
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের খেলায় আগামীকাল শনিবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ। নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে লাল-সবুজের কিশোররা পাচ্ছে তিমুর লেস্তেকে। চীনের টংলিয়াং লং স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায়।
বাছাইয়ে বাংলাদেশ পড়েছে ‘এ’ গ্রুপে। যেখানে স্বাগতিক চীন ছাড়াও আছে তিমুর লেস্তে, বাহরাইন, ব্রুনেই ও শ্রীলঙ্কা। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলটি যাবে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে। ১৬ দল নিয়ে মূল প্রতিযোগিতা গড়াবে আগামী বছর সৌদি আরবে। ৯টি দল এরই মধ্যে মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে, বাকি ৭ দল আসবে বাছাইপর্ব থেকে।
টুর্নামেন্টে অংশ নিতে গত ১৮ নভেম্বর চীনে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। আজ ছিল দলের প্রি-ম্যাচ প্রেস কনফারেন্স। সেখানে কথা বলেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ও অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল।
এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলতে শুরুটা জয় দিয়ে করতে চান কোচ গোলাম রব্বানী। বাংলাদেশ অবশ্য তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে। সম্প্রতি ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ উন্নীত হওয়া বাংলাদেশ আছে ১৮০-তে। সেখানে বাংলাদেশের চেয়ে ১৮ ধাপ পিছিয়ে তিমুর লেস্তে (১৯৮)।
বাছাইয়ে প্রতিটি দল খেলবে পাঁচটি করে ম্যাচ। শেষে পয়েন্টের ভিত্তিতে শীর্ষ দল পাবে মূল আসরের টিকিট। বাংলাদেশ চায় ম্যাচ বাই ম্যাচ ধরে এগুতে। কোচ ছোটন বলেন,
‘নিজেদের খেলায় ফোকাস করবো, গেম প্ল্যানে থাকবো এবং ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলব। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার চেষ্টা করব। কারণ আমরা কোয়ালিফাই করার জন্য এখানে এসেছি।’
প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে কঠিন সময় পার করতে হবে স্বাগতিক চীন ও বাহরাইনের বিপক্ষে ম্যাচে। দুটি দলই বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিমত্ত্বায় এগিয়ে। কোচ গোলাম রব্বানী অবশ্য সেসব নিয়ে চিন্তিত নন। জানিয়েছেন, তাঁর দল চীনে খেলার জন্য এবং জেতার জন্য মুখিয়ে আছে।
কোচের মতো ধাপে ধাপে টুর্নামেন্টে এগুনোর কথা বলেন অধিনায়ক নাজমুল হুদাও,
‘সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, আমরা যেন এই ম্যাচ ভালো করতে পারি। এবং আমাদের পরের ম্যাচ ধাপে ধাপে ভালো করতে পারি। আমরা এখান থেকে ভালো একটা রেজাল্ট নিয়ে ফিরতে চাই।’
বাংলাদেশ দল যেদিন চীনের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ে সেদিন সিনিয়র জাতীয় ফুটবল দল ঘরের মাঠে হারায় ভারতকে। প্রাণ ফেরে হোম অব ফুটবল- জাতীয় স্টেডিয়ামে। এবার বয়সভিত্তিক পর্যায়ে সাফল্য আনতে মরিয়া নাজমুল হুদা,
‘বর্তমানে বাংলাদেশ ফুটবল যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে; সিনিয়র টিম যেভাবে নিজেদেরকে প্রমাণ করতেছে, ইনশাআল্লাহ আমরাও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখব।’
No posts available.
২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১১ পিএম

মেসির জন্ম আর্জেন্টিনায়। তবে ১১ বছর বয়সে স্পেনের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন ফুটবলের এই মহাতারকা। বার্সেলোনার একাডেমি লা মাসিয়ায় বেড়ে উঠে কাতালান ক্লাবটির ইতিহাসের সেরা ফুটবলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে মেসির বার্সা সতীর্থদের অনেকেই স্পেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। চাইলেই তো স্পেন জাতীয় দলের জার্সি বেছে নিতে পারতেন। সুযোগও এসেছিল, এমনকি ‘লা রোজাদের’ হয়ে খেলার দ্বারপ্রান্তেই নাকি ছিলেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মেসি।
আর্জেন্টিনার হয়ে সবধরনের শিরোপা জয়ের স্বাদই পেয়েছেন মেসি। কোপা আমেরিকা-বিশ্বকাপ-কোপা আমেরিকা, এভাবেই সিরিজ পূর্ণ করেন ইন্টার মায়ামির তারকা। তবে এই গল্পের শুরু তো ২০২১ সাল থেকে। এর আগে আর্জেন্টিনার জার্সিতে কঠিন থেকে কঠিনতর সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে মেসিকে। বিশ্বকাপের ফাইনাল হারের পর টানা দুই কোপা আমেরিকার ফাইনাল থেকে খালি হাতে ফেরার যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হয়েছে অনেকদিন।
অবশ্য এসব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়াই হতো না মেসির। যদি স্পেন জাতীয় দলের হয়ে খেলতেন রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। বার্সেলোনায় পাড়ি জমানোর পর মেসির মতো অনন্য প্রতিভাকে ছিনিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ এসেছিল স্পেনের।
সম্প্রতি আর্জেন্টিনায় ‘ওলে সামিট-২০২৫’-এ মেসিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন আর্জেন্টিনার সাবেক কোচ হোসে পেকারমান। তিনি বলেন, ‘আমরা ফিনল্যান্ডে একটি অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্ট থেকে মেসি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম। সেখানে স্প্যানিশ কোচরা স্পষ্টভাবে বলেছিলেন—যদি এই প্রতিভা তাদের পুরোপুরি হাতে থাকত, তারা টুর্নামেন্ট জিতত।’
২০০৩ সালের সেই ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে যায়। তবে স্প্যানিশ কোচের এই কথা আর্জেন্টাইন কোচদের মনে গেঁথে যায়। কিছুদিন পর, পেকারম্যান স্পেন সফরে গিয়ে লেগানেস বনাম আলকোরকন ম্যাচে মেসিকে সরাসরি দেখেন এবং নিশ্চিত হন—স্পেন যে কোনো সময় মেসিকে জাতীয় দলে ডাকতে পারে।
পেকারম্যান দ্রুত বুঝতে পারেন, ফিফার নিয়ম অনুযায়ী মেসিকে আর্জেন্টিনা না খেলালে তিনি স্পেনের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়ে যাবেন। তাই ২০০৪ সালের ২৯ জুন আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে এক প্রীতি ম্যাচে মেসিকে নামানো হয়।
পেকারম্যান যোগ করেন, ‘আমি তার বিশাল সম্ভাবনা বুঝতে পেরেছিলাম। সে আর্জেন্টাইন ফুটবলে বিপ্লব ঘটানোর মতো একজন, সত্যিকারের আশীর্বাদ। কিন্তু তখনই স্পেন তার জন্য অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে খেলানোর নথি-পত্র তৈরি করে রেখেছিল। তখনকার ফিফা বিধিমালা অনুযায়ী, একজন খেলোয়াড় একবার কোনো দেশের যুব দলে খেললে, অন্য দেশের হয়ে সিনিয়র দলে খেলার যোগ্যতা হারাতেন। আমাদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হতো।’
পেকারমান এরপর আর্জেন্টিনার জন্য একটি কৌশলগত পরিকল্পনা করেন। তিনি অনূর্ধ্ব-২০ দলের তখনকার কোচ হুগো টোকাল্লিকে ফোন করে পরিস্থিতি ব্যাখা করেন, ‘আমি তাকে নির্দেশ দিয়েছিলাম—যদি একান্ত বাধ্য না হও, তাহলে মেসিকে শুধু একটি প্রীতি ম্যাচে খেলাও। ম্যাচশিটে তার সই নাও এবং তা ফিফায় জমা দাও। এই একটি কাজই স্পেনকে স্থায়ীভাবে তাকে দাবি করা থেকে বিরত রাখবে।’
শেষ পর্যন্ত মেসির নিয়তি লিখ ছিল আর্জেন্টিনাতেই। আকাশি-সাদা জার্সিতে অনেক হৃদয়ভাঙ্গার গল্প লিখেছেন। তবে গল্পের শেষটা যে মধূরই হয়েছে।

ব্রাজিলের ক্লাব অ্যাটলেটিকো এমজির বিপক্ষে ম্যাচটি হয়ে থাকল ফার্নান্দিনহোর ফুটবল ক্যারিয়ারের শেষ অফিসিয়াল ম্যাচ। অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। ৪০ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলকে বিদায় বললেন ম্যানচেস্টার সিটির এই কিংবদন্তি।
ব্রাজিলের কুরিটিবাতে বুধবার সন্ধায় একটি চ্যারিটি ম্যাচ খেলার অবসরের ঘোষণা দেন ফার্নান্দিনহো। সিটির এই সাবেক ফুটবলার ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবোকে’ বলেছেন, ‘আজ (বুধবার) ৩০ মিনিটের জন্য দৌড়ায়েই আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। ফুটবলে থেকে আর প্রেরণা খুঁজে পাচ্ছি না। যা চেয়েছিলাম তার সবই অর্জন করেছি আমি। এখন পরিবারের সঙ্গে মুহূর্তগুলো উপভোগ করার সময়।’
ফার্নান্দিনহো পেশাদার লিগ ক্যারিয়ারে সেরা সময় কাটিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। ২০১৩ সালে ইংলিশ ক্লাবটিতে যোগ দেন তিনি। এরপর এক দশক সিটির হয়ে খেলে অনেক সাফল্য কুড়িয়েছেন ফার্নান্দিনহো। সিটির মাঝমাঠে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পাঁচটি প্রিমিয়ার লিগ জিতেছেন, যার মধ্যে চারটি ছিল পেপ গার্দিওলার কোচিংয়ে।
আরও পড়ুন
| ২৬ মাস পর ফিরছেন পল পগবা |
|
গার্দিওলার সিটির অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন ফার্নান্দিনহো। সিটির এই কোচ ব্রাজিলিয়ান তারকাকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘সে সবসময় দলের পাশে থাকার চেষ্টা করে। যারা খেলছে না, আমার জন্য, এবং স্টাফদের জন্যেও। সে সত্যিই উদার। সে সবসময় শুধু দলের ভালো জন্যই ভাবে।’
ফার্নান্দিনহোর ২৩ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০০৩ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব আতলেতিকো প্যারানেনসে যোগ দিয়ে। এরপর ইউক্রেনের ক্লাব শাখতার দোনেৎস্কতে আট মৌসুম খেলে ছয়টি শিরোপা জিতেছেন।
২০১৩ সালে সিটিতে নাম লেখান ফার্নান্দিনহো। ইংলিশ ক্লাবটিকে ৩৮৬ ম্যাচ খেলে ২৬ গোল করেছেন এই মিডফিল্ডার। সিটিতে নয় মৌসুমে ১২টি ট্রফি জিতেছেন। অনেকেই কাছেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সেরা ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় ফার্নান্দিনহো।
২০২২ সালের জুনে ক্যারিয়ারের শুরু যেখান থেকে করেছিলেন, সেই আতলেতিকো প্যারানেনসে ফিরে যান ফার্নান্দিনহো। সবশেষ মৌসুমে ক্লাবটিতে ৪৬টি ম্যাচ খেলে, ৮টি গোল এবং ৭টি অ্যাসিস্ট করেন তিনি। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ক্লাব ছাড়ার পর ফুটবল থেকে এতদিন দূরে থাকার পর অবসরের ঘোষণা দেন ফার্নান্দিনহো।
ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে ২০০৩ সালে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জেতেন ফার্নান্দিনহো। ফাইনালে গোলও করেছিলেন এই মিডফিল্ডার। সেলেসাওদের হয়ে ৫৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ব্রাজিল সিনিয়র দলের হয়ে তাঁর সর্বোচ্চ অর্জন ২০১৯ সালে কোপা আমেরিকা জয়।

মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) নতুন মৌসুমে নিজেদের নিজেদের মাঠেই নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। আগামী ৪ এপ্রিল অস্টিনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে উদ্বোধন হবে ক্লাবটির নতুন স্টেডিয়াম ‘মায়ামি ফ্রিডম পার্ক’। বৃহস্পতিবার ঘোষিত ২০২৬ এমএলএস সূচিতে নিশ্চিত করা হয়েছে বিষয়টি।
আগামী বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে ৫১০ ম্যাচের নিয়মিত এমএলএস মৌসুম। প্রতিটি দল খেলবে ৩৪টি করে ম্যাচ। সূচি অনুযায়ী, ৭ নভেম্বর শেষ হবে লিগ পর্ব। এর মাঝেই থাকবে ২৫ মে থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত বিরতি। মেক্সিকো, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের জন্যই এ বিরতির সিদ্ধান্ত। বিশ্বকাপ ফাইনাল ১৯ জুলাই হওয়ার ঠিক আগে লিগ পুনরায় মাঠে গড়াবে।
প্রথম দিনের ম্যাচের সংখ্যা ১৩। উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামবে মেসির দল। সন হিউং-মিনের লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির মুখোমুখি হবে ইন্টার মায়ামি, লস অ্যাঞ্জেলেস মেমোরিয়াল কলিজিয়ামে।
আরও পড়ুন
| শৈশবের ক্লাবে প্রথম ট্রফি জিতে ইতিহাস ডি মারিয়ার |
|
মার্চে ইন্টার মায়াম সফর করবে অরল্যান্ডো, ডিসি ইউনাইটেড, শার্লট ও নিউইয়র্ক সিটি। তারপরই নিজেদের মাঠে প্রথমবারের মতো ২৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার নতুন স্টেডিয়ামে খেলবে।
বিশ্বকাপ বিরতি শেষে ১৬ জুলাই চারটি ম্যাচ দিয়ে আবার মাঠে গড়াবে লিগ। সেদিন মন্ট্রিয়াল–টরন্টো, শিকাগো–ভ্যানকুভার, সেন্ট লুইস–কানসাস সিটি ও সিয়াটল–পোর্টল্যান্ড মুখোমুখি হবে। পরদিন ন্যাশভিল–আটলান্টা এবং লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি–লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাকির ম্যাচও রয়েছে সূচিতে।
২৯ জুলাই শার্লটে হবে এবারের এমএলএস অল-স্টার ম্যাচ। নিয়মিত মৌসুম শেষে নভেম্বরে ফিফা উইন্ডোর সময় কোনো ম্যাচ রাখা হয়নি। এর পরই শুরু হবে এমএলএস প্লে-অফ পর্ব।

৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩। জুভেন্টাসের হয়ে এম্পোলির বিপক্ষে ২৮ মিনিট খেললেন। এরপর দীর্ঘ বিরতি। ২৬ মাস পর শেষ পর্যন্ত আবার মাঠে ফিরছেন পল পগবা। আগামিকাল লিগ আঁ’তে রেন-এর বিপক্ষে ম্যাচে দেখা যেতে পারে এএস মোনাকোর ফরাসি ফুটবলারকে।
ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সব ধরনের ফুটবল থেক সাময়িক নিষিদ্ধ হন পল পগবা। সে সময় তিনি খেলতেন ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে। তদন্ত শেষে নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবনের সত্যতা মেলায় ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে ৪ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। পগবা অবশ্য সবসময়ই দাবি করেছেন যে ডোপ টেস্টের ঘটনা একটি ভুল ছিল। তিনি দাবি করে এসেছেন, তাঁর খাবারে কোনো অবৈধ উপাদান মেশানো হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিলের প্রেক্ষিতে পগবার নিষেধাজ্ঞা ৪ বছর থেকে নেমে আসে ১৮ মাসে। তাতে ফুটবল ক্যারিয়ার নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন ৩২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। কিন্তু গত নভেম্বরে পারস্পরিক সমঝোতায় পগবার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে জুভেন্টাস। পেশাদার ক্যারিয়ার ক্যারিয়ারে আবারও অনিশ্চতার মুখে পড়েন।
আরও পড়ুন
| এই তারকাদের দেখা যাবে না ২০২৬ বিশ্বকাপে |
|
শেষ পর্যন্ত এএস মোনাকো পগবাকে দুই বছরের জন্য নিজেদের করে নেওয়ায় নতুন পথচলা হয় তাঁর। ফরাসি ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তিতে সই করার সময়ে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় পগবাকে।
ফের ফুটবলে ফেরার মধ্য দিয়ে ফ্রান্স জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার স্বপ্নও দেখেন পগবা। মাঠে নিয়মিতই অনুশীলন করছেন বিশ্বকাপ জয়ী এই ফরাসি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। ইএসপিএন জানিয়েছে, মোনাকোর পরের ম্যাচে শেষ সময়ে কয়েক মিনিট মাঠে নামার সুযোগ পেতে পারেন পগবা। তাকে আগামী কয়েক সপ্তাহে ধীরে ধীরে মাঠে সময় দেওয়াও পরিকল্পনা আছে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করার পর ২০১২-১৩ মৌসুমে জুভেন্টাসে যোগ দেন পগবা। চার বছর পর আবার ইংলিশ ক্লাবটিতে ফেরেন তিনি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় দফায় ফের জুভেন্টাসেই পাড়ি জমান ২০২২-২৩ মৌসুমে। ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে ৯১ ম্যাচ খেলে ১১ গোল করেছেন তিনি।

ঘরের ছেলে ফেরাতেই কিনা কে জানে আর্জেন্টিনার লিগের সিস্টেমই পাল্টে গেল। আর তাতে শৈশবের ক্লাবে ফিরে ইতিহাস লিখলেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াও। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশেন (এএফএ) রোসারিও সেন্ট্রালকে লিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেছে।
১৯৮৬-৮৭ মৌসুমের পর এই প্রথম লিগ জিতল ডি মারিয়ার ক্লাব রোসারিও সেন্ট্রাল। ৩৯ বছর পর ঘরের ছেলের প্রত্যাবর্তন রাঙাল তাঁরা লিগ শিরোপা জিতে।
আর্জেন্টিনার লিগে এবার পাল্টে গেছে চ্যাম্পিয়ন দল নির্ধারণের নিয়ম। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির ঘরোয়া ফুটবল লিগের সিস্টেম কিছুটা জটিলই মনে হতে পারে অনেকের কাছে। মূলত তাদের প্রধান টুর্নামেন্ট হচ্ছে অপার্তুরা এবং ক্লাউসুরা।
আরও পড়ুন
| এই তারকাদের দেখা যাবে না ২০২৬ বিশ্বকাপে |
|
আর্জেন্টিনার সাধারণ সিস্টেমে প্রতি বছর দুটি আলাদা টুর্নামেন্ট হয়, অপার্তুরা (যা বছরের প্রথম অংশে হয়) এবং ক্লাউসুরা (যা বছরের দ্বিতীয় অংশে হয়)। প্রতিটি টুর্নামেন্টের পর প্লে-অফ হয় এবং ওই টুর্নামেন্টের আলাদা চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হয়।
অপার্তুরা চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে ক্লাউসুরা চ্যাম্পিয়নের মধ্যে একটি সুপার ফাইনাল ম্যাচ হয়। যেটি সবচেয়ে বড় শিরোপা ধরা হয়ে থাকে। তবে এবার একটু পরিবর্তন হয়েছে। আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন নতুন নিয়ম অনুযায়ী দুটি টুর্নামেন্টের পয়েন্ট যোগ করে হিসাব করা হয়েছে। অর্থাৎ, অপার্তুরা এবং ক্লাউসুরা টুর্নামেন্টের পয়েন্টগুলো যোগ করে যে দল সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট অর্জন করবে তাদের লিগ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঘোষণা করবে।
রোসারিও সেন্ট্রাল ২০২৫ সালের দুটি টুর্নামেন্টের পয়েন্ট যোগ করে মোট ৬৬ পয়েন্ট অর্জন করেছে। এই পয়েন্টের ভিত্তিতে তারা পয়েন্ট টেবিলে প্রথম স্থানে ছিল, তাই ডি মারিয়ার ক্লাবই চ্যাম্পিয়ন হয়। দুই নম্বরে থাকা বোকা জুনিয়র্স থেকে ৪ পয়েন্ট এগিয়ে ছিল তারা।
রোসারিও সেন্ট্রাল সামাজিক মাধ্যমে লিখেছে, ‘আমরা বছরের সেরা দল।’ পেশাদার যুগে এ নিয়ে আটটি বড় শিরোপা জিতল তারা। রোসারিও সেন্ট্রালের সভাপতি আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘টিওয়াইসি স্পোর্টসকে’ বলেছেন, ‘এই পরিকল্পনা গত কয়েক বছর ধরে চলমান, যাতে ভবিষ্যতে বার্ষিক চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ করা যায়। এই টুর্নামেন্ট অ্পার্তুরা, ক্লাউসুরা এবং কোপা দে ক্যাম্পিয়োনেসের সঙ্গে যুক্ত হবে। বার্ষিক চ্যাম্পিয়ন ফিরবে, বর্তমান চ্যাম্পিয়নকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে
তিনি আরো যোগ করেন, ‘এটি আমাদের মতো একটি ক্লাবের জন্য পুরোপুরি প্রাপ্য, যারা প্রথম ম্যাচ থেকেই শেষ পর্যন্ত শীর্ষে ছিল, সবার থেকে বেশি পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে, এবং পুরো বছর শুধু দুটি ম্যাচ হেরেছি আমরা। আমরা খুব খুশি এবং গর্বিত। এই একটি ট্রফিরই অভাব ছিল আমাদের।’
আরও পড়ুন
| সান্তোসের হয়ে গোল করেও নেইমারের ক্ষমা প্রার্থনা |
|
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ডি মারিয়া রোসারিওতে ফিরেই ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘এখানে চ্যাম্পিয়ন হওয়া, এটি আমার একমাত্র লক্ষ্য। ফিরে আসার স্বপ্ন ছিল, তা পূর্ণ করেছি। এখন পরবর্তী লক্ষ্য হল সেন্ট্রালকে চ্যাম্পিয়ন করা, এবং এটিই আমার এবং আমার পরিবারের আকাঙ্ক্ষা।’
২০০৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর, রোসারিও সেন্ট্রালের ব্লু অ্যান্ড ইয়েলো জার্সিতে অভিষেক হয় ‘এল ফিদিও’ নামে পরিচিত ডি মারিয়ার। ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার আগে ৩৯ ম্যাচে ছয়টি গোল করেন। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে পুরো ইউরোপ চষে বেড়িয়ে সেন্ট্রালে ফিরে এসে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ক্লাউসুরা টুর্নামেন্টে ১৫ ম্যাচে ৭টি গোল ও ৬টি অ্যাসিস্ট করেন।