১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:৫০ পিএম

২০১৭ সালে রেকর্ড ট্রান্সফার ফি দিয়ে যখন বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে দলে নেয় পিএসজি, তখন থেকেই আলোচনায় তার ঠিকানা বদলের মূল কারণটি। এতে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়েছে ব্রাজিলিয়ান তারকার লিওনেল মেসির ছায়া থেকে বেরিয়ে বিশ্ব সেরা হওয়ার আকাঙ্ক্ষার কথা। তবে এতগুলো বছর পর এসে নেইমার জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কোনো অর্জনের ইচ্ছা থেকে তিনি স্পেন ছাড়েননি।
সান্তোসে প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে বার্সেলোনায় যখন নেইমার যোগ দেন, তখন তার মাঝে দেখা হচ্ছিল ভবিষ্যৎ সেরা হওয়ার সব রসদ। কাতালান ক্লাবটিতে মেসির সাথে জুটি বেধে সেই পথেই ছিলেন। তবে পিএসজির অবিশ্বাস্য এক প্রস্তাবে বদলে যায় চিত্রপট। ক্যারিয়ারে সেরা সময়ে বার্সেলোনা ছাড়েন ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলার। চোট জর্জর ক্যারিয়ারে সেখানে সাফল্য পেলেও সেরাদের কাতারে আর যেতে পারেননি নেইমার।
আরও পড়ুন
| পিএসজিতে মেসির আগমনে ঈর্ষান্বিত ছিলেন এমবাপে! |
|
প্রশ্নটা তাই থেকেই যায়, কেন বার্সেলোনা ছেড়েছিলেন আল হিলাল তারকা। সাবেক ব্রাজিল গ্রেট রোমারিওর সাথে এক পডকাস্টে নেইমার শুনিয়েছেন এর পেছনের গল্প। “পিএসজিতে গিয়ে বিশ্ব সেরা হওয়ার জন্য আমি বার্সা ছাড়িনি। মেসি আমাকে বলেছিল, ‘তুমি কেন ক্লাব ছাড়তে চাচ্ছো? তুমি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হতে চাও? আমি তোমাকে বিশ্ব সেরা বানাতে পারি।’ আমি তাকে এতে না করলাম। কারণ, ব্যাপারটা এমন ছিল না। এটা একেবারেই ব্যক্তিগত বিষয়। অর্থের দিকটাও ছিল, কারণ বার্সেলোনার চেয়ে পিএসজির প্রস্তাবটা ভালো ছিল। তাছাড়া সেখানে ব্রাজিলিয়ানরাও ছিল। আমি ব্রাজিলিয়ানদের সাথে খেলতে চেয়েছিলাম। সেখানে থিয়াগো সিলভা, দানি আলভেস, মারকুইনোস, লুকাস মউরারা ছিল। তারা সবাই আমার বন্ধু।”
নেইমার যখন বার্সেলোনায় খেলেছিলেন, সেই সময়ে তিনি ছাড়া দলটিতে ছিলেন না ব্রাজিলের আর কেউ। তবে মেসি ও লুইস সুয়ারেজের সাথে গড়ে উঠেছিল দারুণ এক বন্ধুত্ব। সেটা বেশ উপভোগ করলেও অনেকেই মনে করেন, আর্জেন্টিনা তারকার সাথে একই দলে খেলে সেরাদের পর্যায়ে যাওয়া সম্ভব নয়, এটা অনুধাবন করেই পিএসজিতে গিয়েছিলেন নেইমার।
আরও পড়ুন
| ২০৩৪ পর্যন্ত সিটিতেই হলান্ড |
|
তবে সেটা যে ঠিক নয়, তা স্পষ্ট নেইমারের কথায়। “(পিএসজিতে যোগ দেওয়ার সময়) আমি নিজেকে বললাম, ‘আমার আশেপাশে কিছু ব্রাজিলিয়ান লাগবে। কারণ, বার্সেলোনায় ব্রাজিলের আর কেউই ছিল না। তাই আমাকে সেখানে যেতে হবে। আমাকে একটা সুযোগ নিতে হবে।’ আর সেটাই হয়েছে। তবে আমি পিএসজিতে বিশ্বের সেরা হওয়ার জন্য যাইনি আমি।”
No posts available.

বার্সেলোনা এই মুহূর্তে মিনি হসপিটালে পরিণত হয়েছে। দলের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ফুটবলার চোটে। সবশেষ লা লিগায় এল ক্লাসিকোতে খেলা হয়নি রাফিনিয়া, দানি ওলমো, গাভি ও রবার্ট লেভানডফস্কির মতো অভিজ্ঞ ফুটবলারদের। সে হাসপিটালের নতুন রোগী পেদ্রি।
বুধবার বার্সেলোনা নিশ্চিত করেছে, ২২ বছর বয়সি পেদ্রির বাঁ পায়ের একটি পেশি ছিঁড়ে গেছে। কবে কখন স্পেন মিডফিল্ডার মাঠে ফিরতে পারবেন তা স্পষ্ট করেনি ন্যু ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ। ক্লাব থেকে এটুকুই বলা হয়েছে, শারীরিক অবস্থার উন্নতির ওপর নির্ভর করবে পেদ্রির ফেরা।
সবশেষ লিগা লিগায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে লাল কার্ড দেখেন পেদ্রি। ২২ বর্ষী তরুণ মিডফিল্ডারের এমনিতেই ফেরা হতো না লিগের পরবর্তীতে এলচের বিপক্ষে ম্যাচে। তার মধ্যে শোনা গেল দুঃসংবাদ।
লা লিগায় দ্বিতীয় স্থানে কাতালান ক্লাব। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা এবার ১০ ম্যাচের সাতটিতে জিতেছে, দুটিতে হেরেছে। ড্র করেছে একটিতে। শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ৫ পয়েন্ট পেছনে তারা।

নেপালের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ১৩ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। আজ রাত পৌনে ৯টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশের পরবর্তী প্রতিপক্ষ ভারত। ১৮ নভেম্বর হবে সে ম্যাচ। এএফসি থেকে দু’দলের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। ঢাকার ম্যাচটি এক অর্থে নিয়মরক্ষার।
প্রতিবেশী ভারতের মুখোমুখির আগে নেপালের বিপক্ষে প্রস্তুতি সারতে চায় হাভিয়ের কাবরেরার দল। গত ৬ সেপ্টেম্বর দশরথ স্টেডিয়ামে তাদের অতিথি ছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা। গোলশূন্য ড্র হয়েছিল সে ম্যাচ। সফরের দ্বিতীয় ম্যাচ গড়ানোর কথা ছিল ৯ সেপ্টেম্বর, কিন্তু নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতায় মাঠে গড়ায়নি ম্যাচটি।
হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমদের আগমনে বাংলাদেশ ফুটবল পেয়েছে হারানো জৌলুস। স্টেডিয়াম ভরা দর্শকের সামনে খেলতে পারছেন লাল-সবুজেরা। কিন্তু নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে সেটি ধরে রাখা যাবে কতটা, এ নিয়ে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক ফুটবলার আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু ও জাহিদ হাসান এমিলি।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের অন্যতম লক্ষ্য উন্নতি। সেক্ষেত্রে নেপালের সঙ্গে খেলা কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে কথা হয়েছে সাবেক ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলির সঙ্গে। বুধবার সন্ধ্যায় টি-স্পোর্টসকে এই স্ট্রাইকার বলেন,
‘আমার মনে হয় আফগানিস্তান ঠিক ছিল। তাদের বিপক্ষে খেললে ভালো হতো। এক্ষেত্রে নেপালকে না এনে বড় কোনো দলের বিপক্ষে খেললে সেটি আমাদের জন্য মঙ্গল। বড় দলের বিপক্ষে খেললে আমাদের উন্নতি হবে, জিতলে র্যাঙ্কিং বাড়বে। নেপালের বিপক্ষে আমরা প্রায়ই খেলি। মানুষের আগ্রহের কথা চিন্তা করে হলেও বড় দল আনা উচিত। এখানে সময় স্বল্পতার কোনো ব্যাপার আছে কিনা, সেটা আমি জানি না।’
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ- বিষয়টি মানতে কষ্ট হচ্ছে সাবেক ফুটবলার আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নুর। তিনি বলেন,
‘অবশ্যই ভালো কাউকে (দল) আনা উচিত ছিল। এতদিন তারা (বাফুফে) কি করছে, ফেডারেশনের কাজ কী। এ সব টিম এনে আই-ওয়াশ করা হচ্ছে। তারা বুঝাচ্ছে, আমরা অনেক উন্নতি করছি। ভালো টিম আগমনে আমাদের খেলোয়াড়েরা শিখত। মানুষের আগ্রহে থাকত। এদের কর্মকাণ্ডে আমরা খুশি নই।’

মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে দুর্দান্ত প্রতাপ দেখাচ্ছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। বল নেওয়া-দেওয়া কিংবা বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণ গড়ে তোলা—সব কিছুতে জো তুলেছেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর শ্বাসরুদ্ধকর সেই ম্যাচের শেষ দিকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয় ভিনিকে।
বার্সেলোনার বিপক্ষে রাইভালকালে মাঠ ছাড়ার সময় ভিনিকে বেশ বিরক্ত হয়ে দেখা যায়। কোচ জাবি আলোনসোর উদ্দেশ্যে উত্তপ্ত বাক্য ব্যবহার করেন তিনি। এ ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়।
লা লিগার ২৬ অক্টোবরের ম্যাচে একটি হলুদ কার্ড পেয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী ভিনি। ব্রাজিলিয়ান তারকাকে নিয়ে বাড়তি ঝুঁকি নিতে চাননি আলোনসো। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে না পারলেও, ওই দিনের ঘটনার জন্য জনসমক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ভিনি।
সামাজিক মাধ্যমে এক্সে আজ ব্রাজিলের রিয়াল ফরোয়ার্ড লিখেছেন,
‘সেদিনের (এল ক্লাসিকো) ঘটনার জন্য রিয়াল মাদ্রিদের সকল ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাই। আজ ট্রেনিংয়ের সময়ও কাজটি (ক্ষমা চাওয়া) করেছি। আমি আমার টিমমেটদের কাছে আবারও ক্ষমা চাচ্ছি। এমনকি ক্লাব এবং ক্লাবের প্রেসিডেন্টের কাছে একইরূপে ক্ষমা চাচ্ছি।’
ভিনি আরও লিখেছেন,
‘আমি সবসময় জিততে চাই। দলের জয়ে অবদান রাখতে চাই। আমার এমন প্রতিযোগিতামূলক আচরণের মূলে ক্লাব এবং ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা। আমি ওয়াদা করছি, প্রতিটি সেকেন্ড মাদ্রিদের জন্য লড়াই করে যাব।’
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচেও বেশ কয়েকবার তর্কে জড়ান ভিনি। ম্যাচ শেষেও তেড়ে যান লামিন ইয়ামালের দিকে। সেদিনের গোলমাল শেষে
‘শান্তির বার্তা’ দিয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস। সমর্থকদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান দেখানোর কথা বলেছিলেন তিনি, ‘সব মাদ্রিদিস্তাদের জন্য, বিশেষ করে যারা বার্নাব্যুয়ে এসে প্রাণভরে আমাদের সমর্থন করেছেন। এটাই এল ক্লাসিকো, যেখানে মাঠে ও মাঠের বাইরে অনেক কিছুই ঘটে। আমরা সবসময় ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করি, কিন্তু অনেক সময় সম্ভব হয় না।’
ভিনিসিয়ুস আরও যোগ করেন,
‘আমাদের কারও প্রতি অসম্মান দেখানোর কোনো ইচ্ছা নেই—না তরুণ খেলোয়াড়দের, না সমর্থকদের প্রতি। আমরা জানি, যখন মাঠে নামি, তখন নিজের ভূমিকা ঠিকভাবে পালন করতে হয়, আর আজ সেটাই করেছি।’
সেদিন ভক্তদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার পর আজ আবারও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তবে এবার তার বার্তায় ছিল প্রতিজ্ঞা—দলের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়।

কারাবাও কাপে আগামীকাল রাত পৌনে দুইটায় সোয়ানজি সিটির মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচটি দুই পক্ষের জন্য ডু অর ডাই। শেষ আট নিশ্চিতের লক্ষ্যে সোয়ানজি স্টেডিয়ামে সিটিজেনদের আতিথেয়তা দেবে সোয়ানজি।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। তিনি জানালেন, ম্যানসিটি তাদের খেলার ধরণ বদলাবে না। অন্য দলের প্রতি সম্মান রেখেই কথাগুলো বলেন স্পেন কোচ।
গার্দিওলা বলেন,
‘প্রতিটি ম্যানেজার যেটা বিশ্বাস করে, আমিও তাই। আমিও চাই কর্নার এবং ফ্রি কিক থেকে গোল পেতে। তবে, আমি চাই নিজেদের খেলা আরও উন্নতি করতে, আক্রমণে ধার বাড়াতে, সুযোগ তৈরি করতে এবং গোল করতে। আমাদের আরও আগ্রাসী ফুটবল খেলা উচিত। আমি আমার পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে যেভাবে কাজ করেছি, এখনো সেটাই করছি।’
২০১৭ সালের মতো চলতি প্রিমিয়ার লিগেও ম্যাচপ্রতি গড়ে ২.৬ টি করে গোল হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি গোলের জন্য ৫৫ মিনিট করে খেলা হচ্ছে। সবশেষ সিটিজেনদের বিপক্ষে জয়ে অ্যাস্টন ভিলার জয়টি ছিল ১-০ গোলে। সেটপিস থেকে গোলটি করেন ম্যাটি ক্যাশ।
গার্দিওলা জানান, সিটি এখন কর্নার ও ফ্রি-কিকের সময় রক্ষণভাগে আরও সংগঠিত হওয়ার অনুশীলন করছে। এর পেছনে তিনি কোচ জেমস ফ্রেঞ্চকে প্রশংসা করেছেন, যিনি খেলোয়াড়দের সঠিক কৌশল শেখাচ্ছেন যাতে প্রতিপক্ষের হেডারভিত্তিক আক্রমণ সামলানো যায় আরও সহজে।
নটিংহ্যাম ফরেস্টের কোচ শন ডাইচের প্রসঙ্গ আনেন গার্দিওলা। বার্নলি থাকাকালীন ডিফেন্স অক্ষুণ্ন রেখে বেশ সুনাম কুড়ান এই ইংলিশ কোচ। এ নিয়ে গার্দিওলা বলেন,
‘শন ডাইচের বার্নলি থাকাকালীন সময়ের কথা বলতেই হয়। বার্নলিতে থাকাকালীন লং পাসে প্রচ্ছন্ন হুমকি ছিল দলটি। এ ধরনের কাজের জন্য ডাইচ সেরা। এটা নতুন কিছু নয়, তিনি আগেও করতেন।’

লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা তরুণ ফুটবলার হুয়ান হার্নান্দেজ চলতি মৌসুম পর্যন্ত বার্সেলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। ১৮ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ প্রতিভা মৌসুম শেষে ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবেন। সুযোগটিই কাজে লাগাতে চায় প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। ফরাসি জায়ান্ট ক্লাবটির কোচ লুইস এনরিকে ইতিমধ্যেই নজর দিয়েছেন হার্নান্দেজের দিকে।
মুন্দো দেপোর্টিভো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হার্নান্দেজের জন্য নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে পিএসজি। নিজেদের মিডফিল্ডের সমস্যা সমাধান এবং দলকে আরও শক্তিশালী করতে চ্যাম্পিয়ন লিগ জয়ীরা যে কোনো মূল্যে দলে ভিড়াতে চায় এই স্পেন তরুণকে।
এ মুহূর্তে হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে নিয়মিত অনুশীলনে অংশ নিচ্ছেন হার্নান্দেজ। চলতি মাসের বার্সেলোনার স্কোয়াডেও ছিলেন তিনি। যদিও ন্যু ক্যাম্পের মূল দলের হয়ে এখনো অভিষেক হয়নি তাঁর। তবে হার্নান্দেজ যে বার্সার প্রিয়জন ও প্রয়োজন, তা তাঁর প্রতি ফ্লিকের আগ্রহ দেখেই বুঝা যায়।
স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে, ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি হার্নান্দেজের। এখন পর্যন্ত নতুন চুক্তি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি তাঁর এজেন্ট কিংবা ন্যু ক্যাম্প কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে চুপ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ন্যু ক্যাম্প কিছু না জানালে, হার্নান্দেজ ফ্রি ট্রান্সফার হয়ে পড়লে বিপাকে পড়তে হতে পারে বার্সেলোনাকে। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চায় পিএসজি। তারা বেশ আগ্রহী হার্নান্দেজের জন্য।
একসময় বার্সেলোনার কোচ ছিলেন লুইস এনরিকে। তাঁর ভালোই জানা ক্লাবটির একাডেমি সম্পর্কে। এমনকি তিনি ব্যক্তিগতভাবে হার্নান্দেজকে মনিটরিং করেছেন। পিএসজি কোচ বেশ ভালোভাবেই জানেন, হার্নান্দেজ তাঁর কাছে এলে একে তো পিএসজির সুবিধা, তার মধ্যে স্পেন উড়তি তরুণের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে।
হার্নান্দেজের রিলিজ ক্লোজ ৬ মিলিয়ন ইউরো। অর্থাৎ যে কোনো দল চাইলে এই টাকা খরচ করে তাঁকে দলে ভিড়াতে পারবে। তবে পিএসজির চাওয়া বার্সার সঙ্গে চুক্তি শেষ হলেই তাঁকে দলে টেনে নেবে।
দেখার বিষয় হার্নান্দেজ বার্সাতেই থাকবেন, নাকি সাবেক গুরুর ক্লাবে ভিড়বেন। এর জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে মৌসুমের শেষ পর্যন্ত।