দুজন একই সময়ে নাম লিখিয়েছিলেন পিএসজিতে। ফলে শুরু থেকেই নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপের মাঝে গড়ে ওঠে দারুণ একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এরপর সেখানে যোগ দেন ব্রাজিল তারকার প্রিয় বন্ধু লিওনেল মেসি। স্বাভাবিকভাবেই আর্জেন্টিনা তারকার সাথেই বেশি ঘনিষ্ঠতা হয় তার। আর সেটাই নাকি ভালো লাগেনি এমবাপের। নেইমার বলেছেন, মেসি দলে আসায় রীতিমত ঈর্ষাকাতর হয়ে গিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড!
২০১৭ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত পিএসজিতে নেইমার ও এমবাপেই ছিলেন সবচেয়ে বড় তারকা। তবে মেসির আগমনে তার দিকেই চলে যায় গোটা বিশ্বের মনোযোগ। আর প্রিয় বন্ধুকে আরও একবার সতীর্থ হিসেবে পেয়ে নেইমার হন ভীষণ খুশি। এই তিনজনের পিএসজিতে দুই বছরের অধ্যায়ে প্রায় খবরে আসত ক্লাবের ভেতর দলাদলির খবর। সেটা যে পুরোটা ভুল ছিল না, নেইমারের কথায় তার প্রমাণ মিলছে।
আরও পড়ুন
এমবাপে যেন অফ সাইডের অন্ধ প্রেমিক |
![]() |
গত বৃহস্পতিবার ব্রাজিল কিংবদন্তি রোমারিওর সাথে এক পডকাস্টে নেইমার তুলে ধরেন মেসির ক্লাবে আগমনের পর এমবাপের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া। “আমরা বেশ কিছু বছর জুটি বেধে খেলেছি, কিন্তু মেসি আসার পর সে কিছুটা ঈর্ষান্বিত ছিল। সে আমার অন্য কারও সাথে সময় কাটানো ভালোভাবে নিতে পারেনি। আমাদের এসব নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হয়েছে। এরপর তার আচরণে পরিবর্তন আসে।”
বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে পিএসজি দলে টেনেছিল ট্রান্সফার ফি-এর রেকর্ড গড়ে। ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তারকা হিসেবে তাকে তুলে ধরার পাশাপাশি শুরু থেকেই দেওয়া হয়েছিল বেশ কিছু অবিশ্বাস্য সুযোগ সুবিধা, যা এর আগে কেউই পাননি। এমনকি এমবাপেও নন। রোমারিও তাই নেইমারের কাছে জানতে চান, তার প্রতি ফরাসি অধিনায়ক বিরক্ত ছিলেন কিনা।
জবাবে এমবাপেকে প্রশংসায় ভাসান নেইমার। “না, তার মাঝে এসব ছিল না। মাঝে আমাদের একটু ঝগড়া হয়েছিল, কিন্তু সে যখন ক্লাবে আসল, আমি তাকে গোল্ডেন বয় বলে ডাকতাম। আমি সবসময় বলতাম যে, সে সেরাদের একজন হতে চলেছে। আমি সবসময় তাকে সাহায্য করেছি, তার সাথে কথা বলেছি, সে আমার বাড়িতেও এসেছে, আমরা একসাথে ডিনারও করেছি।”
আরও পড়ুন
এমবাপের সেরাটা বের করার পথ বাতলে দিলেন ভালভের্দে |
![]() |
২০২৩ সালে পিএসজি ছাড়েন নেইমার। এরপর তাকে অনুসরণ করেন মেসিও। আরও এক মৌসুম খেলে গত বছর রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন এমবাপে। এই মুহূর্তে নেইমার খেলছেন আল হিলালে, আর মেসি ইন্টার মায়ামিতে। গুঞ্জন রয়েছে, দুই প্রিয় বন্ধুকে আবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে একসাথে দেখা যেতে পারে এই বছর।
No posts available.
