
লা লিগায় অবনমন অঞ্চলে থাকা জিরোনার বিপক্ষে হোঁচট খেয়ে লিগে টানা তিন ম্যাচ ড্র করল রিয়াল মাদ্রিদ। দলের এমন ফলাফলে বিরক্ত কিলিয়ান এমবাপে। ইতোমধ্যে তিনি জানিয়েছেন, রিয়ালের এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া উচিত।
জিরোনার বিপক্ষে ড্রয়ের ম্যাচে একমাত্র গোলটি আসে ফরাসি ফরোয়ার্ড এমবাপের পা থেকে। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ফাউলের শিকার হলে স্পটকিক নেন তিনি।
লা লিগার সর্বোচ্চ গোলস্কোরার এমবাপে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবার্ট লেভানডফস্কির (৮) চেয়ে তার চারটি গোল বেশি। এদিন অবশ্য আরও একটি কীর্তি গড়েছেন এমবাপে। ফুটবলের এক ক্যালেন্ডার বছরে ৬০টি গোল করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের এই রাইট উইঙ্গার।
একবিংশ শতাব্দীতে ক্যালেন্ডার বছরে ৬০-এর বেশি গোল করেছেন ইন্টার মিয়ামির আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি, সৌদি প্রো-লিগের ক্লাব আল হিলালের পর্তুগাল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং পোলিশ ফরোয়ার্ড লেভানডফস্কি।
এক বর্ষপঞ্জিতে ফ্রান্সের হয়ে এর আগে এলিট ক্লাবে নাম লেখান ফন্টেইন। তিনি ১৯৫৮ সালে প্রথম ফরাসি খেলোয়াড় হিসেবে এই কীর্তি গড়েন।
No posts available.
১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩:২৮ পিএম

২০২৫–২৬ মৌসুম শেষে ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবেন মার্ক গেইহি। ক্রিস্টাল প্যালেসের এই ডিফেন্ডারকে পেতে ইতোমধ্যে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে গেছে। বিশেষ করে ইউরোপের বড় চার ক্লাব—বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, লিভারপুল, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এবং সিরিআর জুভেন্টাস—গেইহির জন্য রশি টানাটানি শুরু করে দিয়েছে।
২০২১ সালে চেলসি থেকে রেকর্ড দামে ইংলিশ ক্লাব ক্রিস্টাল প্যালেসে যোগ দেন আইভরি কোস্টের সেন্টারব্যাক গেইহি। ক্লাবটিতে পাঁচ বছর অতিবাহিত করা এই তারকা আগামী বছর ফ্রি এজেন্ট হবেন। তিনি চাচ্ছেন না আর ক্রিস্টাল প্যালেসের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে।
ক্রিস্টাল প্যালেসের সভাপতি ওলিভার গ্লাসনার জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের জুনে গেইহির ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি শেষ হবে। ক্লাবের পক্ষ থেকে চুক্তি বাড়ানোর প্রস্তাব থাকলেও গেইহি আগ্রহী নন।
ফ্রি এজেন্ট হওয়ার সুযোগটা কাজে লাগাতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ সবচেয়ে এগিয়ে। ২৫ বছর বয়সী এই তারকাকে ভিড়াতে বড় অংকের টাকা নিয়ে প্রস্তুত স্পেনের ক্লাব। মার্কা জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই গেইহির এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে তারা।
কানাঘুষা চলছে, একটা সময় ইব্রাহিমা কোনাতের প্রতি আগ্রহ দেখালেও সেটা থেকে পিছপা হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ক্লাবটির নজর এখন গেইহির ওপর। আইভরি কোস্টের এই ডিফেন্ডার হতে পারেন রিয়াল ডিফেন্সের প্রধান অস্ত্র। বর্তমানে অ্যান্টোনিও রুডিগার ও ডেভিড আলাবা ক্রমশ ইনজুরিতে পড়ছেন এবং আগামী বছর জুনে তাঁদের চুক্তি শেষ হবে।
গত গ্রীষ্মে ডিন হুইসেন রেকর্ড ফিতে আনা হয়েছিল এবং তিনি এডার মিলিতাও-র সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ডিফেন্স লাইন আরও শক্তিশালী করতে মার্ক গেইহি হতে পারেন এক আকর্ষণীয় বিকল্প।

লামিন ইয়ামালের বাবা মুনির
নাসরাউয়ি মরক্কোর নাগরিক এবং মা শেইলা ইকুয়েটোরিয়াল গিনির। তিনি নিজে স্পেনে জন্মগ্রহণ
করেছেন। তিনটি শিকড়ই তিনি কখনো ভুলেন না। সুযোগ পেলে বা কোনো সাক্ষাৎকারে প্রায়ই
এই তিনটি স্থানের কথা উল্লেখ করেন ইয়ামাল।
এবার যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস নিউজের একটি শোতে উপস্থিত হয়ে ইয়ামাল জানালেন কেন তিনি মরক্কো বদলে স্পেন ফুটবল দলকে বেছে নিয়েছেন।
বার্সেলোনার ১৮ বছর বয়সী রাইট উইঙ্গার বলেছেন,
“আমি মরক্কোর হয়ে খেলব ভেবেছিলাম। তখন মরক্কো বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠে।” তবে যখন সুযোগ আসে, অর্থাৎ জাতীয় দল বাছাইয়ের সুযোগ আসে, তখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন ইয়ামাল। তিনি বলেন, “আমার কোনো সন্দেহ নেই যে মরক্কোর প্রতি আমার পূর্ণ ভালোবাসা ও সম্মান রয়েছে। আমি আসলে ইউরোপে খেলতে চেয়েছিলাম।”
নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি বলেন,
“বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দেখা হয় ইউরোপিয়ান ফুটবল এবং আমি বিশ্বাস করি এখানকার খেলা আন্তর্জাতিক মানের।”
মরক্কোর প্রতি সবসময় পূর্ণ সম্মান থাকবে ইয়ামালের। তিনি বলেন,
“মরক্কোর প্রতি ভালোবাসা সবসময়। কারণ এটা আমার দেশ। কিন্তু আমি স্পেনে বেড়ে উঠেছি। আমি মনে করি এটাও আমার দেশ।”
ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে ইয়ামাল বলেন,
“আমার কোনো প্রত্যাশা নেই। আমি শুধু খেলা নিয়েই ভাবি। কোনো প্রত্যাশা বা উচ্চাশা নিয়ে নয়। আমি মনে করি প্রত্যাশা জিনিসটা খারাপ।”

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাই শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ। গত ২২ থেকে ৩০ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত চীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘এ’ গ্রুপের খেলা । গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল চীন, বাহরাইন, ব্রুনাই, তিমুর লেস্তে ও শ্রীলঙ্কা।
আজ সোমবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় লাল-সবুজের দল। সেখানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বাংলাদেশ দলকে স্বাগত জানান।
বাছাইপর্বে দুর্দান্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে ৫-০, ব্রুনাইয়ের বিপক্ষে ৮-০, শ্রীলংকার বিপক্ষে ৫-০ এবং বাহরাইনের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে নিজেদের শক্তির প্রমাণ দেয় লাল সবুজের কিশোররা। তবে শেষ ম্যাচে স্বাগতিক চীনের কাছে ৪-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয় কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যদের।
প্রতিযোগিতাজুড়ে অনবদ্য পারফরম্যান্স দেখালেও শেষ ম্যাচের হারই থামিয়ে দেয় বাংলাদেশের মূল পর্বে যাওয়ার সুযোগ।

লা লিগার রেফারি নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের অভিযোগ অনেকদিনের। সবশেষ মৌসুমে তো কোপা দে রের ফাইনালের আগে ম্যাচ বর্জনের সিদ্ধান্তও নাকি নিয়েছিল স্প্যানিশ জায়ান্টরা, এমনটাই গুঞ্জন রটে। বিশেষ করে রিয়াল মাদ্রিদ টিভি ম্যাচের আগে রেফারি নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ তুলে।
গত মৌসুমের ধারায় নতুন মৌসুমেও রেফারি নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে আসছে রিয়াল। গতকাল লা লিগায় জিরোনার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করা ম্যাচে রেফারির কয়েকটি সিদ্ধান্ত ম্যাচের ফল পরিবর্তনে প্রভাব রেখেছে বলে মনে করছে রিয়াল মাদ্রিদ টিভি।
সবশেষ লিগের তিন ম্যাচে জয়হীন থাকা রিয়াল মাদ্রিদ জিরোনার বিপক্ষে গোল হজমের আগে পেনাল্টির দাবী করে। অবশ্য প্রতিপক্ষের বক্সে এমবাপের ওপর সম্ভাব্য ফাউল এড়িয়ে যান রেফারি রিকার্ডো ডে বারগোস। নিজেদের মাঠে জিরোনা এগিয়ে যাওয়ার পর রিয়াল সমতায় ফিরে পেনাল্টি গোলেই। এরপর ১-১ ব্যবধানে সমতায় থাকা ম্যাচে আরেকবার পেনাল্টির দাবি জানায় রিয়াল। এবারও ভিএআরে দেখার প্রয়োজন মনে করেননি রেফরি।
রেফারির সিদ্ধান্ত মোটেও হজম করতে পারেনি রিয়াল। ম্যাচ শেষে রিয়ালের কয়েকজন ফুটবলার নাকি রাগে ফুঁসছিল। আর ম্যাচ শেষে লস ব্লাঙ্কোসদের অফিসিয়াল টিভি অভিযোগ করে বলেছে,
‘ডে বারগোস (রেফারি) মাদ্রিদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত বড় এবং অযৌক্তিক ভুল করেছেন। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি দলকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।’
রেফারিকে উদ্দেশ্য করে রিয়াল মাদ্রিদ টিভি থেকে আরও বলা হয়,
‘মাঠে হয়তো আপনি সবকিছু দেখছেন না, কিন্তু ভিএআরে যদি সেটা রিভিউ না করা হয়, তার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। বক্সে স্পর্শ হলে সেটা অবশ্যই পেনাল্টি হবে।’
এছাড়া লা লিগায় রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী রিয়াল মাদ্রিদ বলে অভিযোগ করে তারা,
‘লা লিগা দুর্নীতিগ্রস্ত হচ্ছে। নেগ্রেইরা ব্রাদাসের কারণে রিয়াল মাদ্রিদের চার পয়েন্ট কেটে দেওয়া হয়েছে। ডে বারগোস এমন রেফারিদের একজন, যিনি রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় ভুল করেছেন।’
লিগে রিয়ালের টানা তিন ড্রয়ের সুযোগ ভালোভাবেই লুফে নিয়েছে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা। রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে পয়েন্ট হারানোর পর এলচের বিপক্ষেও ড্র করে লস ব্লাঙ্কোসরা। যেখানে সবশেষ তিন ম্যাচেই পুরো তিন পয়েন্ট তুলে নিয়েছে বার্সা। তাতে লা লিগায় রাজত্বও এখন বার্সার দখলে।
১৪ ম্যাচে ১০ জয়, ৩ ড্র ও এক হারে রিয়ালের পয়েন্ট ৩৩। আর সমান ম্যাচে এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে বার্সা। অবনমন অঞ্চলে ঘুরপাক খাওয়া জিরোনা ১২ পয়েন্ট নিয়ে ১৮ নম্বরে।

সবশেষ কবে ক্লাবের জার্সিতে গোল করেছিলেন রদ্রিগোর নিজেরও কি মনে আছে? সেটা যদি হয় ৯ মাস আগে, তবে মনে না থাকাটাই যে স্বাভাবিক। সবশেষ গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর মাদ্রিদ ডার্বিতে বল জালে জড়নোর স্বাদে পেলেছিলেন। এরপর রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে কখনো শুরুর একাদশে কখনো বা বদলি নেমেছেন। তবে গোল বলে যে একটা কিছু আছে সেটা বেমালুম ভুলে গেলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার।
সবশেষ গতকাল লা লিগায় জিরোনার বিপক্ষে রদ্রিগোকে ৭২ মিনিটে বদলি নামান কোচ জাবি আলোনসো। ২৪ বছর বয়সী এই উইঙ্গার যথারীতি গোল না করার ধারা অব্যাহত রাখলেন। আর তাতে ক্লাবের হয়ে তাঁর গোল খরার সময় দাড়ালো ২৭১ দিন। আর ম্যাচ সংখ্যায় সেটা ৩০।
গোল না করেও যে রেকর্ড করা যায় সেটা দেখিয়ে দিলেন রদ্রিগো। এই গোলের চরম খরা রদ্রিগোকে রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে আক্রমণভাগের ফুটবলারদের কাতারে পৌঁছে দিল। স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির হয়ে টানা গোলহীন থাকার রেকর্ডে ভাগ বসালেন তিনি। টানা ৩০ ম্যাচ গোল না করে এই অনাকাঙ্খিত রেকর্ডে তাঁর সঙ্গী মারিয়ানো দিয়াজ।
এই ৩০টি ম্যাচের মধ্যে ১৩টি ম্যাচে শুরুর একাদশে থেকে মাঠে নেমেছেন রদ্রিগো। আর বাকি ১৭টি ম্যাচে বদলি নেমেছেন। দীর্ঘ এই সময়টাতে তাঁর গোল অবদান বলতে আছে মোটে তিনটি অ্যাসিস্ট। ইউরোপের সবচেয়ে সফল ক্লাব রিয়ালের জন্যও বিব্রতকরই বটে।
২০২৫-২৬ মৌসুম নতুন করেই শুরু করতে চেয়েছিলেন রদ্রিগো। প্রাক মৌসুমে রিয়ালের একমাত্র প্রীতি ম্যাচে গোলও করেছিলেন। আর লিগের দ্বিতীয় ম্যাচেও শুরুর একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন। কিন্তু এরপর হঠাৎই পথ হারান তিনি।
সমস্যটা আসলে কোথায়? আগের মতোই দৌড়াচ্ছেন, প্রেস করছেন, সতীর্থদের জন্য পরিশ্রম করেন। কিন্তু চেষ্টায় কোনো ফল না এলে ফুটবল যে খুবই নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে সেটা ভালোভাবেই টের পাচ্ছেন রদ্রিগো। রিয়াল মাদ্রিদ এখনো তার ওপর ভরসা রাখছে। কোচ আলোনসোও সুযোগ দিচ্ছেন ঘুরে দাড়ানোর। কিন্তু ধৈর্যের সময়টা যে দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে। গোলের খেলা ফুটবলে গোল না পেলে হয়তো দ্রুতই ক্লাব ছাড়তে হতে পারে তাকে।
২০১৯-২০ মৌসুমে ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোস থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন রদ্রিগো। ধীরে ধীরে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ক্লাবটির আক্রমণভাগের নির্ভরতার প্রতীকও হয়ে ওঠেন। রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়েও দারুণ ভূমিকা রাখেন। ক্লাবটিতে মোট ২৮৫ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৬৮টি।