৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:১৭ পিএম
২০২৬ বিশ্বকাপের প্রথম ধাপের টিকিট বিক্রিতে থাকছে ডাইনামিক প্রাইসিং বা চাহিদাভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ। অর্থাৎ বাজারের চাহিদা অনুযায়ী একই ম্যাচের টিকিটের দাম ভিন্ন হতে পারে।
আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ফিফা।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী বছর হতে যাওয়া বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রির প্রথম ধাপ শুরু হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। যা চলবে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন
মেসির বিদায়ী ম্যাচের আগে স্কালোনির চোখে জল |
![]() |
প্রথম ধাপের এই 'প্রি সেল' ড্রতে অংশ নিতে পারবেন ভিসা কার্ডধারীরা। গ্রুপ পর্বের ম্যাচের টিকিট শুরু হবে ৬০ ডলার থেকে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৭ হাজার টাকার কিছু বেশি। আর ফাইনালের টিকিটের দাম পৌঁছাতে পারে ৬ হাজার ৭৩০ ডলার বা সোয়া ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত।
টিকেটের ব্যাপারে তথ্য জানিয়েছেন ফিফার টিকিটিং ও আতিথেয়তা বিভাগের পরিচালক ফাল্ক এলার।
“প্রথম ধাপে প্রায় ১০ লাখ টিকিট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। দাম নির্ধারিত হবে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী।”
এলার আরও জানান, এ প্রক্রিয়াটি মূলত এয়ারলাইন্সের টিকিট বা হোটেল ভাড়ার মতো, যেখানে ছুটির মৌসুমে চাহিদা বেড়ে গেলে দামও বেড়ে যায়।
ডাইনামিক প্রাইসিং নিয়ে সমালোচনার ইতিহাসও আছে। সম্প্রতি ব্রিটিশ ব্যান্ড ওয়েসিসের পুনর্মিলনী কনসার্টে ভক্তরা দীর্ঘ অপেক্ষার পর দেখেন, টিকিটের দাম বেড়ে গেছে এই প্রক্রিয়ার কারণে।
আরও পড়ুন
ইংল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফুটবলার হয়ে স্পেন্স বললেন, ‘অনেক প্রার্থনা করি’ |
![]() |
ভিসা কার্ডধারীরা ফিফার ওয়েবসাইটে লগইন করে প্রিসেল ড্রতে অংশ নিতে পারবেন। ড্রয়ের মাধ্যমে র্যান্ডমভাবে সময়সীমা বরাদ্দ করা হবে। তবে ড্রতে নাম উঠলেই যে টিকিট মিলবে, এমন নিশ্চয়তা নেই।
ফিফা জানিয়েছে, পরে আরও কয়েকটি ধাপে টিকিট বিক্রি হবে। পাশাপাশি চলতি বছরের মধ্যেই একটি অফিশিয়াল রি-সেল প্ল্যাটফর্ম চালু করা হবে। যেখানে নিরাপদে টিকিট পুনরায় বিক্রি করা যাবে। এ প্ল্যাটফর্মে দাম সীমাবদ্ধ থাকবে না, যাতে অনিয়ন্ত্রিত কালোবাজার মোকাবিলা করা যায়।
No posts available.
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হংকং ম্যাচের আগে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছিলেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। অধিনায়ক জামাল ভূইয়া চেয়েছিলেন প্রস্তুতির পাশাপাশি দুটিতেই জয় নিয়ে দেশে ফিরতে। তবে আজ দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে প্রথম প্রীতি ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ।
নেপালের বিপক্ষে আগের দেখায় ২০২২ সালে ৩-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। প্রায় তিন বছর পর সুযোগ পেয়েছিল প্রতিশোধ নেওয়ার। সে অপেক্ষাও বাড়ল আরও।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে মনি কুমার লামার ফ্রি কিক থেকে অনন্ত তামাংয়ের হেড ঠেকিয়ে দেন সুজন হোসেন। ৩৯ মিনিটে কর্নার থেকে আসা বলে সুযোগ পেয়েছিলেন সুমন রেজা। কিন্তু তাঁর শট চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। ৫১ মিনিটে রহমত মিয়ার লং থ্রোয়ে সুমন রেজার হেডে বল পান তারিক কাজী। কিন্তু তিনি বল ছোঁয়ার আগেই হেডে তা ক্লিয়ার করেন নেপালের জুং কার্কি।
৬৫ মিনিটে জামালের জায়গায় কাজেম শাহ ও সাদ উদ্দীনের পরিবর্তে নামেন তাজ উদ্দীন। ৬৮ মিনিটে জুং কার্কির শট সহজেই তালুবন্দী করেন সুজন। ৭৬ মিনিটে তাজের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট খানিকটা লাফিয়ে উঠে গ্লাভসবন্দি করেন নেপালের অধিনায়ক কিরণ চেমজং।
৮১ মিনিটে রাকিব হোসেনের বাড়ানো ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি দূরের পোস্টে থাকা আরিফ হোসেন। ৮৫ মিনিটে সাদের মতো ছোট ভাই তাজও দেখেন হলুদ কার্ড। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র মেনে মাঠ ছাড়ে দুই দল। ৯ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুর দশরথেই দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল।
আধিপত্য বিস্তার না করা গেলেও বল দখলে নিয়ে খেলছিল বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের তুলনায় বেশি সুযোগও তৈরি করেছেন আল আমিন-মোরছালিনরা। নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে কেবল জালের দেখা মেলেনি।
দ্বিতীয়ার্ধেও খেলায় আসেনি পরিবর্তন। ঢিমেতালে শুরুর পর এই অর্ধের খেলায় প্রাণ ফিরে পায় যেন শেষ ১৫ মিনিটে, তবে সেটা ইয়েমেনের দিক থেকে। বাংলাদেশ কোচ হাসান আল মামুনের কয়েকটি বদলির পরই ছন্দ হারিয়ে ফেলে অতিথিরা। অন্তিম মুহূর্তের গোলে বাংলাদেশকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইয়েমেন।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে (৯০+৪) ইয়েমেনের বদলি খেলোয়াড় মোহাম্মদ এসাম আল আওয়ামি পার্থক্য গড়ে দেওয়া গোলটি করেন।
এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের দুই ম্যাচে জিতে ৬ পয়েন্ট অর্জন ইয়েমেনের। সমানসংখ্যক খেলায় এখনও পয়েন্টের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে হারালে তিন পয়েন্ট পেতে পারে। তিন পয়েন্টে গ্রুপ রানার্সআপ হওয়ার সুযোগ একেবারে ক্ষীণ। সেখানে এগারো গ্রুপের মধ্যে সেরা চার রানার্সআপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বলা যায়, এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার আশা প্রায় শেষ বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীকে প্রধান করে বিসিবির নির্বাচন কমিশন |
![]() |
ম্যাচের ৩২ মিনিটে প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে নেওয়া মোরছালিনের গতিময় শট কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন ইয়েমেনের গোলকিপার ওসামা আলী মসরেফ। টানা দুটি কর্নার পায় বাংলাদেশ। মোরছালিনের কর্নারে উড়ে আসা বল লাফিয়ে গ্লাভসবন্দি করতে গিয়ে ফেলে দেন ইয়েমেনের গোলকিপার। বাংলাদেশের কেউ বলের নাগাল পাওয়ার আগে গোলমুখের সামনে থেকে ক্লিয়ার করেন ইমেয়েনের ডিফেন্ডার ফয়সাল মোহাম্মদ মারুফ।
৬৩ মিনিটে ফাহামিদুল ও আল আমিনকে তুলে নেন কোচ। তারপরই যেন ছন্দ হারায় বাংলাদেশ। বদলি হিসেবে নামেন রাব্বি হোসেন রাহুল ও রাজু আহমেদ জিসান। তিন মিনিট পর ভালো একটা আক্রমণ সমাপ্তি ঘটে জিসানের লক্ষ্যহীন শটে। ৭২ মিনিটে মিরাজুল ইসলামকে তুলে মাঠে নামানো হয় আরমান ফয়সাল আকাশকে। কিন্তু আকাশও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি।
৭৭ মিনিটে ইয়েমন অধিনায়ক ইমাদ হামুদের ফ্রি কিক কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন বাংলাদেশ গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণ। ৮০ মিনিটে ইয়েমেন ফরোয়ার্ড নাসের মোহাম্মদ সালেহের গতিময় নিচু শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। শেষ দিকে ইয়েমেনের আক্রমণে বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। জিসান-রাহুলরাও বল পায়ে ছিলেন এলোমেলো।
আরও পড়ুন
মেসির বিদায়ের পর আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হবেন কে |
![]() |
৮৪ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় সালেহর আড়াআড়ি শট ঠেকালেও গ্লাভসবন্দি করতে পারেননি শ্রাবণ। কর্নার পায় ইয়েমেন। সেট পিস থেকে উড়ে আসা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষকে ফের কর্নার উপহার দেন বদলি খেলোয়াড় আকাশ।
৮৭ মিনিটে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে বাজেভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন মজিবর রহমান জনি। বক্সের সামনে ফ্রি কিক পায় ইয়েমেন। সেখান থেকে গোলই পেয়ে যাচ্ছিলেন ইয়েমেনের বদলি খেলোয়াড় আব্দুল রহমান আল শামি। তবে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে গোল সেভ করেন শ্রাবণ। থ্রো থেকে ফিরতি বল তৈরি করে গোলের সুযোগ, এবারও গোলবারের সামনে ভরসা হয়ে দাঁড়ান বসুন্ধরা কিংসের এই গোলকিপার।
যোগ করা সময়ের চার মিনিটের মাথায় গোল করেন এসাম আল আওয়ামি। গোলের সুযোগ তৈরি করেন আব্দুল রহমান আল শামি। বক্সের বাঁ প্রান্তের কোণ দিয়ে রিমনকে বোকা বানিয়ে বল তুলে দেন এসামের পায়ে। নিখুঁত টোকায় ডান প্রান্তের উপরের কোণা দিয়ে বল জালে পাঠান তিনি। সেখানে গোলকিপার শ্রাবণের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। ওই সময় বাংলাদেশের পোস্টে ছিলেন ৫-৬ জন খেলোয়াড়। তাঁদের দেখে মনে হচ্ছিল, তাঁরা যেন বেশ ক্লান্ত। ওই গোলের পরই শেষ বাঁশি বাজে রেফারির।
শেষ ম্যাচ আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভেনেজুয়েরার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে ঘরের মাঠ থেকে বিদায় নিয়ে ফেলেছেন লিওনেল মেসি। সামনে আর কত দিন খেলবেন আর্জেন্টিনার হয়ে, সেটি নিয়েও তিনি রেখে দিয়েছেন অনিশ্চয়তা। তবে খুব বেশি দিন যে আর খেলবেন না, তা বলে দেয়াই যায়।
এমতাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন, মেসির অবসরের পর আর্জেন্টিনার অধিনায়কত্বের 'আর্মব্যান্ড' পরবেন কে? সে দৌড়ে এগিয়ে আছেন কারা?
আর্জেন্টাইন ফুটবলভিত্তিক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির নতুন অধিনায়ক হতে পারেন ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, লাউতারো মার্তিনেজ ও নিকোলাস তালিয়াফিকোর মধ্যে একজন।
আরও পড়ুন
‘নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য আরও কিছু চান মেসি’ |
![]() |
বর্তমান দলে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হিসেবে সেরা তিন পছন্দ লিওনেল মেসি, নিকোলাস ওটামেন্ডি, ও ক্রিশ্চিয়ানো রোমেরো। তবে মেসির মতো ওটামেন্ডিও ঘোষণা দিয়েছেন, ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি।
তাই বলা যায়, মেসির পাশাপাশি দ্বিতীয় পছন্দের ওটামেন্ডিকেও আর বেশি দিন পাবে না আর্জেন্টিনা। তাই থেকে যাবেন শুধু ২৭ বছর বয়সী রোমেরো। তাকে যদি অধিনায়ক হিসেবে রেখে দেন লিওনেল স্কালোনি, তবু নতুন আরও দুজনকে খুঁজতে হবে তার।
নতুন কোনো ঘোষণার আগপর্যন্ত মেসি ও ওটামেন্ডির অনুপস্থিতিতে রোমেরোই থাকবেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। এরই মধ্যে গত জুনে চিলির বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন টটেনহ্যাম হটস্পারের এই ডিফেন্ডার।
এর বাইরে এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে বেছে নিতে পারেন স্কালোনি। অ্যাস্টন ভিলাকে বেশ কিছু ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে এমিলিয়ানোর। পাশাপাশি তার খেলা বা শরীরী ভাষায়ও আছে নেতাসুলভ গুণাবলী। যা তাকে অধিনায়কের দৌড়ে অনেক এগিয়ে রাখছে।
আরও পড়ুন
মেসিকে ছাড়াই আর্জেন্টিনার অনুশীলন |
![]() |
এছাড়া ইন্টার মিলানের অধিনায়ক ও মূল ফুটবলারদের একজন লাউতারো মার্তিনেজও থাকবেন এই দৌড়ে। আর্জেন্টিনা দলেও স্কালোনির মূল ভরসার একজন লাউতারো। তাই তাকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিলেও অবাক হওয়ার থাকবে না।
সবশেষে আসতে পারে তালিয়াফিকোর নাম। গত পাঁচ বছরে আর্জেন্টিনার চার শিরোপা জয়ের মূল কারিগরদের একজন এই ডিফেন্ডার। ২০১৮ সালে স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দুই ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন তালিয়াফিকোই। আবারও তার দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক।
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে জোড়া গোল করে নিজে দেশের মাঠে সম্ভাব্য বিদায়ী ম্যাচ খেললেন লিওনেল মেসি। তবে ম্যাচের পর তাঁর আবেগঘন বার্তায় ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার ব্যাপারে ধোঁয়াশা রেখেছেন। সেই আবহে ইন্টার মায়ামির মালিক ও ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ডেভিড বেকহ্যাম মেসিকে নিয়ে দিলেন বিশেষ বার্তা। ইঙ্গিত দিলেন মেসির ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে।
গতকাল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। মেসি ছিলেন ম্যাচের মূল আকর্ষণ। তবে খেলা শেষে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে এই মহাতারকা লিখলেন, ‘ভবিষ্যতে কী হবে, সেটা শুধু ঈশ্বরই জানেন।’
মেসি আরও বলেছিলেন, ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চান। তবে একবারও স্পষ্ট করেননি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন কি না। আগামী বছরের যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় হতে যাওয়া বিশ্বকাপে তাই মেসির খেলা নিয়ে কিছুটা সংশয় থেকেই গেছে।
আরও পড়ুন
হেনরিকে স্পর্শ করে গর্বিত এমবাপে |
![]() |
মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামির সহ-স্বত্বাধিকারী বেকহ্যামও এ আলোচনায় যোগ দিলেন ইনস্টাগ্রাম পোস্টে। তিনি লিখেছেন,
‘একজন বিশেষ মানুষের জন্য বিশেষ রাত। সবকিছু তিনি অর্জন করেছেন, তবুও সে আরও কিছু চান। নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য। গত রাতে আর্জেন্টিনা লিওকে যেভাবে সম্মান জানিয়েছে, সেটিই তাঁর প্রাপ্য ছিল…। অভিনন্দন লিও।’
২০০৫ সালে অভিষেকের পর থেকে আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। জাতীয় দলের হয়ে ১৯৪ ম্যাচে করেছেন ১১৪ গোল। বিশ্বকাপসহ জিতেছেন চারটি বড় শিরোপা।
আগামী বুধবার ইকুয়েডরের বিপক্ষে বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে থাকছেন না মেসি। এরপরই ফিরবেন ক্লাব ফুটবলে, ১৪ সেপ্টেম্বর ইন্টার মায়ামি এমএলএসে খেলবে শার্লটের বিপক্ষে।
ফ্রান্সের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হওয়াটা অনেক দিন থেকেই কেবল সময়ের ব্যাপার কিলিয়ান এমবাপের জন্য। সেই পথচলায় আরেকটি এগিয়ে ইউক্রেনের সাথে গোল করে থিয়েরি হেনরির পাশে বসেছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। যৌথভাবে ফরাসিদের জার্সিতে দুজন এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলের মালিক। এমবাপে বললেন, কিংবদন্তি হেনরির সাথে এক কাতারে জায়গা করে নিতে পেরে তিনি গর্বিত।
গত শুক্রবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ইউক্রেনের বিপক্ষে ফ্রান্সের ২-০ গোলে জয়ের ম্যাচে দ্বিতীয় গোলটি করেন এমবাপে। এই গোলের মধ্য দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে নিজের ৫১তম গোলটির দেখা পান তিনি। সমানসংখ্যক গোলের মালিক ফ্রান্সের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার হেনরিও। আর সবার ওপরে আছেন অলিভিয়ে জিরু (৫৭ গোল)।
ইউক্রেন ম্যাচের পর টিএফওয়ান-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমবাপে নতুন রেকর্ড নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানান। “টিটির (হেনরি) প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি এখন এমন মাপের একজন খেলোয়াড়ের পাশে বসেছি, যাকে দেখে আমরা বড় হয়েছি। এটা অনেক সম্মানের ব্যাপার, বিশেষ করে স্ট্রাইকারদের জন্য, কারণ তিনি আমাদের পথপ্রদর্শক। আমি তাকে অনেক সম্মান করি এবং খেলোয়াড় হিসেবে তার প্রতি আমার মুগ্ধতা আছে।”
ফ্রান্সের হয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপ জেতা এমবাপে ৫১ গোল করতে ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ৯১টি। অন্যদিকে হেনরির লেগেছিল ১২৩টি ম্যাচ। গত দুই বছরে চোট ও মাঠের বাইরে নানা ঘটনায় ম্যাচ মিস না করলে আরও কম ম্যাচ খেলেই এমবাপে হয়ত ছাড়িয়ে যেতে পারতেন হেনরিকে।
অনেক কম ম্যাচ খেলে হেনরিকে স্পর্শ করতে পেরে খুশি এমবাপে। “এত অল্প সময়ের মধ্যে ৫১ গোলে পৌঁছানো আমার কাছে স্বপ্নের মতো। আমি চালিয়ে যেতে চাই। তবে সবচেয়ে বড় কথা হল, আমি ম্যাচ ও শিরোপা জিততে চাই। সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটা খুব কাছাকাছি চলে এসেছে, কিন্তু এটা নিয়ে আমি খুব একটা ভাবছি না। তবে এটাও সত্যি যে, ফ্রান্সের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া একটা বিশাল ব্যাপার।”