১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৬:২০ পিএম

ভক্তরা মুখিয়ে থাকেন তাদের পছন্দের ফুটবলারের খেলায় মত্ত হয়ে থাকতে, তাঁর গোল করা দেখতে। কিন্তু নেইমার ভক্তদের জন্য এ যেন এক বিলাসীতা। যখন তাদের আকুল হয়ে চেয়ে থাকতে হয়--ব্যস, খেলুক বা না খেলুক, চোটে না পরুক নেইমার।
কিন্তু বলে না, যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধ্যে হয়। নেইমারের ক্ষেত্রেও তাই। মাঠে নামলেই কেন যেন চোটের কবলেই পড়তে হয় তাঁকে। বুধবার রাতে এক মাইলফলকের ম্যাচেও সেই দুঃখই সঙ্গী হলো তাঁর। সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরোতে তার শততম ম্যাচ। তাই মাঠে নেমেছিলেন ‘১০০’ নম্বর জার্সি গায়ে। অনেকটা দিন পর জায়গা করে নিয়েছিলেন শুরুর একাদশে। তাঁকে দেখতে মাঠে ছিল দর্শকের ভীড়, গ্যালারিতে ছিল উন্মাদনা। ম্যাচে দলের শুরুটাও ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু স্বপ্নময় সেই আবহ বদলে গেল দুঃস্বপ্নে। প্রথমার্ধেই নেইমারকে মাঠ ছাড়তে হলো অশ্রুসিক্ত চোখে।
আরও পড়ুন
| সাহসী ফুটবলে রিয়ালকে হারিয়ে সেমিতে আর্সেনাল |
|
চোট দুর্ভাগ্য নেইমারের নিত্যসঙ্গী হয়ে আছে সান্তোসেও। অনেক দিন বাইরে থাকার পর গত রোববার ফ্লুমিনেসির বিপক্ষে ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে ফেরেন তিনি। বুধবার আতলেতিকো মিনেইরোর বিপক্ষে তাঁকে শুরুর একাদশে রাখেন কোচ সেজার সাম্পাইয়ো।
নেইমারের ফিট থাকা নিয়ে সংশয় অবশ্য ছিল শুরু থেকেই। দুই উরুতেই মোটা করে টেপ পেচিয়ে নামতে দেখা যায় তাঁকে। মাঠেও খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না তিনি।
তাঁর দল অবশ্য ২৪ ও ২৭তম মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে। তবে ভুগতে থাকা নেইমার ৩৪ তম মিনিটের পর আর পারলেন না। বাঁ উরুতে হাত রেখে একটু খোঁড়াতে দেখা যায় তাকে। ডাগআউটের দিকে ইশারা করেন বদলির জন্য। উরু চেপে বসে পড়েন মাঠে। এতক্ষণ ধরে উল্লাস করতে থাকা গ্যালারিও তখন প্রায় নিশ্চুপ।
সান্তোসে নিজের ১০০ তম ম্যাচের দিনেও এমন করুণ, অসহায় পরিণতিতে কান্না ছাড়া আর কিছুই সঙ্গী হলো না নেইমারের। সেই কান্না তিনি চেপেও রাখতে পারেননি। তাঁর চোখ জোড়া অশ্রুসিক্ত হয়েছে মাঠেই। সতীর্থ ও প্রতিপক্ষ দুদিক থেকেই সকলে তখন নেইমরাকে স্বান্তনা দিচ্ছেন। শেষমেশ দুজনের সহায়তায় কার্টে বসে মাঠ ছাড়েন নেইমার। আর সে সময় গ্যালারি থেকে আসতে থাকে জোর করতালির আওয়াজ।
চোটে পড়ে আগেও নানা সময়ে চোখের পানিতে মাঠ ছেড়েছেন নেইমার। সৌদি আরবের আল-হিলাল থেকে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরে গিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার মাঠে নামেন তিনি। টানা সাতটি ম্যাচে খেলেন এই তারকা, আস্তে আস্তে তাঁর মাঠে থাকার সময় বাড়তে থাকে। তবে গত ২ মার্চ করিঞ্চাসের বিপক্ষে ম্যাচে আবার চোটে পড়ে বাইরে থাকেন ছয় সপ্তাহ।
আরও পড়ুন
| ইন্তার বাধায় শেষ আটেই থামল বায়ার্নের পথচলা |
|
মাঝে ব্রাজিল জাতীয় দলে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ওই চোটের কারণে মার্চের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। যে উরুর চোটের কারণে তিনি বাইরে ছিলেন, সেখানেই আবার সমস্যা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। চোটের ধরন কী বা কতটা গুরুতর, তা অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানানো হয়নি।
No posts available.
১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৪ এম

মহান বিজয় দিবস উদযাপনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনের পাশের টার্ফে আজ বসেছিল সাবেক তারকা ফুটবলারদের মিলনমেলা। প্রতিবারের মতো সাবেক পুরুষ ফুটবলারদের নিয়ে প্রদর্শনী ম্যাচ আয়োজিত হলেও, এবারই প্রথম সাবেক নারী ফুটবলারদের নিয়ে এমন আয়োজন করে বাফুফে। লাল ও সবুজ— দুটি দলে বিভক্ত হয়ে সাবেকরা মেতে ওঠেন প্রীতি ফুটবল উৎসবে।
নারীদের ম্যাচে লাল দলের বিপক্ষে সবুজ দলের জয় দল ১-০ গোলে। ৩০ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন শ্রাবণী, যিনি জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় না হলেও এই বিশেষ ম্যাচে অংশ নেন।
বিজয় দিবস প্রীতি ফুটবলে এদিন অংশ নেন নারী ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক খুরশিদা খাতুন খুশি, মাহমুদা খাতুন অদিতি, উম্মে হাফসা রুমকি, সুরভী আক্তার ও রেশমা খাতুনের মতো চেনা মুখেরা।
ম্যাচ শেষে বাফুফের আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সাবেক নারী ফুটবলার মাহমুদা খাতুন অদিতি বলেন,
'অনেক দূর-দূরান্ত থেকে, যেমন নারায়ণগঞ্জ, উত্তরা বা টঙ্গী থেকে অনেকে এসেছে। বাফুফের বর্তমান কমিটি ও প্রেসিডেন্টের (তাবিথ আউয়াল) ডাইনামিক চিন্তার কারণেই এই আয়োজন সম্ভব হয়েছে।'
পুরুষদের ম্যাচেও ছিল লড়াইয়ের ঝাঁজ। ছিল উত্তেজনাও। লাল দলকে ৪-২ গোলে হারিয়ে জয়ী হয় সবুজ দল। বয়সের ভার থাকলেও মাঠে সাবেক এই ফুটবলারদের স্কিল, পাসিং আর ট্যাকলিংয়ে ছিল সেই পুরনো দিনের ঝলক। লাল দলের ওয়ালী ফয়সালের বাঁ-পায়ের দুর্দান্ত ফ্রি-কিক এবং সবুজ দলের হয়ে ১০ নম্বর জার্সি গায়ে জাহিদ হাসান এমিলির খেলা দর্শকদের মুগ্ধ করে।
খেলা শেষে সাবেক তারকা ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি বলেন,
'বিজয় দিবস আমাদের জন্য বিশেষ দিন। এই দিনটার জন্য আমরা সবসময় অপেক্ষা করি। লাল ও সবুজ দলে ভাগ হয়ে খেলাটা আমাদের জন্য একটা মেলবন্ধন। যদিও সবুজ দল জিতেছে, কিন্তু লাল দলও ভালো খেলেছে। সব মিলিয়ে ম্যাচটা খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল।'
বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে এমিলি আরও বলেন,
'২০০৩ সালের পর ছেলেদের বড় কোনো অর্জন নেই, কিন্তু মেয়েরা পরপর দুটি সাফ শিরোপা জিতেছে। ২০২৬ সালে মেয়েরা এশিয়ান কাপ খেলবে, এটা আমাদের জন্য বড় দিকনির্দেশনা।'
প্রজন্মের মেলবন্ধনের এই ম্যাচ দেখতে মাঠের পাশে উপস্থিত ছিলেন রূপনা চাকমা, স্বপ্না রানী, তহুরা খাতুনের মতো বর্তমান জাতীয় দলের তারকা ফুটবলাররাও। বর্তমানরা দেখছিলেন তাঁদের পূর্বসূরিদের খেলা।
এ বিষয়ে অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলের কোচ ও সাবেক খেলোয়াড় উম্মে হাফসা রুমকি বলেন,
'বর্তমান খেলোয়াড়রা বসে খেলা উপভোগ করেছেন। তাঁরা জানতে পারলেন তাঁদের সাবেক খেলোয়াড়রা কেমন ছিলেন এবং কীভাবে খেলতেন। এটা তাদের জন্য একটা বড় অভিজ্ঞতার বিষয় ছিল।'
সাবেকদের অনুভূতি মাঠে এসে পুরনো সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে আবেগাপ্লুত ছিলেন অনেকেই। ৫৫ বছর বয়সী সাবেক ফুটবলার আরমান মিয়া বলেন,
'অনেক দিন পরে সবার সঙ্গে খেলতে এসে দেখা হওয়াটা ভালো লাগার বিষয়। আগে সবসময় দেখা হতো, এখন হয়তো বছরে একবার হয়। সোনালী অতীত ক্লাবের হয়ে আমরা মাঝেমধ্যে প্র্যাকটিস করি, কিন্তু এই ধরনের বড় আয়োজন খুব কমই দেখা যায়।'
দিনটি শুধুমাত্র একটি ফুটবল ম্যাচ ছিল না; এটি ছিল স্মৃতিচারণ, হাসি-কান্না আর পুরোনো সতীর্থদের পুনর্মিলনের এক অনন্য উৎসব। পরিবার-পরিজন নিয়ে আসা সাবেক ফুটবলাররা আশা প্রকাশ করেন, বাফুফে যেন প্রতি বছর এমন আয়োজনের ধারা অব্যাহত রাখে।

বাংলাদেশ ফেডারেশন কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েও জিততে পারেনি ফর্টিস এফসি; ড্র করে ১-১ গোলে। 'বি' গ্রুপে পরের ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে শেষ মুহুর্তের গোলে ড্র করে একই ব্যবধানে। অবশেষে তৃতীয় ম্যাচে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে বড় জয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট তুলে নিল মাসুদ পারভেজ কায়সারের দল।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় মঙ্গলবার ৪-০ গোলে জয় পেয়েছে ফর্টিস। তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডানকে টপকে শীর্ষে উঠলো ফর্টিস। মোহামেডানের পয়েন্ট চার। সাদা-কালোরা ম্যাচ খেলেছে অবশ্য দুটি। এক ম্যাচে এক পয়েন্ট বসুন্ধরা কিংসের। আর টানা দ্বিতীয় হারে গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে আরামবাগ।
বাংলাদেশ ফুটবল লিগের (বিএফএল) মতো ফেডারেশন কাপেও নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না আরামবাগ। ফেডারেশন কাপে এসেও ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি থাকলো দলটি।
এদিন আরামবাগের জালে ফর্টিসের গোল উৎসবের শুরু ২৬ মিনিটে। সতীর্থের ক্রস দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের জোরাল শটে দলকে এগিয়ে নেন ফর্টিসের জুম্মন হোসেন।
৩৩ মিনিটে পা ওমার বাবুর সফল স্পট কিকে ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। বক্সে গাম্বিয়ান এই ফরোয়ার্ড ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
৬৮ থেকে ৭৫, এই ৭ মিনিটের মধ্যে আরও দুই গোল হজম করে আরামবাগ। অনিয়েকাচি ওকাফোরের পর মোর্শেদ আলির লক্ষ্যভেদে সহজ জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ ফুটবল লিগেও আলো ছড়ানো ফর্টিস।

পাউলো দিবালা আর্জেন্টিনার এক হতাশার নাম। দারুণ প্রতিভা নিয়ে পেশাদার ফুটবলে পা রেখে নিজের জাতও চেনান। তবে চোট আর ধারাবাহীকতার অভাবে কোথাও নিজের খুঁটি গাড়ার সুযোগই হয়ে উঠেনি তাঁর। আসন্ন বিশ্বকাপে লিওনেল স্কালোনির আর্জেন্টিনা দলে কী নিজের জায়গা নিশ্চিত করতে পারবেন আলবিসেলেস্তা তারকা?
ফুটবল মহাযজ্ঞের আগে দিবালা অবশ্য খুঁজছেন নতুন ঠিকানা। ইতালির ক্লাব এ এস রোমার হয়ে খেলা এই ফরোয়ার্ড চলতি মৌসুম শেষ হলেই ফ্রি এজেন্ট হয়ে যেতে পারেন।
ইতালির সংবাদমাধ্যম ‘লা গাজেত্তা ডেলো স্পোর্ট’ জানিয়েছে, ২০২৬ সালের জুনে দিবালার রোমা ছাড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। কারণ ক্লাব তার চুক্তি নবায়নের বিষয়ে ভাবছে না। গুঞ্জন আছে রোমা ছেড়ে আর্জেন্টিনার ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে যোগ দিতে পারেন পাউলো দিবালা।
আরও পড়ুন
| স্টেগানকে রাস্তা মাপতে বললেন বার্সা কোচ |
|
চলতি মৌসুমে রোমার হয়ে লিগে ১০টি ম্যাচ খেলেছেন দিবালা। প্রায়ই চোটের সঙ্গে লড়াই করা আর্জেন্টিনার এই তারকা ফুটবলার মাঝে দারুণ ছন্দেও ছিলেন। গত অক্টোবরে টানা তিন ম্যাচে তিনটি গোলে অবদান রেখেছিলেন। এরপর আবারও বেরসিক চোট এসে হানা দেয়।
২২ দিন পর আবার মাঠে ফিরলেও আর গোল অ্যাসিস্ট পাননি দিবালা। সবশেষ ম্যাচ ছিলেন বেঞ্চে। তাতে তাঁর ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন আরো জোরালো হয়।
২০২২ সালের জুলাইয়ে রোমাতে নাম লেখানো দিবালা ইতালির ক্লাবটিতে মোট ১২৬ ম্যাচ খেলে ৪৪ গোল করেছন। এর আগে সাত বছর ছিলেন জুভেন্টাসে।

ছিলেন না ছন্দে, এরপর পড়লেন চোটের কারণে দীর্ঘ সময় ছিলেন মাঠেই বাইরে। চোট কাটিয়ে এখন পুরোপুরি ফিট। কিন্তু দলে হারানো জায়গা যে আর ফিরে পাওয়া হচ্ছে না মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগানের। বার্সেলোনায় তাঁর আর ভবিষ্যত দেখছেন না কাতালান ক্লাবটির কোচ হান্সি ফ্লিকও।
বার্সার গোলপোস্টের নিচে এখন নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেছেন স্পেনিওল থেকে যোগ দেওয়া জোয়ান গার্সিয়া। দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে আছেন ভয়েচেক সেজনি। ফলে স্টেগানের মাঠে কোনো সুযোগই থাকছে না। আজ রাতে কোপা দেল’রের ম্যাচে বিশ্রামে থাকবেন গার্সিয়া। তাঁর পরিবর্তে নাকি সেজনিকেই দেখা যেতে পারে গোলপোস্ট সামলানোর দায়িত্বে।
বার্সেলোনার কোচ হানসি ফ্লিক জানিয়েছেন, মার্ক-আন্দ্রে তের স্টেগেনকে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জার্মান এই কোচ আবারও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, জোয়ান গার্সিয়াই এখন ক্লাবের প্রথম গোলকিপার।
সংবাদ সম্মেলনে ফ্লিক বলেছেন, ‘এটা তার নিজের সিদ্ধান্ত। আমরা তার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছি। আমি মার্ককে অনেক সম্মান করি, কারণ তিনি একজন অসাধারণ গোলরক্ষক। আমাদের জন্য তিনি একজন দারুণ খেলোয়াড় এবং দলের জন্যও একজন ভালো মানুষ। কিন্তু শেষ সিদ্ধান্ত তারই—তিনি নিজে ঠিক করবেন।’
আরও পড়ুন
| উড়তে থাকা আর্সেনাল নতুন বিপাকে |
|
৩৩ বছর বয়সী টের স্টেগেন সবশেষ মৌসুমে কেবল নয়টি ম্যাচ খেলেছেন। হাঁটুর চোট তো ছিলই এরপর পিঠের সমস্যার জন্য অস্ত্রোপচার করানোর কারণে চলতি মৌসুমের শুরুতেও মাঠে বাইরে থাকতে হয়েছে জার্মান গোলকিপারকে।
স্টেগেন ২০১৪ সালে বরুশিয়া মোনচেনগ্লাডবাখ থেকে বার্সেলোনায় যোগদানের পর ৪২২ ম্যাচ খেলেছেন, জিতেছেন ১৭টি ট্রফি।
আজ কোপা দেল’রে তে স্প্যানিশ লিগের চতুর্থ সারির দল গুয়াদালাজারা বিপক্ষেও স্টেগানের খেলা অনিশ্চিত। ফ্লিক জানিয়েছেন, গার্সিয়াকে বিশ্রাম দেওয়া হবে, কারণ রবিবারের লা লিগা ম্যাচে ভিলারিয়ালের বিরুদ্ধে খেলা হবে। তবে তিনি এখনও সিদ্ধান্ত নেননি যে এর ফলে মাঠে সুযোগ পাবেন স্টেগেন নাকি ভয়েচেক সেজনি, ‘জোয়ান বিশ্রাম নেবে। কিন্তু আজই খেলোয়াড়দের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিন নয়। আমি চাই কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। অবশ্যই, মার্ক একজন অসাধারণ গোলকিপার। আমাদের কাছে তিনজন চমৎকার গোলকিপার আছে। আমি এ বিষয়ে খুবই খুশি। দেখা যাক কি হয়।’
সবশেষ মৌসুমে ঘরোয়া ট্রেবল জিতে বার্সা। অবসর থেকে ফিরে স্প্যানিশ জায়ান্টদের গোলপোস্টের সামলানোর দায়িত্ব নেন সেজনি। ক্যাম্পের ন্যূ এর ক্লাবটির সাফল্যে দারুণ অবদান ছিল জুভেন্টাসের সাবেক এই গোলকিপারের। সেজনির প্রশংসা করতে তাই ভোলেননি ফ্লিক, ‘আমি আগে যা বলেছি তা স্পষ্ট: জোয়ান এখন এক নম্বর গোলকিপার। সেখান থেকে আমরা দেখব কী হয়। তেক (সেজনি) গত মৌসুমে অসাধারণ খেলেছে, তাকে নিয়ে আমরা তিনটি ট্রফি জিতেছি। এছাড়া, এই মৌসুমেও জোয়ান যখন চোটে ছিলেন, তেক আমাদেরকে স্থিতিশীলতা দিয়েছেন। আমার কাছে তেক শুধু মাঠেই নয়, ড্রেসিং রুমেও গুরুত্বপূর্ণ—দলের জন্য একজন সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।’

অনেক সময় জয় চাপা পড়ে পারিপার্শ্বিক ইস্যুতে। আর্সেনালের ক্ষেত্রেও ঘটেছে ঠিক তেমনটাই। গতকাল প্রিমিয়ার লিগে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে ২–১ গোলে জয় তুলে নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও ম্যাচটিতে চোটে পড়েছেন দলের অভিজ্ঞ রাইটব্যাক বেন হোয়াইট।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে ৩১ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন হোয়াইট। আর্সেনাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইংলিশ এই ডিফেন্ডারকে কমপক্ষে এক মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে।
সম্প্রতি চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছিলেন হোয়াইট। আগের চোটের কারণে তিনি প্রায় ২৩ দিন রিহ্যাবে ছিলেন এবং তিনটি ম্যাচ মিস করেছেন। সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই আবারও চোটে পড়লেন। চলতি ২০২৫–২৬ মৌসুমে গানারদের জার্সিতে ১১টি ম্যাচ খেলেছেন হোয়াইট।
এমনিতেই আর্সেনালে চোট সমস্যা বেশ প্রকট। তার মধ্যেই হোয়াইটের নাম যুক্ত হলো তালিকায়। আন্তর্জাতিক বিরতিতে ব্রাজিলের হয়ে খেলতে গিয়ে উরুর মাংসপেশিতে চোট পান গ্যাব্রিয়েল মাগালহায়েস। তিনি বর্তমানে রিহ্যাবে আছেন এবং এ বছর মাঠে ফেরার সম্ভাবনা কম।
আরেক ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ান মোসকেরা গোড়ালির চোটে ভুগছেন। ফলে তিনি ২০২৬ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত মাঠের বাইরে থাকবেন। তবে চোট কাটিয়ে ইতোমধ্যে উইলিয়াম সালিবা ও জুরিয়েন টিম্বার দলে ফিরেছেন।
শনিবার প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ এভারটন। এরপর ২৩ ডিসেম্বর কারাবাও কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রিস্টাল প্যালেসের মুখোমুখি হবে মিকেল আর্তেতার দল।
প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে দুই পয়েন্ট এগিয়ে আছে আর্সেনাল। এখন পর্যন্ত ১৬ ম্যাচে ১১টি জয়, ৩টি ড্র এবং ২টি ম্যাচ হেরেছে।