স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার পর এখন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামি- দীর্ঘ দিন একই ক্লাবে খেলার সৌজন্যে লিওনেল মেসির সঙ্গে খুবই গাঢ় বন্ধুত্ব লুইস সুয়ারেজের। দুজনই এখন আছেন ক্যারিয়ারের অন্তিম লগ্নে। আর সব ঠিক থাকলে মেসির সঙ্গে বিদায় জানাতে চান সুয়ারেজ।
গত দুই বছর ধরে মায়ামির জার্সিতে একসঙ্গে খেলছেন সুয়ারেজ ও মেসি। এর আগে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাব বার্সেলোনায় প্রায় ৬ বছর খেলেছেন দুই তারকা ফুটবলার। খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের বাইরে ব্যক্তি জীবনেও কাছের বন্ধু আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের এই দুই সুপারস্টার।
চলতি মৌসুমের পর বদলে যেতে পারে দুজনের ঠিকানা। কারণ মায়ামির সঙ্গে এখন ২০২৫ মৌসুম পর্যন্তই চুক্তিবদ্ধ সুয়ারেজ। মেসির সঙ্গেও তা-ই। তবে আর্জেন্টাইন জাদুকরের সঙ্গে আরও এক মৌসুম চুক্তি বাড়ানোর কথা ভাবছে মায়ামি।
সুয়ারেসের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত তেমন আলোচনা শোনা যায়নি। তবে উরুগুয়াইন স্ট্রাইকার এবার নিজ থেকেই দিলেন চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ইঙ্গিত। একইসঙ্গে তিনি বললেন, মেসির সঙ্গে অবসর নিতে চাওয়ার ইচ্ছার কথা।
“আমরা দু’জনই এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছি যেখানে নিজেদের ও পরিবারের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেব। অবশ্যই, আমি তার সঙ্গে অবসর নিতে চাই। এ বিষয়ে আমরা বহু বছর ধরে কথা বলছি। কিন্তু এটা নির্ভর করবে আমরা নিজেরা কী সিদ্ধান্ত নিই তার ওপর।
“আমি এখানে সুখে আছি, শারীরিকভাবে ভালো অনুভব করছি। যদি ক্লাব চায় আমি এখানে অবসর নেই, তাতে কোনো সমস্যা হবে না।”
লিগস কাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ভোরে টিগ্রেসের মুখোমুখি হবে মায়ামি।
২২ আগস্ট ২০২৫, ২:৪৫ পিএম
অনূর্ধ্ব-১৭ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ম্যাচে ভুটানকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি তারা। প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয় পাওয়া ভারত নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও দাপটের সঙ্গে জয় তুলে নিয়েছে। ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে আজ ভারতের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।
অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে বাংলাদেশের আগের হারটি ২০২৩ সালে। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪-০ গোলে হেরেছিল তারা। তার আগের দুই ম্যাচে ভিয়েতনামের বিপক্ষে ২-০ এবং ফিলিপাইনের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে হারে।
তবে ভারতের বিপক্ষে সেই বছরই সাফে ১-০ গোলে জয় পায় বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে এই ম্যাচে আগে ভারতের বিপক্ষে সেটিই ছিল সবশেষ দেখা। আর গত বছর সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফাইনালে নির্ধারিত সময় ১-১ গোলের ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে ভারতকে হারায় বাংলাদেশ।
ম্যাচে শুরু থেকেই প্রভাব বিস্তার করে ভারত। চতুর্থ মিনিটেই ভারতের আনুশকা কুমারী বল নিয়ে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে ফাঁকা পোস্টের সামনে দাঁড়িয়েও অফসাইডের কারণে গোল বঞ্চিত হন। এক মিনিট পরই ভারতের একটি দূরপাল্লার শট অনায়াসে তালুবন্দী করেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম।
১০ মিনিটে ইয়ারজানের একটি ভুলে বড় বিপদের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। বল হাতে নিয়ে বক্সের লাইনের বাইরে পা রাখায় ফাউলের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ফলে ভারতের পক্ষে বক্সের ঠিক বাইরে একটি ফ্রি-কিক পাওয়া যায়। একই সময় বাংলাদেশ দলের ডাগআউটে থাকা কোচকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ১২ মিনিটে ভারতের ঝুলনের নেওয়া ফ্রি-কিকটি ক্রসবার ছুঁয়ে বাইরে চলে যায়।
১৪ মিনিটে লিড নেয় ভারত। সতীর্থের ক্রস থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান পার্ল ফার্নান্দেজ। তাঁর পোস্ট লক্ষ্য করে নেওয়া মাটি কামড়ানো শটে ইয়ারজানের হাত ছুঁয়ে বল জড়ায় জালে।
২৬ মিনিটে বাংলাদেশের পক্ষে ফ্রি-কিক নেন ফাতিমা আক্তার। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে নেওয়া তার শট সহজেই ধরেন ভারতের গোলরক্ষক মুন্নি। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ভারত।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়াতে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে ভারত। বাংলাদেশও গোল পরিশোধের চেষ্টায় আক্রমণের ধার বাড়ে, তবে ভারতের রক্ষণে গিয়ে বারবার থেমে যায় সব প্রচেষ্টা।
৭৩ মিনিটে বক্সের সামনে থেকে আনিতার গতিময় শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে আটকান ইয়ারজান বেগম। তার একটু পরই বাংলাদেশকে আর বাঁচাতে পারেননি এই গোলরক্ষক। আলিসা লিংদোর কর্নার থেকে গোলমুখের সামনে ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন আনমার্ক থাকা বনিফিলিয়া শুললাই। বদলি খেলোয়াড়ের এই গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ভারত।
শেষ মুহূর্তে দুই দলই কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করলেও আর কোনো গোল হয়নি। ফলে নির্ধারিত সময় শেষে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত। এই জয়ে টানা দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল দলটি।
ম্যানচেস্টার সিটিতে রুবেন দিয়াসের চুক্তির মেয়াদ বেড়েছে আরও দুই বছর। ২৮ বছর বয়সী ডিফেন্ডারের আগের চুক্তি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৭ সালে। তবে নতুন চুক্তি অনুযায়ী তিনি ২০২৯ সাল পর্যন্ত সিটিতে থাকবেন। সঙ্গে আরও এক বছরের বাড়ানোর সুযোগ থাকছে।
দিয়াস ২০২০ সালে বেনফিকা থেকে ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে সিটিতে যোগ দেন। প্রথম মৌসুম শেষেই তিনি প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ইতিহাদে পাঁচ বছরে দিয়াস সিটিকে চারটি লিগ শিরোপা, চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইএফএল কাপ এবং এফএ কাপ জিততে সহায়তা করেছেন।
চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে উচ্ছ্বসিত দিয়াস বললেন, ‘আজ আমি ভীষণ খুশি। আমি ম্যানচেস্টারকে ভালোবাসি—এখন এটা আমার ঘর। আর ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকদেরও আমি ভালোবাসি। আমরা যেসব ট্রফি জিতেছি আর যেভাবে আমরা ফুটবল খেলেছি, তা ভেবে আমি অন্য কোনো ক্লাবে খেলার কথা কল্পনাও করতে পারি না।’
সিটির ফুটবল ডিরেক্টর হুগো ভিয়ানা বলেন, ‘দিয়াস ড্রেসিংরুমে এবং মাঠে একজন প্রকৃত নেতা।’
আগামী কয়েক মাসে ক্লাবের মনোযোগ যাবে জন স্টোনস ও বার্নার্ডো সিলভার দিকে, যাঁদের চুক্তির মেয়াদ আর এক বছর বাকি। ইলকাই গুনদোয়ান ও এডারসনের বর্তমান চুক্তির মেয়াদও শেষ হতে চলেছে আগামী এক বছরের মধ্যে।
স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি, ইংলিশ প্লেমেকার ফিল ফোডেন, সুইস ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকাঞ্জি এবং ডাচ সেন্টার-ব্যাক নাথান আকের চুক্তি এখনও দুই বছর বাকি। অন্য দিকে তরুণ ডিফেন্ডার রিকো লুইস পাঁচ বছরের নতুন চুক্তি করতে যাচ্ছেন।
বয়সের সীমা অতিক্রম করে আলো ছড়াতে শুরু করেছেন- লামিন ইয়ামাল, রদ্রিগো মোরা, ফ্রাঙ্কো মাস্তাতুনোরা। ১৭ বছরের লেননার্ট কার্ল ঠিক এমনই একজন। বায়ার্ন মিউনিখের একাডেমির পথ ধরে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা এই কিশোরকে ইতিমধ্যে অনেকেই ‘বায়ার্নের নতুন মেসুত ওজিল’ডাকতে শুরু করেছেনে।
জার্মানির ফ্র্যামার্সবাখে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কার্লের জন্ম। বেড়ে ওঠা বায়ার্নের বিয়সভিত্তিক দল থেকেই। অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে গত মৌসুমে মাত্র ১৪ ম্যাচে ৩৩ গোলে অবদান রেখেছেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। এর মধ্যে একটি ম্যাচে করেছেন পাঁচটি গোল। তাঁর সৃজনশীলতা, পাসিং কৌশল ও আক্রমণ গড়ে তোলার ক্ষমতা মনে করায় জাদুকরী ওজিলকে।
কার্লের এমন অসাধারণ পারফরম্যান্স বায়ার্নের কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানির নজর এড়াতে পারেনি। অসাধারণ মৌসুমে কাটানোর পর বায়ার্নের সিনিয়র দলের দরজা খুলে গেল কার্লের জন্য। অভিষেক হয় ক্লাব বিশ্বকাপে, অকল্যান্ড সিটির বিরুদ্ধে ১০-০ জয়ের ম্যাচে হাফ-টাইমে বদলি হিসেবে।
প্রাক-মৌসুমে টটেনহ্যামের বিপক্ষে মাঠে নেমেই করেছেন একটি গোল। প্রমাণ করেছেন, বয়স মাত্র সংখ্যা—প্রতিভা কখনও সীমাবদ্ধ হয় না। টটেনহামের বিপক্ষে তাঁর ছন্দময় খেলা, মানসিক দৃঢ়তা ও খেলার ধরণ-ওজিলে প্রতিচ্ছবি দেখছেন অনেকে।
প্রথম দলে অন্তর্ভুক্তি, বায়ার্ন তার জন্য ৩ বছরের যুব চুক্তি ঘোষণা করে, যা ১৮ বছরে পেশাদার চুক্তিতে রূপ নেবে। জামাল মুসিয়ালার ৪২ নম্বর জার্সি তাঁর হাতে আসে। প্রাক-মৌসুমের শেষ ম্যাচে গ্রাসহপারদের বিপক্ষে তিনি আবারও গোল করেন এবং দলের জয় নিশ্চিত করেন।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জার্মানির যুব দলের হয়ে ১৩ গোল করেছেন। অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে ১৩ ম্যাচে করেছেন ৭ গোল ও ৪ অ্যাসিস্ট। যদি মাঠে দেখানো এই সৃজনশীলতা ও জাদু অব্যাহত থাকে, তবে শিগগিরই লেননার্ট কার্ল সত্যিই হয়ে উঠবেন বায়ার্নের নতুন ওজিল।
বায়ার্নের সিনিয়র দলে পাওয়া সুযোগ কার্ল স্থিরভাবে আঁকড়ে ধরতে চান। এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
‘আমি সব সময় খেলতে চাই এবং নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। প্রথম দল হোক বা অনূর্ধ্ব-১৯ বা অনূর্ধ্ব-১৭। আমি সব সময় আমার সর্বোচ্চ দিয়ে নিজেকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করব।’
কেউ চুক্তিতে স্বাক্ষর করার কলম হাতে নিয়েও রাজি হননি, আবার কেউ লুকিয়ে থেকেছেন ট্রান্সফার এড়ানোর জন্য। ফুটবলে চমকপ্রদ ট্রান্সফার হাইজ্যাকের ঘটনা নেহাত কম নয়। আলফ্রেদো দি স্তেফানো-রোনালদিনহো থেকে হালে ইবোরেচি এজে।
ফুটবল আর কেবল খেলা নেই। এটা এখন ব্যবসা—আর সেটা যথেষ্ট নির্মমও বটে। ট্রান্সফার মার্কেটের চেয়ে ভালো উদাহরণ আর নেই, যেখানে টাকারই রাজত্ব, আর 'জেন্টলম্যানস এগ্রিমেন্ট' এখন কেবল ঠাট্টার। এ কারণেই সমর্থকদের জন্য এটা ভীষণ সরলমনা ভাবনা, একটা ‘হয়ার উইগো’ মানেই কোনো ডিল নিশ্চিত।
বাস্তবে কোনো ক্লাব কিছুই নিশ্চিত ধরে নিতে পারে না যতক্ষণ না খেলোয়াড় ‘ডটেড লাইনে’ স্বাক্ষর করছেন। শেষ মুহূর্তে অনেক কিছুই ভেসে যায়।
তবে কোনো ট্রান্সফার ভেসে যাওয়ার সবচেয়ে বড় হুমকি হলো শেষ মুহূর্তের অন্য কারও আগ্রহ—যেটা এবার টটেনহ্যাম হটস্পার টের পেয়েছে। অনেব দূর এগিয়ে যাওযার পরও ইবোরেচি এজের আর্সেনালে যোগ দেওয়া স্পার্সদের জন্য ভিমড়ি খাওয়ার জোগাড়। রীতিমতো ইংল্যান্ডের মিডফিল্ডারকে ‘হাইজ্যাক’ করেছে করেছে গানাররা। এ আর নতুন কি, ফুটবল ইতিহাসে এমন হাইজ্যাকড ট্রান্সফারের তালিকা বেশ লম্বাই। আছেন কিংবদন্তি তারকারাও।
আলফ্রেদো দি স্তেফানো
বার্সেলোনার কাছ থেকে রিয়াল মাদ্রিদের আলফ্রেদো দি স্তেফানোর হাইজ্যাক হওয়া ট্রান্সফারকে ঘিরে অসংখ্য গল্প ও গুজব আছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন, ১৯৫৩ সালে স্তেফানো কলম্বিয়ান ক্লাব মিয়োনারিওসের হয়ে খেলছিলেন, কিন্তু তাঁর মালিকানা রিভার প্লেটের কাছে ছিল।
তখন স্তেফানো বার্সেলোনা যাওয়ার একটি প্রাথমিক চুক্তি হয়েছিল। ঝামেলা শুরু হয় বার্সেলোনার পক্ষ থেকে রামন ট্রিয়াস ফারগাস ছিলেন আইনজীবী, যিনি স্তেফানোকে নিয়ে চুক্তি করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ক্লাবের কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, যেমন প্রেসিডেন্ট মার্তি কারেত্তো, তাঁকে যথাযথভাবে সমর্থন করেননি। তখনই অভিযোগ ওঠে—এটা নাকি ছিল স্প্যানিশ সরকারের আশীর্বাদে মাদ্রিদের সাজানো ষড়যন্ত্র।
বিষয়টি আরও জটিল হয় যখন স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) হঠাৎ বিদেশি খেলোয়াড়দের স্বাক্ষর করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। তারা বার্সার কাছে প্রস্তাব দেয়, যদি তারা দি স্তেফানোকে মাদ্রিদের সঙ্গে ভাগ করতে রাজি হয়, তাহলে তাঁকে এই নিয়মের বাইরে রাখা হবে।
শর্ত অনুযায়ী, প্রতি মৌসুম শেষে স্তেফানোর আল্টারনেটিভভাবে দুই ক্লাবের হয়ে খেলবেন। বার্সা রাজি হয়, কিন্তু কাতালুনিয়ায় সৃষ্ট তীব্র সমালোচনার কারণে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই সভাপতি কারেত্তোকে পদত্যাগ করতে হয়।
শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনা চুক্তি থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়, মাদ্রিদ থেকে কিছু ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করে। তাদের চোখের সামনেই দি স্তেফানো রিয়াল মাদ্রিদকে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে প্রভাবশালী দলে রূপান্তরিত করেন।
আরও পড়ুন
২০২৭ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকায় |
![]() |
পল গ্যাসকয়েন
স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন মনে করতেন ববি চার্লটনের পর পল গ্যাসকয়েন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে প্রতিভাবান খেলোয়াড়। তাই নিউক্যাসলের এই মিডফিল্ডার যখন ১৯৮৮ সালের গ্রীষ্মে ফার্গুসনকে কথা দিলেন, তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেবেন, তখন ছুটিতে মাল্টায় থাকা ফার্গুসন বেশ খুশিই ছিলেন।
কিন্তু সেই মৌখিক চুক্তির দুই দিন পরই টটেনহ্যামের চেয়ারম্যান আয়ারভিং স্কলার গ্যাসকয়েনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ইংলিশ তারকার ভাষ্য অনুযায়ী, তার বাবা বলেছিলেন,
‘ওদের বল, ফাক অফ! তুমি ম্যানইউতেই স্বাক্ষর করবে।’
তবে স্কলার হাল ছাড়েননি। তিনি নাকি গ্যাসকয়েনের বাবাকে প্রতিশ্রুতি দেন, গ্যাসকয়েন যদি টটেনহ্যামে সই করেন তবে তিনি ১ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড পাবেন। এটা শোনার পর তাঁর বাবা বলেছিলেন,
‘তাহলে আর কীসের অপেক্ষা, ছেলে?’
প্রণোদনা সেখানেই শেষ হয়নি। গ্যাসকয়েন দাবি করেন, স্কলার নাকি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁর বাবাকে একটি বিএমডব্লিউ সফট টপ গাড়ি (প্রাইভেট নাম্বার প্লেটসহ), মাকে একটি বাড়ি আর র বোনকে একটি সানবেড কিনে দেবেন।
ফার্গুসন যখন ছুটির সময়েই জানলেন গ্যাসকয়েন টটেনহ্যামে যাচ্ছেন, তখন তিনি প্রচণ্ড রাগান্বিত হন এবং কয়েক বছর পর্যন্ত গ্যাসকয়েনের সঙ্গে কথা বলেননি। তিনি সব সময় বলতেন, গ্যাসকয়েন বিশাল ভুল করেছেন ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে তাঁর অধীনে খেলার সুযোগ না নিয়ে। গ্যাসকয়েনও পরে স্বীকার করেছিলেন, মজার ছলে বলেছিলেন—
‘আমার বোন যদি শুধু একটা স্প্রে ট্যান নিত, তাহলে আমার হাতে আরও অনেক মেডেল থাকত!’
রয় কিন
১৯৯৩ সালের গ্রীষ্মে শুক্রবার রাতের দিকে নটিংহ্যাম ফরেস্টের তরুণ তারকা রয় কিন ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের ম্যানেজার কেনি ডালগ্লিশের সঙ্গে হাত মেলান ইউড পার্কে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে। ডালগ্লিশ চেয়েছিলেন চুক্তি তখনই লিখে স্বাক্ষর করা হোক, কিন্তু ক্লাবের প্রশাসনিক কর্মীরা সবাই অফিস শেষ করে চলে গিয়েছিলেন। তাই কাগজপত্রে স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি সোমবারের আগে।
এর মধ্যেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজার অ্যালেক্স ফার্গুসন কিনকে ফোন করেন এবং ব্যক্তিগতভাবে দেখা করে বোঝান কম বেতন নিয়েও যেন তিনি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে যোগ দেন।
ব্ল্যাকবার্নের কাছে খবরটি ভালোভাবে নেয়া হয়নি। ডালগ্লিশ কিনকে বলেছিলেন,
‘কেউ এরকম কাণ্ড করে না কেনি ডালগ্লিশের সঙ্গে। তুমি এক ছোট্ট বজ্জাত, এর পরিণতি তোমাকে ভোগ করতে হবে।’
পরে কিন স্বীকার করেন, ওই ঘটনার পর অনেকদিন পর্যন্ত তিনি ভয়ে কাঁধের ওপর তাকিয়ে হাঁটতেন এবং প্রতিশ্রুতি ভাঙার জন্য খারাপও লাগত। তবে তাঁর কোনো অনুশোচনা ছিল না, কারণ তিনি ম্যানইউতে গিয়ে ক্লাব ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়ক হয়ে ওঠেন।
বছর কয়েক পর, টেলিভিশনে এক প্যানেল আলোচনায় কিনের পাশে বসে ডালগ্লিশ নিজেই স্বীকার করেছিলেন—কিন আসলে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন।
ইমানুয়েল পেতি
১৯৯৭ সালের গ্রীষ্মে ইমানুয়েল পেতি টটেনহ্যামের সঙ্গে সম্ভাব্য ট্রান্সফার নিয়ে আলোচনা করতে লন্ডনে উড়ে আসেন। তবে ফরাসি তারকা পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলেন না প্রস্তাবিত চুক্তি নিয়ে, তাই কিছুটা সময় চান ভেবে দেখার জন্য।
কিন্তু হোটেলে ফেরার বদলে, টটেনহ্যামের ট্যাক্সিভাড়ায় চড়ে পেতি সোজা চলে যান আর্সেন ওয়েঙ্গারের বাড়িতে—সাবেক মোনাকো বসের সঙ্গে হাইবারিতে পুনর্মিলনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে।
পরে পেতি বলেন,
‘আর্সেনাল আমাদের সবাইকে সেখানে নিয়ে যায়, কারণ তারা সবকিছু গোপন রাখতে চেয়েছিল। তাদের প্রস্তাব টটেনহ্যামের তুলনায় অনেক ভালো ছিল এবং আমি সত্যিই আবার আর্সেনের অধীনে খেলতে চাইছিলাম। তিনি আমাকে অন্যভাবে দেখেছিলেন, একজন মানুষ হিসেবে। আর (ভাইস-চেয়ারম্যান) ডেভিড ডেইনও খুব ভদ্র আচরণ করেছিলেন। আমি তাদের আগ্রহ অনুভব করছিলাম এবং যে প্রজেক্ট তারা সামনে রেখেছিল তা আমাকে উত্তেজিত করেছিল, বিশেষ করে যেসব খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছিলাম।’
‘তিন ঘণ্টা পর আমি বললাম, হ্যাঁ, আমি আপনাদের জন্য স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত।’ সিদ্ধান্তটি দারুণ প্রমাণিত হয়—কারণ প্রথম মৌসুমেই পেতি আর্সেনালকে ঘরোয়া ডাবল জেতাতে সাহায্য করেন।
রোনালদিনহো
২০০৩ সালের গ্রীষ্মে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড রোনালদিনহোকে দলে টানতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল। ‘সব সংখ্যাই মিলে গিয়েছিল’, বলেছিলেন ইউনাইটেডের সাবেক সিইও ডেভিড গিল।
রোনালদিনহো নিজেও ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে যেতে রাজি ছিলেন, পরে প্রকাশ করেন—চুক্তি সম্পন্ন হতে আর ৪৮ ঘণ্টাও বাকি ছিল না। এক ফোনকল বদলে দেয় সবকিছু—সান্দ্রো রোসেলের কাছ থেকে।
রোনালদিনহোর সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল সাবেক নাইকি নির্বাহী রোসেলের, যিনি তখনই হুয়ান লাপোর্তাকে বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে সাহায্য করেছিলেন। নির্বাচনী প্রচারণায় রোসেল-লাপোর্তা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তারা ম্যানইউ থেকে ডেভিড বেকহ্যামকে স্বাক্ষর করাবেন। কিন্তু বেকহ্যাম চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদে চলে গেলে, তারা দৃষ্টি ঘোরায় রোনালদিনহোর দিকে।
রোনালদিনহো ব্যাখ্যা করেছিলেন,
‘ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি কেবল কিছু খুঁটিনাটি বিষয় বাকি ছিল, তখনই রোসেল ফোন করে বললেন তারা নির্বাচন জিততে চলেছেন। আর রোসেল আমাকে অনেক আগেই জিজ্ঞেস করেছিলেন: আমি যদি বার্সার প্রেসিডেন্ট হই, তুমি আসবে তো? আমি হ্যাঁ বলেছিলাম।’
ফলাফল—রোনালদিনহো গেলেন কাম্প ন্যুয়ে। ঠিক যেমনটা গিল আশঙ্কা করেছিলেন, একবার বার্সেলোনা দৌড়ে ঢুকলে সব শেষ,
‘আমার মনে হয়েছিল যদি বার্সেলোনা না থাকত তবে আমরা তাকে পেয়ে যেতাম, কারণ প্রায় সব ডিলই হয়ে গিয়েছিল।’
আরও যোগ করেন,
‘ম্যানইউর সাফল্যের প্রতি সব সম্মান রেখেও বলছি, ওরা ছিল তার প্রথম পছন্দ। এটা আমাদের দোষ ছিল না। আসলেই বার্সেলোনা চলে এসেছিল। আমরা কাছাকাছি ছিলাম, কিন্তু সিগারটা পেলাম না।’
আরও পড়ুন
সিধুকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন ব্রিটজকে |
![]() |
জন ওবি মিকেল
জন ওবি মিকেল একবার বলেছিলেন লিন থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড হয়ে চেলসিতে তাঁর যাওয়া ‘সিনেমার মতো’—আর সেটা কোনো বাড়াবাড়ি নয়।
২০০৫ সালের ২৯ এপ্রিল ইউনাইটেড ঘোষণা করে তারা লিন থেকে মিকেলকে ৪ মিলিয়ন পাউন্ডে কিনে নিয়েছে এবং পরের বছরের জানুয়ারিতে তিনি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আসবেন। পরে চেলসি অভিযোগ তোলে, তারা আগেই মিকেল ও তাঁর প্রতিনিধিদের সঙ্গে চুক্তি করেছিল, এমনকি লিনে যোগ দেওয়াটাও চেলসির পরিকল্পনার অংশ ছিল ভবিষ্যতে তাঁকে দলে ভেড়ানোর জন্য।
শুরু হয় পাল্টাপাল্টি দাবি-দাওয়া। এক পর্যায়ে মিকেল আসলেই গায়েব হয়ে যান—গুজব ছড়ায় চেলসি তাঁকে অপহরণ করেছে। পরে তিনি ব্যাখ্যা দেন,
‘আমি কেবল জনসমক্ষে আসিনি, যাতে কেউ আমার অবস্থান জানতে না পারে। কিন্তু নরওয়েতে পাবলিক ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল—যদি কেউ আমাকে দেখে, পুলিশকে খবর দিতে হবে। তাই আমাদের লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল। অবশ্যই, ইউনাইটেড আমাকে খুঁজছিল, লিন-ও তাই। সময়টা ছিল সত্যিই কঠিন।’
শেষ পর্যন্ত তিন ক্লাব একসঙ্গে বসে সমাধান করে। চেলসি ১৬ মিলিয়ন পাউন্ড দেয়, যার ১২ মিলিয়ন যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হাতে।
রবিনহো
ম্যানচেস্টার সিটির আবুধাবি-ভিত্তিক মালিকরা ২০০৮ সালে বাজারে একটি বড়সড় সাইনিং করতে চেয়েছিলেন, আর রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তারকা রবিনহো তাতে দারুণ ফিট ছিলেন। বার্নাব্যুয়ে উপেক্ষিত রবিনহো জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি প্রিমিয়ার লিগে যেতে চান, আর সাবেক ব্রাজিল কোচ লুইজ ফেলিপে স্কোলারির সঙ্গে চেলসিতে কাজ করার ব্যাপারেও ছিলেন উচ্ছ্বসিত।
কিন্তু দীর্ঘ আলোচনার পরও, রবিনহো চেলসির হয়ে নয়, বরং ৩২.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে শেষ দিনে সিটিতে স্বাক্ষর করেন। নাটকীয় এই পরিবর্তনে নিজেও হতবাক হয়ে প্রথম সাক্ষাৎকারেই ভুল করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন ‘চেলসিতে যোগ দেওয়ায়।’
উইলিয়ান
এখানে একসঙ্গে দুই হাইজ্যাক! ২০১৩ সালের গ্রীষ্মে লিভারপুলই উইলিয়ানকে স্বাক্ষর করানোর দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল। কিন্তু হঠাৎ মনে হলো টটেনহ্যাম যেন দৌড়টা জিতে যাচ্ছে। শেষ মুহূর্তে চেলসি ঝাঁপিয়ে পড়ে। মালিক রোমান আব্রামোভিচ সরাসরি আনঝি মাখাচকালার মালিক সুলেইমান কেরিমভকে ফোন করে ৩২ মিলিয়ন পাউন্ডে ডিল পাকিয়ে ফেলেন, যখন উইলিয়ান স্পার্সের মেডিকেলের জন্য লন্ডনে ছিলেন।
‘এই হলো মেডিকেল কনট্রাক্টের আগে করার ঝুঁকি’, মন্তব্য করেছিলেন হাসিখুশি হোসে মরিনহো। ‘সবচেয়ে ভালো হলো গোপনে মেডিক্যাল করা।’
স্পার্স চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল লেভি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন। দাবি উঠেছিল চেলসি নাকি শুধু প্রতিশোধ নিতে উইলিয়ানকে কাড়ল। তবে ব্লুজরা সেটা অস্বীকার করে বলেছিল, তারা বহুদিন ধরেই ব্রাজিলিয়ানকে ট্র্যাক করছিল।
দানি আলভেস
২০১৭ সালের গ্রীষ্মে ম্যানচেস্টার সিটি এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিল দানি আলভেসকে পাবে, সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল।
আলভেস বার্সেলোনায় গার্দিওলার সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের সপ্তাহান্তেই হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদলে গোপনে পিএসজিতে স্বাক্ষর করেন, তখনও সিটি কর্মকর্তারা তাঁর আগমনের অপেক্ষায়! সিটি ক্ষুব্ধ হয়। জুভেন্টাসও ক্ষুব্ধ হয়, কারণ আলভেস বলেছিল সে গার্দিওলার সঙ্গে আবার কাজ করতে চায়। আলভেসের দাবি ছিল, এটি ছিল পারিবারিক সিদ্ধান্ত।
জর্জিনিও
ক্লাবটি ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। সিটি খেলোয়াড় আর নাপোলির সঙ্গে সব কিছু মিটিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নাপোলি প্রেসিডেন্ট ডি লরেন্টিস কথার খেলাপ করে, জর্জিনিওকে মাউরিজিও সারির সঙ্গে চেলসিতে পাঠান।
ডি লরেন্টিস দাবি করেছিলেন জর্জিনিও নাকি লন্ডনেই থাকতে চেয়েছিল। তবে খেলোয়াড়ের এজেন্ট সরাসরি বলেন, ‘এটা ছিল নাপোলির সিদ্ধান্ত।’
আলেক্সিস সানচেজ
২০১৭ সালের গ্রীষ্মে আলেক্সিস সানচেজ প্রায় ম্যানচেস্টার সিটিতে স্বাক্ষর করেই ফেলেছিলেন। জানুয়ারিতে যখন আর্সেনাল তাঁকে বিক্রি করতে রাজি হয়, তখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ঢুকে পড়ে এবং তাঁকে প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকভোগী বানানোর প্রস্তাব দেয়।
সানচেজ পরে বলেন, টাকা নয়, বরং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঐতিহাসিক ৭ নম্বর জার্সিই তাঁকে প্রলুব্ধ করেছিল,
‘আমি ভাবলাম, একজন চিলিয়ান খেলোয়াড় ইউনাইটেডে খেলছে, এর আগে যা হয়নি। আর সেই সাত নাম্বার, যেটা একদিন ক্যান্টোনা, বেকহ্যাম, রোনালদো পরেছিল—এটা ছিল স্বপ্ন।’
বাস্তবতা ছিল দুঃস্বপ্ন। তিন মৌসুমে তিনি মাত্র ৩ গোল করেছিলেন লিগে, আর ২০১৯ সালে ইন্টার মিলানে যোগ দেন।
এবারেচি এজে
চলতি মৌসুমে এবেরেচি এজের ট্রান্সফার কাহিনি যেন একেবারে সিনেমার মতো। টটেনহ্যাম ভেবেছিল ক্রিস্টাল প্যালেস থেকে এজেকে দলে টানা তাদের জন্য কেবল সময়ের ব্যাপার। তারা প্যালেসের সঙ্গে ট্রান্সফার ফি চূড়ান্ত করে ফেলেছিল, খেলোয়াড়ের সঙ্গেও ব্যক্তিগত শর্তাবলি মিটে গিয়েছিল। চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল লেভিও নিশ্চিত ছিলেন , এজেকে স্পার্সের জার্সিতেই দেখা যাবে।
গল্পটা অন্যদিকে মোড় নেয়। কাই হাভার্টজের হাঁটুর চোটের খবর বের হতেই আর্সেনাল হঠাৎ করে এজেকে দলে ভেড়ানোর উদ্যোগ নেয়। ছোটবেলা থেকেই আর্সেনালের সমর্থক এজে, প্রিয় ক্লাবের ডাক পেয়ে আর পেছনে তাকাননি।
ফলে সব দিক দিয়েই এগিয়ে থেকেও টটেনহ্যাম শেষ মুহূর্তে এজেকে হারায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের কাছে। আর এভাবেই উত্তর লন্ডনে জন্ম নেয় নতুন এক ট্রান্সফার নাটক, যা টটেনহ্যামের জন্য বিব্রতকর হলেও আর্সেনাল সমর্থকদের জন্য ছিল উচ্ছ্বাসে ভরপুর। এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারকে পেতে ৬৭.৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করতে হয়েছে আর্সেনালকে।
সাবিনা খাতুন, মারিয়া মান্দা ও ঋতুপর্ণা চাকমাদের পথ অনুসরণ করে এবার ভুটান নারী লিগে খেলতে গেলেন আরও এক বাংলাদেশী ফুটবলার। আজ সকালে ভুটানের উদ্দেশে ফ্লাইট ধরেছেন শিউলি আজিম। দেশটির নারী লিগের ক্লাব পারো এফসির জার্সিতে খেলবেন জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডার।
এবারই প্রথম বিদেশি লিগে খেলতে গেলেন শিউলি। যাওয়ার আগে বৃহস্পতিবার রাতে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে টি-স্পোর্টসকে বলেন, 'ভালো লাগছে পারো এফসির হয়ে খেলব। ম্যাচ খেলতে পারলে ভালো লাগবে এবং টিমকে সাহায্য করার চেষ্টা থাকবে।' আজ দেশ ছাড়ার আগে নিজের ফেসবুক পেজে লেখেন, 'সবার আশির্বাদ প্রত্যাশী।'
শিউলিকে নিয়ে ভুটানের ক্লাবে যোগ দেওয়া বাংলাদেশের নারী ফুটবলারের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ জন। আরেক ডিফেন্ডার নিলুফা ইয়াসমিন নীলার যাওয়ার কথা রয়েছে আগামী সপ্তাহে। পরীক্ষার কারণে আপাতত যেতে পারছেন না বলেই জানান তিনি।
পারো এফসির হয়ে আগেই খেলতে যান সাবিনা, ঋতুপর্ণা, মনিকা চাকমা ও মাতসুশিমা সুমাইয়া।
এরপর একে একে ভুটান লিগে নাম লেখান— মারিয়া মান্দা, সানজিদা খাতুন, মাসুরা পারভীন, রুপনা চাকমা ও শামসুন্নাহার সিনিয়র।
সানজিদা, মারিয়া ও শামসুন্নাহার সিনিয়র খেলছেন থিম্পু সিটির হয়ে এবং মাসুরা, রুপনা ও কৃষ্ণা খেলছেন ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের হয়ে
পরে আরও যোগ দেন— তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র ও শাহেদা আক্তার রিপা। এই তিন জন ভুটান লিগের দল রয়্যাল থিম্পু কলেজ এফসির হয়ে খেলছেন।
গরল সপ্তাহে তাদের সঙ্গে যোগ দেন জাতীয় দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার, শাহেদা আক্তার রিপা ও মিডফিল্ডার স্বপ্না। এই তিন জনের ক্লাব রয়েল থিম্পু কলেজ। তবে ক্লাবটির সাথে আফঈদা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন কেবল এএফসি নারী চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচ খেলার জন্য।
১ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে