৬ অক্টোবর ২০২৪, ৭:২৭ পিএম
দানি কারভাহালের ইনজুরি নিয়ে যে ভয়টা রিয়াল মাদ্রিদ পেয়েছিল, হয়েছে তাঁর চেয়েও বাজে কিছু। দানি কারভাহালের যে মেডিকেল রিপোর্ট বেরিয়েছে, সে রিপোর্টে কারভাহালের ডান হাঁটুতে তিনটি জায়গায় লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে। কারভাহালের এই ‘ভয়াবহ’ ইনজুরির কারণে যে কাজটা গত ছয় বছরে রিয়াল মাদ্রিদ করেনি, সেটাই করতে যাচ্ছে।
ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে ইয়েরেমি পিনোর কাছ থেকে বলের দখল নিতে গিয়ে হাঁটুতে ব্যথা পেয়ে তীব্র চিৎকারে মাঠে পড়ে যান কারভাহাল। তাঁকে ঘিরে ধরেন মাদ্রিদ সতীর্থরা, পরে স্ট্রেচারে করে তাঁকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। কারভাহালের ইনজুরির কারণে মাদ্রিদের ব্যাকলাইনের ইনজুরি লিস্টে যোগ হলো আরেকটি নাম। ডিফেন্সে ঘাটতির ব্যাপারে কোচ কার্লো আনচেলত্তির দাবি-দাওয়া ছিল গত মৌসুমেও। তবে সেবার ইনজুরিময় একটা মৌসুম কাটানোর পরও ব্যাকলাইনে নতুন কাউকে সাইন করায়নি মাদ্রিদ, উল্টো সে স্কোয়াড নিয়েই জিতেছে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ।
কারভাহালের ইনজুরি এবং ডিফেন্সে ঘাটতির বিষয়কে এবার গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে মাদ্রিদ বোর্ড। শীতকালীন দলবদলের মৌসুমে ছয় বছরে প্রথমবারের মতো কোনো খেলোয়াড় সাইন করানোর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, জানাচ্ছে মার্কা। একজন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার এবং ফুল ব্যাক সাইন করানোর ব্যাপারে প্রাথমিক পরিকল্পনা করেছে তারা। সর্বশেষ ছয় বছর আগে শীতকালীন দলবদলের মৌসুমে মরক্কোন মিডফিল্ডার ব্রাহিম দিয়াজকে সাইন করিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ
আর খেলোয়াড় সাইন না করালে ডিফেন্সের ঘাটতিটা থেকেই যেত মাদ্রিদের, কারণ কারভাহালের ইনজুরির যে ধরন– তিনি মাঠের বাইরে থাকবেন অন্তত পক্ষে এক বছর, স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের মেডিকেল রিপোর্ট দেখে মার্কাকে তেমনটাই জানিয়েছেন রিপল অ্যান্ড দে প্রাদো ক্লিনিক, ফিফা সেন্টার অব এক্সেলেন্সের ডাক্তার পেদ্রো লুই রিপোল। শুধু এসিএল (অ্যান্টেরিয়র ক্রুশিয়েট লিগামেন্ট) নয়, সঙ্গে ধরা পড়েছে ইসিএল (এক্সটার্নাল ক্রুশিয়েট লিগামেন্ট) এবং ডান পায়ে পপলিটেয়াল টেন্ডনে চিঁড়।
তবে কারভাহালের ইনজুরি হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর চুক্তি নবায়ন করেছে মাদ্রিদ বোর্ড। কারভাহালের সঙ্গে মাদ্রিদের চুক্তি ছিল ২০২৫ এর গ্রীষ্ম পর্যন্ত। তাঁর ইনজুরি থেকে সেরে ওঠা এবং ট্রেনিংয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর চুক্তি আরও এক বছর বাড়িয়েছে মাদ্রিদ বোর্ড। চুক্তি নবায়নের কৃতজ্ঞতায় মাদ্রিদকে আলাদা করে ধন্যবাদ এবং ক্লাবের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ব্যক্ত করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন ক্লাবের হয়ে ২৬টি ট্রফি জেতা দানি কারভাহাল।
লম্বা মৌসুম, অনেকেই এই দীর্ঘ রেসে পড়তে পারেন ইনজুরিতে। ধরা পড়েছে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সার্ভাইকাল ইনজুরিও। আপাতত ডিফেন্স লাইনকে শক্তপোক্ত করার জন্য ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ অ্যান্ড কোংকে খুঁজতে হবে সম্ভাব্য নতুন খেলোয়াড়।
১৮ মে ২০২৫, ৬:১৭ পিএম
১৮ মে ২০২৫, ৫:০৭ পিএম
১৭ বছর বয়সেই রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছেন লামিন ইয়ামাল। বার্সা ফরোয়ার্ড তো এই বয়সেই নামের সঙ্গে যুক্ত করেছেন বিশ্ব সেরার তকমা। তার হাত ধরে বার্সেলোনাও পাচ্ছে সাফল্য। তবে আর এক মৌসুম বাদেই বার্সার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ইয়ামালের। নতুন চুক্তি নিয়ে কথা উঠলেও সেটা এখন আলোচনার বাইরে। তবে বার্সেলোনা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা বেশ আত্মবিশ্বাসী ইয়ামালের চুক্তি নিয়ে। বার্সা সমর্থকদের দিয়েছেন স্বস্তির খবর।
সম্প্রতি লা ভ্যাঙ্গরদিয়ার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে লাপোর্তা নিশ্চিত করেছেন চুক্তি প্রায় হয়ে গেছে দুই পক্ষের। এখন কেবল সেটা অনুমদনের অপেক্ষা। খুব সম্প্রতি সেটা হয়ে যাবে বলেও বিশ্বাস বার্সেলোনা সভাপতির।
“ইয়ামাল বার্সায় অনেক উপভোগ করে, তার বন্ধুরা এখানে আছে। দলের সঙ্গে অনেক সময় পার করে। সে দারুণ প্রতিভাবান, কিন্ত দলের জন্য তার নিবেদনটা চোখে পড়ার মত। তার এজেন্ট হোর্হে মেন্দিসের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করতে পারি সহজেই। তার চুক্তি নবায়ন অনেকটাই হয়ে গেছে এখন কেবল সই করাটাই বাকি। সেটাও হয়ে যাবে।”
এর আগে ইএসপিএনও জানিয়েছিল ইয়ামালের নতুন চুক্তির খবর। বার্সা ডিরেক্টর ডেকোর বরাতে তারা ইঙ্গিত দিয়েছিল নতুন চুক্তি এরই মধ্যে হয়ে গেছে, কেবল সই বাকি। সেই সাথে তারা ইঙ্গিত দিয়েছে নতুন চুক্তিতে ১৮ বছর হলেই সই করবেন ইয়ামাল। বেশ কিছু শর্ত যেখানে নতুন করে যুক্ত করা হচ্ছে, বাড়বে বেতনের অঙ্কও।
গেল মৌসুম ইয়ামাল যেখানে শেষ করেছিলেন, চলতি মৌসুম সেখান থেকে যেন শুরু করেছিলেন। বল পায়ে জাদু দেখিয়ে মুগ্ধ করেছেন। হরহামেশাই প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের খাবি খাইয়েছেন। সব মিলিয়ে খেলেছিলেন ৫৩ ম্যাচ, ১৭ গোলের পাশাপাশি করেছেন ২৫ অ্যাসিস্ট।
ম্যানচেস্টার সিটির তারকা ফরোয়ার্ড আর্লিং হলান্ড যে এখনো ওয়েম্বলিতে খুলতে পারেননি গোলের খাতা। এফএ কাপের ফাইনালেও ক্রিস্টাল প্যালেসের সাথেও কাটেনি হলান্ডের সেই খরা।
এই মাঠে সবমিলিয়ে ৬ ম্যাচ খেললেও হলান্ড গোল পাননি। এমনকি শনিবারের ম্যাচে ম্যান সিটি পেনাল্টি পেলেও সেটা নিজে না নিয়ে ওমর মারমুশকে দিয়ে দেন হলান্ড। ওমর মারমুশের সেই শট থেকে গোলও হয়নি। হলান্ড কী তবে ওয়েম্বলি ভয়ের কারণেই নিজে শট নেননি? ম্যাচের পর আলোচনায় এখন এই প্রশ্নই। এমনকি ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাও ভেবেছিলেন পেনাল্টি শটটা নেবেন আর্লিং হলান্ডই।
হলান্ডের এমন ঘটনায় সমালোচনা করেছেন সাবেক ফুটবলাররাও। ইংল্যান্ড ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক তারকা ফুটবলার ওয়েইন রুনি তো বলেই ফেললেন রোনালদো আর মেসির সাথে হলান্ডের অন্যান্যদের পার্থক্য এটাই। তিনি বলেন,
“হলান্ড দারুণ ফুটবলার, কিন্তু যখন আপনি মেসি এবং রোনালদোর কথা বলবেন, তখন তারা কখনই এভাবে বল দিয়ে দিতো না। এটাই মেসি-রোনালদোর সাথে হলান্ড অথবা এমবাপের পার্থক্য। মেসি-রোনালদো প্রতি মুহূর্তে গোল করতে চায়।” ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও নিউকাসল কিংবদন্তি অ্যালেন শিয়েরারও হলান্ডকে শুনিয়েছেন কড়া কথা। “আমার বিশ্বাস হচ্ছে না যে, ও শটটা নিজে না নিয়ে অন্য কাউকে নিতে বলেছে।“
এই মৌসুমে পেনাল্টি ভাগ্যটাও ভালো যাচ্ছে না হলান্ডের। ৭ বার পেনাল্টি শট নিয়ে ৩টাই যে মিস করেছেন নরওয়ের এই ফরোয়ার্ড। নিজের পেনাল্টির অফ ফর্ম, তাইতো এফএ কাপের ফাইনালে পিছিয়ে থাকার পর যখন সুযোগ এলো, কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি আর্লিং হলান্ড। ওমর মারমুশ পেনাল্টিটা মিস না করলে আর ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচটা না হারলে হয়তো আলোচনাই হতো না হলান্ডের এই ঘটনা নিয়ে।
১১৯ বছরের ক্লাবের ইতিহাসে ক্রিস্টাল প্যালেসের প্রথম বড় সাফল্য-মর্যাদার এফএ কাপ জেতা এবং সেটাও পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে। এবেরেচি এজের দেওয়া গোলের জবাব হলান্ড-মারমুশরা মিলে দিতে পারেননি পুরো ৯০ মিনিটে। তবে তার বড় কৃতিত্বটা পাবেন ঈগলসদের গোলকিপার ডিন হেনডারসন। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে মারমুশের নেওয়া পেনাল্টি ঠেকিয়েছেন, করেছেন ম্যাচ বাঁচানো কিছু সেভ।
তবে মাঠে থেকে যে পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন–সেখানে কপালের ছোঁয়া আছে বলতে হয়। মারমুশের পেনাল্টি ঠেকানোর আগে ১২ মিনিট আগেই এমন ঘটনা ঘটেছে, যেখানে তাকে দেখতে হতে পারত লাল কার্ড। হলান্ড বল নিয়ে বক্সে ঢোকার আগমুহূর্তে বলে হাত দিয়ে বসেন ২৮ বছর বয়সী সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গোলকিপার।
পরিষ্কার গোলে সুযোগ বঞ্চিত করার সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে ভিএআর হস্তক্ষেপ করলেও লাল কার্ড দেখা থেকে বেঁচে যান হেন্ডো। সেটাকে ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে সরাসরি না বললেও আকার ইঙ্গিত করেছেন মৌসুমে কোনো ট্রফি না জিতে শেষ করা পেপ গার্দিওলা।
‘ওটা রেফারিকে জিজ্ঞেস করুন,’- ম্যাচ শেষে বিবিসিকে দেওয়া ইন্টারভিউতে ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেন পেপ। ম্যাচ শেষে হেনডারসনের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করতেও দেখা যায় গার্দিওলাকে।
অবশ্য এসব ঘটনাকে একদম গায়ে মাখছেন না ক্রিস্টাল প্যালেসের নাম্বার ওয়ান শট স্টপার। উল্টো বলছেন, নিজেদের ভাগ্য গড়ে নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত ১০ মিনিট সিটি পেয়েছিল, তাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। আর লাল কার্ড দেওয়া-না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে মাথাও ঘামাচ্ছেন না হেনডারসন, কারণ শিরোপাটা তারা জিতেই ফেলেছেন।
‘বল বক্সের ভেতর ঢুকে গিয়েছিল আর আমি জানতাম এতে কোনো অসুবিধা নেই–আর কার কী যায় আসলো! আর পেনাল্টিটাতো হলান্ডও নিতে পারত। ও মারমুশকে দিয়ে দিল আর আমি জানতাম ও কোন দিকে বলটা মারবে।’
২০ মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার ফিতে ২০২৩ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ক্রিস্টাল প্যালেসে এসেছিলেন ডিন হেনডারসন। এবছরের শুরুতে বাবাকে হারিয়েছেন। তবে ক্রিস্টাল প্যালেসের ঐতিহাসিক এফএ কাপ জয়ের দিন বাবার আশীর্বাদ অনুভব করেছেন ম্যাচ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা হেনডারসন।
দুই ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত হয়ে গেছে শিরোপা। ২৮তম লা লিগা জয়ের আনন্দ তাই আগেভাগেই উদযাপন করেছে বার্সেলোনা। এমন উৎসবের আমেজে সামনের ম্যাচগুলোতে কিছুটা হালকা মেজাজে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তাই ভালোই। তবে কোচ হান্সি ফ্লিকের স্পষ্ট বার্তা, মাঠে এসবের কোনো প্রতিফলন পড়া চলবে না। জয় দিয়েই মৌসুম শেষ করতে চান তিনি।
গত শুক্রবার বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা তাদের লা লিগা শিরোপা জয়ের আনন্দ রাস্তায় নেমে আসা হাজার হাজার সমর্থকের সঙ্গে উন্মুক্ত বাসে বিজয় মিছিল করে উদযাপন করেন। নেচে-গেয়ে পুরোপুরি পার্টি মুডেই ছিলেন রাফিনিয়া-কুন্দে-ইয়ামালরা। উল্লেখ্য, লা লিগা ছাড়াও কোপা দেল রে এবং স্প্যানিশ সুপার কাপেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন
আনচেলত্তির মত কোচেরই ব্রাজিলের দরকার : কাসেমিরো |
![]() |
তবে লা লিগায় এখনও দুটি ম্যাচ বাকি আছে, শনিবার সংবাদ সম্মেলনে খেলোয়াড়দের তা মনে করিয়ে দিয়েছেন ফ্লিক।
“গতকাল ছিল আমাদের উদযাপন এবং বিশ্রামের দিন। অনেক খেলোয়াড় পার্টি করতে গিয়েছিল। কিন্তু যারা পার্টি করতে পারে, ভালো করতে পারবে না, এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না। আমি চাই আমরা যেভাবে মৌসুমটা শুরু করেছিলাম, ঠিক সেভাবেই যেন শেষ করি।”
রোববার ভিয়ারিয়ালের সাথে ম্যাচটি হবে ঘরের মাঠে এই মৌসুমে বার্সেলোনার শেষ ম্যাচ। লা লিগা জয়ের পথে ৯৭ গোল করা ফ্লিকের দল গত ডিসেম্বর থেকে লিগে অপরাজিত রয়েছে। দুর্দান্ত এই মৌসুমে চারটি এল ক্লাসিকোতেই রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়েছে কাতালান ক্লাবটি।
আরও পড়ুন
আবাহনীর হারে মোহামেডান ঘরে তুলল বহুল কাঙ্ক্ষিত শিরোপা |
![]() |
বাকি দুই ম্যাচেও সেরা ছন্দ ধরে রাখতে চান ফ্লিক।
“এটাই আমাদের ঘরের মাঠে আমাদের শেষ ম্যাচ। আর আমরা এখানে স্রেফ জয়ই চাই। আমরা চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই মৌসুম শেষ করতে চাই। ২০২৫ সালে আমরা এখনো লিগে অপরাজিত আছি। আমরা সেটা ধরে রাখতে চাই।”
মৌসুমের শুরুর দিকে বার্সেলোনার চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও মাঝের দিকে শিরোপা লড়াই জমিয়ে তুলেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে সবশেষ এল ক্লাসিকোতে হেরে আগেভাগেই প্রতিপক্ষের লা লিগা জয়ের কাজটা সহজ করে দেয় দলটি। হান্সি ফ্লিকের তাতে পূর্ণ করেছে ঘরোয়া ট্রেবল জয়ের চক্র। রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি মনে করেন, এই মৌসুমে বার্সেলোনাই ছিল লিগ জয়ের যোগ্য দাবিদার।
গেল বছরের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় অপরাজিত থাকা বার্সেলোনা সবশেষ এল ক্লাসিকোতে রিয়ালকে হারায় ৩-২ গোলে। এরপরের ম্যাচ জিতে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ২৮তম লিগ জয় নিশ্চিত করে কাতালান ক্লাবটি। এই পথচলায় ফ্লিকের দল লিগে গোল করেছে বিস্ময়করভাবে ৯৭টি, যা কিনা রিয়ালের চেয়ে ২৩টি বেশি।
আরও পড়ুন
রিয়ালে নাম লেখালেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হুইসেন |
![]() |
রোববার লা লিগায় সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের বার্সেলোনার প্রশংসার করলেন রিয়াল কোচ আনচেলত্তি।
“এটাই ফুটবলের অংশ! কখনও কখনও আপনি সবার কাছ থেকে সেরা পারফরম্যান্স বের করে আনতে পারবেন না। বার্সেলোনা খুব ভালো খেলেছে, কারণ তারা লিগে আমাদের চেয়ে বেশি ধারাবাহিক ছিল এবং তারা খুব সুন্দর ফুটবল খেলেছে। আমি তাদের অভিনন্দন জানাতে চাই। তারা এই লিগ জয়ের যোগ্য দাবিদার ছিল। তবে আগামী বছর ভিন্ন একটা গল্প রচনা হবে।”
এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় বার্সেলোনার সঙ্গে চার ম্যাচের চার ম্যাচেই পরাজিত হয়েছে রিয়াল। স্প্যানিশ সুপার কাপ ও কোপা দেল রের ফাইনালে তাদের হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয় ইয়ামাল-রাফিনিয়া-সেজনিরা।
এই মৌসুম শেষে রিয়াল ছেড়ে ব্রাজিলের দায়িত্ব নিতে যাওয়া আনচেলত্তি মনে করেন, চোট সমস্যাই তাদের পিছিয়ে দিয়েছে বারবার।
“যখন কেউই আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখেনি, এই দল তখনও নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা রেখেছে। তাই আমি কখনই এই খেলোয়াড়দের সমালোচনা করব না, যারা কিনা আমাকে বছরের পর বছর ধরর অনেক আনন্দময় মূহুর্ত উপহার দিয়েছে। এই মৌসুমে আমাদের অনেক বেশি চোট ছিল, তাও সেগুলো ছিল গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের। এই ধরনের চোটগুলো আমাদের অনেক সমস্যায় ফেলেছে।”