
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের আশা পূরণ করলেন কুলসুম আক্তার মনি। এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের কম্পাউন্ড নারী এককে ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি।
আর্মি স্টেডিয়ামে আজ সেমিফাইনালে ভারতের প্রীতিকা প্রদীপের মুখোমুখি হন কুলসুম। ১৪৬-১৪৫ স্কোরে হেরে যাওয়ায় ফাইনালে উঠতে পারেননি বাংলাদেশের এই আর্চার।
ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে কুলসুমের প্রতিপক্ষ হন চায়নিজ তাইপের সি ইয়ু চেন। দারুণ লড়াইয়ে শেষ সেটে গিয়ে পদক নিশ্চিত করেন কুলসুম। ১৪৫-১৪৪ স্কোরে জয় পান তিনি।
আরও পড়ুন
| মাঠ ছেড়ে হাসপাতালে হকির রোমান |
|
পদক জেতার পর কুলসুম বলেছেন,‘দিনের শেষটা খুব ভালো হয়েছে আমার। আমি কিন্তু প্রথমে ভয় পেয়ে যাই। ভেবেছিলাম হয়তো বা কিছুই পাবো না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি। আমি ফিনিশিং সুন্দর করেছি। এটা আর্চারি খেলা। কখন কি হয়ে যায় বলা যায় না। প্রথমে আপসেট হয়ে যাই, তখন মনে হচ্ছিল আর পারলাম না। ও (প্রতিপক্ষ আরচ্যার) যখন আট মারে তখন আমি সম্ভাবনা দেখি। আমি চাইনি সে আট মারুক। তবে পদক জিতে সত্যি অনেক খুশি। আমার লাইফে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি আজ।'
এই ইভেন্টে সোনা জেতেন ভারতের জ্যোতি সুরেখা ভেন্নাম। তাঁর কাছে ১১৮-১১৬ ব্যবধানে হেরে রুপা পান প্রদীপ।
এর আগে কম্পাউন্ড মিশ্র দলীয় ইভেন্টে রুপা পেয়েছে বাংলাদেশ। সোনা জয়ের লড়াইয়ে ভারতের দীপশিখা ও অভিষেক ভার্মার কাছে ১৫৩-১৫১ ব্যবধানে হেরেছেন বাংলাদেশের বন্যা আক্তার ও হিমু বাছাড়। এ নিয়ে ঘরের মাঠে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে দুটি পদক পেল বাংলাদেশ।
No posts available.
১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৯:০২ পিএম
১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৩:২২ পিএম
১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৯ এম

গতকাল এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের জয়ের খরা কাটিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ বাঁশির পর উল্লাসে ফেটে পড়ে স্বাগতিক দলের খেলোয়াড় থেকে স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে শুরু থেকে ছিলেন সমিত সোম। জয় উদযাপনে তাঁকে ড্রেসিং রুমে নাচতেও দেখা গেছে। আজ পরিবার–আত্মীয়দের সঙ্গে সময় কাটাতে নিজ এলাকা শ্রীমঙ্গলে গেছেন সমিত।
সমিত সেখানে স্থানীয় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দলের জয়, নিজ এলাকা, দেশের ফুটবলের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন।
জয়ের অনুভূতি জানাতে গিয়ে সমিত বলেন,
‘আমার জন্য খুব স্পেশাল মোমেন্ট। দেশের খেলোয়াড়, সমর্থক, মিডিয়ার জন্যও খুব স্পেশাল। অনেক খুশি যে, এতদিনের জয় খরা ভাঙতে পারলাম। এটা ছিল আমাদের বছরের শেষ ম্যাচ, শেষটা ভালোভাবে করতে পেরেছি। আত্মবিশ্বাস ছিল যে ম্যাচটা জিতব, আর সেটাই হয়েছে।’
কানাডার ক্লাব ক্যাভালরি এফসিতে খেলেন সমিত। লিগটিতে এখন বিরতি চলছে। শ্রীমঙ্গল যাত্রা নিয়ে সমিত বলেন,
‘শ্রীমঙ্গলে আসার পরিকল্পনা ছিল আগে থেকেই। এখন আমাদের সিজন শেষ, তাই এটা ভালো সময়। আগেই জানতাম নভেম্বরে আসব।’
নিজ এলাকার তরুণদের নিয়েও সমিত বলেন,
‘আমার মনে হয় এখান থেকে খেলোয়াড় উঠে আসতে পারবে। যদি কঠোর পরিশ্রম করে, ভালো ট্রেনিং করে- তাহলে নিশ্চয়ই সুযোগ আসবে। আশা করি এখানকার দুই–তিনজন ভবিষ্যতে জাতীয় দলে ঢুকতে পারে।’
বাংলাদেশ দলের পরিবেশ, ভবিষ্যৎ ও তরুণদের ভূমিকা নিয়েও আশাবাদী এই মিডফিল্ডার,
