ঢাকা থেকে সাও পাউলোর দূরত্ব ১৫,৬৪৯ কিলোমিটার। আর ঢাকা থেকে ভৈরবের সাড়ে ৭৬ কিলোমিটার। হিসাব করার খাতিরে ধরে নেওয়া যেতে পারে ৭৭ কিলোমিটারই। এবার ভৈরব-ঢাকা-সাও পাউলোর দূরত্বটাকে একসঙ্গে যোগ করুন। ক্যালকুলেটরে বোতামগুলো টিপলে ছোট মনিটরে সংখ্যাটা দেখাবে ১৫৭২৬ কিলোমিটার। এইযে লম্বা, বিশাল পথ– মাঝে আরব সাগর আর দক্ষিণ আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে শুধু মাত্র ফুটবল থেকে ভালোবাসার জন্য কিংবা আরো নির্দিষ্ট করে বলতে, নেইমারের প্রতি ভালোবাসা থেকে ব্রাজিল পাড়ি দিয়েছিলেন ভৈরবের রবিন মিয়া। সেখান থেকেই নেইমারের কাছে আসা, তাঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়া। ব্রাজিল পাড়ি দিয়ে তিন দিন আগে আবার ফিরেছেন নিজ দেশের মাটিতে।
টি স্পোর্টসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন নেইমারের সঙ্গে কাজ করার কথা, ইঙ্গিত দিয়েছেন সাম্প্রতিক সময় বাংলাদেশে নেইমারের আসার যে খবর শোনা যাচ্ছে, তার বিশ্বাসযোগ্যতা কতটুকু– সেটা নিয়েও।
তবে ভৈরব থেকে কীভাবে ব্রাজিল, সাউ পাওলোতে পৌছালেন রবিন মিয়া? রবিন মিয়া জানালেন, প্রক্রিয়াটা সহজ ছিল না। তবে সেখানে পৌঁছেছেন নিজ পরিবারের মাধ্যমেই।
“২০০৮ সালে বড় ভাইয়ের মাধ্যমে, পরিবারের কারণেই সেখানে যাই। নিজেও ছোটবেলায় ফুটবল খেলতাম। খেলাটার জন্য প্যাশন ছিল। আর ফুটবল থেকে ভালোবাসাটা ছিল নেইমারের প্রতিও– ইচ্ছা ছিল কোনো একদিন তাঁর সঙ্গে দেখা করবো। দীর্ঘ চার বছরের অক্লান্ত চেষ্টার পর সেটা করতে সমর্থ হই।”
কিন্তু নেইমারের সাক্ষাৎ পাওয়ার জন্য তো অনেকেই অনেক পথ পাড়ি দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যান, রবিন মিয়া সফল হলেন কীভাবে? সেখানে এই মানুষটি কীভাবে নেইমারের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারলেন? এখানে রবিন মিয়া জানালেন সেই ইতিহাসটাও,
“নেইমারের খুব কাছের এক বন্ধু জোয়াও সেলসোর সঙ্গে আমার পরিচয়, খাতির হয়। একসঙ্গে আমরা জার্সি থেকে শুরু বেশ কিছু ব্যবসা করেছি। ব্রাজিল লিগের দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাবেও আমার সম্পৃক্ততা রয়েছে। সে সূত্রেই নেইমারের পরিবারের সংস্পর্শে আসি, সেজন্য আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। তবে আমি যে এতদূর আসতে পেরেছি, সেটাই আমার জন্য বড় আনন্দের।”
‘Malikmiamia’ ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে গেলে খুঁজে পাওয়া যায় ‘নেইমারের ঘনিষ্ঠ’ বলে বাংলাদেশে পরিচিত এই রবিন মিয়ার। তাঁর হ্যান্ডেলে অবশ্য নেইমারকে নিয়ে কোনো ছবি নেই। তবে ট্যাগড সেকশনে গেলেই দেখা মিলবে নেইমারের সঙ্গে তাঁর বেশ কিছু, ছবি আছে পরিবারের সঙ্গেও। বোঝাই যায়, পরিবারের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ এই রবিন মিয়া। কিন্তু নেইমারের কতটা ঘনিষ্ঠ? এমন প্রশ্নের জবাবে অবশ্য একটু জোর দিয়েও মাথা নাড়লেন এই ভৈরবের মানুষটি, জানালেন তাঁর আসল পরিচয়।
“আমি রবিন, নেইমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু নই। আমার মূল পরিচয়, আমি তাঁর বাবার সঙ্গে কাজ করি, আমি ওদের পরিবারের একজন কর্মচারি। নেইমারের সঙ্গে আমার ছবি দেখে বাংলাদেশের আবেগী মানুষ আমাকে নেইমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বানিয়ে দিয়েছে। এখন ছবি আমি তুলতেই পারি, তুলে বলতে পারি নেইমার আমার খুব কাছের বন্ধু। সেটা কী শনাক্ত করার কোনো উপায় আছে? আমি এখানে স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমি ওদের সঙ্গে, ওর বাবার সঙ্গে কাজ করি। এমনকি তাঁর বাবা আমাকে অনেক পছন্দ করেন। তবে নেইমারের ঘনিষ্ঠ আমি নই। নেইমারদের ব্যবসার পুরো অংশ ওর বাবা দেখেন, সেখানে আমি তাঁকে সহায়তা করি।”
তবে বাংলাদেশে তো নেইমারের আরো অনেক ভক্ত আছেন, সেটা কি নেইমার জানেন? অনেকটা হেসে রবিন জানালেন,
“ওদের ইনস্টাগ্রামে একেকটা পোস্টে রিঅ্যাকশন দেখেছেন, কত মানুষ কমেন্ট করে? ওদের কাছে সব মিডিয়ার ডেটা রিপোর্ট থাকে যেখানে বাংলাদেশ দুই বা তিন নাম্বারেই থাকে। ওরা বাংলাদেশের ব্যাপারে ভালোমতই জানে।”
তবে রবিন মিয়ার সঙ্গে মূল আলাপটা অবশ্য নেইমার আসলেই বাংলাদেশে আসছেন কি আসছেন না, সে বিষয়ে। সেটাও রবিন খোলাসা করেছেন ভালোমত। সে অংশটুকু জানতে পড়ুন রবিন মিয়ার সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় অংশ।
No posts available.
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:৪৯ পিএম
ভুটান উইমেনস লিগে নিজের প্রথম ম্যাচটি খেলেন সাবিনা খাতুনদের পারো এফসির বিপক্ষে। ১-১ গোলে ড্র করা ম্যাচে বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়ায় সেদিন বড্ড মন খারাপ ছিল তহুরা খাতুনের। সুযোগ পেলে সেই আক্ষেপ ঘোচানোর কথা বলেন। কিন্তু সেটি যে এতটা দুর্দান্তভাবে হবে, তা হয়ত নিজেও ভাবেননি।
তহুরার ক্লাব রয়েল থিম্পু কলেজ এফসি (আরটিসি) আজ ৪০-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সামসে উইমেন ফুটবল ক্লাবকে। ভুটান নারী ফুটবল লিগের ইতিহাসে রেকর্ড জয় এটি। ম্যাচে থিম্পুর একাধিক খেলোয়াড় করেছেন হ্যাটট্রিক।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের থেকে খেলেছেন তহুরা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র। দুজনেই হ্যাটট্রিক পেয়েছেন। তবে গোলবন্যার ম্যাচে কে কতবার বল জালে পাঠিয়েছেন, সেটা জানাই যেন দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ক্লাবটির ফেসবুক পেজের আপডেট অনুযায়ী শামসুন্নাহার ৭টি এবং তহুরা ৬ গোল করেছেন।
ম্যাচ শেষে তহুরাকে জিজ্ঞেস করা হলে সঠিক হিসেব তিনি নিজেও দিতে পারেননি। পরে অবশ্য বললেন, ‘৫ গোল হতে পারে!’
থিম্পু ক্লাবে বাংলাদেশের থেকে খেলছেন আরও তিন ফুটবলার— শাহেদা আক্তার রিপা, স্বপ্নারানী ও বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। কেবল এএফসি নারী চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচ খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন আফঈদা।
অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে নেপাল-বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে। সামাজিক যোগযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদ ও দুর্নীতির বিরোধী আন্দালনে উত্তপ্ত নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। আজ দুপুর থেকে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জামাল ভূঁইয়াদের ম্যাচের শহর।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারফিউ জারি করেছে নেপাল সরকার। নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ৯ সেপ্টেম্বর (কাল) নেপাল-বাংলাদেশের ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে। যে ম্যাচটি দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা ছিল।
সমর্থকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে আরও জানিয়েছে, দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ফুটবল সমর্থকদের যে অসুবিধা হবে তার জন্য সংস্থা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
এর আগে বিরূপ পরিস্থিতিতে আজ বিকেল ৩টায় বাংলাদেশের অনুশীলন স্থগিত করা হয়। প্রথমে খেলা বন্ধ দরজায় হবে বলেও আলোচনা ছিল। তবে সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে স্বাগতিক দেশ।
বিকেলে অনুশীলন করার কথা ছিল জামালদের। কিন্তু মাঠে যাওয়া সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ দলের মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিব পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘নেপাল সময় বিকেল সোয়া ৩টায় আমাদের অনুশীলন নির্ধারিত ছিল। দুপুর আড়াইটার দিকে জানানো হয় বাইরের অবস্থা উত্তপ্ত। তাই অনুশীলনের জন্য রওনা হওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে বাংলাদেশ দল হোটেলেই নিরাপদে অবস্থান করছে।’
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনও হয়েছিল দুই দলের কোচ ও অধিনায়কের। প্রথম প্রীতি ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।
ডোপ টেস্টে শরীরে নিষিদ্ধ উপাদান পাওয়ায় ফুটবল থেকে ১০ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পাচ্ছেন অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের ইয়েরাই আলভারেজ। ক্যানসার-পরবর্তী চিকিৎসায় নিষিদ্ধ ঔষধ সেবন করায় বড় ধরনের শাস্তি মুখে পড়লেন লা লিগার ক্লাবটির ডিফেন্ডার। চুল পড়া রোধে তিনি এমন ঔষধ ব্যবহার করেন যার মধ্যে নিষিদ্ধ উপাদান ছিল।
গত মে মাসে ইউরোপা লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরেছিল অ্যাথলেটিক বিলবাও। সে ম্যাচে হারের পর আলভারেজের শরীরে ‘ক্যানরেনন’ নামক একটি নিষিদ্ধ উপাদান পাওয়া যায়। মূলত এটি ডিউরেটিক জাতীয় ওষুধ। অনেক সময় নিষিদ্ধ পদার্থ গোপন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। শরীর থেকে প্রস্রাবের সঙ্গে নিষিদ্ধ পদার্থ বের করতে সহায়তা করে।
অবশ্য কোনো অনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, ক্যান্সারের নিরাময় হিসেবেই এই ঔষধ নিতে হয়েছে বলে জানান আলভারেজ। ২০১৬ সালে অণ্ডকোষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে অ্যালোপেসিয়া (চুল পড়া) রোধে একটি ওষুধ ব্যবহার করছিলেন ৩২ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার, যাতে ক্যানরেনোন উপাদান ছিল।
ইউরোপীয় ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা আলভারেজের যুক্তি মেনে নিয়েছে এবং জানিয়েছে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে নিষিদ্ধ কোনো উপাদান গ্রহণ করেননি। এরপরও অবশ্য তাঁকে, ‘অনিচ্ছাকৃত ডোপিংবিরোধী নিয়ম লঙ্ঘনের’ দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
জুন মাসে প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা মেনে নেওয়ায় আলভারেজের শাস্তির মেয়াদ তখন থেকেই গণনা করা হয়েছে। আগামী ২০২৬ সালের ২ এপ্রিল থেকে আবার মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি। ২ ফেব্রুয়ারি থেকেই অনুশীলনে অংশ নেওয়ার অনুমতি পাবেন বিলবাওয়ের একাডেমি থেকে উঠে আসা এই ফুটবলার।
ঘনিয়ে আসছে মৌসুম সেরাদের শ্রেষ্ঠত্য ঘোষণার দিন। ফুটবলের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে কারা আছেন এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে ফ্রান্স ফুটবল। সংক্ষিপ্ত তালিকার মধ্যে থেকে অনেকেই নিজ নিজ পছন্দ অনুযায়ী সেরাদের বেছে নিচ্ছেন। বর্ষসেরার এই স্বীকৃতি কার পাওয়া উচিত? এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে।
গত মৌসুমে ব্যাক্তিগত পারফরম্যান্স দুর্দান্ত হলেও রিয়ালের হয়ে কিছুই জিততে পারেননি এমবাপ্পে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় ব্যালন ডি’অরের জমকালো অনুষ্ঠানে এই ফরাসি তারকা ফরোয়ার্ড যে বর্ষসেরার স্বীকৃতি পাচ্ছে না, সেটা সহজেই অনুমেয়। তাতে কি? ফুটবলে সর্বোচ্চ মর্যাদার এই পুরষ্কার কার হাতে উঠছে, সেটা নিয়ে তো নিজের মতামত জানাতেই পারেন এমবাপ্পে।
ব্যালন ডি’অর জয়ী নির্ধারণে এমবাপ্পের ‘ভোট’ পাচ্ছেন জাতীয় দলের সতীর্থ ওসমান দেম্বেলে। পিএসজির হয়ে ২০২৪-২৫ মৌসুমে ‘ট্রেবল’ জয়ী এই উইঙ্গারের হাতেই এই পুরষ্কার শোভা পাবে বলে জানিয়েছেন এমবাপ্পে। ব্যালন ডি’অর কি দেম্বেলের প্রাপ্য কি না, এমন প্রশ্নে রিয়াল তারকা বলেন, ‘আমার মতে, হ্যাঁ। আশা করি এটি সেই জিতবে। আমি প্রথম থেকেই তাকে সমর্থন দিয়ে আসছি।’
দেম্বেলে ছাড়াও পিএসজিতে তাঁর সতীর্থ আশরাফ হাকিমিও ভালো অবস্থানে থাকবে বলে বিশ্বাস এমবাপ্পের, ‘আমি আরও আশা করছি আশরাফ ভালো র্যাঙ্কিংয়ে থাকবে, ডিফেন্ডারদের জন্য এটি দারুণ হবে। ঐতিহাসিক এক মৌসুমই কাটিয়েছে সে।’
মূলত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা খেলোয়াড়রাই ব্যালন ডি’অর জয়ে এগিয়ে থাকেন। তাতে ইউরোপ সেরার মঞ্চে আলো ছড়ানো দেম্বেলেকে এগিয়ে রাখতেই হবে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৫ গোল ও ১৬ অ্যাসিস্ট করেন ২৮ বছর বয়সী ফরাসি উইঙ্গার। এরমধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৮ গোলের সঙ্গে ছয় গোলে সহায়তা করেন। ফাইনালে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে কোনো গোল না পেলেও দারুণ দুটি অ্যাসিস্ট করেন দেম্বেলে।
ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে দেম্বেলের প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করা হচ্ছে লামিনে ইয়ামালকে। সদ্য আঠারোতে পা দেয়া বার্সেলোনার এই উইঙ্গার সবশেষ মৌসুমে অনেক জাদুকরি মূহূর্ত উপহার দিয়েছেন সমর্থকদের। বার্সার হয়ে অসাধারণ মৌসুম কাটিয়ে ঘরোয়া ট্রেবল জেতেন এই স্প্যানিশ তারকা। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাঁদের দুর্দান্ত যাত্রায় ছেদ ঘটে সেমিফাইনালের কাব্যিক এক লড়াইয়ে ৪-৩ গোলে হেরে।
ক্লাব ফুটবলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সার ফুটবলারকে ব্যালন ডি’অর জয়ে কোথায় দেখছেন এমবাপ্পে। ইয়ামালের প্রসঙ্গ আসতেই রসিকতা করে ফরাসি ফুটবলার বলেন, ‘সত্যি বলতে, সে বার্সেলোনার একজন ফুটবলার।’ তবে পরক্ষণেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের সেরা ফুটবলারের প্রশংসাও করেন এমবাপ্পে, ‘তবে সে খুবই ভালো একজন ফুটবলার।’
সামাজিক যোগযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদ ও দুর্নীতির বিরোধী আন্দালনে উত্তপ্ত নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। আজ দুপুর থেকে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জামাল ভূঁইয়াদের ম্যাচের শহর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারফিউ জারি করেছে নেপাল সরকার। অস্থিরতার মধ্যেই সেখানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
বিরূপ পরিস্থিতিতে আজ বিকেল ৩টায় বাংলাদেশের অনুশীলন স্থগিত করা হয়েছে। অনিবার্য কারণ উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
আগামীকাল কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে গড়ানোর কথা বাংলাদেশ ও নেপালের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ। তবে কাঠমান্ডুর পরিস্থিতি খেলার আয়োজনকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। খেলা হলেও সেটি বন্ধ দরজায় হবে বলেই এখন পর্যন্ত জানা গেছে।
বিকেলে অনুশীলন করার কথা ছিল জামালদের। কিন্তু মাঠে যাওয়া সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ দলের মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিব পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘নেপাল সময় বিকেল সোয়া ৩টায় আমাদের অনুশীলন নির্ধারিত ছিল। দুপুর আড়াইটার দিকে জানানো হয় বাইরের অবস্থা উত্তপ্ত। তাই অনুশীলনের জন্য রওনা হওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে বাংলাদেশ দল হোটেলেই নিরাপদে অবস্থান করছে।’
প্রথম ম্যাচের পর গতকাল নেপাল দল অনুশীলনে গেলেও বাংলাদেশ ছিল বিশ্রামে। আজ বিকেলের সেশন বাতিল হওয়ায় জামাল ভূঁইয়াদের দুই দিন অনুশীলন ছাড়াই মাঠে নামতে হতে পারে।
তবে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলন এরই মধ্যে শেষ করেছে দুই দলের কোচ ও অধিনায়কেরা। এখন চোখ মাঠের ভেতরে নয়, কাঠমান্ডুর পরিস্থিতির দিকে। আগামীকাল ম্যাচটি আয়োজন করা সম্ভব হয় কি না, সেটিই দেখার অপেক্ষা।