চোটের কারণে একটা লম্বা সময় মাঠের বাইরে কাটানোর পর ফিরে লিওনেল মেসি কেমন করেন, সেটা নিয়ে সবার আগ্রহ ছিল বেশ। তাদের একেবারেই হতাশ করেননি ইন্টার মায়ামি অধিনায়ক। জোড়া গোলে দলের জয়ের নায়ক হয়েছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। পাশাপাশি নাম লিখিয়েছেন নতুন একটি রেকর্ডেও।
কোপা আমেরিকার ফাইনালে গোড়ালিতে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন মেসি। এরপর সেরে ওঠার প্রক্রিয়ায় মিস করেন ক্লাবের পাশাপাশি আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচও। এরপর বাংলাদেশ সময় রবিবার ভোরে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাবেক বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড। ছিলেন শুরুর একাদশেই।
তবে তার দলকে চমকে দিয়ে মাত্র ৫৯ সেকেন্ডেই লিড নেয় ফিলাডেলফিয়া। ২৬তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে লুইস সুয়ারেজের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সে প্রবেশ করে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন মেসি। ছয় মিনিট বাদে বাঁদিক থেকে জর্দি আলবার ক্রস থেকে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে দ্বিতীয় গোলটি করেন রেকর্ড ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলার।
😁🫂
— Inter Miami CF (@InterMiamiCF) September 15, 2024
Goal Celebration x @CaptainMorganUS pic.twitter.com/Q2VltNigbi
এর মধ্য দিয়ে এমএলএসে এই মৌসুমে ১৯ ম্যাচে মেসির নামের পাশে রয়েছে ১৫টি গোল ও ১৫টি অ্যাসিস্ট। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ লিগে ১৯ ম্যাচের পর ৩০টি গোলের সাথে যুক্ত থাকার তালিকায় এখন মেসিই সবচেয়ে দ্রুততম। দ্বিতীয় গোলটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ৮৪০তম গোল। ম্যাচে শেষ পর্যন্ত মায়ামি জেতে ৩-১ গোলে, ইনজুরি টাইমে অন্য গোলটি করেন সুয়ারেজ।
এই জয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সে শীর্ষস্থান আরও মজবুত হয়েছে মায়ামির। ২৮ ম্যাচে ১৯ জয়ে মেসিদের পয়েন্ট এখন ৬২।
১৫ জুলাই ২০২৫, ৪:৫২ পিএম
১৫ জুলাই ২০২৫, ৪:২২ পিএম
১৮তম জন্মদিন উদযাপনকে ঘিরে বিতর্কের মুখে পড়েছেন বার্সেলোনা তারকা লামিন ইয়ামাল। স্পেনের সামাজিক অধিকার মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, সেই অনুষ্ঠানে বামন বা উচ্চতায় ছোট আকৃতির মানুষদের বিনোদনের জন্য ভাড়া করা হয়েছিল, যা দেশটির প্রতিবন্ধী অধিকার আইনের লঙ্ঘন বলে বিশ্বাস তাদের।
ইয়ামাল গত ১৩ জুলাই ১৮ বছর বয়সে পা দিয়েছেন। এই উপলক্ষে তিনি বার্সেলোনার বাইরে এক প্রাইভেট পার্টির আয়োজন করেন। সেখানে আগে থেকেই আগত অতিথিদের ফোনে ভিডিও ধারণ নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু সেই অনুষ্ঠানের কিছু ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে একদল খর্বাকৃতির মানুষদের পার্টিতে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
