
সামগ্রিক বাস্তবতায় আল হিলাল অধ্যায় প্রায় শেষ বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। ফলে জোরাল হচ্ছে নেইমারের পরবর্তী গন্তব্য কোথায় হবে, সেই বিষয়টি। শুরু থেকেই তাতে আলোচনায় রয়েছে মেসি-সুয়ারেজের ইন্টার মায়ামির নাম। তবে বাতাসে ভাসছে গুঞ্জন, ব্রাজিল তারকাকে দলে টানার লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আরও দুই ক্লাবও।
সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, মায়ামি সহ অন্য দুটি মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) আগ্রহী দলের সাথে প্রাথমিক আলোচনা করছেন নেইমার। এর মধ্যে একটি ক্লাব হল শিকাগো ফায়ার।
তবে ইএসপিএন এটাও দাবি করেছে যে, বর্তমানে নেইমারের জন্য বিড করা দলগুলোর মধ্যে মায়ামি নেই। দলটির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো সম্প্রতি বলেছেন যে, এমএলএসের বিধিনিষেধ মেনে সাবেক বার্সেলোনা তারকার মায়ামিতে যোগ দেওয়া ‘অসম্ভব’ হবে।
আরও পড়ুন
| ‘নেইমারের জন্যই ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিততে হবে’ |
|
তবে ব্রাজিল ইএসপিএন-এর সূত্রগুলো নেইমারের এমএলএস-এ চলে যাওয়ার ব্যাপারে এখনও বেশ আশাবাদী। সেই সূত্রগুলো আরও যোগ করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালে দুই প্রিয় বন্ধু লিওনেল মেসি এবং লুইস সুয়ারেজের সাথে খেলার জন্য মায়ামিতে যোগ দেওয়ার আশা এখনও ছেড়ে দেননি নেইমার।
৩২ বছর বয়সী নেইমার ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে বার্ষিক ৯৭.৬ মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিকে পিএসজি থেকে আল হিলালে নাম লেখান। তবে সৌদি আরবের ক্লাবটিতে যোগদানের পরপরই বাম হাঁটুতে এসিএলে চোটের শিকার হয়ে এক বছর মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাকে।
সেটা কাটিয়ে নেইমার গত অক্টোবরে মাঠে ফিরেছিলেন, তবে কয়েকটি ম্যাচ খেলে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পেয়ে ফের ছিটকে গেছেন। এখনও আছেন মাঠের বাইরেই। নেইমারের অবদান ছাড়াই আল হিলাল গত মৌসুমে সৌদি প্রো লিগ জিতেছে। ফলে ক্লাবটি তাকে আর ধরে রাখার পক্ষে নয়।
আরও পড়ুন
| নেইমারকে দলে পেতে আশাবাদী সুয়ারেজ, নিরাশায় মায়মি কোচ |
|
সাবেক বার্সেলোনা তারকার চুক্তিত মেয়াদ শেষ জুন পর্যন্ত। ফলে, তিনি ক্লাব বদলের লক্ষ্যে অন্য দলের সাথে আলোচনা শুরু করতে পারবেন। মাঝে নেইমারের তার শৈশবের ক্লাব সান্তোসে যাওয়ার গুঞ্জন শোনা গেলেও, বর্তমানে তার যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে।
No posts available.
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮:০০ পিএম
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫ এম
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:২৪ এম

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পিছানো হয়েছে বসুন্ধরা কিংস ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ফেডারেশন কাপের ম্যাচ। আগামীকাল মঙ্গলবারের পরিবর্তে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে ২৩ ডিসেম্বর কুমিল্লার ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বসুন্ধরা কিংস ও মোহামেডান ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল কুমিল্লাতেই। ওই মাঠে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজের আয়োজন থাকায় ম্যাচটি নিয়ে আসা হয় জাতীয় স্টেডিয়ামে। সেখানে আগামীকাল দর্শকবিহীন ম্যাচ আয়োজন করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তাতে আপত্তি জানায় মোহামেডান।
গতকাল রোববার বাফুফেকে চিঠি দিয়ে মোহামেডান জানায় তাদের সমর্থকরা স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকতে চায়। নিরাপত্তার ইস্যু থাকলে ১৬ ডিসেম্বরের পরিবর্তে অন্যদিন ম্যাচ আয়োজনের দাবিও জানায়।
এরই প্রেক্ষিতে বাফুফের লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ও ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান আজ কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বসুন্ধরা কিংস-মোহামেডান নিয়ে পুনরায় আলোচনায় বসেন। সেখানে অধিকাংশ সদস্য দর্শকবিহীন ম্যাচ আয়োজনে অমত প্রকাশ করেন। যে কারণে আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর বসুন্ধরা কিংস ও মোহামেডানের ম্যাচ জাতীয় স্টেডিয়ামে আর হচ্ছে না।
তবে আগের সূচি অনুযায়ী আগামীকাল বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় হবে ফর্টিস এফসি ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের ম্যাচটি। বাফুফে আজ এক সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
'বি' ’ গ্রুপে টেবিলে দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে এই প্রতিযোগিতার ১১বারের চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান। ফর্টিসের সঙ্গে ১-১ ড্র করে আসা বসুন্ধরা কিংস এক ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে আছে চতুর্থ স্থানে। বসুন্ধরা কিংস এ প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন।

দীর্ঘ ১১ মাস গোলখরায় ছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগো। এই সময়ের মধ্যে কিছু অ্যাসিস্ট পেলেও প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠাতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে লোনে পাঠানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
অবশেষে চেনা ছন্দে ফিরেছেন রদ্রিগো। জানুয়ারির পর চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ডেডলক ভেঙে গোল করেন তিনি। এখানেই থেমে থাকেননি। আলাভেসের বিপক্ষে গতকাল লা লিগার ম্যাচেও গোল পেয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
রদ্রিগোর এমন প্রত্যাবর্তনে উচ্ছ্বসিত সতীর্থ জুড বেলিংহাম। প্রথম গোলের সূচনায় অবদান রাখা এই ইংলিশ মিডফিল্ডার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে রদ্রিগোর একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘মাই বয় ইজ ব্যাক’।
ম্যাচ শেষে পুরো দলকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন কোচ জাবি আলোনসো। তিনি বলেন,
‘দলের সবাই ভালো লড়াই করেছে। শুরুটা দারুণ ছিল। শেষদিকে আমরা আবার এগিয়ে যেতে পেরেছিলাম। ঐক্যই হলো মূল ভিত্তি।’
এ সময় সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে আগের ম্যাচ নিয়েও কথা বলেন আলোনসো। তিনি বলেন,
‘সেল্তা ম্যাচটি একদমই ভালো ছিল না। আমাদের অনেক ঘাটতি ছিল। তবে আজ (রোববার) অনেক কিছুই ইতিবাচক ছিল। অনেক জায়গায় আমরা উন্নতি করেছি। জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে আমাদের আরও ধারাবাহিক হতে হবে।’

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নিয়ে সমালোচকদের সারী দীর্ঘ। যার সবশেষ সংযোজন ক্লাবটির কিংবদন্তি পল স্কোলস। সাবেক এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের মতে, ম্যান ইউনাইটেডের জন্য রুবেন আমোরিম মোটেও সঠিক মানুষ নন।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে উপস্থিত হয়ে পল স্কোলস নানা বিষয়ে কথা বলেন। আমোরিম ফিট নন বলেও তীর্যক মন্তব্য করেন। এ নিয়ে গতানুগতিক প্রতিক্রিয়া উত্তর দিয়েছেন ওল্ড ট্রাফোর্ড কোচ। তার মতে, বিষয়টি একেবারেই স্বাভাবিক।
আমোরিম বলেন,
‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজার হিসেবে বলতে দ্বিধা নেই, আমরা আমাদের সামর্থ্যের তুলনায় কম অর্জন করছি। আমি মনে করি, এই মৌসুমে আমাদের আরও অনেক পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল। তাই এটাকে আমি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছি।’
আমোরিম আরও বলেন,
‘মাঝে মধ্যে তারা (সাবেক প্লেয়াররা) সব খবর রাখেন না। তারা যখন ক্লাবে ছিলেন, তখন দল সবসময়ই জিততো। তাদের জন্য এই পরিস্থিতি দেখা সত্যিই কষ্টের।’
আমোরিম অবশ্য স্বীকার করেছেন,
‘আমি ভালো করতে পারছি না—এটাই মূল বিষয়। সেটি আমি স্বীকার করেছি। আমরা যে অবস্থানে থাকার কথা, সে অবস্থানে নেই।’
প্রিমিয়ার লিগে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় এএফসি বোর্নমাউথের মুখোমুখি হবে ম্যান ইউনাইটেড। সবশেষ ম্যাচে তারা ওলভসের বিপক্ষে ৪–১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে। ব্রায়ান এমবেউমো ও ব্রুনো ফার্নান্দেস নিয়মিতই গোল করছেন। তাদের প্রচেষ্টাতেই ভঙ্গুর দলটি এগিয়ে যাচ্ছে।
আমোরিম সবসময় তার শিষ্যদের পাশেই থাকছেন। তার চাওয়া, রেড ডেভিলস শিবিরে হাসিখুশি পরিবেশ বজায় থাকুক। তাছাড়া পর্তুগিজ কোচের বরাবরই খোলামেলা কথা বলার অভ্যাস।
তিনি বলেন,
‘আমার দরজা সবসময় খোলা। আমার অবস্থান পরিষ্কার। আমি কখনোই পরিবর্তন হবো না, যদি না আমি সেটিতে বিশ্বাস করি। তবে আমি খেলোয়াড়দের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলতে পছন্দ করি। আসলে, এটা আমার স্বভাব।’

গত পরশু ফিফা চ্যালেঞ্জার কাপ ফাইনালে মিশরের ক্লাব পিরামিডস এফসিকে ২-০ গোলে হারায় ফ্লামেঙ্গো। কাতারের আল-রাইয়ানের আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল জিতে ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি নিশ্চিত করেছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনাল।
আগামী বুধবার শিরোপা জয়ের মঞ্চে ফ্লামেঙ্গোর প্রতিপক্ষ পিএসজি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেই এই প্রতিযোগিতার ফাইনালের টিকিট কাটে ওসমান দেম্বেলে-আশরাফ হাকিমিরা। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের সেমিফাইনালের ভেন্যুতেই শিরোপার লড়াইয়ে ফ্লামেঙ্গোর মুখোমুখি হবে পিএসজি।
ফাইনালে কিন্তু ফ্লামেঙ্গোকে চাননি পিএসজির কোচ লুইস এনরিকে। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে কাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে চাইবেন—এমন প্রশ্নের উত্তর ফরাসি ক্লাবটির কোচ ফ্লামেঙ্গো নয়, বরং অপেক্ষাকৃত অপরিচিত ক্লাব পিরামিডস এফসিকে বেছে নেয়।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে ক্রুজ আজুলকে ২–১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে ফ্লামেঙ্গো। এরপর ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি হারায় পিরামিডস এফসিকে।
কদিন আগে এনরিকে মজা করেই বলেন, ‘আমি পিরামিডসকে চাইব, যাদের আমি চিনি না—কিন্তু ওরাও নিশ্চয়ই আমাদের হারাতে পারে! তবে আমার পছন্দ ফ্লামেঙ্গো নয়, এটা পরিষ্কার।’
আরও পড়ুন
| ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকায় বার্সাকে কিনতে চায় সৌদি যুবরাজ |
|
ফ্লামেঙ্গো সম্প্রতি দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খ্যাত কোপা লিবার্তাদোরেস জিতেছে। এবারের ব্রাজিলিয়ান সিরি ‘আ’ এর শিরোপাও ঘরে তুলেছে তারা। ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির কোচ ফিলিপে লুইস ২০২৪ সালের অক্টোবরে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ৫টি শিরোপা জিতেছেন। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত ছন্দ আছে ফ্লামেঙ্গো।
ফ্লমেঙ্গোর প্রশংসা করতে তাই মোটেও কার্পণ্য করেননি পিএসজি কোচ। এনরিকে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমরা ওদের দেখেছি। আমরা তাদের গভীরভাবে বিশ্লেষণ করি নি, তবে তাদের সম্পর্কে জানি। আমরা তাদের ক্লাব বিশ্বকাপে দেখেছি। দক্ষ ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সঙ্গে একজন চমৎকার কোচ নিয়ে দারুণ একটি দল তারা।’
বিপরীতে চলতি মৌসুমে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পিএসজি। ঘরোয় লিগে তাঁরা শীর্ষস্থান হারিয়েছে আরসি লঁসের কাছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ছয় ম্যাচে চার জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে আছে ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতার ডিফেন্ডিয় চ্যাম্পিয়নরা।

ফুটবলে বেশ কয়েক বছর ধরেই বিনিয়োগ করে আসছে সৌদি আরব। মধ্য প্রাচ্যের দেশটিতে ইতিমধ্যেই দারুণ ঘরোয়া লিগও আছে। সৌদি প্রো লিগে বর্তমানে ফুটবলের অনেক তারকা-মহাতারকারা নাম লিখিয়েছেন। নিজেদের দেশ ছাড়াও ইউরোপের একাধিক ফুটবল ক্লাবের মালিকানাও আছে দেশটির। এবার সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের চোখ পড়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাব বার্সেলোনার দিকে।
স্প্যানিশ একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিশাল অঙ্কের অর্থ নিয়ে বার্সার মালিকানা কেনার বিষয় বিবেচনা করছে। টাকার অঙ্ক দেখলে রীতিমতো চোখ কপালে উঠবে। সংখ্যাটা ১০ বিলিয়ন ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা।
স্পেনের একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ‘এল চিরিঙ্গুইতো’-এর ফ্রাঁসোয়া গালার্দো জানিয়েছেন, সৌদি যুবরাজ বার্সেলোনার অংশীদারিত্ব কেনার কথা ভাবছেন। এটি মূলত সৌদি আরবের ক্রীড়া খাতে প্রভাব বিস্তারের কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা হতে পারে সরাসরি বিনিয়োগের মাধ্যমে অথবা পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআএফ) এর মাধ্যমে।
আরও পড়ুন
| টানা চতুর্থ জয়ে আর্সেনালের আরও কাছে ম্যানসিটি |
|
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সংকটে জর্জরিত বার্সা। সৌদি যুবরাজের এই প্রস্তাবে বেশ আনন্দিতই হওয়ার কথা কাতালান ক্লাবটির। এই প্রস্তাব সফলতার মুখ দেখলে তাত্ত্বিকভাবে বার্সেলোনার বিপুল ঋণের বোঝা পুরোপুরি দূর হয়ে যেতে পারে। পাশপাশি আমূল বদলে যেতে পারে ক্লাবটির ভবিষ্যতও। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবটি বার্সেলোনার আনুমানিক ২.৫ বিলিয়ন ইউরোর ঋণ মেটাতে সক্ষম হবে এবং তাত্ত্বিকভাবে ক্রাউন প্রিন্সকে ক্লাবের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দেওয়ার জন্য যথেষ্ট তহবিল প্রদান করবে।
তবে বিষয়টি মোটেও সহজ নয়। বার্সেলোনা কিংবা রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাব কখনো পুরোপুরি একক মালিকানায় থাকা সম্ভব নয়। বার্সা দীর্ঘদিন ধরেই সোসিও-ভিত্তিক মালিকানার অধীনে পরিচালিত হয়, তাই আইনগতভাবে ক্লাবটি সম্পূর্ণরূপে কেনা সম্ভব নয়। ক্লাবটি সদস্যদের মালিকানায়, যারা নির্বাচনী ও শাসন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, অর্থাৎ কোনো এক ব্যক্তি—দেশি বা বিদেশি—এককভাবে ক্লাবটি কিনতে পারে না। যদিও ভবিষ্যতে সৌদি পিআইএফ আলাদা বাণিজ্যিক শাখায় বিনিয়োগ করতে পারে, পুরো ক্লাব অধিগ্রহণের চেষ্টা কাঠামোগতভাবে অসম্ভই।
স্পেনে অনেকে তাই এই প্রস্তাবটিকে প্রাথমিক যাচাই হিসেবে দেখছেন। সরাসরি মালিকানা পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হিসেবে নয়। তবুও, এই চোখধঁধানো সংখ্যা—যা ফুটবল ইতিহাসে নজিরবিহীন—অনেকের মনেই কৌতূহল জন্মিয়েছে। কারণ বার্সেলোনা এখনও আর্থিক অস্থিরতার মধ্যেই রয়েছে।
সৌদি আরবের ফুটবল সম্প্রসারণ ইতিমধ্যেই অপ্রত্যাশিত মাত্রায় পৌঁছেছে। সৌদি যুবরাজ বিপুল বিনিয়োগে সৌদি প্রো লিগ, উচ্চ-প্রোফাইলের ফুটবলার কেনা এবং গুরুত্বপূর্ণ ক্লাব অধিগ্রহণে কাড়িকাড়ি টাকা খরচ করছেন। বার্সেলোনার জন্য প্রস্তাবিত এই অর্থের পরিমাণ তাদের ‘ভিশন ২০৩০’ কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মূলত মরুর দেশটির অর্থনীতি বৈচিত্র্যকরণ এবং ফুটবলকে আন্তর্জাতিক শক্তি হিসেবে ব্যবহার করার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি এই পরিকল্পনা তাদের।