২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১:২৮ পিএম

রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জাবি আলোনসোর সঙ্গে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের রেষারেষির খবর সবারই জানা। স্প্যানিশ এই কোচের উপর মাঠেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা গেছে ব্রাজিলিয়ান তারকা উইঙ্গারকে। তবে ভিনি একা নয়, জাবির কোচিংয়ে নাকি বিরক্ত রিয়ালের একাধিক ফুটবলার। তাতে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির ড্রেসিংরুমে বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা।
আজ রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ। গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোর আতিথেয়তা নেওয়ার আগে সবশেষ এলচের বিপক্ষে দু’দফা পিছিয়ে পড়ে ২-২ গোলে ড্র করে লস ব্লাঙ্কোসরা। আর এই ম্যাচের পরই নাকি পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে।
কোচ জাবির কৌশলে ওপর আস্থা হারাতে শুরু করেছেন রিয়ালের ছয়জন সদস্য। স্পেনের ফুটবল ভিত্তিক প্রতিবেদনের জন্য পরিচিত রেডিও ‘কাদেন কোপের’ সাংবাদিক আরানচা রোদ্রিগেজ এমনটাই জানিয়েছেন। ভিনিসিয়ুস জুনিয়ার সহ এই তালিকার অন্যরা ফেদেরিকো ভালভের্দে, রদ্রিগো, ব্রাহিম দিয়াজ, এন্দ্রিক, এবং ফারল্যান্ড মেন্ডি।
ভিনিসিয়াস এবং আলোনসোর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা রয়েছে। গত মাসে এল ক্লাসিকোতে ২৫ বছর বয়সী এই উঙ্গার কোচের সঙ্গে তার বদলির ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। পরে এ নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিলেও আলোনসোর নাম উল্লেখ করেননি তিনি। জাবি কোচ থাকাকালীন চুক্তিও নবায়ন করতে চান না ভিনি।
অন্যদের মধ্যে ভালভের্দে নাকি এখনো জাবির সিস্টেমের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেননি। রক্ষণভাগে একের পর এক সদস্যের চোটে নিজের পছন্দের পজিশনে খেলার সুযোগও পাচ্ছেন না এই উরুগুইয়ান ফুটবলার। আর মাঠে পর্যাপ্ত খেলার সময় না পাওয়ায় জাবির ওপর অসন্তুষ্ট রদ্রিগো, ব্রাহিম, এন্দ্রিক ও মেন্ডি।
অবশ্য ড্রেসিংরুমে নাকি বিপরীত চিত্রও আছে। স্প্যানিশ সাংবাদিকের প্রতিবেদলে বলা হয়েছে, পাঁচজন খেলোয়াড় আলোনসোর অধীনে সন্তুষ্ট এবং তাঁর পাশে রয়েছেন। এ তালিকায় আছেন রিয়ালের নতুন দুই ডিফেন্ডার ডিন হুইসেন এবং আলভারো কারেরাস, যারা রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
এছাড়া জাবির কোচিংয়ে দারুণ উন্নতি করা আর্দা গুলের, গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া আর কিলিয়ান এমবাপেও আস্থা রাখছেন কোচের ওপর।
এদিকে রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতিও নাকি জাবির ওপর বিশ্বাস রাখছেন। তবে আগামী কয়েকটি ম্যাচে পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেই সেটাই দেখার। সবশেষ তিন ম্যাচে জয় না পাওয়া ইউরোপের সবচেয়ে সফল ক্লাবটি ছন্দে না ফিরলে পরিস্থিতি যে আরো ঘোলাটে হবে সেটা সহজেই অনুমেয়।
No posts available.
২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৯ এম
২৬ নভেম্বর ২০২৫, ৯:৪০ এম

লামিনে ইয়ামাল নাকি এস্তেভাও ? চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চেলসি-বার্সেলোনা ম্যাচে কে হবে নায়ক? দুই দল মুখোমুখি হওয়ার আগে অনেকেই এ নিয়ে হয়তো তর্কে-বিতর্কে জড়িয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বার্সার স্পেনিশ তারকা উইঙ্গার ইয়ামালকে ছাপিয়ে গেলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এস্তেভাওই। তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বার্সাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন চেলসি।
গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে বার্সার বিপক্ষে ৩-০ গোলের বড় জয় পায় চেলসি। আত্মঘাতি গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর স্বাগতিকদের হয়ে প্রথম জালে বল পাঠান এস্তেভাও। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে অসাধারণ একটি গোল করেন ১৮ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান।
রিস জেমসের বাড়ানো বল ধরে ডান পাশ থেকে বার্সার ডিফেন্ডারদের নাকাল করার পর কাতালান ক্লাবটির গোলকিপার জোয়ান গার্সিয়াকে অসহায় বানিয়ে জাল কাঁপান এস্তেভাও। আর এই গোলেই দারুণ এক রেকর্ডে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপে ও আর্লিং হলান্ডের পাশে বসলেন চেলসির বিস্ময় বালক। এমবাপে-হলান্ডের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তৃতীয় টিনএজার হিসেবে শুরুর একাদশে নেমে প্রথম তিন ম্যাচেই গোল পেলেন এস্তেভাও।
অসাধারণ এক রাত কাটানোর পর আনন্দ প্রকাশের কোনো ভাষাই খুঁজে পাচ্ছেন না এস্তেভাও। ম্যাচ শেষে চেলসি ফরোয়ার্ড বলেন,
‘আমি সত্যিই কোনো শব্দই খুঁজে পাচ্ছি না যে এখন কেমন অনুভূতি হচ্ছে। এটা সত্যিই একটি নিখুঁত রাত ছিল। যা কিছু আমার জন্য ঘটেছে, তার জন্য আমি শুধু ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ। এখান থেকে আরও সামনে যেতে চাই। সবকিছু আমার জন্য খুব দ্রুত ঘটেছে, যেন আমি বুঝতেই পারিনি। এটি আমার ক্যারিয়ারের জন্য এক বিশেষ মুহূর্ত ছিল। আশা করি আরও অনেক গোল করতে পারব।’
ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাস থেকে এই মৌসুমে চেলসিতে যোগ দেন এস্তেভাও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চলতি মৌসুমে এ নিয়ে তিন ম্যাচে শুরুর একাদশে থেকে মাঠে নেমেছেন প্রতিভাবান এই সাম্বা তারকা। এর আগের দুই ম্যাচে আয়াক্সের বিপক্ষে গোলের পর আজারবাইজানের ক্লাব কারাবাগ এফকের বিপক্ষে গোল করেন তিনি।
জাতীয় দলের হয়েও নিয়মিত চমক দেখিয়ে যাচ্ছেন এস্তেভাও। ব্রাজিলের হয়ে তিউনিসিয়া ও সেনেগালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া নারী এশিয়ান কাপ সামনে রেখে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। অক্টোবরে পিটার বাটলারের দল থাইল্যান্ডে গিয়ে খেলে আসে দুটি ম্যাচ। এবার ঘরের মাঠে আরও দুটি ম্যাচ খেলতে নামছে লাল সবুজের মেয়েরা।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে মালয়েশিয়া। খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল টি-স্পোর্টস।
থাইল্যান্ডে গত মাসে খেলা দুটি ম্যাচের প্রথমটিতে ৫-১ এবং শেষটিতে ৩-০ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচেই হাই লাইন ডিফেন্স সাজান কোচ পিটার বাটলার। ঘরের মাঠে তিন জাতি সিরিজের ম্যাচেও এভাবেই নেবেন প্রস্তুতি।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার বাংলাদেশ দলের ব্রিটিশ কোচ বলেন,
'আমি পরিকল্পনা থেকে নড়ব না। জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন, আমি সেই পথেই চলব, যে পথ আমাদের এশিয়ান কাপে তুলেছে। মেয়েরা দারুণ করেছে।’
অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার বলেন,
‘হ্যাঁ, আমরা এভাবে খেলে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ কোয়ালিফাই করেছি। সিনিয়র টিমেও এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করেছি। অবশ্যই ভুল-ত্রুটি থাকবে। সবকিছুতে তো ভুল থাকে, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী ম্যাচে যেন ভুলগুলো না হয়, আমরা সেভাবে খেলব।’
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৯২তম অবস্থানে থাকা মালয়েশিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলেছে তিন বছর আগে। কমলাপুর স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৬-০ গোলে জিতলেও গোলশূন্য ড্র করেছে দ্বিতীয় ম্যাচে। এবার জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৩ বছর পর খেলতে নামছে মেয়েরা।
মালয়েশিয়ার অধিনায়ক নুর লিয়ানা বিনতে সোবেরি এবার আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানালেন বাংলাদেশ থেকে ভালো কিছু নিয়ে ফিরতে চান তাঁরা। তাদের চেয়ে ১২ পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে (১০৪) সমীহ করে সোবেরি বলেন,
‘আমরা দুই বছর আগে এখানে এসেছিলাম। বাংলাদেশ খুব কঠিন প্রতিপক্ষ। তাই এখানে খেলা আমাদের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা।’
মালয়েশিয়ার ব্রাজিলিয়ান কোচ জোয়েল কর্নেলি জানান,
‘অবশ্যই জেতার চেষ্টা করব, কারণ আমাদের সিস্টেম ও খেলার ধরন নিয়ে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস দরকার। তাই এটা আমাদের জন্য খুব ভালো সুযোগ। আশা করি দল ভালো খেলবে এবং ম্যাচগুলো জিতবে।’
ত্রিদেশীয় সিরিজে অন্য দল আজারবাইজান। তাদের ১৪ ফুটবলার দেশের বাইরে ইউরোপের অন্যান্য লিগে খেলে থাকে। বিশ্বকাপ বাছাই খেলার আগে এটাই তাদের শেষ প্রস্তুতি। দলের অধিনায়ক সেভিঞ্জ জাফারজাদা বলেন,
‘আমি খুব খুশি এখানে এসে। এটা আমার ও দলের জন্য ভালো এক অভিজ্ঞতা হবে। প্রথমবার আমরা এশিয়ার কোনো দলের বিপক্ষে খেলব।’

স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসির মুখোমুখির আগে বার্সেলোনার বিপক্ষে সর্বশেষ ৯ ম্যাচে দ্য ব্লুজরা হেরেছে কেবল একবার। এবার জয়ের পাল্লা আরও ভারি হলো এনজো মারেস্কার দলের।
২০২৫–২৬ মৌসুমে
তৃতীয় আন্তর্জাতিক বিরতির পর চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ের দেখা পেল চেলসি। তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে চেলসি। চার ম্যাচে
১২ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম তিনটি স্থানে বায়ার্ন মিউনিখ, আর্সেনাল ও ইন্টার মিলান।
এদিন বার্সার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়ের পর অ্যামাজন প্রাইমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মারেস্কা বলেন, “এটি দুর্দান্ত জয়। সত্যি বলতে, এর বেশি কিছু নয়। আমরা জানতাম এই ম্যাচ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ।’’
এসময় তিনি বার্সেলোনা খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‘যখন আপনি বার্সেলোনাকে হারাবেন এবং জয়টা কাতালানদের বিপক্ষে,
তা সবসময়ই আনন্দের। আজ আমরা খুশি।”
তিনি বলেন,
“আমরা কারাবাগের মাঠে পয়েন্ট খুইয়েছিলাম। তারপর বেনফিকা ও আয়াক্সকে হারিয়েছি। আর
শেষ ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরেছি। এতে বুঝা যায় যে, সব ম্যাচই জটিল।”
চেলসির হয়ে
প্রথম গোলটি ছিল আত্মঘাতী। জুলস কুন্দের পা থেকে সে গোল উপহার পায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়
গোল ছিল ১৮ বছর বয়সী এস্তেভাও উইলিয়ানের। ব্রাজিল ফরোয়ার্ডকে নিয়ে মারেস্কা বলেন,
“এটি তার জন্য একটি অসাধারণ রাত। তবে আমি মনে করি এটি পুরো ক্লাব এবং সমস্ত সমর্থকদের
জন্যও বিশেষ রাত। রাতটি সবার জন্য খুবই আনন্দের।”

ঘরের মাঠ, বেশ চেনা-জানা। তার মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগেও হারের নাম-গন্ধ নেই। দুই দুই চার মিলিয়ে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে আজ অভিজ্ঞ সব খেলোয়াড়দের বেঞ্চে বসিয়ে বায়ার লেভারকুসেনের মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। তাতেই আসল ধরা খেলেন পেপ গার্দিওলা।
এদিন পিএসজি
থেকে নতুন মৌসুমে উড়িয়ে আনা গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা, নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড
ও ইংলিশ ফরোয়ার্ড ফিল ফোডেনদের বেঞ্চে বসিয়ে রাখেন গার্দিওলা। দ্বিতীয়ার্ধে তীব্র সমস্যায়
তাঁদের বদলি হিসেবে নামান। তাতে দলের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় সিটিজেনদের।
অভিজ্ঞদের বেঞ্চে
বসিয়ে রাখার জন্য ম্যাচ শেষে নিজের ভুল স্বীকার করেন স্পেন কোচ।
টিএনটি স্পোর্টসে
গার্দিওলা বলেন, “দায়ভার আমি নিজের কাঁধে নিচ্ছি। তবে আমি মনে করি শুরুর একাদশে যাঁরা খেলেছে
তাঁরা অসাধারণ খেলোয়াড়। তাঁদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ লেভেলের পারফরম্যান্স পাইনি এটা সত্য।
এখন আমাদের পরবর্তী ম্যাচগুলোর জন্য লড়তে হবে।”
দলের হারের
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “তারা (লেভারকুসেন) ভালো খেলেছে। আমরা ও ভালো খেলেছি। আমাদের
তাদের চেয়ে বেশি সুযোগও ছিল, কিন্তু তা সব পূর্ণ সুযোগ ছিল না।”
শুরুর একাদশে
১০ পরিবর্তন নিয়ে গার্দিওলা বলেন, “আমাকে এটা মেনে নিতে হবে। যদি আমরা জিততাম, কোনো
সমস্যা হতো না। হয়তো অনেক বদলি করা হয়েছে। কিন্তু প্রতি দুই বা তিন দিনে খেলা থাকায়
পরিবর্তন জরুরি ছিল। হয়তো এটা বেশি হয়ে গেছে।”
চ্যাম্পিয়নস
লিগে ম্যানসিটির পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ। এ নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের সময়
আছে।”

কী দারুণ সময় পার করছেন এস্তেভাও উইলিয়ান! সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ১০ ম্যাচে ৬টি গোল ১৮ বছর বয়সী ব্রাজিল ফরোয়ার্ড। জাতীয় দল হোক বা ক্লাব—যখনই সুযোগ পান, তা পুরোপুরি কাজে লাগান।
স্ট্যামফোর্ড
ব্রিজে আজ বার্সেলোনাকে ম্লান করে দেওয়ার দিনে দলের দ্বিতীয় গোল আসে এস্তেভাওয়ের পা
থেকে। শুরুর একাদশে নেমে মোট ৮৩ মিনিট মাঠ দাঁপান তিনি। একটি গোলের পাশাপাশি বার্সামুখে
২টি শট নেন তিনি। মোট ৪৮টি পাস তাঁর পা থেকে গেছে, যার ৮৩ শতাংশ ছিল যথাযথ। ম্যাচে
৩টি ডুয়েলও জিতেছেন এই ব্রাজিলের বিস্ময় বালক।
ম্যাচ শেষে অ্যামাজন
প্রাইমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এস্তেভাও। তিনি বলেন, “আমার অনুভূতি
প্রকাশ করার মতো কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এটা অসাধারণ রাত ছিল। যা কিছু ঘটেছে, তার
জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ।”
নিজের গোল নিয়ে
তিনি বলেন, “সবকিছু খুব দ্রুত ঘটে গেছে, আমি বুঝতেই পারিনি। আমি শুধু কিছু ফাঁকা জায়গা
পেলাম, গোল করে দলকে এগিয়ে নিলাম। এটা আমার ক্যারিয়ারের জন্য খুবই বিশেষ মুহূর্ত।
আশা করি আরও অনেক গোল করব।”
তিনি আরও বলেন, “এটা নিঃসন্দেহে আমার ক্যারিয়ারের এখন পর্যন্ত সেরা মুহূর্ত। আমি আরও
অনেক বছর ধরে গোল করতে চাই। আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে আমার পরিবার এখানে এসে আমাকে দেখেছে।”