১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১:১৪ পিএম

সেরা ছন্দে থেকে চোটের কারণে ম্যাচটা দেখতে হয়েছিল বেঞ্চে বসে। ২০১৪ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে সেমিফাইনালে নেইমারকে ছাড়া মাঠে নামা ব্রাজিল স্বাদ পায় তাদের ইতিহাসের অন্যতম বাজে এক হারের। জার্মানি তাদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করে উড়িয়ে দেয় ৭-১ গোলে। ১১ বছর কেটে গেলেও সেই ক্ষত এখন এখনও ভুলতে পারছেন না বলেই জানিয়েছেন নেইমার।
সেই বিশ্বকাপে নেইমার ছিলেন ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ছন্দে। ব্রাজিলও খেলছিল দারুণ। তবে জার্মানির সাথে লড়াইয়ের আগেই বড় ধাক্কা হয়ে আসে শেষ আটে নেইমারে চোটে ছিটকে যাওয়াটা। দলের সেরা খেলোয়াড়কে হারানোর শোকেই কিনা, ব্রাজিল সেমিতে দাঁড়াতেই পারেননি প্রতিপক্ষের সামনে। দ্বিতীয়ার্ধে জার্মানি কিছু সুযোগ মিস করলে অনায়াসেই হতে পারত আরও কিছু গোল। সেদিন চোখের জলে বিশ্বকাপকে বিদায় জানায় ব্রাজিলের খেলোয়াড়, দর্শকরা।
সাবেক ব্রাজিল গ্রেট রোমারিওর সাথে এক পডকাস্টে ২০১৪ প্রসঙ্গে নেইমার তুলে ধরেন তার কষ্টের গল্প।
“আমি আসলেই ৭-১ গোলের সেই হার নিয়ে অনেক হতাশ ছিলাম। এটা অনেক কষ্ট দিয়েছিল। একটা প্রজন্মের এমন কিছু খেলোয়াড়কে এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, যারা সেটার প্রাপ্য ছিল। পরাজয় নিয়ে আমার হতাশা নেই। হারজিত থাকবেই। তবে ৭-১ গোলে হেরে যায়, তাও ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে… এটা অনেক কষ্টের।”
অনেকেই মনে করেন, নেইমারের না থাকাটা সেমিতে মানসিকভাবে ব্রাজিল দলকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। সেই আক্ষেপটা এখনও সাবেক বার্সেলোনা তারকাকে পোড়ায় বেশ।
“চোট পাওয়ার পাঁচ মিনিট আগে কোচ আমাকে বলেছিল তুলে নেওয়ার কথা। আমি বললাম, ‘না, কেনো? ২-০ গোলে এগিয়ে আছি, আমি আরও একটা গোল করতে চাই। এর পাঁচ মিনিট পরই চোট পেলাম। তাই মনে হয়, আমার তখনই মাঠ ছাড়া উচিত ছিল।”
তিনটি বিশ্বকাপ খেললেও এখনও সেরার স্বাদ পাওয়া হয়নি নেইমারের। ২০২২ বিশ্বকাপে ব্রাজিল দল দুর্দান্ত খেলেও শেষ আট থেকে বিদায় নেয় ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে। ম্যাচের পর অঝোরে কাঁদা নেইমারের কাছে এটাই তার সবচেয়ে হতাশাজনক বিশ্বকাপ অভিযান মনে হয়।
“আমার খেলা ব্রাজিলের সেরা বিশ্বকাপ দল ছিল ২০২২ সালে। আর যে বিদায়টা আমাকে সবচেয়ে বেশি তাড়িয়ে বেড়ায়? এটাও ২০২২ বিশ্বকাপই।”
চোটের কারণে এখন মাঠের বাইরে আছেন নেইমার। আল হিলালের সাথে চুক্তি বাতিলের আছেন বেশ কাছাকাছি। আর জাতীয় দলে শেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২৩ সালে।
No posts available.
৬ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৫ পিএম
৬ নভেম্বর ২০২৫, ৯:১৬ পিএম

ঢাকায় এএফবি ল্যাটিন-বাংলা সুপার কাপ ফুটবল আয়োজন করতে যাচ্ছে এএফ বক্সিং প্রোমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (এএফবিপিআইএল)। ডিসেম্বরের ৫ তারিখ ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে এই প্রতিযোগিতা। যেখানে অংশ নেবে ল্যাটিন আমেরিকার ফুটবলের দুই পরাশক্তি— ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা এবং স্বাগতিক বাংলাদেশ।
এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের দল গঠন হবে সাবেক তারকা ফুটবলারদের নিয়ে। তিনটি দল খেলবে নিজের দেশের জার্সি গায়ে দিয়ে।আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও বাংলাদেশের ফুটবলের ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন থেকে তেমনই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ডিসেম্বরে ব্রাজিলের দলটির সঙ্গে থাকবেন কিংবদন্তি ও সাবেক ফুটবলার কাফু।প্রত্যেক দল একবার করে পরস্পরের মোকাবিলা করবে।
সুপার কাপ নিয়ে আয়োজকরা আগামীকাল শুক্রবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বিস্তারিত তুলে ধরবে। সুপার কাপের জন্য ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে।

দিয়াগো জতার মৃত্যুতে পুরো ফুটবলবিশ্বেই নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান লিভারপুলের পর্তুগিজ তারকা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভা।
পর্তুগালের গন্ডোমারের এক গির্জায় অনুষ্ঠিত হয় তাদের শেষকৃত্য। সেখানে লিভারপুল ও পর্তুগালের অনেক সতীর্থ উপস্থিত থাকলেও দেখা যায়নি জাতীয় দলের অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। সতীর্থের শেষকৃত্যে রোনালদোর অনুপস্থিতি ভালো চোখে দেখেনি অনেকেই।
অবশ্য জোতার মৃত্যুর পর সামাজিক মাধ্যমে এক আবেগঘন বার্তা দেন ‘সিআর সেভেন’। প্রায় চার মাস পর এবার সতীর্থের শেষ বিদায়ে না থাকার কারণ ব্যাখা করলেন আল নাসর তারকা। মূলত অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু হওয়া এড়াতেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নেন রোনালদো। খ্যাতির বিড়ম্বনা থেকে বাঁচতেই নিজেকে সরিয়ে রাখেন তিনি।
সম্প্রতি জনপ্রিয় সাংবাদিক পিয়ার্স মর্গানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জতার শেষকৃত্যে না থাকার প্রসঙ্গ উঠে আসে। অনেকে পর্তুগিজ তারকার অনুপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করলেও তাতে কান দিচ্ছেন না তিনি, ‘দুইটি বিষয় আছে, মানুষ আমাকে নিয়ে সমালোচনা আমি সেটা নিয়ে মাথা ঘামাই না, কারণ যখন আপনার অন্তর শুদ্ধ থাকে, তখন আপনাকে মানুষের কথার চিন্তা করতে হয় না।
কিন্তু আমি একটা জিনিস করি না, তা হলো—আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমি কখনো কবরস্থানে যাইনি।
নিজের জনপ্রিয়তা নিয়েও যে ঝামেলায় পড়তে হয় সেটা মনে করিয়ে দেন রোনালদো, ‘ দ্বিতীয়ত, আপনি জানেন আমার খ্যাতি কতটা, আমি যেখানে যাই, সেটা সার্কাসে পরিণত হয়। আমি তাই যাই না, কারণ তখন সবার দৃষ্টি আমার ওপর চলে আসে এবং আমি এই ধরনের মনোযোগ চাই না। মানুষ চাইলে সমালোচনা করতে পারে, আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে স্থির ছিলাম।’
সরাসরি উপস্থিত না থাকলেও আড়ালে থেকে বন্ধুর পরিবারের পাশে ছিলেন রোনালদো,‘মানুষ যেন আমাকে দেখে, সেজন্য প্রথম সারিতে থাকার প্রয়োজন নেই। আমি কাজগুলো পরিকল্পনা করি, আমি তাঁর পরিবারের কথা ভাবি। মানুষ যেন আমার কাজ দেখুক, এজন্য ক্যামেরার সামনে থাকার মানে নেই। আমি সব কিছু আড়াল থেকে করি।’
রোনালদো আরও যোগ করেন, যে জতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার এবং তাঁদের সমর্থন দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, শেষকৃত্যের বাইরে থেকেই।

ঘরের মাঠে আগামী ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এই ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে বুধবার দুপুর ২টা থেকে। ৩০ ঘন্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়নি সাধারণ গ্যালারির ১৮ হাজার টিকিট।
সর্বশেষ ৯ অক্টোবর পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়ামেই হংকং, চায়নার বিপক্ষে ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচের টিকিট অনলাইনে ছাড়ার প্রায় এক ঘন্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে যায় সব টিকিট। ১০ জুন সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট নিয়েও সমর্থকদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। তবে নেপাল ম্যাচের আগে সমর্থকদের মধ্যে টিকিট সংগ্রহের আগ্রহ কম কেন?
অবশ্য হংকং, চায়না এবং সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি ছিল এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের। স্বাভাবিকভাবেই ওই ম্যাচ দুটি নিয়ে আগ্রহ বেশি থাকার কথা। তবে ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও কিন্তু সমর্থকদের আগ্রহের কমতি ছিল না। এবার সেখানে কিছুটা ব্যতিক্রমই বলা যেতে পারে। কেননা টিকিট বিক্রির অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কুইকেট-এ ঢুকলে দেখা যায় সাধারণ গ্যালারির অর্ধেকের বেশি সিট খালি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস জানান বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ ৪-৫ হাজারের মতো টিকিট বিক্রি হয়েছে।
কিন্তু এর আগের তিন ম্যাচের টিকিট তো অনলাইনে ছাড়ার পরপরই বিক্রি হয়েছিল, এবার সমর্থকদের চাহিদা কিছুটা কম কি না জানতে চাইলে গোলাম গাউস টি-স্পোর্টসকে বলেন, 'হামজা (চৌধুরী) নামলে পরিস্থিতি বদলে যাবে। মানুষের ধারণা সে আসবে না। কিন্তু আমরা তো তাঁকে বিমানের টিকিট পাঠিয়ে দিয়েছি। ১০ তারিখ সে চলে আসবে।' সব কিছু ঠিক থাকলে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবেন ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা বাংলাদেশী তারকা।
এই ম্যাচের টিকিটের জন্য দেশের বহুজাতিক বিভিন্ন প্নতিষ্ঠান এরই মধ্যে যোগাযোগ করছে বাফুফের সঙ্গে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কাউকেই ফেডারেশন থেকে টিকিট দিচ্ছে না বলে জানান গোলাম গাউস। শেষ পর্যন্ত স্টেডিয়ামের আসন সাধারণ সমর্থকে পরিপূর্ণ হবে বলে বিশ্বাস জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলারের।
বাংলাদেশ সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে ৬ তারিখ ম্যাচ খেলে নেপালের বিপক্ষে। অনেকটা নিয়মিত তাদের সঙ্গে খেলে থাকে বাংলাদেশ। যদিও এবার ভিন্ন পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে ফিফা র ্যাঙ্কিংয়ের ১৮০ নম্বরে দলটির সঙ্গে খেলতে হচ্ছে জামাল ভুঁইয়াদের।
১৩ নভেম্বর প্রীতি ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নির্ধারণ করা ছিল শক্তিশালী আফগানিস্তান। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তারা আসতে না পারায় নেপালকে বেছে নিতে হয় বাফুফেকে। আফগানিস্তান বা অন্য কোনো শক্তিশালী দল আসলে দর্শকদের বেশি আগ্রহ থাকত বলে মত ফেডারেশনের কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যানের, 'হঠাত করে কাউকে না পাওয়াতে... তাছাড়া আফগানিস্তান আসলে ক্রেজটা আরও বেশি থাকতো। কারণ দিনশেষে অনেকেই আসবেন খেলাটা উপভোগ করতে।'
নেপাল ম্যাচের পর ঢাকায় ১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। একই দিন মিয়ানমারের বিপক্ষে নিজেদের হোম ম্যাচ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় খেলার কথা ছিল আফগানিস্তানের। যে কারণে সে সময় ঢাকায় থাকায় আফগানদের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের সময় ১৩ নভেম্বর ঠিক করে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশে আসতে রাজি হয়নি মিয়ানমার।

ইকুয়েডরের ফুটবলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মাত্র ১৬ বছর বয়সে গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন দেশটির তরুণ ফুটবলার মিগুয়েল নাজারেনো। ইকুয়েডরের ফুটবলে প্রতিভা তৈরির অন্যতম কারখানা হিসেবে পরিচিত ইনডিপেনডিয়েন্তে দেল ভাল্লের অনূর্ধ্ব-১৮ দলের ফুটবলার ছিলেন নাজারেনো।
গত মঙ্গলবার রাতে গুয়ায়াকিল শহরে নিজ বাড়িতে ছিলেন নাজারেনো। হঠাৎই বাইরে থেকে ছোড়া গুলি এসে তার গায়ে লাগে। ঘটনাস্থলেই মারা যান এই প্রতিভাবান কিশোর। নাজারেনোর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে দেল ভাল্লে, 'মিগেল দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশের চলমান নিরাপত্তাহীনতার শিকার হয়েছেন। আমরা তার পরিবার, বন্ধু ও সতীর্থদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।'
মিডফিল্ডার ও ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলা নাজারেনো ছিলেন দলের সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়। তার অকাল মৃত্যুতে ক্লাবজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নাজারেনোর একাডেমি দেল ভাল্লে থেকে উঠে এসেছিলেন ইউরোপে খেলা তারকা মইসেস কাইসেদো (চেলসি) ও পিয়েরো ইঙ্কাপিয়ে (বায়ার লেভারকুসেন)।
এ নিয়ে চলতি বছর ইকুয়েডরে গুলিতে নিহত ফুটবলারের সংখ্যা দাঁড়াল চারজনে। এর আগে সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় সারির দুই ক্লাব এক্সাপ্রোমো কস্তা ও ২২ দে জুনিও এর তিন ফুটবলার মাইকোল ভ্যালেন্সিয়া, লিয়ান্দ্রো ইয়েপেজ ও জনাথন গনসালেজ গুলিতে নিহত হয়েছিলেন।
গত কয়েক বছর ধরে ইকুয়েডরে মাদক চক্রের সহিংসতা ও অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এরই শিকার হলেন দেশটির আরেক উদীয়মান ফুটবল প্রতিভা।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোয় ফুটবলের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এই অঞ্চলে লোকেদের জীবনে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে ফুটবল। খেলার এই জগতে কত রথী-মহারথীর জন্ম দিয়েছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মতো দেশ।
ফুটবল পাগল জাতিদের এই খেলা নিয়ে আবেগের যে কোনো সীমা নেই। প্রিয় ফুটবলারদের নিয়ে কত রকম অদ্ভুত কাজই তো করে তারা। এই যেমন কিংবদন্তি পেলে-রোনালদো-রোনালদিনহোর ব্রাজিলের কথাই ধরুন। বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দেশটির মানুষরা প্রিয় কোনো ফুটবলারকে ভালোবেসে নামের সঙ্গে মিল রেখে প্রায়ই সন্তানের নাম রাখে। তা বর্তমানে সেলেসাওদের কাছে ঠিক কোন ফুটবলারের নাম বেশি পছন্দ ?
সম্প্রতি একটি একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে ব্রাজিলের ভূগোল ও পরিসংখ্যান সংস্থা (আইবিজিই) । সমীক্ষার ফলটা খানিকটা চমকপ্রদই। ব্রাজিলের মানুষদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নামগুলোর শীর্ষ আছে জুয়ান রোমান রিকেলমে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আর্জেন্টিনার সাবেক এই ফুটবলারের নামের সঙ্গে মিল রেখে নাম রেখেছে ব্রাজিলে প্রায় ২৫,৯৪২ জন।
বোকা জুনিয়রসের কিংবদন্তি রিকেলমে বর্তমানে আর্জেন্টিনার ক্লাবটির সভাপতি। আর্জেন্টাইন তারকা ব্রাজিলের জনসংখ্যার ০.০১ শতাংশ মানুষকে নামে মিশে আছে। এই নামধারীদের গড় বয়স ১২ বছর।
১৯৯০-এর দশকের শুরু ও শেষের মধ্যে ব্রাজিলে মাত্র ২২৫ জনের নাম রিকেলমে ছিল। কিন্তু ২০০০ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২,২২০ জনে। এই সময়টায় রিকেলমে বোকা জুনিয়রসের হয়ে তিনবার কোপা লিবার্তাদোরেস জিতেছেন।
রিকেলমের এই প্রভাব বর্তমানে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমারেরও চেয়ে বেশি। সান্তোসের ‘রাজপুত্রের’ নাম ২,৪৪৩ জনের, যার মধ্যে ৫০ জন নারী। সাম্বা তারকা যখন ২০০৯ সালে সান্তোস ক্লাবে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, তখন এই সংখ্যা ১০০-এর কম ছিল। ব্রাজিলে নেইমার নামে মানুষের গড় বয়স ১১ বছর।
ব্রাজিলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি আর্জেন্টিনার মহাতারকা লিওনেল মেসির নামেও মানুষ আছে। এই সংখ্যা অবশ্য মাত্র ৩৬৩ জন । আলবিসেলেস্তাদের আরেক কিংবদন্তি দিয়োগো ম্যারাডোনা নামে আছেন ১২৮ জন।