৬ অক্টোবর ২০২৪, ৬:৪৪ পিএম

No posts available.

স্পেনের ফুটবলের অন্যতম বিস্ফোরক মামলা ‘নেগ্রেইরা কেস’। বার্সেলোনার বিরুদ্ধে রেফারিকে অর্থ প্রদান করে ম্যাচের ফল প্রভাবিত করার এই মামলার তদন্ত চলছে এখনো।
কাতালান ক্লাবটির অনিয়মের এই মামলায় নতুন নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। বার্সেলোনার একটি আদালত কাতালান জায়ান্টদের উদ্দেশ্যে নোটিশ জারি করেছে। আদালতের ওই নিদের্শনায় ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে জোসে মারিয়া এনরিকেজ নেগ্রেইরা ও তার সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলিকে দেওয়া ৮ মিলিয়ন ইউরোর সমস্ত চুক্তি এবং সহায়ক নথিপত্র উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম ‘এল মুন্ডো’ জানিয়েছে, তদন্তকারীরা বার্সার আর্কাইভে মূল চুক্তি বা যে কোনো লিখিত নথির কোনো চিহ্ন খুঁজে পাননি, যা রেফারিকে এই অর্থ প্রদানের যৌক্তিকতা দেখায়। এই অর্থ ‘রেফারিং পরামর্শ সেবা’ এর জন্য দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি বার্সার। অবশ্য নথিপত্রের অভাব বার্সেলোনা ও প্রাক্তন রেফারি কমিটির উপ-সভাপতি নেগ্রেইরার সম্পর্কের প্রকৃতি নিয়ে সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন
| রিয়ালে প্রাপ্য সম্মান না পাওয়ার অভিযোগ ভিনিসিয়ুসের |
|
আদালতের নির্দেশ শুধুমাত্র প্রশাসনিক নথিপত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বার্সেলোনাকে একটি আইনি সত্তা হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তলব করা হয়েছে। স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির সাবেক কোচ লুইস এনরিক, এরনেস্তো ভালভারদে, এবং বর্তমান ক্লাব সভাপতি জোয়ান লাপার্তার সাক্ষ্য নেয়ার দিন নির্ধারিণ করা হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে হাজির হবেন তারা।
২০২৩ সালের মার্চে সরকারি কৌঁসুলিরা বার্সেলোনার বিরুদ্ধে রেফারিকে ২০০১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৭৩ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৪ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা) দেওয়ার অভিযোগ আনেন। স্প্যানিশ রেফারিং কমিটির সাবেক সহসভাপতি হোসে মারিয়া এনরিক নেগ্রেইরার প্রতিষ্ঠানকে ওই ১৯ বছরে ৮৪ কোটির বেশি টাকা দেয় বার্সা। তদন্তের মূল বিষয় হলো, এই লেনদেনগুলো বৈধ পরামর্শ ফি ছিল কি না নাকি বার্সেলোনার পক্ষে রেফারির সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা ছিল তা নিশ্চিত করা।
আদালত চেয়েছে বার্সার এই লেনদেনকে বৈধ দেখানোর জন্য যেকোনো ধরনের নথি বা উপাদান উপস্থাপন করা হোক। যেমন লিখিত প্রতিবেদন, সার্ভিস রেকর্ড, অথবা ক্লাব ও প্রাক্তন রেফারির মধ্যে যোগাযোগ। এখন পর্যন্ত কোনও ভৌত প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যা বার্সার দীর্ঘদিনের দাবিকে সমর্থন করতে পারে যে, অর্থগুলো আইনি কৌশলগত পরামর্শ এবং তরুণ খেলোয়াড়দের স্কাউটিং এর জন্য দেওয়া হয়েছিল।
বার্সেলোনা কোন ধরনের নথি উপস্থাপন করবে সেটিও খতিয়ে দেখবে বার্সেলোনা, মামলার ভবিষ্যৎ রূপ নির্ধারণে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি বার্সা পর্যাপ্ত নথি প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়, তবে আর্থিক ও ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট অসংগতির সংশয় আরও তীব্র হতে পারে।

এল ক্লাসিকোয় ৭২ মিনিটে রদ্রিগোর বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় রাগে ফুঁসছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। মাঠে খেলছিলেন দারুণই। তবে কোচ জাবি আলোনসো তাকে তুলে নেওয়ায় ক্ষোভ ঝাড়েন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। স্পেনের সংবাদমাধ্যমের খবর, ভিনি মনে করছেন কোচ থেকে যথাযথ সম্মান পাচ্ছেন না তিনি। এমনকি ক্লাব ছাড়ার ব্যাপারেও নাকি ভাবছেন রিয়াল তারকা।
বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচে বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার পর ভিনি চেঁচিয়ে বলেন, ‘সব সময় কেন আমি! আমি দল ছাড়ছি! আমি যাচ্ছি, এখন যাওয়াই ভালো।’ তারপর রিয়ালের ২৫ বছর বয়সী তারকা সরাসরি ড্রেসিং রুমের দিকে চলে যান। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে অবশ্য মুখ খুলেননি কোচ আলোনসো। এই ঘটনায় পরে ভিনির সঙ্গে একান্ত কথা বলবেন বলে জানান তিনি।
কোচের সিদ্ধান্ত মানতেই পারছিলেন না ভিনিসিয়ুস।
মাদ্রিদভিত্তিক সংবাদপত্র 'আস'’ এর একটি প্রতিবেদন জানিয়েছে, কোচ আলোনসো ভিনিসিয়ুসের অবস্থানকে মূল্যায়ন করছে না, এমনটাই অভিযোগ তাঁর। খেলোয়াড় ও কোচের মধ্যে নেতিবাচক সম্পর্ক ক্লাবের জন্যও ‘বড় সমস্যা’ হয়ে উঠছে।
অবশ্য ভিনিসিয়ুসের বিষয়ে ক্লাবের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সমর্থন পাচ্ছেন আলোনসো। যেভাবে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারকে সামলাচ্ছেন ইউরোপের সবচেয়ে সফল ক্লাবটির কোচ, তাতে পুরোপুরি সায় আছে রিয়ালের।
আরও পড়ুন
| আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতে ‘তর সইছে না’ মেসির |
|
রিয়াল মাদ্রিদের কর্তৃপক্ষ এল ক্লাসিকোয় ভিনিসিয়ুসের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণের নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে। ওই ঘটনায় বড় জরিমানার শাস্তিও পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেও বিতর্কিত আচারণের জন্য শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছিল ভিনিকে।
চলতি মৌসুমের ১৩টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটিতে ভিনিসিয়ুস পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন। পর্যাপ্ত গেম টাইম না পাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই অখুশী তিনি। আর সেই সুযোগের সদ্বব্যবহারের অপেক্ষায় আছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাবগুলোও। গুঞ্জন আছে চোখ কপালে তোলা বিশাল অঙ্কের বেতন বোনাস দিতে প্রস্তুত হয়ে আছে তারা।

অনেকের মতে ২০২২ বিশ্বকাপ জিতে ফুটবলকেই পূর্ণতা দিয়েছেন লিওনেল মেসি। সোনায় মুড়িয়ে রাখার মতো ক্যারিয়ারে এই এক শিরোপাই অধরা ছিল আর্জেন্টাইন মহাতারকার। কাতারে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে ষোলোকলা পূর্ণ করেন মেসি। চাইলে তো তখনই অবসরের ঘোষণা দিতে পারতেন ইন্টার মায়ামির মহাতারকা। তবে উপভোগের মন্ত্রকে বেছে নেন সর্বজয়ী মেসি।
দরজায় কড়া নাড়ছে ২০২৬ বিশ্বকাপ। ৪৮ দলের এবারের বিশ্বসেরাদের আসরও মাতাবেন মেসি, সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের ভক্তকূল তো সেদিকেই চেয়ে আছে। ৩৮ বছর বয়সী মেসিও যে মুখিয়ে আছেন বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি ধরে রাখার অভিযানে নামতে। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপে খেলতে চান রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মহাতারকা।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসন্ন বিশ্বকাপ নিজের ভাবনার কথা বলেন মেসি। আগামী বছরের জুনে ৩৯ এ পা দেবেন মেসি। বয়সের বিষয়টি মাথায় রেখেই বিশ্বকাপে খেলতে আশাবাদী মেসি বলেন,
‘বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাওয়াটা অসাধারণ কিছু, এবং আমি চাই তা করতে।’
তবে এখনই সবকিছু নিশ্চিত করছেন না মেসি। শতাভাগ ফিট থেকেই দলের সঙ্গী হতে চান তিনি,
‘আমি চাই সেখানে থাকতে। জাতীয় দলকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়েই বিশ্বকাপে যেতে চাই। পরের বছর ইন্টার মায়ামির হয়ে প্রাকমৌসুম শুরু করার সময় একদিন একদিন করে দেখব যে আমি সত্যিই শতভাগ ফিট আছি কিনা। জাতীয় দলের জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখতেপারছি কিনা, তারপর সিদ্ধান্ত নেব।'
জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারা মেসির জন্য এখনো স্বপ্নের মতোই,
‘অবশ্যই আমি খুব উত্তেজিত, কারণ এটি একটি বিশ্বকাপ। আমরা সবশেষ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন। মাঠে আবার সেই শিরোপা ধরে রাখতে পারা অসাধারণ ব্যাপার হবে। জাতীয় দলের সঙ্গে খেলা সবসময়ই একটি স্বপ্ন, বিশেষ করে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে।’
বয়সকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এখনো মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মেসি। আছেন দারুণ ছন্দে। মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) নিয়মিত মৌসুমে ২৮ ম্যাচে ২৯ গোল করে প্রথমবারের মতো এমএলএস গোল্ডেন বুট জিতেছেন। লিগটিতে প্রতিনিয়তই করে যাচ্ছেন একের পর এক রেকর্ড। সবশেষ ম্যাচেও পেয়েছেন জোড়া গোল। মেসির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের নৈপুণ্যে এমএলএস কাপের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ন্যাশভিলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ৩–১ গোলে জিতেছে মায়ামি। ছন্দের এই ধারা বিশ্বকাপ পর্যন্ত টেনে নেওয়ার মিশনেই যে আছেন মেসি।

৪২ বছরের জীবনে বহু উত্থান-পতনের স্বাক্ষী হয়েছেন দানি আলভেস। বার্সেলোনার সাবেক এই রাইট-ব্যাকের ফুটবল ক্যারিয়ার সাফল্যমণ্ডিত বলতেই হয়। তবে জীবনে বড় ধাক্কা হয়ে আসে তার বিরুদ্ধে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যৌন হয়রানির অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত কাতালুনিয়ারর হাই কোর্ট প্রমাণের অসঙ্গতির কারণে তাঁর সাজার রায় বাতিল হয়, তাতে দুই বছরেরও বেশি সময় জেলে থাকার পর ছাড়া পান আলভেস।
জীবনের অন্ধকার সেই অধ্যায়ের পর এবার ধর্মে পরিত্রাণ খুঁজে পেলেন আলভেস। সামাজিক মাধ্যেমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা যায়, গির্জা উপাসকের সামনে আবেগময় সাক্ষ্য দিচ্ছেন আলভেস। খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকের ভূমিকায় দেখা গেছে সাবেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারকে।
ইনস্টাগ্রামে বাইবেলের শ্লোক ও খ্রিস্টান স্তোত্র শেয়ার করে নিজেকে ‘যীশু খ্রিস্টের শিষ্য’ এবং ‘খ্রিস্টান প্রভাবক’ হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন আলভেস। তিনি বলেন, ‘আর সেই দূত আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্তে আমাকে তুলে নিলেন, যাত্রার জন্য গির্জায় নিয়ে গেলেন, আর আজ আমি যাদের জন্য সেই যাত্রায় আছি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন
| তুরস্ক ফুটবলে ১৮ হাজারের বেশি ম্যাচে বাজি এক রেফারির |
|
২০২৩ সালে তার খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হয় আলভেসের। সর্বশেষ মেক্সিকোর ক্লাব পুমাসের হয়ে খেলেছেন তিনি। এ ছাড়া বর্ণাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারে বাহিয়া, সেভিয়া, বার্সেলোনা, জুভেন্টাস, পিএসজি, সাও পাওলোর মতো বড় ক্লাবে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন আলভেস।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাইট ক্লাবে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় আলভেসকে। আদালতের রায়ে চার বছর ছয় মাসের সাজা পান তিনি । যদিও নিজেকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার। আলভেসের আইনজীবীরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। প্রমাণে ‘অসঙ্গতি ও ত্রুটির’ কারণে শেষ পর্যন্ত ২০২৫ সালের মার্চে মুক্তি পান তিনি।
জেল থেকে বের হওয়ার পর পুরোপুরি নতুন, শান্ত জীবনকে বেছে নিয়েছেন আলভেস। সম্প্রতি কন্যা সন্তানের জনকও হয়েছেন তিনি। পাশপাশি সামাজিক মাধ্যমেও অন্য আলভেসকে দেখছেন সমর্থকরা।

তুরস্ক ফুটবলে রীতিমতো এক ভূমিকম্পই যেন হয়ে গেল। তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ) জানিয়েছে তারা পেশাদার লিগের রেফারির বিরুদ্ধে ফুটবল ম্যাচ বাজির তদন্ত করেছে। আর সেই তদন্তের প্রতিবেদন দেখে তো মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা।
তুরস্কের পেশাদার লিগের ১৫০-এর বেশি রেফারির বিরুদ্ধে ফুটবল ম্যাচে বাজি ধরার অভিযোগ উঠেছে। দেশটির ফেডারেশন গতকাল জানিয়েছে, অভিযুক্ত এসব রেফারির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তুরস্কের ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম হাজিওসমানোগলু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১০ জন রেফারি পাঁচ বছরে ১০,০০০-এর বেশি ম্যাচে বাজি ধরেছেন, যার মধ্যে একজন একাই ১৮২২৭ ম্যাচে বাজি রেখেছেন।
আরও পড়ুন
| এল ক্লাসিকো জয়ের পর দুঃসংবাদ রিয়ালের |
|
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ৫৭১ সক্রিয় রেফারির মধ্যে ৩৭১ জনের কমপক্ষে একটি বাজি কোম্পানির অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ১৫২ জন রেফারি এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ফুটবলের ওপর বাজি রেখেছেন। তাঁদের মধ্যে ৭ জন শীর্ষ পর্যায়ের রেফারি, ১৫ জন শীর্ষ পর্যায়ে সহকারীর দায়িত্বে আছেন। ৩৬ জন বিভিন্ন পর্যায়ের রেফারি এবং ৯৪ জন বিভিন্ন পর্যায়ের সহকারী।’
ফেডারেশনের শৃঙ্খলা কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন হাজিওসমানগ্লু. ‘ওদের শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো হবে এবং আমাদের নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’ তিনি আরও জানান, এই তদন্তে যে তথ্য মিলেছে, তা গত পাঁচ বছর সময়কালের এবং তুরস্কের ক্রীড়া আইনের আওতায় পড়ে।
তুরস্ক ফুটবলে সংস্কারের কথা বলেন তিনি, ‘আমরা জানি তুরস্কি ফুটবলের পরিবর্তনের প্রয়োজন। আমাদের দায়িত্ব হলো তুর্কি ফুটবলকে তার যথাযথ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং এর সমস্ত কলঙ্ক দূর করা।’
তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা সমস্যাযুক্ত রেফারিদের শনাক্ত ও তদন্ত করবে এবং সম্ভাব্য আইনের লঙ্ঘন খতিয়ে দেখবে। খেলাধুলায় সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ আইন, খেলাধুলা ক্লাব ও ফেডারেশন আইন এবং ফুটবলসহ অন্যান্য খেলাধুলায় বাজি ও জুয়ার আয়োজন আইন এর আওতায় পড়ে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান তদন্ত আরও গভীরভাবে চালানো হবে।’