২৮ জুলাই ২০২৫, ২:০০ পিএম
বছর দুয়েক আগে নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে হৃদয় ভেঙেছিল ইংল্যান্ডের। অবশেষে সেই আক্ষেপের মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে তারা। সুইজারল্যান্ডের বাসেলে অনুষ্ঠিত ইউরো নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা লড়াইয়ে স্পেনকে হারিয়ে ইউরোপ সেরা হলো ইংলিশ নারী দল।
এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ইউরো জিতল ইংল্যান্ডের মেয়েরা। ইউরোতে ইংল্যান্ডের আগে টানা শিরোপা জেতার কৃতিত্ব ছিল জার্মানির। ১৯৯৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৬ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা।
রবিবার অনুষ্ঠিত উইমেন’স ইউরো ২০২৫-এর রোমাঞ্চকর ফাইনালে নির্ধারিত সময় ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পর, টাইব্রেকারে স্পেনকে ৩-১ ব্যবধানে হারায় ইংল্যান্ড।
ম্যাচের প্রথমার্ধে স্পেনই এগিয়ে ছিল। ২৫ মিনিটে ওনা ব্যাটলের ক্রস থেকে হেডে গোল করেন মারিওনা কালদেন্তে। বিরতির আগে বল দখলে স্পেনের আধিপত্য ছিল স্পষ্ট তারা নেয় ২২টি শট, যার পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ক্লোয়ি কেলি। তার অ্যাসিস্টে হেডে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান অ্যালেসিয়া রুসো।
তাতে নির্ধারিত সময় শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়। অতিরিক্ত সময়েও দুই দল গোলের দেখা না পাওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে, যেখানে প্রথম চার শটের তিনটিই জালে জড়াতে পারেনি স্প্যানিয়ার্ড মেয়েরা। ইংল্যান্ড নিজেদের প্রথম চার শটের দুটি লক্ষ্যভেদ করে। পঞ্চম ও শেষ শটটি জালে জড়িয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেন কেলি।
এ জয়ের নেপথ্যে বড় ভূমিকা ইংল্যান্ডের ডাচ কোচ সারিনা ভাইগমানের। ২০১৭ সালে নেদারল্যান্ডসের কোচ হিসেবে ইউরো জেতার পর ইংল্যান্ডকে নিয়ে ২০২২ এবং এবার ২০২৫ সালে জিতলেন ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্ব।
ম্যাচ শেষে ভাইগমান বলেন, “পরিস্থিতি যেমনই হোক আমরা ম্যাচটা জিততে পারবো সেই বিশ্বাস আমাদের ছিল। আজ আমরা সেটাই করে দেখিয়েছি। আমি খেলোয়াড় ও স্টাফদের নিয়ে বেশ গর্বিত।”
২৮ জুলাই ২০২৫, ৪:৩৯ পিএম
২৭ জুলাই ২০২৫, ৮:৩৭ পিএম
২৭ জুলাই ২০২৫, ৩:৫৫ পিএম
২৭ জুলাই ২০২৫, ১:৩০ পিএম
গেল কিছু দিন থেকেই গুঞ্জনটা চলছে। বেতন নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের নতুন চুক্তি আটকে আছে বলেই জানাচ্ছে স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো। দিন যত যাচ্ছে পরিস্থিতি ততটাই ঘোলটে হচ্ছে। স্প্যানিশ গণমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো তো বলছে রিয়ালে ভিনিসিয়ুসের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী ভিনিসিয়ুস জুনিয়র প্রতি মৌসুমে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ইউরো আয় করেন এবং এই চুক্তি ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর। চুক্তির মেয়াদ এখনো দুই বছর থাকলেও মুন্দো দেপোর্তিভোর দাবি ভিনিসিয়ুসের দিক থেকে নতুন চুক্তির জন্য রিয়াল মাদ্রিদ বোর্ডকে জানানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রিয়ালও ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে রাজি হয়েছিল। তবে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের বড় অঙ্কের বেতন চাহিদায় রিয়াল নতুন চুক্তির আলাপ থেকে সরে আসে।
মুন্দো দেপোর্তিভো তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে, নতুন চুক্তিতে ভিনিসিয়ুস রিয়ালের সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া কিলিয়ান এমবাপের সমান পারিশ্রমিক চেয়েছেন। সাবেক পিএসজি তারকা চুক্তি অনুযায়ী বছরে ১৫ মিলিয়ন ইউরো পারিশ্রমিক পান, তবে এর সঙ্গে রয়েছে ফ্রি ট্রান্সফারে রিয়ালে যোগ দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সাইনিং বোনাস ৪০ মিলিয়ন ইউরো। যেটা পাঁচ বছরে তার বেতনের সঙ্গে যোগ হওয়ার কথা। সে হিসেবে প্রতি মৌসুমে অতিরিক্ত ৮ মিলিয়ন ইউরো যুক্ত হয় এমবাপের বেতনের সঙ্গে। তাতে সব মিলিয়ে এমবাপের বার্ষিক বেতন দাঁড়ায় ২৩ মিলিয়ন ইউরো।
ভিনিসিয়ুসও সমান ২৩ মিলিয়ন ইউরো বেতন চেয়েছেন। তবে তার এই চাওয়া পূরণ হচ্ছে না তা অনেকটা নিশ্চিত বলে জানাচ্ছে মুন্দো দেপোর্তিভো। বিশেষ করে গত কয়েক মাসে তার ফর্ম যার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে, এমবাপে ৪৪ গোল করে প্রথম মৌসুমেই জিতেছেন গোল্ডেন বুট। এই পারফরম্যান্সের পার্থক্য ও অতিরিক্ত বেতনের দাবির প্রেক্ষিতে রিয়াল মাদ্রিদ নাকি বেশ ক্ষেপেছে। মুন্দো দেপোর্তিভো বলছে, রিয়াল ভিনিসিয়ুসকে বিক্রি করার কথাও বিবেচনা করছে।
তবে সংবাদমাধ্যমটি ইঙ্গিত দিচ্ছে সামনের কয়েক সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে ভিনিসিয়ুস ও রিয়াল মাদ্রিদের সম্পর্কের ভবিষ্যতের জন্য। ব্রাজিলিয়ান তারকা যদি নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন, তাহলে হয়তো ক্লাব ছাড়তে হতে পারে তাকে।
প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি পর্বটা জয় দিয়ে শুরু করল বার্সেলোনা। রোববার জাপানে প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক ভিসেল কোবেকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে কাতালান ক্লাবটি। বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক এই ম্যাচে বেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। সব মিলিয়ে ২৪ জন খেলোয়াড়কে মাঠে নামান তিনি, যেখানে নতুন সাইনিং রুনি বার্দগি এবং লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা তরুণ পেদ্রো ফার্নান্দেজ গোল করে সব আলো কেড়ে নিয়েছেন।
এদিন ফ্লিকের প্রথম একাদশ ছিল যথেষ্ট শক্তিশালী, শুরু থেকেই মাঠে দারুণ সক্রিয় ছিলেন ১৮ বছর বয়সী তরুণ ফরোয়ার্ড লামিন ইয়ামিল, গোলের জন্য নেন একাধিক শট। পাশাপাশি অধিনায়ক রাফিনিয়াকে একটি গোলের সুযোগ তৈরি করে দেন স্প্যানিশ তারকা, তবে রাফিনিয়ার হেড ঠেকিয়ে দেন ভিসেল গোলরক্ষক দাইয়া মায়েকাওয়া।
বার্সার চাপ সামলে ভিসেল কোবেও লড়ে গেছে সমান তালে। বার্সার হাই লাইন ডিফেন্সকে বারবারই তারা চাপে ফেলে হাই প্রেসিং চালিয়ে। তবে মাঝ মাঠে গাভি ও পেদ্রির দারুণ নিয়ন্ত্রণে আধিপত্য ধরে রাখে বার্সা। যার ফল মেলে ৩৩তম মিনিটে। কর্নার থেকে বার্সাকে এগিয়ে দেন এরিক গার্সিয়া। তবে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। পাও কুবারসির ভুলের সুযোগ নিয়ে স্বাগতিকদের ম্যাচে ফেরায় তাইসেই মিয়াশিরো।
দ্বিতীয়ার্ধে ফ্লিক পুরো দল পরিবর্তন করেন। মাঠে নামান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ধারা আসে মার্কাস রাশফোর্ডকে। ইংলিশ ফরোয়ার্ড বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পাননি। সেই সঙ্গে সুযোগ দেন একাডেমির তরুণ ফুটবলারদের।
যার সুফলও মিলেছে। ৭৭তম মিনিটে চমৎকার গোলে দলকে এগিয়ে নেন বার্দগি। মাঝমাঠ থেকে রাশফোর্ডের থ্রু বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন লেভানদফস্কি। পোলিশ তারকার পাস পেয়ে প্রথম স্পর্শে বাঁ পায়ের নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ১৯ বছর বয়সী সুইডিশ উইঙ্গার বার্দগি।
ম্যাচের শেষ দিকে বার্সার জয় নিশ্চিত করেন লা মাসিয়ার প্রতিভাবান মিডফিল্ডার পেদ্রো ফার্নান্দেজ, যিনি বক্সের বাইরে থেকে এক দুর্দান্ত হাফ-ভলিতে বল জালে জড়ান।
গুঞ্জন ছিল চেলসি ছেড়ে জোয়াও ফেলিক্স ফিরতে পারেন তার পুরনো ক্লাব বেনফিকাতে। তবে আচমকাই সেটা বদলে যাচ্ছে বলেই খবর। পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ড নাকি ইউরোপই ছাড়ছেন। আর নতুন ঠিকানা হচ্ছে সৌদি আরবে। আর সেটা হতে যাচ্ছে স্বদেশী তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর ক্লাব আল নাসরে।
ইতালিয়ান সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো দিচ্ছেন তেমন কিছুরই আভাস। দুই পক্ষ এরই মধ্যে নাকি সমঝোতায়ও পৌঁছে গেছে। এই দলবদলে আল নাসর থেকে ৩০ মিলিয়ন ইউরো পাবে ফেলিক্স, তবে সেটা কয়েক ধাপে ৫০ মিলিয়ন পর্যন্ত পৌঁছাবে বলেও দাবি এই রোমানোর।
গত গ্রীষ্মে আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে প্রায় ৪৫ মিলিয়ন পাউন্ডে সাত বছরের চুক্তিতে ফেলিক্সকে দলে টানে চেলসি। ইংলিশ ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর থেকেই কঠিন সময় পার করছিলেন ফেলিক্স। ইংলিশ ক্লাবটির নতুন কোচ এনজো মারোস্কার অধীনে খুব একটা প্রভাব রাখতে পারেননি এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
তাতে এসি মিলানে ধারে পাঠানো হয় ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে। শুরুটা ভালো করলেও মিলান শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে স্থায়ী চুক্তিতে যেতে চায়নি। একই চিত্রের দেখা মিলেছিল বার্সেলোনায়ও। ২০২৩/২৪ মৌসুমে কাতালান ক্লাবটায়ও ধারে কাটিয়েছিলেন ফেলিক্স, তবে মেলেনি স্থায়ী চুক্তি।
তবে কয় বছরের জন্য ফেলিক্স নতুন চুক্তি করেছেন সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। আর দলবদলেফ খবরের জন্য বিখ্যাত সাংবাদিক রোমানোর দাবি, খুব শীঘ্রই আসবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
এক মাসও হয়নি মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন দিয়াগো জতা। পেশাদারিত্বের তাগিদে তার ক্লাব লিভারপুলকে এগিয়ে যেতে হচ্ছে স্বাভাবিক গতিতেই। তবে সেই শোকের আবহ এখনও রয়ে গেছে দলটির মাঝে। শনিবার হংকংয়ে এসি মিলানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের আগে ও ম্যাচ চলাকালীন তাই সাবেক পর্তুগাল ফরোয়ার্ডকে স্মরণ করেছে ইংলিশ ক্লাবটি।
গত ৩ জুলাই স্পেনে গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত জতা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভার স্মৃতিতে কিক-অফের আগে লিভারপুলের সমর্থকরা “ডিজে (দিয়াগো জতা) ২০” লেখা একটি মোজাইক প্রদর্শন করেন গ্যালারিতে। এরপর ক্লাবটির সাবেক ফুটবলার কেনি ডালগ্লিশ মাঠে একটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দুই ভাইয়ের স্মৃতিতে। আর লিভারপুলের খেলোয়াড়রা ‘দিয়াগো জতা ২০’ প্যাচ লাগানো জার্সি ও কালো আর্মব্যান্ড পরিহিত অবস্থায় ছিলেন।
প্রীতি ম্যাচ হলেও ৫০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার কাই ট্যাক স্টেডিয়ামে মিলানের বিপক্ষে ম্যাচে লিভারপুল সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকেই প্ল্যাকার্ড, স্কার্ফ, পতাকা ও ব্যানার নিয়ে এসেছিলেন, যার বড় একটা অংশ জুড়েই ছিলেন জতা।
ম্যাচে মিলান ফরোয়ার্ড ও জতার পর্তুগাল জাতীয় দলের সতীর্থ রাফায়েল লেয়াও গোল করার পর আঙুল দিয়ে ‘২’ ও ‘০’ দেখিয়ে শ্রদ্ধা জানান জতাকে। লড়াইয়ে ইতালিয়ান ক্লাবটি জেতে ৪-২ গোলে।
ম্যাচের পর হংকংয়ের লিভারপুল সমর্থক জো লিউং বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান জতাকে হারানোর শোকের কথা। “জতার মৃত্যু আমাদের জন্য খুব দুঃখজনক একটি ঘটনা। আমি খবরটা দেখেই খুবই অবাক হয়েছিলাম। তাকে শ্রদ্ধা জানাতে আমরা পুরো পরিবার মিলে একটা প্ল্যাকার্ড বানিয়েছি।”
অন্যদিকে লিভারপুল জানিয়েছে, নতুন মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে তারা ‘ফরেভার ২০’ ইমব্লেম যুক্ত জার্সি একটি পরবে। এছাড়া সমর্থকরা ক্লাব স্টোর থেকে “দিয়াগো জতা ২০’ লেখা জার্সি কিনতে পারবেন, যা থেকে প্রাপ্য লভ্যাংশ যাবে ক্লাবের অফিসিয়াল চ্যারিটি সংস্থা এলএফসি ফাউন্ডেশনে।
মৌসুম শুরুর আগে লিভারপুল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে জাপানে যাবে ইয়োকোহামা এফএম-এর মুখোমুখি হতে, যা মাঠে গড়াবে আগামী বুধবার। এরপর আগামী ১ আগস্ট ঘরের মাঠে বোর্নমাউথের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ধরে রাখার লড়াই শুরু করবে আর্নে স্লটের দল।
ভারত জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন জাভি হার্নান্দেজ ও পেপ গার্দিওলা – সম্প্রতি চাউর হওয়া এই খবরে ফুটবল বিশ্বে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। এর মধ্যে একজনের প্রতিনিধি এরই মধ্যে বিষয়টিকে স্রেফ গুজব বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন। বিব্রতকর এই পরিস্থিতিতে এবার মুখ খুলেছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)। তারা জানিয়েছে, কোচ হওয়ার জন্য এই দুজনের নামে আসা আবেদনপত্রগুলো ভুয়া ছিল।
২০২৪ সালে বার্সেলোনা প্রধান কোচের চাকরি হারানোর পর থেকেই ক্লাবহীন আছেন জাভি। হুট করেই আলোচনায় চলে আসেন গত শুক্রবার, যখন দলবদলের খবরের জন্য বিখ্যাত সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো দাবি করেন, জাভি নাকি ভারতের কোচ হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন, যা পরে নাকচ হয়ে যায় আর্থিক কারণে। এরপর খবরে আসে ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলার নামও, যা রীতিমত বিস্ময়ের জন্ম দেয়।
এসবের প্রেক্ষিতে গত শনিবার এক বিবৃতিতে এআইএফএফ নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে।
“স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্দিওলা ও জাভি হার্নান্দেজের নামে পাওয়া আবেদনপত্রগুলোর কোনো সত্যতা যাচাই করা যায়নি। ফলে এটা এখন স্পষ্ট যে, এগুলো আমাদের কাছে ভুয়া ইমেইল থেকে পাঠানো হয়েছিল।”
যদিও এর আগে দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া-কে এআইএফএফ-এর ন্যাশনাল টিম ডিরেক্টর বলেছিলেন, ভারত জাতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য জাভির নাম রয়েছে আবেদনকারীদের তালিকায়। আর বোর্ডের এক সদস্য বলেছিলেন, জাভিকে নিয়োগ দেওয়া অতিরিক্ত ব্যয়বহুল হবে বলে সেটা বাতিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে স্প্যানিশ গণমাধ্যম স্পোর্ত জাভির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে এআইএফএফের দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে অভিযোগ করে। একই প্রতিবেদনে তারা আরও জানায়, ভারতের ফুটবল ফেডারেশন নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে জাভির নাম ব্যবহার করেছে, যেন সেই সূত্র ধরে হাই প্রোফাইল কোচদের আকর্ষণ করা যায়। অবশ্য আরেক সাবেক বার্সেলোনা কোচ গার্দিওলাকে নিয়ে সেভাবে আলোচনা হয়নি।