
আর্নে স্লটের চাকরি বোধহয় বাঁচিয়ে দিলেন দমিনিক সোবসলাই। চরম কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া লিভারপুল পেয়েছে মহাগুরুত্বপূর্ণ এক জয়। মোহাম্মদ সালাহ পরবর্তী যুগে প্রবেশ করা অল রেডরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয়ে ফিরে আপাতত হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে।
সান সিরোতে গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল। প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাড়ম্যাড়ে এক ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি আসে সোবসলাইয়ের নৈপুণ্যে। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে লিভারপুলের পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়া নিশ্চিত করেন হাঙ্গেরির এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৬ ম্যাচে চার জয়ে ১২ পয়েন্ট অর্জন করা লিভারপুল পয়েন্ট তালিকার আট নম্বরে আছে। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট ইন্টার মিলানের, তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে পাঁচে ইতালির ক্লাবটি।
ইন্টার মিলানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে লিভারপুলে আলোচনার একমাত্র বিষয়বস্তু ছিল মোহাম্মদ সালাহ। গত কয়েকদিনের নানান তর্ক-বিতর্কের পর মিশরীয় ফরোয়ার্ডকে ছাড়াই ইতালিতে যাত্রা করে লিভারপুল।
ক্লাবের ইতিহাসের অন্যতম সেরাকে ছাড়া মাঠে নেমে ইন্টারের ওপর তেমন একটা চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি লিভারপুল। অবশ্য স্বাগতিকদের আক্রমণভাগও ছিল ভোঁতা। ৩৭ মিনিটের আগে কোনো শটই নিতে পারেনি লাউতারো মার্তিনেজরা।
আরও পড়ুন
| কুন্দের তিন মিনিটের ঝড়ে মূল্যবান তিন পয়েন্ট পেল বার্সা |
|
এর পাঁচ মিনিট আগে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল লিভারপুলের। ৩২ মিনিটে খুব কাছ থেকে হেড করেন ইব্রাহিমা কোনাতে, মার্তিনেস বল কোনোমতে পা দিয়ে ফেরালেও, ততক্ষণে বল গোললাইন পেরিয়ে যায়। তবে ভিএআর যাচাইয়ে পর হ্যান্ডবলের সিদ্ধান্ত জানান রেফারি। কোনাতে হেড করার আগে, ভার্জিল ফন ডাইকের হেডে বল তাদেরই সতীর্থ উগো একিটিকের হাতে লেগেছিল।
প্রথমার্ধের সাত মিনিট যোগ করা সময়ের শেষদিকে ইন্টারকে লিড এনে দেওয়ার সুযোগ পান মার্তিনেস। তবে আর্জেন্টাইন তারকার ফরোয়ার্ডের হেড দারুণ দৃঢ়তায় ঠেকিয়ে দেন আলিসন বেকার।
বিরতির পর খানিকটা গতি বাড়ে খেলায়। কয়েক মিনিটের মধ্যে দুই দলই দূরপাল্লার শটে গোলের খাতা খোলার চেষ্টা চালায়, কিন্তু কাজে আসছিল না কোনো প্রচেষ্টাই।
৮০ মিনিটে ইন্টারের রক্ষণ ভেঙে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন কনর ব্র্যাডলি। কিন্তু দুরূহ কোণ থেকে শটে ইয়ান সমেরকে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি। কিছুক্ষণ পরই ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টে দেওয়ার সুযোগ এসে যায় লিভারপুলের।
৮৬ মিনিটে ডি-বক্সে ফ্লোহিয়ান ভিয়েৎসকে পেছন থেকে টেনে ফেলে দেন ইন্টারের ডিফেন্ডার আলেস্সান্দ্রো বাস্তোনি। ভিএআর মনিটরে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি সোবোসলাই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রাতের অন্য ম্যাচে পর্তুগালের ক্লাব স্পোটিং সিপির বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ার পর ৩-১ গোলে জিতেছে বায়ার্ন মিউনিখ। ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ৫৪ মিনিটে নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে দেন বায়ার্নের জার্মান মিডফিল্ডার জশুয়া কিমিখ।
এরপর ১২ মিনিটের ব্যবধানে তিন গোলে দিয়ে জয় নিশ্চিত করে বায়ার্ন। ৬৫, ৬৯ ও ৭৭ মিনিটে যথাক্রমে লক্ষ্যভেদ করেন সের্গে জিনাব্রি, লেনার্ট কার্ল ও জোনাথন টাহ। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে বাভারিয়ানদের অবস্থান এখন দুই নম্বর। ৬ ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক হারে ১৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে ভিনসেন্ট কোম্পানির বায়ার্ন মিউনিখ।
আরও পড়ুন
| বিলবাও ম্যাচের আগে অসুস্থ দেম্বেলে |
|
প্রতিযোগিতার অন্য ম্যাচে গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোস ১-০ গোলে জিতেছে কাজাখস্তানের ক্লাব কাইরাত আলমাতির বিপক্ষে। সমান ব্যবধানে জয় পেয়েছে মোনাকো। ফরাসি ক্লাবটি হারিয়েছে তুর্কি ক্লাব গালাতাসারেকে।
ডাচ ক্লাব পিএসভি আইন্দোভেনের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ম্যাচে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। চেক প্রজাতন্ত্রের ক্লাব স্লাভিয়া প্রাগকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে টটেনহ্যাম। বেলজিয়ামের ক্লাব ইউনিয়ন সেইন্ট জিলোইসের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতেছে মার্শাই।
No posts available.

চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায় ক্লাব ব্রুগের মুখোমুখি হবে আর্সেনাল। লিগে শীর্ষ অবস্থান অক্ষুণ্ন রাখতে ম্যাচটি গার্নারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এ ম্যাচে অভিজ্ঞ তিন খেলোয়াড়কে পাচ্ছে না আর্সেনাল। বিষয়টিকে ‘ভয়ানক’ বলে উল্লেখ করেছেন কোচ মিকেল আর্তেতা।
চ্যাম্পিয়নস লিগে পাঁচ ম্যাচে শতভাগ জয় আর্সেনালের। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। হ্যারি কেইনদেরও সমান পয়েন্ট, তবে একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে জার্মানের ক্লাবটি। তাই বেলজিয়ান জায়ান্টদের বিপক্ষে পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়া গেলে রেসে আরও এগিয়ে যেতে পারবে আর্সেনাল।
ব্রুগের ঘরের মাঠ ইয়ান ব্রেইডেল স্টেডিয়ামে নামার আগে আর্তেতা জানালেন, ডেকলান রাইস, উইলিয়াম সালিবা ও লিয়ান্দ্রো ট্রসার্ড আজ খেলতে পারবেন না।
স্প্যানিশ কোচ জানিয়েছেন, রাইস অসুস্থ; শরীর খারাপ থাকায় দলের সঙ্গে বেলজিয়াম সফরে যাননি তিনি। সালিবা চোটে আছেন, তাঁকেও পাওয়া যাবে না। একই সমস্যা ট্রসার্ডের।
রাইস কবে নাগাদ ফিরতে পারেন—এ নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি আর্তেতা। তিনি বলেন,
“আমি মনে করি, তার আরও বিশ্রাম প্রয়োজন। সে এখনো অস্বস্তিতে আছে, ভালো অনুভব করছে না।”

সংস্কার শেষে সচল ক্যাম্প ন্যু। হোম ভেন্যু পেয়ে পুরোনো চেহারায় কাতালানরা। ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের মঙ্গলবারের ম্যাচে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা। জয়ের দিনে আপত্তিকর এক ঘটনা ঘটেছে।
ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে ইয়ামালকে তুলে নিয়ে রুনি বার্গদিকে নামান হ্যান্সি ফ্লিক। মাঠ ছাড়ার মুহূর্তে বেশ বিরক্ত দেখা যায় স্পেন ফরোয়ার্ডকে। বেঞ্চে বসেও মুখ গোমড়া করে রাখেন তিনি। বিড়বিড় করে এটা-ওটা আওড়ান।
ম্যাচ শেষে ইয়ামালকে তুলে নেওয়ার ব্যাখ্যা দেন ফ্লিক। তিনি বলেন,
“সে হলুদ কার্ড দেখেছিল। তাই তাকে কয়েক মিনিট বাকি থাকতে উঠিয়ে নেই। তাছাড়া ম্যাচ শেষ পর্যায়ে ছিল।’’
তিনি যোগ করেন,
‘‘যদিও ইয়ামাল এ সময় কিছুটা বিরক্ত হয়। সেটা আমি বুঝতে পারছি। কারণ, আমিও একজন খেলোয়াড় ছিলাম। এটা পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য, কোনো সমস্যা নেই।”
এদিন ৫৬তম মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন ইয়ামাল। এতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার পরের ম্যাচে খেলা হবে না তাঁর।
এ সময় জুলস কুন্দেকে নিয়েও কথা বলেন ফ্লিক। ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে তিন মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন ফ্রান্স ডিফেন্ডার। কোচের মতে, অসাধারণ খেলেছেন জুলস।
তিনি বলেন,
‘‘কুন্দের গোল করা দারুণ ব্যাপার। তার প্রতিভা ও মানসিকতা দারুণ।’’
এই মুর্হূতে চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৪ নম্বর স্থানে ফ্লিক। আর দুই পয়েন্ট হলে সেরা আটে ঢোকার সুযোগ হতো লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনই ভাবছেন না ফ্লিক।
তিনি বলেন,
‘‘আমি এ দিকটা নিয়ে ভাবছি না। এই মুর্হূতে এসব নিয়ে আগ্রহী নই।আমরা নিজেদের নিয়েই ভাবছি। অবশ্য গোল ব্যবধানটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ একটা করবো। তাছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা এতটা সহজ নয়। প্রতিটা প্রতিপক্ষই দুর্দান্ত। তারা ইউরোপের সেরা লিগে প্রতিযোগীতা করে।’’
১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:০৯ পিএম

দেখতে দেখতে ঘনিয়ে এসেছে লিওনেল মেসির ভারত সফরের দিনক্ষণ। ধীরে ধীরে আরও স্পষ্ট হচ্ছে তিন দিনের এই সফরে কী কী করবেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এরই মধ্যে জানা গেল, একটি ফ্যাশন শো-তে র্যাম্পে হাঁটবেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের এবারের ভারত সফরে র্যাম্পেও হাঁটবেন মেসি। মুম্বাইয়ে আগামী রোববারের ওই ফ্যাশন শোতে তার সঙ্গী হবেন ইন্টার মায়ামি ক্লাবের দুই সতীর্থ লুইস সুয়ারেস ও সার্জিও বুসকেতস।
মেসির ভারত সফরের প্রমোটার শতাদ্রু দত্ত ভারতীয় সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) জানিয়েছেন, ফ্যাশন শো-র পাশাপাশি ২০২২ বিশ্বকাপ থেকে মেসির কিছু স্মারকও নিলামে তোলা হবে। যেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ জনহিতকর কাজে খরচ হবে।
আগামী শুক্রবার মাঝরাতে শুরু হবে মেসির ভারত সফর। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কলকাতা, হায়দরাবাদ, মুম্বাই ও দিল্লিতে ভ্রমণ করবেন আটবারের বিশ্বকাপজয়ী তারকা। তার এই সফরের নাম দেওয়া হয়েছে গোট (গ্রেটেস্ট অব অল টাইম) ট্যুর অব ইন্ডিয়া।
শতাদ্রু জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ের রোববারের আয়োজন বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা উপস্থিত থাকবেন।
“এটি পুরোপুরি সংরক্ষিত একটি আয়োজন হবে। তারকা মডেল, তারকা ক্রিকেটার, বলিউড তারকা, মিলিওনিয়ার ও ফাউন্ডাররা থাকবেন এই অনুষ্ঠানে। টাইগার শ্রফ, জ্যাকি শ্রফ, জন আব্রাহামসহ আরও অনেকে এতে উপস্থিত হবেন।”
মুম্বাইয়ের ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়াতে স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় হবে প্যাডেল কাপ। এরপর বিকেল ৫টায় শুরু হবে মূল আয়োজন। মেসির দীর্ঘ দিনের সতীর্থ ও কাছের বন্ধু লুইস সুয়ারেস একটি স্প্যানিশ মিউজিক শোতেও অংশ নেবেন।
ভারত সফরের প্রথমাংশে কলকাতায় থাকবেন মেসি। সেখানে তার ৭০ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য উন্মোচন করা হবে। যা তার সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য হতে চলেছে। তবে নিরাপত্তাজনিত সবুজ সংকেত না পাওয়ায় সশরীরে যেতে পারবেন না। হোটেলে বসেই সেটি উন্মোচন করবেন মেসি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টায় কলকাতায় নামবেন মেসি। পরদিন সকাল ৯টা ৩০ থেকে ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত একটি মিট এন্ড গ্রিট আয়োজনে থাকবেন তিনি। পরে হবে ভাস্কর্য উন্মোচনের অনুষ্ঠান।
মেসি সশরীরে না থাকলেও, সল্ট লেক স্টেডিয়ামে ৭৫ হাজারের বেশি দর্শক উপস্থিতি আশা করছেন আয়োজকরা।
এরপর শনিবার দুপুর ২টায় হায়দরাবাদের উদ্দেশে কলকাতা ছেড়ে চলে যাবেন মেসি। সেখানে কাজ সেরে পরদিন তিনি থাকবেন মুম্বাইয়ে। আর সোমবার নয়া দিল্লিতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সূচি রয়েছে তার।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হয়েছে বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম)। আজ বুধবার বাফুফে ভবনে ১০ বছরের এ চুক্তি সাক্ষরিত হয়।
চুক্তির প্রথম পাঁচ বছরে এক ধরণের আর্থিক সুবিধা দেবে বিএসআরএম। প্রথম পর্বের কার্যক্রম মূল্যায়নের পর পরবর্তী পাঁচ বছরের আর্থিক অঙ্ক নির্ধারিত হবে।
বাফুফে জানিয়েছে, এ চুক্তির আওতায় বাফুফের কোচেস টেনিং প্রোগ্রাম, টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম, এলিট একাডেমীসহ দেশের ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত হবে বিএসআরএম।
চুক্তির পর বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন,
“আপনারা জানেন, বিএসআরএম অনেক দিন ধরে বাংলাদেশে একটা প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। তারা শুধু ব্যবসার সাথে জড়িত নয়, সকল উন্নয়নমূলক কাজের সাথে জড়িত…অতীতেও জড়িত ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও আশা করি থাকবে। বিএসআরএমের তিনটা কোন ভ্যালুস- শক্তি, নিরাপত্তা এবং স্থায়ীত্ব- আমি মনে করি বাফুফেও একই কোর ভ্যালু তাদের সাথে শেয়ার করে।”
তিনি বলেন,
‘‘১০ বছরের আমরা চেষ্টা করব প্রতি বছরের একটা বর্ষপঞ্জি করতে। আমাদের কার্যক্রমগুলা কী হবে, সেগুলো কী প্রভাব ফেলবে ফুটবলে এবং আমাদের সমাজে, সেগুলো অনুযায়ী আমরা একসাথে কাজ করব। আপনারা জানেনে, আমাদের কিছু চলমান কার্যক্রম আছে, শিশু নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন, ফিজিক্যাল-মেন্টাল স্ট্রেন্থিং এডুকেশন, সেগুলো আমরা চাচ্ছি সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে। ফুটবলের পাইপলাইন ছড়িয়ে দিতে, ট্যালেন্ট হান্টিং এই কাজগুলো আমরা সম্মিলিতভাবে করতে চাই।”
বাফুফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের ব্যাকগ্রাউন্ড দিন তিনেক আগে হলুদ হয়েছিল। ডেভেলপমেন্ট পার্টনার বিএসআরএমের অনুরোধেই এটা করেছে ফেডারেশন। এ নিয়ে বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম বলেন,
‘‘তারা আমাদের ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। ফেডারেশনের বোর্ডে বা আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে তাদের লোগো থাকবে। স্পেসিফিক কিছু বিষয়ে অন্যদের সঙ্গে তাদের লোগোও থাকবে। এখানে তাদের শর্ত স্টিল বা নির্মাণ সংক্রান্ত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করা যাবে না। আমরা এটা অনুসরণ করি যেমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত করি না।’’
চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে বিএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলী হুসেইন ফুটবলের বিকেন্দ্রীকরণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন,
“আমাদের মুল লক্ষ্য ফুটবলের সাথে যুক্ত হওয়া। বিএসআরএম নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড, ফুটবল বিশ্বের নাম্বার ওয়ান খেলা। বাংলাদেশের মেয়েরা ভালো করছে, সম্প্রতি ছেলেরাও উন্নতি করছে। আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বকাপে দেখতে চাই। আমাদের খেলাগুলো ঢাকাকেন্দ্রীক। আমরা চাই সারাদেশে ফুটবল আরও গোছালোভাবে হোক, বিকেন্দ্রীকরণ হোক, সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। তাহলে সারা দেশ থেকে অনেক ফুটবলার উঠে আসবে।”
১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:৩২ পিএম

৩৫ বছর পর ফিফা ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনাল আবার আলোচনায়। ইতালির স্তাদিও অলিম্পিকোয় সেই ফাইনালে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে হেরেছিল পশ্চিম জার্মানির কাছে। ফাইনালে বিতর্কমূলক মুহূর্তের কথা উঠে আসে রেফারি এদগার্দো কোদেসালের বর্ণনায়।
উরুগুয়েরো রেফারি কোদেসালে, যিনি পরবর্তীতে মেক্সিকোর নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। সম্প্রতি জানালেন, আর্জেন্টাইন জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন ম্যারাডোনা যা বললেন তার জন্য তিনি তাঁকে সরাসরি মাঠ থেকে বের করে দিতে পারতেন।
টেনফিল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোদেসালে বলেন, ‘আমি ম্যারাডোনাকে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীনই বহিষ্কার করতে পারতাম। তা হলে ইতিহাসে বিরল ঘটনা হতো। বিশ্বকাপ ফাইনালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তারকাকে বলতে হবে, আপনি খেলতে পারবেন না। এটি সত্যিই বড় সিদ্ধান্ত হতে পারত।’
আরও পড়ুন
| বিপিএল খেলতে অনুমতি পেলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা |
|
ফাইনালে একটি বিতর্কিত পেনাল্টির কারণে আর্জেন্টিনা হেরে যায়, জার্মানি চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই ম্যাচে ম্যারাডোনা রোমের দর্শকদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে কড়া (অশালীন) ভাষায় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। বিশেষ করে আর্জেন্টাইন জাতীয় সঙ্গীতের সময় দর্শকদের ঠাট্টা-তামাশার সময় ম্যারাডোনার রোষ দেখা যায় তীব্র।
কোদেসাল জানান, সেই সময়ে তিনি ম্যারাডোনাকে খেলতে না দেওয়ার ব্যাপারেও ভেবেছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত তা করেননি। সে প্রসঙ্গে বললেন, ‘বিশ্বকাপ ফাইনাল, সবচেয়ে বড় তারকা, আর রেফারির কাছে আছে আইন অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’
১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালকে কেন্দ্র করে আবারও বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন কোদেসাল। যেখানে বিশ্বকাপ ইতিহাসের এক চিরস্মরণীয় ঘটনা হিসেবে ম্যারাডোনার আচরণ এবং রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে আলোচনার তৈরি হয়েছে।