
সবশেষ তিন ম্যাচে জয়হীন দলকে অনেকটা একাই তো টেনে তুললেন। রিয়াল মাদ্রিদের ত্রাতা বলাই যায় কিলিয়ান এমবাপেকে। ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ হয়ে রিয়ালকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুললেন গুনে গুনে চারবার বল জালে জড়িয়ে। প্রতিপক্ষের মাঠে কঠিন পরীক্ষা স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটি উতরে গেল ফরাসি তারকা ফরোয়ার্ডের নৈপুণ্যেই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গতকাল গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোস দারুণ লড়াই করে রিয়ালকে প্রায় ঠেকিয়ে দিয়েছিল। তবে লস ব্লাঙ্কোসদের যে আছে একজন এমবাপে। ২৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের চার গোলেই হাঁফ ছেড়ে বেচে ৪-৩ গোলে জয় পেয়েছে রিয়াল। মাত্র ৭ মিনিটেই তিনবার বল জালে জড়িয়ে এমবাপে এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দ্বিতীয় দ্রুততম হ্যাটট্রিকের মালিক।
অলিম্পিয়াকোসের মাঠে ৮ মিনিটে পিছিয়ে পড়ার পর এমবাপের তাণ্ডব শুরু হয় ২২ মিনিটে। এরপর ২৪ ও ২৯ মিনিটে দু’বার স্বাগতিকদের জাল কাপিয়ে আপাতত ঝড়ে বিরতি দেন রিয়াল মাদ্রিদের স্টাইকার।
ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্তক সংস্থা ইউয়েফার বলছে, ২০২২ সালে রেঞ্জার্সের বিপক্ষে লিভারপুলের ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহর হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম রেকর্ড গড়ে। সেই রেকর্ড অক্ষত আছে এখনো। সেই ম্যাচে মিশরীয় তারকা ফরোয়ার্ড হ্যাটট্রিক করার জন্য সময় নিয়েছিলেন ছয় মিনিট ১২ সেকেন্ড।
আরও পড়ুন
| অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের ওপর ছড়ি ঘোরাল পিএসভি |
|
চার গোল করে গোল দলকে জিতিয়ে উচ্ছসিত এমবাপে বলেন, ‘আমি খুবই খুশি—গোল করা সবসময়ই আনন্দের। আমার সতীর্থরা আমাকে চমৎকার অ্যাসিস্ট দিয়েছে। আমি ভাগ্যবান যে এমন খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি গোল করার, আর কখনও তা হয়, কখনও হয় না।’
ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্যের প্রতিযোগিমায় এ নিয়ে নিয়ে পঞ্চম হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেলেন এমবোপে। চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি তাঁর দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এর আগে কাজাখস্তানের ক্লাব কাইরাত আলমাতির বিপক্ষে তিন গোল করেছিলেন ২৬ বছর বয়সী। এই প্রতিযোগিতায় এমবাপের দুটি হ্যাটট্রিক এসেছে পিএসজির হয়ে। চ্যাম্পিয়নস লিগে যৌথভাবে সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের মালিক লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই দুই ফুটবলার আটটি করে হ্যাটট্রিক করেছেন। এই তালিকায় দুইয়ে থাকা রবার্ট লেভানডোভস্কি-র আছে ছয়টি।
ছন্দের তুঙ্গে থাকা এমবাপে অলিম্পিয়াকোর বিপক্ষে এই হ্যাটট্রিকে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে উঠে এলেন। ছয় ম্যাচে তাঁর মোট গোল এখন নয়টি। দুইয়ে থাকা গালাতাসারের ফরোয়ার্ড ভিক্টর ওসিমেনের গোল ছয়টি।
No posts available.
২৮ নভেম্বর ২০২৫, ৯:১০ এম

ফুটবলে লাল কার্ড হরহামেশাই দেখা যায়। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলে সেই চিত্র আরো নিয়মিত। প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের ফাউল কিংবা সংঘর্ষে জড়িয়েও অনেকে লাল কার্ড দেখেন। তবে সেই রেড কার্ডের সংখ্যা যদি হয় ১৭ ! কেমন হবে তবে ? নিশ্চয়ই চোখ কপালে উঠবে।
লাল কার্ডের এই সংখ্যা দেখে ইতিমধ্যে হয়তো আন্দাজ করেছেন, এই ম্যাচটিতে বোধহয় প্রচুর সংঘর্ষ-হাতাহাতি-মারামারি হয়েছে। ঠিক তাই, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ দক্ষিণ বলিভিয়ার ক্লাব ফুটবলের টুর্নামেন্ট কোপা বলিভিয়ার একটি ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে মোট ১৭টি লাল কার্ড দেখেছে। প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে রেফারির শেষ বাঁশি বাজার পরই রীতিমতো রণক্ষেত্রে রূপ নেয় মাঠ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে টিয়ার গ্যাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে হয়েছে।
গত মঙ্গলবার কোপা বলিভিয়ায় প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হয় ব্লুমিং ও রিয়াল অরুরো। ২-২ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচ শেষ হতেই ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের ফুটবলার ও স্টাফরা। কোনোভাবেই তাদের থামাতে না পেরে পুলিশ টিয়ার শেল ছুঁড়তে বাধ্য হয়। গুরুতর আহত হয়েছে অনেকে। এক কোচকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে, আর এক কর্মকর্তা মুখের হাড় ভেঙে গেছে।
কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ ২-২ গোলে ড্র হলেও দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ব্লুমিং। তবে ম্যাচ জয়ের আনন্দ উদযাপন করতে না করতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বলিভিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘এল পোতোসি’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, অরুরোর ফুটবলার সেবাস্তিয়ান জেবালোস প্রথমে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটান। ব্লুমিংয়ের খেলোয়াড়রা তাকে আটকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলেও মুক্ত করে অন্যদের ধাক্কা দেন তিনি।
এরপর জেবালোসের সতীর্থ হুলিও ভিলাও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন এবং প্রতিপক্ষের এক ফুটবলারকে ঘুষি মেরে বসেন। আর তাতেই সঙ্গে সঙ্গে পুরো মাঠে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। ওরুরোর কোচ মার্সেলো রবলেদোও ক্ষিপ্ত হয়ে ব্লিভিয়ান জাতীয় দলের এক কোচের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান এবং ধাক্কা খেয়ে পিছনে পড়ে যান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবলেদো কাঁধের আঘাত এবং মাথায় আঘাত পেয়েছেন এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রায় ২০ জন পুলিশ কর্মকর্তা হস্তক্ষেপ করেন। ব্লুমিং কোচ মাউরিসিও সোরিয়া তার খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুমে নিয়ে গিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। অফিসিয়াল ম্যাচ রিপোর্ট অনুযায়ী ব্লুমিং-এর সাত জন খেলোয়াড়, অরুরোর ৪ জন খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখানো হয়েছে। উভয় দলের কোচ ও সহকারীও লাল কার্ড পেয়েছেন। মোট ১৭ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ব্রাজিল দলে পরিবর্তন এখন স্পষ্ট। পোড় খাওয়া কোচ কার্লো আনচেলোত্তি সেলেসাওদের সুদিন ফিরিয়ে আনতে যেন প্রতিজ্ঞবদ্ধ। প্রমাণটা মাঠের খেলাইতেই স্পষ্ট। অভিজ্ঞ এই কোচকে পেয়ে যারপরনাই সন্তুষ্ট ব্রাজিল। সর্বোচ্চ পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল দীর্ঘমেয়াদে আনচেলোত্তিকে দলের দায়িত্ব তুলে দিতে আগ্রহী।
ব্রাজিলের জাতীয় দলের কোচ কার্লো আনচেলোত্তির সঙ্গে চুক্তি সম্প্রসারণ আলোচনা শুরু করতে চান ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সভাপতি সামির জাউদ। ৬৬ বছর বয়সী এই কোচের সঙ্গে ব্রাজিলের চুক্তি শেষ হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের পরই। তবে সিবিএফ এর সভাপতি সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি তাঁর চুক্তি ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়াতে ইচ্ছুক।
গত বুধবার সিবিএফ’ এর সভাপতি জাউদ এক সাক্ষাৎকারে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, আনচেলোত্তি ২০২৬ সালের পরও দায়িত্বে থাকবেন কিনা, জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমি এই আলোচনাকে ইতিবাচকভাবে দেখি। সব কিছু উভয় পক্ষের সমঝোতার ওপর নির্ভর করছে। আমি সবসময় কাজের সম্পর্ককে গুরুত্ব দিই। সফল হওয়ার জন্য সবকিছুই প্রস্তুত রয়েছে।’
ইএসপিএন জানিয়েছে, আগামী বছরের মধ্যে আনচেলোত্তির সঙ্গে আলোচনা শুরু করার পরিকল্পনা করছে এবং আশা করছে তিনি ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের আগে চুক্তি বাড়িয়ে নেবেন। ব্রাজিল নিশ্চিত করতে চায় যে, পরের বছরের বিশ্বকাপের ফলাফল যাই হোক না কেন, ইতালিয়ান কোচ দলের দায়িত্বে থাকবেন।
৬৬ বছর বয়সী আনচেলোত্তি গত মে মাসে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর ব্রাজিলের দায়িত্ব নিয়েছেন। ২০২৬ সালে ব্রাজিলকে হেক্সা জেতানোর মিশনে নেমেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র-রাফিনহাদের কোচ। তাঁর কোচিংয়ে ইতিমধ্যে দারুণ খেলতে শুরু করেছে ব্রাজিল। সবশেষ আন্তর্জাতিক বিরতিতে সেনেগালের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের পর তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে সেলেসাওরা।

সান্তিয়াগো বার্নাবুতে চলতি মৌসুমের এল ক্লাসিকোয় যখনই লামিনে ইয়ামালের বল স্পর্শ করছিলেন, পুরো গ্যালারি এক সঙ্গে শিশ আর দুয়োধ্বনি দিচ্ছিল। এই দৃশ্য এখন নিয়মিতই দেখা যাচ্ছে। কাতালান ক্লাবটির ১০ নম্বর জার্সিধারী এই স্প্যানিশ তারকা প্রায় সব প্রতিপক্ষেরই লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন। এককথায় ইয়ামাল যেন এখন ‘জনমানুষের দুশমন নম্বর ওয়ান’।
ইয়ামালের চোট বার্সার মাথাব্যথা আগেই বাড়িয়েছে। ১৮ বছর বয়সী উইঙ্গার পিউবালজিয়া–জনিত চোট থেকে সেরে অনেকটাই উঠছেন, যে সমস্যা তাকে টানা পাঁচ ম্যাচের বাইরে রেখেছে। তবে সবশেষ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসির কাছে ০-৩ গোলে বিধ্বস্ত হওয়া ম্যাচে ইয়ামালের সঙ্গে স্বাগতিক দর্শকদের আচারণ দুশ্চিন্তায় ফেলেছে বার্সাকে। সম্প্রতি প্রায়ই প্রতিপক্ষের মাঠে আক্রমণ আর বিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন ইয়ামাল। আর ক্লাবের প্রাণভোমরাকে নিয়ে তাই স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন বার্সা।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘দিয়ারিও স্পোর্ট’ এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, লামিন ইয়ামাল প্রতি মাঠেই যেন ‘জনমানুষের দুশমন নাম্বার ওয়ান’-এ পরিণত হচ্ছেন। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়াও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ক্লাব ব্রুগের বিপক্ষে সাম্প্রতিক অ্যাওয়ে ম্যাচেও দুয়োধ্বনি হজম করতে হয়েছে ইয়ামালকে। এমনকি ম্যাচ শেষে এক চেলসি খেলোয়াড়ও ইয়ামালকে উদ্দেশ্য করে বিরূপ মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন
| পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শুরু হচ্ছে ব্রাজিল–আর্জেন্টিনার |
|
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে এল ক্লাসিকোতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে—যেখানে উত্তেজনা চরমে উঠে হাতাহাতির পর্যায়ে যায়, আর রিয়াল মাদ্রিদের দানি কারভাহাল ও থিবো কুর্তোয়ার মতো অভিজ্ঞ ফুটবলাররাও ইয়ামালকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানান।
দিয়ারিও স্পোর্ট এর প্রতিবেদনটি বলছে, বার্সেলোনা ইয়ামালের এই বদলে যাওয়া ইমেজ নিয়ে বেশ চিন্তিত। কারণ লামিন ইয়ামাল কেবল একজন ফুটবলার নন; তিনি এখন ক্লাবের অন্যতম প্রধান মুখ। বার্সার বানিজ্যিক আইকনও তো সেই ইয়ামালই। তাঁর ১০ নম্বর জার্সি তৈরি করেছে ক্লাবের নতুন আয়ের ধারা।
এরপরও অবশ্য বার্সেলোনা একেবারে হতাশ হচ্ছে না ক্লাবটির ইতিহাসের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির কথা ভেবে। বার্সার ইতিহাসের সেরা সময়ে নিয়মিতই প্রতিপক্ষের সমর্থক এমনকি ফুটবলারদের আক্রমণের শিকার হতেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। মেসিকে প্রতিপক্ষ ভয় পেলেও তার প্রতিভার প্রতি ছিল সম্মান, অনেক ক্ষেত্রে এমনকি ভালোবাসাও। মেসির পদচিহ্ন ছুঁয়ে এগিয়ে যাবেন ইয়ামাল, এমনটাই প্রত্যাশা তাঁর ক্লাবের।
চলতি মৌসুমে মাঠের বাইরে বিতর্ক আর চোটের সঙ্গে লড়াই করেই ক্লাবের জয়ে অবদান রাখছেন ইয়ামাল। ২০২৫-২৬ মৌসুমে লা লিগায় ৯ ম্যাচে ৪ গোলের সঙ্গে ছয়টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। এ ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুই গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরেকটি গোল।

ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল টুর্নামেন্টসেরা দুই দল—পর্তুগাল ও অস্ট্রিয়া। দুই দলেরই লক্ষ্য ছিল প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব–১৭ বিশ্বকাপ জেতা। কাতারের খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার লড়াইয়ে ১–০ গোলে জিতে ইতিহাস গড়েছে পর্তুগাল।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ–প্রতিআক্রমণে জমে ওঠে খেলা। প্রথমার্ধে ১–০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় পর্তুগাল। দ্বিতীয়ার্ধেও অস্ট্রিয়া সমতায় ফিরতে পারেনি। তাতেই প্রথমবারের মতো শিরোপা উঁচিয়ে ধরে পর্তুগিজরা।
বল দখলে ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল পর্তুগাল। ৫৮ শতাংশ বল ছিল তাদের পায়ে। ১০টি শটের মধ্যে ৩টি ছিল লক্ষ্যে। অস্ট্রিয়া ৪২ শতাংশ বল দখলে রেখে ৮টি শট নেয়, যার ৫টি ছিল লক্ষ্য বরাবর। ফাউলের ছড়াছড়ি ছিল ম্যাচজুড়ে—দুই দল মিলে করেছে ৪৩টি ফাউল।
ম্যাচ ঘড়ির ৩২তম মিনিটে আনিসিও কাব্রালের গোলে লিড নেয় পর্তুগাল। তবে কাব্রালের চেয়ে বেশি কৃতিত্ব প্রাপ্য কুনহার। ডানদিক থেকে তিনি চাইলে নিজেই শট নিতে পারতেন, কিন্তু ঝুঁকি না নিয়ে নিখুঁত পাস বাড়ান কাব্রালকে। বাঁ-পায়ের নরম টোকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন তরুণ ফরোয়ার্ড।
৪১তম মিনিটে স্পট–কিক থেকে আরও একটি সুযোগ পায় পর্তুগাল। পেনাল্টি বক্সের সামনে কিছুক্ষণ বল ঘুরলেও স্পষ্ট সুযোগ তৈরি করতে না পেরে বল নিজেদের অর্ধে সরিয়ে পুনরায় আক্রমণের প্রস্তুতি নেয় তারা।
প্রথমার্ধ শেষে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকে পর্তুগাল।
দ্বিতীয়ার্ধে কয়েকটি পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করে অস্ট্রিয়া। বিশেষ করে ৮০তম মিনিটে হোপম্যানের মিডফিল্ড থেকে নেওয়া শট আরেকটু নিখুঁত হলে, কিংবা নুদুকের হেড যদি লক্ষ্যে থাকত, তাহলে সমতায় ফিরতে পারত তারা। দুই মিনিট পর আবারও আক্রমণে যায় অস্ট্রিয়া, তবে এবারও বাধা হয়ে দাঁড়ায় পর্তুগালের সলিড ডিফেন্স।
যোগ করা সময়েও গোলের দেখা পায়নি অস্ট্রিয়া। শেষ পর্যন্ত ১–০ গোলের জয়েই পর্তুগাল লেখে নতুন ইতিহাস—প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব–১৭ বিশ্বকাপ জিতল ফুটবলের এই পরাশক্তি।

ব্যাট–প্যাড আর হেলমেট হাতে একদল তরুণ যাচ্ছে স্টেডিয়ামে—অস্ট্রেলিয়া–ইংল্যান্ড কিংবা বাংলাদেশে এমন দৃশ্য অতীব সাধারণ। কিন্তু সেই তরুণ দলের দেশ যদি হয় ব্রাজিল–আর্জেন্টিনা, তবে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় সবার।
প্রশ্ন জাগতেই পারে—যে দেশে নাওয়া-খাওয়া, বাণিজ্য ও আবেগ—সবই ফুটবলকে কেন্দ্র করে, সেখানে ‘ক্রিকেট’ নামটা হয়তো অনেকের কাছেই অচেনা–অজানা। তবে ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেটেও মনোযোগী হচ্ছে লাতিন আমেরিকার দুই দেশ—ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। তারই অংশ হিসেবে এবার পাঁচ ম্যাচের সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই দল।
আর্জেন্টিনার হোম ভেন্যু ক্লাব সান আলবায়ানোতে আগামীকাল স্থানীয় সময় বিকেল তিনটায় প্রথম টি–টোয়েন্টি দিয়ে শুরু হবে দুই দেশের মাঠের লড়াই।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ২৯ নভেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ১০টায়। একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ম্যাচটিও—স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায়। চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচ হবে ৩০ নভেম্বর। চতুর্থ ম্যাচ স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ম্যাচ বিকেল ৩টায় মাঠে গড়াবে।
সিরিজে আর্জেন্টিনার নেতৃত্ব দেবেন ডানহাতি ব্যাটার রোমারিও এসকোবার। ব্রাজিলের নেতৃত্ব দেবেন ফেলিপে ইজিদোরো অসুনসাও, যার টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা প্রায় ১১টির মতো।