২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম

নির্ধারিত ৯০ মিনিট পার হয়ে ততক্ষণে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের খেলাও প্রায় শেষ দিকে। খেলায় তখন ১-১ সমতা কিছুক্ষণ পরই বাজবে ম্যাচ শেষের বাঁশি। তখনই পেনাল্টি পেয়ে গেল আল নাসর। প্রবল উত্তেজনার ওই সময়ে ওই স্পট কিকটি নিতে গিয়ে হার্ট বিট বেড়ে গিয়েছিল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর।
সৌদি প্রো লিগে শনিবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠে আল ফায়হাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আল নাসর। দলের জয়ে দুটি গোলই করেছেন রোনালদো। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান পর্তুগিজ সুপারস্টার।
এরপর ১-১ অবস্থায় প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছিল ম্যাচ। দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে ডি-বক্সের মধ্যে ফাউলের শিকার হন আব্দুল্লাহ আল আমরি। লম্বা সময় ধরে ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান ম্যাচের রেফারি।
আরও পড়ুন
| রোনালদোর ইনজুরি টাইমে'র পেনাল্টিতে দলের সাতে সাত |
|
ধীর পায়ে পেনাল্টি নেওয়ার জন্য এগিয়ে যান রোনালদো। তখন হয়তো তার মাথায় ঘুরছিল গত কয়েক ম্যাচে জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে একাধিক পেনাল্টি মিস করার কথা। তাই তো একদম শেষ মুহূর্তে ওই পেনাল্টি শট নেওয়ার সময় হার্ট বিট বেড়ে গিয়েছিল ৪০ বছর বয়সী তারকার।
থামানিয়া স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদো নিজেই জানান এই কথা।
“(পেনাল্টি নেওয়ার সময়) আজকে আমার হৃদস্পন্দন অন্য সময়ের চেয়ে কিছুটা বেশি ছিল। তবে এটাই ফুটবল। এটাই আমার জীবন। ২২ বছর ধরে এর সঙ্গে। তাই আমি খুব খুশি।”
নতুন মৌসুমে লিগের শুরুটা দুর্দান্ত করেছে আল নাসর। সাত ম্যাচের সবকটি জিতে পূর্ণ ২১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে তারা। এই সাত ম্যাচে মোট ৮টি গোল করেছেন রোনালদো।
পর্তুগিজ মহাতারকার লক্ষ্য এখন ক্যারিয়ারের প্রথম সৌদি প্রো লিগ শিরোপা জেতা।
“আমরা টেবিলের শীর্ষে আছি। তবে আমাদের এটি ধরে রাখতে হবে। মৌসুম অনেক লম্বা। আমাদের ধাপে ধাপে যেতে হবে। এই মুহূর্তে আমরা লিগে ভালো অবস্থায় আছি।”
“গোল করতে সবসময়ই ভালো। দলের জয়ে সাহায্য করতে পেরে আমি খুব খুশি। আমার কাছে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আমরা জিতেছি। আমরা একটি দল। তাই ব্যক্তিগত পুরস্কার এখানে কিছু নয়। আমি চাই লিগটা জিততে।”
No posts available.
৪ নভেম্বর ২০২৫, ৬:০৬ পিএম
৪ নভেম্বর ২০২৫, ৬:০২ পিএম
৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩:৫২ পিএম

ঘরের মাঠে নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের জন্য ২৬ জনের স্কোয়াড কোচ হাভিয়ের কাবরেরার। সেখানে বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলার আছেন ১০ জন। তবে এই তালিকায় নেই কিউবা মিচেলের নাম। আরও একবার তাঁকে বিবেচনায় রাখেননি বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরুর পর আজ দেশে আসেন কাবরেরা। প্রথম দিনই দলকে অনুশীলন করিয়েছেন; তার আগে এসেছেন সাংবাদিকদের সামনে মিডিয়া সেশনে। সেখানেই ওঠে কিউবার প্রসঙ্গ। ইংল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলারকে নিয়ে কোচের ভাষ্য,
‘একসঙ্গে খুব বেশি খেলোয়াড় নিলে প্রশিক্ষণের মান কমে যায়। ২৫-২৭ জনের বেশি হলে ট্রেনিংয়ের গুণগত মান ধরে রাখা যায় না। তাঁর মধ্যে প্রতিভা আছে, ভবিষ্যতে সে অবশ্যই জাতীয় দলে সুযোগ পাবে। তবে এখনই সে প্রস্তুত নয়।’
ভারত ম্যাচের আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। বেশ কিছু কারণে তেমনটা হয়নি। যে কারণে অনেকটা বাধ্য হয়ে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করে বাফুফে। যাদের বিপক্ষে গত সেপ্টেম্বরেও ম্যাচ খেলে আসেন জামাল ভূইয়ারা। দুই ম্যাচের প্রীতি সিরিজের প্রথমটিতে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। এরপর ৯ তারিখের ম্যাচটি মাঠে গড়ায়নি দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে।
এবার নেপালকে চ্যালেঞ্জিং প্রতিপক্ষ মনে করছেন কোচ কাবরেরা। দলটির সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স সম্পর্কে কাবরেরা বলেন,
‘তারা শক্ত প্রতিপক্ষদের বিপক্ষেও ভালো লড়াই করছে। সেপ্টেম্বরে নেপালে গিয়ে খেলার অভিজ্ঞতা আছে আমাদের। আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলার পরিকল্পনা ছিল, তবে কিছু কারণে তা হয়নি। তাই নেপালের ম্যাচ আমাদের জন্য ভালো চ্যালেঞ্জ।’
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ছাড়া বাংলাদেশের এএফসি এশিয়ান কাপে ম্যাচ আছে ভারত ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। নেপালিদের বিপক্ষে জয়ের পর ওই দুই ম্যাচেও জয় চান কাবরেরা,
‘লক্ষ্য খুব পরিষ্কার— নেপালের বিপক্ষে জিততে চাই। এরপর ভারতকে এবং সিঙ্গাপুরকে হারানোই মূল উদ্দেশ্য।’

নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সামনে রেখে জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার থেকে। সহকারী কোচ হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে শুক্রবার মাঠের প্রস্তুতিতে নামেন জামাল ভূইয়ারা। ক্যাম্প শুরুর পাঁচ দিন পর আজ মঙ্গলবার দলের সঙ্গে যোগ দেন হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
ঢাকায় নেমেই আজ দলের অনুশীলন সেশনে ছিলেন কাবরেরা। তার আগে মিডিয়া সেশনে এসেছিলেন স্প্যানিশ কোচ। প্রত্যাশিতভাবে কাবরেরার কাছে জানতে চাওয়া হয়- ক্যাম্প শুরুর আগে কেন ফুল স্কোয়াড ঘোষণা করা হল না। এমন প্রশ্নে দ্বায় বাফুফের কোর্টে ঠেলে দিলেন তিনি। জাতীয় স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাবরেরা বলেন,
‘আমার মনে হয় এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি যথারীতি ক্যাম্পের আগে তালিকা দিই। তাই আমি জানি না… আপনারা সাদমানের (বাফুফের মিডিয়া ম্যানেজার, সাদমান সাকিব) সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’
এবারই নয়, এর আগেও বেশ কয়েকবার ক্যাম্পের আগে দেওয়া হয়নি স্কোয়াড লিস্ট। সেটি কোচের নির্দেশে কিনা জানতে চাইলে আবারও নিজের জায়গায় অটল থাকেন কাবরেরা,
‘না, না, এটা কোচদের নির্দেশ নয়। আমি সবসময় ক্যাম্পের আগে তালিকা দিয়ে থাকি, সবসময়।’
