২০ এপ্রিল ২০২৫, ১:৩১ পিএম

কার্লো আনচেলত্তি নিজে বারবার বলছেন, চুক্তির মেয়াদের শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদেই থেকে যেত চান তিনি। তবে বাস্তবতা আভাস দিচ্ছে ভিন্ন কিছুরই। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে দলটির আকস্মিক বিদায়ের পর। দা আথলেতিক এর প্রতিবেদনেও এবার দাবি করা হয়েছে, খুব দ্রুতই রিয়ালের ডাগআউটে শেষ হচ্ছে আনচেলত্তির অধ্যায়।
শুধু তাই নয়, সেখানে আরও বলা হয়েছে আনচেলত্তির পরবর্তী গন্তব্য নিয়েও। আর সেখানে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে ব্রাজিল জাতীয় দলই, যারা আগেও কয়েকবার চেষ্টা করেছে ইতালিয়ান কোচকে নিয়োগ দেওয়ার।
গত মার্চে আথলেটিকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে, ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য আনচেলত্তিকে কোচ হিসেবে পেতে আগ্রহী ব্রাজিল। সংক্ষিপ্ত তালিকায় আরও আছেন আল হিলাল প্রধান কোচ জর্জ জেসুসও। তবে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) আনচেলত্তিকে কোচ হিসেবে পাওয়াকে সভাপতির একটা স্বপ্ন বলে উল্লেখ করেছে।
আরও পড়ুন
| রিয়ালেই থেকে যেতে চান আনচেলত্তি |
|
রিয়ালের সাথে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ রয়েছে আনচেলত্তির। দুই মেয়াদে ক্লাবটিতে কাজ করার সুবাদে দলটির প্রতি তার আলাদা এক ভালবাসা তৈরি হয়েছে। আর তাই সাবেক এসি মিলান কোচের সামনে সুযোগ থাকবে ভিন্ন ভূমিকায় রিয়ালে থাকার ও কাজ করার। তবে আপাতত ঠিকানা বদল করতে হলে তার প্রথম পছন্দ ব্রাজিলের কোচ হওয়া, এমনটাই দাবি আথলেতিকের।
গত মার্চে দরিভাল জুনিয়রকে বরখাস্ত করেছে ব্রাজিল। এরপর থেকেই আলোচনায় আসছে আনচেলত্তির তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার খবর। ৬৫ বছর বয়সী এই কোচ অবশ্য স্পষ্ট করে বলেছেন, ক্লাবের বোর্ড যদি তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়, কেবল তখনই তিনি রিয়াল ছেড়ে যাবেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের সাথে তার অগ্রিম আলোচনা চলছে বলেই খবর।
এর মূল কারণ, ব্রাজিল পরবর্তী আন্তর্জাতিক বিরতির আগেই নতুন কোচ নিয়োগ দিতে আগ্রহী। ফলে রিয়ালকে খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তারা আনচেলত্তিকে ধরে রাখতে চায় কিনা। গুঞ্জন রয়েছে, আগামী ২৬ এপ্রিল বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা দেল রের ফাইনালের পর এই বিষয়ে আলোচনায় বসবে ক্লাব ও আনচেলত্তি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ আটে আর্সেনালের কাছে ৫-১ ব্যবধানে হেরে বিদায় নেওয়া রিয়াল লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে সাত ম্যাচ হাতে রেখে পিছিয়ে আছে সাত পয়েন্টে।
আরও পড়ুন
| নতুন খেলোয়াড় কেনায় সিটির ভোগান্তি দেখছেন গার্দিওলা |
|
গত মৌসুম থেকেই রিয়ালের ভবিষ্যৎ কোচ হিসেবে সম্ভাবনাময় হিসেবে বারবার এসেছে জাবি আলোনসোর নাম। লেভারকুসেনের এই কোচ অতীতে খেলেছেন রিয়ালের জার্সিতে। সাবেক স্পেন মিডফিল্ডারকেই এখন ধরা হচ্ছে আনচেলত্তির স্থলাভিষিক্ত হওয়ার শীর্ষ পছন্দ নিয়ে।
No posts available.

নেপালের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ১৩ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। আজ রাত পৌনে ৯টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশের পরবর্তী প্রতিপক্ষ ভারত। ১৮ নভেম্বর হবে সে ম্যাচ। এএফসি থেকে দু’দলের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। ঢাকার ম্যাচটি এক অর্থে নিয়মরক্ষার।
প্রতিবেশী ভারতের মুখোমুখির আগে নেপালের বিপক্ষে প্রস্তুতি সারতে চায় হাভিয়ের কাবরেরার দল। গত ৬ সেপ্টেম্বর দশরথ স্টেডিয়ামে তাদের অতিথি ছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা। গোলশূন্য ড্র হয়েছিল সে ম্যাচ। সফরের দ্বিতীয় ম্যাচ গড়ানোর কথা ছিল ৯ সেপ্টেম্বর, কিন্তু নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতায় মাঠে গড়ায়নি ম্যাচটি।
হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমদের আগমনে বাংলাদেশ ফুটবল পেয়েছে হারানো জৌলুস। স্টেডিয়াম ভরা দর্শকের সামনে খেলতে পারছেন লাল-সবুজেরা। কিন্তু নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে সেটি ধরে রাখা যাবে কতটা, এ নিয়ে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক ফুটবলার আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু ও জাহিদ হাসান এমিলি।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের অন্যতম লক্ষ্য উন্নতি। সেক্ষেত্রে নেপালের সঙ্গে খেলা কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে কথা হয়েছে সাবেক ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলির সঙ্গে। বুধবার সন্ধ্যায় টি-স্পোর্টসকে এই স্ট্রাইকার বলেন,
‘আমার মনে হয় আফগানিস্তান ঠিক ছিল। তাদের বিপক্ষে খেললে ভালো হতো। এক্ষেত্রে নেপালকে না এনে বড় কোনো দলের বিপক্ষে খেললে সেটি আমাদের জন্য মঙ্গল। বড় দলের বিপক্ষে খেললে আমাদের উন্নতি হবে, জিতলে র্যাঙ্কিং বাড়বে। নেপালের বিপক্ষে আমরা প্রায়ই খেলি। মানুষের আগ্রহের কথা চিন্তা করে হলেও বড় দল আনা উচিত। এখানে সময় স্বল্পতার কোনো ব্যাপার আছে কিনা, সেটা আমি জানি না।’
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ- বিষয়টি মানতে কষ্ট হচ্ছে সাবেক ফুটবলার আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নুর। তিনি বলেন,
‘অবশ্যই ভালো কাউকে (দল) আনা উচিত ছিল। এতদিন তারা (বাফুফে) কি করছে, ফেডারেশনের কাজ কী। এ সব টিম এনে আই-ওয়াশ করা হচ্ছে। তারা বুঝাচ্ছে, আমরা অনেক উন্নতি করছি। ভালো টিম আগমনে আমাদের খেলোয়াড়েরা শিখত। মানুষের আগ্রহে থাকত। এদের কর্মকাণ্ডে আমরা খুশি নই।’

মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে দুর্দান্ত প্রতাপ দেখাচ্ছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। বল নেওয়া-দেওয়া কিংবা বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণ গড়ে তোলা—সব কিছুতে জো তুলেছেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর শ্বাসরুদ্ধকর সেই ম্যাচের শেষ দিকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয় ভিনিকে।
বার্সেলোনার বিপক্ষে রাইভালকালে মাঠ ছাড়ার সময় ভিনিকে বেশ বিরক্ত হয়ে দেখা যায়। কোচ জাবি আলোনসোর উদ্দেশ্যে উত্তপ্ত বাক্য ব্যবহার করেন তিনি। এ ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়।
লা লিগার ২৬ অক্টোবরের ম্যাচে একটি হলুদ কার্ড পেয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী ভিনি। ব্রাজিলিয়ান তারকাকে নিয়ে বাড়তি ঝুঁকি নিতে চাননি আলোনসো। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে না পারলেও, ওই দিনের ঘটনার জন্য জনসমক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ভিনি।
সামাজিক মাধ্যমে এক্সে আজ ব্রাজিলের রিয়াল ফরোয়ার্ড লিখেছেন,
‘সেদিনের (এল ক্লাসিকো) ঘটনার জন্য রিয়াল মাদ্রিদের সকল ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাই। আজ ট্রেনিংয়ের সময়ও কাজটি (ক্ষমা চাওয়া) করেছি। আমি আমার টিমমেটদের কাছে আবারও ক্ষমা চাচ্ছি। এমনকি ক্লাব এবং ক্লাবের প্রেসিডেন্টের কাছে একইরূপে ক্ষমা চাচ্ছি।’
ভিনি আরও লিখেছেন,
‘আমি সবসময় জিততে চাই। দলের জয়ে অবদান রাখতে চাই। আমার এমন প্রতিযোগিতামূলক আচরণের মূলে ক্লাব এবং ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা। আমি ওয়াদা করছি, প্রতিটি সেকেন্ড মাদ্রিদের জন্য লড়াই করে যাব।’
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচেও বেশ কয়েকবার তর্কে জড়ান ভিনি। ম্যাচ শেষেও তেড়ে যান লামিন ইয়ামালের দিকে। সেদিনের গোলমাল শেষে
‘শান্তির বার্তা’ দিয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস। সমর্থকদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান দেখানোর কথা বলেছিলেন তিনি, ‘সব মাদ্রিদিস্তাদের জন্য, বিশেষ করে যারা বার্নাব্যুয়ে এসে প্রাণভরে আমাদের সমর্থন করেছেন। এটাই এল ক্লাসিকো, যেখানে মাঠে ও মাঠের বাইরে অনেক কিছুই ঘটে। আমরা সবসময় ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করি, কিন্তু অনেক সময় সম্ভব হয় না।’
ভিনিসিয়ুস আরও যোগ করেন,
‘আমাদের কারও প্রতি অসম্মান দেখানোর কোনো ইচ্ছা নেই—না তরুণ খেলোয়াড়দের, না সমর্থকদের প্রতি। আমরা জানি, যখন মাঠে নামি, তখন নিজের ভূমিকা ঠিকভাবে পালন করতে হয়, আর আজ সেটাই করেছি।’
সেদিন ভক্তদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার পর আজ আবারও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তবে এবার তার বার্তায় ছিল প্রতিজ্ঞা—দলের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়।

কারাবাও কাপে আগামীকাল রাত পৌনে দুইটায় সোয়ানজি সিটির মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচটি দুই পক্ষের জন্য ডু অর ডাই। শেষ আট নিশ্চিতের লক্ষ্যে সোয়ানজি স্টেডিয়ামে সিটিজেনদের আতিথেয়তা দেবে সোয়ানজি।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। তিনি জানালেন, ম্যানসিটি তাদের খেলার ধরণ বদলাবে না। অন্য দলের প্রতি সম্মান রেখেই কথাগুলো বলেন স্পেন কোচ।
গার্দিওলা বলেন,
‘প্রতিটি ম্যানেজার যেটা বিশ্বাস করে, আমিও তাই। আমিও চাই কর্নার এবং ফ্রি কিক থেকে গোল পেতে। তবে, আমি চাই নিজেদের খেলা আরও উন্নতি করতে, আক্রমণে ধার বাড়াতে, সুযোগ তৈরি করতে এবং গোল করতে। আমাদের আরও আগ্রাসী ফুটবল খেলা উচিত। আমি আমার পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে যেভাবে কাজ করেছি, এখনো সেটাই করছি।’
২০১৭ সালের মতো চলতি প্রিমিয়ার লিগেও ম্যাচপ্রতি গড়ে ২.৬ টি করে গোল হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি গোলের জন্য ৫৫ মিনিট করে খেলা হচ্ছে। সবশেষ সিটিজেনদের বিপক্ষে জয়ে অ্যাস্টন ভিলার জয়টি ছিল ১-০ গোলে। সেটপিস থেকে গোলটি করেন ম্যাটি ক্যাশ।
গার্দিওলা জানান, সিটি এখন কর্নার ও ফ্রি-কিকের সময় রক্ষণভাগে আরও সংগঠিত হওয়ার অনুশীলন করছে। এর পেছনে তিনি কোচ জেমস ফ্রেঞ্চকে প্রশংসা করেছেন, যিনি খেলোয়াড়দের সঠিক কৌশল শেখাচ্ছেন যাতে প্রতিপক্ষের হেডারভিত্তিক আক্রমণ সামলানো যায় আরও সহজে।
নটিংহ্যাম ফরেস্টের কোচ শন ডাইচের প্রসঙ্গ আনেন গার্দিওলা। বার্নলি থাকাকালীন ডিফেন্স অক্ষুণ্ন রেখে বেশ সুনাম কুড়ান এই ইংলিশ কোচ। এ নিয়ে গার্দিওলা বলেন,
‘শন ডাইচের বার্নলি থাকাকালীন সময়ের কথা বলতেই হয়। বার্নলিতে থাকাকালীন লং পাসে প্রচ্ছন্ন হুমকি ছিল দলটি। এ ধরনের কাজের জন্য ডাইচ সেরা। এটা নতুন কিছু নয়, তিনি আগেও করতেন।’

লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা তরুণ ফুটবলার হুয়ান হার্নান্দেজ চলতি মৌসুম পর্যন্ত বার্সেলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। ১৮ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ প্রতিভা মৌসুম শেষে ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবেন। সুযোগটিই কাজে লাগাতে চায় প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। ফরাসি জায়ান্ট ক্লাবটির কোচ লুইস এনরিকে ইতিমধ্যেই নজর দিয়েছেন হার্নান্দেজের দিকে।
মুন্দো দেপোর্টিভো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হার্নান্দেজের জন্য নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে পিএসজি। নিজেদের মিডফিল্ডের সমস্যা সমাধান এবং দলকে আরও শক্তিশালী করতে চ্যাম্পিয়ন লিগ জয়ীরা যে কোনো মূল্যে দলে ভিড়াতে চায় এই স্পেন তরুণকে।
এ মুহূর্তে হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে নিয়মিত অনুশীলনে অংশ নিচ্ছেন হার্নান্দেজ। চলতি মাসের বার্সেলোনার স্কোয়াডেও ছিলেন তিনি। যদিও ন্যু ক্যাম্পের মূল দলের হয়ে এখনো অভিষেক হয়নি তাঁর। তবে হার্নান্দেজ যে বার্সার প্রিয়জন ও প্রয়োজন, তা তাঁর প্রতি ফ্লিকের আগ্রহ দেখেই বুঝা যায়।
স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে, ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি হার্নান্দেজের। এখন পর্যন্ত নতুন চুক্তি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি তাঁর এজেন্ট কিংবা ন্যু ক্যাম্প কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে চুপ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ন্যু ক্যাম্প কিছু না জানালে, হার্নান্দেজ ফ্রি ট্রান্সফার হয়ে পড়লে বিপাকে পড়তে হতে পারে বার্সেলোনাকে। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চায় পিএসজি। তারা বেশ আগ্রহী হার্নান্দেজের জন্য।
একসময় বার্সেলোনার কোচ ছিলেন লুইস এনরিকে। তাঁর ভালোই জানা ক্লাবটির একাডেমি সম্পর্কে। এমনকি তিনি ব্যক্তিগতভাবে হার্নান্দেজকে মনিটরিং করেছেন। পিএসজি কোচ বেশ ভালোভাবেই জানেন, হার্নান্দেজ তাঁর কাছে এলে একে তো পিএসজির সুবিধা, তার মধ্যে স্পেন উড়তি তরুণের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে।
হার্নান্দেজের রিলিজ ক্লোজ ৬ মিলিয়ন ইউরো। অর্থাৎ যে কোনো দল চাইলে এই টাকা খরচ করে তাঁকে দলে ভিড়াতে পারবে। তবে পিএসজির চাওয়া বার্সার সঙ্গে চুক্তি শেষ হলেই তাঁকে দলে টেনে নেবে।
দেখার বিষয় হার্নান্দেজ বার্সাতেই থাকবেন, নাকি সাবেক গুরুর ক্লাবে ভিড়বেন। এর জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে মৌসুমের শেষ পর্যন্ত।

আগামী ১৩ নভেম্বর ঢাকায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ম্যাচটি হচ্ছে না। বিকল্প হিসেবে নেপালকে আনছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। আর ১৮ নভেম্বর ঢাকায় হবে ভারতের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ।
ওই দুটি ম্যাচ খেলতে নভেম্বরের ৯ তারিখ ঢাকায় আসবেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। আজ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান।
আর জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে কাল খেলোয়াড়দের রিপোর্টিংয়ের জন্য বলা হয়েছে।
নতুন কেউ দলে আসছেন কি না এ বিষয়ে আমের খান বলেছেন হংকং, চায়না ম্যাচের স্কোয়াড নিয়েই কাজ করবেন তাঁরা। তবে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা থাকছেন না কাল থেকে। শিগগিরই স্প্যানিশ কোচ দেশে আসবেন বলে জানান জাতীয় দলের ম্যানেজার।
এএফসি বাছাইয়ে আগের দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেন ফাহামিদুল ইসলাম। তাঁকে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে পাওয়া যাবে না। তবে ১৩ তারিখের প্রীতি ম্যাচে খেলতে পারবেন ইতালির ফোর্থ টায়ারের ক্লাব অলবিয়া এফসির হয়ে খেলা এই ফরোয়ার্ড। যে কারণে ফাহামিদুলের দেশে আসার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বাফুফের একটি সূত্রে জানা গেছে, যেহেতু ভারত ম্যাচে খেলতে পারবেন না সেহেতু ১৩ তারিখের প্রীতি ম্যাচের জন্য তাঁকে ডাকা হবে না।
হামজার ৯ তারিখের আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেই বলেছেন আমের খান। ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে ৮ নভেম্বর হামজার দল লেস্টার সিটি ম্যাচ খেলবে নরউইচ সিটির বিপক্ষে। ওই ম্যাচটি খেলেই দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বাংলাদেশের 'নম্বর এইট'।
তবে শমিত সোমের দেশে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কানাডা প্রিমিয়ার লিগে তাঁর দল কাভালরি এফসি ৩ নভেম্বর ম্যাচ খেলবে। নভেম্বর উইন্ডোতে আন্তর্জাতিক বিরতির আগে সেটিই শমিতদের শেষ ম্যাচ। এরপরই তিনি দেশে আসতে পারবেন।