টানা সাত ম্যাচ জয়ের ধারায় থাকায় ফেভারিট হিসেবেই নেমেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। তবে কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি দলকে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড চ্যালেঞ্জ নিয়ে। পুরো ম্যাচে প্রাধান্য দেখালেও রক্ষণের এক ভুলে প্রায় হারার দশাই হচ্ছিল বাভারিয়ানদের। তবে হারের মুখ থেকে দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হলেন জামাল মুসিয়ালা। কষ্টার্জিত এক পয়েন্ট নিয়েই তাই সন্তুষ্ট থাকতে হল বায়ার্নকে।
বুন্দেসলিগায় শনিবার রাতের ম্যাচে বায়ার্ন ও ডর্টমুন্ডের ম্যাচ ১-১ সমতায় শেষ হয়েছে। ১২ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রইল কোম্পানির দল। আর সমান ম্যাচে ২০ পয়েন্ট পাওয়া ডর্টমুন্ডের স্থান পঞ্চম।
ম্যাচে ৬৭ শতাংশ পজেশন রাখা বায়ার্ন গোলের জন্য মোট শট নিয়েছে ১৪টি, আর লক্ষ্যে থাকে পাঁচটি। প্রায় পুরো ম্যাচেই দ্বিতীয় সেরা দল হয়ে থাকা ডর্টমুন্ড মাত্র ২টি শট লক্ষ্যে রেখে প্রায় বাজিমাত করেই ফেলছিল। শেষ রক্ষা অবশ্য আর হয়নি।
হাইভোল্টেজ ম্যাচের উত্তাপ দেখা যায় শুরুতেই। ব্যাক পাস ঠিকমত রিসিভ করতে ব্যর্থ হয়ে গ্রেগর কোবেল প্রায় গোল হজম করেই বসছিলেন, তবে ভুল শুধরে নেন ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক। প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই বল দখলে রাখার ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষকে পেছনে ফেলে দেয় বায়ার্ন। বিরতির আগে অর্ধেকের বেশি পজেশন ছিল কোম্পানিদের দলের দখলে।
প্রথম পঁচিশ মিনিটে কোনো দলই পারেনি বলার মত আক্রমণ শানাতে। যাও সুযোগ তৈরি হচ্ছিল, সেটাও আসছিল বায়ার্নের কাছ থেকে। তবে ২৭তম মিনিটে ম্যাচের ধারার বিপরীতে গোল পেয়ে যায় ডর্টমুন্ড।
মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে নিকো শ্লোটারবেক বল বাড়ান বক্সে থাকা জেমি গিটেনসের দিকে। বল পেয়ে বাম দিক থেকে কোনাকুনি শটে মানুয়েল নয়ারকে পরাস্ত করে জাল খুঁজে নেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। লিগে এই মৌসুমে এটি তার পঞ্চম গোল।
৩৭তম মিনিটে বক্সের ভেতরে হেডার ছিল টমাস মুলারের, তবে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধে মলিন বায়ার্ন পারেনি আর উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে। তবে বিরতির পর কিছুটা ছন্দ ফিরে পায় দলটি।
৫৯তম মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ডান পায়ের দারুণ এক শট নিয়েছিলেন জামাল মুসিয়ালা, তবে সেটাও থাকেনি লক্ষ্যে। থ্রু বল থেকে দুই মিনিট পর লেরয় সান বল নিয়ে বক্সের ভেতরে গিয়ে শট নেন, তবে দলকে হতাশ করে তিনিও মিস করেন পোস্ট।
এক গোলের লিড নিয়ে অনেকটাই ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলতে থাকা ডর্টমুন্ড দ্বিতীয়ার্ধে বলতে গেলে গোলের সুযোগই সাজাতে পারেনি সেভাবে। এর মাশুলও গুনতে হয় তাদের। ৮৫তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে অনেকটা ফ্রি-কিক স্টাইলে ক্রস বাড়ান মাইকেল ওলিস, ঝাঁপিয়ে নেওয়া হেডারে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি মুসিয়ালা। লিগে এটি তার সপ্তম গোল।
৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:২০ পিএম
৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০১ পিএম
৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:৪৩ পিএম
৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪:০৩ পিএম
২২ নভেম্বর বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে ছিলো বসুন্ধরা-মোহামেডান মৌসুমের প্রথম এনকাউন্টার। ২ সপ্তাহ পর আবারো মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই দল। এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম লেগে। শুক্রবার কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে বসুন্ধরা কিংস-মোহামেডানের ম্যাচ।
বসুন্ধরা কিংস আর মোহামেডান দুই দলই জিতেছে বিপিএলের প্রথম রাউন্ডে। চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৭-০ গোলে হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংস, আর ওয়ান্ডারার্সকে ৬-০ গোলে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ফেডারেশন কাপে গেল মঙ্গলবারের ম্যাচে কুমিল্লার মাঠে ইনজুরিতে পড়ায় মোহামেডানের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না বসুন্ধরা কিংসের ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন।
আরও পড়ুন
৫৫ মিনিটের ঝড়ে ব্রাদার্সকে ৮ গোলের লজ্জা দিলো মোহামেডান |
শুক্রবার কিংস-মোহামেডান ম্যাচের সাথে প্রথম রাউন্ডে জয় পাওয়া রহমতগঞ্জের প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম আবাহনী। বসুন্ধরার কাছে গোলবন্যায় ভেসে রিয়েলটি চেক একদিকে হয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনীর। অন্যদিকে, রহমতগঞ্জ ফর্টিসকে হারিয়ে টানা ২য় জয়ের খোঁজে।
শনিবার বিপিএলে নামবে আবাহনী লিমিটেড। আগের রাউন্ডে ইয়ংমেন্সের পর এবার ২য় রাউন্ডে আকাশী-নীলদের সামনে আরেক নবাগত ঢাকা ওয়ান্ডারার্স। দেশি ফুটবলারদের ঝলক দেখানোর বড় সুযোগ, আবাহনীতে কোন বিদেশি নাই, ওয়ান্ডারার্সের সংখ্যা ১।
আরও পড়ুন
৫৫ মিনিটের ঝড়ে ব্রাদার্সকে ৮ গোলের লজ্জা দিলো মোহামেডান |
বাকি ২ ম্যাচের একটায় মাঠে নামছে প্রথম রাউন্ডে ২ হারা দল পুলিশ ও ইয়ংমেন্স। আর চমক দেখানো ব্রাদার্সের প্রতিপক্ষ ফর্টিস।
বিপিএল ২য় রাউন্ড ফিক্সচার
মোহামেডান-বসুন্ধরা কিংস (শুক্রবার, দুপুর ২:৩০)
রহমতগঞ্জ-চট্টগ্রাম আবাহনী (শুক্রবার, দুপুর ২:৩০)
আবাহনী লিমিটেড – ঢাকা ওয়ান্ডারার্স (শনিবার, দুপুর ২:৩০)
বাংলাদেশ পুলিশ – ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস (শনিবার, দুপুর ২:৩০)
ফর্টিস – ব্রাদার্স ইউনিয়ন (শনিবার, দুপুর ২:৩০)
বিপিএলের সব ম্যাচই সরাসরি দেখা যাবে টি স্পোর্টস নেটওয়ার্কে
নিউক্যাসলের স্টেডিয়াম সেন্ট জেমস পার্কে রাতে যে ম্যাচ হলো, সেটা এক কথায় বললে–পয়সা উসুল। সেটা নিয়ে গুটিকতক নিউক্যাসল ভক্ত আপত্তি জানালেও খুব একটা দ্বিমত পোষণ করবেন না। ছয় গোলের থ্রিলারে একদম শেষ মুহূর্তে ফাবিয়েন শেরের একটা আচমকা গোল থেকে উড়তে থাকা স্লটের লিভারপুলের কাছ থেকে একটা পয়েন্ট বাগিয়ে নেওয়া গেছে–সেটা লিগ টেবিলের দশম স্থানে বসে থাকা নিউক্যাসলের জন্য স্বস্তির বটে। তবে একটা বিষয়ে সবাই একমত হতে বাধ্য, যে নিউক্যাসল-লিভারপুলের ৩-৩ গোলে ড্র হওয়ার ম্যাচের রাতের ‘সুপারস্টার’ ছিলেন মোহামেদ সালাহই। যিনি এই মৌসুমেও প্রতি ম্যাচের পারফরম্যান্সে তীব্রভাবে দেখিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন, কেন প্রিমিয়ার লিগের অবিসংবাদিত ‘রাজা’ এই মিশরের ৩২ বছর বয়সী তারকা।
বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধটা পুরোটাই ছিল একটা ‘মোহামেদ সালাহ ম্যাটিনি শো’। লিভারপুলের সমতায় ফেরা ম্যাচে কার্টিস জোনসের গোলে বড় অবদান তার বাঁ পায়ের হালকা এক ফ্লিক থ্রু বল। দ্বিতীয় আর তৃতীয় গোল করে নিজেকে নিয়ে গেছেন আরেক উচ্চতায়। বিশেষ করে তৃতীয় গোলটার কথা আলাদা করে বলতেই হয়। মিনিটখানেক আগেই ক্রসবারে লেগে ফিরে এসেছিল তার নেওয়া শট। এরপর আলেক্সান্ডার আরনল্ডের পা থেকে পাওয়া বলটা তিন ডিফেন্ডারের মাঝে দাঁড়িয়ে রিসিভ করলেন ডান পায়ে। কোমরের হালকা মোচড়ে বাম পায়ের সঙ্গে সংযোগ ঘটালেন নিক পোপের দিকে না তাকিয়েই। এদিকে ডিফেন্ডাররা আরো কাছে চলে এসেছেন। কিন্তু তাতে কী! চোখের আর গোলপোস্টের সংযোগ একই লাইনে না থাকলেও মোহামেদ সালাহ’র ‘নো লুক ফিনিশ’ আরেকবার মুগ্ধতা ছড়িয়েছে সেন্ট জেমস পার্কে।
আরও পড়ুন
রুনির রেকর্ডে ভাগ বসালেন সালাহ |
এই ম্যাচে দুটো গোল আর এক অ্যাসিস্ট– সব কম্পিটিশনে ডিসেম্বরের মাঝেই গোল করে ফেলেছেন ১৫ টা। প্রিমিয়ার লিগে ১৩ গোল করে সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের শীর্ষস্থানে বসেছেন হলান্ডকে টপকে। নামের পাশে আছে ১২ টা অ্যাসিস্ট, সেটাও সব প্রতিযোগিতা মেলালে। সঙ্গে রেকর্ডবুকে আরেকবার নিজের নাম লিখিয়েছেন ‘দ্য ইজিপশিয়ান কিং অব প্রিমিয়ার লিগ’। একই ম্যাচে গোল এবং অ্যাসিস্ট করার সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি গোল কন্ট্রিবিউশন এর আগে ছিল ওয়েইন রুনির, সবমিলিয়ে ৩৬ টা আলাদা আলাদা ম্যাচে গোল এবং অ্যাসিস্ট করেছিলেন সাবেক এভারটন ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা। সে রেকর্ডটা ভেঙে সালাহ এখন ৩৭ টি ম্যাচে গোল এবং অ্যাসিস্ট–দুটোই করেছেন।
একই ম্যাচে স্কোর এবং অ্যাসিস্টের রেকর্ড
মোহামেদ সালাহ | ৩৭ ম্যাচ |
ওয়েইন রুনি | ৩৬ ম্যাচ |
থিয়েরি অঁরি | ৩২ ম্যাচ |
অ্যালান শিয়েরার | ৩১ ম্যাচ |
অ্যান্ডি কোল | ২৮ ম্যাচ |
প্রিমিয়ার লিগে গোল আর অ্যাসিস্ট মিলিয়ে সালাহর গোল কন্ট্রিবিউশন ২৪৭, যা এই লিগে অষ্টম সর্বোচ্চ। আর তিনটি গোল, অ্যাসিস্ট পেলেই ছাড়িয়ে যাবেন আড়াইশর ঘর।
লিভারপুলের সঙ্গে মোহামেদ সালাহ’র চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী বছরের জুনে। ক্লাবের সঙ্গে সালাহ’র নতুন চুক্তির সময়সীমা আর বেতন নিয়ে একটা দেনদরবার চলছে, যে ব্যাপারের দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়টা একেবারেই পছন্দ হচ্ছে না ৩২ বছর বয়সী তারকার। যদিও সাউদাম্পটনের সঙ্গে ম্যাচের পর সালাহ জানিয়েছেন, তার ইচ্ছা লিভারপুলেই থেকে যাওয়ার এবং প্রয়োজনে এক বছরের জন্য নতুন চুক্তি করতেও রাজি তিনি।
আরও পড়ুন
স্লটের আগমনে লিভারপুলে ইতি ঘটছে সালাহ অধ্যায়ের? |
সালাহর কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্সের পর দলের কোচ আর্নে স্লট প্রশংসায় ভাসিয়েছেন প্রেস কনফারেন্সে। সেই সঙ্গে অল রেড ভক্তদের আশা দিয়েছেন সালাহ’র ভবিষ্যতের ব্যাপারে, “যখনই আমাদের ওকে [সালাহ] প্রয়োজন হয়, সে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোলটা এনে দেয়। আমাদের প্রত্যাশা সে আরো অনেকদিন এই দলে কাজটা করে যেতে পারবে। গোল ছাড়াও সে দলের জন্য স্পেশাল কিছু করে দেখিয়েছে, বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে।”
ইন্টার মায়ামির নতুন কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো নতুন ক্লাবে গিয়ে দেখা পেয়েছেন কয়েকজন চেনা মুখের। একসময় যাদের সাথে খেলেছেন ক্লাব ও জাতীয় দলের, সেই লিওনেল মেসি বা লুইস সুয়ারেজরা যে খেলছেন যুক্তরাষ্ট্রের দলটিতে। ফলে প্রশ্ন থেকেই যায়, নিরপেক্ষ থেকে কী বন্ধুদের সাথে কাজ করবেন সাবেক আর্জেন্টিনা ডিফেন্ডার? মাসচেরানোর দাবি, পেশাদার সম্পর্কই এগিয়ে রাখবেন তিনি।
টাটা মার্টিনো চাকরি ছাড়ার পর চমক জাগিয়েই মাসচেরানোকে নিয়োগ দিয়েছে মায়ামি। সিনিয়র ফুটবলে এর আগে কখনই কোচিং না করানো এই ‘তরুণ’ কোচের অভিজ্ঞতা স্রেফ আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের যুব দল পরিচালনা করা। নতুন দায়িত্বে মাসচেরানোর জন্য কাজটা হতে পারে চার সাবেক সতীর্থ মেসি, সুয়ারেজ, সের্হিও বুসকেতস ও জর্দি আলবাদের উপস্থিতির জন্য৷ তবে সংশয়ও রয়েছে যে বন্ধুদের বাড়তি সুবিধা না দিয়ে বসেন তিনি!
মায়ামির দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে মাসচেরানো বলেছেন, কোনো স্বজনপ্রীতি হবে না তার দলে। “আমি তাদের (মেসি-সুয়ারেজদের) বলেছি যে, আমি ড্রেসিংরুমে গিয়ে এমন আচরণ করব না যে আমরা বন্ধু নই। আমি লিও (মেসি) এবং অন্যান্য ছেলেদেরও বলে দিয়েছি, চাকরির জন্য আমি তাদের সাথে বছরের পর বছর ধরে যে সম্পর্ক তৈরি করেছি, সেটা আমি বিপদে ফেলতে যাচ্ছি না। আমি সেরকম লোক নই। ফুটবলের বাইরেও একটা জীবন আছে।”
মায়ামির ডাগআউটে মাসচেরানোর জন্য মূল চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) আরও ভালো করা। গত মৌসুমে নিজেদের ইতিহাসে লিগে রেকর্ড পয়েন্ট পাওয়ায় দলটিকে নিয়ে সমর্থকদের প্রত্যাশা বেড়ে গেছে বেশ। মেসি নিজেও বলেছেন, ক্লাব ছাড়ার আগে মায়ামিকে প্রথমবারের মত এমএলএসের শিরোপা জেতাতে চান তিনি।
ম্যানচেস্টার সিটির কোচ হিসেবে শুরু থেকে পেপ গার্দিওলার দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন তিনি। ফিট থাকলে তাকে কখনই বসিয়ে রাখেন না অভিজ্ঞ এই কোচ। অথচ আগের কয়েক ম্যাচের পর সবশেষ লিভারপুলের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচে ফিট কেভিন ডে ব্রুইনাকে শুরুর একাদশে রাখা হয়নি। এতে বাতাসে ভাসছে গুঞ্জন, গার্দিওলার সাথে নাকি সমস্যা চলছে বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের। বিষয়টি নিয়ে ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে সিটি কোচ একহাত নিয়েছেন নিন্দুকদের।
গত সেপ্টেম্বরে পাওয়া চোট কাটিয়ে ফেয়ার পর থেকে শুরুর একাদশে জায়গা করে নিতে লড়তে হচ্ছে ডে ব্রুইনাকে। পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন বদলি হিসেবে নেমে। লিভারপুলের সাথে তাকে গার্দিওলা নামান দল ২-০ তে পিছিয়ে পড়ার পর। স্কাই স্পোর্টসের দুই পন্ডিত গ্যারি নেভিল এবং জেমি ক্যারাগার ওই ম্যাচের পর দাবি করেন, গার্দিওলার সাথে ডে ব্রুইনার কিছু সমস্যা যাচ্ছে। সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা নেভিল বলেছিলেন, ব্রুইনের পরিস্থিতি ‘অস্বাভাবিক, উদ্ভট ও অদ্ভুত’।
আরও পড়ুন
লিভারপুলের কাছে হেরে গার্দিওলা বললেন, ‘হয়ত ছাঁটাই হওয়া উচিত’ |
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে জানতে না চাওয়া হলেও নিজেই বিষয়টি এনে বিরক্তি প্রকাশ করেন গার্দিওলা। “লোকেরা বলে আমার সাথে নাকি কেভিনের সমস্যা আছে। আপনারা কি আসলেই মনে করেন আমি কেভিনকে খেলাতে পছন্দ করি না? হ্যাঁ, আসলেই আমি চাই না কেভিন খেলুক। ফাইনাল থার্ডে সবচেয়ে বেশি প্রতিভা থাকা লোকটিকে আমি খেলাতে চাই না। আমি এটা চাই না। নয় বছর একসাথে কাজ করার পর তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সমস্যা হয়েছে।”
চোটের কারণে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র না খেলায় রিয়াল মাদ্রিদের প্রথম ও প্রধান পেনাল্টি টেকার এখন কিলিয়ান এমবাপেই। তবে গেতাফের বিপক্ষে সুযোগ পেয়েও পেনাল্টি নেননি ফরাসি তারকা। সেটা নিতে দেন জুড বেলিংহামকে। ব্যক্তিগত অর্জনের কথা না ভেবে এমবাপের এই উদারতা মনে ধরেছে কার্লো আনচেলত্তির। তার চোখে এটা দলের প্রতি নিবেদনের দারুণ এক প্রতিফলন।
মৌসুমের শুরুতেই পেনাল্টির দায়িত্ব এমবাপে ও ভিনিসিয়ুসের মধ্যে ভাগ করে দেন আনচেলত্তি। ব্রাজিল তারকা না থাকায় অবধারিতভাবে তাই পেনাল্টি নেওয়ার কথা এমবাপেরই। তবে গেতাফের বিপক্ষে ম্যাচে এক গোল করা সাবেক পিএসজি ফরোয়ার্ড পেনাল্টি পেলে তা নিতে দেন বেলিংহামকে। আগের ম্যাচে লিভারপুলের বিপক্ষে স্পট কিক থেকে মিস করার কারণেই হয়ত বাড়তি চাপ নিতে চাননি বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।
তবে যেই কারণেই হোক, এমবাপের এই কাজটা ভালো লেগেছে বলেই মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন আনচেলত্তি। “এখানে বিতর্কের কিছু নেই। এর দুটি দিক রয়েছে। গেতাফের বিপক্ষে এমবাপে যা করেছে, আপনি এটিকে তার জড়তা হিসাবে দেখতে পারেন, অথবা আপনি এটিকে আমাদের মতো দেখতে পারেন, যা হল দায়িত্ব এবং দল স্বার্থ এগিয়ে রাখার মত একটি কাজ। তিনি অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন একজন খেলোয়াড়। তিনি হয়ত ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিভা হতে পারেন, তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে দলকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে, আমি এটাকে অনেক মূল্যবান বলে মনে করি।”
আনচেলত্তির কাছে এমবাপের এটা স্রেফ উদারতা হলেও অনেকেই মনে করছেন, এটা ফ্রান্স ফরোয়ার্ডের নিজের সামর্থ্যের প্রতি বিশ্বাসের ঘাটতি। বিশেষ করে দলের অন্যতম বড় তারকা হওয়ার পরও তার লিভারপুল ম্যাচে মিসের পরের ম্যাচে পেনাল্টি ছেড়ে দেওয়া নেতা হিসেবেও তাকে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে আলোচনার মুখে।
আনচেলত্তি অবশ্য এই ধরনের কোনো চিন্তাই করার পক্ষে নন বলেই জানিয়েছেন। “আমি ব্যাপারটা সেভাবে দেখি না। ড্রেসিংরুমের মধ্যে এতা দলের জন্য, তার সতীর্থদের জন্য, আমাদের সবার জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যেমনটা আগেই বলেছি, আমরা তার এই কাজের মূল্য দিই। দলের প্রতি নিবেদনের এটা একটা দুর্দান্ত নজির।”
গ্রীষ্মের দলবদলে পিএসজি ছেড়ে রিয়ালে নাম লেখানো এমবাপে এখন পর্যন্ত এই মৌসুমে গোল করেছেন ১০টি। লেফট উইঙ্গার হলেও ভিনিসিয়ুস থাকায় মূলত খেলতে হচ্ছে স্ট্রাইকার হিসেবে। গত দুই ম্যাচ ধরে অবশ্য প্রিয় পজিশনেই খেলছেন এমবাপে।
১৯ ঘণ্টা আগে
৯ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৮ দিন আগে
৪০ দিন আগে