মোহামেডানের কাছে রহমতগঞ্জের হার আবাহনীর জন্য তৈরি করেছিল সুবর্ণ সুযোগ। জয় পেলেই পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বর জায়গাটা নিশ্চিত, এমন সুযোগ হাতছাড়া করেনি ধানমন্ডির ক্লাবটি। চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে বড় লাফই দিয়েছে।
এই জয়ে সাত ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে উঠে এসেছে আবাহনী। সমান ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মোহামেডান। আর তিনে থাকা রহমতগঞ্জের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১৫-তে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের অবস্থান টেবিলের পাঁচ নম্বরে। সাত ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৩। এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
আরও পড়ুন
‘ঢাকা ডার্বি’তে আবাহনীর জয়ে বাজছে মোহামেডানের বিদায়ঘণ্টা |
![]() |
শনিবার ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে আকাশী-নীলরা শুরুটা করেছে সাদামাটাই। আক্রমণ চালিয়ে গেলেও গোল পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪২ মিনিট পর্যন্ত। বিরতির আগ দিয়ে নিজের আদায় করা পেনাল্টি থেকে গোল করে আবাহনীকে এগিয়ে দেন ইব্রাহিম।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ধার বাড়ায় আবাহনী। যার ফল পেতে তাদের খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি। ৫২ মিনিটে এনামুল ইসলাম গাজির গোলে ব্যবধান বাড়ায় তারা। ৬৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পান ইব্রাহিম। শাহরিয়ার ইমনের পাস ধরে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন ইব্রাহিম। ৭১ মিনিটে আসাদুল মোল্লার গোলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
আরও পড়ুন
পুলিশকে উড়িয়ে দিল বসুন্ধরা, ফর্টিসে আটকা আবাহনী |
![]() |
আরও একটি হারে বেহাল দশা চলছে অব্যাহত রইল চট্টগ্রাম আবাহনীর। শেষ ম্যাচে ফেডারেশন কাপে ফকিরেরপুল ইয়াংম্যান্স ক্লাবের সাথে ড্র করলেও প্রিমিয়ার লিগে ফিরতেই আবারও হারই হয়েছে সঙ্গী। লিগে সাত ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই হার দেখেছে তারা। তাতে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান বন্দর নগরীর ক্লাবটির।
No posts available.
১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৪১ পিএম
ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসের মাথাব্যথার বড় কারণ এখন অবনমন ঠেকানো। সেরি’আতে ধুঁকতে থাকা ক্লাবটি আছে পয়েন্ট টেবিলের শেষের দিকে। এর মধ্যে দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার আছেন চোটে। ঘরের ছেলেকে তেমন একটা মাঠেই পায়নি সান্তোস। নেইমারের সঙ্গে নাকি এখন চুক্তিও নবায়ন করতে খুব একটা আগ্রহী নয় ব্রাজিলের ক্লাবটি।
জানুয়ারিতে আল হিলাল থেকে সান্তোসে যোগ দেওয়ার সময় নেইমারের প্রত্যাবর্তনকে যেন এক রূপকথার গল্পে রাজপুত্রের ঘরে ফেরা হিসেবেই দেখা হচ্ছিল। ব্যাপক উৎসহ আর উদযাপনের মধ্য দিয়েই দ্বিতীয় দফায় সান্তোসে ফিরেন নেইমার। স্বাভাবিকভাবেই সাবেক বার্সেলোনা তারকার কাছ থেকে ক্লাবটির আশাও ছিল আকাশছোঁয়া। তবে সে আশায় গুঁড়েবালি হয়, যখন একের পর এক চোট নেইমারকে ছিটকে দেয়।
ইএসপিএনের খবর অনুযায়ী, সান্তোসের পরিচালনা পর্ষদ এখনই নতুন চুক্তি চূড়ান্ত করতে আগ্রহী নয়। নেইমারের শারীরিক অবস্থা এবং তাঁর বিপুল বেতনের আর্থিক চাপ নিয়ে ক্লাবটির মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে নেইমারের বর্তমান চুক্তি। পূর্ণাঙ্গ অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন শেষ না হওয়া পর্যন্ত আলোচনা স্থগিত থাকবে।
