১৬ আগস্ট ২০২৫, ৫:১৩ পিএম
ব্যস্ত সময় পার করছে দেশের ফুটবল। সাফ মিশনে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ দল এখন ভুটানে। ২০ আগস্ট নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবেন অর্পিতা পালরা। একই সময়ে বাহরাইনে তীব্র গরমে টানা দ্বিতীয় দিনের অনুশীলন সেরেছে বাংলাদেশ পুরুষ অনূর্ধ্ব-২৩ দল।
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগে প্রস্তুতি হিসেবে বাহরাইনের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে সাইফুল বারী টিটুর দল। বৃহস্পতিবার বাহরাইনে পৌঁছেই অনুশীলনে নামে তারা। তবে দ্বিতীয় দিন গতকাল তীব্র গরমের মধ্যেই অনুশীলন করেন আল আমিন-মোরছালিনরা।
রাতে বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফ বলেন, 'আমরা বাহরাইনে আমরা আসছি, এখানে একটু গরম বেশি। কালকে (পরশু) আমরা হালকা ট্রেনিং করেছি, তবে আজকের (গতকাল) অনুশীলন কঠিন ছিল। সবাই অনেক বেশি কষ্ট করছে। ধীরে ধীরে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি সামনের ম্যাচগুলোর জন্য।'
আরও পড়ুন
বর্ণবাদে থেমে গেল খেলা, গালির জবাব গোলে দিলেন সেমেনিও |
![]() |
বাহরাইনে দুটি ম্যাচ খেলার উদ্দেশ্য অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতির জন্য। তবে বাহরাইনের বিপক্ষে ১৮ ও ২২ আগস্টের দুটি ম্যাচই জিততে চায় বাংলাদেশ।
প্রস্তুতি ও লক্ষ্য নিয়ে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের গোলরক্ষক কোচ হাসান আল মামুন বলেন, ‘আজকে (গতকাল) দ্বিতীয় দিনের মতো বাহরাইনে অনুশীলন করলাম। প্রথম দিন ছিল খাপ খাওয়ানো, আজকে (গতকাল) ছিল মূলত ট্যাকটিক্যাল সেশন। ব্লক নিয়ে কাজ করেছি আমরা। বিকেলে টিম মিটিং করেছি। কি করতে চাই, আমাদের লক্ষ্য কি, সে সব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমার মনে হয় বার্তাটা স্পষ্ট। ভালো করার ইচ্ছে আছে সবার মধ্যে। সামনে বাহরাইন অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচ আছে জানেন, ওই দুটি ম্যাচেই আপাতত তাকিয়ে।'
মেয়েদের মতো এবার অনূর্ধ্ব-২৩ পুরুষ দল চায় এশিয়ান কাপ বাছাই পেরিয়ে মূল পর্বে খেলতে।
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ শিরোপা জেতার পর মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ দলের লক্ষ্য ট্রফি জেতা। সেই লক্ষ্যে একটু আগেভাগেই ভুটানে গেছে বাংলাদেশ দল। দেশে এখন গরম হলেও ভুটানে ঠান্ডার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হচ্ছে অর্পিতা-সুরভীরা।
বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাস বলেছেনে, 'দলের প্রস্তুতি মোটামুটি ভালো, আমরা একটু আগে এসেছি (ভুটানে), এটা আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। কারণ এখানকার আবহাওয়া বাংলাদেশের মতো এক না তাই মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে। আমাদের আগে থেকে এখানে অনুশীলন করানো হচ্ছে এটাও ভালো দিক।’
অর্পিতা আশাবাদী, ‘২০ আগস্ট আমাদের প্রথম ম্যাচ আশা করি ভালো করব। আজ সবাই ট্রেনিং করেছে, তবে আবহাওয়ার কারণে অনেকের কষ্ট হচ্ছে। ম্যাচের আগে আরও দুই-তিন দিন আছে, এর মধ্যে আমরা মানিয়ে নেব।'
আরও পড়ুন
ডিসেম্বরে ভারতের চার শহর ঘুরবেন মেসি |
![]() |
নারী ফুটবলে এ বছরই এসেছে তিনটি বড় সাফল্য। জুন-জুলাইয়ে মায়ানমারে বাছাইপর্ব পার করে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নেন ঋতুপর্ণা চাকমারা।
