকে স্কিলের অসাধারণ প্রদর্শনী দেখিয়ে বাম পায়ে নেওয়া শটে স্কোরলাইন ২-০ করে ফেলেন।
আক্রমণের ইতিবাচক পারফর্রম্যান্সের দিনের গোলপোস্টে রুপনা চাকমা ছিলেন দুর্ভেদ্য প্রাচীরের মতো। একবার তো পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে বিপদমুক্ত করেন তিনি। আর একবার শেষ মুহূর্তে প্রতিপক্ষ ফরোয়ার্ডের শট গ্লাভসে নিয়ে ঠেকিয়ে দেন প্রায় নিশ্চিত গোলের সুযোগ। এছাড়া রক্ষণভাগে শামসুন্নাহার সিনিয়র, আফঈদা খন্দকারদের দৃঢ়তায় মিয়ানমারের একের পর এক আক্রমণ ব্যর্থ হয়।
তবে ৮৮তম মিনিটে আনমার্কড উইন উইন গোল করে বসেন, কিছুটা সময়ের জন্য তাতে ম্যাচে জাগে রোমাঞ্চ। তবে বাকি সময়টা রক্ষণ সামলে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
আগামী শনিবার নিজেদের শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে জয় বা ড্র করলেই প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত ঋতুপর্ণা-মারিয়াদের।
চলমান ক্লাব বিশ্বকাপে শুরু থেকেই নানা অভিযোগের মধ্যে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিকূল আবহাওয়া। তীব্র গরমের মধ্যে খেলা নিয়ে অভিযোগ করেছেন খেলোয়াড়-কোচরা। সবশেষ রিয়াল মাদ্রিদের কাছে নকআউট পর্বের ম্যাচে হেরে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন য়্যুভেন্তুস কোচ ইগর তুদর। তিনি বলেছেন, অন্তত ১০ জন খেলোয়াড় ম্যাচ চলাকালীন তাকে বদলি হিসেবে তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান।
মঙ্গলবার শেষ ষোলোর ম্যাচে রিয়ালের কাছে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে ইতালিয়ান ক্লাব য়্যুভেন্তুস। তবে এই ম্যাচের ফলাফলের চেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে ভেন্যু মায়ামির আবহাওয়া এবং খেলতে গিয়ে খেলোয়াড়দের শারীরিকভাবে কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি। কারণ, ভীষণ গরমের মধ্যে ক্লান্তিতে দুই দলের খেলোয়াড়দের জন্যই সেরা পারফরম্যান্স দেখানোটা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।
ম্যাচের পর তুদরের কণ্ঠে প্রকটভাবে ফুটে উঠে এই বিষয়টি।
“খেলার জন্য আজকের পরিবেশটা সত্যিই অনেক কঠিন ছিল। আমাদের দল থেকে ১০ জন খেলোয়াড় আমাকে বদলি হওয়ার অনুরোধ জানায়। তারা আসলেই অনেক ক্লান্ত ছিল।”
ম্যাচের দিন মায়ামির তাপমাত্রা এদিন ছিল সর্বোচ্চ ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৮৮ ফারেনহাইট। যদিও এটি সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোর তুলনায় কিছুটা কম হলেও খেলোয়াড়দের জন্য গরমের সাতে মানিয়ে নিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তাপ ও আর্দ্রতার সাথে খাপ খাওয়াতে রিয়ালের তুলনায় বেশি সংগ্রাম করতে হয়েছে সেরি আ ক্লাবটির খেলোয়াড়দের।
তুদর এর পেছনের কারণ হিসেবে তুলে ধরলেন টানা খেলার ধকলকে।
“খেলোয়াড়দের এই ক্লান্তির পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। দীর্ঘ মৌসুমের শেষে খেলোয়াড়দের ওপর অনেক মানসিক চাপ ছিল, যা তাদের প্রাণশক্তি শেষ করে ফেলেছে। আবহাওয়াটাও খুব আর্দ্র ছিল, যা খেলাকে আরও কঠিন করে তুলেছে। আর গরমও একটা বড় কারণ ছিল।”
প্রথমবারের মতো ৩২ দলের ফরম্যাটে আয়োজিত এবারের ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। সম্প্রতি লিভারপুলের সাবেক কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ বলেছেন, এই টুর্নামেন্টের আয়োজন ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্ত। আর বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড রাফিনিয়ার মতে, ব্যস্ত একটি মৌসুমের পর এই টুর্নামেন্ট খেলোয়াড়দের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
রিয়াল মাদ্রিদের তারকায় ঠাসা স্কোয়াডে খুব বেশি সুযোগ যে পাবেন না, জানা ছিলই গনসালো গার্সিয়া। সেটা তাই দুহাতে কাজে লাগাচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ এই স্ট্রাইকার। চলমান ক্লাব বিশ্বকাপে সব আলো যেন নিজের দিকে কেড়ে নিয়েছেন। শেষ ষোলোতে তার একমাত্র গোলে য়্যুভেন্তুসকে হারিয়েছে রিয়াল। তাতে বেশ খুশি গনসালো। ক্লাব বিশ্বকাপকে দেখছেন জীবনের সেরা সুযোগ হিসেবে।
ক্লাব বিশ্বকাপে এরই মধ্যে চার ম্যাচে তিন গোলের সঙ্গে এক আ্যসিস্ট করে ফেলেছেন গার্সিয়া। একজন স্বভাবজাত ‘নম্বর নাইন’ স্ট্রাইকারের যা যা গুণ থাকা দরকার, সবই দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে। অথচ কিলিয়ান এমবাপে যদি চোটের কারণে গ্রুপ পর্বে ছিটকে না যেতেন, হয়ত সেভাবে মাঠে নামারই সুযোগ মিলত না তার। এরপর আবার পজিশনের জন্য লড়াই করতে হয়েছে ব্রাজিল সেনসেশন এন্দ্রিকের সাথেও।
আরও পড়ুন
ধারে বার্সা থেকে মোনাকোতে যোগ দিলেন ফাতি |
![]() |
তবে পারফরম্যান্স দিয়ে এরই মধ্যে রিয়াল সমর্থকরা তাকে গার্সিয়ার মাঝে ক্লাব কিংবদন্তী রাউল গনসালেসের ছায়া দেখছেন করছে, যা মনে ধরেছে তার বলেই জানালেন ম্যাচ শেষে। “রাউলের সঙ্গে সবাই আমার তুলনা টানছে, যেটা আমার জন্য বিশাল পাওয়া। ভালোই লাগে এমনটা শুনতে, এটাকে আমি প্রশংসা হিসেবে নিচ্ছি। ক্লাব বিশ্বকাপটা আমার জীবনের সেরা সুযোগ হয়ে এসেছে, আমি সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।”
তার পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট সতীর্থ মিডফিল্ডার ফেদেরিকো ভালভের্দেও। তিনিও গনসালোকে ভাসিয়েছেন প্রশংসায়,
“গনসালোকে অভিনন্দন জানানো দরকার। সে নীরবে নিজের কাজটা করে যায়। রিয়ালকে বেশ দারুণভাবে সে প্রতিনিধিত্ব করে।”
গনসালোর গোলে জয় পাওয়া রিয়াল জায়গা করে নিয়েছে শেষ আটে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।