
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইংল্যান্ড দল থেকে ছিটকে পড়েছেন ক্রিস্টাল প্যালেস ডিফেন্ডার মার্ক গুয়েহি। তাঁর জায়গায় সুযোগ মিলেছে চেলসি ডিফেন্ডার ট্রেভোহ চালোবার। আজ এক প্রতিবেদনে এই খবর নিশ্চিত করেছে বিবিসি।
গত সপ্তাহে কনফারেন্স লিগে পায়ের চোটে পড়েন গুয়েহি। ফলে ১৪ নভেম্বর সার্বিয়া ও ১৬ নভেম্বর আলবেনিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচে ডাকা হয়েছে চালোবাকে।
চলতি বছর মে মাসে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড দলে ডাক পান চালোবা, সেনেগালের বিপক্ষে হয় অভিষেক। সেপ্টেম্বরে অ্যান্ডোরা ও সার্বিয়ার বিপক্ষে বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোর দলে স্থান পাননি। অক্টোবরেও দলের বাইরে ছিলেন তিনি।
ইংল্যান্ড দলে আরও পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। নিউক্যাসল কোচ এডি হাও জানিয়েছেন, ফরোয়ার্ড অ্যান্থনি গর্ডন (হিপ ইনজুরি) এবং গোলকিপার নিক পোপ (মাথায় আঘাতজনিত কারণে) দল থেকে পড়তে পারেন।
ইংল্যান্ড ইতোমধ্যেই ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে। অক্টোবরে লাটভিয়াকে ৫-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে দলটি। ৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট তাদের। সমান ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আলবেনিয়া। ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে সার্বিয়া।
No posts available.
১১ নভেম্বর ২০২৫, ৩:০৮ পিএম
১১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম

ফুটবল ইতিহাসের সেরা কে— এই বিতর্ক যত পুরোনো, ততটাই জটিল। অনেকের মতে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোই সর্বকালের সেরা দুজন। তবে ব্রাজিলের কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিও বিষয়টি দেখছেন ভিন্নভাবে।
ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দুবারের বিশ্বকাপজয়ী রোনালদো স্পষ্ট জানিয়েছেন— ক্রিস্তিয়ানো তাঁর চোখে সর্বকালের সেরা নন। তবে রোনালদো নাজারিওর মতে, পর্তুগিজ অধিনায়ক ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ১০ জন ফুটবলারের একজন।
নাজারিও বলেন, ‘ক্রিস্তিয়ানো অবিশ্বাস্য। সব পজিশন থেকে, সবভাবে গোল করেছেন। এটা সহজ নয়। তিনি নিঃসন্দেহে ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ। কিন্তু সর্বকালের সেরা? আমি একমত নই। আমি তাকে টপ ১০-এর মধ্যে রাখব।’
আরও পড়ুন
| হলান্ডের সামনে মেসির ঐতিহাসিক রেকর্ড ভাঙার হাতছানি |
|
নিজেকে নিয়ে বাড়তি মন্তব্য করা পছন্দ করেন না নাজারিও। নিজের অর্জন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘আমি এসব আলোচনায় অংশ নিতে পছন্দ করি না। কিছু মানুষ নিজেদের নিয়ে খুব বেশি আত্মবিশ্বাসী। আমি চাই, মানুষ আমার পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলুক—আমি নিজে না।’
নাজারিওর মন্তব্যের আগে পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো নিজের ক্যারিয়ার ও উত্তরাধিকার নিয়ে কথা বলেছিলেন। তাঁর মতে, নিজের সাফল্য বিশ্বকাপ জয়ের ওপর নির্ভর করে না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ক্রিস্তিয়ানো বলেন, ‘বিশ্বকাপ না জিতলেও আমার অর্জন কম নয়। মানুষ বলে, ক্রিস্তিয়ানোকে বিশ্বকাপ জিততেই হবে। না। আমি দেশকে তিনটি ট্রফি এনে দিয়েছি। আগে পর্তুগালের কোনো শিরোপা ছিল না। আমি খুশি— এটাই যথেষ্ট।’
২০২৬ বিশ্বকাপ হতে পারে ক্রিস্তিয়ানোর শেষ বড় টুর্নামেন্ট—যেখানে তিনি ইতিহাস পুনর্লিখনের সুযোগ পাবেন।

লিওনেল মেসির এমন কিছু রেকর্ড রয়েছে, যেগুলো কখনো ভাঙবে কি না- সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। নামটা তাই ফুটবল ইতিহাসে আলাদা জায়গায় থাকবে মহাতারকার। তবে এবার তাঁর ঐতিহাসিক এক রেকর্ড ভাঙার হাতছানি দিচ্ছে আর্লিং ব্রড হলান্ডকে।
২০১১–১২ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে একাই ৭৩ গোল এবং আর্জেন্টিনার হয়ে আরও ৯ গোল করেছিলেন মেসি। মোট ৮২ গোল করে এক মৌসুমে সর্বাধিক গোলের অনন্য রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। সেই রেকর্ড ১৪ বছর ধরে অক্ষুন্ণ। এবার সেটি ভাঙার পথে এগোচ্ছেন হালন্ড।
ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার এই মৌসুমে গোল করে চলেছেন অবিশ্বাস্য ধারায়। পুরোনো সেই দিনে মেসিকে যিনি পথ দেখিয়েছিলেন পেপ গার্দিওলা- এবার তাঁর কোচিংয়েই হলান্ড এগোচ্ছেন আরেকটি ইতিহাস গড়ার দিকে।
আরও পড়ুন
| গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইতালি দল থেকে সরে দাঁড়ালেন লিভারপুল তারকা |
|
২০২৫–২৬ মৌসুম শুরুর পর এখন পর্যন্ত ২৮ গোল করেছেন হলান্ড। এর মধ্যে ম্যানচেস্টার সিটি হয়ে ১৯ গোল, নরওয়ের হয়ে ৯ গোল। সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগে ১৪, চ্যাম্পিয়নস লিগে ৫ গোল। নরওয়ের জার্সিতে বিশ্বকাপ বাছাইযে ৮ ও প্রীতি ম্যাচে ১ গোল করেছেন হলান্ড।
হলান্ডের ১৮ ম্যাচে ২৮ গোল— গড়ে প্রতি ম্যাচে ১.৫৫ গোল। অর্থাৎ মেসির ঐতিহাসিক মৌসুমের গড়ে প্রতি ম্যাচে ১.১৯ গোলের চেয়েও এগিয়ে আছেন হলান্ড। এই গতি বজায় থাকলে মৌসুম শেষে হলান্ডের গোলসংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে ১০৬-এ পৌঁছাতে পারে, যা আধুনিক ফুটবলে অকল্পনীয়।
লিগে মেসির রেকর্ড ভাঙা কি সম্ভব? তিনি লা লিগায় করেছিলেন ৫০ গোল, যা এখনও ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। হলান্ড প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত গড়ে ১.২৭ গোল প্রতি ম্যাচে খেলছেন, এই ধারায় গেলে লিগে তাঁর হতে পারে ৪৮ গোল— মেসির রেকর্ড থেকে মাত্র দুই গোল কম।
তবে সিটির সামনে আরও ম্যাচ রয়েছে—এফএ কাপ, লিগ কাপ, আর নতুন ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়নস লিগে সম্ভাব্য ১৭টি ম্যাচ। ফিট থাকলে হলান্ডের সামনে ম্যাচের সংখ্যা হতে পারে ৬৫ থেকে ৭৪— মেসির রেকর্ড মৌসুমের (৬৯) চেয়েও বেশি।
বাকি রইল সবচেয়ে বড় শর্ত—ফিট থাকা। দীর্ঘ মৌসুমে শারীরিক ও মানসিক চাপ সামলে এই গতি ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু মাঠে হলান্ড এখন যেন থামানোই যায় না—আত্মবিশ্বাসী, শক্তিশালী, নিষ্ঠুর নিখুঁত ফিনিশার।
মেসির রেকর্ড ভাঙা কঠিন। তবে অসম্ভব নয়। হলান্ডের সামনে এখন ইতিহাসের দরজা—শুধু ফিট থেকে গতি বজায় রাখতে হবে।

ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সামনের দুই ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন ফেডেরিক কিয়েসা। লিভারপুল ফরোয়ার্ডের এই সিদ্ধান্তের খবর নিশ্চিত করলেন ইতালি জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেনারো গাত্তুসো।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বকাপের সঙ্গে একরকম বৈরি সম্পর্কে চলছে ইতালির। রাশিয়া ও কাতারে হওয়া গত দুই টুর্নামেন্টে খেলতে পারেনি চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এবারের বাছাই পর্বেও বেশ জটিল পরিস্থিতিতে আছে তারা।
এর মাঝেই মলদোভা ও নরওয়ের বিপক্ষে সামনের দুই ম্যাচের দল থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছেন কিয়েসা। কিছুটা কঠিন হলেও, তারকা ফরোয়ার্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া ছাড়া কিছুই করার ছিল না গাত্তুসোর।
আরও পড়ুন
| এক্সে কনটেন্ট ক্রিয়েটর থেকে এখন সেরি আর স্কাউট |
|
দলের খেলোয়াড়দের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রয়েছে জানিয়েছেন ইতালির কোচ।
“প্রায়ই তার (কিয়েসা) সঙ্গে আমার কথা হয়। ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তকে আমাদের সম্মান করতে হবে। সমস্যা সবারই থাকতে পারে। আমার একে অপরকে কীভাবে গ্রহণ করি সেটি আমরা জানি। খেলোয়াড়রা আমাকে যা বলে, সেটিকে সম্মান করতে হবে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।”
কিয়েসার সরে দাঁড়ানোর কোনো অবশ্য জানাননি গাত্তুসো। গত বছরের ইউরো টুর্নামেন্টের পর আর জাতীয় দলে খেলেননি এই তারকা ফরোয়ার্ড। চলতি মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে সীমিত সুযোগ পেয়ে ১২ ম্যাচে ২ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট করেছেন কিয়েসা।
তার অনুপস্থিতি কিছুটা হলেও ভোগাতে পারে ইতালিকে। বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে ইতালি। সমান ম্যাচে পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্লিং হলান্ডের নরওয়ে। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়েই নির্ধারণ হতে পারে, 'আই' গ্রুপ থেকে কারা পাবে বিশ্বকাপের টিকেট।

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাই যেন খেলার বিশেষজ্ঞ। যে কোনো খেলার বিষয়ে নিয়মিতই অনেক জ্ঞানগর্ভ আলোচনা দেখা যায় ফেইসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার) বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে।
সেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই এখন পেশাদার ফুটবলের জগতে নাম লিখিয়েছেন ২০ বছর বয়সী ফেলিক্স জনস্টন। ইতালির সেরি আ ক্লাব কোমো ১৯০৭ সম্প্রতি এই তরুণকে নিয়েছে তাদের মূল দলের স্কাউট হিসেবে। অর্থাৎ এখন থেকে কোমোর জন্য খেলোয়াড় খোঁজার কাজ করবেন এই তরুণ।
কিছুদিন আগেও জনস্টন ছিলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসির একনিষ্ঠ সমর্থক ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর। এক্সে নিয়মিত ক্লাবের একাডেমির ফুটবলারদের নিয়ে বিশ্লেষণ পোস্ট করতেন তিনি।
আরও পড়ুন
| ভ্যাকসিন না নেওয়ায় আর্জেন্টিনা দল থেকে বাদ ৩ জন |
|
সেই অধ্যায় পেরিয়ে এখন তিনি নতুন দায়িত্বে কাজ করছেন সাবেক আর্সেনাল ও স্পেন তারকা সেস্ক ফাব্রেগাসের কোচিং স্টাফে। যেখানে দলের শক্তি বাড়ানোর জন্য নতুন প্রতিভা খুঁজে বের করতে বড় ভূমিকা রাখছেন জন্সটন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি রেডিও ৫ এর লাইভ অনুষ্ঠানে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে নিজের যাত্রা শুরু সম্পর্কে জনস্টন বলেন, “লকডাউনের সময় এক বন্ধু আমাকে বলেছিল, ‘টুইটারে যাও, ফুটবল নিয়ে সবাই ওখানেই কথা বলে।’ তারপর থেকেই শুরু।”
চেলসি একাডেমির খেলা দেখতে দেখতে তিনি মুগ্ধ হয়ে যান। সেটিই হয় তার টুইটারে পরিচয়ের মূল বিষয়- একাডেমির প্রতিভা বিশ্লেষণ। ধীরে ধীরে নিজেই শুরু করেন স্কাউটিং। চেলসির তরুণ-কেন্দ্রিক ট্রান্সফার নীতি তাকে দেয় কাজের খোরাক।
“রাত দুইটা পর্যন্ত খেলা দেখতাম। কেন্দ্রি পায়েজ, এস্তেভাও... তারপর নিজেই নতুন প্রতিভা খুঁজে বের করার চেষ্টা করতাম। ধীরে ধীরে কিছু মানুষ, এমনকি পেশাদাররাও, আমার কাজকে গুরুত্ব দিতে শুরু করেন। তখনই বুঝি, এটা শুধুই শখ নয়, সত্যিকারের সুযোগ।”
চলতি বছরের এপ্রিলে ডেনমার্কের ক্লাব ভাইলে তাকে স্কাউটিং কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়েছিল। জুলাইয়ে কোমোর রিক্রুটমেন্ট ডিরেক্টর টুইটারে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
“ওই কর্মকর্তা বললেন, আমার কাজ ভালো লেগেছে, ইন্টার্নশিপ করতে চাই কি না। নয় সপ্তাহ পর তিনি জানালেন, আমি চাকরি পাচ্ছি।”
জুলাইয়ের শেষ দিকে কোমোর সঙ্গে যোগাযোগ হয় জন্সটনের। মিলানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পাশাপাশি এখন কোমোর স্কাউট হিসেবে কাজ করছেন তিনি। তাকে কোমোতে নেন মূলত ক্লাবটির ডাটা প্রধান এজেড আলকামার।
আরও পড়ুন
| ‘ফুটবল নিয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য শুনলে ব্যথিত হই’ |
|
এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে জন্সটন বলেন, “তারা আমাকে ডেটাভিত্তিক কিছু নাম দেন, আমি খেলা দেখি, রিপোর্ট তৈরি করি। নির্দিষ্ট কোনো অঞ্চল বা পজিশনে সীমাবদ্ধ নই, সবই দেখি।”
সাধারণত পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ ম্যাচ দেখে প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করেন জন্সটন। তবে প্রেক্ষাপটভেদে সেটি বাড়তেও পারে। জনস্টনের এই পথচলা এখন অনেক তরুণ ফুটবলভক্তের অনুপ্রেরণা।
কোমোও দেখাচ্ছে, নতুন প্রজন্মের বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা গ্রহণ করেও সফল হওয়া যায়। দলটি বর্তমানে সেরি’আ টেবিলের সপ্তম স্থানে।

আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে বছরের শেষ ম্যাচটি খেলতে পারবেন না হুলিয়ান আলভারেস, নাহুয়েল মোলিনা ও জুলিয়ানো সিমেওনে। নিয়ম অনুযায়ী, হলুদ জ্বরের (ইয়োলো ফিভার) ভ্যাকসিন না নেওয়ায় জাতীয় দল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে তাদের নাম।
আগামী শুক্রবার মধ্য আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে চলতি বছরে নিজেদের শেষ ম্যাচটি খেলবে আর্জেন্টিনা। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, মধ্য আফ্রিকায় ভ্রমণের জন্য ইয়োলো ফিভারের ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক।
এছাড়া আরও ভিন্ন ৭টি রোগের জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। তবে আলভারেস, মোলিনা ও সিমেওনে সময়মতো ইয়োলো ফিভার ভ্যাকসিন নেওয়ার কাগজপত্র জমা দিতে পারেননি। তাই লিওনেল স্কালোনির পূর্ব ঘোষিত দল থেকে বাদ পড়েছেন এই তিন জন।
আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) নিজেদের বিবৃতিতে জানিয়েছে এই খবর। এছাড়া হাঁটুর চোটে আগেই ছিটকে গেছেন আরেক ডিফেন্ডার এনজো ফার্নান্দেজ।
আরও পড়ুন
| যেভাবে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে মধ্যরাতে বার্সেলোনায় ঘুরে গেলেন মেসি |
|
নতুন করে দলে সুযোগ পেয়েছেন দুই ডিফেন্ডার কেভিন ম্যাক অ্যালিস্টার ও লিসান্দ্রো মার্তিনেস ও উইঙ্গার এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া।
এদের মধ্যে অ্যাঙ্গোলা ম্যাচে আন্তর্জাতিক অভিষেক হতে পারে তারকা মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের বড় ভাই কেভিন ম্যাক অ্যালিস্টারের। লিসান্দ্রোকে দলে ডাকা হলেও, মাত্রই চোট থেকে আসা ডিফেন্ডার দলের সঙ্গে শুধু অনুশীলন করবেন।
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে ম্যাচের পর আবার মার্চ পর্যন্ত কোনো খেলা নেই আর্জেন্টিনার। ২০২৬ সালের মার্চে ফিনালিসিমা ম্যাচে স্পেনের মুখোমুখি হবে তারা।
চলতি আন্তর্জাতিক বিরতিতে দুইটি ম্যাচ খেলার কথা ছিল বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ তারা যথাসময়ে ঠিক করতে পারেনি। তাই শুক্রবার অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে খেলে এই বিরতির বাকি ৪ দিন অনুশীলন ক্যাম্প করবে স্কালোনির দল।