১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:০৩ পিএম
প্রায় দুই বছর ধরে জাতীয় দলের বাইরে নেইমার জুনিয়র। ক্লাবের জার্সিতে দেখা গেলেও, ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে আর ব্রাজিলের হয়ে খেলতে নামা হয়নি তারকা ফুটবলারের। তবে তার ওপর ভরসা রাখছেন দেশটির কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদো নাজারিও।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার খুব কাছে চলে এসেছিলেন নেইমার। কিন্তু তার ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না দলের প্রধান কোচ কার্লো আনচেলত্তি। তাই ফেরার অপেক্ষা ফুরায়নি ৩৩ বছর বয়সী ফুটবলারের।
তবু সামনের বিশ্বকাপে নেইমারকে নিয়ে আশাবাদী দা ফেনোমেনন। ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারকা ফরোয়ার্ডের ব্যাপারে ইতিবাচক ভাবনার কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যাত্রায় বিমানে বিবস্ত্র ফুটবলাররা |
![]() |
“দলে এখন যেসব ফুটবলার আছে, তাদের নিয়ে ব্রাজিল যেকোনো কিছু অর্জন করতে পারে। বিশ্বকাপে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হতে পারে নেইমার। আমি বিশ্বাস করি, সে হবেই।”
“নেইমারের কাছ থেকে সবাই শতভাগ চায়। আনচেলত্তি এটি চায়। নেইমার নিজেও চায় এটি। তার মধ্যে আমি একটা দৃঢ় সংকল্প দেখতে পাই। সে বিশ্বকাপ খেলতে চায় ও ব্রাজিল দলকে সাহায্য করতে চায়।”
আরও পড়ুন
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বদলায়নি বাংলাদেশের অবস্থান |
![]() |
“সবাই চায় নেইমার পুরোপুরি ফিট থাকুক। এটা আনচেলত্তিও চান, আর নেইমারও চায়। আমি তার চোখে বিশ্বকাপে খেলার এবং দলকে সাহায্য করার প্রবল ইচ্ছা দেখেছি।”
সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ছেড়ে চলতি বছরের শুরুতে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে নাম লিখিয়েছেন নেইমার। তবে এই স্ট্রাইকারের বর্তমান ক্লাব ব্রাজিলিয়ান লিগে কঠিন সময় পার করছে। পয়েন্ট তালিকার ১৬ নম্বরে রয়েছে সান্তোস।
সাম্প্রতিক সময়ে সান্তোসের বাজে পারফরম্যান্সের জন্য সমর্থকরা নেইমারের সমালোচনায় মুখর। তবে রোনালদো মনে করেন, এই সমালোচনা অন্যায্য।
“আমি আশা করি নেইমার শতভাগ ফিট থাকবে। সে বড় ইনজুরি থেকে ফিরেছে। এটা খুব স্বাভাবিক যে এখনও পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পারেনি, খেলার ছন্দে আসেনি। তার সমালোচনাগুলো অতিরঞ্জিত। তবে নেইমার সম্পর্কে সবার প্রত্যাশা সবসময়ই অনেক বেশি। সেই কারণেই সমালোচনাও বেশি। তবে নেইমার জানে, বিশ্বকাপে শতভাগ ফিট থাকতে তাকে কী করতে হবে।”
No posts available.
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:৩৬ পিএম
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২:৩৬ পিএম
ক্যারিয়ারের শেষ অংশে এসে একের পর এক বাজে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে ব্র্রাজিল ও বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলার দানি আলভেসকে। ২০২৩ সালে ধর্ষণের অভিযোগে ১৪ মাস কারাভোগ করেন এই রাইট-ব্যাক।
এর মধ্যে মেক্সিকান লিগা এমএক্সের ক্লাব পুমাস ইউএনএএম তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে। হঠাৎ চুক্তি ভেঙে দেওয়ার জন্য পুমাস আলভেসের কাছ থেকে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি করে। প্রথমে ফিফার ট্রাইব্যুনাল আংশিকভাবে আলভেসের পক্ষে রায় দিয়েছিল। তবে এবার ক্রীড়া সালিশি আদালত (সিএএস) রায় দিয়েছে যে পুমাসকে ২২ লাখ মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হবে আলভেসকে।
২০২২ সালে মেক্সিকান ক্লাব পুমাসে নাম লিখান আলভেস। ক্লাবটির চুক্তি অনুযায়ী যথাযথ কারণ ছাড়া আলভেস যদি ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে, তবে খেলোয়াড়কে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আবার, যদি খেলোয়াড় এমন কিছু করেন যাতে ক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় (বড় কোনো অপরাধ বা কেলেঙ্কারি), তবে ক্লাব যথাযথ কারণ দেখিয়ে চুক্তি ভাঙতে পারবে। সেক্ষেত্রে উল্টো খেলোয়াড়কে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
অবশ্য আলভেসের আইনজীবীরা পুমাসের দাবি অস্বীকার করে। চুক্তি বাতিলের মতো বৈধ কোনো কারণ নেই, তাই আলভেসকে এত বড় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না বলে জানায় তারা।
২০২৪ সালের মে মাসে ফিফার ট্রাইব্যুনাল আলভেসকে ১ লাখ ৬০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায় দেয়। তবে সবশেষ ক্রীড়া সালিশি আদালত তাদের রায়ে আলভেসকে পুমাসের কাছে ২২ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে গ্রেফতার হওয়ার পর ১৪ মাস কারাভোগ করেন ৪২ বছর বয়সী আলভেস । অভিযোগ ছিল, তিনি বার্সেলোনার এক নাইটক্লাবের ওয়াশরুমে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন। যদি সাবেক বার্সা তারকা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আলভেসকে দোষী সাব্যস্ত করে চার বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে তিনি আপিল করেন এবং ২০২৫ সালের মার্চে স্পেনের আদালত রায়ে অভিযোগ খারিজ করে হলে মুক্তি পান আলভেস।
২০২২ বিশ্বকাপের আগে চোটে পড়া লো সেলসোর জায়গায় দলে জায়গা পেয়েছিলেন অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টার। পরে লিওনেল মেসির সঙ্গে মিলে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
জাতীয় দলে দীর্ঘ দিন সতীর্থ হিসেবে পাওয়া মেসিকেই সেরা মনে করেন লিভারপুল তারকা। সম্প্রতি টিএনটি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, বিশ্বকাপ জেতার আগেই মেসি প্রমাণ করেছেন তিনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর চেয়ে ভালো।
“আমি মনে করি, এই বিষয়ে কখনও কোনো বিতর্ক ছিলই না, এমনকি (মেসি) বিশ্বকাপ জেতার আগেও না। হয়তো আমি আর্জেন্টাইন বলে এমনটা বলছি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে অনেক শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমার কাছে মেসিই সেরা এবং ওর মতো আর কেউ আসবে না।”
আরও পড়ুন
ফুটবলকে বিদায় জানালেন বিশ্বকাপজয়ী জার্মান ডিফেন্ডার |
![]() |
মেসির সঙ্গে বিশ্বকাপ জেতার আনন্দময় মুহূর্তের কথাও মনে করেন ম্যাক-অ্যালিস্টার।
“মেসি আমার দেখা সেরা খেলোয়াড় এবং আমি নিশ্চিত এটি কখনও বদলাবে না। আমরা একসঙ্গে বিশ্বকাপ জিতেছি, এটা আমার জীবনের অন্যতম গর্বের মুহূর্ত। ও শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও একজন অসাধারণ মানুষ।”
বর্তমানে মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন মেসি। ফুটবল ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে থাকা এই মহাতারকা অবসরের পর কোচ হবেন না বলে মনে করেন ম্যাক অ্যালিস্টার।
“যতটুকু শুনেছি, সে নিজেই বলেছে তার কোচ হওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমি মনে করি না, সে অবসরের পর ফুটবলের সঙ্গে আর যুক্ত থাকবে।”
ম্যাক অ্যালিস্টার আর্জেন্টিনার হয়ে মোট ৩৯টি ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৪টি। ২০২৩ সালে তিনি লিভারপুলে যোগ দেন। রেড ডেভিলদের হয়ে ৭১ ম্যাচে ১০ গোল করেছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।
পেশাদার ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী ডিফেন্ডার জেরোমে বোয়াটেং। জার্মানির জার্সিতে তাকে সবশেষ দেখা গেছে ২০১৮ সালে। আর ক্লাব পর্যায়ে সবশেষ খেলেছেন অস্ট্রিয়ার দল এলএএসকে লিন্সে।
যদিও ক্লাবটির সঙ্গে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি ছিল; গত মাসে পারস্পরিক সমঝোতায় সেই অধ্যায় শেষ হয়। ঠিক এক মাস পর, ৩৭ বছর বয়সে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন এই সেন্টারব্যাক।
১৮ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারে ৭টি ক্লাবের জার্সিতে খেলেছেন বোয়াটেং। তবে তার নাম সবচেয়ে বেশি জড়িয়ে আছে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে।
আরও পড়ুন
চেলসির বিপক্ষে মুক্তির খোঁজে ইউনাইটেড |
![]() |
২০১১ সালে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে বাভারিয়ান শিবিরে যোগ দেন; এরপর আলিয়াঞ্জ এরেনায় কাটিয়ে দেন এক দশক। এই সময়ে বুন্দেসলিগার নয়টি শিরোপা, দুটি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, দুটি ক্লাব বিশ্বকাপসহ মোট ২২টি শিরোপা জেতেন বোয়াটেং।
জাতীয় দলের জার্সিতে বোয়াটেং খেলেছেন ৭৬ ম্যাচ। ২০১৪ সালে ব্রাজিলে হওয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় জার্মানি। ওই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়া ২০১০ বিশ্বকাপেও খেলেছেন বোয়েটেং।
বায়ার্ন মিউনিখ ছাড়ার পর ২০২১ সালে যোগ দেন ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক লিওঁতে। দুই মৌসুম পর পাড়ি জমান ইতালির সালেরনিতানায়। আর সবশেষ ছিলেন অস্ট্রিয়ান লিগের এলএএসকেতে।
বিদায়ের মুহূর্তে পাশে থাকায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান বোয়াটেং।
“দীর্ঘ সময় খেলেছি, বড় বড় ক্লাব ও দেশের হয়ে খেলেছি। পথে অনেক শিখেছি, জিতেছি, হেরেছি, অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়েছি। ফুটবল আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে।”
“কিন্তু এখন সামনে তাকানোর সময় এসেছে। যে দলগুলো, সমর্থকরা, মানুষজন আমাকে এগিয়ে নিয়েছে- সবাইকে ধন্যবাদ। আর সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ আমার পরিবার ও সন্তানদের প্রতি।”
চলতি বছরের জানুয়ারির কথা। ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা কিছুটা আক্ষেপ করেই বলেছিলেন, ‘ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় বরাবরই অসুবিধায় থাকে ইংলিশ ক্লাবগুলো।’ কারণ হিসেবে ব্যস্ত সূচিকেই দায়ী করেন স্প্যানিশ কোচ, ‘গুরুত্বপূর্ণ ধাপে ইউরোপিয়ান দলগুলির জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায় সূচি।’
গত রোববার রাতে লিগে ম্যানচেস্টার ডার্বি জেতার পর বৃহস্পতিবার রাতেই ম্যানসিটিকে মাঠে নামতে হয় চ্যাম্পিয়নস লিগের খেলায়। ইতিহাদে ১০ জনের নাপোলির বিপক্ষে ম্যাচটা ২-০ গোলে জেতে পেপ গার্দিওলার দল। বলাই যায় দারুণ একটা সপ্তাহ পার করছে সিটিজেনরা।
তবে আসল পরীক্ষা তো আগামীকাল রাতে। এমিরেটসে ম্যানসিটিকে আতিথেয়তা দেবে শিরোপা প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনাল। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় নিজেদের শেষ ম্যাচের পর এবং গানারদের মোকাবিলার আগে কার্যত ৬৬ ঘন্টা সময় পেয়েছে ম্যানসিটি।
টানা ম্যাচ এবং উত্তর লন্ডনে ভ্রমণের আগে গতকাল শুক্রবার মজার ছলেই সংবাদমাধ্যমকে গার্দিওলা বললেন, ‘আমরা পাহাড় হাইকিংয়ে যাচ্ছি। সত্যি বলতে এই দুই দিনে এটিই করতে যাচ্ছি।’
গার্দিওলা যোগ করেন, ‘আমি জানি না, শুক্রবার রিকভারি। দলে অনেক চোট আছে। যে কারণে বিশ্রাম এবং বিশ্রামই হতে পারে রোববার ম্যাচের আগে শক্তি পুনুরুদ্ধারের একমাত্র পথ।’
ব্যস্ত সূচীতে ইউরোপের প্রতিযোগিতায় কিছুটা অসুবিধায় থাকে ইংলিশ ক্লাব এমন প্রসঙ্গে অবশ্য যেতেই চাইলেন না গার্দিওলা। সাংবাদিকদের থামিয়ে বলেন, ‘সেদিক যাবেন না, এটার দরকার নেই।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শেষ হয়েছে চতুর্থ রাউন্ডের খেলা। দুটি করে জয় ও পরাজয়ে ৬ পয়েন্ট ম্যানচেস্টার সিটির। ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে দূরত্ব ৬ ধাপ। শতভাগ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল।
গত সপ্তাহে ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ভরাডুবি। দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর তুলোধুনো করা হলো ইউনাইটেড হেড কোচ রুবেন আমোরিমকে। ছন্দহারা ক্লাবটি তাঁর অধীনেও পথ খুঁজে পাচ্ছে না, সমালোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। জবাবে শুধু ঘুরে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন পর্তুগিজ কোচ।
ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ৩-০ গোলে হারের পর ইউনাইটেডের সহ-স্বত্বাধিকারী জিম র্যাটক্লিভের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে হয়েছে। তবে সেখানে আশ্বস্ত হয়েছেন চাকরিটা এখনই যাচ্ছে না। তাকে আরও কিছুটা সময় দিতে চায় ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাবটি।
এটাকে স্বস্তি ভেবে আপাতত সামনে তাকাতে চাইবেন আমোরিম। তাই-ই হয়তো চেয়েছেন। দলকে প্রস্তুত করছিলেন আরেকটি বড় ম্যাচের জন্য। নিজেদের মাঠে আজ চেলসির বিপক্ষে লড়বে রেড ডেভিলরা। তবে চেলসির বিপক্ষে সবশেষ দেখায়ও হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
আরও পড়ুন
ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ |
![]() |
চেলসির বিপক্ষে ১-০ গোলের সেই হারটা ছিল ২০২৪-২৫ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগে। নতুন মৌসুমের আমোরিমের দল সেসব মনে না রেখে মাঠে জিততেই নামবে। কিন্তু সময়টা যে একদমই ভালো যাচ্ছে না। লিগের চার খেলায় ২ পরাজয় ও একটি করে ড্র এবং হার। ৪ পয়েন্ট পেয়ে টেবিলের সেরা দশের মধ্যেও নেই ইউনাইটেড। টেবিলে ব্লুজদের সঙ্গে ব্যবধান ৯। চার ম্যাচ খেলে অপরাজিত চেলসি। দুটিতে জয়, বাকি দুই ম্যাচে ড্র।
তবে স্ট্যাম্পফোর্ড ব্রিজেও আছে অসস্তি। প্রিমিয়ার লিগের সবশেষ ম্যাচে চেলসি পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে ব্রেন্টফোর্ডের সঙ্গে। মৌসুম শুরুটা হয়েছিল ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে পয়েন্ট খুইয়ে। পরের দুই ম্যাচে তুলনামূলক কম শক্তির দলকে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট অর্জন করেছে উত্তর লন্ডনের ক্লাবটি।
চেলসির সামনে বড় পরীক্ষা ছিল গত বুধবার রাতে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায়। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম ম্যাচে যেখানে চেলসিকে আতিথেয়তা দেয় বায়ার্ন মিউনিখ। ঘরের মাঠে হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে ব্লুজদেরকে ৩-১ ব্যবধানে হারায় বাভারিয়ানরা।
বাংলাদেশ সময় আজ রাত সাড়ে ১০টায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে যখন চেলসি মাঠে নামবে সেটা তাদের জন্য কঠিন হবে। এই ম্যাচের আগে চেলসি কোচ এনজো মারেস্কা বলেছেন, ‘ম্যাচটি জেতার তারা সর্বোচ্চটা দেবে। যখন আপনি মাঠে সংগ্রাম করেন, তখন জেতার একটি প্রবল ইচ্ছা তৈরি হয়। খেলাটি চেলসির বিপক্ষে এবং ঘরের মাঠে তাদের দিক থেকে জেতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব রসদই রয়েছে।’
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ রুবেন আমোরিমের বাজে সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন এনজো মারেস্কা। ইউনাইটেড কোচকে নিয়ে আলাদা করে বলেন, ‘আমি কেবল তার (আমোরিম) প্রশংসা করতে পারি। কেননা স্পোর্টিং লিসবনে থাকাকালীন থেকে তার ম্যাচ দেখেছি, সে অসাধারণ একজন ম্যানেজার। খারাপ সময় আসতেই পারে, তবে কোনো সন্দেহ নেই তিনি একজন চমৎকার কোচ।’
আরও পড়ুন
ন্যু ক্যাম্পে হচ্ছে না বার্সেলোনা-পিএসজির ম্যাচ |
![]() |
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে চেলসির বিপক্ষে আমোরিমকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে অতীতের সুখস্মৃতি। প্রিমিয়ার লিগের ৩৩ খেলায় চেলসির বিপক্ষে কেবল ৬ ম্যাচেই হেরেছে ইউনাইটেড। তারপরও কিছুটা চাপ অনুভব করছেন আমোরিম, ‘এটি এমন একটি ক্লাব, যেখানে হয়তো বিশ্বের অন্য যে কোনো ক্লাবের চেয়ে বেশি চাপ থাকে।’
জেতার জন্য মরিয়া ইউনাইটেড। আমোরিম বললেন, ‘গত বছর খেলার ধরণ নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে আমাকে নিয়ে। এখন আমার মনে হচ্ছে আমরা বক্স পর্যন্ত ভালো খেলছি। কিন্তু আমাদের আরও নিখুঁত হতে হবে। হ্যাঁ গত বছরের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছি, তবে জিততেই হবে।‘