বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষটা ভালো হলো না আর্জেন্টিনার। লিওনেল মেসিকে ছাড়া খেলতে নেমে প্রায় ছন্নছাড়া ফুটবলে একুয়েডরের কাছে হেরে গেল বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
নিজেদের ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে একুয়েডর। ম্যাচের প্রথমার্ধে এনার ভ্যালেন্সিয়া পেনাল্টি থেকে গোল করলে সেটিই হয়ে থাকে ফল নির্ধারণী।
অবশ্য শেষ ম্যাচ হারলেও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই রইল আর্জেন্টিনা। ১৮ ম্যাচে ১২ জয়, ২ ড্র ও ৪ পরাজয়ে ৩৮ পয়েন্ট লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের।
একুয়েডর অবশ্য এই জয়ে চার নম্বর থেকে উঠে এসেছে দুইয়ে। ১৮ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ২৯ পয়েন্ট।
ব্যস্ত সূচির ক্লান্তি ও পরিবারকে সময় দেওয়ার জন্য মেসি আগেই জানিয়েছিলেন, একুয়েডরের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি খেলবেন না। পাওয়ার কিছু না থাকায় মেসিসহ শুরুর একাদশে মোট ৬টি পরিবর্তন আনেন স্কালোনি।
কিন্তু এসব পরিবর্তনের সুফল পাননি আর্জেন্টিনা কোচ। ম্যাচজুড়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মতো খেলতেই পারেনি আর্জেন্টিনা।
প্রতিপক্ষের মাঠে বল দখলের লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল তারা। গোলের জন্য পুরো ম্যাচে মাত্র ৮টি শট করে আলবিসেলেস্তেরা। কিন্তু এর একটিও লক্ষ্য বরাবর রাখতে পারেনি তারা।
বিপরীতে ১১টি শট করে ৪টিতেই এমিলিয়ানো মার্তিনেজের পরীক্ষা নেন একুয়েডরের ফুটবলাররা। এর একটিতে পেয়ে যায় গোল।
ম্যাচের বয়স ত্রিশ মিনিট পেরোতেই সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন নিকোলাস ওতামেন্ডি। সম্ভাব্য গোলের সুযোগ ঠেকাতে বাজেভাবে ফাউল করায় তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
একজন কম নিয়ে খেলতে থাকা আর্জেন্টিনা বিরতিতে যাওয়ার আগেই পিছিয়ে পড়ে। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে একুয়েডরকে এগিয়ে দেন এনার ভ্যালেন্সিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অবশ্য একুয়েডরও হয়ে যায় দশ জনের দল। বাজে ফাউল করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড মইসেস কাইসেদো। তাই মাঠ ছেড়ে যেতে হয় তাকে।
তবু এর সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি আর্জেন্টিনা। পুরো ম্যাচে লক্ষ্য বরাবর একটি শট নিতে পারেননি লাউতারো মার্তিনেজ, নিকো গনজালেজ, ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুনোরা। যার খেসারত হিসেবে মিলেছে ছয় ম্যাচ পর পরাজয়ের তেতো স্বাদ।
বাছাইপর্ব শেষ করে এবার বিশ্বকাপের আগপর্যন্ত বেশ কিছু প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে ১১ অক্টোবর ভেনেজুয়েলা ও ১৩ অক্টোবর পুয়ের্তো রিকোর মুখোমুখি হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
No posts available.
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৫১ পিএম
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:৫৭ পিএম
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৪৭ পিএম
যা ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা, সেটাই অবশেষে ঘটল। আন্দ্রে ওনানার সঙ্গে অধ্যায়ের ইতি টানল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে বিক্রি নয়, বা বড় অঙ্কের কোনো চুক্তিও নয়— তুরস্কের ক্লাব ট্রাবজানস্পরে ‘ফ্রিতে’ ধারে পাঠানো হয়েছে ক্যামেরুনের এই গোলকিপারকে।
২৯ বছর বয়সী ওনানার এই দলবদল তেমন কোনো আর্থিক চুক্তির ভিত্তিতে হয়নি। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবদে , এই ধারে ইউনাইটেড কোনো ফি পাচ্ছে না, এমনকি ওনানার বেতনও পুরোটা দিচ্ছে ট্রাবজানস্পর। তার চেয়েও বড় কথা— এই চুক্তিতে স্থায়ীভাবে কিনে নেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। এ যেন ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে ‘ভবিষ্যতের দরজা বন্ধ করে’ দেওয়া এক সিদ্ধান্ত!
আরও পড়ুন
ইংলিশ লিগে দল পেলেন ছেলে, উচ্ছ্বসিত রোনালদিনহো |
![]() |
সাম্প্রতিক সময়ে ইউনাইটেডে গোলকিপার বাড়তে বাড়তে দাঁড়িয়েছে চারজনে— আলতাই বায়িন্দির, টম হিটন, নতুন আসা সানে লমেন্স এবং ওনানা। লমেন্স আসার পরই ওনানার ভবিষ্যৎ নিয়ে গুঞ্জন ছড়ায়। যদিও ক্লাব চারজনকেই রেখে দিতে চাইছিল, তবে নিজে থেকেই অন্য পথ বেছে নেন ওনানা।
২০২৩ সালে ৪ কোটি ৭২ লাখ পাউন্ডে এসি মিলান থেকে ইউনাইটেডে যোগ দেন ওনানা, কোচ এরিক টেন হাগের পছন্দে। আয়াক্সে কোচ-শিষ্য হিসেবে দুজনের সম্পর্ক ছিল চমৎকার। কিন্তু ইউনাইটেডে আসার পর থেকেই ওনানার পারফরম্যান্স ঘিরে চলছিল সমালোচনা।
গত মৌসুমে দলের প্রথম পছন্দ হলেও তার একের পর এক ভুল ইউনাইটেডের ব্যর্থতায় বড় ভূমিকা রাখে। এবারও প্রাক-মৌসুম ম্যাচে ছিলেন না চোটের কারণে। তার একমাত্র ম্যাচ ছিল লিগ কাপে—সেই ম্যাচেই টাইব্রেকারে গ্রিমসবির কাছে হেরে যায় ইউনাইটেড। ভুলের দায় তখনও ছিল ওনানার কাঁধে। এরপর মূল একাদশে ওনানার ফেরার সম্ভাবনা বলতে গেলে ছিল না বললেই চলে।
আরও পড়ুন
টানা দুই হ্যাটট্রিকে ভুটান লিগে উজ্জ্বল শামসুন্নাহার |
![]() |
আন্তর্জাতিক বিরতির সময় ক্যামেরুন জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন ওনানা। সেখান থেকে ফিরে এবার তুর্কি লিগে নামবেন নতুন ক্লাবের জার্সিতে। আগামী পরশু তাঁর অভিষেক হতে পারে ট্রাবজানস্পরের হয়ে। কাকতালীয়ভাবে, ঠিক সেদিনই মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড— প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার সিটি।
বায়িন্দির, হিটন ও লমেন্সকে নিয়ে আপাতত তিন গোলকিপারে আস্থা রাখছে ইউনাইটেড। তবে অনেকেই বলছেন, এভাবে ‘কাড়ি কাড়ি টাকায়’ কেনা একজন গোলকিপারকে এক মৌসুমেই ছেঁটে ফেলা—এ যেন ইউনাইটেডের স্কাউটিং ও ট্রান্সফার নীতির আরেকটি ব্যর্থ দৃষ্টান্ত।
বাবা ফুটবল কিংবদন্তি। তাঁর পথ ধরে ছেলে অনেক আগেই এই পথে পা রাখেন। তবে বাবা রোনালদিনহোর মতো আলোচনায় ছিলেন না হোয়াও মেন্ডেস। অবশেষে পেশাদার ফুটবলের অধ্যায় শুরু হচ্ছে তাঁরও। ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ ক্লাব হাল সিটি এক বছরের চুক্তিতে দলে ভিড়িয়েছে মেন্ডেসকে।
ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লামেঙ্গোতে ফুটবলের হাতেখড়ি। তারপর বার্সেলোনা, বার্নলি, হাল সিটির বয়সভিত্তিক দলেও খেলেছেন। ২০২৩ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে এক ট্রায়ালে নজর কাড়েন মেন্ডেস। তখন তাঁকে দলে ভেড়ায় বার্সেলোনার যুব একাডেমি লা মাসিয়া। কিন্তু মাত্র দেড় বছরের মাথায় ২০২৪ সালে মেন্ডেসকে ছেড়ে দেয় কাতালানরা। তারপর ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান তিনি।
পেশাদার পর্যায়ে অভিষেক হয়নি, তবে ইংল্যান্ডে বার্নলির অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে মেন্ডেসের। সেখান থেকে এবার হাল সিটিতে নতুন অধ্যায় শুরু করবেন এই উইঙ্গার।
হাল সিটিতে যোগ দিয়ে উচ্ছ্বসিত মেন্ডেস বলেন, ‘আমি সত্যিই অনেক খুশি এবং রোমাঞ্চিত। আমার বিশ্বাস একটি ভালো মৌসুম কাটাতে পারব। ডানপ্রান্তে উইঙ্গার বা আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে খেলি। ব্রাজিলে এক ধরনের খেলা, স্পেনে আরেক রকম, আর ইংল্যান্ডে আবার ভিন্ন। বিভিন্ন জায়গায় খেললে খেলার ধরনে ভিন্নতা আসে, যা খেলোয়াড় হিসেবে উন্নত করে।’
ছেলের নতুন পথচলায় বাবা রোনালদিনহো বেশ উচ্ছ্বসিত। ইনস্টাগ্রামে ছেলের ছবি পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি, ‘নতুন ক্লাব ও নতুন চ্যালেঞ্জে তোমাকে শুভকামনা, আমার পুত্র!’
মুঠোফোনের ওপারে অল্প হাসিতে শামসুন্নাহারের (জুনিয়র) সরল হাসিমাখা উক্তি- ‘গোল করলে কার না ভাল লাগে।’ ভুটান নারী লিগে সেই ভাল লাগার কাজটা প্রায় প্রতি ম্যাচে করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ২১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
আগের ম্যাচে দলের ৪০-০ ব্যবধানের রেকর্ড জয়ে শামসুন্নাহার করেছিলেন ডাবল হ্যাটট্রিক। বৃহস্পতিবার ফুয়েনসোলিং হিরো'স উইমেন ফুটবল ক্লাবের বিপক্ষে ২৫-০ গোলে জয় পেয়েছে রয়েল থিম্পু কলেজ এফসি। এই ম্যাচে ৫ গোল করেন শামসুন্নাহার।
আরও পড়ুন
বিসিসিআই প্রধান ‘হচ্ছেন না’ শচীন |
![]() |
৯ ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৬ গোল করে বিশেষভাবে নজর কাড়েন সাবিনা খাতুন। কম যাননি সুমাইয়া মাতশুমিয়া ও ঋতুপর্ণা চাকমারা। নিজেদের গোলমেশিন হিসেবে বানিয়েছেন নতুন করে। সেই তালিকায় এবার যোগ হয়েছেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।
থিম্পুর হয়ে এদিন মাঠে নামতে পারেননি দলটির নিয়মিত আরেক বাংলাদেশি ফুটবলার তহুরা খাতুন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গেছেন নারী দলের অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড। তবে তহুরার জ্বর তেমন গুরুতর নয় বলেও জানা গেছে।
আগামী শনিবার ভুটান লিগে আছে থিম্পু ডার্বি। যেটাকে এক অর্থে বাংলাদেশ ডার্বিও বলা যায়। সেদিন মারিয়া মান্দা ও শামসুন্নাহার সিনিয়রদের ক্লাব থিম্পু সিটির বিপক্ষে মাঠে রয়েল থিম্পু।
নিজ দেশে আরও একটি বড় স্বীকৃতি পেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। লিগা পর্তুগাল কর্তৃক 'সর্বকালের সেরা' খেতাব পেলেন পাঁচবারের ব্যালন ডি অর জয়ী তারকা।
জমকালো এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বুধবার এই ঘোষণা দিয়েছে লিগা পর্তুগাল। পরে বিবৃতিতেও এই খবর জানিয়েছে তারা।
“কোটি ভক্তের প্রেরণা, যিনি একটি নতুন যুগের সূচনা করেছেন এবং বিশ্ব ফুটবলে রাখছেন অমোচনীয় ছাপ, সেই সিআর সেভেনকে দেওয়া হয়েছে ‘বেস্ট অব অল টাইম’ পুরস্কার। যা তার সোনালি অধ্যায়ের এক যথার্থ স্বীকৃতি, এখনও যেগুলো লিখে চলেছেন ক্যারিয়ারে।”
“কঠোর পরিশ্রম, প্রতিযোগিতার মানসিকতা, গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার জন্য স্বীকৃত, রোনালদোর প্রভাব কেবল পরিসংখ্যানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ব্যক্তিগত রেকর্ড, দলীয় সাফল্য, গণ মাধ্যমে প্রভাব- সব মিলিয়ে তিনি এমন এক লেগেসি গড়ে তুলেছেন, যা তাকে দাঁড় করিয়েছে সবার ওপরে... দ্য বেস্ট এভার।”
জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ পাঁচ ম্যাচে তিনি করেছেন ৬ গোল। আন্তর্জাতিক ফুটবলে পর্তুগালের হয়ে ২২৩ ম্যাচে তার গোল ১৪১টি। আর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে করেছেন ৩৯ গোল। দুটিই বিশ্ব রেকর্ড।
পোর্তোতে হওয়া পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সশরীরে হাজির হতে পারেননি রোনালদো। তবে এক ভিডিও বার্তায় কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি জয়ী তারকা।
“সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ের এই পুরস্কারের জন্য আমি লিগাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, আমার দেশের জন্য কিছু জেতা আমার কাছে কত বড় সম্মানের।”
“আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার সব সতীর্থকে, যারা আমার ক্যারিয়ার জুড়ে আমাকে এই দারুণ ট্রফি জিততে সাহায্য করেছে। ধন্যবাদ জানাই কোচদের এবং সবাইকে, যারা আমাকে আরও ভালো হতে সহায়তা করেছেন।”
একই আয়োজনে পর্তুগিজ লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন ভিক্তর গিয়োকেরেস। এ নিয়ে টানা দুবার এই স্বীকৃতি পেয়েছেন স্পোর্টিং সিপির সুইডিশ ফরোয়ার্ড। গত মৌসুমে পর্তগিজ ফুটবলের সর্বোচ্চ ৫৪ গোল করেছিলেন তিনি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের একগাদা নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে চেলসির বিরুদ্ধে। ২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এজেন্টদের অর্থ পরিশোধ সংক্রান্ত ৭৪টি অভিযোগে চেলসিকে অভিযুক্ত করেছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জরিমানা, ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞা এবং পয়েন্ট কেটে নেওয়ার নেওয়ার মতো শাস্তি হতে পারে লন্ডনের ক্লাবটির।
২০০৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্লাবটির নিয়ন্ত্রণে ছিলেন রামান আব্রামোভিচ। এরপর তিনি এটি বিক্রি করে দেন আমেরিকান বিনিয়োগকারী টড বোয়েলি এবং প্রাইভেট ইকুইটি ফার্ম ক্লিয়ারলেক ক্যাপিটালের নেতৃত্বাধীন একটি কনসোর্টিয়ামের কাছে।
এফএ জানিয়েছে, রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচের মালিকানাধীন চেলসির সেই সময়কালেই ক্লাবটির বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে মূলত ২০১০-১১ থেকে ২০১৫-১৬ মৌসুমে বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে চেলসির নাম জড়িয়ে গেছে।
রোমা আব্রামোভিচের সময়কালীন চেলসি এজেন্ট, মধ্যস্থতাকারী এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে তৃতীয় পক্ষের বিনিয়োগ সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘন করে। অবশ্য সম্ভাব্য নিয়ম ভাঙার বিষয়টি চেলসি আগেই নাকি এফএ কে অবহিত করে। এ বিষয়ে সদুত্তরের জন্য ইংলিশ ‘ব্লুজদের’ আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে চেলসি জানিয়েছে, ‘ক্লাব কেনা সম্পন্ন হওয়ার আগেই ব্যাপক যাচাই-বাছাইয়ের সময় মালিকা পক্ষ জানতে পারে, অতীতের কিছু লেনদেন সংক্রান্ত আর্থিক প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ ছিল এবং এফএ’ এর নিয়ম ভঙ্গের সম্ভাবনা ছিল।’
যেকোনো অনিয়ম গোপন না রেখে স্বচ্ছতার পরিচয় দেওয়ার কথা বলে চেলসি, এবং প্রয়োজনে এ বিষয়ে এফএ সঙ্গে একযোগে ঝামেলা মেটাতেও প্রস্তুত ক্লাবটি, ‘এই প্রক্রিয়ায় ক্লাবটি নজিরবিহীন স্বচ্ছতা দেখিয়েছে, যার মধ্যে ক্লাবের ফাইল এবং অতীতের তথ্য-উপাত্তে পূর্ণ প্রবেশাধিকার দেওয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। আমরা এফএ-এর সঙ্গে একযোগে কাজ চালিয়ে যাব, যেন যত দ্রুত সম্ভব এই বিষয়ে একটি সমাধানে পৌঁছানো যায়।’
এর আগে ২০১২ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ‘অসম্পূর্ণ আর্থিক তথ্য’ জমা দেওয়ার কারণে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে চেলসিকে ইউরোপিয়ান ফুটবল সংস্থা ৮.৬ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা করে। মূলত ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে (এফএফপি) নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে এই আর্থিক শাস্তি পায় ক্লাবটি।
এরও আগে ২০২২ সালের মার্চে আব্রামোভিচকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে যুক্তরাজ্য সরকার নিষেধাজ্ঞা দেয়, যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।