নিজেদের মাঠে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় সাফ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। চার দলের টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচের প্রতিটিই জিতে নেন মোসাম্মৎ সাগরিকারা।
সেই টুর্নামেন্ট জেতার ১০ দিনের মাথায় আফঈদা খন্দকার, সাগরিকারা পাড়ি দেন লাওসে। সেখানে স্বাগতিক লাওস ও তুর্কমেনিস্তানকে হারানোর পর শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে পরাজিত হয় মেয়েরা। তবে সেরা তিন রানার্সআপের একটি হয়ে এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করে পিটার বাটলারের দল। এবার ভুটান থেকে আরেকটি সাফল্য নিয়ে ফেরার প্রত্যয় অর্পিতাদের।
১৯ আগস্ট ২০২৫, ৩:০৬ পিএম
রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের চুক্তি নবায়ন নিয়ে আলোচনা কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থগিত হয়ে আছে। ইএসপিএনের প্রতিবেদন, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের প্রতিনিধিরা মনে করছেন ক্লাবের সর্বশেষ প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।
২৫ বছর বয়সী ভিনিসিয়ুসের বর্তমান চুক্তি ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। তিনি মৌসুমপ্রতি প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ ইউরো বোনাসসহ আয় করেন। গত মে মাসে এক বৈঠকে উভয় পক্ষ সমঝোতার কাছাকাছি পৌঁছেছিল। ভিনিসিয়ুসের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছিল, মৌসুমপ্রতি স্থায়ী বেতন ২ কোটি ইউরো এবং বোনাসসহ সর্বোচ্চ ৩ কোটি ইউরো পর্যন্ত।
তবে মাদ্রিদের চূড়ান্ত প্রস্তাব ছিল কেবল ২ কোটি ইউরো, অতিরিক্ত কোনো বোনাস ছাড়াই। ফলে ভিনির প্রতিনিধিদের কাছে ২০৩০ পর্যন্ত তিন মৌসুমের চুক্তি নবায়নের এ প্রস্তাব যথেষ্ট মনে হয়নি। তাই এজেন্ট ফ্রেড পেনা ও থাসিলো সোয়ারেস আপাতত সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন। তাঁরা দেখতে চান নতুন কোচ জাবি আলোনসোর পরিকল্পনায় ২০২৫-২৬ মৌসুমে ভিনিসিয়ুস কীভাবে জায়গা পান।
আরও পড়ুন
দি মারিয়ার সেরা পাঁচে মেসি-ম্যারাডোনার সঙ্গে ডি পল |
![]() |
সূত্র জানায়, গত জুলাইয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচে ভিনিসিয়ুসকে বেঞ্চে বসানোর কথা ভেবেছিলেন আলোনসো। কিন্তু ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডের শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ানোয় ফেদেরিকো ভালভার্দেকে রক্ষণে খেলানো হয় এবং ভিনি শুরুর একাদশে থেকে যান গঞ্জালো গার্সিয়া ও কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে।
চুক্তি নবায়নের উদ্যোগ নেয় রিয়াল মাদ্রিদ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই, যদিও তখনো দুই বছর বাকি ছিল বর্তমান চুক্তি শেষ হতে। সৌদি প্রো লিগের আগ্রহের খবর সামনে আসার পরই আলোচনা এগোতে থাকে। তবে ইএসপিএনের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরের পর থেকে সৌদিদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। ভিনির প্রতিনিধিরা এখন সেই সম্ভাবনাকে একেবারেই বাতিল করেছেন।
রিয়াল মাদ্রিদ কিছুটা চিন্তায় রয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের চাপ নিয়ে। তাদের আশঙ্কা, চলমান আলোচনার অতিরিক্ত প্রচার খেলোয়াড়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে।
২০২৪ সালে ভিনিসিয়ুস ব্যালন ডি’অরের রানার্স-আপ হয়েছিলেন এবং জিতেছিলেন ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার। তবে পরের মৌসুমে তাঁর পারফরম্যান্স ছিল উত্থান-পতনের মতো। লা লিগায় ৩০ ম্যাচে করেন ১১ গোল। মৌসুম শেষে রিয়াল মাদ্রিদও বড় কোনো শিরোপা জিততে পারেনি।
আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ ফুটবলার কারা? এমন প্রশ্নের উত্তরে দুটি নাম থাকবে অবধারিত- দিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা ও লিওনেল মেসি। বাকি তিন জন বেছে নিতে গিয়ে বেশ চমকই দিয়েছে অ্যাঞ্জেল দি মারিয়া।
সাফল্যমণ্ডিত ক্যারিয়ার শেষে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানো এই ফরোয়ার্ডের চোখে, দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ জন ফুটবলারের তালিকায় থাকবেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পল।
আরও পড়ুন
দি মারিয়ার সেরা পাঁচে মেসি-ম্যারাডোনার সঙ্গে ডি পল |
![]() |
সম্প্রতি আর্জেন্টাইন দৈনিক লা নাসিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দি মারিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হয় এই প্রশ্ন। তিনটি নাম নিয়ে একদমই ভাবতে হয়নি দি মারিয়ার। ম্যারাডোনা ও মেসির সঙ্গে মারিও কেম্পেসকে রাখেন তিনি।
বাকি দুজন কে হবেন তা ভাবতে ভাবতে সাবেক ডিফেন্ডার দানিয়েল পাসারেল্লা ও ডি পলের কথা বলেন দি মারিয়া।
“জানি না, আমার মনে হয়, পাসারেল্লা তাদের একজন হবেন। বর্তমান প্রজন্মের খেলোয়াড়দেরও কি এখানে অন্তর্ভুক্ত করতে পারি? কারণ রদ্রি (ডি পল) আমাদের সাফল্যের একটি মৌলিক অংশ ছিল। জাতীয় দলে যে জীবন সে ফিরিয়ে এনেছে! সে শুধু মাঠের ‘লিটল ইঞ্জিন’ নয়, বরং দলীয় বন্ধুত্বের বন্ধনেও গুরুত্বপূর্ণ। অধিনায়কের আর্মব্যান্ড না পরেও, সে একজন প্রকৃত অধিনায়ক।”
আর্জেন্টিনার ইতিহাসে দি মারিয়ার নিজের অবদানও কম নয়। অবসর নেওয়ার আগে জাতীয় দলের হয়ে ২০২১ সালের কোপা আমেরিকা, ২০২২ সালের ফিনালিসিমা, ২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ও ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকাও জেতেন তিনি। এছাড়া অলিম্পিক স্বর্ণপদক, যুব বিশ্বকাপের শিরোপাও আছে তার।
আরও পড়ুন
ব্রাজিল দলে ফিরছেন নেইমার, বাদ পড়ছেন ভিনিসিয়ুস |
![]() |
তবে নিজেই নিজেকে সেরার তালিকায় রাখতে চান না দি মারিয়া।
“যা কিছু আমি অর্জন করেছি, সেটাই আমার জন্য পুরস্কার। আমি ইতিমধ্যেই তৃপ্ত, এটি আমাকে খুব আনন্দ দেয়। মানুষ চাইলে আমাকে সেরা তিনে, পাঁচে, দশে কিংবা যেকোনো জায়গায় রাখতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের ভালোবাসা আমার সঙ্গে আছে, অবস্থান আমার কাছে কোনো ব্যাপার নয়।”
প্রায় দুই বছর পর জাতীয় দলে ফিরতে চলেছেন নেইমার জুনিয়র। একইসঙ্গে জায়গা হারাতে পারেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। বেশ কয়েকজনকে ফিরিয়ে ও কয়েকজনকে বাদ দিয়ে সামনের দুই ম্যাচের জন্য ব্রাজিল স্কোয়াড ঘোষণা করবেন কার্লো আনচেলত্তি।
আগামী মাসের শুরুতে চিলি ও বলিভিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। ওই দুই ম্যাচের জন্য সোমবার চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করবেন দলের প্রধান কোচ। তবে ব্রাজিলের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম 'গ্লোবো' এরই মধ্যে জানিয়েছে কারা থাকতে পারে স্কোয়াডে।
গ্লোবোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে ফিফার নিয়ম মেনে ফুটবল ক্লাবগুলোর কাছে প্রাথমিক দল পাঠিয়েছেন আনচেলত্তি। যেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভিনিসিয়ুসকে বিশ্রাম দেওয়া হবে। আর রিয়াল মাদ্রিদে তার সতীর্থ রদ্রিগো ও এডের মিলিটাওকে ফেরানো হবে দলে।
ভিনিসিয়ুস অবশ্য এমনিতেই এক ম্যাচ নিষিদ্ধ। গত জুনে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখায় সামনে চিলির বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি। তাকে বিশ্রাম দিয়ে বলিভিয়ার বিপক্ষে দলেও রাখবেন না ব্রাজিলের ইতালিয়ান কোচ।
রদ্রিগো আর মিলিটাও ছাড়াও, গ্লোবোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোলরক্ষক গ্যাব্রিয়েল বারা, ফুলব্যাক ভিতিনহা ও পাউলো হেনরিখ, মিডফিল্ডার দানিলো ও মার্কোস আন্তোনিও (সাও পাওলো), ফরোয়ার্ড কাইও হোর্হে ও নেইমারকে দলে রাখছেন আনচেলত্তি।
গ্লোবোর প্রতিবেদন সত্যি হলে, প্রায় ২২ মাস পর ব্রাজিলের জার্সিতে দেখা যাবে নেইমারকে। ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর আর জাতীয় দলের হয়ে খেলা হয়নি নেইমারের। বেশ কয়েকবার ফেরার কাছাকাছি থাকলেও ফিরতে পারেননি।
নিজেদের ঘরের মাঠ মারাকানা স্টেডিয়ামে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় চিলির মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। পরে ১০ সেপ্টেম্বর বলিভিয়ার বিপক্ষে তাদের মাঠে খেলবে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত ১৬ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে এরই মধ্যে মূল পর্বের টিকেট নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। সামনের দুই ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে বাছাইয়ে তাদের যাত্রা।
বাহরাইনে ক্লোজ-ডোর ম্যাচে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের লক্ষ্যটা ছিল যতটা সম্ভব নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়া। সে লক্ষ্যেই সোমবারের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে কিনা দলের প্রায় সব খেলোয়াড়কে বাহরাইনের বিপক্ষে খেলিয়েছেন কোচ সাইফুল বারী টিটু।
যদিও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে জয়-পরাজয় মুখ্য নয়, ম্যাচ থেকে খেলোয়াড়েরা কতটুকু শিখতে পারলেন সেটাই দেখার বিষয়।
ম্যাচ শেষে দলের ফরোয়ার্ড মিরাজুল ইসলাম ও সহকারী কোচ হাসান আল মামুন নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তবে ম্যাচের ফলাফল কি সেটি প্রেস রিলিজে উল্লেখ করেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় দুজনের কথাতেই উঠে এসেছে নিজেদের ভালো প্রস্তুতির কথা। একই সঙ্গে পরের ম্যাচটি (২২ আগস্ট) আরও ভালো হবে বলে মনে করেন তারা।
মিরাজুল বলেন, “দলের পারফরম্যান্স বলতে… আলহামদুলিল্লাহ সবাই খেলছে এবং ভালো খেলেছে। আমাদের কিছু ভুল ছিল, সেগুলো পরের ম্যাচের আগে শুধরে নেবো। কোচ আমাদের বলল- সবাই আমরা ভালো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি।”
বাহরাইনে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার উদ্দেশ্য হলো ভিয়েতনামে অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভালো করা। মেয়েদের দুটি দল বর্তমানে এশিয়ান কাপের মঞ্চে, সেই লক্ষ্য তাড়া করতে চান বলে দেশ ছাড়ার আগে জানিয়েছিলেন এই দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু।
এবার মিরাজুলের কথাতেও উঠে এলো ওই আসরে দারুণ কিছু প্রত্যাশার কথা, “ভিয়েতনামে প্রস্তুতির আসরটা ভালো হবে। ওখানে আমাদের একটা লক্ষ্য আছে, সেটা পুরনের জন্য এখান থেকে ভালো একটা প্রস্তুতি নিয়ে যাবো।”
কোচদের কাছে এটা ছিল খেলোয়াড়দের পরখ করে দেখার ম্যাচ। সহকারী কোচ হাসান আল মামুন যেমনটা বললেন, “বাহরাইনে প্রথম ম্যাচ খেললাম, এখানে পুরো দলকে দেখার বিষয় ছিল। তাই আমরা পুরো দলকে খেলিয়েছি। সব মিলিয়ে ভাল প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল। একটা প্রস্তুতি ম্যাচ হিসেবেও ছেলেরা সর্বোচ্চটা দিয়েছে।”
এদিকে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ (৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর) সামনে রেখে ঢাকায় ক্যাম্প শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ক’দিনের মাঠের অনুশীলন শেষে গতকাল একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছেন জামাল ভূঁইয়ারা। বাংলাদেশ পুলিশ এএফসির বিপক্ষে ওই ম্যাচটি ড্র হয়েছে। ওয়ার্মআপ ম্যাচে জাতীয় দলের স্কোয়াডে ছিলেন ১৪ জন খেলোয়াড়।
সাফল্যমণ্ডিত ক্যারিয়ার কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন অ্যাঞ্জেল দি মারিয়া। তবে এখনও খেলছেন তার দীর্ঘ দিনের কাছের বন্ধু লিওনেল মেসি। দি মারিয়ার তাই সাফ কথা, আগামী বছরের বিশ্বকাপে খেলতেই হবে মেসির।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে একসঙ্গে খেলে ২০২১ সালের কোপা আমেরিকা, ২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপ, ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা জিতেছেন মেসি ও দি মারিয়া। গত বছরের কোপা আমেরিকা জয়ের পর জাতীয় দল থেকে অবসর নেন দি মারিয়া।
তবে স্ব-মহিমায় এখনও খেলে চলেছেন মেসি। সম্প্রতি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আর্জেন্টিনা জাতীয় দলেও রাখা হয়েছে আটবারের ব্যালন ডি অর জয়ী তারকা ফুটবলারকে। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের বিশ্বকাপের টিকেট পেয়ে যাবে আর্জেন্টিনা।
আরও পড়ুন
স্থগিত রিয়ালে ভিনির চুক্তি নবায়ন আলোচনা, প্রস্তাবে অসন্তুষ্ট |
![]() |
সেটি মাথায় রেখেই আর্জেন্টাইন দৈনিক লা নাসিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দি মারিয়া বলেছেন, সামনের বছরের বিশ্বকাপে খেলতেই হবে মেসির।
“হ্যাঁ! হ্যাঁ! অবশ্যই। যে অবস্থায়ই থাকুক আর যা খুশি হোক, মেসিকে অবশ্যই বিশ্বকাপ খেলতে হবে। এর বাইরে কথা নেই। এটা মেসি। আর সে জাতীয় দলকে সবসময় এগিয়ে নেয় এবং দর্শকরাও রোমাঞ্চিত হয়। সে এমনই। আগে দিয়েগো মারাদোনা থাকতে এমন হতো।”
“এক্ষেত্রে শুধু তারা (মারাদোনা ও মেসি) দুজনই। আর কেউ নেই। তারা যেন ভিন্ন গ্রহ থেকে আসা। তারা অবশ্যই এখানের নয়। আমাদের এটি উপভোগ করে যেতে হবে। আশা করি, সেটি সেরা অবস্থায়ই হবে।”
ইউরোপিয়ান ফুটবল ছেড়ে মেসির ঠিকানা এখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামি। সেখানেও সপ্রতিভ আর্জেন্টাইন জাদুকর। মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১৯ গোল করে যৌথভাবে সবার ওপরে তিনি।
আরও পড়ুন
দি মারিয়ার সেরা পাঁচে মেসি-ম্যারাডোনার সঙ্গে ডি পল |
![]() |
দি মারিয়া বললেন, শুধু মেসির জন্য এখন এমএলএসের খেলা দেখেন তিনি।
“লিও একজন এলিয়েন। সে ফেনোমেনন। তাকে দেখতে পাওয়ার সুযোগ নষ্ট করা উচিত নয়। আমি ইন্টার মায়ামির খেলা দেখি, কারণ আমি তাকে দেখতে চাই। আগে কখনও এমএলএস দেখি। আর এখন শুধু তার জন্য পুরো মৌসুমের টিকেট করে রেখেছি।”
১৫ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে