খেলা শুরুর খানিকবাদে গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হলেও আধাঘন্টার মাথায় প্রতিপক্ষের জাল কাঁপায় গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। এরপর নিয়মিত বিরতিতে আসে গোল; তাতেই নেপালের বিপক্ষে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
আজ বৃহস্পতিবার সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতায় শুভ সূচনা পেল বাংলাদেশ। দেশের হয়ে একটি করে গোল করেন মোহাম্মদ সাব্বির ইসলাম, অপু রহমান, মোহাম্মদ আরিফ ও মোহাম্মদ মানিক।
সাত দলের প্রতিযোগিতায় 'এ' গ্রুপে বাংলাদেশ ও নেপালের আরেক প্রতিপক্ষ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। এ জয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে নাজমুল হুদা ফয়সালরা। সমান পয়েন্ট পেয়ে দুইয়ে নেপাল। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামী ২১ সেপ্টেম্বর, স্বাগতিকদের বিপক্ষে।
কলোম্বোর রেসকোর্স স্টেডিয়ামে এদিন প্রথম মিনিটেই কর্নার পায় বাংলাদেশ। গোলের সুযোগ আসে পঞ্চম মিনিটে। কিন্তু শট লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন নাজমুল হুদা ফয়সাল। মোহাম্মদ আরিফের কাছ থেকে রক্ষণ চেড়া পাস পেয়ে বক্সে নেপালের গোলরক্ষক রাম বাহাদুর বোহারাকে পরাস্ত করেন, এরপর ডান দিকে মোড় নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক আড়াআড়ি নীচু শটে বল গড়িয়ে মারেন পোস্টের বাইরে।
ষষ্ঠ মিনিটে বক্সে একইরকম বল পান অপু রহমান। তবে বলের নাগাল পাওয়ার আগে নেপালের গোলরক্ষক বল গ্লাভসবন্দি করেন। ২৭ মিনিটে ছোট কর্নারের পর বক্সের সামনে থেকে ক্রস দেন ফয়সাল, বলে হেড নিলেও পোস্টে রাখতে পারেননি অপু।
তিন মিনিট পর সেই কর্নার থেকেই লিড নেয় বাংলাদেশ। ফয়সালের কর্নার কিক ফিস্ট করলেও পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে পারেননি নেপালের গোলরক্ষক। উড়ে আসা বল মাটিতে পড়ার আগেই বুলেট গতির সোজা শটে লক্ষ্যভেদ করেন মোহাম্মদ সাব্বির ইসলাম। ৩৭ মিনিটে সাব্বিরের লং থ্রো বক্সে বাইসাইকেল কিক নেন মোহাম্মদ মানিক, বল যায় পোস্টের উপরে দিয়ে।
বিরতির পরপরই লিড দ্বিগুণ করেন অপু। ৪৯ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে আক্রমণের সুর বেঁধে দেন আজম খান। আরিফের পা ঘুরে কর্ণারের কাছে বল পান সাব্বির। তার বাড়ানো বল বক্সে পেয়ে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে কাটিকে আগন্তুক গোলরক্ষকের উপর দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন অপু।
৫০ মিনিটে মাঝমাঠে বল পায়ে নেপালের খেলোয়াড়দের নিয়ে এক প্রকার ছেলেখেলা করেন ফয়সাল, অপু, সাব্বিররা। শেষে পোস্টের প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের শটে জাল কাঁপান মোহাম্মদ আরিফ। ম্যাচে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় লাল সবুজের ছেলেরা। ৬৫ মিনিটে মানিকের সৌজন্যে চতুর্থ গোলও পেয়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৪-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে দুবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। এই প্রতিযোগিতায় ৯ বার অংশগ্রহণ করে লাল সবুজেরা। সর্বোচ্চ ৬বারের শিরোপাধারী দল ভারত।
No posts available.
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:১০ পিএম
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:০৩ পিএম
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:৩০ পিএম
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:০৪ পিএম
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় হবে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। খেলায় অংশ নেবে বাফুফের এলিট একাডেমির মেয়েরা ও চায়না ইউনিভার্সিটি অব উইমেন্স ফুটবল দল।
প্রীতি ফুটবল খেলাটি আয়োজন করবে ঢাকায় অবস্থিত চাইনিজ দূতাবাস ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ম্যাচ হবে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে, আগামী শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায়।
ম্যাচ খেলার জন্য চাইনিজ মেয়েরা বুধবার ঢাকায় এসেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুটবল ফেডারেশন ভবনে হয়ে গেল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপে ব্রাজিলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে নেইমার: রোনালদো |
![]() |
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম, নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ, প্রীতি ফুটবল ম্যাচে বাংলাদেশ দলের কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু এবং দলের অধিনায়ক সুরমা জান্নাত।
বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ ও চীনের হারানোর কিছু নেই, তবে পাওয়ার আছে অনেক কিছু। চীনের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি সামনে এএফসি এশিয়ান কাপ অ-১৭ বাছাইপর্বের আগে প্রস্তুতি সারবে বাফুফের এলিট একাডেমির মেয়েরা। কারণ এই দলের বেশিরভাগ ফুটবলারই সম্প্রতি খেলে আসেন ভুটানে হওয়া সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ।
চীনের স্কোয়াডটি সাজানো চায়না ইউনিভার্সিটি অব উইমেন্স ফুটবল দল নিয়ে। বাংলাদেশের মেয়েদের বিপক্ষে খেলে তারা আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বাদ নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করবে বলেই মনে করেন চীনা দলের অধিনায়ক।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যাত্রায় বিমানে বিবস্ত্র ফুটবলাররা |
![]() |
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক করা হয়েছে ডিফেন্ডার সুরমা জান্নাতকে। তিনি বলেন,
‘আমরা অনেক দিন ছুটিতে ছিলাম। তাছাড়া চীন দলটি সম্পর্কে কিছু জানি না, কোচ যেভাবে বলবে সেভাবে খেলব।’
এই ম্যাচটি স্টেডিয়ামে এসে ফ্রিতে দেখতে পারবেন দর্শকরা।
প্রায় দুই বছর ধরে জাতীয় দলের বাইরে নেইমার জুনিয়র। ক্লাবের জার্সিতে দেখা গেলেও, ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে আর ব্রাজিলের হয়ে খেলতে নামা হয়নি তারকা ফুটবলারের। তবে তার ওপর ভরসা রাখছেন দেশটির কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদো নাজারিও।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার খুব কাছে চলে এসেছিলেন নেইমার। কিন্তু তার ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না দলের প্রধান কোচ কার্লো আনচেলত্তি। তাই ফেরার অপেক্ষা ফুরায়নি ৩৩ বছর বয়সী ফুটবলারের।
তবু সামনের বিশ্বকাপে নেইমারকে নিয়ে আশাবাদী দা ফেনোমেনন। ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারকা ফরোয়ার্ডের ব্যাপারে ইতিবাচক ভাবনার কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যাত্রায় বিমানে বিবস্ত্র ফুটবলাররা |
![]() |
“দলে এখন যেসব ফুটবলার আছে, তাদের নিয়ে ব্রাজিল যেকোনো কিছু অর্জন করতে পারে। বিশ্বকাপে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হতে পারে নেইমার। আমি বিশ্বাস করি, সে হবেই।”
“নেইমারের কাছ থেকে সবাই শতভাগ চায়। আনচেলত্তি এটি চায়। নেইমার নিজেও চায় এটি। তার মধ্যে আমি একটা দৃঢ় সংকল্প দেখতে পাই। সে বিশ্বকাপ খেলতে চায় ও ব্রাজিল দলকে সাহায্য করতে চায়।”
আরও পড়ুন
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বদলায়নি বাংলাদেশের অবস্থান |
![]() |
“সবাই চায় নেইমার পুরোপুরি ফিট থাকুক। এটা আনচেলত্তিও চান, আর নেইমারও চায়। আমি তার চোখে বিশ্বকাপে খেলার এবং দলকে সাহায্য করার প্রবল ইচ্ছা দেখেছি।”
সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ছেড়ে চলতি বছরের শুরুতে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে নাম লিখিয়েছেন নেইমার। তবে এই স্ট্রাইকারের বর্তমান ক্লাব ব্রাজিলিয়ান লিগে কঠিন সময় পার করছে। পয়েন্ট তালিকার ১৬ নম্বরে রয়েছে সান্তোস।
সাম্প্রতিক সময়ে সান্তোসের বাজে পারফরম্যান্সের জন্য সমর্থকরা নেইমারের সমালোচনায় মুখর। তবে রোনালদো মনে করেন, এই সমালোচনা অন্যায্য।
“আমি আশা করি নেইমার শতভাগ ফিট থাকবে। সে বড় ইনজুরি থেকে ফিরেছে। এটা খুব স্বাভাবিক যে এখনও পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পারেনি, খেলার ছন্দে আসেনি। তার সমালোচনাগুলো অতিরঞ্জিত। তবে নেইমার সম্পর্কে সবার প্রত্যাশা সবসময়ই অনেক বেশি। সেই কারণেই সমালোচনাও বেশি। তবে নেইমার জানে, বিশ্বকাপে শতভাগ ফিট থাকতে তাকে কী করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদ প্রকাশ করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা ফিফা। সেখানে কোনো উন্নতি কিংবা অবনতি হয়নি বাংলাদেশের। তারা আগের মতোই আছে ১৮৪তম অবস্থানে।
বাংলাদেশ সবশেষ দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে যায় নেপালে। প্রথম ম্যাচ গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয়। পরের ম্যাচটি ওই দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে আর মাঠে গড়ায়নি। ১৭৬তম অবস্থানে থাকা নেপালেরও অবস্থার উন্নতি-অবনতি হয়নি।
এর সবশেষ ১০ জুলাই হয় র্যাঙ্কিং হালনাগাদ। তখন বাংলাদেশের নামের পাশে ছিল ৮৯৯.০১ পয়েন্ট। নতুন আপডেটে ৮৯৯.২৪ পয়েন্ট নিয়ে আগের জায়গায় আছে লাল সবুজের দল।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অবনতি হয়েছে নতুন র্যাঙ্কিংয়ে। ১৩৩ থেকে তারা নেমে গেছে ১৩৪তম স্থানে। দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ শ্রীলঙ্কা ১৯৬ থেকে অবনতি হয়ে নেমে গেছে ১৯৭তে। দুই ধাপ এগিয়ে ১৯৯তে উঠে এসেছে পাকিস্তান।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের এই হালনাগাদে দুই ধাপ পিছিয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। শীর্ষস্থান স্পেনের কাছে ছেড়ে দিয়ে লিওনের মেসিরা নেমে গেছেন তিনে। দুইয়ে উঠে এসেছে ফ্রান্স।
এবারের ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে বড় লাফ দিয়েছে স্লোভাকিয়া। ৫২ থেকে তারা উঠে এসেছে ৪২তম স্থানে। গত ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের খেলায় জার্মানিকে ২-০ গোলে হারানোর ফলে এই সুসংবাদ পেল ইউরোপের দেশ স্লোভাকিয়া।
স্পেনের ফুটবলে নিয়মিত চমকপ্রদ সব ফুটবলারের সন্ধান দেয় বার্সেলোনার যুব একাডেমি লা মাসিয়া। সেই তালিকায় এবার নতুন নাম ডেস্টিনি কোসিসো। যে কিনা এরই মধ্যে মাত্র ৬৬ ম্যাচে করে ফেলেছে ১৮৯ গোল!
যুগ যুগ ধরে লিওনেল মেসি, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জাভি হার্নান্দেস, সার্জিও বুসকেতস থেকে শুরু করে লামিন ইয়ামাল, গাভি, পাউ কুবারসি, আলেহান্দ্রো বালদের মতো ফুটবলাররা এসেছেন বার্সেলোনার লা মাসিয়া একাডেমি থেকে।
তাদের উত্তরসূরী হওয়ার দৌড়ে এখন রীতিমতো উড়ছে ১১ বছর বয়সী ডেস্টিনি। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনূর্ধ্ব-১০ পর্যায়ে মাত্র ২২ ম্যাচে ৮৭ গোল করে ডেস্টিনি। পরে অনূর্ধ্ব-১১ পর্যায়ে ৩০ ম্যাচে তার গোল ৫৮টি।
আর বর্তমানে অনূর্ধ্ব-১২ পর্যায়ে খেলতে থাকা ক্ষুদে তারকা এরই মধ্যে মাত্র ১৪ ম্যাচে করে ফেলেছে ৩১ গোল। সব মিলিয়ে স্রেফ ৬৬ ম্যাচে ১৮৯ গোল করে ফুটবল বিশ্বে আলোড়ন তুলেছে ১১ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
তার প্রতিভার ঝলক দেখে এরই মধ্যে তার এজেন্ট হয়ে গেছেন ইউরোপিয়ান ফুটবলের সুপার-এজেন্ট খ্যাত পিনি জাহাভি। যিনি বার্সেলোনার সুপারস্টার রবার্ট লেওয়ানডোভস্কি এবং প্রধান কোচ হানসি ফ্লিকেরও এজেন্ট।
নাইজেরিয়ার সাবেক ফুটবলার জিকে প্যাসকেলের তৃতীয় সন্তান ডেস্টিনি। তার বড় দুই ভাই ডেভিড ওবিনা ও ডিভাইন ইকেনাও বার্সেলোনার হয়ে বয়সভিত্তিক ফুটবল খেলেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানকে প্যাসকেল বলেছেন, ডেস্টিনিই বেশি ভালো ফুটবলার।
“ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে, আমার তিন সন্তানই বার্সেলোনায় খেলছে এবং তিন জনই পারফর্ম করছে। তবে আমার মনে হয়, এই পর্যায়ে ডেস্টিনিই তুলনামূলক ভালো।”