
চোট থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছেন। এরই মধ্যে মাঠে নেমেছেন আল হিলালের হয়েও। ফলে নেইমারকে এবার ব্রাজিলের হয়েও খেলার আশায় ছিলেন সবাই। তবে তাদের হতাশই হতে হচ্ছে। কারণ, দেশটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরারকে এই মাসের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের স্কোয়াডে রাখেননি কোচ দরিভাল জুনিয়র।
ভেনেজুয়েলা ও উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য শনিবার ঘোষিত এই দলে এটি ছাড়া উল্লেখযোগ্য খবর এন্দ্রিকের বাদ পড়া। রিয়াল মাদ্রিদের এই তরুণ ফরোয়ার্ডকে ফর্ম বিবেচনায় দলের বাইরে রাখার কথা জানিয়েছেন ব্রাজিল কোচ। দলে ফিরেছেন চোটের কারণে গত মাসের বাছাইয়ের ম্যাচ মিস করা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
৩২ বছর বয়সী নেইমার চোটের কারণে প্রায় এক বছর মাঠের বাইরে ঠ্যাকার পর গত ২১ অক্টোবর আল হিলালের হয়ে খেলেন তার প্রথম পেশাদার ম্যাচ। এর আগে সাবেক বার্সেলোনার ফরোয়ার্ডের শেষ ম্যাচটি ছিল ব্রাজিলের হয়ে। ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে গিয়ে বাঁ হাঁটুতে গুরুতর চোট পান তিনি। সেরে উঠতেই কেটে যায় বছর।
নেইমারকে এখন জাতীয় দলে ফিরতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত। সেই সময়ে ব্রাজিল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে।
নেইমারের এই দীর্ঘ অনুপস্থিতির সময়েই ব্রাজিলের জার্সিতে অভিষেক হয় এন্দ্রিকের। এই মৌসুমে ক্লাবের হয়ে কঠিন সময়ই যাচ্ছে ১৮ বছর বয়সী এই ফুটবলারের। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত খেলেছেন মাত্র ১০৭ মিনিট। রিয়ালের শেষ চারটি ম্যাচে মাঠেই নামা হয়নি তার। দরিভাল দল দিয়ে জানিয়েছেন, এই কারণেই এন্দ্রিককে দলে রাখেননি তিনি।
এন্দ্রিককে বাদ দিয়ে ব্রাজিল এবার ভরসা রাখছে ১৭ বছর বয়সী এস্তেভাও উইলিয়ানের ওপর। প্রতিভাবান এই ফরোয়ার্ড ব্রাজিলিয়ান শীর্ষ লিগে পালমেইরাসের হয়ে এই মৌসুমে ১১টি গোল করেছেন এবং এখন পর্যন্ত তিনি যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলস্কোরার।
দলে আছেন গত বুধবার ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলার সময় চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়া ফরোয়ার্ড সাভিনিয়ো।
লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে এখন চার নম্বর স্থানে আছে ব্রাজিল। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে এগিয়ে তিনে উরুগুয়ে। ২২ পয়েন্টে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। আর তিন পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে কলম্বিয়া।
No posts available.