চোটের আঘাতে বিপর্যস্ত নেইমার এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত মাত্র ২১ ম্যাচ খেলেছেন। ৬ গোলের সঙ্গে তিন গোলে সহায়তা করেছেন ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। সবশেষ গত ১৯ সেপ্টেম্বর ডান উরুর পেশিতে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে আছেন।
সান্তোস কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, আলোচনায় বিরতি দিলেও দুই পক্ষের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তাদের মতে, নেইমারকে আগে সম্পূর্ণ ফিট হতে হবে, তারপরই দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি নিয়ে আলোচনায় ফেরা সম্ভব।
সবকিছু ঠিক থাকলে নভেম্বরে মাঠে ফিরতে পারেন নেইমার। মৌসুম শেষ হওয়ার আগে নিজের গুরুত্ব প্রমাণের শেষ সুযোগ পেতে পারেন তিনি।
অবশ্য সান্তোসের জন্য নেইমারের বেতন এখন এক বড় বোঝায় পরিণত হয়েছে। বছর শুরুর দিকে যখন সাম্বা তারকা দারুণ ছন্দে ছিলেন, তখন ক্লাবটি গর্বের সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি চুক্তি নবায়নের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু ধারাবাহিক চোট ও অনিয়মিত পারফরম্যান্সের কারণে এখন ক্লাবের অগ্রাধিকার বদলে গেছে।
নেইমারের মতো উচ্চ বেতনের খেলোয়াড় রাখা কতটা যৌক্তিক সেটা নিয়েও আলোচনা করছে সান্তোস। দক্ষিণ আমেরিকায় নেইমারের বেতন অন্যতম সর্বোচ্চ। যদিও নেইমারের ফেরাটা বাণিজ্যিক দিক থেকে ক্লাবকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। জার্সি বিক্রি বেড়েছে, দর্শক উপস্থিতির সঙ্গে ক্লাবটির বৈশ্বিক আকর্ষণও বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক বিরতিতে ইতালি ও নরওয়ের বিপক্ষে ম্যাচে স্বাগতিক দর্শকদের রোষাণলে পড়ে ইসারায়েল সমর্থকরা। ইন্দোনেশিয়া বিশ্ব আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে তো দখলদার দেশটি সমর্থকদের ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আয়োজক দেশ। এবার ইউরোপা লিগের একটি ম্যাচেও নিষিদ্ধ হলো ইসরায়েলের দর্শকরা।
আগামী মাসে ইউরোপা লিগে অ্যাস্টন ভিলার মাঠ ভিলা পার্কে খেলবে ইসরায়েলের ক্লাব মাকাবি তেল আবিব। সেফটি অ্যাডভাইজরি গ্রুপ (এসএজি) অ্যাস্টন ভিলাকে জানিয়েছে, ম্যাচটি ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় কোনো সফরকারী দলের সমর্থককে স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
অ্যাস্টন ভিলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে যে, আগামী ৬ নভেম্বরের ইউরোপা লিগের হোম ম্যাচে কোনো প্রতিপক্ষ সমর্থক উপস্থিত থাকতে পারবে না। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি এক বিবৃতিতে জানায়,
‘অ্যাস্টন ভিলা নিশ্চিত করছে যে, সেফটি অ্যাডভাইজরি গ্রুপের নির্দেশ অনুসারে মাকাবি তেল আবিবের কোনো সমর্থক ভিলা পার্কে প্রবেশ করতে পারবে না।’
যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশ বলেছে, ‘বর্তমান গোয়েন্দা তথ্য ও অতীত ঘটনার আলোকে’ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ২০২৪ সালে ইউরোপা লিগে আয়াক্স ও মাকাবি তেল আবিবের ম্যাচ চলাকালীন আমস্টারডামে সংঘটিত সহিংসতা ও ঘৃণাজনিত অপরাধের ঘটনা। সেই ম্যাচ ঘিরে দাঙ্গার পর ডাচ পুলিশ ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল।
এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টার্মার। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী সমালোচনা করলেও ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশ তাদের সিদ্ধান্তে অনড় আছে। এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন,
‘আমরা ন্যায়সংগত ও নিরপেক্ষ আইন প্রয়োগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে জনগণের প্রতিবাদের অধিকার ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হয়। বিস্তারিত মূল্যায়নের পর আমরা অ্যাস্টন ভিলা ও মাকাবি তেল আবিবের মধ্যকার আসন্ন ম্যাচটিকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছি।’
ইউরোপা লিগে ২০২৫-২৬ মৌসুমে দুই ম্যাচের দু’টিতেই জয় পেয়েছে অ্যাস্টন ভিলা। ছয় পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছে এমিলিয়ানো মার্টিনেজের ক্লাব।
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নভেম্বরে সেনেগাল ও তিউনিশিয়ার বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ) নিজেদের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১৫ নভেম্বর এমিরেটস স্টেডিয়ামে সেনেগালের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। এরপর ১৮ নভেম্বর ফ্রান্সের লিলেতে হবে তিউনিশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ।
আরও পড়ুন
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার স্পন্সর ওয়ালটন |
![]() |
সম্প্রতি ফিফা উইন্ডোতে এশিয়ার দুই দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলেছে পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ীরা। কোরিয়ার বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানে জয়ের পর জাপানে গিয়ে হেরে বসে সেলসাওরা।
এবার দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি আফ্রিকার দুই দেশের বিপক্ষে লড়বে। বছর দুয়েক আগে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল ও সেনেগাল। সেবার হলুদ জার্সীধারীদের ৪-২ গোলে চমক দিয়েছিল সেনেগাল।
তিউনিশিয়ার সঙ্গে দুই বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে প্রতিবারই বড় জয় পেয়েছে ব্রাজিল। এবার উত্তর আফ্রিকার দেশটি নিজেদের আগের চেয়ে শক্তিশালী হিসেবে মাঠে নামতে চায়। ইতোমধ্যে আফ্রিকা অঞ্চলের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের বাছাই পেরিয়েছে তারা।
প্যারিস সেন্ট–জার্মেইর সোনালি সময়ের সাক্ষী ছিলেন জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা। ২০২৪–২৫ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে বড় ভূমিকা ছিল ইতালিয়ান গোলকিপারের। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বিশ্বের সেরা পাঁচ লিগের তিনটিতেই খেলার সুযোগ হয়েছে দেশটির নাম্বার ওয়ান গোলকিপারের।
২০১৫ সালে সিরি’আ লিগের জায়ান্ট ক্লাব এসি মিলানের হয়ে যাত্রা শুরু হয় দোনারুম্মার। মিলানে খেলেন সাত বছর। ইতালির ক্লাব থেকে যোগ দেন পিএসজিতে। লিগ আঁয়ে দারুণ সাফল্যের পর পা রাখেন তাঁর স্বপ্নের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতে। নতুন মৌসুমে ম্যানসিটির হয়ে এখন পর্যন্ত ৬টি ম্যাচে জার্সি জড়িয়েছেন দোনারুম্মা।
আরও পড়ুন
লিভারপুলের বিপক্ষে ফেরার অপেক্ষায় আর্নল্ড |
![]() |
প্রস্থান–প্রত্যাবর্তনের এই বাঁকে দোনারুম্মার জানা, কোন লিগ কেমন, কী প্রকৃতি–ধরণ। প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে চার ম্যাচের দুটিতে ক্লিনশিট রাখা এই তারকা গোলকিপার বলেছেন, সিরি’আ লিগ অন্য লিগগুলোর চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
চলতি মৌসুমের শুরুতে পিএসজি থেকে ম্যানসিটিতে যোগ দেওয়া দোনারুম্মা বলেন, ‘আমি বিভিন্ন লিগ থেকে ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি—লিগ আঁ থেকে প্রিমিয়ার লিগ পর্যন্ত। আমি মনে করি, অভিজ্ঞতা নেওয়ার দিক থেকে কোনো লিগই পিছিয়ে নেই।’
ইংলিশ ফুটবল নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে প্রথম মিনিট থেকে শেষ পর্যন্ত দৌড়ের ওপর থাকতে হয়। সেখানে (সিরি’আয়) সেটা নেই। তবে এটাকে ভালো বা খারাপ বলে মূল্যায়ন করা যাবে না।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ বা লা লিগার তুলনায় সিরি’আ কিছুটা ধীর গতির। তবে পাসিং, পজিশনিং ও রক্ষণ থেকে আক্রমণে রূপান্তর এখানে হয় অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে। সিরি’আ লিগের দর্শনটা হলো— ‘জেতাই আসল, গোল কতটা সুন্দর হলো সেটা নয়।’
২৬ বছর বয়সী দোনারুম্মা সিটির হয়ে এখন পর্যন্ত ৬টি ম্যাচে গোলপোস্টের নিচে দাঁড়িয়েছেন। এর মধ্যে চারটি প্রিমিয়ার লিগে, যেখানে দুটি গোল হজমের বিপরীতে দুটি ম্যাচে রেখেছেন ক্লিনশিট। এমনকি জাতীয় দলের হয়েও সর্বশেষ ম্যাচে ক্লিনশিট রেখেছেন তিনি।
এই মুহূর্তে দোনারুম্মার লক্ষ্য ২০২৬ বিশ্বকাপ। ২০১৬ সালে দেশের জার্সিতে বিশ্বমঞ্চে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। আগামী বিশ্বকাপে টিকিট নিশ্চিত করতে গ্রুপ পর্ব পেরোতে হবে আজ্জুরিদের। বাছাই পর্বে এখন পর্যন্ত ইতালি ভালোভাবেই এগোচ্ছে। প্রথম ম্যাচে নরওয়েকে ৩–০ ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার স্পন্সর ওয়ালটন |
![]() |
দোনারুম্মা বলেন, ‘জাতীয় দল পরের বিশ্বকাপে খেলবেই—এ ব্যাপারে আমার কোনো সন্দেহ নেই।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘অতীতের শিক্ষা তখনই অর্থবহ, যখন তুমি তা গ্রহণ করো। আমরা কাউকে হালকাভাবে নেব না, কাউকে ছোট করে দেখব না—ওটা অর্থহীন হবে।’ তবে দোনারুম্মার বিশ্বাস, ‘প্লে–অফ’ শব্দটা ইতালিকে ভয় দেখায় না। তাঁর ভাষায়, ‘নতুন ইতালি দলটা ঐক্যবদ্ধ। এটা কাজে লাগিয়ে আমরা সফল হব—এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’
এল ক্লাসিকোর আগে চিন্তা বাড়ল রিয়াল মাদ্রিদের। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে ডিফেন্ডার ডিন হুইসেনের খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম এএস।
৪ অক্টোবর ভিয়ারিয়াল ম্যাচে বাঁ পায়ের পেশিতে চোট পান হুইসেন। প্রাথমিকভাবে গুরুতর মনে না হলেও পরে ধরা পড়ে, তাঁর বাঁ-পায়ের মাংসপেশিতে হালকা ছিঁড় ধরেছে। চোটের কারণে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বুলগেরিয়া ও জর্জিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারেননি এই তারকা।
আগামী রোববার গেতাফের বিপক্ষে ম্যাচেও মাঠে নামতে পারবেন না হুইসেন। এল ক্লাসিকোর বাকি আর ৯ দিন, তার আগে এই ডিফেন্ডারকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না মাদ্রিদের ক্লাবটি।
আরও পড়ুন
লিভারপুলের বিপক্ষে ফেরার অপেক্ষায় আর্নল্ড |
![]() |
হুইসেন যদি সময়মতো ফিট না হতে পারেন, তাহলে কোচ জাবি আলোনসো সেন্টার ব্যাকে এদার মিলিতাওয়ের সঙ্গে খেলাতে পারেন আসেনসিওকে। বর্তমানে একাদশে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে তিনি ডেভিড আলাবার চেয়ে এগিয়ে আছেন।
চলতি মৌসুমে রিয়ালের হয়ে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন হুইসেন। এর মধ্যে লা লিগায় সাত চ্যাম্পিয়নস লিগে দুটি ম্যাচ খেলেছেন, মাঠে ছিলেন ৭৫১ মিনিট। ফলে এল ক্লাসিকোর মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁর অনুপস্থিতি রিয়ালের জন্য বড় ক্ষতি হতে পারে।
আগামী ২৫ অক্টোবর রিয়াল নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে খেলবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা।