১২ অক্টোবর ২০২৪, ৪:১৬ পিএম
মাঠের
ফুটবলের মতো মাঠের বাইরেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র আলো ছড়াচ্ছেন। বনে গেছেন বর্তমান বিশ্বের
সবচেয়ে দামি ফুটবলার। শুক্রবার ফুটবলারদের দরদাম নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ট্রান্সফার
মার্কেট প্রকাশ করেছে লা লিগা ফুটবলারদের বাজারমূল্য। যেখানে ভিনিসিয়ুসের বাজারমূল্য
ধরা হয়েছে ২০০ মিলিয়ন ইউরো। যা ম্যানচেস্টার সিটি তারকা আর্লিং হলান্ডের দামের সমান।
এতে
অবশ্য ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ভেঙেছেন লিওনেল মেসি ও নেইমারের রেকর্ড। এর আগে ওয়েবসাইটটির
সর্বোচ্চ দামি খেলোয়াড় হয়েছিলেন মেসি ও নেইমার। দুজনেরই তখন দাম ধরা হয়েছিল ১৮০ মিলিয়ন
ইউরো। যদিও পরে সেই সমপরিমাণ দামের তালিকায় নাম তোলেন কিলিয়ান এমবাপে ও জুডি বেলিংহামরা।
এবার
তাদের ছাড়িয়ে গেছেন ভিনিসিয়ুস ও হলান্ড। যদিও ওয়েবসাইটটির তথ্যমতে হলান্ড প্রথম ফুটবলার
হিসেবে নাম লেখান ২০০ মিলিয়ন ইউরোর ক্লাবে।
দুজনই নিজেদের ক্লাবের হয়ে আছেন দারুণ ছন্দে। তাতে অন্যদের টপকে শীর্ষস্থানে
এই দুজন। ভিনিসিয়ুসের দাম বেড়েছে ২০ মিলিয়ন ইউরো। অন্যদিকে ভিনিসিয়ুস
রিয়ালের অন্য দুই সতীর্থ বেলিংহাম ও এমবাপের দামে আসেনি পরিবর্তন। তাদের বাজার মূল্য
আছে ১৮০ মিলিয়নে।
তবে
এই তালিকায় সবচেয়ে নজর কেড়েছেন বার্সেলোনার তরুণ ফরোয়ার্ড লামিন ইয়ামাল। ১৭ বছর এই
তারকার দাম উঠেছে আকাশচুম্বী। ১৫০ মিলিয়ন ইউরো বাজার দর ধরা হয়েছে ইয়ামালের। যা
তার বয়সের হিসেবে সর্বোচ্চ। এতো কম বয়সে অন্য কোনো ফুটবলারের দাম এত চড়া হয়নি আগে।
অবশ্য
শুধু ট্রান্সফার মার্কেটেই না ভিনিসিয়ুস জুনিয়র আছেন এবারের ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়েও।
মার্কাসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমের দাবি এবারে ব্যালন ডি’অর উঠতে যাচ্ছে ব্রাজিলিয়ান তারকার
হাতেই।
৪ জুলাই ২০২৫, ৩:৫৫ পিএম
সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ট্রান্সফার নাটক শেষ পর্যন্ত নিল চমকপ্রদ এক মোড়। বহুদিন ধরে বার্সেলোনা যাকে দলে টানবে বলে প্রায় নিশ্চিত ছিল, সেই নিকো উইলিয়ামস শেষ পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করে থেকে গেলেন আথলেতিক বিলবাওতেই। আর সেটাও ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম দীর্ঘমেয়াদী এক চুক্তির মাধ্যমে।
বিলবাও এক্স (সাবেক টুইটার)–এ পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত করেছে, ২০৩৫ সাল পর্যন্ত তাদের সাথেই থাকছেন নিকো।
আরও পড়ুন
জতার মৃত্যুর শোকে ভেঙে পড়েছেন নেভেস-কানসেলো |
![]() |
চুক্তি নবায়ন করে নিকো জানিয়েছেন তার বিলবাওতেই থেকে যাওয়ার কারণ৷
“যখনই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসে, তখন আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল হৃদয়ের ডাক শোনা। আমি সেখানেই আছি, যেখানে আমি থাকতে চাই… আমার কাছের মানুষদের সাথে। এটাই আমার বাড়ি।”
বলার অপেক্ষা রাখে না, বার্সেলোনার জন্য এটি বিশাল এক ধাক্কাই। গত এক-দেড় মাস ধরেই নিকোকে দলে টানতে বেশ সরব ছিল বার্সেলোনা। এবারের গ্রীষ্মে তারা স্প্যানিশ উইঙ্গারের ৫৮ মিলিয়ন ইউরো রিলিজ ক্লজ সক্রিয় করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কাতালান ক্লাবটির স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেকো সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘নিকোর বার্সায় খেলার আগ্রহ আছে।’ আগে-পরে এতে সুর মেলান ক্লাব প্রেসিডেন্ট হোয়ান লাপোর্তাও।