২৭ অক্টোবর ২০২৫, ৫:৫৫ পিএম

সিরি’আ লিগে সর্বশেষ ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পেয়েছে নাপোলি। এ জয়ে ২০২৫-২৬ মৌসুমে শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। আসরে ৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট ইতালির এই জায়ান্টদের।
শনিবার ইন্টারের বিপক্ষে জয়ের দিনে চোটে পড়েন কেভিন ডি ব্রুইনে। ম্যাচ ঘড়ির ৩৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করার সময় উরুতে গুরুতর চোট পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয় তাঁকে।
জানা গেছে, দীর্ঘ সময়ের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে যাচ্ছেন ডি ব্রুইনে। ম্যাচ শেষে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্ক্যানের পর দেখা যায়, ডি ব্রুইনের উরুতে গুরুতর মাত্রার চিড় ধরা পড়েছে।
ডি ব্রুইনের ইনজুরি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি নাপোলি। তবে সাবেক ম্যানচেস্টার সিটি প্লেমেকারকে যে দীর্ঘ সময় বাইরে থাকতে হতে পারে, সে ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছে ক্লাবটি।
সিরি’আয় ৭ ম্যাচে ৪টি গোল করেছেন ডি ব্রুইনে। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই দারুণ সব সুযোগ তৈরি করে এবং মধ্যমাঠ নিয়ন্ত্রণে রেখে দলকে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে সাহায্য করেছেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার।

ম্যাচের আগের দিনই বাংলাদেশ পিটার বাটলার বলেছিলেন- ’তাঁদের বেঞ্চ দেখে মনে হলো এখানে আরেকটা দল বসে আছে। ওরা সম্ভবত পুরো ভিন্ন এক দল মাঠে নামাবে (আজ)।’ হলও তাই; ৭ পরিবর্তন নিয়ে আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামে থাইল্যান্ড। আর সেই দল নিয়ে লাল সবুজের মেয়েদের উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা। পাঁচ ডিফেন্ডার নিয়েও প্রতিপক্ষের সামনে দেয়াল তুলতে পারেনি পিটার বাটলারের দল।
সোমবার ব্যাংককের চালেম ফ্রা কিয়াত স্পোর্টস সেন্টারে বাংলাদেশকে ৫-১ ব্যবধানে হারিয়েছে থাইল্যান্ড। শুক্রবার প্রথম ম্যাচে হারের ব্যবধান ছিল ৩-০। এদিন থাইল্যান্ডের হয়ে জোড়া গোল করেছেন জিরাপোন মংকোলদি ও ম্যাডিসন ক্যাস্টিন। এক গোল আসে অধিনায়ক সাওয়ালাক পেঙ্গাম পা থেকে। বাংলাদেশের হয়ে ব্যবধান কমানো গোলটি করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।
এই ম্যাচে সবচেয়ে দৃষ্টিকটু লেগেছে বাংলাদেশর রক্ষণ। পাঁচজন রক্ষণে রেখেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার ছিলেন রক্ষণের নেতৃত্বে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কোহাতি কিসকু, শামসুন্নাহার সিনিয়র, নবিরন খাতুন ও শিউলি আজিম।
সর্বশেষ এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পর থেকেই কথা উঠে আফঈদার পারফরম্যান্স নিয়ে। ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-২০ সাফের পর অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইয়েও তাঁর থেকে আশানুরূপ পারফরম্যান্স দেখা মেলেনি। এদিনও সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন তিনিই।
গোলকিপার রুপনা চাকমা বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন। তা না হলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। একাধিক সেভ করেছেন এই ম্যাচে। লেফট উইং দিয়ে বেশ কিছু আক্রমণ শানান ঋতুপর্ণা চাকমা। তবে নিখুত ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল মেলেনি।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটের শুরুতেই গোলের সুযোগ মিস করে থাইল্যান্ড। কর্নারে কাছ থেকে আসা ক্রসে প্রথমে পা ছোয়াতে পারেননি সাওয়ালাক পেঙ্গাম। পরে গোলমুখের সামনে শট নিয়ে আকাশে উড়িয়ে মারেন থাই ফরোয়ার্ড ম্যাডিসন ক্যাস্টিন।
পঞ্চম মিনিটে দলকে বিপদে ফেলছিলেন আফঈদা। স্লো দুর্বল রানের সুযোগ নিয়ে পেছন থেকে টপকে বলে প্রায় টোকা দিচ্ছিলেন থাই অধিনায়ক। শেষ মুহূর্তে অনেকটা উপরে উঠে বিপদমুক্ত করেন গোলকিপার রুপনা।
১২ মিনিটে অধিনায়ক পেঙ্গামের গোলে এগিয়ে যায় থাইল্যান্ড। জিরাপোন মংকোলদি রক্ষণচেড়া পাস ধরে বেরিয়ে যান পেঙ্গাম; তাঁকে তাড়া করেও পাননি শামসুন্নাহার ও শিউলি। বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলকিপারকে পরাস্ত করে নিখুত শটে বাংলাদেশের জালে বল জড়ান পেঙ্গাম।
পিছিয়ে পড়ে পরপর তিনটি আক্রমণ করে বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে কার্যকরী ফিনিশিং দেখা যায়নি।
২৩ মিনিটে হাইলাইন ডিফেন্সে বাংলাদেশের পাতা অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে থাইল্যান্ডের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মংকোলদি। কাঞ্জনাপোর্ন সায়েনখুনের বাড়ানো লং পাসে আমলে নিতে সহজেই বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডার নবীরণ খাতুন ও আফঈদা খন্দকারকে পেছনে ফেরেন তিনি। তাঁকে ঠেকাতে এগিয়ে আসেন রুপনা চাকমা। মংকোলদিও বুদ্ধিদীপ্ত ফরোয়ার্ডের মতো রুপনার মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান বল।
এক মিনিট পর আবারও রক্ষণের ভুলে গোল হজম করতে বসেছিল বাংলাদেশ। বক্সের অনেকটাই সামনে এগিয়ে এসে বিপদমুক্ত করেন রুপনা। ২৭ মিনিটেও আফঈদা, শামসুন্নাহারদের স্লো রানের সুযোগ নিচ্ছিলেন থাইল্যান্ড ফরোয়ার্ড চাতোয়াং রোদঙ, এবারও দৌড়ে এসে ক্লিয়ার করেন বাংলাদেশ গোলকিপার।
২৯ মিনিটে পাওয়া প্রথম কর্নার থেকে ব্যবধান ২-১ এ নামিয়ে আনে বাংলাদেশ। মারিয়া মান্দার নেওয়া কর্নার কিকে লাফিয়ে শামসুন্নাহার জুনিয়র হেড নিলে বল পোস্টে লেগে জালে প্রবেশ করে।
কিন্তু পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় থাইল্যান্ড। লং পাস ধরে অনেকটা পেছন থেকে আফঈদা এবং শামসুন্নাহার সিনিয়রকে টপকে বলের নিয়েন্ত্রণ নিয়েই বাংলাদেশের জাল কাঁপান থাইল্যান্ডের ফরোয়ার্ড ম্যাডিসন।
৪০ মিনিটে আবারও বাংলাদেশ অধিনায়ক আফঈদার ভুলে গোল হজম করতে বসেছিল বাংলাদেশ। এই ডিফেন্ডারের পায়ের নিচ দিয়ে বল বের করেন প্রতিপক্ষের এক ফরোয়ার্ড। তবে রুপনার দারুণ সেভে ব্যবধান বাড়েনি। ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিয়ে যায় লাল সবুজের মেয়েরা।
বিরতির পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে থাইল্যান্ড। ৫৪ মিনিটে থাই গোলরক্ষকের পাঠানো সরাসরি বল থেকে দলের চতুর্থ গোলটি করেন ম্যাডিসন, ম্যাচে নিজের দ্বিতীয়।
৫৭ মিনিটে নিজেদের বক্সে থাই ফরোয়ার্ড মংকোলদির পায়ে মেরে হলুদ কার্ড দেখেন কোহাতি। পেনাল্টির বাশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে ম্যাচে নিজের দ্বিতয়ী গোলটি করেন মংকোলদি। থাইল্যান্ড এগিয়ে যায় ৫-১ গোলে।
৬২ মিনিটে পেঙ্গামের শট রুপনা ঠেকিয়ে দিলেও পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে পারেননি; ফিরতি শটে পোস্টের উপরে মারেন প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক।
৬৯ মিনিটে ম্যাডিসনের চিপ শট অল্পের জন্য খুজে পায়নি জালের দেখা। চার মিনিট পর রুপনার জোড়া সেভে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি থাইল্যান্ডের মেয়েরা। ৭৮ মিনিটে আরও একবার পোস্টের সামনে রুপনার বীরত্বে গোল হজম করেনি বাংলাদেশ। প্রতি আক্রমণে গোলকিপারকে একা পেয়েও শট নিতে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন মনিকা চাকমা। শেষ পর্যন্ত ৫-১ গোলের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাটলারের শিষ্যরা।

থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ফিফা প্রীতি ম্যাচে লড়ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ব্যাংককের চালেম ফ্রা কিয়াত স্পোর্টস সেন্টারে প্রথমার্ধ শেষে ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে পিটার বাটলারের দল।
এদিন দ্বিতীয় মিনিটের শুরুতেই গোলের সুযোগ মিস করে থাইল্যান্ড। কর্নারে কাছ থেকে আসা ক্রসে প্রথমে পা ছোয়াতে পারেননি সাওয়ালাক পেঙ্গাম। পরে গোলমুখের সামনে শট নিয়ে আকাশে উড়িয়ে মারেন থাই ফরোয়ার্ড ম্যাডিসন ক্যাস্টিন।
পঞ্চম মিনিটে দলকে বিপদে ফেলছিলেন আফঈদা। তাঁর দুর্বল রানের সুযোগ নিয়ে পেছন থেকে টপকে বলে প্রায় টোকা দিচ্ছিলেন থাই অধিনায়ক। শেষ মুহূর্তে অনেকটা উপরে উঠে বিপদমুক্ত করেন গোলকিপার রুপনা।
১২ মিনিটে অধিনায়ক পেঙ্গামের গোলে এগিয়ে যায় থাইল্যান্ড। জিরাপোন মঙলির রক্ষণচেড়া পাস ধরে বেরিয়ে যান পেঙ্গাম; তাঁকে তাড়া করেও পাননি শামসুন্নাহার ও শিউলি। বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলকিপারকে পরাস্ত করে নিখুত শটে বাংলাদেশের জালে বল জড়ান পেঙ্গাম।
পিছিয়ে পড়ে পরপর তিনটি আক্রমণ করে বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে কার্যকরী ফিনিশিং দেখা যায়নি।
২৩ মিনিটে হাইলাইন ডিফেন্সে বাংলাদেশের পাতা অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে থাইল্যান্ডের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মংকোলদি। কাঞ্জনাপোর্ন সায়েনখুনের বাড়ানো লং পাসে আমলে নিতে সহজেই বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডার নবীরণ খাতুন ও আফঈদা খন্দকারকে পেছনে ফেরেন তিনি। তাঁকে ঠেকাতে এগিয়ে আসেন রুপনা চাকমা। মংকোলদিও বুদ্ধিদীপ্ত ফরোয়ার্ডের মতো রুপনার মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান বল।
এক মিনিট পর আবারও রক্ষণের ভুলে গোল খেতে বসেছিল বাংলাদেশ। বক্সের অনেকটাই সামনে এগিয়ে এসে বিপদমুক্ত করেন রুপনা। ২৭ মিনিটেও আফঈদা, শামসুন্নাহারদের স্লো রানের সুযোগ নিচ্ছিলেন থাইল্যান্ড ফরোয়ার্ড চাতোয়াং রোদঙ, এবারও দৌড়ে এসে ক্লিয়ার করেন বাংলাদেশ গোলকিপার।
২৯ মিনিটে পাওয়া প্রথম কর্নার থেকে ব্যবধান ২-১ এ নামিয়ে আনে বাংলাদেশ। মারিয়ার নেওয়া কর্নার কিকে লাফিয়ে শামসুন্নাহার জুনিয়র হেড নিলে বল পোস্টে লেগে জালে প্রবেশ করে।
কিন্তু পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় থাইল্যান্ড। লং পাস ধরে অনেকটা পেছন থেকে আফঈদা এবং শামসুন্নাহার সিনিয়রকে টপকে বলের নিয়েন্ত্রণ নিয়েই বাংলাদেশের জাল কাঁপান থাইল্যান্ডের ফরোয়ার্ড ম্যাডিসন।
৪০ মিনিটে আবারও বাংলাদেশ অধিনায়কের ভুলে গোল হজম করতে বসেছিল বাংলাদেশ। এই ডিফেন্ডারের পায়ের নিচ দিয়ে বল বের করেন প্রতিপক্ষের এক ফরোয়ার্ড। তবে রুপনার দারুণ সেভে ব্যবধান বাড়েনি।

থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ফিফা প্রীতি ম্যাচে বিকেল ৫টায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এই ম্যাচে শুরুর একাদশে সুযোগ পেয়েছেন নবিরন খাতুন। আগের ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন মিডফিল্ডার মুনকি আক্তার।
গত শুক্রবার থাই মেয়েদের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে যে কারণে রক্ষণে একজন বেশি নিয়েছেন কোচ পিটার বাটলার। কেননা নবিরন রক্ষণে খেলেন। যেখানে নেতৃত্ব অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের কাছে। তার সঙ্গে রক্ষণে আছেন শামসুন্নাহার সিনিয়র, কোহাতি কিসকু ও শিউলি আজিমরা।
মিডফিল্ডে অভিজ্ঞ মারিয়া মান্ডার সঙ্গে থাকবেন মনিকা চাকমা। ফরোয়ার্ডে ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন ও শামসুন্নার জুনিয়র খেলছেন। ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে ইউটিউব লাইভে।
তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে সাত পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে থাইল্যান্ড। আগের ম্যাচের পরই বাংলাদেশ কোচ আভাস দিয়েছিলেন তাদের বেঞ্চের শক্তি নিয়ে। তাদের আরেকটি দল যে বেঞ্চে বসে আছে তাও জানিয়েছিলেন। সতর্ক বাটলার যে কারণে ফাইভ ব্যাকলাইন নিয়ে একাদশ সাজিয়েছেন।
বাংলাদেশ একাদশ:
রূপনা চাকমা (গোলকিপার), শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার (সিনিয়র), আফঈদা খন্দকার (অধিনায়ক), কোহাতি কিসকু, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্ডা, তহুরা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, শামসুন্নাহার (জুনিয়র), নবিরন খাতুন।

মাঠে প্রতিপক্ষকে একচুলও ছাড় দিতে রাজি নন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। শুধু কি মাঠের পারফরম্যান্স? রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারকে উষকে দিলে পরিণতিটাও যে ভালো হয়না সেটা প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের ভালো করেই জানা। মেজাজ হারিয়ে বিপদেও পড়েছেন মাঝেমধ্যে।
সবশেষ গতকাল রাতে এল ক্লাসিকোয় ভিনির রুদ্ররূপ দেখেন বার্সেলোনার তারকা ফুটবলার লামিনে ইয়ামাল। রিয়ালকে নিয়ে ম্যাচের আগে ১৮ বছর বয়সী উইঙ্গারের মন্তব্যে এমনিতেই তেঁতে ছিল ক্লাবটির ফুটবলাররা। ২-১ ব্যবধানে জয়ের পর ইয়ামালের ওপর ক্ষোভ উগরে দেওয়ার অপেক্ষাতেই যেন ছিলেন ভিনি।
ম্যাচ শেষে ইয়ামাল মাঠ ছাড়ার সময় তেড়ে যান ভিনিসিয়ুস। তাকে আটকাতে রীতিমতো হিমশিম খায় সতীর্থ আর দলের স্টাফরা। ইয়ামালকে উদ্দেশ্য করে রিয়াল তারকা নাকি বলেছিলেন, ‘কী ব্যাপার! ব্যাক পাস দেওয়া ছাড়া আর কিছুই তো করলে না।! শুধুই ডিফেন্ডারদের কাছে বল দিলে।’
আরও পড়ুন
| ‘ফিফা আসিয়ান কাপ’ শুরুর ঘোষণা ফিফা সভাপতির |
|
অবশ্য গোলমাল শেষে ‘শান্তির বার্তা’ দিলেন ভিনিসিয়ুস। সমর্থকদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান দেখানোর কথা বলেন তিনি, ‘সব মাদ্রিদিস্তাদের জন্য, বিশেষ করে যারা বার্নাব্যুয়ে এসে প্রাণভরে আমাদের সমর্থন করেছেন। এটাই এল ক্লাসিকো, যেখানে মাঠে ও মাঠের বাইরে অনেক কিছুই ঘটে। আমরা সব সময় ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করি, কিন্তু অনেক সময় সম্ভব হয় না।’
ভিনিসিয়ুস আরও যোগ করেন, ‘আমাদের কারও প্রতি অসম্মান দেখানোর কোনো ইচ্ছা নেই—না তরুণ খেলোয়াড়দের, না সমর্থকদের প্রতি। আমরা জানি, যখন মাঠে নামি, তখন নিজের ভূমিকা ঠিকভাবে পালন করতে হয়, আর আজ সেটাই করেছি।’
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিদের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স ছিল ভিনিসিয়ুসের। গোল বা অ্যাসিস্ট পেলেও আক্রমণভাগের বাঁ প্রান্তে থেকে বার্সার রক্ষণভাগের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন ২৫ বছর বয়সী উইঙ্গার। কাতালান ক্লাবের রাইট ব্যাক জুলেস কুন্দেকে নাচিয়ে ছাড়েন তিনি। কোচ জাবি আলোনসো তাকে তুলে নিয়ে রদ্রিগোকে নামানোর সময় অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় ভিনিকে।