৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:৩৬ পিএম
ফেডারেশন কাপে গ্রুপ ‘বি’ তে লড়াইটা জমে উঠেছে বেশ। জয় পেলেই নকআউট পর্বে এক পা দিয়ে রাখার সুযোগ ছিল দুই দলের সামনেই। যে সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে আবাহনী। মোহামেডানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ধানমন্ডির ক্লাবটি। তাতে ছয় ম্যাচ ধরে ঢাকা ডার্বিতে জয় না পাওয়ার আক্ষেপটাও ঘুচিয়েছে আকাশী-নীলরাও। সঙ্গে ২০২২-২৩ সালের ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার শঙ্কা ঘনীভূত হয়েছে।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মোহাম্মদ ইব্রাহিমের গোলই গড়ে দিয়েছে ঢাকা ডার্বির ভাগ্য।
আরও পড়ুন
বরিশালের কাছে পাত্তাই পেল না সিলেট |
এই ম্যাচের আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারির পর আর মোহামেডানকে হারাতে পারেনি আবাহনী। আর সব ম্যাচ মিলিয়ে সংখ্যাটি ৬ ম্যাচ। এর মধ্যে ৩ ম্যাচেই জয় পেয়েছিল সাদা-কালো জার্সিধারীরা। বাকি ৩ ম্যাচ হয়েছিল ড্র। ইবরাহিমের গোল শেষ পর্যন্ত থামিয়েছে মোহামেডানের অপরাজেয় যাত্রা।
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো দলই গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধেও খেলা চলে একই তালে। তবে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ৭৩ মিনিট পর্যন্ত। মাঝমাঠ থেকে এনামুল বল বাড়ান ডানপ্রান্তে শাহরিয়ার ইমনের উদ্দেশ্যে। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ইমন ক্রস বাড়ান মোহামেডানের ডি বক্সে। সেখান থেকে আলতো টোকায় বল জালে জড়ান ইবরাহিম।
গোল খেয়ে শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল মোহামেডান। কিন্তু একের পর এক আক্রমণ করেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি গত আসরের রানার্স আপরা। তাতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
আরও পড়ুন
ব্যাটিং ব্যর্থতায় রংপুরকে মামুলি টার্গেট দিল ঢাকা |
এই জয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ বি তে টেবিলের দুই নম্বরে উঠে এসেছে আবাহনী। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সবার উপরে রহমতগঞ্জ। আর তিন ম্যাচে দুই হার আর এক ড্রতে ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়ার শঙ্কায় এখন মোহামেডান।
দিনের অন্য ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করেছে চট্টগ্রাম আবাহনী ও ফকিরেরপুল ইয়ং মেনস।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:৫০ পিএম
২০১৭ সালে রেকর্ড ট্রান্সফার ফি দিয়ে যখন বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে দলে নেয় পিএসজি, তখন থেকেই আলোচনায় তার ঠিকানা বদলের মূল কারণটি। এতে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়েছে ব্রাজিলিয়ান তারকার লিওনেল মেসির ছায়া থেকে বেরিয়ে বিশ্ব সেরা হওয়ার আকাঙ্ক্ষার কথা। তবে এতগুলো বছর পর এসে নেইমার জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কোনো অর্জনের ইচ্ছা থেকে তিনি স্পেন ছাড়েননি।
সান্তোসে প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে বার্সেলোনায় যখন নেইমার যোগ দেন, তখন তার মাঝে দেখা হচ্ছিল ভবিষ্যৎ সেরা হওয়ার সব রসদ। কাতালান ক্লাবটিতে মেসির সাথে জুটি বেধে সেই পথেই ছিলেন। তবে পিএসজির অবিশ্বাস্য এক প্রস্তাবে বদলে যায় চিত্রপট। ক্যারিয়ারে সেরা সময়ে বার্সেলোনা ছাড়েন ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলার। চোট জর্জর ক্যারিয়ারে সেখানে সাফল্য পেলেও সেরাদের কাতারে আর যেতে পারেননি নেইমার।
আরও পড়ুন
পিএসজিতে মেসির আগমনে ঈর্ষান্বিত ছিলেন এমবাপে! |
প্রশ্নটা তাই থেকেই যায়, কেন বার্সেলোনা ছেড়েছিলেন আল হিলাল তারকা। সাবেক ব্রাজিল গ্রেট রোমারিওর সাথে এক পডকাস্টে নেইমার শুনিয়েছেন এর পেছনের গল্প। “পিএসজিতে গিয়ে বিশ্ব সেরা হওয়ার জন্য আমি বার্সা ছাড়িনি। মেসি আমাকে বলেছিল, ‘তুমি কেন ক্লাব ছাড়তে চাচ্ছো? তুমি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হতে চাও? আমি তোমাকে বিশ্ব সেরা বানাতে পারি।’ আমি তাকে এতে না করলাম। কারণ, ব্যাপারটা এমন ছিল না। এটা একেবারেই ব্যক্তিগত বিষয়। অর্থের দিকটাও ছিল, কারণ বার্সেলোনার চেয়ে পিএসজির প্রস্তাবটা ভালো ছিল। তাছাড়া সেখানে ব্রাজিলিয়ানরাও ছিল। আমি ব্রাজিলিয়ানদের সাথে খেলতে চেয়েছিলাম। সেখানে থিয়াগো সিলভা, দানি আলভেস, মারকুইনোস, লুকাস মউরারা ছিল। তারা সবাই আমার বন্ধু।”
নেইমার যখন বার্সেলোনায় খেলেছিলেন, সেই সময়ে তিনি ছাড়া দলটিতে ছিলেন না ব্রাজিলের আর কেউ। তবে মেসি ও লুইস সুয়ারেজের সাথে গড়ে উঠেছিল দারুণ এক বন্ধুত্ব। সেটা বেশ উপভোগ করলেও অনেকেই মনে করেন, আর্জেন্টিনা তারকার সাথে একই দলে খেলে সেরাদের পর্যায়ে যাওয়া সম্ভব নয়, এটা অনুধাবন করেই পিএসজিতে গিয়েছিলেন নেইমার।
আরও পড়ুন
২০৩৪ পর্যন্ত সিটিতেই হলান্ড |
তবে সেটা যে ঠিক নয়, তা স্পষ্ট নেইমারের কথায়। “(পিএসজিতে যোগ দেওয়ার সময়) আমি নিজেকে বললাম, ‘আমার আশেপাশে কিছু ব্রাজিলিয়ান লাগবে। কারণ, বার্সেলোনায় ব্রাজিলের আর কেউই ছিল না। তাই আমাকে সেখানে যেতে হবে। আমাকে একটা সুযোগ নিতে হবে।’ আর সেটাই হয়েছে। তবে আমি পিএসজিতে বিশ্বের সেরা হওয়ার জন্য যাইনি আমি।”
দুজন একই সময়ে নাম লিখিয়েছিলেন পিএসজিতে। ফলে শুরু থেকেই নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপের মাঝে গড়ে ওঠে দারুণ একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এরপর সেখানে যোগ দেন ব্রাজিল তারকার প্রিয় বন্ধু লিওনেল মেসি। স্বাভাবিকভাবেই আর্জেন্টিনা তারকার সাথেই বেশি ঘনিষ্ঠতা হয় তার। আর সেটাই নাকি ভালো লাগেনি এমবাপের। নেইমার বলেছেন, মেসি দলে আসায় রীতিমত ঈর্ষাকাতর হয়ে গিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড!
২০১৭ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত পিএসজিতে নেইমার ও এমবাপেই ছিলেন সবচেয়ে বড় তারকা। তবে মেসির আগমনে তার দিকেই চলে যায় গোটা বিশ্বের মনোযোগ। আর প্রিয় বন্ধুকে আরও একবার সতীর্থ হিসেবে পেয়ে নেইমার হন ভীষণ খুশি। এই তিনজনের পিএসজিতে দুই বছরের অধ্যায়ে প্রায় খবরে আসত ক্লাবের ভেতর দলাদলির খবর। সেটা যে পুরোটা ভুল ছিল না, নেইমারের কথায় তার প্রমাণ মিলছে।
আরও পড়ুন
এমবাপে যেন অফ সাইডের অন্ধ প্রেমিক |
গত বৃহস্পতিবার ব্রাজিল কিংবদন্তি রোমারিওর সাথে এক পডকাস্টে নেইমার তুলে ধরেন মেসির ক্লাবে আগমনের পর এমবাপের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া। “আমরা বেশ কিছু বছর জুটি বেধে খেলেছি, কিন্তু মেসি আসার পর সে কিছুটা ঈর্ষান্বিত ছিল। সে আমার অন্য কারও সাথে সময় কাটানো ভালোভাবে নিতে পারেনি। আমাদের এসব নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হয়েছে। এরপর তার আচরণে পরিবর্তন আসে।”
বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে পিএসজি দলে টেনেছিল ট্রান্সফার ফি-এর রেকর্ড গড়ে। ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তারকা হিসেবে তাকে তুলে ধরার পাশাপাশি শুরু থেকেই দেওয়া হয়েছিল বেশ কিছু অবিশ্বাস্য সুযোগ সুবিধা, যা এর আগে কেউই পাননি। এমনকি এমবাপেও নন। রোমারিও তাই নেইমারের কাছে জানতে চান, তার প্রতি ফরাসি অধিনায়ক বিরক্ত ছিলেন কিনা।
জবাবে এমবাপেকে প্রশংসায় ভাসান নেইমার। “না, তার মাঝে এসব ছিল না। মাঝে আমাদের একটু ঝগড়া হয়েছিল, কিন্তু সে যখন ক্লাবে আসল, আমি তাকে গোল্ডেন বয় বলে ডাকতাম। আমি সবসময় বলতাম যে, সে সেরাদের একজন হতে চলেছে। আমি সবসময় তাকে সাহায্য করেছি, তার সাথে কথা বলেছি, সে আমার বাড়িতেও এসেছে, আমরা একসাথে ডিনারও করেছি।”
আরও পড়ুন
এমবাপের সেরাটা বের করার পথ বাতলে দিলেন ভালভের্দে |
২০২৩ সালে পিএসজি ছাড়েন নেইমার। এরপর তাকে অনুসরণ করেন মেসিও। আরও এক মৌসুম খেলে গত বছর রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন এমবাপে। এই মুহূর্তে নেইমার খেলছেন আল হিলালে, আর মেসি ইন্টার মায়ামিতে। গুঞ্জন রয়েছে, দুই প্রিয় বন্ধুকে আবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে একসাথে দেখা যেতে পারে এই বছর।
ক্লাব ফুটবলে সাধারণত দেখা মেলে সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে ছয় বছরের চুক্তি। তবে সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার আর্লিং হলান্ডকে লম্বা সময়ের জন্যই ধরে রাখার পথেই হাঁটল ম্যানচেস্টার সিটি। সাড়ে ৯ বছরের জন্য নরওয়ে স্ত্রাইকারের চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা।
শুক্রবার প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবটি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। হলান্ডের আগের চুক্তির মেয়াদ শেষ হত ২০২৭ সালের জুনে। তবে সেটা শেষ হওয়ার বেশ আগেই তাকে লম্বা সময়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ করে ফেলেছে সিটি।
আরও পড়ুন
এমএলএসের ৩ ক্লাবের সাথে আলোচনায় নেইমার |
২৪ বছর বয়সী হলান্ড ২০২২ সালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে সিটিতে যোগ দেন। গত দুই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে সর্বাধিক গোল করে গোল্ডেন বুট জেতার পথচলায় ১২৬ ম্যাচে করেছেন ১১১ গোল। পেপ গার্দিওলার দলের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সহ ক্লাব ফুটবলের সম্ভাব্য সব শিরোপা এরই মধ্যে জেতা হয়ে গেছে তার।
সিটিতে ক্যারিয়ারের আরও দীর্ঘ একটা সময় পার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রোমাঞ্চিত। বিবৃতিতে ফুটে উঠেছে সেই প্রতিক্রিয়ার।
“আমি খুব খুশি আর গর্বিত। আমি এখানে দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। এখন আমি আরও ভালো খেলার দিকে মনোনিবেশ করতে পারি, কারণ আমি এখানে এত লম্বা সময় থাকতে যাচ্ছি।”
সিটিতে প্রথম মৌসুমেই ৩৮ ম্যাচের প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েন হলান্ড। করেন সব মিলিয়ে ৫২ গোল। গত মৌসুমে তার নামের পাশে ছিল ২৭টি লিগ গোল। আর এই মৌসুমে এরই মধ্যে করে ফেলেছেন ১৬ গোল।
সামগ্রিক বাস্তবতায় আল হিলাল অধ্যায় প্রায় শেষ বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। ফলে জোরাল হচ্ছে নেইমারের পরবর্তী গন্তব্য কোথায় হবে, সেই বিষয়টি। শুরু থেকেই তাতে আলোচনায় রয়েছে মেসি-সুয়ারেজের ইন্টার মায়ামির নাম। তবে বাতাসে ভাসছে গুঞ্জন, ব্রাজিল তারকাকে দলে টানার লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আরও দুই ক্লাবও।
সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, মায়ামি সহ অন্য দুটি মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) আগ্রহী দলের সাথে প্রাথমিক আলোচনা করছেন নেইমার। এর মধ্যে একটি ক্লাব হল শিকাগো ফায়ার।
তবে ইএসপিএন এটাও দাবি করেছে যে, বর্তমানে নেইমারের জন্য বিড করা দলগুলোর মধ্যে মায়ামি নেই। দলটির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো সম্প্রতি বলেছেন যে, এমএলএসের বিধিনিষেধ মেনে সাবেক বার্সেলোনা তারকার মায়ামিতে যোগ দেওয়া ‘অসম্ভব’ হবে।
আরও পড়ুন
‘নেইমারের জন্যই ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিততে হবে’ |
তবে ব্রাজিল ইএসপিএন-এর সূত্রগুলো নেইমারের এমএলএস-এ চলে যাওয়ার ব্যাপারে এখনও বেশ আশাবাদী। সেই সূত্রগুলো আরও যোগ করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালে দুই প্রিয় বন্ধু লিওনেল মেসি এবং লুইস সুয়ারেজের সাথে খেলার জন্য মায়ামিতে যোগ দেওয়ার আশা এখনও ছেড়ে দেননি নেইমার।
৩২ বছর বয়সী নেইমার ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে বার্ষিক ৯৭.৬ মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিকে পিএসজি থেকে আল হিলালে নাম লেখান। তবে সৌদি আরবের ক্লাবটিতে যোগদানের পরপরই বাম হাঁটুতে এসিএলে চোটের শিকার হয়ে এক বছর মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাকে।
সেটা কাটিয়ে নেইমার গত অক্টোবরে মাঠে ফিরেছিলেন, তবে কয়েকটি ম্যাচ খেলে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পেয়ে ফের ছিটকে গেছেন। এখনও আছেন মাঠের বাইরেই। নেইমারের অবদান ছাড়াই আল হিলাল গত মৌসুমে সৌদি প্রো লিগ জিতেছে। ফলে ক্লাবটি তাকে আর ধরে রাখার পক্ষে নয়।
আরও পড়ুন
নেইমারকে দলে পেতে আশাবাদী সুয়ারেজ, নিরাশায় মায়মি কোচ |
সাবেক বার্সেলোনা তারকার চুক্তিত মেয়াদ শেষ জুন পর্যন্ত। ফলে, তিনি ক্লাব বদলের লক্ষ্যে অন্য দলের সাথে আলোচনা শুরু করতে পারবেন। মাঝে নেইমারের তার শৈশবের ক্লাব সান্তোসে যাওয়ার গুঞ্জন শোনা গেলেও, বর্তমানে তার যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে।
হাভিয়ের কাবরেরার ওপরই আস্থা রেখেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আগামী বছরের এপ্রিল পর্যন্ত স্প্যানিশ এই কোচের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন বাফুফের। সঙ্গে নারী দলের কোচ হিসেবে পিটার বাটলার থাকছেন ২০২৬ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত।
মূলত এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের সব ম্যাচের জন্যই দলের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কাবরেরাকে। আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হওয়া এই বাছাই পর্ব শেষ হচ্ছে ২০২৬-এর ৩১ মার্চে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।
এক বছরের বেশি সময়ের জন্যই এবার তৃতীয়বারের মতো মেয়াদ বাড়ছে কাবরেরার। ২০২২-এ দায়িত্ব নেওয়ার বাংলাদেশ দলের সঙ্গে এটি হবে তার চতুর্থ বছর। এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ডাগআউটেও থাকছেন তিনি। গত সাফে তার অধীনে এক যুগ পর সেমিফাইনালে খেলে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
মেয়েদের সাফ জিতিয়ে দেশে আসা পিটার বাটলারের থাকা না থাকা নিয়েও হয়েছিল আলোচনা। তবে সাফল্য যাত্রায় ২০২৬ এর শেষ পর্যন্ত দেশের নারী ফুটবল সামলাবেন বাটলার।
এছাড়া ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপে প্রথম ম্যাচের আগে সৌদি আরবে ক্যাম্প আয়োজনের চেষ্টা করছে বাফুফে।