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিবে বলেছেন, 'এখন পর্যন্ত মিডিয়া বিভাগের হাতে জাতীয় দলের তালিকা আসেনি।’
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন স্কোয়াড না দিলেও বিভিন্ন মাধ্যমে স্কোয়াডের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেখা গেছে। ক্যাম্পে এই মুহূর্তে ১৪জন ফুটবলার নিয়ে অনুশীলন হচ্ছে। কাবরেরাই জানান বসুন্ধরা কিংস তাদের খেলোয়াড় ছাড়বে আগামী ৭ নভেম্বর। তবে ক্লাবটির এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছেন তিনি, ‘তাদের সিদ্ধান্তে আমার সম্মান আছে। ৭ তারিখের পর আমরা ২৪ জন নিয়ে অনুশীলন করতে পারব। আর হামজা খুব সম্ভবত ১০ তারিখ আসবে।
আগামী ১৩ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশকে মোকাবিলা করবে নেপাল। ১৮ তারিখ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবেন জামাল ভূইয়ারা।

ফুটবল মাঠে মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হলো ইউরোপিয়ান ফুটবল। ম্যাচ চলাকালে মাঠেই সাইডলাইনের পাশে হার্ট অ্যাটাক করে প্রাণ হারালেন সার্বিয়ার শীর্ষ লিগের দল এফকে রাদনিকি ১৯২৩ ক্লাবের কোচ ম্লাদেন জিজোভিচ।
সোমবার এফকে ম্লাদস্ত লুকানির বিপক্ষে ছিল এফকে রাদনিকির ম্যাচ। খেলা চলাকালে ২২তম মিনিটে হঠাৎ সাইডলাইনে লুটিয়ে পড়েন জিজোভিচ। প্রাথমিক শুশ্রূষা দেওয়ার পর কালক্ষেপণ না করে তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে।
কিন্তু সেখানে নিয়ে বাঁচানো যায়নি কোচকে। তখনও মাঠে চলছিল খেলা। কিন্তু ৪১তম মিনিটে কোচের মৃত্যুর খবর এলে নিস্তব্ধতা নেমে আসে মাঠে। স্থগিত ঘোষণা করা হয় ম্যাচ। তখনও ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল জিজোভিচের দল।
পূর্ব ইউরোপে সাফল্যময় সময় কাটিয়ে সপ্তাহ দুয়েক আগে এফকে রাদনিকির দায়িত্ব নিয়েছিলেন ৪৪ বছর বয়সী জিজোভিচ। গত মৌসুমে তার কোচিংয়ে ইউয়েফা কনফারেন্স লিগে শেষ ১৬তে পৌঁছায় বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার ক্লাব এফকে বোরাক।

লিভারপুলে দেখা গেল এক আবেগঘন দৃশ্য। রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়েরা জতার স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাতে যান। ফুলের তোড়া অর্পণ করেন চারজন- ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ড, জাবি আলোনসো, ডিন হুইসেন ও এমিলিও বুত্রাগেনো।
তবে সবচেয়ে আবেগময় মুহূর্তটি আসে আর্নল্ডের কাছ থেকে। লিভারপুলের সাবেক এই তারকা নিজ হাতে রেখে যান একটি লাল প্লেস্টেশন কন্ট্রোলার এবং একটি হাতে লেখা বার্তা, যা জতার গেমিংপ্রেমের প্রতীক হিসেবে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
আর্নল্ডের সেই বার্তায় লেখা ছিল,
‘আমার বন্ধু দিয়োগো (জতা), তোমাকে ভীষণ মিস করি। তোমার প্রতি ভালোবাসা এখনও একই রকম অটুট। তুমি আর আন্দ্রের স্মৃতি চিরকাল বেঁচে থাকবে। তোমার কথা ভাবলেই মুখে হাসি ফুটে ওঠে। একসঙ্গে কাটানো সময়গুলো কখনও ভুলব না। প্রতিদিন তোমাকে মিস করি, বন্ধু। চিরকাল ২০ নম্বর। ওয়াইএনডব্লুএ ভালোবাসা রইল, ট্রেন্ট ও পরিবার।’
লিভারপুলে খেলার সময় জতার সঙ্গে গভীর বন্ধন গড়ে উঠেছিল আর্নল্ডের। সেই সম্পর্কের প্রতিফলন দেখা যায় তাঁর প্রতিটি শব্দে। এটি ছিল না তাঁর প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন। জতার মৃত্যুর পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন এক বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
আর্নল্ড লিখেছিলেন,
‘যখন মাথা ও হৃদয় কাউকে হারানোর সত্যিটা মানতে পারে না, তখন ভাষা খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। দিয়োগো, তোমার পরিবারই ছিল তোমার পৃথিবী। তাদের জন্যই আজ আমরা সবাই বিধ্বস্ত। আমি তোমাকে সবসময় হাসিমুখে মনে রাখতে চাই—একজন দুর্দান্ত সতীর্থ, প্রকৃত বন্ধু। চিরকাল ২০ নম্বর। শান্তিতে থেকো, দিয়োগো।’
গত গ্রীষ্মে লিভারপুলের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড জতা গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। স্তব্ধ হয়েছিল ফুটবলবিশ্ব। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এখন খেললেও অ্যানফিল্ডে ফেরার এই সফরে সতীর্থের প্রতি ট্রেন্টের ভালোবাসার দারুণ এক বহিঃপ্রকাশ।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো-লিওনেল মেসি যুগের এল ক্লাসিকোকে অনেকেই ইতিহাসের সেরা মনে করেন। মাঠে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সঙ্গে শরীরী ভাষার ঝাঁজ ছিল দেখার মতো।
রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা বার্সেলোনা দুই দলেই ছিল স্পেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা। ক্লাবে যতই রেষারেষি হোক না কেন জাতীয় দলের জার্সিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই শিরোপার জন্য লড়েছে বার্সা-রিয়ালের স্প্যানিশ ফুটবলাররা।
অনেকের আশঙ্কা স্পেন জাতীয় দলের সেই বন্ধনে বুঝি এবার ভাঙন ধরল। সবশেষ এল ক্লাসিকোয় সান্তিয়াগো বার্নাবুতে বার্সার স্প্যানিশ তারকা উইঙ্গারের সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়াতে দেখা যায় রিয়ালের ফুল ব্যাক দানি কারভাহালকে। ম্যাচের আগে ইয়ামালের ‘রিয়াল চুরি করে, এরপর অভিযোগ করে’ মন্তব্যের পর কারভাহাল ম্যাচ শেষে বার্সা ফুটবলারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তুমি বেশি কথা বল’।
স্পেনের জাতীয় দলের অধিনায়ক এখন কারভাহাল। আর একই দলের আক্রমণভাগের প্রাণভোমরা ইয়ামাল। ক্লাবের দ্বন্দ্ব কি এই দুই তারকা ফুটবলার জাতীয় দলে টেনে আনবেন? তাই যদি হয় তবে স্পেন দলের জন্য যে সেটা ভালো কিছু বয়ে আনবে না সেটা কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে ভালো করেই জানেন। আর জানেন বলেই দু’জনের সঙ্গে নাকি ব্যাক্তিগতভাবে কথাও বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন
| ‘পিএসজিকে কীভাবে আঘাত করতে হয় জানে বায়ার্ন’ |
|
রেসোনানসিয়া দে কোরাজোন নামে একটি পডকাস্টে কারভাহাল-ইয়ামালের দ্বন্দ্ব নিয়ে সমর্থকদের আশ্বস্ত করছেন স্পেন কোচ। লুইস দে লা ফুয়েন্তে বলেছেন, ‘এমন বড় কিছু তো ঘটেনি, কোনও স্কুলমাঠের ঝগড়াও হয়নি। সত্যি বলতে, জাতীয় দলের মধ্যে একতা ও পরিবারের মতো সম্পর্কের অনুভূতি আছে।’
ব্যক্তিগতভাবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান দে লা ফুয়েন্তে, ‘বিষয়টি এখন তাদের ক্লাব ম্যানেজারদের ওপর, যারা তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। আমি লামিনের সঙ্গে অনেক কথা বলেছি, তেমনি কারভাহালের সঙ্গেও।’
জাতীয় দলের মধ্যে খেলোয়াড়দের সম্পর্ক নিয়ে স্পেনের কোচ জোর দিয়ে বলেন যে আন্তর্জাতিক দায়িত্বে খেলোয়াড়রা একত্রিত হলে যে সঙ্গতি এবং পরিপক্কতা তিনি দেখেছেন তা প্রশংসনীয়।
২০২৪ সালের ইউরোর একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের কথা স্মরণ করিয়ে দেন দে লা ফুয়েন্তে। যেখানে দুই খেলোয়াড়ের বন্ধনকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছে, ‘আমি ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের সেই দৃশ্য মনে রেখেছি, লামিনের ক্রস এবং কারভাহালের শট, তারা যেভাবে আলিঙ্গন করেছিল, তাদের যে মুখের অভিব্যক্তি… সেটাই তো জাতীয় দলে ঘটে।’
দিন শেষে জাতীয় দলের স্বার্থই যে সবার উপরে সেটাই মনে করিয়ে দেন স্পেন কোচ, ‘আমি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত যে, সবচেয়ে বেশি জরুরি হলো পুরো দলের স্বার্থ।’