গত বছরটা দারুণভাবে শেষ করা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র নতুন বছর শুরু করেছেন লাল কার্ড দেখে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা তবে তাতেও সমর্থকদের মন গলেনি। সমালোচনা হচ্ছে তার মাঠের আচরণ নিয়ে। কঠিন সময়ে ভিনিসিয়ুস অবশ্য পাশে পেয়েছেন কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে। ইতালিয়ান এই কোচের মতে, ভিনিসিয়ুস হওয়াটা ভীষণ কঠিন কাজ।
মাঠের পারফরম্যান্স ভিনিসিয়ুস এখন বিশ্ব সেরাদের কাতারে। গত বছর প্রথমবারের মত জিতেছেন ফিফার দ্য বেস্ট খেতাব। তবে নানা কারণে নিয়মিতই প্রতিপক্ষ সমর্থকদের রোষানলে পড়তে হয় তাকে। বিশেষ করে অ্যাওয়ে ম্যাচে ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলারকে বরাবরই সমর্থকরা কিংবা প্রতিপক্ষ ফুটবলাররা ক্ষেপিয়ে তোলার ফন্দি আটেন। যেখানে নিয়মিতই পা দিতে দেখা যায় ভিনিসিয়ুসকে। তেমনই একটি দৃশ্যপটের পুনরাবৃত্তি হয় ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচে।
আরও পড়ুন
ছুটির মাঝেই আনচেলত্তিকে ‘কঠিন বার্তা’ এন্দ্রিকের |
![]() |
ম্যাচ শুরুর আগেই ভিনিসিয়ুসের ব্যালন ডি’অর না জেতার ফেস্টুন নিয়ে হাজির হন ভ্যালেন্সিয়ার সমর্থকরা। ম্যাচ শুরু হতেই তার পায়ে বল যেতে শিস দিয়ে বার বার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করে তারা। সমর্থকদের সামাল দিতে পারলেও ভ্যালেন্সিয়া গোলকিপারের পাতা ফাঁদে ঠিকই পা দিয়েছেন ভিনিসিয়ুস। তাতে লাল কার্ড দেখে ছেড়েছেন মাঠ। আর আরও একবার তৈরি করেন সমালোচনার প্রেক্ষাপট।
ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচ শেষে আনচেলত্তি দাবি করেছিলেন, লাল কার্ড দেখানো ঠিক হয়নি ভিনিসিয়ুসকে। রিয়ালের কোপা দেল রের পরবর্তী ম্যাচের আগে ফের তার শিষ্যের প্রতি জানিয়েছেন সমর্থন।
“এটা লাল কার্ড ছিল না, সর্বোচ্চ হলুদ কার্ড দেওয়া যেতো। সে জন্য আমরা আশা করছি সে নিষেধাজ্ঞা পাবে না। তার জায়গায় নিজেকে রাখলে বোঝা যায়, এমন পরিস্থিতি সামলানো কতটা কঠিন। যে পরিমাণ অপমান তাকে সইতে হয়, তা সহ্য করা সত্যি কঠিন। এটা কঠিন, তবে সে নিজেকে আরও পরিপক্ক করতে চেষ্টা করছে। সে লাল কার্ড নিয়ে দুঃখিত, নিজের ভুল বুঝতে পেরে দুঃখ প্রকাশ এরই মধ্যে করেছে। আমাদের এখন তাই সামনের দিকে তাকাতে হবে।”
আরও পড়ুন
রিয়ালের হয়ে শিরোপা জেতা সবচেয়ে সহজ কাজ: আনচেলত্তি |
![]() |
তবে সমালোচনা যতই হোক, ভিনিসিয়ুস নিজের ছন্দটা ঠিকই ধরে রেখেছেন। এরই মধ্যে চলতে মৌসুমে ২১ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৩ গোলের পাশাপাশি ৯টি অ্যাসিস্টও।
No posts available.
২০২৫-২৬ মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এখন পর্যন্ত শতভাগ জয় পাওয়া ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা জার্মান জায়ান্টরা গতকাল রাতে পেয়েছে আরেকটি বড় জয়।
চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে ক্লাব ব্রুজকে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে বায়ার্ন। ম্যাচের প্রথম ৩৪ মিনিটেই তিন গোল করে প্রতিপক্ষের ঘুরে দাড়ানোর সব পথ বন্ধ করে দেয় বাভারিয়ানরা। এই জয়ে প্রতিযোগিতার এবারের আসরে লিগ পর্বে টানা তৃতীয় ইউরোপীয় জয় তুলে নিয়েছে।
প্রথমে ১৭ বছর বয়সি লেনার্ট কার্লের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। জার্মান ফুটবলারদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করার রেকর্ড গড়েন এই উইঙ্গার। এরপর উড়ন্ত ছন্দে থাকা হ্যারি কেইন ব্যবধান ২-০ করেন। মৌসুমে ১২ ম্যাচে ইংলিশ তারকা ফরোয়ার্ডের গোল হলো এখন ২০টি। লুইস দিয়াসের গোলে ৩৪ মিনিটেই আরেক দফা ব্যবধান বাড়ে। শেষ দিকে বদলি হিসেবে নামা নিকোলাস জ্যাকসন চতুর্থ গোলটি করে বায়ার্নের দাপটের রাতটির পূর্ণতা দেন।
আরও পড়ুন
বেলিংহামের গোলে জুভেন্টাসকে হারাল রিয়াল |
![]() |
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ১২ জয়ের শতভাগ রেকর্ড ধরে রেখেছে বায়ার্ন। চ্যাম্পিয়নস লিগে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা সরাসরি নকআউট পর্বের টিকিট কাটার দৌড়ে এগিয়ে গেল।
আগামী ৪ নভেম্বর বায়ার্নের প্রতিপক্ষ ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্যের প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেন্ট জার্মেই। আর বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুজ পরের ম্যাচে নিজেদের মাঠে আতিথ্য দেবে বার্সেলোনাকে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্য ম্যাচে ফরাসি ক্লাব মোনাকোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে টটেনহ্যাম। পর্তুগিজ ক্লাব স্পোটিং সিপির বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে আরেক ফরাসি ক্লাব মার্শেই। গোলশূন্য ড্র করে ইতালির ক্লাব আটালান্টাকে রুখে দিয়েছে চেক প্রজাতন্ত্রের ক্লাব স্লাভিয়া প্রাহা। তুর্কি ক্লাব গালাতাসারে ৩-০ গোলে জিতেছে নরওয়ের ক্লাব বোডো/গ্লিমটের বিপক্ষে।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে স্বরণীয় এক রাতের স্বাক্ষী হলো চেলসি। চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মতো একই ম্যাচে তিন ‘টিনএজ’ গোল করল ইংলিশ ক্লাবটির হয়। ১৭ মিনিটেই ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া ডাচ ক্লাব আয়াক্সকে নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেলল লন্ডনের ক্লাবটি।
ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় আয়াক্সকে ৫-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে চেলসি। ম্যাচের শুরুতেই সফরকারী দলের অধিনায়ক কেনেথ টেইলর লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। সেখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে তারা। এক মিনিটের ব্যবধানেই ১৯ বছর বয়সী মার্ক গুইউ গোল করে চেলসির হয়ে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার রেকর্ড গড়েন।
অবশ্য তবে সেই রেকর্ড টিকল মাত্র ৩৩ মিনিট। ১৮ বছর বয়সী এস্তেভাও উইলিয়াম স্পট কিক থেকে গোল করে নতুন ইতিহাস লেখেন। তার আগে চেলসির হয়ে এনজো ফার্নান্দেজ আর আয়াক্সের উট ভেগহর্স্ট পেনাল্টি থেকে গোল করেন। তারও আগে ২৭ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে দুর্দান্ত দূরপাল্লার শটে মোইসেস কাইসেডো প্রথমার্ধের গোল উৎসবে যোগ দেন।
৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি পরিবর্তন আনে চেলসি। মাঠে নামার তিন মিনিটের মধ্যেই গোল করে ম্যাচে তৃতীয় টিনএজ হিসেবে স্কোরবোর্ডে নাম লেখান টাইরিক জর্জ । এরপর ১৭ বছর বয়সী রেজি ওয়ালশ মাঠে নেমে চ্যাম্পিয়নস লিগে চেলসির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হয়ে যান। ইংলিশ ফুটবলারদের মধ্যে এ প্রতিযোগিতায় তার চেয়ে কম বয়সে খেলার রেকর্ড কেবল জ্যাক উইলশিয়ারের।
তিন ম্যাচে দুই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের ১১ নম্বরে আছে চেলসি। যেখানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক সময়ের পরাক্রমশালী আয়াক্স এখন তিন ম্যাচ হেরে ৩৬ দলের তালিকার একেবারে নিচে, আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা চার ম্যাচে জয়হীন ডাচ ক্লাবটি।
'জুড বেলিংহাম বিশ্বের সবচেয়ে পরিপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন।' রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জাবি আলোনসো জুভেন্টাসের বিপক্ষে ম্যাচশেষে এভাবেই আরেকবার স্বরণ করিয়ে দিলেন চোট থেকে ফিরে জয়সূচক গোলে এনে দেওয়া বেলিংহামের মূল্য কতটা।
একের পর এক আক্রমণের ঢেউ তোলা রিয়াল আসল কাজটাই করতে পারছিল না। শেষ পর্যন্ত জুড বেলিংহামের মৌসুমের প্রথম গোলে মেলে নিস্তার। ম্যাচজুড়ে জুভেন্টাসের উপর আধিপত্য ধরে রেখে প্রাপ্য জয়টাই তুলে নেয় স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গতকাল রাতে বেলিংহামের একমাত্র গোলে জুভেন্টাসকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে রিয়াল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ২০২৫-২৬ মৌসুমের তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রিয়াল। জুভেন্টাসের বিপক্ষে এই জয়ে নয় পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে পাঁচে লস ব্লাঙ্কোসরা। তিন ম্যাচে এক হার ও বাকি দু'টিতে ড্র করে ২৫ নম্বরে জুভেন্টাস।
আরও পড়ুন
ফ্রাঙ্কফ্রুটকে উড়িয়ে ভয়ংকর রূপে ফিরল লিভারপুল |
![]() |
নিজেদের ডেরা সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সব সূচকেই এগিয়ে ছিল রিয়াল। ৬৬ শতাংশ পজেশন রেখে গোলের জন্য ২৮টি শট নিয়ে ১০টি লক্ষ্যে রাখে স্বাগতিকরা। বিপরীতে সফরকারী জুভেন্টাসের ১৩ শটের ৪টি লক্ষ্যে ছিল।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য উজ্জ্বল ছিল জুভেন্টাস। রিয়ালের গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া শুরুতেই দুটি দারুণ সেভ করেন। যদিও প্রথমার্ধে ১৪টি শট নিয়ে সফরকারীদের চাপে রাখে রিয়ালই। প্রধামার্ধে ব্রাহিম দিয়াজ ও চুয়ামেনি একাধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি করলেও জুভেন্টাস গোলরক্ষক দি গ্রেগোরিও ছিলেন দুর্দান্ত।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সেরা সুযোগটি পায় জুভেন্টাস। এদার মিলিতাওকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন দুসান ভ্লাহোভিচ। ইতালির ক্লাবটির ফরোয়ার্ডের জোরাল শট এগিয়ে এসে পা দিয়ে রুখে দেন কোর্তোয়া। সেই সেভের পরই ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টে যায়।
৫৭ মিনিটে জয়সূচক গোলটি পেয়ে যায় রিয়াল। বক্সে প্রতিপক্ষের কয়েকজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ভিনিসিউস জুনিয়রের নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে, বল পেয়ে যান বেলিংহাম, কাছ থেকে জাল কাঁপাতে মোটেও ভুল করেননি ইংলিশ মিডফিল্ডার।
এ গোলের পর জুভেন্টাস আক্রমণ বাড়ানোর চেষ্টা করলেও সমতাসূচক গোলের দেখা পায়নি তারা। তাতে মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোর আগে ফুরফুরে মন নিয়েই মাঠে নামবে ভিনিসিয়াস-কিলিয়ান এমবাপেরা।
নামী দামি স্কোয়াড নিয়েও গত কয়েকটি ম্যাচে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলায় বাড়ছিল চাপ। টানা চার হারের সুযোগে নিন্দুকরাও সমালোচনার ঝাপি খুলে বসে। অবশেষে হারের বৃত্ত থেকে মুক্তি মিলল লিভারপুলের। জার্মান ক্লাব ফ্রাঙ্কফ্রুটকে উড়িয়ে কি দারুণভাবেই না ফিরল অল রেডরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গতকাল রাতে ফ্রাঙ্কফ্রুটের জালে গুনে গুনে পাঁচবার বল পাঠিয়েছে লিভারপুল। আর্নে স্লটের দল জিতেছে ৫-১ ব্যবধানে। ইংলিশ জায়ান্টদের ভিন্ন ভিন্ন পাঁচ ফুটবলার গোল পেয়েছেন। উগো একিতিকে, ভার্জিল ফন ডাইক, ইব্রাহিমা কোনাতে, কোডি গাকপো ও ডমিনিক সোবোসলাই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০২৫-২৬ আসরে তিন ম্যাচে দুই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের ১০ নম্বরে আছে লিভারপুল। বিপরীতে এই প্রতিযোগিতার আগের ম্যাচেও ১-৫ গোলের বড় হার হজর করা ফ্রাঙ্কফ্রুট সমান ম্যাচে এক জয়ে ২২ নম্বরে।
ঘরের মাঠ ডয়েচে ব্যাংক পার্কে অবশ্য শুরুটা ভালোই হয়েছিল ফ্রাঙ্কফ্রুটের। ২৬ মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নিয়েই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। মারিও গোটসের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে দলকে লিড এনে দেন গাসমুস ক্রিস্টেনসেন।
এরপরের গল্প শুধু লিভাপুলের গোল উৎসবের। বারবার সুযোগ নষ্টের হতাশা কাটিয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে তিনবার জাল কাঁপায় অল রেডরা।
শুরুটা করেন একিটিকে। ৩৫ মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে গতিতে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। সমতায় ফেরার চার মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ানো গোল পেয়ে যায় লিভারপুল। কোডি গাকপোর কর্নার থেকে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফন ডাইক। ৪৪ মিনিটে আরেকটি কর্নারের থেকে গোল করার সুযোগ লুফে নেয় তারা। এবার লক্ষ্যভেদ করেন কোনাতে।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের পর আক্রমণে ফ্রাঙ্কফ্রুটকে নাকাল করে ছাড়ে লিভারপুল। ৫৫ মিনিটে ফ্লোরিয়ান ভিয়েৎসের বাঁকানো ফ্রি কিক রুখে দেন স্বাগতিকদের গোলকিপার। ৬৬ মিনিটে ভিয়েৎসের অ্যাসিস্ট থেকে ব্যবধান ৪-১ করা গোলটি আসে গাকপোর নৈপুণ্যে। তিন মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে দলের পঞ্চম ও শেষ গোলটি করেন সোবোসলাই।
এল ক্লাসিকোর মহেন্দ্রক্ষণ ফুরোতে বসেছে অবশেষে। আগামী রবিবার ২০২৫-২৬ মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হবে। গত সিজনের নিয়তিই অনুসরণ করবে রিয়াল মাদ্রিদ, নাকি জাবি আলোনসোর অধীনে লেখা হবে নতুন অধ্যায় — সেটা সময়ই বলবে। তবে ইতিমধ্যে চায়ের টেবিলে জমে উঠেছে রিয়াল-বার্সা আলোচনা।
এল ক্লাসিকো আলোচনায় নতুন সাসপেন্সন তৈরি করেছেন সার্জিও রামোস। রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে সম্ভাব্য সব ট্রফি জিতেছেন এই অভিজ্ঞ স্প্যানিয়ার্ড। ক্যারিয়ারের অন্তিমলগ্নে থাকা ৩৯ বছর বয়সী এই সেন্টারব্যাক এখন মেক্সিকান ক্লাব মন্টের্রে’র হয়ে খেলছেন। সেখান থেকেই সাবেক ক্লাব ও ক্লাবের প্রাণভোমরা কিলিয়ান এমবাপের জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন।
এমবাপের সঙ্গেও রামোসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক । ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইন এ একসঙ্গে খেলা দুই ফুটবলার। এরপর একটা সময় নিজ নিজ পথে এগিয়েছেন। স্বপ্নের ক্লাব হিসেবে রিয়ালে যোগ দেন এমবাপে। যদিও শুরুটা তার হতাশায় কাটে। তবে নতুন মৌসুমে পা দেওয়ার পর নতুন সাজে রিয়াল ও এমবাপে। লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ স্কোরার ফরাসি অধিনায়ক।
চ্যাম্পিয়নস লিগে ৫টি এবং লা লিগায় ১০টি গোল করেছেন এমবাপে। রামোস মনে করেন, এল ক্লাসিকোতেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করবেন তার সাবেক সতীর্থ।
স্পেনের জনপ্রিয় স্পোর্টস টক শো এল চিরিঙ্গিতো আজ তিনি বলেন, ‘ভালো করেই জানো আমার হার্ট আমৃত্যু সাদা (রিয়ালের জার্সির রঙ বুঝাতে এটা বলেছেন সার্জিও)। আমি আশা করি রিয়াল জিতবে এবং আমার ভাই এমবাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে ক্লাসিকো ম্যাচ পর্যন্ত আমি এমবাপের সঙ্গে কথা বলব আর তাকে খেলায় ভালো করার জন্য উৎসাহ দেব।’
এমবাপের গুণগান গেয়েছেন কোচ আলোনসো। সম্প্রতি তার মন্তব্য ছিল ঠিক এরকম- তার পারফরম্যান্সে আমরা খুব খুশি। সে ম্যাচে বড় ভূমিকা রাখছে। শুধু গোল নয়, আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে সেগুলোতেও তার নজর রয়েছে।