পরপর দুবারের সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা। বয়সভিত্তিক সাফেও এই বছর এসেছে আরেকটি শিরোপা। সেই অনূর্ধ্ব-২০ নারী দল প্রথমবার সিনিয়র দলের মতো বাছাই খেলে জায়গা নিয়েছে এশিয়ান কাপে। কিন্তু ফুটবলে এশিয়ার সেরা দেশটির খেলোয়াড়েরা খেলতে পারছেন না নিজেদের লিগে। যে কারণে এএফসি নারী চ্যাম্পিয়নস লিগে নেই বাংলাদেশের কোনো ক্লাব।
তবে ভুটানের ক্লাব প্রায় নিয়মিতই খেলে এই প্রতিযোগিতায়। গত আসরে ভুটানের রয়েল থিম্পু কলেজ (আরটিসি) দলের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলে এসেছেন ঋতুপর্ণা চাকমা, মারিয়া মান্দা ও মনিকা চাকমা। এবার সেই ক্লাবের হয়ে খেলতে ভুটানে গেলেন অনূর্ধ্ব-২০ দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার ও মিডফিল্ডার স্বপ্না রানী। আজ সকালে তারা দেশটির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
দেশ ছাড়ার আগে সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন আফঈদা, ‘ভুটানের উদ্দেশে, নতুন মিশন এএফসি উইমেনস ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ। দোয়া করবেন সবাই।’
আরও পড়ুন
আরেকটি সাফ মিশনে শুক্রবার ভুটান যাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা |
![]() |
গত ৮ আগস্ট ভুটানের রয়েল থিম্পু কলেজ শিবিরে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের আরেক নারী ফুটবলার শাহেদা আক্তার রিপা। তিনি আরটিসির জার্সিতে ঘরোয়া লিগের একটি ম্যাচও খেলেছেন।
ভুটানের লিগ নিয়ে এর আগে কোচ পিটার বাটলার মন্তব্য করেছিলেন। সাবিনা খাতুন, মাসুরা পারভীনদের দলে নেওয়ার প্রসঙ্গে ভুটান লিগের মানদণ্ড নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তিনি। ব্যাপারটা এমন যে, ওই রকম লিগে ভালো খেললেই কি আর না খেললেই কি। কিন্তু সেই লিগের একটি ক্লাবেই এবার বাফুফে ছাড়পত্র দিল নারী ফুটবল দলের অধিনায়ককে।
নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান অনেক কথা বললেও নিজেদের লিগটা ঠিকঠাক মতো আয়োজন করতে পারছেন না। সবশেষ লিগের পর এক বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন করে কবে নারী লিগটা মাঠে গড়াবে সেসব যেন জানা নেই।
মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই ৪ জনের অভিষেক করিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ওসাসুনার বিপক্ষে ফল পেতেও সমস্যা হয়নি স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবের। নতুনরা গোল-অ্যাসিস্ট না পেলেও, তাদের পারফরম্যান্সে বেশ খুশি ক্লাবের কোচ জাভি আলোনসো।
নতুন করে দলে যোগ দেওয়া তিন ডিফেন্ডার ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড, ডিন হুইসেন ও আলভারো কারেরাসকে শুরুর একাদশেই রাখেন আলোনসো। আর দ্বিতীয়ার্ধে নামানো হয় আর্জেন্টাইন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুনোকে।
ঘরের মাঠে ম্যাচটিতে কিলিয়ান এমবাপের পেনাল্টি থেকে করা গোলে ১-০ গোলে জেতে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে তাদের দাপট ছিল আরও বেশি। বিভিন্ন ফুটবল ওয়েবসাইটের বিচারে, দলের নতুন চার ফুটবলারই পান সন্তোষজনক রেটিং।
আরও পড়ুন
মেসির সঙ্গেই অবসর নিতে চান সুয়ারেজ |
![]() |
পরে ম্যাচ শেষে আলোনসোও বলেন নিজের সন্তুষ্টির কথা।
“আমার মনে হয় না, বার্নাব্যুতে (রিয়ালের) শার্টের ওজন তাদের পারফরম্যান্সে কোনো (নেতিবাচক) প্রভাব ফেলেছে। তারা চার জনেই ভালো খেলেছে হয়তো দুর্দান্ত কিছু করেনি। তবে তারা নিখুঁত ছিল। কোনো ভুল করেনি এবং নার্ভাসও ছিল না দলের সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে।”
ক্লাবের অন্যান্য ফুটবলারদের সঙ্গে নতুন ৪ জনের সমন্বয় খুব ভালো হয়েছে বললেন আলোনসো।
“যারা (৩ জন) শুরু থেকে খেলেছে এবং দ্বিতীয়ার্ধে নামা মাস্তানতুনো দলের মধ্যে একটা এনার্জি যোগ করেছে। আগের থেকেই ক্লাবে থাকা ফুটবলারদের সঙ্গে তাদের সমন্বয়টা দারুণ। প্রথম ম্যাচ হিসেবে আমি অনেক ইতিবাচক দিক পেয়েছি।”
স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার পর এখন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামি- দীর্ঘ দিন একই ক্লাবে খেলার সৌজন্যে লিওনেল মেসির সঙ্গে খুবই গাঢ় বন্ধুত্ব লুইস সুয়ারেজের। দুজনই এখন আছেন ক্যারিয়ারের অন্তিম লগ্নে। আর সব ঠিক থাকলে মেসির সঙ্গে বিদায় জানাতে চান সুয়ারেজ।
গত দুই বছর ধরে মায়ামির জার্সিতে একসঙ্গে খেলছেন সুয়ারেজ ও মেসি। এর আগে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাব বার্সেলোনায় প্রায় ৬ বছর খেলেছেন দুই তারকা ফুটবলার। খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের বাইরে ব্যক্তি জীবনেও কাছের বন্ধু আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের এই দুই সুপারস্টার।
চলতি মৌসুমের পর বদলে যেতে পারে দুজনের ঠিকানা। কারণ মায়ামির সঙ্গে এখন ২০২৫ মৌসুম পর্যন্তই চুক্তিবদ্ধ সুয়ারেজ। মেসির সঙ্গেও তা-ই। তবে আর্জেন্টাইন জাদুকরের সঙ্গে আরও এক মৌসুম চুক্তি বাড়ানোর কথা ভাবছে মায়ামি।
সুয়ারেসের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত তেমন আলোচনা শোনা যায়নি। তবে উরুগুয়াইন স্ট্রাইকার এবার নিজ থেকেই দিলেন চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ইঙ্গিত। একইসঙ্গে তিনি বললেন, মেসির সঙ্গে অবসর নিতে চাওয়ার ইচ্ছার কথা।
“আমরা দু’জনই এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছি যেখানে নিজেদের ও পরিবারের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেব। অবশ্যই, আমি তার সঙ্গে অবসর নিতে চাই। এ বিষয়ে আমরা বহু বছর ধরে কথা বলছি। কিন্তু এটা নির্ভর করবে আমরা নিজেরা কী সিদ্ধান্ত নিই তার ওপর।
“আমি এখানে সুখে আছি, শারীরিকভাবে ভালো অনুভব করছি। যদি ক্লাব চায় আমি এখানে অবসর নেই, তাতে কোনো সমস্যা হবে না।”
লিগস কাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ভোরে টিগ্রেসের মুখোমুখি হবে মায়ামি।
লিভারপুলের সাফল্যময় মৌসুমে বড় অবদান রেখে নিজের অর্জনের ঝুলিতে আরও একটি সাফল্যের পালক যুক্ত করলেন মোহামেদ সালাহ। প্রফেশনাল ফুটবলারস এসোসিয়েশনের (পিএফএ) বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতে তিনি গড়লেন নতুন ইতিহাস।
পিএফএ এওয়ার্ড-২০২৫ অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় সালাহর হাতে। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কারটি তিনবার জিতলেন মিসরের জাদুকর। এর আগে ২০১৮ ও ২০২২ সালেও তিনি পান এই স্বীকৃতি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে লিভারপুলকে শিরোপা জেতানোর পথে ১৮ অ্যাসিস্টের সঙ্গে ২৯ গোল করে ওই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন সালাহ। যার সুবাদে প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা ফুটবলার এবং ফুটবল রাইটার্স এসোসিয়েশনের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার আগেই জেতেন তিনি।
এবার পিএফএ'র বর্ষসেরা হওয়ার পথে সতীর্থ অ্যালেক্সিস ম্যাক-আলিস্তার, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ব্রুনো ফার্নান্দেস, নিউ ক্যাসলের অ্যালেক্স আইজ্যাক, চেলসির কোল পালমার ও আর্সেনালের ডেক্লান রাইসকে পেছনে ফেলেন সালাহ।
তৃতীয়বার পিএফএ বর্ষসেরা নির্বাচিত হওয়ার পর, ছোটবেলায় মিসরে বেড়ে ওঠার সময় এমন সাফল্যের স্বপ্ন দেখেছিলেন কিনা জানতে চাওয়া হয় সালাহর কাছে। উত্তরে শৈশবের স্বপ্নের কথা বলেন ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
“অবশ্যই! আমি ফুটবলার হতে চেয়েছি এবং বিখ্যাত হতে চেয়েছি। নিজের পরিবারের জন্য কিছু করতে চেয়েছি। তবে মিসরে থাকতে আপনি এত বড় কিছু চিন্তা করতে পারেন না। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিন্তার পরিধি বাড়ে, স্বপ্নও বড় হয়।”
সালাহর ইতিহাস গড়ার দিনে পিএফএ'র বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন অ্যাস্টন ভিলার মিডফিল্ডার মর্গ্যান রজার্স। আর ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে অবদান ও অর্জনের জন্য পিএফএ মেরিট পুরস্কার জিতেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক কোচ গ্যারেথ সাউথগেট।
অ্যাস্টন ভিলার হয়ে তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার জেতা পঞ্চম ফুটবলার রজার্স। তার আগে এই সাফল্য পান অ্যান্ডি গ্রে, গ্যারি শ, অ্যাশলে ইয়াং ও জেমস মিলনার।
এছাড়া এর স্টিভেন জেরার্ড, ডেভিড ব্যাকহাম, ওয়েন রুনি, গ্যারেথ বেলের মতো তারকা ফুটবলাররাও জিতেছেন তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার। তাদের পথ ধরে সাফল্যময় ক্যারিয়ার গড়তে চান রজার্স।
মেয়েদের ফুটবলে পিএফএ বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন আর্সেনালের মিডফিল্ডার মারিওনা কালদেন্তে। আর তরুণ ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন তারই সতীর্থ অলিভিয়া স্মিথ।
দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারে কখনও নিজ দলে লিওনেল মেসিকে পাননি হোসে মরিনহো। তবে প্রতিপক্ষ দলে থাকা মেসিই তাকে কিনা নিজের দক্ষতা আরও বাড়াতে সাহায্য করেছে। কারণ মেসিকে ঠেকাতে প্রতিটি নতুন ম্যাচে নতুন করতে ভাবতে হয়ে মরিনহোর।
তরুণ বয়সের মেসিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রথম ২০০৩ সালে দেখেন মরিনহো। তখন পর্তুগালে নিজ দেশের ক্লাব এফসি পোর্তোর কোচ ছিলেন তিনি। এরপর ইন্টার মিলান ও চেলসির কোচ হিসেবেও মেসির মুখোমুখি হন মরিনহো।
আর পরে রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্ব নেওয়ার পর তো প্রতি মৌসুমেই মেসির জাদুকরী ফুটবল ঠেকানোর ছক কষতে হয়েছে 'স্পেশাল ওয়াল' খ্যাত এই কোচের। একের পর এক মৌসুমে মেসিকে আটকানোর এই চ্যালেঞ্জই কোচ হিসেবে মরিনহোকে করেছে আরও দক্ষ।
সম্প্রতি স্পোর্টিনেটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মরিনহো নিজেই বলেছেন এই কথা।
“মেসি আমাকে আরও ভালো কোচ হতে সাহায্য করেছে। কারণ, তার বিপক্ষে আমার দল যতবার খেলেছে, ততবারই সে আমাকে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করেছে।”
ফুটবল বিশ্বে নিয়মিতই আলোচনা হয়, কে আসলে সর্বকালের সেরা? স্বাভাবিকভাবেই মরিনহোর কাছেও জানতে চাওয়া হয় এই উত্তর। সরাসরি কোনো জবাব না দিয়ে বরং প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আলাদা হয় বলেন ৬২ বছর বয়সী কোচ।
“এই বিতর্ক আমার কাছে অন্যায্য মনে হয়। কেউ যখন এ নিয়ে কথা বলে, তখন আমার মেজাজ খারাপ হয়। নতুন প্রজন্ম এখনকার ফুটবলারদের সম্পর্কে জানে। কিন্তু পেলে, ইউসেবিও বা বেকেনবাওয়ারকে গভীরভাবে জানে না। অথচ তারা তাঁদের সঙ্গে এখনকার তুলনা করে।”
শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে একের পর এক আক্রমণ করে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু কাজ হলো না কিছুতেই। পার্থক্য গড়ে দিলো দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পাওয়া পেনাল্টি। একমাত্র গোলে জয় পেল রিয়াল।
স্প্যানিশ লা লিগায় ঘরের মাঠে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাতে হওয়া ম্যাচে ওসাসুনাকে ১-০ গোলে হারায় কার্লো আনচেলত্তির দল। পেনাল্টিতে জয়সূচক গোলটি করেন কিলিয়ান এমবাপে।
স্কোরলাইন মাত্র এক গোলের পার্থক্য দেখালেও,আরও অনেক দাপট দেখিয়েই শিরোপা পুনরুদ্ধার মিশন শুরু করে লস ব্লাংকোসরা।
পুরো ম্যাচে গোলের কোনো চেষ্টাই করেনি ওসাসুনা। নিজেদের রক্ষণ সামলানোর কাজে মন দিয়ে প্রায় সফলও হয়ে যায় তারা। বিপদ ঘটায় ৫১ মিনিটের পেনাল্টি।
ম্যাচ জুড়ে গোলের জন্য ১৮টি শট করে রিয়াল। এর ৫টি ছিল লক্ষ্য বরাবর। বিপরীতে ওসাসুনা ২টি শট করলেও লক্ষ্যে ছিল না কোনোটি। ম্যাচে তাই একরকম বেকার সময়ই কাটান থিবো কর্তোয়া।
প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ পেলেও গোলে রুপ দিতে পারেননি ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, এডের মিলিটাও, আলভারো কারেরাসরা। ফলে সমতায়ই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে শুরুতেই বড় সুযোগ। ডি বক্সের ভেতরে ফাউলের শিকার হন কিলিয়ান এমবাপে। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
২০১৬-১৭ মৌসুম থেকে শুরু লিগে এটি রিয়ালের ৮৫তম পেনাল্টি। এই সময়ে আর কোনো দল ৭০টির বেশি পেনাল্টি পায়নি।
স্পট কিক থেকে কোনো ভুল করেননি গত মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা এমবাপে।
বাকি সময়েও গোলের চেষ্টা অব্যাহতভাবে করতে থাকে রিয়াল। কিন্তু ওসাসুনার রক্ষণ ভাঙতে পারেনি তারা। ম্যাচের একপর্যায়ে কর্তোয়া ছাড়া বাকি ২১ ফুটবলারই ছিলেন ওসাসুনার অর্ধে।
শেষ বাঁশি বাজার কিছুক্ষণ আগে গনসালো গার্সিয়াকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন ওসাসুনার আবেল ব্রেতোনেস।
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে