নিউইয়র্কে গত মঙ্গলবার কনমেবল সভাপতি আলেহান্দ্রো দোমিনগুয়েজ এবং দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল ফেডারেশনের তিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। বৈঠকের মূল বিষয় ছিল ২০৩০ বিশ্বকাপকে ৬৪ দলে সম্প্রসারণের প্রস্তাব।
আগামী বছরের মাঝামাঝিতে শুরু হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। ২৩তম আসরে অংশ নেবে ৪৮ দল। ২২তম আসরে খেলেছিল ৩২ দল। একলাফে বাড়ানো হয় ১৬ দল। সেখান থেকে সংখ্যাটা আরও বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন
জানা গেল কবে কখন মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো |
![]() |
বৈঠক শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডমিঙ্গুয়েজ লিখেছেন,
‘আমরা বিশ্বাস করি ২০৩০ বিশ্বকাপ হবে ঐতিহাসিক! ধন্যবাদ ইনফান্তিনো, আমাদের স্বপ্নের এই যাত্রায় একাত্ম হওয়ার জন্য। ফুটবল যখন সবার সঙ্গে ভাগাভাগি হয়, তখন উদযাপন সত্যিকার অর্থেই বৈশ্বিক হয়ে ওঠে।’
৬৪ দলের টুর্নামেন্ট হলে কনমেবলের ১০ সদস্য দেশই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্বকাপে জায়গা পেতে পারে। এখন পর্যন্ত একমাত্র ভেনেজুয়েলা ছাড়া সব দেশ অন্তত একবার বিশ্বকাপে খেলেছে। আর্জেন্টাইন ফেডারেশনের সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া লিখেছেন,
‘ফিফা সম্মেলনে অংশ নেওয়া আমার জন্য সম্মানের। আমরা এই বৈঠক চেয়েছিলাম, যাতে আমাদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে পারে। আমরা এক পরিবার।’
আরও পড়ুন
‘বয়স কম থাকায় ব্যালন ডি’অর জেতা হয়নি ইয়ামালের’ |
![]() |
দোমিনগুয়েজের মতে,
‘এটি শতবর্ষী আসর। একে সাধারণ বিশ্বকাপ হিসেবে দেখা যাবে না। আমাদের স্বপ্ন- গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতে আয়োজন করা।’
৬৪ দলের টুর্নামেন্ট হলে মোট ম্যাচ সংখ্যা হবে ১২৮- যা বর্তমান ৬৪ ম্যাচের দ্বিগুণ।
No posts available.
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজি কাছে ২-১ গোলে হেরেছে বার্সেলোনা। গত বছরের এপ্রিলে প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালেও কাতালানদের মাটিতে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল ফরাসি জায়ান্টরা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বার্সার মাঠে বেশ সফল পিএসজি; টানা তিন ম্যাচে জয়ের ধারা অব্যহত রেখেছে তারা।
ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক অকপটে স্বীকার করেন, তার দল এখনও পিএসজির মানে পৌঁছায়নি, ‘এটা বলার কোনো মানে হয় না যে আমরা একই মানের দল। কিন্তু দলের ওপর বিশ্বাস রাখি। আজ দিনটা আমাদের ছিল না, তবে আমরা আগের সেই মানে পৌঁছানোর জন্য কাজ করছি। আজ হেরেছি, কিন্তু এখান থেকে ফিরে আসতে চাই।’
এই ম্যাচে বার্সেলোনা খেলেছে গাভি, রাফিনহা, হুয়ান গার্সিয়া ও ফারমিন লোপেসকে ছাড়া। অপরদিকে, পিএসজির একাদশেও ছিলেন না উসমান দেম্বেলে, দোয়ে, কাভারাৎত্সখেলিয়া ও মার্কিনিওসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়েরা।
আরও পড়ুন
ভারতের কাছে ক্ষমা চাইনি, চাইবও না: নাকভি |
![]() |
তবু ম্যাচে পিএসজির আধিপত্য ছিল স্পষ্ট, স্বীকার করেছেন ফ্লিক, ‘পিএসজির যে মানের খেলা দেখেছি, শতভাগ নিশ্চিত আমরা এটাও পারি। কিন্তু এর জন্য দরকার ৯০ মিনিটের নিবেদন। সবাইকে রক্ষণ, আক্রমণ, পজিশনে থাকা, বলের নিয়ন্ত্রণ সবকিছুর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হয়।’
খেলার দ্বিতীয়ার্ধ থেকে বার্সেলোনার পারফরম্যান্সে ধীরগতি ও দুর্বলতা ছিলো স্পষ্ট। শারীরিক ক্লান্তিও এতে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন ফ্লিক, ‘অনেক ম্যাচ ছিল গত কয়েক সপ্তাহে, যা আমাদের ক্লান্ত করেছে। দ্বিতীয়ার্ধে দেখা গেছে কিছু খেলোয়াড় ক্লান্ত। পেদ্রি, মার্কাস রাশফোর্ডকে আমরা সাবধানে ব্যবহার করেছি। ডি ইয়াং নিজের সবটুকু দিয়েছে।’
যদিও ম্যাচের শুরু থেকে প্রতিপক্ষের উপর আধিপত্য বিস্তার করেই খেলে বার্সেলোনা। কিন্তু ভালো শুরু করেও শেষ পর্যন্ত সেটা ধরে রাখতে না পারাকে বড় দুর্বলতা মনে করেন বার্সেলোনা কোচ, ‘আমরা শুরুটা ভালো করেছিলাম, কিন্তু ৩০-৩৫ মিনিটের পর পিএসজি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়।’ সেটি বজায় রেখে ফলও তুলে নেয় দলটি।
৯০ মিনিটে রামোসের গোলে জয় নিশ্চিত করে পিএসজি। শেষ মুহূর্তে এমন গোল খাওয়াকে হতাশাজনক মনে করেন ফ্লিক, ‘১-১ অবস্থায় আমাদের আরও সংগঠিত হয়ে খেলতে হতো। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে এমন গোল খাওয়া হতাশাজনক। আমাদের আরও স্মার্ট ও কৌশলী হতে হবে।’ রোববার লা লিগায় সেভিয়ার মাঠে খেলবে বার্সেলোনা।
ম্যানচেস্টার সিটির শেষ মুহূর্তে গোল খাওয়া নিয়ে চিন্তিত কি না? বিবিসি স্পোর্টসের প্রশ্নের উত্তরে গত শুক্রবারও পেপ গার্দিওলার উত্তর ছিল এমন- ‘আমার অনেক কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে, কিন্তু তার মধ্যে এটা নেই।’ মোনাকোর মাঠে ২-২ গোলে হতাশাজনক ড্রয়ের পর একই প্রশ্ন করা হলে এবার হয়ত উত্তরটা অন্যরকম দিতেন স্প্যানিশ এই কোচ।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে দুবার এগিয়ে গিয়েও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি। শেষ মুহূর্তে ইংলিশ ডিফেন্ডার এরিক ডাইয়ারের ঠান্ডা মাথায় নেওয়া পেনাল্টিতে সমতায় ফেরে মোনাকো।
আর্লিং হালান্ড জ্বলে উঠলেন আরও একবার, করলেন জোড়া গোল। কিন্তু ম্যাচ শেষে দলের পারফরম্যান্সে ভীষণ হতাশ তিনি। টিএনটি স্পোর্টকে বলেছেন- ‘জিততে পারিনি, অবশ্যই খুশি নই। দ্বিতীয়ার্ধে অপ্রয়োজনীয় কিছু করেছি। আমাদের খেলা যথেষ্ট ভালো ছিল না। আমরা জেতার যোগ্য ছিলাম না। আমাদের আরও এনার্জি দরকার। যেমনটা প্রথমার্ধে আমরা তাদের (মোনাকো) চাপে রেখেছিলাম, সেটাই ধরে রাখা উচিত ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তারা খেলা নিয়ন্ত্রণে নেয়। আমাদের খেলা ভালো হয়নি।’
ম্যাচ ড্র করে হালান্ড মনে করিয়ে দিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের কঠিন বাস্তবতাও, ‘এখানে প্রতিটি ম্যাচ কঠিন। গত মৌসুমে আমরা বাদ পড়েছিলাম। খুব বেশি দল নেই যারা টানা প্রথম দুই ম্যাচ জিততে পেরেছে।’
সিটির উদ্বেগ বাড়ছেই
চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা দ্বিতীয় জয়ের পথেই ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এলোমেলো হয়ে যায় সব; পেনাল্টি হজমে ম্যাচ ড্র করে ইতিহাদের ক্লাবটি। গার্দিওলার দল শেষ ৬ ম্যাচে অপরাজিত থাকলেও, স্পষ্ট হয়ে উঠছে তাদের শেষ সময়ে গোল হজম করার বিষয়টি।
এ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৮ গোল হজম করেছে ম্যানসিটি। যার অর্ধেকই হয়েছে প্রতিটি অর্ধের একেবারে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে। গত ২৩ আগস্ট টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হারা ম্যাচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে গোল হজম করে ম্যানসিটি।
৩১ আগস্ট ব্রাইটনের কাছে ২-১ ব্যবধানে হারে গার্দিওলার দল। ম্যাচটি মনে হচ্ছিল ড্র করেই মাঠ ছাড়বে, কিন্তু নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট আগে গোল হজম করে হার মানে ইতিহাদের ক্লাবটি।
২১ সেপ্টেম্বর আর্সেনালের মাঠ এমিরেটস থেকে জয় নিয়েই ফিরতে পারত ম্যানসিটি। কিন্তু এগিয়ে থেকেও ৯৩ মিনিটে গোল হজম করে ১-১ গোলে ড্র করে ম্যাচ। আর সর্বশেষ উদাহরণ তো গত রাতের; মোনাকোর মাঠে শেষ মুহূর্তের গোল হজমে ২-২ গোলের ড্র সঙ্গী।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে এ মৌসুমে মোট তিন পয়েন্ট হারিয়েছে ম্যানসিটি। তা না হলে টেবিলের দুইয়ে থাকা আর্সেনালের সমান পয়েন্টে থাকতে পারত। আর চ্যাম্পিয়নস লিগে মূল্যবান দুই পয়েন্ট হারিয়েছে। সেটি না হলে তালিকার শীর্ষে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের সমান পয়েন্ট থাকত আকাশি-নীলদের।
এছাড়া ইউরোপের মঞ্চে অ্যাওয়ে ম্যাচে হারের রেকর্ডও সামনে আসছে নতুন করে। প্রতিযোগিতায় টানা পাঁচটি অ্যাওয়ে ম্যাচে জিততে ব্যর্থ ম্যানসিটি। তারপরও দলটির সমর্থকেরা কিছুটা আশ্বস্ত হতে পারেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক মিডফিল্ডার নিকি বাটের কথায়, ‘এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সবাই চায় জিততে চায়, তবে প্রতি বছর একইভাবে তা সম্ভব নয়। ম্যানসিটি টানা অনেক বছর ধরে দারুণ করেছে। তাদের এমন খেলোয়াড় আছে যারা ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে এবং বড় প্রতিযোগিতা জেতাতে পারে।’
রক্ষণে বোকামি
ম্যাচের সময় প্রায় শেষ হয়েই আসছিল। ফ্রি-কিক থেকে আসা বলে এরিক ডাইয়ার হেড করতে একটু নিচু হন, কিন্তু সিটির বদলি খেলোয়াড় নিকো গনসালেজের লাথি বলের বদলে লাগে ডাইয়ারের মাথায়।
গার্দিওলা অবশ্য বলেছেন সেটি পেনাল্টি হওয়ার মতো ফাউল ছিল না, ‘গনসালেজ আগে বল স্পর্শ করেছিলেন এবং তার ফাউল করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।’ অন্যদিকে হালান্ড বলেন, ‘আমি ঘটনাটা দেখিনি। তবে যদি কেউ কারও মুখে লাথি মারে, তাহলে হয়ত সেটা পেনাল্টিই।’
নিকি বাটের বিশ্লেষণ- ‘এটা ডিফেন্ডারদের অলসতা। এত বড় ম্যাচে শেষ মুহূর্তে বক্সে এভাবে বোকামি করা উচিত হয়নি। এটা স্পষ্ট পেনাল্টি। স্ক্রিনে এক সেকেন্ড দেখলেই বোঝা যায়, ইউরোপিয়ান ফুটবলে এটা পেনাল্টি।’
এ মাসের ১০ ও ১৪ তারিখ দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। হেড কোচ কার্লো আনচেলত্তি বুধবার ২৬ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেন। দলে ফিরছেন রেয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার ভিনিসিউস জুনিয়র। তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার জুনিয়র এবারও নেই দলে। উরুর চোটের কারণে তাকে রাখা হয়নি।
সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচে খেলতে পারেননি ভিনিসিউস। এবার তিনি ফিরলেও চোটের কারণে অনুপস্থিত বার্সেলোনার রাফিনিয়া, পিএসজির মারকুইনহোস ও লিভারপুলের গোলরক্ষক আলিসন বেকার। লিভারপুলের জার্সিতে সর্বশেষ দুটি ম্যাচে ছিলেন না বেকার। তার অনুপুস্থিতিতে দলও হেরেছে।
গত মে মাসে ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব নেন রেয়াল মাদ্রিদের সাবেক কোচ আনচেলত্তি। তার কোচিংয়ে প্রথম ম্যাচে একুয়েডরের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে দল। পরের দুটি ম্যাচে জয় পায় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। তবে সর্বশেষ ম্যাচে গত মাসে বলিভিয়ার মাঠে হেরে বসে সেলেসাওরা।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান ম্যাচের জন্য ব্রাজিলের দল:
গোলরক্ষক: এডেরসন, বেন্তো, হুগো সুজা।
ডিফেন্ডার: কার্লোস অগুস্তো, এদার মিলিতাও, কাইও হেনরিক, ভান্দেরসন, ডগলাস সান্তোস, ফাব্রিসিও ব্রুনো, গ্যাব্রিয়েল মাগালহায়েস, বেরালদো, ওয়েসলি।
মিডফিল্ডার: আন্দ্রে, ব্রুনো গুইমারেস, জোয়েলিন্তন, কাসেমিরো, জোয়াও গোমেস, লুকাস পাকেতা।
ফরোয়ার্ড: এস্তেভাও, গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি, ইগর জেসুস, লুইজ হেনরিক, মাতেউস কুনহা, রিচার্লিসন, রদ্রিগো ও ভিনিসিউস জুনিয়র।
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের টানা জয়ের ধারা বজায় রাখতে পারল না ম্যানচেস্টার সিটি। মোনাকোর মাঠে হতাশাজনক ড্র করল পেপ গার্দিওলার দল। তবে অলিম্পিয়াকোস ভয় উতরে জয় তুলে নিয়েছে আর্সেনাল। ইউরোপা লিগে এর আগে ২০২১ সালে গ্রিসের ক্লাবটির কাছে এই এমিরেটসেই হেরেছিল গানাররা। ইউরোপের মঞ্চে তাছাড়াও একাধিকবার আর্সেনালকে হারানোর রেকর্ড ছিল অলিম্পিয়াকোসের।
বুধবার আর্সেনালের জয়ের রাতে হোঁচট খেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ফরাসি ক্লাব মোনাকোর মাঠ স্টেড লুইসে ২-২ গোলে ড্র করে চ্যাম্পিয়নস লিগের ২০২২-২৩ মৌসুমের শিরোপাধারীরা। প্রথমার্ধেই দুই গোল করেন আর্লিং হালান্ড; মাঝে দুর্দান্ত শটে গোল পান মোনাকোর জর্ডান টেজে। শেষ মুহূর্তে এরিক ডাইয়ারের পেনাল্টি গোলে ম্যাচ বাঁচিয়ে নেয় মোনাকো।
খেলা শুরুর ১৫তম মিনিটেই এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। মোনাকোর গোলকিপার ফিলিপ কোহনের মাথার ওপর দিয়ে চমৎকার এক টোকায় জালে বল তুলে দেন হালান্ড। ক্ষাণিক পরেই সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা- টেজের জোরালো শট সিটির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমাকে অবাক করে জালে জড়ায় বল।
প্রথমার্ধেই একের পর এক সুযোগ পায় সিটি। ফিল ফোডেনের শট বারঘেঁষে ফিরে আসে, আবার ডাচ মিডফিল্ডার তিজানি রেইন্ডার্সের প্রচেষ্টা রুখে দেন মোনাকো কিপার কোহন। শেষ পর্যন্ত ৪৪ মিনিটে নিকো ও’রিলির ক্রসে হেডে নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলকে আবার এগিয়ে দেন হালান্ড। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় অতিথিরা।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই দারুণ আক্রমণাত্মক শুরু করে। তবে দুই দলের মেইন স্ট্রাইকার ফোলারিন বালোগুন আর হালান্ড গোলমুখে সুযোগ নষ্ট করেন। ফোডেনের শট ব্লক করেন ডাইয়ার। ৬৭ মিনিটে রেইন্ডার্সের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন মোনাকো ডিফেন্ডার মোহাম্মদ সালিসু। ৭৩ মিনিটে রেইন্ডার্স আবারও বিপজ্জনক হয়ে ওঠেন, তবে তার বাঁ-পায়ের শট বার কাঁপিয়ে ফিরে আসে।
ঠিক যখন ধারনা করা হচ্ছিল ম্যানচেস্টার সিটি জয় নিয়েই ফিরছে, তখনই ৯০ মিনিটে মোনাকো পায় পেনাল্টি। নিকো গনসালেজের ফাউলের পর সফল স্পট-কিক নেন ডাইয়ার। অতিথি গোলকিপার দোন্নারুমাকে ভুল দিকের ইশারায় দলকে সমতায় ফেরান।
আর্সেনালের দারুণ জয়
বুধবার রাতে অপর ম্যাচে গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। প্রথমার্ধে গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ম্যাচের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বুকায়ো সাকা।
এই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে আর্সেনাল। আগের ম্যাচে তারা হারিয়েছিল স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাওকে। দুটি করে জয় পাওয়া দলগুলোর মধ্যে তাদের চেয়ে পেছনে আছে কেবল কারাবাখ। দুই খেলায় এক পয়েন্ট পেয়ে ২৯-তম অবস্থানে অলিম্পিয়াকোস। আর মোনাকার কাছে পয়েন্ট খুইয়ে এই তালিকার আটে নেমে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি; তাদের পয়েন্ট ৪।
চ্যাম্পিয়নস লিগে বুধবার রাতে হওয়া অন্য সেঁ–জিলোয়াসকে ০-৪ গোলে হারিয়েছে আরেক ইংলিশ ক্লাব নিউক্যাসল। কারাবাগের বিপিক্ষে ২-০ ব্যবধানে হেরেছে এফসি কোপেনহেগেন। নিজেদের ঘরের মাঠে পিএসভি আেইন্দহোভেনের সঙ্গে ১-১ গোলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে জার্মান জায়ান্ট লেভারকুসেন। আরেক জার্মান জায়ান্ট বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ৪-১ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে। পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিং লিসবনকে ঘরের মাঠে ২-১ ব্যবধানে হারায় নাপোলি। তবে সেরি’আর আরেক জায়ান্ট জুভেন্টাস ২-২ ব্যবধানে আটকে গেছে স্প্যানিশ ক্লাব ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে।
শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছিল বার্সেলোনা। তাতে গোলও মেলে দ্রুতই। তবে পিএসজি (প্যারিস সেন্ট জার্মেই) সেই আঘাত সামলে নেয়। শেষ দিকে কিছু সুযোগ হাতছাড়া করলেও বদলি খেলোয়াড় গনসালো রামোসের শেষ মুহূর্তের গোলে জয় নিয়ে ফিরল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে বার্সেলোনার বিপক্ষে মাঠে নামে পিএসজি। এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিস স্টেডিয়ামে বার্সেলোনাকে ১-২ ব্যবধানে হারিয়েছে ফরাসি জায়ান্টরা। স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ফেরান তোরেসে গোলে লিড নেওয়ার পর পিএসজিকে সমতায় ফেরান সেনি মায়ুলু। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ব্যবধান গড়ে দেন রামোস।
গত বছরের এপ্রিলে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে এই বার্সেলোকেই তাদের মাটিতে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে এসেছিল পিএসজি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বার্সেলোনার মাঠে দারুণ সফল প্যারিসিয়ানরা। টানা তিনটি ম্যাচে বার্সার মাঠে জিতেছে তারা- বড় কোনো ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় প্রথম কোনো দল হিসেবে এই কীর্তি গড়ল।
পাশাপাশি, ইউরোপের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় পিএসজি জিতল টানা পাঁচ ম্যাচ। জয়ের ধারা শুরু হয়েছিল গত মৌসুমের ফাইনাল থেকে। আর বার্সেলোনা তাদের শেষ ১৩টি চ্যাম্পিয়নস লিগ হোম ম্যাচে মাত্র দুইবার হেরেছে, আর দু’বারই প্রতিপক্ষ ছিল পিএসজি।
প্রথম ম্যাচে আটালান্টাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর বার্সেলোনায় ফিরে এসেও জয় উদযাপন করলেন লুইস এনরিকে। ২ খেলায় শতভাগ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে পিএসজি। তিন পয়েন্ট পেয়ে ১৩-তে বার্সেলোনা। তাদের সমান ৩ পয়েন্ট মোট ১৩টি দলের। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ।
এদিন খেলার শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনা। ১৪ মিনিটে ফাঁকা জায়গায় থাক ফেরান তোরেসকে দারুণ পাস দেন লামিনে ইয়ামাল। তোরেস গোলকিপারকে কাটালেও গোললাইন থেকে তার শট ঠেকিয়ে দেন পিএসজির ইউক্রেনীয় ডিফেন্ডার ইলিয়া জাবারনি। এর মাত্র পাঁচ মিনিট পরেই গোল পায় বার্সেলোনা। মার্কাস র্যাশফোর্ডের নিচু ক্রস থেকে এক টাচে গোল করেন তোরেস।
৩০ মিনিটে পিএসজির হয়ে সমতায় ফেরানোর আগে হাকিমির ফ্রি-কিক ঠেকান ভয়েচেখ স্ট্যানসি। এরপর বাম দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে এসে বল বাড়ান মায়ুলুর কাছে। তিনি ঠান্ডা মাথায় গোলকিপারের উপর দিয়ে বল জালে পাঠান। ১-১ সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনা কিছুটা ধীর গতিতে শুরু করে। তবে ৬১ মিনিটের দিকে দানি ওলমোর শট গোললাইন থেকে ঠেকিয়ে দেন হাকিমি। শেষ সময়ে বদলি হিসেবে নেমে প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন লি কাং-ইন। কয়েকজনকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে শট নেন, তবে বল পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়। তবে শেষ মুহূর্তে পিএসজি পাল্টা আক্রমণে গোল তুলে নেয়। হাকিমির নিখুঁত ক্রস থেকে ফাঁকায় থাকা রামোস ৯০ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন।