১১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৯ এম

কাতালুনিয়ার বাসিন্দারা ঘুম থেকে উঠে চোখ কচলে মুঠোফোনে নজর দিলেন। আরে একি, চোখ হয়ে গেল তাদের ছানাবড়া! বিস্ময়ে নিজের চোখকেই হয়তো বিশ্বাস করতে পারছিল না তারা। বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি ঘুরে গেছেন তাদের অলিতে গলিতেই, অথচ ক্ষুণাক্ষরেও সেটা টের পাননি তারা।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবি তখন ফুটবলবিশ্বকেই চমকে দিয়েছে। ক্যাম্প ন্যু এর সামনে হাস্যজ্বল মুখে দাড়িয়ে আছেন আর্জেন্টিনার মহাতারকা মেসি। সেই ছবি পোস্ট করে আবার এমন এক বার্তা দিলেন যে বার্সার সমর্থকরা আবার আশায় বুক বাধে নিজেদের ইতিহাসের সেরা ফুটবলারকে দেখার।
https://www.instagram.com/p/DQ3zR6-DPGm/?utm_source=ig_web_copy_link
মেসির আবেগেভরা বার্তা ছিল এমন, ‘গতরাতে আমি ফিরে গিয়েছিলাম এমন এক জায়গায়, যাকে আমি হৃদয়ের গভীর থেকে মিস করি। এমন এক জায়গা, যেখানে আমি ছিলাম অসীম সুখী; যেখানে তোমরা আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ বানিয়েছিলে হাজারবার। আশা করি, একদিন আমি ফিরে আসব— শুধু বিদায় জানাতে নয়, কারণ খেলোয়াড় হিসেবে আমি কখনও সত্যিকারের বিদায় নিতে পারিনি…।’
এই ক’টি শব্দে ছিল মেসির সমস্ত ‘নস্টালজিয়া’, ভালোবাসা আর অসমাপ্ত গল্পের আখ্যান। তবে ঠিক কিভাবে চুপিসারে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বার্সায় ঘুরে গেলেন মেসি। কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই, নেই কোনো হট্টগোল, একেবারে নিঃশব্দে কি করে ‘চিরচেনা’ ঘাসের ঘ্রাণ নিয়ে আবার ফিরে গেলেন ফুটবল ইতিহাসের তর্কাতিতভাবে সেরা ফুটবলার ?
বার্সেলোনা ক্লাবের কেউই জানত না মেসির ঝটিকা সফরের কথা। ছিল না কোনো আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনাও। একবারে হঠাৎ করেই মেসি উড়ে আসেন সেই শহরে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্তের’ প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক মেসির অন্যরকম বার্সায় ফেরার গল্প।
স্থানীয় সময় গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে মায়ামির ফোর্ট লডারডেল বিমানবন্দর থেকে প্রাইভেট জেটে বার্সেলোনায় পোঁছান মেসি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষ এবং সতীর্থ রদ্রিগো দে পল। দু’জনেই আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে সোমবার স্পেনের আলিকান্তেতে অনুশীলনের কথা থাকায় একদিন আগে এসে বার্সেলোনায় কিছু সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
বার্সেলোনার উপকণ্ঠে কাস্তেলদেফেলস-এ নিজস্ব বাড়ি আছে মেসির। তবুও ইন্টার মায়ামির এই মহাতারকা থাকার জন্য বেছে নেন হোটেল প্রিন্সেসা সোফিয়া। তাঁর ঘর থেকেই দেখা যাচ্ছিল ক্যাম্প ন্যু। সেদিন মাত্র চার-পাঁচজন ভক্ত তাঁকে চিনতে পারেন। তারা ভেবেছিলেন, তিনি হয়তো তারকা অতিথিদের জন্য নির্দিষ্ট -২ তলা দিয়ে বের হবেন। কিন্তু মেসি যেন আগের মতোই সহজ— হেঁটে বেরিয়ে আসেন প্রধান দরজা দিয়ে, যেন তিনি কোনো সাধারণ অতিথি।
সেই রাতে তিনি দে পলের সঙ্গে নৈশভোজ করেন শহরের এক পুরনো রেস্তোরাঁয়। খেলোয়াড়দের প্রিয় রেস্তোরাঁয়, যেখানে শান্ত আর ঘনিষ্ঠ পরিবেশের জন্য পরিচিত।
নৈশভোজের পর দি পলকে নিয়ে ক্যাম্প ন্যু এর দিকে যান মেসি। ‘লেস কোর্টস’ এলাকায়, স্টেডিয়ামের পাশের ফিউনারেল হোমের সামনে গাড়ি থামিয়ে মেসি নামেন। মেসির চোখ পড়ে তখন সেই ঠিকানায় যেখানে তিনি দুই দশক ধরে রচনা করেছিলেন ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে উজ্জ্বল অধ্যায়গুলো।
সেই মুহূর্তে এক সমর্থক, যিনি নিয়মিত বার্সার অনুশীলন মাঠে যান, হঠাৎ করেই তাঁকে চিনে ফেলেন। উত্তেজনায় ওই মেসি ভক্ত চিৎকার করে ওঠে, ‘মেসি!’
অমায়িক মেসি তখনও হাসছেন, তিনি তাঁর সঙ্গে ছবি তোলেন, তারপর ধীরে ধীরে প্রবেশ করেন স্টেডিয়ামের ভেতরে— আবার পা রাখেন সেই মাঠে, যেখানে তিনি ফুটবলের ইতিহাসকে নিজের মতো করে সাজিয়েছেন। ২০২১ সালের সেই হঠাৎ, বেদনাময় বিদায়ের পর প্রথমবার তিনি ক্যাম্প ন্যুতে ফেরা। স্বয়ং মেসি ছাড়া বিশ্বের কেউ সেই অনুভূতি বুঝতে পারার কথা নয়। কি চলছিল তখন মেসির মনে ?
ক্যাম্প ন্যু থেকে ফিরে মেসি ও ডি পল চুপিচুপি আবার হোটেলে যান। কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে সকালে প্রাইভেট জেটে রওনা দেন আলিকান্তের উদ্দেশে, যেখানে এখন তাঁরা আর্জেন্টিনা দলের অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। একটা ফেরার গল্প, ছোট্ট এই গল্পই যে নাড়া দিয়েছে কোটি বার্সা সমর্থকের হৃদয়ে। রোসারিও জাদুকর মেসি সবসময়ই থাকবে ক্যাম্প ন্যুর অংশ হয়ে, আর ক্যাম্প ন্যু থাকবে চিরকাল মেসির হৃদয়ের এক কোণে।
No posts available.
১০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৫ পিএম
১০ নভেম্বর ২০২৫, ৬:১০ পিএম
১০ নভেম্বর ২০২৫, ৬:০২ পিএম

ঢাকায় আজ বাফুফে-ফিফা নারী ফুটবলে নতুন পথচলার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে। রাজধানীর একটি হোটেলে বাফুফে-ফিফার নারী ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ২০২৫-২৮ শীর্ষক অনুষ্ঠান আয়োজন করে বাফুফে।
ফিফার এই উদ্যোগের সঙ্গে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা সম্পৃক্ত হতে পেরে বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
সম্প্রতি আসিফ আকবরের ফুটবল নিয়ে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য নিয়েও জানতে চাওয়া হয় তাবিথ আউয়ালের কাছে। আলোড়ন তোলা এই বক্তব্যে তীব্র নিন্দা জানান বাফুফে সভাপতি।
সাংবাদিকদের বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘দেখেন আমরা যারা ফুটবল নিয়ে কাজ করি বা ফুটবলটাকে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে জাগ্রত করার চেষ্টা করছি, যখনই আমরা ফুটবল নিয়ে কোন নেতিবাচক কমেন্ট শুনি, অফকোর্স আমরা ব্যথিত হই এবং আঘাতপ্রাপ্ত হই। তবে তাও জাস্ট সম্প্রতি আমাদের ক্রিকেট কনফারেন্সের সময় আমরা একটা বক্তব্য শুনেছি যেটা ফুটবলের বিপক্ষে হয় এবং খেলোয়াড়দের উপর অপমানজনক একটা কমেন্ট করা হয়েছে।’
আসিফ আকবরের মন্তব্যের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানান তাবিথ আউয়াল, ‘তার প্রসঙ্গে আমি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে, বিসিবি সভাপতির প্রতি একটা চিঠি পাঠিয়েছি। আমি আশা করি, ওই চিঠির উত্তরে আমরা অনেক কিছু ক্লিয়ারিফিকেশন পাবো। যখন আমরা একটা ক্লিয়ারিফিকেশন পাবো বা বিসিবি’র অফিশিয়াল স্ট্যান্স আমরা জানতে পারবো, আমি বিশ্বাস করি, সেখানে আমরা একটা সমাধানের পথ খুঁজে নিব।
আমরা সবাই খেলোয়াড়, আমরা সবাই ক্রীড়াবিদ। আর আমাদের সকল ফেডারেশনের দায়িত্ব হলো ঐক্যবদ্ধ থাকা। তা আমরা চাবো না কোনো একটা ইস্যুতে বা কোনো কারোর ইস্যুতে আমরা এই ঐক্যবদ্ধতা আমাদের কোনো আমাদের বিভক্ত করে ফেলে। তো আমি আশাবাদী অতি শীঘ্রই আপনারা দেখবেন যে সকল ক্রীড়া ফেডারেশন এক হয়ে বাংলাদেশের জন্য এবং বাংলাদেশের কল্যাণের জন্য আমরা কাজ করছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘কোন বক্তব্য কে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে দেয় আমি ঠিক জানি না। তবে আমি তো এইটুকু বলতে পারি যে ধরনের মন্তব্য আমরা অন্য একটা ফেডারেশন থেকে ফুটবল নিয়ে শুনেছি, স্পেসিফিক্যালি ফুটবল নিয়ে, সেটা একটা স্বাভাবিক কোনো বক্তব্য হতে পারে না। তাই এই অস্বাভাবিক কারণেই... কারণের ব্যাখ্যাটা চেয়েই আমি কিন্তু শ্রদ্ধার সাথে আমার বিসিবি-র প্রেসিডেন্ট মহোদয়ের প্রতি একটা চিঠি পাঠিয়েছি। একটু অপেক্ষা করি যে নিশ্চই কোনো একটা উত্তর আমরা পাবো। উত্তর থেকে আমি বাকি মন্তব্য ব্যক্তিগতভাবে করতে পারবো।’

আগামী চার বছরে সারা বিশ্বে বিভিন্ন স্তরে, পেশাদার, নন-পেশাদার মিলিয়ে নারী ফুটবলারের সংখ্যা ৬ কোটিতে উন্নীত করতে চায় ফিফা। চোখ কপালে তোলার মত হলেও এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ফিফার এশিয়ান অঞ্চলের নারী ফুটবলে উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান সাইমন এন্থোনি।
ফিফার এই কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আজ ঢাকায় বাফুফে-ফিফা নারী ফুটবলে নতুন পথচলার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে। সেখানেই বক্তব্য রাখেন এন্থোনি।
বাংলাদেশে নারী ফুটবল এগিয়েছে। সর্বশেষ দুটি সাফে শিরোপা জেতার পর সিনিয়র নারী ফুটবল দল জায়গা করে নিয়েছে এশিয়ান কাপে। তাঁদের পথ অনুসরণ করেছে অনূর্ধ্ব-২০ দলও। দেশের ফুটবলের উন্নতির এই ধারা অবাক করেছে বিশ্বকে। ফুটবলে দিনকে দিন বিকশিত হচ্ছেন লাল সবুজের মেয়েরা। এবার তাঁদের তাদের পাশে দাঁড়াতে চায় স্বয়ং ফিফা।
ফুটবলকে আরও বিকশিত করতে বিভিন্ন সময়ই নানা পদক্ষেপ নেয় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা ফিফা। এরই ধারাবাহিকতায় তারা নারী ফুটবলের জন্য ২০২৫-২৮ মেয়াদে একটি বিশেষ পরিকল্পনা করেছে। যার আনুষ্ঠানিক নাম দিয়েছে 'এমপাওয়ার হার।'
দেশের ফুটবলের যত সাফল্য সবই প্রায় এসেছে নারী ফুটবলের হাত ধরে। বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে সিনিয়র দলও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি আনছে।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাফুফে-ফিফার নারী ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ২০২৫-২৮ শীর্ষক অনুষ্ঠান আয়োজন করে বাফুফে। সেখানে নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণের বক্তব্যের পর নারী ফুটবলারদের সাফল্য ও পথচলা নিয়ে একটি ভিডিও ডিসপ্লে করে ফেডারেশন।
এরপরই ফিফার কর্মকর্তা সাইমন এন্থোনি মঞ্চে উঠেন। তিনি নারী ফুটবলে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি ও ফিফা সহযোগিতামূলক পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
ফিফার প্রধান উদ্দেশ্য সারা বিশ্বজুড়ে ৬ কোটি নারী ফুটবলারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। নারী কোচের সংখ্যাও বৃদ্ধি করতে হবে। এ নিয়ে সাইমন বলেন,' আমরা একটা জরিপ করেছি সেখানে দেখা গেছে নারী-পুরুষ লিগ মিলিয়ে নারী কোচের সংখ্যা মাত্র ২২ শতাংশ। আমরা এই চার বছরে অনেক নারী কোচ বাড়াতে চাই। '
কেবল ফুটবলার-কোচের সংখ্যা বাড়িয়ে নিজেদের লক্ষ্য সীমাবদ্ধ করে রাখতে চায় না ফিফা। নারী ফুটবলারদের জন্য টুর্নামেন্ট বৃদ্ধি, স্পন্সরশীপ উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। ফিফার এই পরিকল্পনাগুলোর সঙ্গে তার অধীভুক্ত সংস্থাগুলোকেও পরিচালনা করতে চায়। বাংলাদেশে এসে এমন উপস্থাপনা করার কারণ সম্পর্কে সাইমন বলেন,' এশিয়ার প্রধান হিসেবে আমি প্রতি দেশেই নারী ফুটবল নিয়ে ভ্রমণ করি। বাংলাদেশ নারী ফুটবলে সাম্প্রতিক সময়ে অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। এজন্য আমি নিজে এসে ফুটবলসংশ্লিষ্ট সবার সামনে নারী ফুটবলের ফিফার লক্ষ্য জানালাম যাতে বাফুফে এর সঙ্গে মিলে নারী ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।'

ফিফার এই উদ্যোগের সঙ্গে দেশের।ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা সম্পৃক্ত হতে পেরে বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে নারী ফুটবলে কার্যকর পরিবর্তন আনা সম্ভব বলে মনে করেন বাফুফে সভাপতি, 'নারী ফুটবলে আমাদের ক্লাব সংখ্যা কম। নারীদের ঘরোয়া লিগ বাড়ানো, তাদের আরও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করব। ফিফা আমাদের ট্যাকনিক্যাল ও আর্থিকভাবে সহায়তা করবে।'
আজকের অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো সেসা, মরক্কো দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স উপস্থিত ছিলেন।
মরক্কো দূতাবাসের কর্মকর্তা বলেন, 'বাংলাদেশের নারী ফুটবলের উন্নয়নে মরক্কো সব সময় পাশে থাকবে।' আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের প্রশংসা করে বলেন, 'বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা সাফল্য আনছে এটা আসলেই বেশ গর্বের বিষয়।'
বাংলাদেশের নারী ফুটবলে প্রধান পৃষ্ঠপোষক ঢাকা ব্যাংক। এদিন ঢাকা ব্যাকের প্রতিনিধি বলেন, 'ঢাকা ব্যাংক নারী ফুটবলের সঙ্গে থাকতে পেরে গর্বিত। আগামী দিনেও ঢাকা ব্যাংক নারী ফুটবলারদের সাথে থাকবে।'
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অন্যতম বড় তারকা খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা ফিফা কর্মকর্তাকে বাংলাদেশের পক্ষে জার্সি তুলে দেন। পরবর্তীতে অ-১৭ দলের ফুটবলার, বাফুফে নির্বাহী কমিটির সকলে ফিফা কর্মকর্তার সঙ্গে একটি ফটোসেশনে অংশ নেন।

লা লিগায় বার্সেলোনার আগের ম্যাচে রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে ম্যাচে পয়েন্ট হারায় রিয়াল মাদ্রিদ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিদের ড্রয়ে পয়েন্ট টেবিলে ব্যবধান কমানোর সুযোগ হাতছাড়া করেনি বার্সা। সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ৪-২ গোলে জয় পায় কাতালান ক্লাবটি।
সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে এই ম্যাচেই বার্সার কয়েকটি গোল হতে হতেও হয়নি। পোস্টে লেগে ফিরে আসে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির ফুটবলারদের নেওয়া শট। আর ঠিক এভাবে গোল মিসের এই তালিকায় চলতি মৌসুমে সবার উপরে আছে বার্সেলোনা।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো ডেপোর্টিভোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই মৌসুমে বার্সেলোনার নেওয়া শট ১৫ বার পোস্টে আঘাত করেছে, যা ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে ক্লাবগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। লা লিগায় ১২টি আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লামিনে ইয়ামাল-রবার্ট লেভানডফস্কিদের নেওয়া ৩টি শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে।
সবচেয়ে বেশি দুর্ভাগ্য ফেরান টোরেসের। বার্সার এই তরুণ ফরোয়ার্ডের নেওয়া চারটি শট পোস্টে আঘাত করে। এরপর রাফিনহা, ফারমিন লোপেজ, লামিনে ইয়ামাল, এবং মার্কাস রাশফোর্ডের দুটি করে শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এ ছাড়া লেভানডোফস্কি, দানি ওলমো এবং এরিক গার্সিয়া একবার করে এমন হতাশার স্বাক্ষী হয়েছেন।
অবশ্য মিসের পরও গোল করায় লা লিগায় এখন পর্যন্ত সবার উপরে আছে বার্সেলোনা। স্প্যানিশ লিগটিতে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ৩২টি গোল করেছে লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল করেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ। জাবি আলোনসোর দল ২৬বার লক্ষ্যভেদ করেছে।

ফুটবলারদের নিয়ে বিসিবির বয়সভিত্তিক ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান আসিফ আকবরের মন্তব্য নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। এই ইস্যুতে এবার মুখ খুলেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বিসিবি পরিচালকের মন্তব্যকে ‘অবমাননাকর’ হিসেবে উল্লেখ করেছে তারা। আসিফের মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিঠি পাঠিয়েছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
বুলবুলকে পাঠানো চিঠিতে তাবিথ লিখেছেন, ‘আপনার (বুলবুল) মতো অভিজ্ঞ ও মর্যাদাপূর্ণ একজন ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন যা আমাদের জন্য এক গর্বের বিষয়। আমি গত ৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সে প্রদত্ত বক্তব্য সম্পর্কে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।’
আসিফের মন্তব্য অপমানজনক ও উদ্বেগজনক বললেন বাফুফে সভাপতি, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সে ফুটবল খেলাকে নিয়ে অত্যন্ত অবমাননাকর, অপমানজনক ও উদ্বেগজনক মন্তব্য করা হয়, যা শুধু ফুটবল নয়, পুরো ক্রীড়া সমাজের জন্যই হতাশাজনক। আমরা এই মন্তব্যের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এই পত্রকে আমাদের আনুষ্ঠানিক আপত্তি হিসেবে বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
তাবিথ চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, ‘ক্রিকেট কনফারেন্স থেকে এমন মনোভাব প্রকাশ পাওয়া সত্যিই দুঃখজনক এবং উদ্বেগজনক। আমরা সবাই খেলাধুলাকে একটি ঐক্যের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা আমাদের জাতিকে একত্রিত করে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে গর্ব ও অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে। আমরা উভয়েই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে দেশের সব ক্রীড়া ফেডারেশন একসঙ্গে কাজ করবে একটি সুস্থ, দৃঢ় ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।’
আসিফ হুমকি দিয়েছেন কি না, এ প্রশ্নও রাখলেন তাবিথ, ‘কিন্তু যখন ক্রিকেট বোর্ডের কনফারেন্সে “অভিজাত” শব্দটি ব্যবহার করা হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, আমরা কি সত্যিই জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা বিপ্লবে ঘোষিত বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশের আদর্শে অটল আছি? আর যখন “মারামারি” শব্দটি উচ্চারিত হয়, তখন আরও গুরুতর প্রশ্ন জাগে, এটি কি কোনো ধরনের হুমকি?
