একের পর এক চোট ম্যানচেস্টার সিটিকে যেন বিপাকেই ফেলে দিচ্ছে। সেরা একাদশের ছয় জন ফুটবলার এরই মধ্যে মাঠের বাইরে চলে গেছেন। তারমধ্যে লিগ কাপে টটেনহাম হটস্পারের সাথে হেরে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিয়েছে সিটিজেনরা। দলে এমন চোটের হানায় বিপদ দেখছেন সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। বলছেন এভাবে পুরো মৌসুম পার করা বেশ কঠিন কাজ।
টটেনহামের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে ছিটকে যান ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকাঞ্জি। ৬৩ মিনিটে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন ফরোয়ার্ড সাভিনিয়ো। চোট সমস্যায় ভুগছেন আরেক ডিফেন্ডার রুবেন দিয়াসও। অন্যদিকে মিডফিল্ডার রদ্রি তো এসিএল চোটে পড়ে পুরো মৌসুমের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন। কাইল ওয়াকার, কেভিন ডি ব্রুইনাদেরও হালও একই।
তাতে একাদশ সাজানোটাই গার্দিওলার জন্য এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। টটেনহামের সাথে ম্যাচ শেষে সে কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে,
“স্কোয়াডে পুরো ফিট আছে এমন ১৩ জন আছে, আমরা কঠিন বিপদেই আছি। দেখা যাক ফুটবলাররা কতটা সেরে উঠতে পারে। তবে গত নয় বছরে চোট নিয়ে আমদের এতটা বিপাকে পড়তে হয়নি।”
সিটি বর্তমানে আছে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে। তবে চোট কাটিয়ে ফুটবলাররা তাড়াতাড়ি না ফিরলে এই মৌসুমে সাফল্য পাওয়াটা মুশকিল বলেই মানছেন গার্দিওলা,
“যদি ফুটবলাররা তাড়াতাড়ি না ফেরে সেক্ষেত্রে আমাদের সমস্যা আরও বাড়বে। ১৪/১৫ জন ফুটবলার দিয়ে পুরো মৌসুম কাটানো সম্ভব না। তাই ফুটবলারদের তাড়াতাড়ি ফেরা দরকার।”
২ নভেম্বর ২০২৪, ৮:৩০ পিএম
২ নভেম্বর ২০২৪, ৬:২৫ পিএম
লেবাননের সঙ্গে ড্র আর ফিলিস্তিনের বিপক্ষে একেবারে শেষ মুহুর্তের গোলে পয়েন্ট খোয়ানোর ভুল এবার আর করতে চায় না বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে মালদ্বীপের সঙ্গে ম্যাচে লক্ষ্য একটাই, জিততেই হবে। মেয়েরা যেমন পেরেছে তেমনি ছেলেরাও চায় দেশের জন্য কিছু করতে। মালদ্বীপের সঙ্গে দুই প্রীতি ম্যাচ জিতে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেই সেটার শুরু করতে চায় তারা।
লেবানন-ফিলিস্তিনের সঙ্গে আশানুরূপ ফল পেলে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে তিন নম্বর পটে জায়গা মেলার সুযোগ হতো। তাতে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেতে পারতো বাংলাদেশ। তবে তা না হলেও এখনও সেই পটে যাবার সুযোগ দেখছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
আর এই সুযোগটা কাবরেরা কাজে লাগাতে চান যথাযথভাবে। “দলের প্রতি আমার বার্তা হচ্ছে, আমরা আরেকটা সুযোগ পেয়েছি ওই পটে যাওয়ার। যদি আমরা কাঙিক্ষত ফল না পাই, তাহলে সেখানে যেতে পারব না। আমাদের বিশ্বাস, যেটা আমরা অর্জন করতে চাই, সেটা পারব। আমরা নিজেদের মাঠে খেলব, যেটা আমরা ভালোভাবে জানি। সব ম্যাচই অবশ্যই কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং, তবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অর্জনের আরেকটি সুযোগ আমাদের সামনে আছে“।
লক্ষ্য পূরণে গত শুক্রবার থেকেই ক্যাম্প শুরু করেছে দল। ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রাথমিক তালিকা থেকে ১৫ জন ফুটবলার আবাসিক ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। অসুস্থতার কারণে ফরোয়ার্ড আরমান ফয়সাল আকাশ ক্যাম্পে যোগ দেননি। তার পরিবর্তে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ জয়ী স্ট্রাইকার পিয়াস আহমেদ নোভা যোগ দিয়েছেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে।
ফুবলারদের নিয়ে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুরু হয়েছে প্রস্ততিও। বাকি রয়েছেন বসুন্ধরা কিংস ক্লাবের হয়ে ভূটান খেলতে যাওয়া জাতীয় দলের কিছু প্লেয়ার। তারা ফিরলেই পরবর্তীতে করা হবে আরো ৬ থেকে ৭টি সেশন। তবে এবার ঘরোয়া লিগ শুরু না হওয়ায় প্রস্তুতিতে কিছুটা ঘাটতির শঙ্কা তো থেকেই যায়।
অবশ্য কোচ তাতে আশা হারাচ্ছেন না। “মৌসুম আরও আগে শুরু হলে অবশ্যই ভালো হত। যে দৃশ্যটা দেখছি, সেটা আমরা দেখতে চাইনি। আশা করেছিলাম, এই নভেম্বরের উইন্ডোতে ৫-৬টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলে কাজে লাগানো যাবে। প্রতিযোগিতা না থাকায় অনেক খেলোয়াড়কে সেভাবে তৈরি করা কঠিন হয়েছে। নিশ্চিতভাবেই লম্বা সময় ধরে কোনো প্রতিযোগিতা না থাকা জাতীয় দলের জন্য ভালো হয়নি। তবে আমরা চেষ্টা করেছি মানিয়ে নেওয়ার, যাতে করে মালদ্বীপের বিপক্ষে ভালো ফল পাওয়া যায়“।
আগামী ১৩ ও ১৬ নভেম্বর মালদ্বীপের সঙ্গে দুই প্রীতি ম্যাচ বাংলাদেশ খেলবে এই কিংস অ্যারেনাতেই। সব না থাকা, আর না পাওয়াকে উতরে দল অপেক্ষায় ভালো কিছুর।
ক্লাবের পাশাপাশি জাতীয় দলের হয়েও গত মৌসুমে লাউতারো মার্তিনেজের যে অর্জন, তাতে অনেকেই তাকে রেখেছিলেন ব্যালন ডি’অরের বিবেচনায়। তবে শেষ পর্যন্ত শীর্ষ পাঁচেও জায়গা হয়নি আর্জেন্টিনা স্ট্রাইকারের। তিনি নিজেও বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ করেছেন খানিকটা হতাশা। তবে ইতালির বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক ডিফেন্ডার মার্কো মাতেরাজ্জি মনে করেন, মেসির প্রশংসার চেয়ে এই খেতাবের মাহাত্ব বেশি হতে পারে না।
‘এল তোরো’ খ্যাত লাউতারো ইন্তার মিলানের হয়ে জেতেন সেরি আর শিরোপা। আর আর্জেন্টিনার হয়ে জেতেন কোপা আমেরিকা। এই দুই প্রতিযোগিতাতেই তিনি হন সর্বোচ্চ গোলদাতা। এরপরও ব্যালন ডি’অরের ভোটে সাত নম্বর স্থান পান লাউতারো। এরপর তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শীর্ষ পাঁচের মধ্যে অন্তত থাকার আশা ছিল তার।
আরও পড়ুন
লোকেরাই ঠিক করবে তারা আমাকে কীভাবে মনে রাখবে : মেসি |
এই প্রসঙ্গে ‘গাজ্জেতা’-এর সাথা সম্প্রতি কথা বলেছেন ইতালির হয়ে ২০০৬ বিশ্বকাপ জেতা মাতেরাজ্জি। আর সেখানে উত্তরসূরির প্রতি বলেন ইতিবাচক কথা। “লাউতিকে (লাউতারো মার্তিনেজ) অবশ্যই স্রেফ মেসির কথায় মনোযোগ দিতে হবে, কারণ তার রায় ব্যালন ডি'অর জুরির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।”
ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানের কয়েকদিন আগে মেসি বলেছিলেন যে, লাউতারো ২০২৩-২৪ মৌসুমে তার অর্জনের বিবেচনায় অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে এই পুরস্কারের বেশি প্রাপ্য।
আরও পড়ুন
‘রোনালদোই শুধু মেসিকে হারাতে পেরেছে , ২০ বছরে তাদের অর্জন অবিশ্বাস্য’ |
সব জায়গাতেই লাউতারো সফল একটা মৌসুম কাটালেও তার হাতে ব্যালন ডি’অর বলতে গেলে কেউই দেখেননি সেভাবে। কয়েক মাস আগে থেকেই মূল লড়াইটা হয়ে আসছিল রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার রদ্রির মধ্যে। শেষ পর্যন্ত এটি উঠেছে তারই হাতে।
বিজয়ী নিয়ে আপত্তি না থাকলেও লাউতারোর অবস্থান নিয়ে হতাশ মাতেরাজ্জিও। “চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী কারভাহাল ও ইউরো জয়ী রদ্রিকে নিয়ে অভিযোগ করতে পারি না। কিন্তু লাউতারো ইন্তার ও আর্জেন্টিনার হয়েও ট্রফিও জিতেছেন। তাই যখন সে বলল যে সে আরও ভালো কিছু আশা করেছিল, সেটা ঠিকই ছিল”