‘দলের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কেমিস্ট্রি আরও ভালো করতে চাই। আমাদের যে টিম আছে খুব ভালো করতে পারি ভবিষ্যতে। অনেক কম বয়সী খেলোয়াড় আছে, যারা সামনে বড় ভূমিকা রাখবে। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ ফুটবল আরও ওপরে উঠবে।’

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ নৈশভোজে অংশ নেন পর্তুগাল ফুটবলের রূপকার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এ সময় তাঁর সঙ্গী ছিলেন বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ। নৈশভোজে সৌদি যুবরাজ সালমান ছাড়াও টেসলা ও এক্সের মালিক ইলন মাস্ক, ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মর্গানকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন রোনালদো। এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে আল নাসর ফরোয়ার্ড বলেছিলেন,
‘যদি পৃথিবী শান্তিতে থাকে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি এমন একজন মানুষ যিনি পৃথিবীকে বদলাতে বা পরিবর্তনে সাহায্য করতে পারেন। আর এটিই আমার মূল লক্ষ্য – ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করা এবং বিশ্ব শান্তি নিয়ে কথা বলা। যদি এটা সম্ভব হয়, তিনি এমন একজন যাঁর সঙ্গে আমি সত্যিই বসে কথা বলতে চাই।’
রোনালদোর সে ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। হোয়াইট হাউসে সিআরসেভেনকে আমন্ত্রণ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সে দাওয়াতে আজ সস্ত্রীক উপস্থিত হন রোনালদো। সেখানে পর্তুগিজ ফুটবলারের সঙ্গে নিজের ছোট ছেলে ব্যারন ট্রাম্পের পরিচয় করিয়ে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি রোনালদোর বড় ভক্ত।
ট্রাম্প জানান, তাঁর ছোট ছেলে ব্যারন রোনালদোর সঙ্গে দেখা করতে পেরে খুবই উত্তেজিত। রোলানদোর উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেছেন,
“ব্যারন ওর সঙ্গে দেখা করতে পেরেছে। আশা করি ও এবার থেকে বাবাকে একটু বেশি সমীহ করবে। কারণ ওর সঙ্গে তোমার দেখা করিয়ে দিতে পেরেছি।”
এ সময় হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে অনুষ্ঠিত নৈশভোজে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান ট্রাম্প।
ব্যারন ফুটবলপ্রেমী। ট্রাম্পের আরেক সন্তান ট্রাম্প জুনিয়র এর আগে ডিসি ইউনাইটে খেলেছেন। ২০১৮ সালে তখন ওয়েন রুনি ক্রিসমাস পার্টিতে দাওয়াত দেন ট্রাম্প। সেখানে তাঁর সন্তানকে ফুটবল বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
ওয়েন রুনির স্ত্রী কোলেন সে পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন। সে সময়কার ঘটনা উল্লেখ করেন সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন,
‘‘আমাকে দেখিয়ে নিজ ছেলেকে ট্রাম্প বলতে থাকেন, ‘দেখছিস, সব ফুটবলারদের স্ত্রী সুন্দরী হয়।’’

অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের রাউন্ড অব ৩২-এ টাইব্রেকারে প্যারাগুয়েকে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ব্রাজিল। রাউন্ড অব-১৬ তেও পেনাল্টি শুট আউটেই জিতল ব্রাজিলের যুবারা।
অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে গতকাল ফ্রান্সের বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে সমতায় শেষ হয় খেলা। এরপর টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে ফরাসি যুবাদের হারিয়ে শেষ আটে পৌঁছে যায় সেলেসাও যুবারা। আগামী শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ মরক্কো।
কাতারের এম্পায়ার জোনে ৩৩ রেমি হিমবার্টের গোলে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালের পথেই ছিল ফ্রান্স। ওই এক গোলে নিয়েই জয়ের দিকে এগোচ্ছিল তারা। তবে শেষ মুহূর্তে ব্রাজিলের সমতাসূচক গোল তাদের সব আশা ভেঙে দেয়। ৮৯ মিনিটে পিয়েত্রো তাভারেসের গোলে সমতায় ফিরে ব্রাজিল।
এরপর আর কোনো দল গোলের দেখা না পেলে ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে। যেখানে ফ্রান্সের খেলোয়াড়রা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়টাতে ঠিকঠাক শট নিতে ব্যর্থ হয়। ফ্রান্সের নেওয়া প্রথম শটটি রুখে দেয় ব্রাজিলের গোলকিপার জোয়াও পেদ্রো। বিপরীতে প্রথম তিনটি শটই জালে পাঠায় ব্রাজিল। ব্রাজিল মিস করে চতুর্থ শট। তবে পঞ্চম শট নিতে আসা ফ্রান্সের মিলান লিসিসে লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হওয়ায় শেষ হাসি হাসে ব্রাজিলের যুবারাই।
অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের অন্য ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে ৫-০ গোলে বড় জয় পাওয়া পর্তুগাল শেষ আটে মুখোমুখি হবে সুইজারল্যান্ডের। ইংল্যান্ডকে ৪-০ গোলে হারানো অস্ট্রিয়া খেলবে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে জেতা জাপান। ইতালির প্রতিপক্ষ বুরকিনো ফাসো।

নিজেদের মাঠে খেলার অনুভূতি এতদিনে ভুলে বসার কথা তাদের। ঘরের মাঠে সবশেষ ২০২১ সালে খেলার স্বাদ পাওয়া দেশটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতেই খেলতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে স্বপ্ন ছুঁতে কোনো অজুহাতের ধার ধারেনি তারা। বিদেশের মাটিতে খেলেই দীর্ঘ ৫২ বছর পর বিশ্বকাপে উঠল হাইতি।
কুরাসাও এর স্টেডিওন এরজিলো হাতোতে আজ হন্ডুরাসের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে বিশ্বকাপের টিকিট কাটে হাইতি। ১৯৭৪ সালের পর প্রথমবারের মতো ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ নামের টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশটি। হাইতির হয়ে গোল করেন রুবেন প্রভিডেন্স এবং লুইসিয়াস ডিডসন।
কনক্যাকাফ অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে গ্রুপ ‘সি’ থেকে ছয় ম্যাচে ৩ জয়, ২ ড্র ও এক হারে ১১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে শেষ করেছে হাইতি। পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে থাকা হন্ডুরাস দুই পয়েন্ট কম নিয়ে দুই নম্বরে অবস্থান করছে।
গ্যাং সহিংসতা ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতায় ক্ষতিগ্রস্ত এই ফুটবলপ্রিয় দেশ হাইতি। গ্যাং সহিংসতায় অনিরাপদ এক দেশ হয়ে উঠেছে উত্তর আমেরিকার দেশটি। তাতে ঘরের মাঠের সব ম্যাচই তাদের খেলতে হয়েছে নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে। তবে ফুটবলকে হৃদয়ে ধারণ করেসব প্রতিকূলতাকে শেষ পর্যন্ত জয় করেছে হাইতি।
হাইতির ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ড. জোসেফ ডুরানডিস ঐতিহাসিক দিনে মাঠেই উপস্থিত ছিলেন। তাঁর চোখে মুখে তখন অবিশ্বাসের ছাপ,
‘বায়ান্ন বছর! আমরা ফিরে এসেছি। আপনি কি বিশ্বাস করতে পারেন? কঠিন দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া একটি দেশ, আমরা বিশ্ব মঞ্চে ফিরে আসার শক্তি খুঁজে পেয়েছি… সব প্রতিকূলতার পর, হাইতি আবারও বিশ্বকাপের মঞ্চে।’
ঠিক একদিন আগেই ছিল হাইতির স্বাধীনতা দিবস। সেই ঐতিহাসিক তাৎপর্যও স্মরণ করিয়ে ডুরাসডিস বলেন,
‘নভেম্বর ১৮, ভার্টিয়ার্স যুদ্ধের ২২০ বছর পরে, হাইতি ফিরে এসেছে। আমরা আরেকটি যুদ্ধ জিতেছি, এবার ফুটবল মাঠে… এই দেশ মরতে পারে না, এই দেশ কখনো মরতে পারবে না। হাইতি ফিরে এসেছে!’
হাইতির গ্রুপে ছিল শক্তিশালি সব দল। তবে ‘লেস গ্রেনেডিয়াররা’ পরোয়া করেননি। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালিস্ট কোস্টারিকা, বিশ্বকাপে তিনবারের অংশগ্রহণকারী হন্ডুরাস, এবং দারুণ ফুটবল খেলা নিকারাগুয়েকে পেছনে ফেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে হাইতি।

বিশ্বকাপে দল সংখ্যা বাড়ার বদৌলতেই কিনা একের পর এক ইতিহাসের স্বাক্ষী হচ্ছে ফুটবলবিশ্ব। কদিন আগেই জনসংখ্যার হিসাবে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে কেপ ভার্দে। এবার ৪৮ দলের বিশ্বকাপে ইতিহাস লিখল কুরাসাও। বিশ্বের সবচেয়ে ছোটো দেশ হিসেবে বিশ্বসেরার মঞ্চে দেখা যাবে উত্তর আমেরিকার এই দেশকে।
গত শুক্রবার রাতে হ্যামিল্টনে বারমুডাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপে এক পা দিয়েই রেখেছিল কুরাসাও। আজ জ্যামাইকার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে পৌঁছে যায় কনক্যাকাফ অঞ্চলের দেশটি।
কুরাসাওয়ের জনসংখ্যা মাত্র ১ লাখ ৫৬ হাজার এবং আয়তন মাত্র ৪৪৪ বর্গকিলোমিটার। এর আগে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে ছোট দেশের স্বীকৃতি নিজেদের করে নিয়েছিল কেপ ভার্দে (৪০০০ বর্গকিলোমিটার)।
কনক্যাকাফ অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে গ্রুপ ‘এইচ’ থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে শেষ করেছে কুরাসাও। ছয় ম্যাচে ৩ জয় ও ৩ ড্রয়ে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে তারা। দুই নম্বরে থাকা জ্যামাকার পয়েন্ট ১১।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কুরাসাও প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর বিপক্ষে। ম্যাচটি ছিল গোলশূন্য ড্র। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা বারমুডার বিপক্ষে ৩-২ এবং তৃতীয় ম্যাচে জ্যামাইকার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয় পায়।
চতুর্থ ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করে কুরাসাও। এরপর বারমুডাকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করার পর জ্যামাইকার বিপক্ষে ড্রয়ে স্বপ্ন স্পর্শ করে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশটি।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ঠিক উত্তরে, ক্যারিবিয়ান সাগরে অবস্থিত কুরাসাও। অবশ্য ভৌগোলিকভাবে দক্ষিণ আমেরিকার পাশে হলেও তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কনক্যাকাফ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে। দেশটি মূলত দুটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। একটি হলো কুরাসাও মূল দ্বীপ এবং অন্যটি জনবসতিহীন ‘লিটল কুরাসাও’।
কুরাসাওকে বিশ্বকাপে পৌঁছে দেওয়ার প্রধান দুই নায়ক কোচ ডিক অ্যাডভোকাট ও ফরোয়ার্ড জেরভেন কাস্টনিয়ার। এর আগে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম রেঞ্জার্স ও সান্ডারল্যান্ডের মতো ক্লাবের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন কোচ অ্যাডভোকেট। আর ২৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড বাছাইপর্বের পাঁচটি ম্যাচে ৫ গোল করেছেন।