বাফুফের পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘এমন দৃষ্টিকটু ও অশোভন বক্তব্য ফুটবল ও ফুটবল খেলোয়াড়দের প্রতি চরম অসম্মানজনক, যা ক্রীড়ার মৌলিক মূল্যবোধ ও চেতনার পরিপন্থী। গণমানুষের প্রাণের খেলা ফুটবল শুধু একটি খেলা নয়, কোটি মানুষের আবেগ, ঐক্য ও গৌরবের প্রতীক। এই ফুটবল ও ফুটবল খেলোয়াড়রাই মুক্তিযুদ্ধ, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, দূর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিপ্লবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।’
বিসিবি সভাপতি বুলবুলের কাছে সর্বসম্মুখে ব্যাখ্যা প্রত্যাশা তাবিথের, `আপনি নিশ্চয়ই অবগত, বাংলাদেশে ফুটবলের অভিভাবক হিসেবে আমি ও আমার নির্বাচিত নির্বাহী কমিটি, হাজার হাজার খেলোয়াড় এবং কোটি কোটি ভক্তের প্রতিনিধিত্ব করি। তাই এই ঘটনায় আমি আপনার কাছে একটি আনুষ্ঠানিক ও সর্বসম্মুখে ব্যাখ্যা প্রত্যাশা করছি। আপনার প্রতি আমার ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা ও সম্মান অটুট। আমি বিশ্বাস করি, আপনি একজন জাতীয় ক্রীড়াবিদ ও সম্মানিত ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে আপনার প্ল্যাটফর্মকে কোনো ভুল উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতে দেবেন না; বরং আপনি এখনই এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেশের কোটি ক্রীড়ামোদি মনে সৃষ্ট আঘাত ও বিভ্রান্তি দূর করবেন। বাংলাদেশে ক্রিকেটসহ সকল খেলাধুলার সফল যাত্রা কামনা করছি।’
দেশের সব জেলার ক্রিকেট প্রেসিডেন্ট, জেলা ক্রীড়া অফিসার, জেলার ক্রিকেট কোচ, জেলার নারী উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে দুই দিনের বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স চলছে। গতকাল উদ্বোধনী দিনে বক্তৃতায় বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর ক্রিকেট উন্নয়নে ফুটবলারদের বড় বাধা হিসেবে মন্তব্য করেন। উইকেট ভেঙে ফেলা-মাঠ দখল করে রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন তিনি।

আগামী ১৪ নভেম্বর আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। ইতোমধ্যে লুয়ান্ডায় এই ম্যাচের জন্য দলও ঘোষণা করেছে কোচ লিওনেল স্কালোনি। তবে এর মধ্যে হঠাৎ চোট পান এনজো ফার্নান্দেজ। আর চেলসির এই মিডফিল্ডারের চোটেই চমক জাগানিয়া খবর দেয় আর্জেন্টিনা।
তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের ভাই কেভিন ম্যাক অ্যালিস্টার। লিভারপুলের তারকা মিডফিল্ডার আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের বড় ভাই কেভিন ম্যাক অ্যালিস্টারকে দেখা যেতে পারে অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে ম্যাচে।
ছোটভাইয়ের মতো মিডফিল্ডে খেলেন না কেভিন। বেলজিয়ামের ক্লাব ইউনিয়ন সাঁ-জিলোয়াজে ডিফেন্ডার পজিশনে খেলেন ২৮ বছর বয়সী কেভিন। মূলত এনজো ফার্নান্দেজ হাঁটুর চোটে পড়ায় ভাগ্য খোলে তাঁর।
এই সপ্তাহে জাতীয় দলের সঙ্গে ক্যাম্পে যোগ দেবেন কেভিন ম্যাক অ্যালিস্টার। আর্জেন্টিনা দলে খেলার স্বপ্ন পূরণের পর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আজ (গতকাল) ম্যাচের দুই ঘণ্টা আগে আমি একটি ফোন পাই— আগামীকাল আমি আলিকান্তে উড়ে যাচ্ছি জাতীয় দলে যোগ দিতে। এটা আমার জীবনের প্রথমবার, আর আমি জানি আমি একা এটা অর্জন করিনি— এই ড্রেসিং রুমের প্রতিটি মানুষের অবদানে এটা সম্ভব হয়েছে। তাই আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স থেকে ২০২৩ সালে ইউনিয়ন সাঁ-জিলোয়াজে যোগ দেওয়া কেভিন জানান, তার পরিবার জাতীয় দলের সুযোগ পাওয়ার খবরে আনন্দে ভাসছে, ‘আমার পরিবার ভীষণ খুশি। আমি যখন স্ত্রীকে ফোন করি, তখনই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এটা এক অসাধারণ অনুভূতি। আগামীকাল আমি এক স্বপ্ন পূরণের পথে হাঁটব।’
কেভিনের ভাই আলেক্সিস আর্জেন্টিনার হয়ে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ও ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা জিতেছেন। এখন পর্যন্ত তিনি আকাশি-সাদা জার্সিতে ৪১ ম্যাচে ৬ গোল করেছেন। এবার জাতীয় দলে ছোটভাইয়ের মতো বড় ভাই কতটা ছাপ রাখতে পারেন সেটাই দেখার।