
সপ্তাহখানেক আগে সংবাদমাধ্যমে সয়লাভ লামিন ইয়ামাল আর নিকি নিকোলের প্রেমের বিচ্ছেদ। তবে সেই রেশ না কাটতেই নতুন করে আলোচনায় বার্সেলোনার তারকা ফরোয়ার্ডের বাবার বাগদান সম্পন্ন।
মার্কা, ডেইলি মেইল ও দ্য সানের প্রতিবেদন, ইয়ামালের ৩৫ বছর বয়সী বাবা মুনির নাসরাউই সম্প্রতি বাগদান সম্পন্ন করেছেন ২৩ বছর বয়সী নারী ক্রিস্টিনার সঙ্গে। যিনি ১৮ বছর বয়সী ইয়ামালের চেয়ে পাঁচ বছরের বড়।
নাসরাউই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয় মুখ। বাগদানের খবর জানিয়েছেন এক আবেগঘন পোস্টে। বারান্দায় ক্রিস্টিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের একটি ছবি দিয়ে, ক্যাপশনে জুড়ে দিয়েছেন ‘ব্লাক লাভ ও আংটির’ ইমোজি—যা ভক্তদের মধ্যে বিয়ের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
নাসরাউই ও ক্রিস্টিনার সম্পর্ক কবে শুরু হয়েছিল, তা স্পষ্ট নয়। তবে গত কয়েক মাসে ক্রিস্টিনাকে একাধিকবার নাসরাউইয়ের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দেখা গেছে।
অন্যদিকে ছেলে ইয়ামালের ব্যক্তিগত জীবনে চলছে উল্টো স্রোত। বার্সেলোনার এই তারকা ফরোয়ার্ড সম্প্রতি বিচ্ছেদ ঘটিয়েছেন তাঁর আর্জেন্টাইন গায়িকা প্রেমিকা নিকি নিকোলের সঙ্গে। ২৫ বছর বয়সী নিকি নাসরাউইয়ের হবু স্ত্রীর চেয়েও দুই বছর বড়।
নাসরাউইয়ের জীবনে এটি নতুন সুখের অধ্যায় হলেও কয়েক মাস আগেই তিনি পেরিয়েছেন এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। গত আগস্টে বার্সেলোনার উত্তরের শহর মাতারোতে নিজের কুকুর হাঁটাতে বেরিয়ে ছুরিকাহত হন তিনি। তর্কের জের ধরে কয়েকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন, এবং পরে তাঁকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় পুলিশ।
ভাগ্য সহায় শেষ পর্যন্ত তিনি প্রাণে বেঁচে যান। পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে নাসরাউই বলেন,
‘সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় এখন অনেকটা ভালো আছি। ভয় পেয়েছিলাম, মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলাম, কিন্তু এখন শুধু চাই শান্তি আর ন্যায়বিচার।’
মুনির নাসরাউই দীর্ঘদিন ধরেই ছেলের সবচেয়ে বড় সমর্থক। ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে যখন স্পেন শিরোপা জেতে, তখনও ছেলের পাশে ছিলেন তিনি। সেই টুর্নামেন্টেই ইয়ামাল ছিলেন দলের উজ্জ্বলতম তারকা।
বাবা নাসরাউই বরাবরই বিশ্বাস করেন, তাঁর ছেলে একদিন হবেন বিশ্বের সেরা ফুটবলার। ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে বলেন, ‘লামিন ইয়ামাল এখনই বিশ্বের সেরা ফুটবলার। আগামী বছর এই পুরস্কার ওরই হবে।’ব্যালন ডি’অর না পেলেও ইয়ামাল পেয়েছেন কোপা ট্রফি—বছরের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
No posts available.
৫ নভেম্বর ২০২৫, ৪:১৮ পিএম
৫ নভেম্বর ২০২৫, ৪:০৭ পিএম

লিভারপুল ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নিয়মিত চোটের সঙ্গে লড়াই চলছে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের। ২০২৫-২৬ মৌসুমে এ নিয়ে চারবার চোটে পড়েছেন ইংলিশ ডিফেন্ডার। সবশেষ হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ে ৩১ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন। ফলে রিয়ালের হয়ে অনিয়মিতভাবেই মাঠে নামছেন ২৭ বছর বয়সি এই ডিফেন্ডার।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে মঙ্গলবার রাতে সাবেক ক্লাব লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নামেন আর্নল্ড। মাত্র ১৪ মিনিট (ইনজুরি টাইমসহ) খেলেছেন তিনি। এ সময়ে গোল, অ্যাসিস্ট কিংবা ডুয়েল জিততে না পারলেও সবার মন জয় করে নেন আর্নল্ড। ম্যাচ শেষে তাকে বুকে টেনে নেন আর্নে স্লট।
ম্যাচ শেষে সাবেক শিষ্যকে নিয়ে কথা বলেছেন স্লট। ৪৭ বছর বয়সি এই ডাচ কোচ বলেন,
“সে (আলেকজান্ডার-আর্নল্ড) হেরেছে, যা সত্যিই কঠিন। বুকে জড়িয়ে ‘চালিয়ে যাও’—এই ধরনের কিছু একটা বলেছিলাম তাকে। সত্যি বলতে, ঠিক কী বলেছি, তা এই মুহূর্তে মনে নেই। সে এই ক্লাবের জন্য বিশেষ একজন, আমার জন্যও বিশেষ। তাছাড়া, আর্নল্ড একজন অসাধারণ মানুষ। তাকে আলিঙ্গন করা—এটা আমি প্রতিবারই করব, যখনই তার সঙ্গে দেখা হবে।”
এ সময় রিয়াল মাদ্রিদকে রুখে দেওয়ার গোপন তথ্যও ফাঁস করেন আর্নে স্লট। তিনি বলেন,
“রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগায় ২৬টি গোল করেছে, যার ২৪টির অবদান কিলিয়ান এমবাপে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের। আমি ছেলেদের বলেছিলাম, যদি জয় চাও তবে এই দুজনকে আটকাও। ছেলেরা তাই করেছে। বিশেষ করে কনর ব্র্যাডলি দারুণভাবে কাজটি করেছে।”

ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে চমক জাগিয়ে শুরু করেছে আফগানিস্তানের জাতীয় ফুটসাল দল। সৌদি আরবের রিয়াদে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে তারা তাজিকিস্তানকে ৯–৫ গোলে উড়িয়ে দিয়ে অভিযান শুরু করেছে। টানটান উত্তেজনা, দ্রুতগতির আক্রমণ–প্রতি–আক্রমণ আর একের পর এক গোল—সব মিলিয়ে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছে দুই দলই।
খেলার শুরু থেকেই আফগানিস্তান আক্রমণাত্মক কৌশলে এগিয়ে যায়। দ্রুত পাস আদান–প্রদান আর দারুণ সমন্বয়ে তারা তাজিকিস্তানের রক্ষণভাগে চাপ সৃষ্টি করে। ফলও পেতে দেরি হয়নি। প্রথমার্ধেই আফগানিস্তান বেশ কয়েকটি সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরামদায়ক লিড নেয়।
বিরতির পর তাজিকিস্তান ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন গোলও তোলে তারা। কিন্তু আফগানদের সংগঠিত রক্ষণ আর ধারালো আক্রমণ থামানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত ৯–৫ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আফগানিস্তান।
টুর্নামেন্টে এটি আফগানিস্তানের প্রথম জয়। একই সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোকে জানিয়ে রাখলো তারা এসেছে শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই। ম্যাচ শেষে আফগানিস্তানের কোচিং স্টাফ খেলোয়াড়দের প্রশংসায় ভাসান। দলটির উন্নত ফিটনেস, কৌশলগত পরিপক্বতা ও ফিনিশিং দক্ষতাকে তুলে ধরেন তারা। পরের ম্যাচেও জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে মুখিয়ে আছেন খেলোয়াড়রা।
ইসলামিক সলিডারিটি গেমস মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর অংশগ্রহণে আয়োজিত একটি বহু ইভেন্টের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। একে অপরের মধ্যে ঐক্য ও ক্রীড়া–সম্প্রীতি বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। এর অন্যতম জনপ্রিয় ইভেন্ট ফুটসাল।

ইউরোপা লিগে অ্যাস্টন ভিলার মুখোমুখি হচ্ছে ম্যাকাবি তেল আবিব। ভিলা পার্কে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল রাত দু’টায় ইসরায়েলি ক্লাবটির বিপক্ষে মাঠে নামছে ইংলিশ ক্লাবটি।
ইউরোপা লিগের এই ম্যাচ ঘিরে তৈরি হয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। সংঘাতের আশঙ্কায় সর্তক করা হয়েছে স্থানীয় নাগরিকদের। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় মোতায়ন করা হবে ৭০০-এর বেশি পুলিশ।
শুরুতে ইসরায়েলি ক্লাবটির সমর্থকদের মাঠে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে নিরাপত্তার কারণে ম্যাকাবি পরে তাদের টিকিট বরাদ্দ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। ভিলার বিপক্ষে ম্যাচের আগে বিভিন্ন প্রতিবাদ-সমাবেশ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফলে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তারা অংশগ্রহণকারীদের আচরণ নিয়ে সতর্ক করেছেন।
বার্মিংহাম পুলিশের প্রধান, চিফ সুপারিনটেনডেন্ট টম জয়েস বলেছেন, ‘যে কেউ আইন ভাঙলে, তার বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তেমনি যারা ঘৃণা উস্কে দেবে তাদের সঙ্গেও। আমরা বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিল, অ্যাস্টন ভিলা ফুটবল ক্লাব এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি, যাতে এই গুরুত্বপূর্ণ পুলিশিং কার্যক্রম ঠিকঠাক সম্পন্ন করতে পারি।’
অ্যাস্টন ভিলার স্টেডিয়ামের আশেপাশে বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা আগামীকালের ম্যাচ ঘিরে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। স্টেডিয়ামের আশেপাশে ল্যাম্পপোস্টগুলোতে দেখা গেছে ফিলিস্তিনের পতাকা ।স্থানীয় কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ফিলিস্তিনের সমর্থনে র্যালির পোস্টারও প্রদর্শন করছে। যেখানে ইসরায়েলকে ইউয়েফা ও ফিফা থেকে স্থগিত করার দাবি জানানো হয়।
স্থানীয় একটি অ্যাকাউন্টেন্সি ফার্মের মালিক আবুল লাসে সংঘাতের শঙ্ক নিয়ে বলেছেন, ‘এখানে অনেকেই উদ্বিগ্ন। আমার জন্য, আমি চাই না ম্যাচটি বন্ধ হোক। তবে ফিলিস্তিনে যা ঘটছে তার কারণে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা চান না ম্যাচটি হোক। আপনি অনেক ফিলিস্তিনের পতাকা দেখতে পাবেন, তাই তাদের অনুভূতিও বোঝা যায়।’
অ্যাস্টনের বাসিন্দা আফসার মিয়া জানিয়েছেন, তিনি বৃহস্পতিবারের ‘প্রো-প্যালেস্টাইন’ প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি মনে করেন সামাজিক কারণে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত নয়।
ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারের ম্যাচটি ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । এর আগে ২০২৪ সালের ইউরোপা লিগের ডাচ ক্লাব আয়াক্সের বিপক্ষে তেল আবিবের ম্যাচেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সামনের আফ্রিকা সফরে যাওয়ার আগে দলবল নিয়ে হাসপাতালে ছুটতে হবে লিওনেল মেসি, লাউতারো মার্তিনেসদের। কারণ অ্যাঙ্গোলাসহ মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য হলুদ জ্বরের (ইয়োলো ফিভার) ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক।
চলতি বছর আন্তর্জাতিক সূচিতে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে আগামী সপ্তাহে অ্যাঙ্গোলায় যাবে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। লুয়ান্ডায় আগামী ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় হবে অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে ম্যাচটি।
আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী, ওই ম্যাচের জন্য ডাক পাওয়া সব ফুটবলার ও টিম অফিসিয়ালদের বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হবে হলুদ জ্বরের টিকা। এর বাইরেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী, মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে যাওয়ার আগে আরও ৭টি প্রতিষেধক নিতে হবে।
তাই হলুদ জ্বর ছাড়াও পোলিও, হেপাটাইটিস এ, টাইফয়েড, কলেরা ও মেনিনজাইটিসের টিকা নিতে হবে মেসিদের। এর সঙ্গে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে হেপাটাইটিস বি, টিটেনাস, ডিপথেরিয়া, ম্যালেরিয়া ও রেবিসের টিকা নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এতসব টিকা নেওয়ার শর্ত পূরণে সবার আগে স্পেনের হাসপাতালে গিয়েছেন জিওভানি লো সেলসো। এছাড়া ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনও প্রয়োজনীয় সব টিকা নিয়েছেন। তবে চোটের কারণে তার অ্যাঙ্গোলা সফর অনিশ্চিত।
অ্যাঙ্গোলায় প্রবেশের জন্য মেসিসহ দলের বাকি ফুটবলারদের সামনের দিনগুলোতে প্রয়োজনীয় সব টিকা নিতে হবে। অন্যথায় বিমানবন্দরে বেশ কিছু বিধিনিষেধের মুখে পড়তে পারেন তারা।
নভেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে এখন পর্যন্ত এটিই আর্জেন্টিনার একমাত্র ম্যাচ। আফ্রিকা সফরে যাওয়ার আগে স্পেনে একটি অনুশীলন ক্যাম্প করবে আর্জেন্টিনা।

কী অসাধারণ বৈপরীত্যই না দেখা গেল! ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ড যখন লিভারপুল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন, তখন থেকেই কনর ব্র্যাডলিকে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হচ্ছিল। বিধাতার কি লিলা, দু’জনের মুখোমুখি হওয়ার মঞ্চও প্রস্তুত হয়ে গেল দ্রুতই। আর সেই মঞ্চে অ্যানফিল্ডের ভালোবাসার জোড়ে উজ্জীবিত ছিলেন কনর ব্র্যাডলি, যেখানে ‘ঘরের ছেলে’ আর্নল্ডকে হজম করতে হতে হয়েছে অল রেডদের ঘৃণা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গতকাল রাতে রিয়াল মাদ্রিদকে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির আক্রমণভাগকে একরকম ভোঁতাই করে দেন ব্র্যাডলি। রিয়ালের বাম পাশ থেকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে একচুল ছাড়ও যে দেননি এই আইরিশ রাইট-ব্যাক। যতবারই আক্রমণে উঠেছেন, ব্র্যাডলির কাছেই পরাস্ত হতে হয়েছে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারকে।
ম্যাচের আগে অ্যানফিল্ডের দেয়ালচিত্রে লেখা হয়েছিল ‘আদিওস এল রাতা’ যার অর্থ ‘বিদায়, ইঁদুর’। এই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া আর্নল্ডের প্রতি প্রবল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করে লিভারপুলের সমর্থকরা। ইংলিশ ক্লাবটির অনেক সমর্থকের চোখে এই রাইট-ব্যাক ‘বিশ্বাসঘাতক’।
আর্নল্ডের পজিশনেই খেলা ব্র্যাডলি দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সমর্থকদের সেই ক্ষোভে যেন আরও আগুন ঢালেন। প্রতিপক্ষের রক্ষণে ত্রাস ছড়াতে যার জুড়ি মেলা ভার, সেই ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ব্র্যাডলি এমনভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন যে ব্রাজিলিয়ান তারকা হয়ে উঠেছিলেন নিছক দর্শক। শারীরিক দৃঢ়তার সঙ্গে দারুণ আত্মবিশ্বাসে তিনি পুরোপুরি ছাপিয়ে যান ভিনিসিয়ুসকে।
ব্র্যাডলির প্রতিটি ট্যাকলে অ্যানফিল্ডে গর্জে ওঠে উল্লাসে। গ্যালারি থেকে ‘ব্র্যাডলি, ব্র্যাডলি’ স্লোগান—শুধু তার পারফরম্যান্সের জন্যই নয়, বরং প্রাক্তন হয়ে যাওয়া আর্নল্ডকেও যেন স্মরণ করিয়ে দিল নতুন নায়ক এসেছে, পুরনোটা এখন শুধুই ইতিহাস।
ব্র্যাডলির এমন পারফরম্যান্সে মুগ্ধ করেছে লিভারপুল কোচ আর্নে স্লটকেও, কনর ব্র্যাডলি অসাধারণ ছিল। ভিনিসিয়ুসের মতো খেলোয়াড়ের বিপক্ষে এতবার ‘ওয়ান-ওয়ান’ অবস্থায় লড়াই করা সহজ নয়, কিন্তু সে ছিল দুর্দান্ত।’
আগের মৌসুমেও রিয়ালের বিপক্ষে দারুণ খেলেন ব্র্যাডলি। তবে এবার সেই পারফরম্যান্সকেও ছাড়িয়ে যান ২২ বছর বয়সী লিভারপুলের নতুন তারকা। অল রেডদের কোচ আর্নে স্লট যোগ করেন, ‘গত মৌসুমে তিনি রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে অসাধারণ খেলেছিলেন, কিন্তু ৮০ মিনিটের পর চোটের কারণে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল সেবার। এবার, ভিলার বিপক্ষে ৯০ মিনিট খেলার মাত্র তিন দিন পর, সে আবারও অসাধারণ তীব্রতায় পুরো ৯০ মিনিট ভিনিসিয়ুসকে সামলেছে।’
অথচ রিয়ালের বিপক্ষে মাঠে নামারই কথা ছিল না ব্র্যাডলির। একই পজিশনের জেরেমি ফ্রিম্পংয়ের চোটে রক্ষণভাগের ডানপাশ সামলানোর দায়িত্ব পান তিনি। সেই দায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করেছেন তিনি। ফুটবল সাইট ‘সোফা স্কোর’ এর তথ্যমতে রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচে ট্যাকলে শতভাগ সফল ছিলেন ব্র্যাডলি, সম্পন্ন করেন। একটি ইন্টারসেপশন করেন, সাতটি এরিয়াল ডুয়েল জেতেন। বল পুনরুদ্ধার করেন সাতবার এবং দুইটি ক্লিয়ারেন্স করেন ব্র্যাডলি।