২১ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৫৩ পিএম
২১ অক্টোবর ২০২৫, ২:৩১ পিএম
আর্সেনাল-আতলেতিকো মাদ্রিদ ম্যাচের আগেই ঘটল এক অদ্ভুত ঘটনা। চ্যাম্পিয়নস লিগে মুখোমুখির আগের দিন এমিরেটস স্টেডিয়ামে অনুশীলনে নেমেছিল আতলেতিকো। অনুশীলন শেষে খেলোয়াড়দের জন্য অপেক্ষা করছিল এক বিব্রতকর চমক—ড্রেসিংরুমের শাওয়ারে নেই গরম পানি!
সংবাদমাধ্যম গিভমি স্পোর্টের প্রতিবেদন, শীতের লন্ডনে ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে বাধ্য হয়ে ক্ষুব্ধ, বিস্মিত ও হতবাক হয়ে পড়েন আতলেতিকোর খেলোয়াড়েরা। এত আধুনিক এক স্টেডিয়ামে এমন মৌলিক সমস্যায় তারা বিস্ময় প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন
আলভারেজ উৎরে গেলেও গ্যাঁড়াকলে এনদ্রিক |
![]() |
স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে বিষয়টি আর্সেনাল কর্তৃপক্ষকে জানায় আতলেতিকো। প্রায় ৪০ মিনিট পর সমস্যাটি সমাধান করা হলেও তখন গোসলের কাজ শেষ করে ফেলেছিল স্প্যানিশ দলটি। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করে তারা বিষয়টি ইউয়েফার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আকারে জমা দেয়।
পরে আর্সেনাল দ্রুতই ক্ষমা চায়। সংবাদমাধ্যম বলা হয়েছে, ঘটনাটি পাইপলাইনে ত্রুটির কারণে ঘটেছিল এবং তা ঠিক করা হয় অল্প সময়ের মধ্যেই।
আরও পড়ুন
আরও তিন বছর বায়ার্নেই থাকছেন কোম্পানি |
![]() |
আর্সেনালের জন্য সুখবর হলো—ইউয়েফার নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচের আগের দিনের অনুশীলনে এমন ঘটনার দায়ে শাস্তির কোনো বিধান নেই। স্টেডিয়াম পরিকাঠামো সংক্রান্ত নিয়ম (ধারা ১১.০১) কেবল ম্যাচের দিনেই প্রযোজ্য। ফলে ম্যাচের দিন একই সমস্যা না ঘটলে আর্সেনালের বিপক্ষে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এর মধ্যেই অবশ্য মাঠের লড়াই নিয়েও উন্মুখ সমর্থকেরা। গ্রুপপর্বে আগের দুই ম্যাচেই ২-০ গোলে জয় পেয়েছে আর্সেনাল। আতলেতিকোর বিপক্ষে জিততে পারলে টানা ছয় ম্যাচে স্প্যানিশ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয়ের রেকর্ড গড়বে তারা—চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে যা হবে প্রথম।
গেম টাইম কম। বেঞ্চই হয়ে উঠেছিল আসল ঠিকানা। কমফোর্ট জোন থেকে বের হওয়াটা খুবই জরুরি—সেই কাজটাই করলেন হুলিয়ান আলভারেজ। স্বপ্নের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন আতলেতিকো মাদ্রিদে। আর্জেন্টাইন এই লেফট উইঙ্গার খেলার সময় ও গুরুত্ব পেতে চাইছিলেন। সেটা ষোলআনা ঠিকঠাক।
ফুটবলে এমন ঘটনা অহরহ। তবে অনেকেরই এসবের সুযোগ-সুবিধা হয়ে ওঠে না। চুক্তি ও আগ্রহের ক্লাবের পক্ষ থেকে সঠিক সময়ে ক্লিক না পড়াতে ধুঁকে ধুঁকে কাটাতে হয় বর্তমান ক্লাবের সাইটবেঞ্চে। এনদ্রিকের বেলায় কী সেরকমই কিছু ঘটছে না? আর্জেন্টাইন আলভারেজ সমস্যা উৎরে গেলেও আটকা পড়েছেন এনদ্রিক!
আরও পড়ুন
আরও তিন বছর বায়ার্নেই থাকছেন কোম্পানি |
![]() |
গত রোববার লা লিগার ম্যাচে গেতাফের বিপক্ষে ১–০ গোলে জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে এই ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি এনদ্রিকের। শুরুর একাদশে তো ছিলেনই না, শেষ মুহূর্তে বদলি হিসেবেও নামানো হয়নি তাকে। ২০২৫–২৬ মৌসুমে এখনও পর্যন্ত এক মিনিটও খেলতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। চোট কাটিয়ে সুস্থ হলেও নতুন কোচ জাভি আলোনসোর নজরে আসতে পারেননি তিনি।
ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসে দুর্দান্ত খেলে রিয়ালের নজরে পড়েন এনদ্রিক। এরপর ২০২৪ সালে ছয় বছরের চুক্তিতে লস ব্লাঙ্কোসে যোগ দেন। তবে এখন পর্যন্ত ৩৭ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৭ গোল, তাও বেশিরভাগ সময়েই বদলি হিসেবে মাঠে নেমে। এক সময় আলোচিত এই তরুণ ধীরে ধীরে যেন পর্দার আড়ালেই চলে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন
এক মৌসুমে নটিংহ্যামের তৃতীয় কোচ হলেন শন ডাইচ |
![]() |
শোনা যাচ্ছে, খুব শিগগিরই সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ছাড়তে পারেন এনদ্রিক। তিনিও নাকি রিয়াল ছাড়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। রিয়ালের সাবেক স্প্যানিশ মিডফিল্ডার গুতি পরামর্শ দিয়েছেন, জানুয়ারিতেই যেন ক্লাব বদলে ফেলেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
আজ লন্ডনভিত্তিক স্পোর্টস ওয়েবসাইট ডিএজেডএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গুতি বলেন,
‘যদি ডিসেম্বরের মধ্যেও রিয়ালে তার (এনদ্রিক) কোনো সুযোগ না আসে, আমি মনে করি তাকে এখান থেকে সরে যাওয়া উচিত। নিজেকে আরও ভালোভাবে মেলে ধরার জন্য এটা দরকার। প্রত্যেক তরুণ খেলোয়াড়কেই নিয়মিত গেম টাইম দেওয়া উচিত।’
কার্লো আনচেলত্তির কোচিংয়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন এনদ্রিক। আনচেলত্তি তার প্রতি আস্থা রেখেছিলেন এবং এনদ্রিকও কিছুটা হলেও সুযোগ পেয়েছিলেন। তখন এনদ্রিককে নিয়ে আনচেলত্তি বলেছিলেন,
‘এনদ্রিক ইস্তেভাওয়ের মতোই মেধাবী। আমি এক বছর তাকে কোচিং করিয়েছি। ব্যক্তি ও পেশাদার হিসেবে তাকে খুবই পছন্দ করেছি। তবে সে নিজের সেরা খেলাটা খেলতে পারেনি, কারণ দলে তখন রদ্রিগো, ভিনিসিয়াস ছিল। তরুণ খেলোয়াড়দের সমস্যা হলো—তারা নিজেদের দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও ইউরোপে এসে তেমন গুরুত্ব পায় না।’
আরও পড়ুন
নিরাপত্তা শঙ্কায় সমর্থকদের যুক্তরাজ্যে পাঠাচ্ছে না ইসরায়েল |
![]() |
এখন প্রশ্ন হচ্ছে—এনদ্রিক কোথায় যাবেন? তার নতুন ঠিকানা হবে কোন ক্লাব? এ নিয়ে খুব একটা ভাবনায় নেই এনদ্রিক। কারণ, এই মুহূর্তে তার মূল লক্ষ্য ২০২৬ বিশ্বকাপ। ব্রাজিল কোচ কার্লো আনচেলত্তির পরিকল্পনায় ঠিকই রয়েছেন তার পছন্দের এই ফরোয়ার্ড।
বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছেন ভিনসেন্ট কোম্পানি। নতুন চুক্তি অনুযায়ী ২০২৯ সালের গ্রীষ্ম পর্যন্ত জার্মান ক্লাবটির কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
গত বছর বায়ার্নের দায়িত্ব নিয়েছিলেন কোম্পানি। প্রথম মৌসুমেই বুন্দেসলিগার শিরোপা পুনরুদ্ধার করেন এই বেলজিয়ান। লিগ শিরোপা তারা আগের মৌসুমে হারিয়েছিল বায়ার লেভারকুসেনের কাছে।
এখন পর্যন্ত বায়ার্নের কোচ হিসেবে ৬৭টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ডাগআউটে ছিলেন ৩৯ বছর বয়সি কোম্পানি। এর মধ্যে বায়ার্ন জিতেছে ৪৯ ম্যাচ, ড্র হয়েছে ৯ টি এবং হেরেছে বাকি ৯ ম্যাচে।
বুন্দেসলিগায় বায়ার্নের কোচ হিসেবে দারুণ রেকর্ড কোম্পানির। ৪১ ম্যাচে ৩২ জয়, ৭ ড্রয়ের বিপরীতে দলটি হেরেছে মাত্র দুই ম্যাচে।
চুক্তি নবায়নের বিষয়ে বায়ার্নের ক্রীড়া বিষয়ক বোর্ড সদস্য ম্যাক্স এবার্ল বলেন,
‘এই চুক্তি নবায়নে আমরা আনন্দিত। যখন ভিনিকে (ভিনসেন্ট কোম্পানি) নিয়েছিলাম তখনই আমাদের ধারণা ছিল সে বায়ার্নকে এগিয়ে নিতে পারবে এবং সে এটা প্রমাণ করেছে। সে খেলোয়াড়, সমর্থক ও ক্লাবের সবাইকে এক করেছে।’
চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত সূচনা করেছে বায়ার্ন। বুন্দেসলিগায় প্রথম ৭ ম্যাচে শতভাগ জয় বাভারিয়ানদের। গত সপ্তাহে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় নিয়ে জার্মান ফুটবলে এক মৌসুমে টানা ১২টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ জিতে ডর্টমুন্ডের রেকর্ডও স্পর্শ করেছে জার্মান জায়ান্টরা।
চুক্তি নবায়ন নিয়ে কোম্পানি বলেন,
'আমি কৃতজ্ঞ, বায়ার্নকে ধন্যবাদ জানাই আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য ও প্রথম দিন থেকেই এমন সুন্দর পরিবেশ দেওয়ার জন্য। মনে হয় যেন অনেক দিন ধরে এখানে আছি। এখন পর্যন্ত দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। আমরা এক দারুণ যাত্রা শুরু করেছি, কঠোর পরিশ্রম করে আরও সাফল্য উপভোগ করতে চাই।'
চ্যাম্পিয়নস লিগে আগামীকাল রাতে ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে মাঠে নামবে বায়ার্ন। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।
অ্যাঞ্জে পোস্তেকোগলুকে বহিস্কার করার দু’দিন পর নতুন কোচ নিয়োগ দিয়েছে নটিংহ্যাম ফরেস্ট। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি সাবেক বার্নলি ও এভারটন কোচ শন ডাইচকে ডাগ-আউটের দায়িত্ব দিয়েছে। এ নিয়ে ২০২৫-২৬ মৌসুমে ফরেস্টের তৃতীয় কোচ হলেন তিনি।
গত শনিবার চেলসির বিপক্ষে ০-৩ গোলে হারের ১৭ মিনিট পর বরখাস্ত হন পোস্তেকোগলু। দায়িত্ব নেওয়ার ৩৯ দিন পরই চাকরি হারান অস্ট্রেলিয়ান এই কোচ। এর আগে মৌসুমের শুরুর দিকে নুনো সান্তোস।
আরও পড়ুন
নিরাপত্তা শঙ্কায় সমর্থকদের যুক্তরাজ্যে পাঠাচ্ছে না ইসরায়েল |
![]() |
নতুন দায়িত্ব পাওয়া কোচ শন ডাইচের সঙ্গে ২০২৭ সালের গ্রীষ্ম পর্যন্ত চুক্তি করেছে ফরেস্ট। ৫৪ বছর বয়সী এই ইংলিশ কোচকে নিয়োগের ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে ফরেস্ট লিখে, ‘ডাইচ হলেন একজন সম্মানিত ও অভিজ্ঞ প্রিমিয়ার লিগ ম্যানেজার, যিনি তার ব্যক্তিত্ব, কৌশলগত জ্ঞান এবং প্রমাণিত সাফল্যের মাধ্যমে ক্লাবকে পরবর্তী অধ্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।’
চলতি মৌসুমে হারতে হারতে বিপর্যস্ত নটিংহ্যাম ফরেস্ট প্রিমিয়ার লিগ পয়েন্ট টেবিলের ১৮ নম্বরে আছে। মৌসুমের প্রথম আট ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছে তারা।
নটিংহ্যাম ফরেস্টে ডাইচের প্রথম পরীক্ষা ইউরোপা লিগে। আগামী বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে পোর্তোর মুখোমুখি হবে তারা। এরপর রোববার প্রিমিয়ার লিগে তাদের প্রতিপক্ষ বোর্নমাউথ।
ইউরোপা লিগে আগামী ৭ নভেম্বর অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে খেলবে মাকাবি তেল আবিব। তবে এই ম্যাচে নিজেদের সমর্থকদের জন্য বরাদ্দ টিকিট নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইসরায়েলের ক্লাবটি। বিষয়টি নিয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য সরকার।
সরকারি এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা দিনরাত কাজ করছিলেন যেন দুই দলের সমর্থকেরাই মাঠে গিয়ে ম্যাচ উপভোগ করতে পারেন। এ জন্য ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশ ও বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিলের সঙ্গে সমন্বয়ের চেষ্টা চলছিল।
তবে সোমবার এক বিবৃতিতে মাকাবি তেল আবিব জানায়, 'বিষাক্ত' পরিবেশের কারণে আমাদের সমর্থকরা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই সমর্থকদের কল্যাণের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
যুক্তরাজ্য সরকারের মুখপাত্র বলেন, আমরা গভীরভাবে দুঃখিত যে মাকাবি তেল আবিব টিকিট নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে তাদের সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান জানাই। কেউই যদি ভয় বা সহিংসতার আশঙ্কা ছাড়াই ফুটবল উপভোগ করতে না পারে, তা আমরা মেনে নিতে পারি না।
তিনি আরও যোগ করেন, এই ম্যাচকে ঘিরে যারা ঘৃণা ছড়াতে চাইছে, তাদের আমরা সহ্য করব না। আমরা পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি যেন ম্যাচটি নিরাপদভাবে হয় এবং যুক্তরাজ্যের ইহুদি সম্প্রদায়ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পায়।
বার্মিংহামের নিরাপত্তা পরামর্শক দল গত সপ্তাহে জানায়, নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির কারণে ভিলা পার্কে ওই ম্যাচে কোনো অতিথি সমর্থক উপস্থিত থাকতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী স্টারমার সেই সিদ্ধান্তকে 'ভুল' বলে মন্তব্য করেন এবং তা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।
এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের ফুটবল পুলিশিং ইউনিট ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, দেশটির ঘরোয়া লিগে হাপোয়েল ও মাকাবি তেল আবিবের ম্যাচ বাতিলের কারণ জানতে। সেই ম্যাচের আগেই স্টেডিয়ামের ভেতরে-বাইরে সহিংসতার ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
সংস্কৃতি মন্ত্রী লিসা ন্যান্ডি পার্লামেন্টে বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা এমন এক সম্প্রদায়কে আরও বিচ্ছিন্ন ও আতঙ্কিত করছে, যারা আগে থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’ তিনি জানান, সরকার প্রয়োজনে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার অর্থায়ন করবে, যাতে মাকাবি সমর্থকেরা ভবিষ্যতে ম্যাচে উপস্থিত থাকতে পারেন।