ঘটনা ১২ বছর আগের। তবে ফ্র্যাংক রিবেরি আজও যেন ভুলতে পারেন না একটি ব্যক্তিগত খেতাব না জেতার কষ্ট। ২০১৩ সালে ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে থেকেও সেরার লড়াইয়ে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির সাথে পেরে ওঠেননি সাবেক ফ্রান্স ও বায়ার্ন মিউনিখ উইঙ্গার। আক্ষেপ নিয়ে এতদিন পর ফের বললেন, সেই বছর তিনিই ছিলেন সবার সেরা।
বিশ্ব ফুটবলের দুই নক্ষত্র মেসি ও রোনালদো একটা লম্বা সময় ধরে দেখিয়েগেছেন একচেটিয়া দাপট। ব্যালন ডি’অর জেতার লড়াইটা তাই বছরের পর বছর সীমাবদ্ধ ছিল কেবল তাদের মধ্যেই। এর মাঝেও আলোচনায় আসতে হলে যেমন পারফরম্যান্স দরকার, ২০১৩ সালে ঠিক তেমনটাই দেখিয়েছিলেন রিবেরি। বায়ার্নের হয়ে জিতেছলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও বুন্দেসলিগা।
আরও পড়ুন
কষ্টার্জিত জয়েও ব্রাজিলের উন্নতির দেখছেন দরিভাল |
![]() |
তবে শেষ পর্যন্ত রোনালদোর কাছে হার মানা রিবেরি মেসির পেছনে থেকে তৃতীয়। লেকিপে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই স্মৃতিচারণ করে আক্ষেপ ঝড়ে পড়েছে রিবেরির কণ্ঠে।
“আমার সেরা একটা মৌসুম ছিল। এর চেয়ে ভালো খেলা সম্ভব ছিল না। ব্যালন ডি’অরের ফলাফলটা নায্য ছিল না। মেসি আর রোনালদো জানত যে আমি তাদের সমমানের ছিলাম। তাদের প্রতি আমার অনেক সম্মান আছে। তবে সেই বছর তারা আমার চেয়ে ভালো ছিল না। ওই ব্যালন ডি’অরটা সবসময়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে।”
ব্যালন ডি’অরের ওই বছর ফরম্যাটে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স বিবেচনার যে সময় ছিল, ব্যতিক্রম ঘটিয়ে সেবার যোগ করা হয় বাড়তি দুই সপ্তাহ। আর সেই সময়ের মধ্যেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে পর্তুগালকে বিশ্বকাপে নিয়ে যান রোনালদো। বলার অপেক্ষা রাখে না, ভোটিংয়ের ছিল এর প্রভাব।
রিবেরির কাছে এই বিষয়টির নেই কোনো ব্যাখা।
“আমি এখনও সেই প্রশ্নের উত্তরটা খুঁজছি। আমি কখনই এটা বুঝতে পারব না যে কেন ভোট দেওয়ার সময়টা দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।”
No posts available.
১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৫৫ পিএম
১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২:৪১ পিএম
হংকং, চায়নার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩-৪ গোলে হারের পর ফিরতি ম্যাচে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে বাংলাদেশ। তাতে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই থেকে বিদায়ঘন্টাও বাজে হামজা-জামালদের।
হংকংয়ের মাঠে ড্র বাংলাদেশের জন্য ভাল ফল হলেও প্রত্যাশা তার চেয়েও বেশি ছিল সমর্থকদের। কোটি সমর্থকদের হৃদয় ভাঙে ১০ জনের হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় না পাওয়ায়। সেই দলে আছেন নারী ফুটবল দলের পোস্টারগার্ল ঋতুপর্ণা চাকমাও। বাংলাদেশের এমন ড্র-য়ে অভিজ্ঞ উইঙ্গার আজ বললেন— 'ভাল খেলেছে দল, কিন্তু কিছু তো করার নেই, ব্যাড লাক।'
ভুটানের নারী লিগে পারো এফসির হয়ে খেলে গতকালই দেশে আসেন ঋতুপর্ণা চাকমা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনের সামনে কথা হয় ঋতুর সঙ্গে। বাংলাদেশের দুটি খেলাই দেখেছেন তিনি।
আরও পড়ুন
কবে মাঠে ফিরবেন আর্জেন্টিনার লিসান্দ্রো, জানালেন রেড কোচ |
![]() |
ঋতুপর্ণার কাছে জানতে চাওয়া হয় গতরাতে অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দলের খেলা দেখেছেন কিনা। ঋতুর উত্তর— 'দেখেছি, ওরা ভাল খেলেছে কিন্তু প্রতিপক্ষ (চাইনিজ তাইপে) অনেক শক্ত টিম।' এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে শুক্রবার রাতে শেষ হয় অর্পিতাদের অভিযান। প্রথম ম্যাচে জর্ডানের বিপক্ষে ড্রয়ের পর ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৫২ ধাপ এগিয়ে থাকা চাইনিজ তাইপের কাছে ৫-০ গোলে হারে কোচ সাইফুল বারী টিটুর দল।
বাংলাদেশ সিনিয়র নারী দল আগামী ২১ অক্টোবর যাবে থাইল্যান্ডে। সেখা ফিফা উইন্ডোতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবেন আফঈদা খন্দকাররা। যে কারণে ঋতুপর্ণা, মনিকা চাকমারা ভুটান লিগ শেষ না হতেই ঢাকায় উড়িয়ে আনা।
চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেড থেকেও মেয়েদের আরেকটি দল গতকাল যোগ দিয়েছেন ফেডারেশনের ক্যাম্পে। ভুটানে থাকা দুই শামসুন্নাহার, স্বপ্না রানী, তহুরা ও মারিয়া মান্ডাদের দেশে আসার কথা আগামীকাল।
খুব দ্রুতই তারকা খ্যাতি পেয়েছেন লামিনে ইয়ামাল। অভিষেকের পর থেকেই মাঠে চমক জাগানো পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে বার্সেলোনার ১০ নম্বর জার্সিও শোভা পেয়েছে তার গায়ে। ফুটবলবিশ্বে এখন এক বড় নামই স্প্যানিশ এই উইঙ্গার। নিজের এই বড় নামের যথাযথ ব্যবহারই বুঝি করছেন ইয়ামাল। এখন থেকে যে বার্সা তারকার স্বাক্ষর পেতে ভক্তদের পয়সা গুনতে হবে। ফ্রিতে আর ‘অটোগ্রাফ’ দিবেন না ইয়ামাল।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো' এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১৮ বছর বয়সী ইয়ামালকে তাঁর প্রতিনিধি দল পরামর্শ দিয়েছে যেন এখন থেকে কোনো স্মারকসামগ্রীতে তিনি স্বাক্ষর না করেন। এটিকে তারা একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে, যার উদ্দেশ্য ইয়ামালে স্বাক্ষরের বাজারমূল্য বাড়ানো।
ইয়ামালের স্বাক্ষরকে মূলত ব্র্যান্ডে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। অবশ্য বিষয়টি অহংকার বা ভক্তদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি জন্য নয় বরং একটি সুপরিকল্পিত বাণিজ্যিক কৌশলের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলছে ওই প্রতিবেদন। ইয়ামাল এমন একটি বাণিজ্যিক চুক্তির দ্বারপ্রান্তে আছেন, যেখানে তাঁর স্বাক্ষরকে একটি মূল্যবান ও বিক্রয়যোগ্য পণ্যে রূপান্তর করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রে ক্রীড়া জগতে অনেকদিনই এমনটা হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন
কবে মাঠে ফিরবেন আর্জেন্টিনার লিসান্দ্রো, জানালেন রেড কোচ |
![]() |
বিখ্যাত প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন ইয়ামাল। যারা বিশ্বজুড়ে ক্রীড়া তারকাদের স্বাক্ষরিত পণ্য বিক্রয়ে বিশেষজ্ঞ। বার্সেলোনা উইঙ্গার ইয়ামাল সেই সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করছেন বলেই তার ম্যানেজমেন্ট টিম আপাতত তাকে বিনামূল্যে স্বাক্ষর নিষেধ করছে।
ইয়ামালের ক্লাব বার্সেলোনাও প্রায়ই স্পনসরশিপ ও অন্যান্য চুক্তির প্রয়োজনে খেলোয়াড়দের স্বাক্ষরিত সামগ্রী ব্যবহার করে। ফলে ক্লাব কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই ইয়ামালের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে, যাতে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক স্বাক্ষর তারা নিজেদের কাজের জন্য সংরক্ষণ করতে পারে।
ইয়ামালের বিজ্ঞাপন সংস্থাটি এখন এমন একটি কোম্পানির সঙ্গে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা করছে, যারা তাঁর স্বাক্ষরিত বুট, জার্সি এবং অন্যান্য ব্যবহৃত পণ্য বিক্রি করবে। এর পেছনে মূল কৌশল খুব সরল—যত কম পণ্য তিনি স্বাক্ষর করবেন, তত বেশি বাড়বে তার স্বাক্ষরের বাজারমূল্য।
এই চুক্তি যদি চূড়ান্ত হয় তবে ইয়ামালের সত্যিকারের স্বাক্ষরযুক্ত পণ্য কিনতে চাইলে, নির্দিষ্ট অফিসিয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই কিনতে হবে ভক্তদের।
আন্তর্জাতিক তারকায় পরিণত হওয়া ইয়ামালের নাম ইতোমধ্যেই জড়িয়ে গেছে বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে। বর্তমানে অ্যাডিডাস, বিটস, পাওয়ারএইড, ওপ্পো, কোনামি এবং নেস্কুইকের মতো বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বাসেডর তিনি। পাশাপাশি ইউনিসেফ-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন ইয়মাল।
লা লিগার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে খেলোয়াড়েরা যখন মাঠে ১৫ সেকেন্ডের জন্য স্থির দাঁড়িয়ে রইলেন, তখন টিভির পর্দায় দেখা গেল আকাশ থেকে স্টেডিয়ামের দৃশ্য—খেলোয়াড়দের প্রতিবাদের দৃশ্যটি দেখানোই হলো না!
শুক্রবার রাতে এস্পানিওল ও রিয়াল ওভিয়েদোর ম্যাচে এমন ঘটনাই ঘটেছে। লা লিগার আয়োজিত এই ম্যাচে খেলোয়াড়েরা আগে থেকেই ঠিক করেছিলেন, খেলার শুরুতে ১৫ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থেকে নিজেদের অসন্তোষ জানাবেন। তাঁদের দাবি, বিদেশে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে লা লিগা যেন স্বচ্ছতা দেখায় এবং খেলোয়াড় সংগঠন এএফই’র (এএফই) সঙ্গে আলোচনায় বসে।
খেলা শুরু হওয়ার পর রেফারির প্রথম বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে যখন দুই দল স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইল, তখন সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান ডিএজেডএন ক্যামেরা ঘুরিয়ে নিল আকাশে। স্টেডিয়ামের বাইরের দৃশ্য দেখানো হলো ২১ সেকেন্ড ধরে। এরপরই আবার ফিরে এল মাঠের ছবিতে—তখন খেলা শুরু হয়ে গেছে।
এর আগে সপ্তাহের শুরুতেই লা লিগা নিশ্চিত করেছিল, ডিসেম্বরের শেষে ভিয়ারিয়াল–বার্সেলোনা ম্যাচ বিদেশে আয়োজন করা হবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে খেলোয়াড় ও তাঁদের সংগঠন এএফইয়ের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করায় ক্ষোভে ফুঁসছে তাঁরা।
খেলোয়াড়দের অভিযোগ, বিষয়টা নিয়ে লা লিগার আচরণ ছিল গোপনীয় ও একপেশে। মঙ্গলবার লা লিগা, এএফই ও স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সময়সূচি নিয়ে জটিলতায় তা হয়নি। লা লিগা তিনটি বিকল্প তারিখ প্রস্তাব করলেও, এএফই সেটিকে সময়ক্ষেপণ বলেই মনে করেছে।
এমনকি প্রতিবাদের আগমুহূর্তে লা লিগার সভাপতি হাভিয়ের তেবাস ছয় পৃষ্ঠার একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন এএফইকে, যাতে পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। কিন্তু তাতেও মন গলেনি খেলোয়াড়দের। তাঁদের উদ্বেগ মূলত— কতটি ম্যাচ বিদেশে আয়োজন হবে, আর সেখান থেকে অর্জিত অর্থ কীভাবে বণ্টন হবে।
এস্পানিওলের ২–০ গোলের জয়ের পর অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার লিয়ান্দ্রো কাবরেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লা লিগার আচরণে। স্প্যানিশ দৈনিক দিয়ারিও এএসের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন,
‘আমরা আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম যে প্রতিবাদ করব। কিন্তু পরে লা লিগা বলল, নাকি অন্য কারণে সেটা হবে না! গত সপ্তাহে বৈঠকের অনুরোধ করা হয়েছিল, তারা পারেনি। এখন এমন সময় ঠিক করেছে, যখন সাত–আটটি দল ইউরোপে খেলছে। এরপর আবার বলছে, আরও পরে দেখা করা যাক—তখন তো সব বিক্রি হয়ে গেছে, ফেরার উপায় নেই।’
কাবরেরা আরও বলেন,
‘যদি সবকিছু এত স্বচ্ছ হয়, তাহলে আলাপ করতে সমস্যা কোথায়? তারা বলে গত দশ বছরে খেলোয়াড়দের ১০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে, কিন্তু যাঁদের বেতন বেড়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও কি একই নিয়ম? স্বচ্ছতা সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।’
টিভি সম্প্রচারে প্রতিবাদ না দেখানো নিয়েও হতাশ কাবরেরা,
‘আমরা শুধু ১৫ সেকেন্ডের বিরতি চেয়েছিলাম—একটু দেখাতে চেয়েছিলাম যে আমরা একমত নই। কিন্তু তারা হয়তো ছাদের পাখি দেখিয়েছে। সত্যি বলতে, আমি বুঝি না কেন এটা দেখানো গেল না।’
লা লিগার এই আচরণে স্প্যানিশ ফুটবলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। খেলোয়াড়েরা বলছেন, তাঁরা ম্যাচ বিদেশে আয়োজনের বিরোধী নন, কিন্তু চাইছেন ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা আর সম্মান—যা শুক্রবার রাতে তাঁদের চোখে পড়েনি একটুও।
প্রিমিয়ার লিগে মৌসুমের বড় ম্যাচ সামনে। কাল অ্যানফিল্ডে রুবেন আমোরিমের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষ লিভারপুল। এই ম্যাচেও রক্ষণ নিয়ে বড় দুশ্চিন্তায় কোচ আমোরিম।
আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্তিনেজ ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠের বাইরে আছেন হাঁটুর (এ সি এল) ইনজুরিতে। সম্প্রতি তিনি দলীয় অনুশীলনে ফিরেছেন বটে, তবে এখনো ম্যাচ খেলার মতো প্রস্তুত নন। আমোরিম পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, অ্যানফিল্ডে লিসান্দ্রোকে পাওয়া যাচ্ছে না।
লিসান্দ্রোর ফেরার প্রসঙ্গে ইউনাইটেড কোচ বলেন, ‘লিসা এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। সে ফিরছে, কিন্তু এখনো খেলার জন্য ফিট না।’ তবে কোচের কথায় ধারণা পাওয়া যায়, দ্রুতই মাঠে ফিরবেন এই ডিফেন্ডার।
মার্তিনেজের অনুপস্থিতি এই মৌসুমে ইউনাইটেডের রক্ষণভাগে বড় প্রভাব ফেলেছে। তাঁর উপস্থিতি ছাড়া দলটা রক্ষণে বেশ ভুগছে। কোচ আশা করছেন, মৌসুমের পরের দিকেই হয়তো দলে ফিরে আসবেন এই আর্জেন্টাইন।
শুধু মার্তিনেজ নন, ম্যান ইউনাইটেড পাচ্ছে না নুসাইর মাজরাউকেও। মরক্কোর এই ফুলব্যাক মৌসুমে এখন পর্যন্ত মাত্র তিন ম্যাচ খেলতে পেরেছেন, উরুর চোটে মাঠের বাইরে বেশ কিছুদিন। আমোরিম জানালেন, তাঁর ফেরার সময় নিয়েও নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। কোচ বলেন,
‘মাজরাউইয়ের ক্ষেত্রে এখনই সময় বলতে পারছি না। আমরা আশা করছি, শিগগিরই ও ফিরবে।’
চোটের ধাক্কায় ইউনাইটেডের রক্ষণভাগের বিকল্প কমে গেছে আরও। আর প্রতিপক্ষ যখন লিভারপুলের মতো দল, তখন বড় চিন্তার কারণই আমোরিমের জন্য।
তবে মাঝমাঠে খানিকটা স্বস্তির খবর আছে। অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেজ বৃহস্পতিবার অনুশীলনে অংশ নেননি, কিন্তু সেটা বিশ্রামের জন্যই। আন্তর্জাতিক ম্যাচ শেষে ক্লান্ত থাকায় কোচ তাঁকে বাড়তি বিশ্রাম দিয়েছেন। আমোরিম নিশ্চিত করেছেন, লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নামবেন ফার্নান্দেজ,
‘যারা আন্তর্জাতিক দায়িত্ব থেকে ফিরেছে, তাদের একটু সময় দিচ্ছি। তবে সবাই খেলতে প্রস্তুত।’
প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচে তিন জয় নিয়ে টেবিলের ১০ নম্বরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। গত ম্যাচে সান্ডারল্যান্ডকে ২–০ গোলে হারিয়ে কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে তারা। তবে ধারাবাহিকতা এখনও অধরা।
রবিবার আনফিল্ডে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুলের মুখোমুখি হবে ইউনাইটেড। তারপরই অপেক্ষা ব্রাইটন ম্যাচের। তত দিনে যদি মার্তিনেজ ও মাজরাউইয়ের ফিটনেস নিয়ে ভালো খবর আসে, সেটাই হবে কোচ আমোরিমের জন্য সবচেয়ে বড় জয়ের খবর। আপাতত তাঁর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ—দুই প্রধান রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ছাড়া আনফিল্ডে টিকে থাকা।
বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের জার্মান সেন্টারব্যাক নিকো শ্লটারবেককে দলে টানার দৌড়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছিল লিভারপুল। তবে স্প্যানিশ ক্লাবটি এখন নাকি মেনে নিয়েছে, এই লড়াইয়ে জয়ী হতে যাচ্ছে লিভারপুলই। আগামী ৫ নভেম্বর অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের মাচে দেখা হচ্ছে এ দুই দলের। তবে মাঠে নমার আগেই যেন রেডদের কাছে একদফা হেরে গেল রিয়াল!
২৫ বছর বয়সী শ্লটারবেক সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোয় বুন্দেসলিগার অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন। আগামী গ্রীষ্মের ট্রান্সফার উইন্ডোতে তাঁকে ঘিরে বড়সড় আগ্রহ দেখা যাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
ইংলিশ দৈনিক মিররের প্রতিবেদ, রিয়াল মাদ্রিদ বুঝে গেছে শ্লটারবেককে আনার লড়াইয়ে তারা লিভারপুলের পেছনে পড়ে গেছে। বরং এখন মাদ্রিদ চেষ্টা করছে লিভারপুলের ফরাসি ডিফেন্ডার ইব্রাহিমা কোনাতের চুক্তির সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাঁকে ভবিষ্যতে ফ্রি ট্রান্সফারে দলে নেওয়ার।
লিভারপুলের শ্লটারবেকের প্রতি আগ্রহ নতুন নয়। জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড জানিয়েছে, লিভারপুল এরই মধ্যে খেলোয়াড়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছে। তাদের লক্ষ্য, জানুয়ারিতেই চুক্তি সম্পন্ন করা।
বর্তমানে লিভারপুলের ডিফেন্সে বেশ অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। দলের অভিজ্ঞ রক্ষক ভার্জিল ফন ডাইক এখন ৩৪ বছর বয়সী, কোনাতের চুক্তিও শেষের পথে, আর জো গোমেজ প্রায় ক্লাব ছাড়ার মুখে ছিলেন গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার ডেডলাইনে। এর মধ্যে নতুন সাইনিং জিওভান্নি লিওনি চোটে পড়ে পুরো মৌসুমের বাইরে চলে গেছেন। ফলে জানুয়ারির আগে রক্ষণের বিকল্প কমে গেছে কোচ আর্নে স্লটের দলে।
এই পরিস্থিতিতে শ্লটারবেকের মতো তরুণ ও নির্ভরযোগ্য সেন্টারব্যাককে আনা লিভারপুলের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শ্লটারবেকের সঙ্গে ডর্টমুন্ডের চুক্তি রয়েছে ২০২৭ পর্যন্ত। তবে ক্লাবটি তাঁর সঙ্গে নতুন করে ২০৩০ পর্যন্ত চুক্তি বাড়াতে চায়। এরই মধ্যে তাঁকে প্রায় ৮ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৯.৩ মিলিয়ন ডলার) বেতন প্রস্তাব করা হয়েছে—যা তাঁর বর্তমান আয়ের প্রায় তিনগুণ। তবু ধারণা করা হচ্ছে, খেলোয়াড় নতুন করে চুক্তি বাড়াতে আগ্রহী নন।
ডর্টমুন্ডের ক্রীড়া পরিচালক লার্স রিকেন অবশ্য সতর্ক করেছেন, ক্লাবের ধৈর্যেরও সীমা আছে। তাঁর ভাষায়,
‘আমরা আমাদের সেরাটা দিচ্ছি, কিন্তু সবকিছুই একসময় সীমায় এসে ঠেকে।’
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, এই তরুণ জার্মান ডিফেন্ডারকে আগামী মৌসুমে অ্যানফিল্ডে দেখা যেতে পারে। ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিয়াল মাদ্রিদ হার মানছে, লিভারপুলের ডিফেন্সে শুরু হয়েছে নতুন এক অধ্যায়ের প্রস্তুতি।