
পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্তিং সিপি’র কোচ রুবেন আমোরিমকে স্থায়ী কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কাছাকাছি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংলিশ গণমাধ্যমের দাবি, নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেবেন আমোরিম। সে পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন রুড ফন নিস্টলরয়।
দ্য আথলেটিকস তো দাবি করছে, এরই মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তিও হয়ে গেছে। একই তথ্য দিচ্ছে ইতালিয়ান সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো। তার মতে, দুই পক্ষ চুক্তি করতে সম্মত হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিরতী শেষে আগামী ২৪ নভেম্বর ইপসউইচ টাউনের সাথে ম্যাচ দিয়ে ইউনাইটেডের ডাগআউটে অভিষেক হবে আমোরিমের।
২০২৭ সাল পর্যন্ত ইউনাইটেডের সাথে আমোরিমের চুক্তি হতে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন রোমানো। ৩৯ বছর বয়সী এই কোচকে নিয়োগ দিতে বড় অঙ্কের অর্থই খরচ করতে হচ্ছে রেড ডেভিলদের। রিলিজ ক্লজের ১০ মিলিয়ন পুরটাই স্পোর্তিং সিপিকে দিতে হবে বলে দাবি করছেন রোমানো।
আরও পড়ুন
| আমি চলে গেলেও সিটির অবস্থা ইউনাইটেডের মত হবে না : গার্দিওলা |
|
এর আগে পুর্তুগিজ এই কোচকে নিয়ে গুঞ্জন ছিল লিভারপুলের সাথেও। আরেক ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্ট হামের সাথেও জোড়া হয়েছিল তার নাম। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সব গুঞ্জনই থেকে গেছে।
লম্বা সময় পর ২০২১ সালে স্পোর্তিং সিপিকে লিগ জিতিয়ে আলোচনায় আসেন আমোরিম। দুই মৌসুম পর আবারও গেল মৌসুমে স্পোর্তিং সিপিকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন তিনি। চলতি মৌসুমেও তার দল লিগা পর্তুগালে শুরুটা করেছে দারুণ। ৯ ম্যাচের সব কয়টাতেই জয় তুলে নিয়েছে তারা।
ফুটবল ক্যারিয়ারে আমোরিম বেশিরভাগ সময়ই কাটিয়েছেন পর্তুগালের ক্লাব বেনফিকাতে। ২০১৭ সালে ফুটবলকে বিদায় জানান তিনি।
No posts available.
২ নভেম্বর ২০২৫, ৮:৪৫ পিএম

গোল, গোল আর গোল। মাঠে আর্লিং হলান্ডের কাজ একটাই। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে ছিন্নভিন্ন করে জাল কাঁপানো। ‘গোলমেশিন’ কিংবা ‘দানব’ খ্যাতি তো অনেক আগেই কুড়িয়েছেন। ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলার মতে নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড নাকি লিওনেল মেসি-ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন।
সবশেষ গতকাল বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যান সিটির ৩-১ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচে জোড়া গোল করেন হলান্ড। ম্যাচের প্রথম দুটি গোলই আসে এই তারকার ফরোয়ার্ডের নৈপুণ্যে।
দলের সেরা তারকার এমন দুর্দান্ত ছন্দ গার্দিওলারকে যেন মেসি-রোনালদোর সঙ্গে তুলনা করতেই বাধ্য করল। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিটি কোচ বলছেন, হলান্ডের গোল করার দক্ষতা তাকে মেসি-রোনালদোর ক্যারিয়ারের সেরা সময়ের মতো নির্ভরযোগ্য ও নিখুঁত করে তুলেছে।
আরও পড়ুন
| গোলে ফিরলেন ইয়ামাল, সহজ জয় বার্সার |
|
ফুটবলের দুই কিংবদন্তির সঙ্গে হলান্ডের তুলনা করে গার্দিওলার বলেছেন, “আমরা অবশ্যই আবারও দারুণ খেলেছি, আর আর্লিং ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। এটা কিছুটা এমন, মেসি বা ক্রিশ্চিয়ানোর সঙ্গে খেললে হয়—তাদের প্রভাব এতটাই বড়।’
হল্যান্ড কি আসলেই সেই স্তরে পৌঁছেছেন কিনা এমন প্রশ্নে গার্দিওলা তাঁর গোলের সংখ্যার দিকেই তাকাতে বলেন, ‘তিনি কি সেই স্তরে পৌঁছেছেন? ওর সংখ্যাগুলো (গোলের) দেখুন না! অবশ্যই, তিনি ক্রিশ্চিয়ানো ও মেসির সমান সংখ্যার স্তরে আছেন।’
তবে ব্যবধানটা শুধু মেসি-রোনালদোর লম্বা সময়ের ধারবাহিকতাটাই বলছেন গার্দিওলার, ‘ফারাক হলো, ক্রিশ্চিয়ানো ও মেসি এটা ১৫ বছর ধরে করছেন। মেসি এখনো এমএলএসে (মেজর লিগ সকার) খেলছেন, সেখানে প্রতিদিন দুই-তিনটি গোল করেন। ক্রিশ্চিয়ানোও সৌদি লিগে একইভাবে গোল করেন। কিন্তু হাল্যান্ডও এখন সেই স্তরেই পৌঁছেছেন, এবং তাকে ছাড়া আমাদের জয় পাওয়া কঠিন হত।’
শিষ্যের প্রশংসা করে গার্দিওলার আরও বলেন, হাল্যান্ডের গোল করার দৃঢ়তা এবং শেখার ইচ্ছাই তার মূল বৈশিষ্ট্য। আক্রমণে হলান্ডের আগ্রসী চরিত্র এবং শট নেওয়ার ধরণের তারিফ করেন সিটি কোচ, ‘সে কিভাবে শট নেয়, দেখেছেন কি? শট নেওয়ার পর ঘাসের উপরই যেন ঝুঁকে পড়ছেন, মনে হয় সে বলছে ‘আমি গোল করবই।’
আরও পড়ুন
| হলান্ডের জোড়া গোলে সিটির বাজিমাত |
|
প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে ১০ ম্যাচে ১৩ গোল করেছেন হলান্ড। আর চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তাঁর মোট গোল ১৮টি।
ইংলিশ ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর লিগে ১০৭ ম্যাচে হলান্ড করেছেন ৯৮ গোল। আর দুই গোল করলেই লিগের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে গোলের সেঞ্চুরি করবেন ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। তিনি ভেঙে দেবেন ১২৪ ম্যাচে লিগে শততম গোল করা অ্যালান শিয়ারের রেকর্ড।

মনোযোগ কি তবে ফুটবলে ফেরাতে পারলেন লামিনে ইয়ামাল। মাঠের বাইরে নানান ঘটনায় একাগ্রতা হারিয়ে ফেলা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সেখানে থেকে বোধহয় বেরিয়ে এলেন বার্সেলোনার তারকা উইঙ্গার। গোলে ফিরেছেন ইয়ামাল, সঙ্গে তাঁর ক্লাবে ফিরেছে কক্ষ্যপথে।
লা লিগায় গতকাল রাতে এলচের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। ইয়ামালের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ানো দুই গোল করেন ফারমিন লোপেজ ও মাকার্সা রাশফোর্ড। এলচের হয়ে বার্সার জালে বল পাঠান রাফা মির।
এই জয়ে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান কমাল বার্সা। ১১ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে কাতালান ক্লাবটির অবস্থান করছে দুইয়ে। সমান ম্যাচে এক নম্বরে থাকা জাবি আলোনসোর রিয়ালের পয়েন্ট ৩০।
আরও পড়ুন
| হলান্ডের জোড়া গোলে সিটির বাজিমাত |
|
সচারচর বল দখলে রেখে ম্যাচে আধিপত্যের চেষ্টা করে বার্সা। তবে ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষের চেয়ে বার্সার পায়েই বল কম ছিল। ৪৯ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৭টি শট নিয়ে ছয়টি লক্ষ্যে রাখে হান্সি ফ্লিকের দল। বিপরীতে নয়টি শট নেওয়া স্বাগতিকরা গোলমুখে শট নেয় দুটি।
প্রথমে বল জালে পাঠায় এলচে। তবে রেফারি অফসাইডের সংকেত দিতেই উদ্যাপন থেমে যায় তাদের। তারপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বার্সা। নয় মিনিটে আলেহান্দ্রো বালদে’র পাসে থেকে চমৎকারভাবে বাম পায়ে কেটে ভেতরে ঢুকে গোলপোস্টের কোণে দুর্দান্ত শট নিয়ে দলকে এগিয়ে দেন ইয়ামাল।
দুই মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ হয় — আদ্রিয়া পেদ্রোসার ভুলের সুযোগ নিয়ে ফারমিন লোপেজ বল ছিনিয়ে নিয়ে ক্রস করেন, আর ফেরান তোরেস সহজেই ফাঁকা জালে বল পাঠান।
বিরতির তিন মিনিট আগে রাফা মির এলচের হয়ে ব্যবধান কমান। বার্সার অফসাইড ফাঁদকে ফাঁকি দিয়ে ব্যবধান ২-১ করেন স্প্যানিশ উইঙ্গার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই র্যাশফোর্ড গোল করলেও, ফারমিনের অফসাইড থাকার কারণে তা বাতিল হয়। তবু ইংল্যান্ড তারকাকে থামানো যায়নি — কিছুক্ষণ পরই ফারমিনের পাস থেকে বল পেয়ে জোরালো শটে ইনাকি পেনিয়াকে পরাস্ত করেন এই ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে রাফা মির দু’বার পোস্টে আঘাত করেন, তবে তার চেষ্টা এলচের প্রত্যাবর্তন সম্ভব করেনি।
বার্সার পরের ম্যাচ আগামী বুধবার। চ্যাম্পিয়নস লিগে ক্লাব ব্রুজের আতিথেয়তা নেবে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

আর্লিং হলান্ড গোল করেছেন। একটি নয়, দুইটি। নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের জোড়া গোলের রাতে ম্যানচেস্টার সিটি পেয়ে গেল দারুণ এক জয়। ২০২৫–২৬ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে গোল্ডের বুটের দৌড়ে এগিয়ে যাওয়ার রাতে এফসি বোর্নমাউথকে ৩-১ গোলে হারাতে বড় ভূমিকা ছিল হলান্ডের।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে শুরু হওয়া ম্যাচের প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা সিটি পরের অর্ধে আরও একটি গোল করে। বোর্নমাউথের একমাত্র গোল শোধ করেন জার্মান মিডফিল্ডার টেইলর অ্যাডামস।
এ জয়ে লিগের পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে উঠে এসেছে পেপ গার্দিওলার দল। আসরে ১০ ম্যাচে ৬ জয়ের বিপরীতে ৩ হার এবং ১ ড্র সিটিজেনদের। দলটির পয়েন্ট ১৯। শীর্ষে থাকা আর্সেনাল থেকে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। বোর্নমাউথ দুই থেকে নেমে গেছে চারে, ১৮ পয়েন্ট তাদের। তিনে লিভারপুল, যাদের পয়েন্ট সমান ১৮।
ম্যাচের ১৭ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে নিজেদের প্রথম গোল আদায় করে ম্যানসিটি। মিডফিল্ডার রায়ান শেরকির হেড থেকে পাওয়া বল নিয়ন্ত্রণে নেন আর্লিং হলান্ড। তীব্র গতিতে ঢুকে পড়েন ডি বক্সে এবং বাঁ-পায়ের জাদু দেখিয়ে করেন গোল।
১৯ মিনিটে ফের আক্রমণে যায় ম্যানসিটি। জারমে ডোকুর চেষ্টা বৃথা যায়। ততক্ষণে ডিফেন্স লাইন শক্তিশালী করে তোলে বোর্নমাউথের ডিফেন্সাররা।
অতিথিরা ঘুরে দাঁড়াতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ২৫ মিনিটে কর্নার থেকে আসা শট হাত দিয়ে রুখে দেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। বল পড়ে টেইলর অ্যাডামসের কাছে, যিনি সহজেই গোল করে বোর্নমাউথকে সমতায় ফেরান।
২৯ মিনিটে বের্নার্দো সিলভার শট হাতে লেগে যায় ডি বক্সে থাকা আলেক্স হিমেনেজের হাতে। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন, যা থেকে প্রিমিয়ার লিগে নিজের ১৩তম গোল আদায় করেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার।
৪৯ মিনিটে ডি বক্সের আগে ফাউলের শিকার হন ফিল ফোডেন। স্পটকিক নেন হলান্ড। ডোর্জে পেট্রোভিচ বলটি রুখে দেন। প্রথমার্ধ ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে ম্যানসিটি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে বড় অঘটন থেকে বেঁচে যায় ম্যানসিটি। এই যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন দোন্নারুম্মা, যিনি দুর্দান্ত গতির শট রুখে দেন। তবে ৫৯ মিনিটে স্কোর ৩-১ করে ফেলে সিটিজেনরা। বোর্নমাউথের দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে আলতো করে নিকো গঞ্জালেজের দিকে বল বাড়ান ফিল ফোডেন। এরপর ইংলিশ ডিফেন্ডার বক্সে ঢুকে বাঁ-পায়ের জোরালো শটের মাধ্যমে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান।
দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে গোল শোধের চেষ্টা করে অতিথিরা। তা সম্ভব হয়নি। তবে একটি বিষয়ে তারা এগিয়ে ছিল—বল পজিশন ধরে রাখা। প্রায় ৫২ শতাংশ বল বোর্নমাউথের দখলে ছিল।

অ্যানফিল্ডে শনিবার রাতে অভিন্ন লক্ষ্যে নেমেছিল লিভারপুল ও অ্যাস্টন ভিলা। জয় পেতে, বৃত্ত ভাঙতে সব প্রস্তুতি নিয়েছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু কোনোভাবেই ভাঙছিল না ডেডলক। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে একপ্রকার লিভারপুলকে গোল ‘উপহার’ দেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
আর্জেন্টাইন গোলকিপারের ভুলেই গোলমুখ খোলে লিভারপুল। লিগে চতুর্থ গোল পেতে মোহাম্মদ সালাহকে কার্যত সহায়তা করেন মার্তিনেজ।
ডিফেন্সে থাকা সতীর্থের উদ্দেশে বল বাড়াতে গিয়ে একটু জোরে মেরে ফেলেন তিনি। বলটি সরাসরি পৌঁছে যায় ডি বক্সে থাকা সালাহর পায়ে, আর এক টাচে সেখান থেকেই গোল আদায় করেন মিসরীয় ফরোয়ার্ড।
অ্যানফিল্ডে দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল হজম করে অ্যাস্টন ভিলা। ২–০ গোলে পিছিয়ে থেকে পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকে নেমে যায় দলটি। স্বাভাবিকভাবেই, ভিলার এই হার বা পিছিয়ে পড়ার দায় এসে পড়ে মার্তিনেজের ঘাড়ে।
আর্জেন্টিনার এই বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার হার মানতে নারাজ। ইনস্টাগ্রামে নিজের দুটি সাদা–কালো ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন,
‘আমি হারি না। আমি হয় জিতি, নয় শিখি।’
এর আগে ম্যাচ শেষে কোচ উনাই এমেরি বলেন,
‘পাউ তখন ঠিক জায়গায় ছিল, পাস নেওয়ার জন্যও প্রস্তুত ছিল। কিন্তু আজ (কাল) ভুল হয়েছে। পরের ম্যাচগুলোতে এই ভুলগুলো থেকে শিখে আরও শক্ত দল হিসেবে ফিরতে হবে।’

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। প্রথম দিন ম্যানজোর আমের খানের কাছে রিপোর্ট করেন ১৪ জন ফুটবলার।
প্রাথমিকভাবে ২৬ ফুটলারকে ডাকবেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। সেখানে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড় সর্বোচ্চ ১০ জন— গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণ, ডিফেন্ডার তপু বর্মণ, সাদ উদ্দিন, তাজ উদ্দিন, মিডফিল্ডে দুই সোহেল রানা, মোহাম্মদ হৃদয়, ফরোয়ার্ড রাকিব, শাহরিয়ার ইমন ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।
এবারও হাভিয়ের কাবরেরা বিবেচনায় নেননি ইংল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি ফুটবলার কিউবা মিচেলকে। বসুন্ধরা কিংসের জার্সিতে যিনি ইতোমধ্যে খেলেছেন বাংলাদেশ ফুটবল লিগে এবং এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে।
১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ এবং ১৮ নভেম্বর এএফসি বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি সামনে রেখে প্রাথমিকভাবে ২৬জন ফুটবলারকে ডাকা হয়েছে।
সিঙ্গাপুরও হংকং, চায়নার বিপক্ষে খেলা ফাহামিদুল ইসলামকে প্রত্যাশিতভাবেই ডাকা হয়নি। আগের দুটি এএফসি বাছাইয়ের ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন ইতালি প্রবাসী ফাহামিদুল। যে কারণে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারতেন না তিনি।
নেপালে বিপক্ষে খেলায় কোনো বাঁধা না থাকলেও এক ম্যাচের জন্য তাকে উড়িয়ে আনেত চায়নি বাফুফে। যদিও তাঁর বদলি হিসেবে নতুন করে কাউকে নেওয়া হয়নি।
সর্বশেষ হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের ২৩ জনের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছিলেন মিডফিল্ডার কাজেম শাহ। তবে আসন্ন দুটি ম্যাচের প্রাথমিক স্কোয়াডে আছেন তিনি। মোটকথা কোনো চমক ছাড়াই ভারত ও নেপালের বিপক্ষে স্কোয়াড সাজানো হয়েছে।