এর প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে স্পেনের সামাজিক অধিকার মন্ত্রণালয়। তারা বিষয়টি নিয়ে স্পেনের পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস, অম্বাডসম্যান এবং হেট ক্রাইম দমন দপ্তরের কাছে তদন্তের আবেদন জানিয়েছে। এই ঘটনায় স্পেনের প্রতিবন্ধী অধিকার আইন – যেখানে স্পষ্টভাবে নিষেধ করা হয়েছে এমন কোনো শো বা প্রদর্শনী আয়োজনের, যা প্রতিবন্ধী মানুষদের নিয়ে উপহাস করে বা তাদের অবমাননা করে, লঙ্ঘন হয়েছে বলে দাবি তাদের।
তবে স্পেনের বামন ও এই ধরণের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের মতে, অহেতুক বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। তারা আরও বলেছে, এটি নৈতিকতা ও আইন বিরোধী কাজ, আর এজন্য তারা আইনি ও সামাজিক পদক্ষেপ নেবে।
অন্যদিকে পরিচয় গোপন রেখে ইয়ামালের জন্মদিনের পার্টিতে পারফর্ম করা এক ব্যক্তি আরএসিওয়ান-কে বলেছেন, কোনো অন্যায়ের শিকার হননি তারা।
“আমরা শুধু আমাদের কাজটাই করেছি, সবাই সেখানে আমাদের প্রাপ্য সম্মান দিয়েছে। এটা নিয়ে তো কারো কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আমাদের কাজ বিনোদন দেওয়া… আমরা নাচি, ম্যাজিক দেখাই, নানা ধরনের শো করি। আমাদের কেউ অপমান করেনি। এটা লামিন ইয়ামালের পার্টি ছিল বলেই এত কথা হচ্ছে।”
চেলসির শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে সম্প্রতি পর্দা নেমেছে ক্লাব বিশ্বকাপের। ৩২ দল নিয়ে প্রথমবার হওয়া এই টুর্নামেন্ট নিয়ে শুরু থেকেই চলেছে নানা সমালোচনা। অনেকেই এটিকে খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা মানতেই নারাজ৷ তবে এই দলে নেই লেভি কলউইল। চেলসি ডিফেন্ডার মনে করেন, ভবিষ্যতে এই টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চেয়েও বড় হয়ে উঠবে।
গত রবিবার নিউ জার্সিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে পিএসজিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে নেয় চেলসি। আগে প্রতি বছর হলেও এখন থেকে ক্লাব বিশ্বকাপ হবে চার বছর পরপর। ফলে ২০২৯ সাল পর্যন্ত চেলসির গায়েই থাকবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ক্লাবের তকমা।
নিন্দুকেরা সমালোচনা করলেও কলউইলের কাছে ক্লাব বিশ্বকাপের তাৎপর্যপূর্ণ অনেক বেশিই।
“কোনো সন্দেহ ছাড়াই এটাই আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ট্রফি। আমি মনে করি ক্লাব বিশ্বকাপ একদিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে। আর আমরা প্রথম দল হিসেবে এটি (৩২ দলের আসরে) জিতেছি, তাই এটা ঐতিহাসিক।”
ফাইনালে চেলসির জয়কে অনেকেই দেখছেন অঘটন হিসেবে। কারণ, প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ দশেও না থাকতে পারা দলটির সামনে ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সহ ঘরোয়া ট্রেবল জেতা পিএসজি। ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার ক্ষেত্রে দলটিকে পেছনে ফেলতে হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ, আতলেতিকো মাদ্রিদের মত দলকে। সেদিক থেকে বেশ সহজ পথ ধরেই ফাইনাল খেলে চেলসি।
পিএসজিকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে তাই কলউইলের স্বপ্নের পরিধিও বেশ বড় হয়ে গেছে এখন।
“আমি টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বলেছিলাম, আমরা এখানে জিততেই এসেছি। তখন লোকেরা ভাবছিল যে আমি পাগলের প্রলাপ বকছি। এবার আমি বলছি, আমাদের লক্ষ্য প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়। এই জয়টা একটা বার্তা দেওয়ার মতো ছিল। আমরা যদি ভবিষ্যতে ট্রফি জিততে পারি, তাহলে সবাই আমাদের প্রাপ্য সম্মানটা দেবে। তবে সেটা সময়ই বলে দেবে।”
