এই মৌসুমে এরই মধ্যে চোটের কারণে মিস করেছেন কিছু ম্যাচ। টানা কয়েকটি ম্যাচ খেলে যখন একটু একটু করে নিজেকে ফিরে পাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময়ে আবারও চোট পেলেন রদ্রিগো। রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডকে তাই জিরোনা ম্যাচের জন্য শেষ সময়ে স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ২টায় লা লিগায় জিরোনার বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল। ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে দলটি পেয়েছে দুঃসংবাদ। বাম পায়ের পেশীতে অস্বস্তি অনুভব করায় ছিটকে গেছেন এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।
আরও পড়ুন
লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে রদ্রিগো |
![]() |
ফলে এই ম্যাচে আক্রমণে নতুন কাউকে খেলানোর বিকল্প নেই কার্লো আনচেলত্তির জন্য। আরেক ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র আগে থেকেই আছেন মাঠের বাইরে। এই সময়ে পজিশন বদলে কিলিয়ান এমবাপে খেলছেন লেফট উইংয়ে। আর রদ্রিগো স্ট্রাইকার হিসেবে। গোল না পেলেও ফরাসি তারকার সাথে ভালোই জমে যাচ্ছিল তার জুটি।
চলতি মৌসুমে লা লিগায় ১৩টি ম্যাচ খেলেছেন রদ্রিগো। গোল করেছেন ৩টি আর করিয়েছেন একটি।
জিরোনা ম্যাচে তার জায়গাটা নিতে পারেন রদ্রিগোর স্বদেশী এন্দ্রিক। তরুণ এই স্ট্রাইকার এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত সেভাবে খেলারই সুযোগ পাচ্ছেন না। লা লিগায় ১০টি ম্যাচ খেললেও বেশিরভাগই বদলি হিসেবে। গোল করেছেন মাত্র একবার।
আরও পড়ুন
ভিনি-নেইমার অনুপস্থিত, রদ্রিগোর সামনে বড় সুযোগ! |
![]() |
পয়েন্ট টেবিলে ১৫ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে রিয়াল।
২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮:১৪ পিএম
২০ এপ্রিল ২০২৫, ৫:১০ পিএম
ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় ময়মনসিংহে শুরু হল অনূর্ধ্ব-১৫ বালকদের নিয়ে মাসব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। ময়মনসিংহ লেডিস ক্লাবের মাঠে সোমবার এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।
অনূর্ধ্ব-১৫ বালকদের ফুটবল প্রশিক্ষণে সুযোগ পেতে ১৩টি উপজেলা থেকে ১৫৫ জন খেলোয়াড় প্রাথমিক বাছাইয়ে অংশ নেয়। চূড়ান্ত বাছাইয়ে সুযোগ পায় ৪০ জন খেলোয়াড়। প্রতিভাবান এই খেলোয়াড়দের নিয়ে মাসব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া অফিস।
প্রশিক্ষণ থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা সুযোগ পাবে ক্রীড়া পরিদপ্তরের ডেভেলপমেন্ট কাপ এবং বিচ ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়নের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ, জেলা শিক্ষা অফিসের ট্রেইনিং কোঅর্ডিনেটর জান্নাতুল নাহার। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া অফিসার আল-আমিন।
৩২ থেকে ফুটবল বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা ৪৮-এ নিয়ে যাওয়া নিয়েই দেখা দিয়েছিল মতানৈক্য। সেটা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হওয়ার পথে। এবার ফিফার ইচ্ছা সংখ্যাটা আরও বাড়ানোর, যা নিয়ে দেখা দিয়েছে তীব্র বিরোধিতা। তবে ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক সৌদি আরবে ক্রীড়ামন্ত্রী জানিয়েছেন, ৬৪ দলের বিশ্বকাপের প্রস্তাবে তারা ইতিবাচক।
৩২ দল নিয়েই চলমান বিশ্বকাপের ফরম্যাটের পরিবর্তন আনা হয়েছে ২০২৬ আসর থেকে, যেখানে প্রথমবারের মত অংশ নেবে ৪৮টি দল। তবে স্পেন, পর্তুগাল এবং মরক্কোতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের শতবর্ষ পূর্তির ২০৩০ আসরে দক্ষিণ আমেরিকার কনমেবল আনুষ্ঠানিকভাবে ৬৪ দল নিয়ে আয়োজনে প্রস্তাব করেছে, যার সরাসরি বিরোধিতা করেছে অন্যান্য মহাদেশীয় কনফেডারেশন।
এসবের মাঝেই রোববার জেদ্দায় সৌদি আরবের ফর্মুলা ওয়ান গ্র্যান্ড প্রিক্সে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় ৬৪ দলের বিশ্বকাপ নিয়ে নিজেদের আগ্রহের কথা বলেছেন সৌদি যুবরাজ আব্দুল আজিজ বিন তুর্কি আল-ফয়সাল।
“আমরা প্রস্তুত আছি, বা বলা যায় আমরা প্রস্তুত থাকব, ইনশাআল্লাহ। ফিফা যদি এমন একটা সিদ্ধান্ত নেয় এবং মনে করে যে সেটা সবার জন্য একটি ভালো সিদ্ধান্ত, তাহলে আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারলে খুশিই হব।”
আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো আয়োজিত বিশ্বকাপে ৪৮টি দেশের অংশগ্রহণ করার বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়ার কারণেই ফিফা আগ্রহী হয়েছে সংখ্যাটা ৬৪ দলে উন্নীত করার। তবে গত মাসে ইউয়েফা সভাপতি চেফেরিন সরাসরি এটি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, এমন প্রস্তাবের কোনো ভিত্তিই নেই।
তবে সৌদি আরবের এই প্রস্তাবে আগ্রহী হওয়ার পেছনে থাকতে পারে কয়েকটি কারণ। একটি অবশ্যই বেশি ম্যাচ, যার অর্থ টুর্নামেন্ট আরও লম্বা হয়ে যাওয়ার। আর দ্বিতীয়টি অবশ্যই ট্যুরিস্টদের আগমন, যা ৬৪ দল হলে বেড়ে যাবে অনেক। প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাওয়া একটি দেশের জন্য তাই বেশি দলের অংশগ্রহণ ইতিবাচক খবরই।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে ফিফা আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি আরবকে ২০৩৪ সালের ছেলেদের বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে ঘোষণা করে। স্বাগতিক হওয়ার জন্য আর কোনো দেশই বিড করেনি। সৌদি আরবের হোস্ট হওয়া নিয়ে এরই মধ্যে আপত্তি জানিয়েছে কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা।
আর্সেনালের কাছে বাজেভাবে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের শোক ছিল। সাথে যোগ হয়েছিল বার্সেলোনার চেয়ে পয়েন্ট টেবিলে পিছিয়ে যাওয়ার চাপ। সাথে কিলিয়ান এমবাপের না থাকার কারণেই কিনা, আতলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে জয় তুলে নিতে ঘাম ছুটে গেছে রিয়াল মাদ্রিদের। ফরোয়ার্ডদের হতাশার দিনে দুর্দান্ত এক গোল করা মিডফিল্ডার ফেদেরিকো ভালভের্দের প্রশংসায় তাই পঞ্চমুখ কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
গত সপ্তাহে আর্সেনালের কাছে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলে হেরে যাওয়া রিয়াল নিষেধাজ্ঞার কারণে লা লিগার ম্যাচে পায়নি তারকা ফরোয়ার্ড এমবাপেকে। ‘ফলস নাইন’ হিসেবে মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম ভালো করলেও গোলের দেখা আর মিলছিল না। নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়া ম্যাচে রিয়ালের ত্রাতা হিসেবে হাজির হন ভালভের্দে, ইনজুরি টাইমে দূরপাল্লার শটে গোল করে রিয়ালকে এনে দেন জয়।
কষ্টার্জিত জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি অবশ্য প্রশংসাই করলেন দলের।
“গোলটি করা ছাড়াও ভালভের্দে দুর্দান্ত ছিল, এজন্য তার প্রশংসা করতেই হবে। আমরা প্রথমার্ধে কিছুটা ধীরগতির ছিলাম, তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা সব বিভাগেই খুব ভালো করেছি। এটা একটা দারুণ ম্যাচ ছিল। আমরা ইতিবাচক ছিলাম এবং গোল হজম করিনি। আমরা আরও দৃড় ছিলাম, দল হিসেবে আরও ভালো খেলেছি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর এই ম্যাচটা আমরা জিততে চেয়েছিলাম।”
এই জয়ে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই রইল রিয়াল। চার পয়েন্টের লিডে সবার ওপরে আছে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা। এই দুই দলই আবার আগামী ২৬ এপ্রিল মুখোমুখি হবে কোপা দেল রের ফাইনালে।
আর এই কারণেই এমবাপের পজিশন বাদে এই ম্যাচে যারা খেলেছেন, তাদেরকে সেই ফাইনালের দলেও দেখছেন অনেকে। সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তির কাছে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি সেটা নাকচ করে জানান, ফাইনালের জন্য তার ভিন্ন পরিকল্পনা থাকবে।
গত্ মার্চের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পরিষদের ১৮তম সভায় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেতন এবং ম্যাচ ফি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ক্রিকেটারদের টেস্ট খেলতে উৎসাহিত করতে ম্যাচ ফি ৬ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ওয়ানডে ম্যাচে ম্যাচ ফি ৩ লাখ টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ম্যাচ ফি ২ লাখ টাকা থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের বর্তমান ম্যাচ ফি পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউ জিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কার চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বেশ কয়েক বছর একই অঙ্কে আটকে ছিল। সেই জটটা কাটিয়ে ম্যাচ ফি বাড়িয়ে প্রশংসিত হয়েছেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদ। বর্ধিত ম্যাচ ফি কার্যকর হচ্ছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজ থেকেই।
তবে এই বছর তুলনামূলক কম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকায় ম্যাচ ফি থেকে বড় অঙ্ক আয়ের তেমন সম্ভাবনা নেই খেলোয়াড়দের। চলতি বছর যে ক্রিকেটার তিন ফরম্যাটের সব কটি ম্যাচ খেলবেন, ম্যাচ ফি থেকে তার অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
আইসিসির চলমান এফটিপিতে আগামী বছরে দ্বিপাক্ষিক সফসূচিতে আছে ৮ টেস্ট, ২০ ওয়ানডে এবং ১২টি টি-টোয়েন্টি। সবগুলো ম্যাচে প্লেয়ার্স লিস্টে একাদশে থাকলে ম্যাচ ফি খাত থেকে ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা পাবেন একজন ক্রিকেটার! সব ম্যাচ না খেললেও ম্যাচ ফি থেকে কারো কারো আয় কোটি টাকা স্পর্শ করবে।
ক্রিকেটারদের বর্ধিত ম্যাচ ফি কার্যকর হলে এই বছর ৪ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে এবং ৩টি টি-টোয়েন্টি থেকে বিসিবিকে খরচ করতে হবে ৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। বিগত বছরে ম্যাচ ফি'র অঙ্কে এই খাতে খরচ হওয়ার কথা ছিল ৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ এই খাতে বিসিবিকে ২ কোটি ৪ লাখ টাকা বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সর্বশেষ সভায় এই হিসাবটাই অনুমোদিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য ম্যাচ ফি প্রবর্তনের অতীত খুব বেশি দিনের নয়। ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদার পর টিম স্পন্সর কোকা কোলা ১ কোটি টাকা অর্থায়ন করায় পরের বছর থেকে বিসিবি প্রবর্তন করেছে ম্যাচ ফি।
শুরুতে টেস্ট ম্যাচের ম্যাচ ফি ১ হাজার মার্কিন ডলার, ওয়ানডে ৫০০ মার্কিন ডলার ধার্য করেছে বিসিবি। ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বেড়েছে শম্বুক গতিতে। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা সফরকে সামনে রেখে টেস্টের ম্যাচ ফি এক লাফে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করে দীর্ঘ পরিসরের ফরমেটে সুফল পেয়েছে বিসিবি।
২০১৯ সালের অক্টোবরে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বৃদ্ধিসহ সুযোগ সুবিধা উন্নীত করতে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে আন্দোলনে টনক নড়ে বিসিবির। সেই থেকে ক্রিকেটারদের বেতন এবং ম্যাচ ফি বেড়েছে জ্যামিতিক হারে। সাকিবের ওই আন্দোলনে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি টেস্টে ৬ লাখ, ওয়ানডে ম্যাচে ৩ লাখ এবং টি-টোয়েন্টিতে ২ লাখ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।
২০২০ থেকে ২০২৪-এই চার বছর ম্যাচ ফি এই অঙ্কে ছিল আটকে। ম্যাচ ফি বর্ধিত করার দাবিতে এবার আর আন্দোলন করতে হয়নি ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটারদের সুরক্ষা দিতে বিসিবি নিজ থেকেই উদ্যোগী হয়ে টেস্ট এবং ওয়ানদের ম্যাচ ফি ৩৩% এবং টোয়েন্টি-২০-তে ২৫% বৃদ্ধি করেছে।
বর্ধিত ম্যাচ ফি-তে ক্রিকেটারদের সুরক্ষা করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে ইতোমধ্যে বলেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
“পারিশ্রমিক বেড়েছে, ম্যাচ ফিও বেড়েছে। টেস্ট ক্রিকেটারদের ম্যাচ বৃদ্ধির পরিমাণটা একটু বেশি। এর মধ্য দিয়ে ওদের আগ্রহটা আমরা ধরে রাখতে চাই।“
বর্ধিত ম্যাচ ফি-তে ক্রিকেটারদের পারফরমেন্সের গ্রাফটা উর্ধ্বমূখী হলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবে বিসিবি।
সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে বার্সেলোনার জন্য বড় দুঃসংবাদ হয়ে আসে রবার্ট লেভানদভস্কির চোট। যেভাবে মাঠ ছেড়েছেন, তাতে মনে হচ্ছিল গুরুতর চোটই পেয়েছেন পোলিশ স্ট্রাইকার। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলোও দিচ্ছে একই আভাস। সেখানে বলা হচ্ছে, সহসাই তার মাঠে ফেরার সম্ভাবনা কমই।
শনিবার লা লিগায় সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ৪-৩ গোলে জয়ের ম্যাচে শুরুর একাদশেই ছিলেন লেভানদভস্কি। ৭৮তম মিনিটে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাবেক বায়ার্ন মিউনিখ তারকা।
আরও পড়ুন
৭ গোলের থ্রিলারে জিতে উচ্ছ্বসিত বার্সেলোনা কোচ |
![]() |
স্পেনের একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, প্রাথমিকভাবে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে, সেখানে ধারণা করা হ্যামস্ট্রিংয়ে স্ট্রেনের কারণে হচ্ছে কমপক্ষে দুই থেকে তিন সপ্তাহ মিস করবেন লেভানদভস্কি।
ফলে আগামী ২৬ এপ্রিল রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে কোপা দেল রে ফাইনালে লেভানদভস্কির খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। শুধু তাই নয়, ঝুঁকিতে পড়ে গেছে ইন্তার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দুটি ম্যাচও।
ডায়ারিও এএসের সাংবাদিক জাভি মিগুয়েল তো আগ বাড়িয়ে এও বলেছেন, ইন্তারের বিপক্ষে সেমিফাইনালের এক লেগ খেলাও হয়ত সম্ভব হবে না লেভানদভস্কির।
শেষ পর্যন্ত যদি লেভানদভস্কি ছিটকে যান কয়েক সপ্তাহের জন্য, তাহলে সেটা হবে বার্সেলোনার জন্য বড় ধাক্কা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪০ গোল করে এই মৌসুমে কাতালান ক্লাবটির সর্বোচ্চ গোলস্কোরার তিনিই। ফলে মহাগুরুত্বপূর্ণ তিন ম্যাচে তিনি না খেললে হান্সি ফ্লিকের কপালে ভাজ বাড়বে অনেকটাই।
আরও পড়ুন
রিয়াল অধ্যায় শেষে সেই ব্রাজিলই হচ্ছে আনচেলত্তির গন্তব্য? |
![]() |
যদিও সেল্টা ম্যাচের পর বার্সেলোনা কোচ বলেন ইতিবাচক কথাই।
“লেভানদভস্কির আগামীকাল এমআরআই করা হবে। ফলাফলের জন্য আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে, আমরা তার চোটের ব্যাপার আরও জানতে পারব।”
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৪ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
১৯ দিন আগে
৩০ দিন আগে