বার্সেলোনার পক্ষ থেকে নিকোকে নিয়ে এমন মন্তব্যের পর বিলবাও দেখায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। তারা লা লিগা ও স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের কাছে অভিযোগ জানায় এই বলে যে, বার্সেলোনা ‘আনফেয়ার অ্যাপ্রোচ’ করছে নিকোকে নিয়ে।
এর প্রেক্ষিতে লাপোর্তা জানান পাল্টা প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেছিলেন, বিলবাওয়ের এমন প্রতিক্রিয়ার কারণ তিনি বুঝতে পারছেন না। অন্যদিকে বিলবাও সাফ জানিয়ে দেয়, তারা লা লিগার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিকোকে নিয়ে বার্সেলোনার করা মন্তব্য এবং কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।
আরও পড়ুন
জতার মৃত্যু বিশ্বাস হচ্ছে না রোনালদোর, বাকরুদ্ধ ক্লপ |
![]() |
এত নাটকীয়তার পরও সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, নিকো হয়তো আগামী মৌসুমেই বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। লামিয়ান ইয়ামালের সাথে সুসম্পর্ক ও তার সাম্প্রতিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কিছু পোস্ট এই পালে দিয়েছিল জোর বাতাস। তবে শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনাকে চমকে দিয়ে বিলবাওতে আরও ১০ বছর থাকার চুক্তি করে ফেললেন ২১ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালেও বার্সেলোনা চেষ্টা করেছিল নিকোকে দলে টানার। তবে লা লিগায় নিবন্ধন জটিলতার কারণে সেই সময় সেটা আর সম্ভব হয়নি। এবার সেই সমস্যা না থাকলেও বেকে বসলেন নিকো।
এক মাসও হয়নি, ছিলেন একসাথে জাতীয় দলের ক্যাম্পে। এরপর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জিতেছেন নেশন্স লিগের শিরোপাও। অথচ নিয়তির নির্মম পরিহাসে দিয়াগো জতা পাড়ি জমিয়েছেন পরপারে। তার এই আকস্মিক মৃত্যুর খবর কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না পর্তুগাল দলের দুই সাবেক সতীর্থ রুবেন নেভেস ও জোয়াও কানসেলো। তাদের ক্লাব আল হিলালের কোচ সিমোন ইনজাগি জানিয়েছেন, মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়েছেন এই দুই ফুটবলার।
লিভারপুল ফরোয়ার্ড জতা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভা গত বৃহস্পতিবার স্পেনে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। মাত্র ২৮ বছর বয়সে তার এভাবে চলে যাওয়াটা নাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলকে। শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্ব ফুটবল অঙ্গনে। ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে এখন যুক্তরাষ্ট্রে আল হিলালের সাথে থাকা নেভেস ও কানসেলো সেখানেই এই দুঃসংবাদটি পান। স্বাভাবিকভাবেই তাদের জন্য আবেগ ধরে রাখাটা কঠিনই হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন
জতার মৃত্যুর শোকে ভেঙে পড়েছেন নেভেস-কানসেলো |
![]() |
কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এই ট্র্যাজেডি তাদের মানসিকভাবে বড় ধাক্কা দিয়েছে বলেই সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন কোচ ইনজাগি।
“এটা আমাদের জন্য সবার জন্যই খুবই দুঃখের একটা দিন। সত্যি বলতে কি, এমন কিছু তো কখনোই হওয়ার কথা না। আমরা সবাই এই ট্র্যাজেডির ব্যাপারটা জেনেছি। রুবেন নেভেস ও জোয়াও কানসেলো দুজনেই জতার খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দিনটি আমাদের সবার জন্য খুব কঠিন ছিল। আমরা প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু দলের আবহ একেবারেই বদলে গেছে। এটা আসলেই হৃদয়বিদারক ঘটনা।”
জতার মৃত্যুর খবর প্রকাশ হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন একটি পোস্ট দিয়েছেন কানসেলো।
“আজ আমরা শুধু দুজন ফুটবলারের কথাই বলছি না। আজ তিনটি শিশু তাদের বাবাকে হারিয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠেছে। একটি পরিবারের বাবা-মার দিন শুরু হয়েছে তাদের দুই ছেলেকে হারিয়ে। একজন স্ত্রী ঘুম থেকে জেগেছে, কিন্তু আর পাশে নেই তার স্বামী। আজ আমরা সবাই ঘুম থেকে উঠেছি শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে।”
গত বুধবার রাত থেকেই সংবাদমাধ্যমে আসছিল জতার দুর্ঘটনার খবরটি। দুর্ঘটনাটি ঘটে স্পেনের জামোরা প্রদেশের মহাসড়কে। জতা তার ভাই আন্দ্রেকে নিয়ে ল্যাম্বরগিনি চালাচ্ছিলেন। তবে আরেকটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে। এরপর খুব দ্রুতই তাদের গাড়িতে আগুন ধরে যায়। নীরব সেই মহাসড়কে কারও সাহায্য ছাড়াই দুই ভাই আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন সেখানেই।
আরও পড়ুন
‘হৃদয়ের ডাক’ শুনে বার্সাকে হতাশ করে বিলবাওতেই থেকে গেলেন নিকো |
![]() |
গত ২২ জুন জতা বিয়ে করেন শৈশবের প্রেমিকাকে। তাদের কোল জুড়ে রয়েছে তিনটে ফুটফুটে সন্তানও। এই গত সপ্তাহেই বিয়ের ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জতা পোস্ট করেছিলেন। জতার ভাই আন্দ্রেও একজন পেশাদার ফুটবলার ছিলেন। খেলতেন পর্তুগালের ২য় বিভাগের ক্লাব পেনাফিয়েলের হয়ে।
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন পর্তুগাল ফরোয়ার্ড দিয়াগো জতা ও তার ভাই আন্দ্রে। দুজনের এমন অকাল মৃত্যুতে শোক নেমেছে পুরো ফুটবল দুনিয়ায়। সতীর্থ থেকে কোচ, প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় কিংবা ক্লাব সবাইকেই ছুঁয়ে গেছে জতার মৃত্যু। সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে অনেকেই জতাকে নিয়ে দিয়েছেন আবেগি পোস্ট।
যেই তালিকায় আছেন জতার লম্বা সময়ের পর্তুগিজ সতীর্থ ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে জতার ছবি দিয়ে রোনালদো লিখেছেন,
“অবিশ্বাস্য লাগছে! এইতো সেদিনই তো তুমি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেললে, দিন কয়েক আগে বিয়ে করলে, তোমার পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি জানি তুমি সবসময় তাদের সাথে থাকবে। শান্তিতে থাকো, জতা ও আন্দ্রে। আমরা তোমাকে মিস করব!”
২০২০ সালে ইয়ুর্গেন ক্লপের অধীনে লিভারপুলে যোগ দেন জতা। তার এমন মৃত্যু শোকাহত ক্লপও,
“জতা এবং তার ভাই আন্দ্রের মৃত্যুর খবর শুনে আমি শোকাহত। সে কেবল একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়ই ছিলেন না, একজন দুর্দান্ত বন্ধু, একজন স্নেহশীল এবং যত্নশীল স্বামী এবং বাবাও ছিলেন! আমরা তাকে অনেক মিস করব! বাচ্চারা, পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং তাদের যারা ভালোবাসতেন তাদের সকলের জন্য আমার প্রার্থনা, শান্তিতে বিশ্রাম নিন।”
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে লিভারপুলও। এছাড়াও রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনোইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি সহ প্রায় সব ক্লাবই জতার মৃত্যুতে জানিয়েছে সমবেদনা।
২২ জুন বিয়ে করেন শৈশবের প্রেমিকাকে। তাদের কোল জুড়ে রয়েছে তিনটে ফুটফুটে সন্তানও। বিয়ের ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়োগো জতা পোস্ট করেন মাত্র দিন পাঁচেক আগে। পাঁচ দিন পর আজ তিনি নিজেই হয়ে রইলেন ছবি। এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড দিয়োগো জতা।
বুধবার রাত থেকেই অনেক ইউরোপিয়ান সংবাদ মাধ্যমে চাওর হয় জতার দুর্ঘটনার খবর। দুর্ঘটনাটি ঘটে স্পেনের জামোরা প্রদেশের এ–৫২ মহাসড়কে। ২৮ বছর বয়সী পর্তুগিজ ফুটবলার তাঁর ভাই আন্দ্রেকে নিয়ে ল্যম্বরগিনি চালাচ্ছিলেন। অন্য একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে।
আরও পড়ুন
‘হৃদয়ের ডাক’ শুনে বার্সাকে হতাশ করে বিলবাওতেই থেকে গেলেন নিকো |
![]() |
দুর্ঘটনায় জতার ভাই আন্দ্রে সিলভাও মারা যান। যিনি নিজেও একজন ফুটবলার ছিলেন। পর্তুগালের ২য় বিভাগের ক্লাব পেনাফিয়েলে খেলতেন ২৬ বছর বয়সী সিলভা। দুই ভাইয়ের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকে আচ্ছন্ন গোটা ফুটবল দুনিয়া।
২০১৯ এ আরেক স্প্যানিশ ফুটবলার হোসে আন্তেনিও রেয়েসও একইভাবে ওভারস্পিডের কারণে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। যেখানেও তার সঙ্গে তার এক ভাই নিহত হন। আবারও স্পেনেই আরো এক ফুটবলারের গাড়ি দুর্ঘনায় মৃত্যুর সাক্ষী হলো বিশ্ব।
দিয়োগো জতা বিয়ের পিড়িতে বসেছিলেন দারুণ এক সময়েই। মে মাসে লিভারপুলের হয়ে জিতলেন প্রিমিয়ার লিগ। এই মৌসুমে ৬ টি গোলও ছিল তার। পর্তুগালের হয়ে জিতলেন নেশনস লিগও। এর পরেই বিয়ের পিড়িতে। জীবনের এত মধুর সময় পার করা জতা মিলিয়ে গেলেন হঠাৎই।
২০১৪ সালে পর্তুগালের ক্লাব পাকোস দে ফেরেইরায় পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন জতা। দুই বছর পর লা লিগার ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদে যোগ দিলেও ক্লাবটির হয়ে কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। ধারে খেলেছেন পোর্তো ও উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডার্সে। ২০১৮ সালে ইংলিশ ক্লাব উলভারহ্যাম্পটনে যোগ দিয়ে দুই বছর কাটিয়ে যোগ দেন লিভারপুলে। ২০১৭–১৮ মৌসুমে উলভারহ্যাম্পটনের হয়ে জেতেন লিগ কাপ। লিভারপুলের হয়ে গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ জয়ের সঙ্গে জেতেন ২১–২২ মৌসুমের এফএ কাপও। পর্তুগালের হয়ে নেশনস লিগ জিতেছেন দুবার ২০১৯ সালে এবং গেল জুনে।
আরও পড়ুন
জতার মৃত্যুর শোকে ভেঙে পড়েছেন নেভেস-কানসেলো |
![]() |
ক্লাব ফুটবলে ৩০২ ম্যাচে ১০২টি গোল ও ৪৮ টি অ্যাসিস্ট জতার। প্রিমিয়ার লিগে ১৯০ ম্যাচ খেলে করেছেন ৬৩ টি গোল ও ২৪ অ্যাসিস্ট। পর্তুগালের হয়ে ছিলেন ৫০ ম্যাচ খেলার দ্বারপ্রান্তে। ৪৯ ম্যাচ খেলে গোল করেন ১৪টি ও অ্যাসিস্টে অবদান ছিল তাঁর ১২ বার।
ফুটবলের ক্যারিয়ারটা তাঁর এখানেই সীমাবদ্ধ থাকলো। ক্লাবের জার্সি কিংবা পর্তুগালের হয়ে আর কোন ম্যাচে খেলা হবে না তার। ম্যাচ গোল আর অ্যাসিস্টের সংখ্যাগুলো আর বদলাবে না। তবে লিভারপুল যেমন সবসময় বলে থাকে ‘ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন’। ঠিক সেভাবে আপনাকেও আজ সবাই বলবে, ‘দিয়োগো জতা, ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন’।
সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড দিয়োগো জতা। বুধবার রাতে স্পেনের জামোরা শহরে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান পর্তুগিজ এই ফুটবলার।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, স্পেনের জামোরা শহরে ঘটে এই দুর্ঘটনা। ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম খবর পায় জামোরায় একটি গাড়ি দুঘটনা ঘটেছে। এরপরই জানা যায় সেখানে ফুটবলার দিয়োগো জতা ও তাঁর ভাই নিহত হয়েছেন।
বিস্তারিত আসছে…