১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:০২ পিএম

মাঝে নেইমারের ওপর দিয়ে কি ঝড়টাই না কি বয়ে গেল। শৈশবের ক্লাবের সমর্থকদের কাছ থেকে রীতিমতো দুয়োধ্বনি শুনতে হয়েছিল। ‘রাজপুত্রকে’ ক্লাব থেকে দ্রুত তাড়িয়ে দিয়েই যেন ক্ষান্ত হবে তারা। কিন্তু পরিস্থিতি এখন পুরোই উল্টো। ত্যাগ আর বিসর্জনের সংজ্ঞাকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে সান্তোসকে বাঁচিয়েছেন নেইমার। আর এখন নিন্দুক আর সমালোচকরাই নেইমারকে ক্লাবে ধরে রাখতে চান।
২০২৬ বিশ্বকাপের আগে নেইমারও নতুন করে ঠিকানা বদল করতে চাচ্ছেন না। মৌসুম শেষে নেইমার নিজেই বলেছিলেন, তাঁর প্রধান অগ্রাধিকার সান্তোসেই থেকে যাওয়া। তাতে দুইয়ের স্বার্থ মিলে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটিতেই থেকে যাচ্ছেন সান্তোসের রাজপুত্র। ইএসপিএনের খবর, নেইমারের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পথে সান্তোস। কিংবদন্তি পেলের ক্লাবে নেইমারের চুক্তি নবায়নের বিষয় শেষ ধাপের আলোচনায় পৌঁছে গেছে।
নেইমারের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ চলতি মাসের শেষেই শেষ হচ্ছে। তবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং খেলোয়াড়ের প্রতিনিধিরা—যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার বাবা ও এজেন্ট নেইমার সিনিয়র—২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত অর্থাৎ ছয় মাসের একটি নতুন চুক্তিতে প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছেছেন জানিয়েছে ওই প্রতিবেদন।
আরও পড়ুন
| সমর্থকদের জন্য সুখবর, কমদামের বিশ্বকাপ টিকিট আনল ফিফা |
|
৩৩ বছর বয়সী নেইমার বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটাচ্ছেন। বাঁ হাঁটুর চোট নিয়েই এই ফরোয়ার্ড সান্তোসের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। লিগের শেষ তিন ম্যাচে চার গোল করে দলকে শীর্ষ লিগে টিকে থাকতে নিজের সবটুকু নিংড়ে দেন সাবেক পিএসজি ও বার্সেলোনা তারকা। সান্তোসের হয়ে সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে ৩০ ম্যাচে ১২টি গোল ও ৬টি অ্যাসিস্ট করেন।
নেইমারের বাঁ হাঁটুতে আর্থ্রোস্কোপিক অস্ত্রোপচার চলতি বছরের শেষের আগেই হওয়ার কথা। চিকিৎসকরা এটিকে তুলনামূলকভাবে সহজ একটি অস্ত্রোপচার বলেই মনে করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁর সেরে উঠতে প্রায় এক মাস সময় লাগতে পারে।
সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলাল ছাড়ার পর গত জানুয়ারিতে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরে আসা নেইমার আগামী বছর নিজের চতুর্থ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখছেন। চোটের কারণে প্রায় দুই বছর ব্রাজিল জাতীয় দলে নিয়মিতভাবে খেলতে পারেননি পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
No posts available.
১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:২০ এম

এসি মিলানের ইতিহাসের সেরা ফুটবলারদের তালিকায় জ্লাতন ইব্রাহিমোভিচ উপরের দিকেই থাকবেন। ক্লাবটিতে দুই দফায় খেলে জিতেছে একাধিক শিরোপা। সুইডেনের সাবেক এই ফরোয়ার্ড ফুটবলকে বছর দুয়েক আগে বিদায় বলেছে এখন অবসর সময় কাটাচ্ছেন। তবে রেখে গেছেন পরম্পরা। তাঁর ১৯ বছর বয়সী ছেলে ডাক পেয়েছেন এসি মিলানের দলে।
এসি মিলান এখন সৌদি আরবে। ইতালিয়ান সুপার কাপের সেমি ফাইনালের নাপোলির মুখোমুখি হবে বনেদি ক্লাবটি। সুপার কাপের জন্য স্কোয়াডে সুযোগ জ্লাতন ইব্রাহিমোভিচের ছেলে ম্যাক্সিমিলিয়ান ইব্রাহিমোভিচ। চোট জর্জর দলের কারণে রিজার্ভ দল থেকে ছয়জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে ম্যাক্সিমিলিয়ান সৌদি আরবে সিনিয়র দলের সফরে গেছেন।
নাপোলির বিপক্ষে সেমি ফাইনাল জিতলে আগামী ২৩ ডিসেম্বর ফাইনাল মিলান। আগামীকাল আরেক সেমিফাইনালে বোলোনিয়ার ম্যাচ ইন্টার মিলানের বিপক্ষে। এসি মিলান দুই ধাপ পেরোলেই শিরোপ জয়ী দলের সদস্য হয়ে যাবেন ম্যাক্সিমিলিয়ান।
আরও পড়ুন
| পিএসজির ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জয়ের নায়ক সাফোনভ |
|
জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ মিলানের হয়ে দুই দফায় ১৬৩ ম্যাচে ৯৩টি গোল করেছিলেন। এই সময়ে সুইডিশ এই ফরোয়ার্ড দুটি সিরি ‘আ’ ও ইতালিয়ান সুপার কোপা জিতেছিলেন।
বাবার সাবেক ক্লাবে গত বছর যোগ দেন ম্যাক্সিমিলিয়ান। আক্রমণভাগের বাঁ পাশে খেলেন তিনি।
এসি মিলান ছাড়াও বার্সেলোনা, প্যারিস সেন্ট-জার্মেই এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলা জ্লাতন ক্লাব ক্যারিয়ারে মোট ৫১১টি গোল এবং ৩৪টি ট্রফি রয়েছে, যার মধ্যে ১২টি লীগ শিরোপাও আছে।
গত শতাব্দীতে শুরু ক্যারিয়ার শুরু করা সাবেক এই ফুটবলার ব্যালন ডি’অরের জন্য ১১বার মনোনীত হয়েছেন। সুইডেনের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। ১২২ আন্তর্জাতিক ম্যাচে করেছেন ৬২ গোল।

দলের সংখ্যা থেকে ম্যাচের সংখ্যা এমনকি প্রাইজমানির অঙ্কও বেশ বেড়েছে ২০২৬ বিশ্বকাপে। ৪৮ দলের বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার যৌথ আয়োজনে আসন্ন বিশ্বকাপে মোট ৬৫৫ মিলিয়ন ডলার বিশ্বকাপের পুরস্কার তহবিল ঘোষণা করেছে ফিফা। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭৯৯৮ কোটি ৯৩ লাখ ৬ হাজার টাকা। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে আর্থিক পুরস্কার। আর চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৫০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬১০ কোটি টাকা)।
তিন বছর আগে আজকের এদিনেই তৃতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। ফ্রান্সের বিপক্ষে মহাকাব্যিক সেই ফাইনাল জিতে লিওনেল মেসিরা ৪২ মিলিয়ন ডলার (৫০০ কোটি টাকা) পুরস্কার পেয়েছিল। ফ্রান্স রানার্সআপ হয়ে পেয়েছিল ৩০ মিলিয়ন ডলার বা ৩৬৬ কোটি টাকা। এবার চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি ১১০ কোটি টাকা বাড়িয়েছে ফিফা।
রানার্স আপ পাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০২ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। তৃতীয় হওয়া দল পাবে প্রায় ৩৫৪ কোটি ১৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা। চতুর্থ স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করা দল ৩২৯ কোটি ৭২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা পাবে।
আরও পড়ুন
| পিএসজির ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জয়ের নায়ক সাফোনভ |
|
কোয়ার্টার ফাইনালে বাদ পড়া প্রত্যেক দল পাবে প্রায় ২৩২ কোটি ৩ লাখ ৩ হাজার টাকা। শেষ ষোলো থেকে বাদ পড়া প্রত্যেক দলের জন্য বরাদ্দ ১৮৩ কোটি ১৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা। অন্যদিকে রাউন্ড অফ ৩২ থেকে বাদ পড়া প্রত্যেক দল পাবে প্রায় ১৩৪ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
এ ছাড়া গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়া প্রত্যেক দল পাবে প্রায় ১০৯ কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
আগামী ১২ জুন পর্দা উঠবে বিশ্বকাপের ২৩তম আসরের। ৪৮ দলের বিশ্বকাপে এখনো টিকিট নিশ্চিত হয়নি ছয়টি দল। আগামী মার্চে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ থেকে বিশ্বকাপ খেলবে দুটি দল আর ইউরোপীয় প্লে-অফ থেকে চারটি স্পট।

ফিফার বর্ষসেরা গোলকিপারকে ছাড়াই শিরোপার লড়াইয়ে নামে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। জিয়ানলুইজি দোন্নরুম্মাকে বিশ্রামে রেখে মাতভেই সাফোনভকে গোলপোস্ট সামলানোর দায়িত্ব দেন কোচ লুইস এনরিকে। আর সেই দায়িত্ব কি দারুণভাবেই না পালন করলেন রুশ এই গোলকিপার। একটি কিংবা দু’টি নয়, গুনে গুনে চারবার প্রতিপক্ষের শট ঠেকিয়ে দিয়ে পিএসজির শিরোপা জয়ের নায়ক বনে গেলেন সাফোনভ।
ফ্ল্যামেঙ্গোকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জিতল পিএসজি। কাতারের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে গতকাল রাতে ফাইনালে ব্রাজিলের ক্লাবটির বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে ১-১ ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে ফরাসি ক্লাব।
২০২৫ সালে এ নিয়ে ছয়টি ট্রফি জিতে পিএসজি নাম লিখল এক এলিট ক্লাবে। এর আগে ইউরোপীয় ফুটবলে কেবল বায়ার্ন মিউনিখ আর বার্সেলোনাই এক বছরে হাফ-ডজন শিরোপা জয়ের অমৃত স্বাদ পেয়েছে। লিগ আঁ, কোপ দ্য ফ্রান্স ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর লুইস এনরিকের দল ট্রফে দে চ্যাম্পিয়নস, উয়েফা সুপার কাপ এবং সবশেষ ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জিতে স্বপ্নের এক বছর শেষ করল। ষষ্ঠ ট্রফি জয়ের পর পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে ক্লাবের জন্য ২০২৫ সালকে ‘অবিস্মরণীয় বছর’ বলে আখ্যা দেন।
ইন্টারকন্টিন্টাল কাপের প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার সাত মিনিট আগে পিএসজিকে এগিয়ে দেন খাভিচা কাভারস্কেলিয়া। এরপর পেনাল্টি থেকে জর্জিনিওর গোলে ফ্লামেঙ্গো সমতায় ফিরে ৬২ মিনিটে। নির্ধারিত সময় ও অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও দুই দল জয়সূচক গোল না পেলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই জাদু দেখান সাফোনভ। তাঁর অবিশ্বাস্য গোলকিপিংয়ে কোপা লিবার্তাদোরেস চ্যাম্পিয়ন ফ্ল্যামেঙ্গোকে হারায় পিএসজি।
পেনাল্টি শুট আউটের রোমাঞ্চ নিজেদের প্রথম শটে দুই দলই জালে বল জড়ায়। এরপর ফ্লামেঙ্গোর আর কোনো খেলোয়াড়ই সাফোনভ নামক বাঁজপাখিকে পরাস্ত করতে পারেননি। সাউল নিগেসের শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন সাফানভ।
পিএসজি এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি ওসমান দেম্বেলের উড়িয়ে মারা শটের কারণে। ফ্ল্যামেঙ্গোর দ্বিতীয় শুটার পেদ্রোর প্রচেষ্টাও সাফানভ ডানদিকে ঝাঁপিয়ে আটকে দেন। এরপর নুনো মেন্দেস সফল হলে ২-১ এ এগিয়ে যায়।
পিএসজির তৃতীয় শট নেওয়া ব্র্যাডলি বার্কোলার প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে লড়াই আবার জমিয়ে তুলেন ফ্ল্যামেঙ্গোর গোলকিপার। তবে, পিএসজির আস্থার প্রতীক হয়ে যাওয়া বিকল্প গোলকিপার আবারও এগিয়ে এলেন। লিও পেরেইরার সোজাসুজি শট রুখে দেওয়ার পর, সাফানভ ডানদিকে ঝাঁপিয়ে লুইস আরাউহোর শট ঠেকিয়ে দিতেই শিরোপা জয়ের বাঁধনহারা উচ্ছাসে মাতে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন পিএসজি।
এর আগে ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করে পিএসজি। ম্যাচর ৯ মিনিটে ফাঁকা পোস্ট পেয়ে দূরপাল্লার শটে বল জালেও পাঠান ফাবিয়ান রুইস। তবে এর আগেই বল বাইলাইন পার হয়ে যাওয়ায় ভিএআরের সাহায্যে কর্নার দেন রেফারি।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান ১-০ করে পিএসজি। ডান দিক থেকে দেসিরে দুয়ের শট ফ্লামেঙ্গোর গোলকিপার ঝাঁপিয়ে আটকালেও বক্সে বল পেয়ে যান কাভারস্কেলিয়া। সহজ শটেই দলকে এগিয়ে নেন জর্জিয়ান ফরোয়ার্ড।
৫৯ মিনিটে ডি-বক্সে দে আরাসকায়েতাকে পিএসজি ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োস ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ফ্ল্যামেঙ্গো। ভিএআর দেখে পরে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে সমতা টানেন ইতালিয়ান ডিফেন্সিভ-মিডফিল্ডার জর্জিনিয়ো। এরপর কোনো দল আর গোল না পাওয়ায় ম্যাচের বাকি অংশের নায়ক বনে যান পিএসজির গোলকিপার সাফোনভ।

জয় নিয়ে ফিরছিলেন। উৎসব আমেজ। ফুরফুরে মন। নিজেই গাড়ি হাঁকাচ্ছিলেন ম্যাকলেসফিল্ড ক্লাব ফরোয়ার্ড ইথান ম্যাকলিওড। কে জানত এ আনন্দ রূপ নেবে বিষাদে। ম্যাকলেসফিল্ডের জয়ের কিছুক্ষণ পরই প্রাণ হারান ম্যাকলিওড। বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ২১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ।
ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল লিগ নর্থে গতকাল বেডফোর্ড টাউনের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পায় ম্যাকলেসফিল্ড। ওই ম্যাচে বদলি তালিকায় নাম ছিল ইথানের। তবে ম্যাচে নামানো হয়নি তাঁকে।
ফেরার পথে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ইথান নিজেই। স্থানীয় সময় রাত প্রায় ১০টা ৪০ মিনিটে নর্থ্যাম্পটনের কাছে তাঁর চালানো মার্সিডিজ গাড়ি সড়কের ব্যারিয়ারের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
এক বিবৃতিতে ম্যাকলেসফিল্ড ক্লাব জানায়,
‘ইথানের মৃত্যু আমাদের পুরো ক্লাবকে ভেঙে দিয়েছে। আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এই ক্ষতির অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো কোনো শব্দ আমাদের নেই।’
বার্মিংহামে জন্ম নেওয়া ইথান কিশোর বয়সে ১০ বছর উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের (ওলভস) একাডেমিতে কাটান। ক্লাবটির অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে ইএফএল ট্রফিতে খেললেও মূল দলে অভিষেক হয়নি তাঁর।
গতির জন্য পরিচিত ইথান উলভারহ্যাম্পটন ছাড়ার পর ধারে খেলেন সাউদার্ন লিগের ক্লাব আলভেচার্চে। পরে রাশাল অলিম্পিক ও স্টোরব্রিজেও স্বল্প সময়ের জন্য খেলেন। সফল ট্রায়ালের পর চলতি বছরের জুলাইয়ে ম্যাকলেসফিল্ডে যোগ দেন তিনি।
সিল্কম্যানদের জার্সিতে পাঁচ ম্যাচ খেলেছেন ইথান। সবশেষ ১০ ডিসেম্বর কিংস লিন টাউনের বিপক্ষে ১-১ ড্র ম্যাচে গোল করেন তিনি। ক্লাবের হয়ে এটি তাঁর দ্বিতীয় গোল ছিল।
ম্যাকলেসফিল্ডের পরবর্তী লিগ ম্যাচ শনিবার আলফ্রেটন টাউনের বিপক্ষে। তবে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি ক্লাবটি।

প্রায় ১৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্পোর্টপার্ক উন্টারহাখিং স্টেডিয়াম কিনে নিয়েছে জার্মান ফুটবল জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। এই স্টেডিয়ামটি বায়ার্নের নারী দলের স্থায়ী হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার হবে।
বায়ার্ন নারী দলের ট্রেনিং কমপ্লেক্স মাত্র ২,৫০০ দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন। নতুন স্টেডিয়াম কেনার মাধ্যমে নারী ফুটবলের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বড় পদক্ষেপ নিল ক্লাবটি।
২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টেডিয়ামটির মালিকানা যাবে বায়ার্নের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আলিয়াঞ্জ অ্যারেনার হাতে। স্টেডিয়ামটি কিনতে বায়ার্নের খরচ হয়েছে ৭৫ লাখ ইউরো। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০৮ কোটি টাকা।
১৯৯২ সালে উদ্বোধন হওয়া স্পোর্টপার্ক উন্টারহাখিং স্টেডিয়ামটি উন্টারহাখিং শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত। ২০২০ সালে জার্মানির চতুর্থ স্তরের লিগ রিজিওনালিগার ক্লাব এসপিভিজিজি উন্টারহাখিং স্টেডিয়ামটি কিনে নেয়।
প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন শেষে উন্টারহাখিং স্টেডিয়ামেই বায়ার্ন নারী দলের ম্যাচ ও অনুশীলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বায়ার্ন। পাশাপাশি ২০২৬-২৭ মৌসুম থেকে নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচগুলোও এই স্টেডিয়ামেই আয়োজন করা হবে।