
পিএসজিতে থাকা অবস্থায় চোট ছিল নিয়মিত ঘটনা। সেখান থেকে আল হিলালে যোগ দেওয়ার পরই নেইমারের চিত্রটা একই। এক বছর মাঠের বাইরে থাকার পর ফিরেই পড়েছেন আরেক চোটে। সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের একজনকে ঘিরে তাই বাতাসে ভাসছে ঠিকানা বদলের গুঞ্জন। তবে আগেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাস। তাদের সভাপতির সাফ কথা, চোটপ্রবণ নেইমারকে সুযোগ পেলেও দলে নেবেন না তারা!
২০১৭ সালে রেকর্ড ট্রান্সফার ফি-তে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে পাড়ি জমান নেইমার। ২০২৩ সালে ক্লাবটি যখন ছাড়েন, তখন ভিন্ন ভিন্ন চোটে ক্লাবটির হয়ে তিনি যা ম্যাচ খেলেন, তার চেয়ে বেশি ম্যাচ করেন মিস। আল হিলালে নাম লিখিয়ে গত মৌসুমে মাত্র পাঁচ ম্যাচ খেলে এসিএল চোটে ছিটকে যান এক বছরের জন্য। সম্প্রতি ফিরে দুই ম্যাচ খেলেই আবার চলে গেছেন মাঠের বাইরে। তাই গুঞ্জন রয়েছে তার ক্লাব ছাড়ার।
আরও পড়ুন
| নেইমারের চুক্তি বাতিলের ‘চিন্তা করছে’ আল হিলাল! |
|
ফ্রি এজেন্ট হিসেবে নেইমারকে নেবেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে পালমেইরাসের সভাপতি লেইলা করেননি কোনো রাখঢাক। “নেইমার পালমেইরাসে যোগ দেবেন না। এই ক্লাব তো কোনো হাসপাতালের চিকিৎসা বিভাগ নয়। আমি এমন কাউকে দলে চাইব, যে অবিলম্বে দলে যোগ দিতে আসবে, আর কোচ চাইলে আগামীকালই খেলতে পারবে।”
নেইমার এই দফায় চোট পাওয়ার পর ক্লাবে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে নাকি চিন্তিত আল হিলাল। মেডিকেল টিমের ধারণা, টানা ম্যাচ খেলার মত জায়গায় যেতে আরও সময় লাগবে ব্রাজিল তারকার। সাথে রয়েছে চোটের সম্ভাবনাও। আর এই কারণেই তারা আগামী জানুয়ারিতে তার চুক্তি বাতিলের চিন্তাও করছে।
নেইমারের শৈশবের ক্লাব সান্তোস তাকে বরণ করে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে প্রকাশ্যেই। তবে পালমেইরাস সভাপতি যেন সান্তোসকেও কটাক্ষ করলেন। “আমি আমাদের এমন একজন খেলোয়াড়কে দলে টানব না, যে কিনা খেলারই যোগ্য নয়।”
আরও পড়ুন
| ১ বছর পর ফিরে আবারও চোটের শিকার, যা বললেন নেইমার |
|
এই মুহুর্তে নেইমার তার পেশির আঘাতের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আছেন। ডিসেম্বরের শেষের দিকে তিনি ফিরতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
No posts available.
২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম

২০২৫-২৬ মৌসুমের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চমক হয়েই যেন এলো সান্ডারল্যান্ড। চ্যাম্পিয়শিপ থেকে প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসা ক্লাবটি আজ হারাল চেলসিকে। ইংলিশ লিগটিতে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমের পর সেরা শুরু পেল সান্ডারল্যান্ড।
প্রিমিয়ার লিগে আজ শেষ মুহূর্তের গোলে চেলসিকে ২-১ গোলে হারাল সান্ডারল্যান্ড। প্রথমে আর্জেন্টাইন উইঙ্গার আলেক্সান্দ্রো গার্নাচোর গোলে এগিয়ে যায় ব্লুজরা। এরপর উইলসন ইসিডোর গোলের পর নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা সময়ে বদলি নামা চেমসডাইন তালবির গোলে উল্লাসে মেতে ওঠে সান্ডারল্যান্ড।
এই জয়ে আপাতত পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে সান্ডারল্যান্ড। রেজিস লে ব্রিসের ক্লাবটির সংগ্রহ নয় ম্যাচে ৫ জয়, ২ ড্র ও ২ হারে ১৭ পয়েন্ট। বিপরীতে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে আসার সুযোগ হারাল অ্যাঞ্জো মারেস্কার দল। সমান ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সাতে নেমে গেল লন্ডনের ক্লাবটি।
ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে দারুণ শুরুই পেয়েছিল চেলসি। চার মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন ক্লাবের হয়ে প্রথম গোল পাওয়া গার্নাচো। পেদ্রো নেতোর পাস থেকে বাঁ পায়ের দারুণ শটে জাল কাঁপান আর্জেন্টিনার ২১ বছর বয়সী উইঙ্গার।
২২ মিনিটে সমতায় ফিরে সান্ডারল্যান্ড। সফরকারীদের ডিফেন্ডার নর্দি মুকিয়েলি লম্বা থ্রোয়ে চেলসির বক্সে বল পাঠান, এবং বেলার্ড প্রথম স্পর্শটি নেয়। বল পেয়ে যান বার্টেন্ড ত্রাওরে, পোস্টের বাম কোণের নিচে শট নেন তিনি। তবে দিক পরিবর্তনে করলে বল পেয়ে যান ইসিডর, সহজ এক ট্যাপ-ইনে বল জালে পাঠান তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের বেশিরভাগ সময় মনে হচ্ছিল, জয়সূচক গোলের দেখা পাবে না কোনো দলই। তবে যোগ করা সময়ে স্বাগতিক দশর্কদের হৃদয় ভাঙেন তালবি। শেষ মুহূর্তে, খেলার গতির বিপরীতে নিখুঁতভাবে শটে বল জালের নিচের ডান কোণে পাঠান মরক্কোর এই উইঙ্গার। আর তাতেই পিন পতন নিরবতা নেমে আসে ঘরের মাঠে চেলসি সমর্থকদের। আর ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোল পেয়ে আনন্দে ভাসে সান্ডারল্যান্ড।

শুরুতে পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়াল বসুন্ধরা কিংস। সমতা নিয়ে গেল বিরতিতে। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে লিডও নিল বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু এমন ম্যাচেও শেষ পর্যন্ত হার নিয়ে মাঠ ছাড়ল মারিও গোমেজের দল।
শনিবার সন্ধ্যায় এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে গ্রুপ পর্বের প্রথম খেলায় আল সিবের কাছে ২-৩ ব্যবধানে হেরেছে বসুন্ধরা কিংস। বাংলাদেশের ক্লাবটির হয়ে জালের দেখা পান দরিয়েলতন গোমেজ নাসিমেন্তো এবং জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন।
কুয়েতের আল সাবাহ স্টেডিয়ামে কিক অফের পর দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পেতে পারত বসুন্ধরা কিংস। সানডের দারুণ কাটব্যাক থেকে দরিয়েলতন গোমেজের স্লাইড লাফিয়ে ফিরিয়ে দেন আল সিবের গোলকিপার।
সপ্তম মিনিটে নাসের আল রাওয়াহির গোলে এগিয়ে যায় আল সিব। বক্সে লং বল পেয়ে বুক থেকে পায়ে নামিয়ে নিখুঁত শটে শ্রাবণের পাস দিয়ে জাল কাঁপান এই ফরোয়ার্ড।
১৭ মিনিটে দরিয়েলতন গোমেজের দুর্বল শট অনায়েসে গ্লাভসবন্দী করেন আল সিব গোলকিপার।
২৫ মিনিটে দরিয়েলতনের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন সানডে। কিন্তু বক্সের অনেকটা দূর থেকে তড়িঘড়ি করে শট নেন। বল যায় পোস্টের উপরে দিয়ে।
প্রথম আধা ঘন্টা পর খেলায় ছন্দ খুজে পায় বসুন্ধরা কিংস। তবে আনন্দের উপলক্ষ আসে বিরতির তিন মিনিট আগে। রাফায়েল আগুস্তর গোলে ১-১ সমতায় ফেরে বাংলাদেশের ক্লাবটি। ম্যাচে পাওয়া প্রথম কর্নার প্রতিপক্ষের রক্ষণ বাঁধায় ফিরে আসলে ফিরতি বলে মাটি কামড়ানো শট নেন সাদ উদ্দিন। গোলমুখের সামনে আগুস্তর পায়ে বল লেগে উপরে ভেসে ওঠে, এরপর সামনে থাকা গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে আলতো টোকায় কাজ সারেন তিনি।
বিরতির পর রাকিবের দৃষ্টিনন্দন গোলে দ্রুতই লিড নেয় বসুন্ধরা কিংস। মাঝ মাঠে দরিয়েলতনের কাছ থেকে বল নিয়ে আল সিব মিডফিল্ডার বালুসিকে কাটান। বক্সের বাইরে থেকে বা পায়ের আড়াআড়ি শটে জালে বল জড়ান। সিবের গোলকিপার আল রাওয়াহি ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বলের নাগাল পাননি।
৬০ মিনিটে জাহির আল আগবাঘির গোলে ২-২ সমতা টানে ওমানের ক্লাবটি। ১০ মিনিট পর বদলি হিসেবে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও সিনিয়র সোহেল রানাকে মাঠে নামান কোচ মারিও গোমেজ।
৭৭ মিনিটে কিংসের বক্সে ফাহিম, তাজ আর এমানুয়েল টনির সামনে আল বুসাইদির সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে শেষে ভলিতে জালে বল পাঠান আব্দুল আজিজ মুকবালি। ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ওমানের লিগ চ্যাম্পিয়নরা।

ভারতের ফুটবলপ্রেমীদের ভাগ্যটা মন্দই বলতে হয়। কদিন আগেই দেশটিতে সফর করার কথা ছিল পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। তবে ভারত সফরে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ ২–এ এফসি গোয়ার বিপক্ষে ম্যাচে আল নাসরের সঙ্গী হননি ‘সিআর সেভেন’। তাতে হতাশই হয় ভারতের ফুটবল ভক্তরা। এবার আরও একবার দুঃসংবাদ শুনতে হচ্ছে তাদের।
ভারতে লিওনেল মেসি এবং তার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল আর্জেন্টিনার বহুল প্রতীক্ষিত প্রীতি ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ১৭ নভেম্বর কোচিতে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ম্যাচটি।
ম্যাচটির স্পনসর প্রতিষ্ঠান 'রিপোর্টার ব্রডকাস্টিং কোম্পানি'-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর আন্তো অগাস্টিন সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, এই ম্যাচটি ফিফার পরবর্তী আন্তর্জাতিক সূচিতে অনুষ্ঠিত হবে। কেরালার এই ব্যবসায়ী সামাজিক মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেন যে, আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা (ফিফা) থেকে অনুমতি পেতে বিলম্ব হওয়ায় ম্যাচটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ম্যাচটির স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন,
‘ফিফার অনুমতি পেতে বিলম্বের কথা মাথায় রেখে, আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সঙ্গে আলোচনার পর, ম্যাচটি নভেম্বর উইন্ডো থেকে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আশ্বাস দেন, নতুন তারিখ শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।
অবশ্য এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে খোদ এএফএ (আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন)। স্প্যানিশ মিডিয়া আউটলেট 'লা নাসিওন'কে এএফএ-এর একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা কেরালায় যাচ্ছে না।
এএফএ-এর ভাষ্যমতে, ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণে কেরালা ব্যর্থ হয়েছে এবং সেখানে ‘বারবার চুক্তি লঙ্ঘন’ করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন,
‘আমরা নভেম্বরে এটি (ম্যাচ) ঘটানোর জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করেছিলাম; একটি প্রতিনিধি দল এমনকি মাঠ, হোটেল দেখতে ভারতে গিয়েছিল... কিন্তু শেষ পর্যন্ত, ভারত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারেনি। দুর্ভাগ্যবশত, ভারতের পক্ষ থেকে বারবার লঙ্ঘন হয়েছে, এবং আমরা যা করতে যাচ্ছি তা হলো একটি নতুন তারিখ খুঁজে বের করার জন্য চুক্তিটি পুনর্গঠন করা।’
এর আগে কেরালার ক্রীড়ামন্ত্রী এই প্রীতি ম্যাচটির ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই এটি নিয়ে যথেষ্ট বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। এক পর্যায়ে মন্ত্রী নিজেই ম্যাচটি বাতিল বলে ঘোষণা দেন, যদিও পরে আগস্ট মাসে এএফএ নিশ্চিত করে যে তাদের দল কোচিতে খেলবে।
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে গত কয়েক সপ্তাহের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটল। মেসিদের সফর বাতিলের খবরে ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীরা, বিশেষ করে কেরালার সমর্থকরা ভীষণ হতাশ হয়েছেন। ভারতের ওই অঞ্চলে আর্জেন্টিনা ও মেসির ভক্তসংখ্যাও যে বিপুল।
সর্বশেষ মেসির আর্জেন্টিনা ২০১১ সালে ভারত সফর করেছিল। মেসির দল কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমবারের মতো আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামেন।

ফুটবলে লিওনেল মেসির প্রভাব নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আর্জেন্টাইন মহাতারকার পা যেখানেই পড়েছে সোনা ফলেছে সেখানেই। এই যেমন এমএলএস (মেজর লিগ সকার) আর ইন্টার মায়ামির কথাই ধরুন, ফুটবল বিশ্বে কজনই আর এই লিগ কিংবা ক্লাবটির খোঁজ-খবর নিত ? মেসির আগমনেই তো যত প্রচার-প্রসার হয়েছে এই লিগ আর ক্লাবের।
এমএলএসকে বিশ্বফুটবলে নতুন করে চেনানোর জন্য তো তেমন পারিশ্রমিকও পাচ্ছেন মেসি। ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর শুধু ক্লাব নয় লিগটিরও সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড় ছিলেন মেসিই। তবে সব হিসেব নিকেশ বদলে দিলেন টটেনহ্যামের সাবেক ফুটবলার সন হিউং-মিন।
লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির ফরোয়ার্ড সন এখন এমএলএসের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত খেলোয়াড়। বেতনে মায়ামির মহাতারকা মেসিকেও পেছনে ফেলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার এই ফুটবলার।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গিভমি স্পোর্টস’ জানিয়েছে, ‘আমরা ২০২৫ মৌসুমের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) সর্বাধিক পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ২১ জন খেলোয়াড়ের তালিকা প্রকাশ করছি। তালিকায় সন হিউং-মিন প্রথম, আর মেসি দ্বিতীয়।’
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সন হিউং-মিনের বার্ষিক বেতন আনুমানিক ৯.৫ মিলিয়ন পাউন্ড। যেখানে মায়ামি থেকে মেসি পান ৮.৮ মিলিয়ন পাউন্ড। এমএলএসের ইতিহাসেই সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া ফুটবলার এখন সন।
অবশ্য বড় অঙ্কের এই বেতন তো এমনি এমনি নিচ্ছেন না সন। টটেনহ্যামের সাবেক তারকা পারফরম্যান্সে কড়ায়-গণ্ডায় সব শোধই করে দিচ্ছেন। এলএএফসিতে যোগ দেওয়ার পর মাত্র ১০টি ম্যাচ খেলেই তিনি ৯ গোল ও ২টি অ্যাসিস্ট করেছেন। পয়েন্ট টেবিলে ওস্টার্ন কনফারেন্স শীর্ষে থেকে শেষ করেছে তার ক্লাবও।
মাঠের বাইরে তাঁর প্রভাব আরও ব্যাপক। সন হিউং-মিনের জার্সির চাহিদাও ব্যাপক। বাজারে আসার পরই বিশ্বব্যাপী ক্রীড়া পোশাক বিক্রিতে এক নম্বরে উঠে এসেছে সনের জার্সি। লস অ্যাঞ্জেলেস এফসিতে সন যোগ দেওয়ার পর ক্লাবটির অফিসিয়াল সামাজিক মাধ্যম অনুসারীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।
যদিও বেতনে মেসিকে ছাড়িয়ে গেলেও রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মহাতারকাই যে এমএলএস–এর প্রতীকী ব্যক্তিত্ব। মাঠের পারফরম্যান্স তো আছেই। ইন্টার মায়ামির হয়ে এই আসরে ২৮ ম্যাচে ২৯ গোলের পাশাপাশি ১৭টি অ্যাসিস্ট করেছেন ৩৮ বছর বয়সী ফুটবলার। সবশেষ আজও এমএলএসের প্লে–অফে ন্যাশভিলের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।

শুক্রবার রাতে আরও একটি পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেড। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এবার তারা ১-২ গোলে হেরেছে লিডস ইউনাইটেডের কাছে। তাতে নতুন মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে শোচনীয় হারের ধারা অব্যহত রাখল পূর্ব লন্ডনের ক্লাবটি।
প্রিমিয়ার লিগের এই সপ্তাহে শুরু হয়েছে নবম রাউন্ডের খেলা। শুক্রবার রাতের আরেকটি হারে ৯ খেলায় ৭ ম্যাচেই পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে ওয়েস্টহ্যাম। বাকি দুই ম্যাচের একটিতে জয়, অন্যটিতে হার। ৩০ সেপ্টেম্বর এভারটনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর টানা তিন ম্যাচে হার দেখল দ্য হ্যামার্সরা।
তিনটি পরাজয়ই এসেছে ওয়েস্টহ্যামের নতুন কোচ নুনো এস্পিরিটো সান্তোর সময়ে। গত সেপ্টেম্বরে গ্রাহাম পর্টারের বদলি হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয় ক্লাবটি।
এই মুহূর্তে লিগের রেলিগেশন অঞ্চলে আছে ওয়েস্টহ্যাম। চার পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান ১৯-এ। নিচে আছে কেবল উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স। উপরে নটিংহ্যাম ফরেস্ট। লিগে হ্যামার্সদের একমাত্র জয়টি আবার সেই নটিংহ্যামের বিপক্ষেই। মজার ব্যাপার হল ৩১ আগস্টের সেই ম্যাচে নটিংহ্যামের ডাগআউটে ছিলেন ওয়েস্টহ্যামের নুনো সান্তো।
লিগের প্রথম ৯ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এত বাজে শুরু সর্বশেষ ৫২ বছর আগে করেছিল ওয়েস্টহ্যাম। এর আগের দুটি ঘটনা দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল স্তরে। একটি ১৯৩২-৩৩ মৌসুমে, অন্যটি ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে। এবার প্রিমিয়ার লিগে সেই হতাশাজনক অধ্যায় যেন টেনে আনল আগের মৌসুমে টেবিলের ১৪ নম্বরে থেকে লিগ শেষ করা ক্লাবটি।
সর্বশেষ ২০১১-১২ মৌসুমের মতো ইংল্যান্ডের টপ লিগ থেকে যাতে ওয়েস্টহ্যামের অবনমন না হয় সেজন্যই নুনো সান্তোর সঙ্গে সাইন করে ক্লাবটির নীতি-নির্ধারকেরা। তবে জয়ে ফেরার পথ এখনও খুজে পাননি এভারটনের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট নিয়ে শুরু করা পর্তুগিজ কোচ,
‘দুর্ভাগ্যবশত আমাদের ক্লাবে অনেক সমস্যা রয়েছে। তবে সমস্যার আড়ালে লুকিয়ে থাকা আমাদের কাজ নয়। সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আরও অনেক কিছু করতে হবে এবং সঠিক অবস্থানে থাকতে হবে।’
শুক্রবার রাতে লিডসের বিপক্ষে হারের পর আরও একটি অপ্রত্যাশিত রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন নুনো সান্তো। ২০১৮ সালের পর ওয়েস্টহ্যামের কোচ হিসেবে শুরুর ৪ ম্যাচে জয় না পাওয়া প্রথম কোচ তিনি। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ম্যানুয়েল পেলেগিরিনির সময়ে প্রথম টানা ৪ ম্যাচ জয়হীন থেকেছিল হ্যামার্সরা।
অধরা জয় পেতে ওয়েস্টহ্যামের নতুন কোচ বার্তা দিয়েছেন,
‘জয়ের জন্য আমাদের সেই পর্যায়ের মান আছে। হাতে সময় আছে, তবে কোনো কিছুই পরিবর্তন হবে না, যদি না আমরা পরিবর্তন হই। অবশ্যই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনতে হবে। খেলার মাঠে অ্যাপ্রোচ ঠিক করতে হবে। যা ঘটছে সব কিছুই আমাদের জন্য কঠিন বাস্তবতা, এটি আমাদের স্বীকার করতে হবে এবং আবারও বলি কোনো কিছু নিজে থেকে বদলাবে না।’
কোচের কথা মেনে মাঠের জয়ই এখন চাওয়া লুকাস পাকেতা, ফ্যাবিয়ানস্কি ও জ্যারোড বোয়েনদের। আগামী রোববার রাতে অধরা জয় কি আসবে? পয়েন্ট টেবিলের ১৫-তে থাকা নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে সেদিন মোকাবিলা করবে নুনো সান্তোর দল।