মাদ্রিদ ডার্বি মানেই বাড়তি উত্তেজনা, সেটা খেলোয়াড় ও গ্যালারিতে সমর্থকদের মধ্যে দুই জায়গাতেই। রিয়াল মাদ্রিদ ও আতলেতিকো মাদ্রিদের সবশেষ লড়াইয়ে থিবো কোর্তোয়ার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে এক পর্যায়ে তার দিকে বিভিন্ন বস্তু ছুড়ে মারে আতলেতিকোর সমর্থকরা। এই ঘটনার জেরে এক ব্যক্তিকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছে আতলেতিকো।
৬৪তম মিনিটে রিয়াল লিড নেওয়ার পর উদযাপন শুরু করেন গোলরক্ষক কোর্তোয়া। সাথে সাথেই তাকে দুয়ো দেওয়া শুরু করে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা। খানিক বাদেই শুরু হয়ে তাকে লক্ষ্য করে পানির বোতল, চাবির রিং থেকে শুরু করে লাইটার ছুড়ে মারার ঘটনা। এসব না থামায় ১০ মিনিট বন্ধও থাকে খেলা।
এরপরও পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় মাঠে ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, ম্যাচ পরিত্যক্ত হতে পারে৷ শেষ পর্যন্ত খেলা আবার শুরু হয় এবং ড্র হয় ১-১ গোলে।
ম্যাচের পর আতলেতিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনে ও দলটির অধিনায়ক কোকে দুজনেই এই ঘটনার জন্য কোর্তোয়ার সমালোচনা করেছিলেন। তাদের দাবি, কোর্তোয়ার মিলিতাওয়ের গোল উদযাপনই এই ঘটনা শুরুটা করেছে।
আতলেতিকো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, “ডার্বির সময় বস্তু নিক্ষেপের সাথে জড়িত থাকায়, আমাদের নিরাপত্তা বিভাগের সহযোগিতায় গতকাল পুলিশ দ্বারা চিহ্নিত এক ব্যক্তিকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাব।”
ঘটনাবহুল এই ম্যাচের আগে থেকেই কোর্তোয়ার সাথে আতলেতিকোর সমর্থকদের সম্পর্ক ভালো নয়। চেলসিতে থাকা অবস্থায় এই ক্লাবটিতেই ধারে খেলেছিলেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক। ২০১৮ সালে তাই কোর্তোয়ার নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালে যোগ দেওয়ার ব্যাপারটি মোটেও ভালোভাবে নেয়নি তারা। তবে মাদ্রিদ ডার্বিতে যা করেছেন তারা, সেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেই মানছেন ফুটবল বিশ্লেষকরা।
নিষিদ্ধ মাদক গ্রহণের দায়ে পাওয়া বড় নিষেধাজ্ঞা কমে আসার পর অন্যরকম মুক্তির আনন্দে ভাসছেন পল পগবা। মাঠে ফেরার প্রস্তুতিতে তাকে সবার আগে যোগ দিতে হবে ক্লাব য়্যুভেন্তুসেই। তবে শুরুতেই সেখানে বিপত্তি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে থাকা ফরাসি মিডফিল্ডারের চুক্তি বাতিলের কথা চিন্তা করছে ইতালিয়ান ক্লাবটি, এমনটাই খবর গণমাধ্যমের।
ডোপ-বিরোধী বিধি ভাঙার পগবাকে শুরুতে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে ৪ সেটা কমিয়ে এখন ১৮ মাসে আনা হয়েছে। ফলে আগামী বছরের মার্চে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে আবারও ফিরতে পারবেন পগবা। আর তার আগে আগামী জানুয়ারি থেকেই ক্লাবের সাথে অনুশীলন শুরু করতে পারবেন তিনি। সে হিসেবে য়্যুভেন্তুসের সাথেই অনুশীলন করার কথা বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা মিডফিল্ডারের, ২০২৬ সাল পর্যন্ত ওল্ড লেডিদের সাথে চুক্তি আছে পগবার।
তবে বাতাসে ভাসছে যেসব খবর, তাতে তার সাথে নাকি চুক্তি বাতিল করার কথা চিন্তা করছে য়্যুভেন্তুস। ইতালিয়ান গণমাধ্যম লা গাজ্জেত্তা দেল স্পোর্টস তো বড় করেই খবর ছাপিয়েছে পগবাকে নিয়ে। যেখানে তারা জানিয়েছে, পগবা মার্চে মাঠে ফিরলেও য়্যুভেন্তুসে আর ফেরা হচ্ছে না তার।
একই কথাই জানিয়েছে ইতালিয়ান আরও বেশ কিছু গণমাধ্যম। তাদের দাবি, এক বছরের মত খেলার মধ্যে না থাকায় পগবার ওপর আস্থা হারিয়েছে ক্লাবটি। এই সময়ে একা অনুশীলন চালিয়ে গেলেও সেটাকে খুব একটা ক্লাব আমলে নিচ্ছে না বলেও জানাচ্ছে তারা।
এরই মধ্যে এই সমস্যার সমাধানে খুজতে দুই পক্ষের আইনজীবীরা কাজ শুরু করে দিয়েছে বলেও জানিয়েছে লা গাজ্জেত্তা দেল স্পোর্টস । আর স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা বলছে, য়্যুভেন্তাস চুক্তি বাতিল করলে এমএলএস কিংবা সৌদি লিগই হতে পারে পগবার পরবর্তী গন্তব্য । তবে সংবাদ মাধ্যমটি এটাও নিশ্চিত করেছে যে, পগবা এখনই ইউরোপ ছাড়ার পক্ষে নন। ইউরোপিয়ান ফুটবলে নিজেকে নতুন করে নিজেকে প্রমাণ করতে সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবলার।
পজিশন ও খেলার ধরনের কারণে লিওনেল মেসির সাথে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের তুলনা এখন পর্যন্ত সেভাবে টানা হয়নি। তাছাড়া অর্জনের দিক থেকেও দুজনের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরার মত যথেষ্ট রসদও যে জমা হয়নি। তবে চমক জাগানিয়া মন্তব্য এসেছে স্পেন থেকে। দুই ফুটবল পন্ডিত জোসে লুইস সানচেস ও এডু আগুউয়েরে দাবি করেছেন, ফুটবলার হিসেবে মেসির চেয়ে রিয়াল মাদ্রিদ তারকাই সেরা।
খটকা লাগার মতই মন্তব্য। কারণ, ২০১৮ সালে রিয়ালে যোগ দেওয়া ভিনিসিয়ুস এখন পর্যন্ত ক্লাব পর্যায়ে বেশ ভালোই করছেন। এবার সব ঠিক থাকলে জিতবেন ব্যালন ডি’অরও। তবে ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে পারফরম্যান্স সুবিধার নয়। বিপরীতে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে সাফল্যে ভরপুর এক ক্যারিয়ার পার করছেন মেসি। জিতেছেন বিশ্বকাপও। শিরোপা জেতার দিক থেকে এখন বিশ্বের সবচেয়ে সফল ফুটবলারও আর্জেন্টিনা কিংবদন্তি।
তবে সম্প্রতি এল চিরিঙ্গুইতোর এক অনুষ্ঠানে সানচেস ও আগুউয়েরে দুজনের তুলনা টেনে এগিয়ে রাখেন ভিনিসিয়ুসকেই। “মেসির চেয়ে ভিনিসিয়ুস ভালো খেলোয়াড় এবং এটাই বাস্তবতা। আমার মতে, তারা তুলনা করার মত খেলোয়াড়, কিন্তু ড্রিবলিংই তাদের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।”
ভিনিসিয়ুস খেলেন লেফট উইং পজিশনে। গতি ও ড্রিবলিংই ব্রাজিল তারকার শক্তির জায়গা। বিশ্বের সেরা সব ডিফেন্ডারদের খাবি খাওয়ান গতির ঝড়ে, আর তাতে বাড়তি মাত্রা দেয় তার ড্রিবলিং। আর ক্যারিয়ার জুড়ে আক্রমণের বিভিন্ন পজিশনে খেলা মেসি প্লেমেকার হিসেবেও বিশ্বের অন্যতম সেরা। একজন পরিপূর্ণ ফুটবলার যাকে বলা যায়, তার সব গুণাবলিই আছে ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসির।
তবে সানচেস-আগুউয়েরে মনে করছেন, স্কিলের দিক থেকে মেসিকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন ভিনিসিয়ুস-
“ভিনিসিয়ুস গতির ওপর বেশি নির্ভর করে। ভিনিসিয়ুস এটা লাইন বরাবর থেকে করে উইং ধরে, একদম ডিফেন্ডারদের সামনে। আর এটা এমন একটা পজিশন, যেখানে কার্যত কোনো জায়গাই থাকে না। ফাঁকা জায়গায় মেসি তার ড্রিবলিং দিয়ে ক্লিনিক্যাল হতে পারে, তবে ভিনিসিয়ুস আরও বেশি বিস্ফোরক এবং এসব জায়গা থেকে বল নিয়ে বের হওয়ার জন্য তার স্কিল বেশি।”
১৭ ঘণ্টা আগে
৪ দিন আগে
১০ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৬ দিন আগে