পিএসজিকে রীতিমত দুঃস্বপ্নই উপহার দিয়েছে চেলসি। পারফরম্যান্সের বিচারে লুইস এনরিকের দল ছিল এগিয়ে, ম্যাচ শুরুর আগে প্রতিপক্ষ চেলসিকে নিয়ে ছিল না তেমন মাতামাতি। তবে মাঠের খেলায় ঠিকই নিজেদের কাজটা করে দেখিয়েছে এঞ্জো মারেস্কার দল। ৩-০ গোলের জয় নিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছে লন্ডনের ক্লাবটা। তাতে বেশ খুশি চেলসির জয়ের নায়ক কোল পালমার। যেই সমালোচনা তাদের জেঁকে ধরেছিল সেটার সবাব দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত এই ইংলিশ মিডফিল্ডার।
দলবদলে কাড়িকাড়ি অর্থ খরচ করলেও সাফল্য মিলছিল না চেলসির। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সাবেক ফুটবলার সব দিক থেকেই সমালোচনা শুনতে হচ্ছিল ব্লুসদের। ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জেতাটা তাই সমালোচকদের জন্য কড়া জবাব হিসেবেই দেখছেন পিএসজির বিপক্ষে জোড়া গোল ও এক অ্যাসিস্ট করে চেলসির জয়ের নায়ক বনে যাওয়া পালমার।
“এই অনুভূতিটা দারুণ। সবাই আমাদের নিয়ে সন্দেহ করেছিল ম্যাচের আগে, তবে আমরা নিজেদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। বেশ দারুণ একটা লড়াই করেছি, যেটা দল হিসেবে আমাদের জন্য ইতিবাচক।”
পালমারের দারুণ পারফরম্যান্সে তৃপ্ত কোচ মারেস্কা। তবে জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন পুরো দলকেই, “আমরা চেয়েছিলাম তাকে এমন জায়গায় রাখতে, যাতে সে আক্রমণভাগে আরও বেশি কার্যকারী হতে পারে। পালমার দারুণ খেলেছে, তবে পুরো দল যে প্রচেষ্টা দেখয়েছে তা চোখে পড়ার মতই ছিল।”
চলতি মৌসুমটা পিএসজি কাটিয়েছে স্বপ্নের মতই। প্রথমবারের মতো তারা জিতেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা, পেয়েছে ট্রেবল জেতার স্বাদও। ক্লাব বিশ্বকাপেও তারা ছুটেছে একই তালে। নয় জনের দল নিয়ে হারিয়ে দিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখকে, সেমিফাইনালে তো শক্তিশালী রিয়াল মাদ্রিদের জালে দিয়েছিল এক হালি গোল। তাতে ফাইনালে পরিষ্কার ফেভারিটের তকমাটা ছিল তাদের গায়েই। তবে ফাইনালে চেলসি পাল্টে দিয়েছে সব হিসেব-নিকেশ। উড়তে থাকা লুইস এনরিকের দলকে ৩-০ গোলে উড়য়ে দিয়ে নামিয়ে এনেছে মাটিতে।
নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে এদিন প্রথমার্ধেই পিএসজিকে ধসিয়ে দেয় চেলসি। ৪৩ মিনিটে তিন গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এঞ্জো মারেস্কার দল। দুটা গোল করেন কোল পালমার, অন্য গোলটা আসে জোয়াও পেদ্রোর কাছ থেকে।
পিএসজির হাই প্রেস পুরো আসর জুড়েই ভুগিয়েছে অন্য দলগুলোকে। তবে চেলসি সেটার জবাবটা দিয়েছে ঠিকঠাক। তাতে শুরু থেকে শেষ বল দখলে পিএসজি এগিয়ে থাকলেও সুযোগ তৈরি কিংবা আক্রমণ দুই দলই লড়েছে সমান তালে।
ম্যাচের ২২ মিনিটে চেলসি পায় প্রথম গোলের দেখা। চেলসি রাইট ব্যাক মালো গুস্তোর শট নিতে না পেরে পালমারকে বাড়িয়ে দেন। বক্সের মাথা থেকে বাঁ পায়ের নিচু শটে গোল করেন চেলসি মিডফিল্ডার। ৮ মিনিট পর সেন্টার ব্যাক লেভি কোলউইলের পাস পেয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে দৌড়ে পিএসজির বিপদসীমায় ঢুকে পড়েন পালমার। এবারও তাঁর বাঁ পায়ের শটে পরাস্ত দোন্নারুম্মা।
৪৩ মিনিটে অ্যাসিস্টের খাতায় নাম তোলেন আগের দুই গোল করা পালমার। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রো। কাউন্টার অ্যাটাকে তিনি পালমারের কাছ থেকে বল পেয়ে হালকা ড্রিবলিং করে আগুয়ান দোন্নারুমার মাথার ওপর দিয়ে পিএসজির জালে জড়িয়ে দেন। এ নিয়ে চেলসির হয়ে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে তৃতীয় গোল পেয়ে গেলেন পেদ্রো।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল করতে মরিয়া হয়ে উঠে পিএসজি। বেশ কিছু সুযোগও পায় তারা। তবে চেলসি গোলকিপার রবার্ট সানচেজের ছয় সেভ অক্ষত রাখে চেলসির জাল। শেষ দিকে ম্যাচে দেখা মেলে টানটান উত্তেজনার। ৮৫ মিনিটে চেলসি লেফট ব্যাক মার্ক কুকুরেল্লার চুল টেনে তাঁকে ফেলে দিয়ে লাল কার্ড দেখেন পিএসজির মিডফিল্ডার হোয়াও নেভেস। তাতে শেষ পর্যন্ত কোনো গোল হজম না করেই নতুন ফরম্যাটে শুরু হওয়া ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপাটা ঘরে তোলে চেলসি।
কথা ছিল এই সময়ে লিভারপুলের সাথে অনুশীলন করার। তবে দিয়াগো জতার মর্মান্তিক এক গাড়ি দুর্ঘটনায় পরপারে পাড়ি দেওয়ায় বদলে গেছে পুরো চিত্র। শোকের আবহে ইংলিশ ক্লাবটি এখনও পারছে না পর্তুগাল উইঙ্গারের অকাল প্রয়াণ। এরই মধ্যে তবুও শুরু করতে হচ্ছে নতুন মৌসুমের প্রস্তুতি। কোচ আর্নে স্লট জানালেন, জতাকে অনুপ্রেরণা মেনেই এই মৌসুমে খেলতে চান তারা।
স্পেনে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় গত ৩ জুলাই প্রাণ হারান জতা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভা। লিভারপুল স্কোয়াডের সাথে প্রাক-মৌসুমের প্রস্তুতি ক্যাম্পে অংশ নিতেই সড়ক পথে রওনা দিয়েছিলেন ২৮ বছর বয়সী জতা। সেই ঘটনার ১০ দিন পর রোববার প্রিসটনে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরছে লিভারপুল।
লিভারপুলের অফিশিয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চ্যানেলে আবেগঘন এক সাক্ষাৎকারে স্লট বলেছেন, জতাকে হারানোর ধাক্কা সামলে প্রস্তুতিতে ফেরা বেশ কঠিন ছিল তাদের জন্য। “আমি খেলোয়াড়দের বলেছি যে, এটা আসলেই কঠিন, কারণ এখানে কী বলা বা কী করা উচিত, সেটাই তো বুঝে ওঠা যায় না। আমরা কি আবার অনুশীলন শুরু করতে পারি? আগের মত হাসতে পারি? আবার কী কোনো ভুল সিদ্ধান্তে রেগে যেতে পারি?”
জতার মৃত্যুর পর লিভারপুল তাদের অনুশীলন পিছিয়ে দেয়। দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই পর্তুগালে অনুষ্ঠিত শেষকৃত্যে অংশ নেন। এরপর গত শুক্রবার ক্লাবটি ঘোষণা দেয়, চিরতরের জন্য অবসর নেওয়া হচ্ছে জোটার জার্সি নম্বর ২০।
গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ জেতা স্লট মনে করেন, জতার জন্যই তাদের সব পেছনে ফেলে সেরা ফুটবল খেলতে হবে।
“আমি তাদের বলেছি, সম্ভবত সেরা কাজ হল জতা যেভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দিত, সেভাবেই এটা মোকাবিলা করার। জতা সবসময় নিজের মতোই থাকত, সেটা যাই হোক না কেন। সে নিজের গতিতেই চলত। তাই আমরাও যেন নিজেদের মতো থাকি। হাসতে চাইলে হাসব, আবার কাঁদতে চাইলে কাঁদব।”