৯ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৫৬ পিএম
এএফসি এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ-হংকং, চায়না ম্যাচ ঘিরে জাতীয় স্টেডিয়াম পাড়ার উৎসব আমেজ একটা পর্যায়ে রূপ নেয় ভোগান্তিতে। স্টেডিয়ামের চার নম্বর মুল গেটের সামনে বাঁশের তৈরি বাধ ভেঙে অনুপ্রবেশ করেন হাজারো দর্শক। এর আগে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচেও এমন ঘটনা ঘটে।
আজ বাফুফের নির্ধারিত সময়ে গেট খুলে দেওয়ার পর সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। নির্বিঘ্নে ঢুকছিলেন সমর্থকেরা। বিপত্তি বাধে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর। দর্শকদের একটা অংশ ভেঙে ফেলেন চার নম্বর মুল গেটের সামনে বাশের তৈরি বাধ। এদের অনেকের কাছে ছিল না টিকিট। মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
চার নম্বর গেটের সামনে থাকা টিকিট চেকিং কাউন্টার ভেঙে ফেলা হয়। সর্বোচ্চ চেষ্টা চালান নিরাপত্তাকর্মীরা। জনসমুদ্রের সামনে হাতে গোনা নিরাপত্তাকর্মীরা ছিলেন নিরুপায়। সুযোগ কাজে লাগিয়ে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়েন অনুপ্রবেশকারীরা।
চার নম্বর গেট পার হলে গ্যালারিতে ঢোকার ১১-১৫ নম্বর গেটের শাটার নামিয়ে ভেতরে বসে থাকতে দেখা যায় কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে। বাইরের দিক থেকে একের পর এক আওয়াজ আর গেট ভাঙার শব্দে ভীত হয়ে পড়েন তারা।
প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বেশ ঘাবড়ে পড়েন পরিবার নিয়ে খেলা দেখতে আসা দশর্করা। বাচ্চা নিয়ে বিপদে পড়েন অনেকেই। ভীত হয়ে কাঁদতেও দেখা গেছে তাদের। নারীরাও ছিলেন অসহায়। জনস্রোতের মুখে অনেককে হেনস্তার শিকার হতে দেখা যায়।
টিকিট ছাড়াই ঢুকে পড়ছেন অনেকেই- বিষয়টি মানতে পারেননি যারা বাংলাদেশ-হংকং, চায়না ম্যাচের টিকিট কেটেছেন। বহু সংগ্রামের পর আরধ্য টিকিট কাটতে হয়েছিল তাদের। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে কয়েকজনকে দেখা গেল টিকিট ছিঁড়ে ফেলতে।
পূর্বের ভুল যেন না হয় এবার একটু বেশিই সতর্ক ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বাফুফের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছিল বেশ কিছু উদ্যোগ। আসন বিন্যাস, নির্দিষ্ট গ্যালারিতে বসা ছাড়াও বেশ নিয়ম বেধে দেওয়া হয়েছিল আগত দর্শকদের।
দশর্করা যাতে ম্যাচ নির্বিঘ্নে দেখতে পারেন সে জন্য টিকিট চেকিং কাউন্টারে কাজ করেন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের প্রায় শতাধিক কর্মী। বিকেলে ৫টা নাগাদ প্রাথমিক ধাপে টিকিট দেখেই ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। এরপর টিকিট স্ক্যান করা হলে প্রত্যেকের হাতে পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রিস্টব্যান্ড। সেটা দেখিয়ে নিজ নিজ গ্যালারিতে ঢুকছেন ফুটবলপ্রেমিরা। তবে ম্যাচের ঠিক এক-দেড়ঘণ্টা আগে সে দৃশ্যপট বদলে যায়।
No posts available.
অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে টমাস টুখেলের ইংল্যান্ড দলেও জায়গা হয়নি জুড বেলিংহামের। দল ঘোষণার সময় টুখেল জানিয়েছিলেন, ছন্দহীন ও পূর্ণ ফিট না থাকায় তাঁকে এবার বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। যদিও ইংল্যান্ড কোচ স্পষ্ট করেছেন, বেলিংহাম এখনো বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারদের একজন, তবে তাঁকে ছন্দ ফিরে পেতে কিছুটা সময় প্রয়োজন।
ক্লাবে অনিশ্চয়তা ও জাতীয় দলে অনুপস্থিতি—এই দুইয়ের মিশ্রণে এক অনিশ্চয়তার সময় পার করছেন বেলিংহাম। কিছুদিন আগেও রিয়াল মাদ্রিদ ও ইংল্যান্ড—দুই দলেরই অপরিহার্য সদস্য হিসেবে ছিলেন।
গোল ডটকম ও ওয়ান ফুটবলের প্রতিবেদন, রিয়াল মাদ্রিদের ২০২৬ অফিশিয়াল ক্যালেন্ডার থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে বেলিংহামকে। এটি প্রতীকী, কিন্তু অর্থবহ, যা ক্লাবের ভেতরে তাঁর অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ২০২৫ ক্যালেন্ডারেও ছিলেন তিনি।
কার্লো আনচেলত্তির অধীনে দুর্দান্ত অভিষেক মৌসুমের পর বেলিংহাম একসময় ক্লাবের ‘পোস্টার বয়’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সাম্প্রতিক ট্যাকটিক্যাল পরিবর্তন ও চোটের ধীর পুনর্বাসনের কারণে প্রভাব কিছুটা কমেছে। নতুন কোচ জাবি আলোনসোর অধীনে মিডফিল্ডে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়েছে—উদীয়মান তারকা আর্দা গুলার ও ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুনো সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করছেন।
বেলিংহামের ইংল্যান্ড সতীর্থ ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডও রিয়াল মাদ্রিদের ২০২৬ ক্যালেন্ডারে জায়গা পাননি। ২৬ বছর বয়সী এই ইংলিশ ডিফেন্ডারকে পেতে মাদ্রিদ ৮.৪ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে। ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ বলেছিলেন,
‘আর্নল্ড এমন এক রূপান্তরমূলক সাইনিং যিনি রিয়াল মাদ্রিদের ফুল-ব্যাকের ভূমিকা নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবেন।’
তবে দুর্ভাগ্যবশত অর্নল্ডের রিয়াল ক্যারিয়ারের সূচনা ব্যাহত হয়েছে চোটে। মার্শেইয়ের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেকের মাত্র কয়েক মিনিট পরই বাঁ-পায়ের হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়েন। পরে মেডিকেল পরীক্ষায় দেখা যায়, বাঁ পায়ের বাইসেপস মাংসপেশি ছিড়ে গেছে তাঁর। অন্তত ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই চোট তাঁর লা লিগায় মানিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াকেও ব্যাহত করেছে এবং নতুন সতীর্থদের সঙ্গে বোঝাপড়া গড়তে সময় নিচ্ছে।
রিয়ালের ২০২৬ ক্যালেন্ডারে জায়গা পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, ডিন হুইসেন ও আর্দা গুলার।
ব্যক্তিগত সফরে আগামী ডিসেম্বরে ৪ দিনের জন্য ভারতে যাবেন লিওনেল মেসি। এর আগে আগামী মাসে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে জাতীয় দলের সঙ্গে ভারত সফরে যাওয়ার কথা মেসির। তবে এখন শঙ্কায় আর্জেন্টিনা দলের সেই সফর।
দুইটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে আর্জেন্টিনা। এরই মধ্যে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে জিতেছে তারা। বুধবার ভোরে পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে খেলবে ফিফা বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এরপর আগামী নভেম্বরে আরও দুইটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা আলবিসেলেস্তেদের। আফ্রিকা মহাদেশের দেশ অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে হবে প্রথমটি। এরপর ভারতের কেরালায় দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচটি খেলার কথা জানিয়েছিল আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)।
তবে আর্জেন্টিনার ফুটবলভিত্তিক নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট টিওয়াইসি স্পোর্টসের প্রতিবেদনে এখন বলা হচ্ছে, ভারত সফরের ওই ম্যাচটি নাও খেলতে পারে আর্জেন্টিনা। এর বদলে আফ্রিকার আরেক দেশ মরক্কোর বিপক্ষে খেলতে পারে তারা।
২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনাল খেলেছিল মরক্কো। এছাড়া আগামী বছরের বিশ্বকাপেও এরই মধ্যে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। তাই বছর শেষ করার আগে তুলনামূলক শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে আর্জেন্টিনা।
এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তবে টিওয়াইসি স্পোর্টসের প্রতিবেদন সত্য হলে কপাল পুড়বে ভারতের। ২০১১ সালের পর আবার আর্জেন্টিনাকে তাদের মাঠে স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে দেশটির।
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে জয় উদযাপনের পরই দুঃসংবাদ। হাঁটুর চোটে আর্জেন্টিনার স্কোয়াড থেকে ছিটকে গেছেন এনজো ফার্নান্দেজ। আন্তর্জাতিক বিরতিতে আর্জেন্টিনার পরবর্তী খেলা পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে, সে ম্যাচে পাওয়া যাবে না চেলসি মিডফিল্ডারকে।
মায়ামিতে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ৭৮ মিনিট মাঠে ছিলেন এনজো। আর্জেন্টিনার ১–০ গোলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও ম্যাচ শেষে জানা যায়, হাঁটুর অস্বস্তি অনুভব করছেন তিনি। ছিটকে গেছেন আগামী বুধবার পুয়ের্তো রিকোর ম্যাচ থেকে।
চলতি মৌসুমে চেলসির সব ম্যাচেই শুরুর একাদশে ছিলেন এনজো। প্রিমিয়ার লিগে সাত ম্যাচে তিন গোল ও এক অ্যাসিস্ট করেছেন ২৪ বছর বয়সী এই তারকা মিডফিল্ডার। তবে এখনো ইউরোপীয় আসর চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের সেরা ছন্দে ফিরতে পারেননি।
আন্তর্জাতিক বিরতির পর নটিংহ্যাম ফরেস্টের মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলবে এনজো মারেসকার চেলসি। তারপর হোম ম্যাচ—আয়াক্স ও সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে। চোট কাটিয়ে ফার্নান্দেজ সেই ম্যাচগুলোর আগেই ফিট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শনিবার রাতে রুবেন নেভেসের একমাত্র গোলে জয় পায় পর্তুগাল। নাটকীয় জয়ের পর এই গোল পাওয়াটাকে স্রেফ ভাগ্যের প্রতিদান মনে করেন আল হিলাল তারকা। পর্তুগালের জার্সিতে প্রথম গোলটা নেভেস পেয়েছেন প্রয়াত সতীর্থ দিয়োগো জতার ২১ নম্বর জার্সি পড়ে। যে কারণে গোলটাও প্রিয় বন্ধু ও সতীর্থকে উৎসর্গ করেছেন নেভেস।
গত জুলাইয়ে গাড়ি দুর্ঘটনায় নিজের ভাই আন্দ্রে সিলভাসহ মারা যান দিয়োগো জতা। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নেভেস পর্তুগাল দলে ২১ নম্বর জার্সি নিজের নামে করে নেন।
প্রায় তিন বছর ইংল্যান্ডের ক্লাব উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সে (উলভস) খেলেছেন নেভেস ও জতা। পাশাপাশি জাতীয় দলেও দুজন ছিলেন একে অপরের সতীর্থ। ২০১৯ সালে নেশনস লিগের শিরোপা জিতেছিল পর্তুগাল। ওই দলেও ছিলেন দুই বন্ধু।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শনিবার রাতে উনজুরি টাইমে জেতে পর্তুগাল। তার আগে ধারণা করা হচ্ছিল, পর্তুগালের জয় যাত্রা বোধহয় এই ম্যাচে থামিয়ে দেবে আয়ারল্যান্ড। কারণ এই ম্যাচে পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে পারেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
গোল মিস করেছেন দলের আরও অনেকেই। এরপর যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে দারুণ হেডে জালে বল জড়ান নেভেস।
গোলের পর উদ্যাপনে নিজের পায়ে জোতার ট্যাটু দেখান নেভেস। একই ট্যাটু ছিল জতার পায়েও। গোলটা ভাগ্যেই লেখা ছিল কি না- এমন প্রশ্নে নেভেস স্পোর্ট টিভিকে বলেন, ‘আমারও তাই মনে হয়। জাতীয় দলের হয়ে আমার প্রথম গোল, তাও এই নম্বর (২১ নম্বর জার্সি) পরে... এর চেয়ে সুন্দরভাবে এটা (গোল) আসতে পারত না।’
জতাকে নিয়ে নেভেস বলেন, ‘খেলাটার প্রতি তার যে আবেগ এবং দারুণ কিছু করার ইচ্ছে, সেটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় জোতা কে ছিল। আমি এই গোলটা অবশ্যই ওকে উৎসর্গ করছি।’
শনিবারের ম্যাচটি ছিল জতার মৃত্যুর পর পর্তুগালের প্রথম হোম ম্যাচ। খেলার ২১তম মিনিটে (জতার জার্সি নম্বর অনুযায়ী) এস্তাদিও জোসে আলভালাদে স্টেডিয়ামে সমর্থকেরা দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে তাকে স্মরণ করেন।
শনিবার রাতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে রুবেন নেভেসের শেষ মূহুর্তের গোলে ১-০ গোলের জয় পায় পর্তুগাল।
পেনাল্টিতে গোল করতে না পারা খেলোয়াড়ের তালিকায় সবার উপরে রোনালদো। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪টি পেনাল্টি মিস করেছেন তিনি। আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি মিস করেছেন ৩২ পেনাল্টি। শুটআউট বাদ দিলে, রোনালদোর সফল পেনাল্টির হার ৮৪ শতাংশ, মেসির ৭৮ শতাংশ।
ক্যারিয়ারে পেনাল্টি থেকে ১৭৮ গোল করেছেন রোনালদো। মেসির পেনাল্টি গোল ১১১টি। পেনাল্টি থেকে গোল করায় মেসির চেয়ে এগিয়ে রোনালদো। তাঁর মোট গোলের ১৮.৮২ শতাংশ পেনাল্টি থেকে এসেছে; সেখানে মেসির মোট গোলের ১২.৫৬ শতাংশ আসে পেনাল্টি থেকে।
মোট গোলে সবার উপরে রোনালদো। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ২২৪ ম্যাচে ১৪১ গোল পর্তুগিজ সুপারস্টার রোনালদো। ১৯৪ ম্যাচে ১১৪ গোল করে দ্বিতীয় স্থানে আর্জেন্টাইন তাঁরকা মেসি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১২৯০ ম্যাচে রোনালদোর গোল সংখ্যা ৯৪৬; সেখানে মেসি ১১৪৬ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৮৮৪ টি।