গত জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অন্তত এক পয়েন্ট না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়েছিল বাংলাদেশ। শেষ দিকে একের পর এক আক্রমণে অতিথিদের ব্যতিব্যস্ত করে রাখলেও মেলেনি কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। তবে ওই ম্যাচে একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিলেন হামজা চৌধুরী, শমিত সোম ও রাকিব হোসেনরা।
শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের একটি শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। ভাগ্যটা সহায় হলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে না হলেও ঘরের মাঠে হংকং, চায়নার বিপক্ষে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পেতে মরিয়া লাল সবুজের জার্সিধারীরা। এবার সুযোগকে গোলে রূপান্তর করতে চান রাকিব। তিনি জানান হামজা-শমিতরা আসার পর বলের যোগান বেশি পাচ্ছেন। তাতে ফরোয়ার্ডে যারা খেলছেন গোলের সুযোগ আসছে তাদের সামনে,
‘ফরোয়ার্ড কিন্তু সবসময় ভালো বল চায়। এগুলো কিন্তু আমরা আগের চেয়ে বেশি পাচ্ছি। কারণ শমিত ও হামজা খেলার কারণে।’
রোববার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ দলে উইঙ্গার এবং প্রয়োজনে স্ট্রাইকার হিসেবেও খেলা রাকিব। হামজা-শমিতদের জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানালেন বসুন্ধরা কিংস তারকা,
‘অনুশীলন ভালো হচ্ছে। মাঠের বাইরে আমাদের যেমন ভিডিও সেশন হচ্ছে, মাঠে তেমনভাবে অনুশীলন হচ্ছে। সামনে হামজা ও শমিত আসছে। ওরা এলে দলগতভাবে অনুশীলন করতে পারব। তখন আরও ভালো কিছু হবে।’
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গত ২৯ আগস্ট শুরু হয় জাতীয় দলের ক্যাম্প। পরের দিনই মাঠের অনুশীলনে নামেন ক্যাম্পে ওঠা খেলোয়াড়েরা। তবে পূর্ণ স্কোয়াড পেতে অপেক্ষাই করতে হয় আরও দু’দিন। কেননা মোহামেডান তাদের ৬ খেলোয়াড়কে ক্যাম্প শুরুর দিন থেকে ছাড়েনি। স্কোয়াড অসম্পূর্ণ থেকেছে হামজা-শমিতের না আসাতেও।
আগামীকাল সকাল ১১টায় অবশ্য ঢাকায় পৌছাবেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ তারকা হামজা। পরের দিন আসবেন শমিত। তাদেরকে নিয়ে এবার বাংলাদেশ দল হারাতে চায় হংকং, চায়নাকে। রাকিব বলেন,
‘হংকংয়ে বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলা। এই ম্যাচটা আমাদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। এখানে যদি পয়েন্ট হারাই, তাহলে আমাদের আশা খুব একটা থাকবে না। চেষ্টা করছি ম্যাচটা যেন ভালোভাবে শেষ করতে পারি।’
রাকিবও জানেন জিততে হলে গোল করতে হবে। সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। বাংলাদেশ দলের পুরনো সমস্যা শেষ দিকে গোল হজম করা এবং পোস্টের সামনে গিয়ে গোল করতে ব্যর্থ হওয়া। ক’দিন আগেও এমন কিছুই মনে করিয়ে দেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। এবার রাকিব বললেন কিভাবে গোল করবেন তা নিয়ে কাবরেরার ক্লাসে প্রস্তুতি চলছে ভালোই,
‘আসলে প্রতি ম্যাচেই আমাদের পরিকল্পনা থাকে গোল করার। প্রতি ম্যাচেই এগুলো নিয়ে কাজ হয়। এবারও আলাদাভাবে প্রস্তুতি চলছে। ইনশা আল্লাহ এই ম্যাচে গোল হবে।’
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ২৫ মার্চ প্রথম ম্যাচে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র। এরপর ঘরের মাঠে ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে পরাজয় ১-২ ব্যবধানে। ‘সি’ গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুইয়ে থাকা হংকং ও সিঙ্গাপুরের পয়েন্ট সমান ৪ করে। আর একটি করে পয়েন্ট পেয়ে তালিকার তিন ও চারে বাংলাদেশ এবং ভারত।
No posts available.
৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২০ পিএম
৬ অক্টোবর ২০২৫, ৫:১১ পিএম
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাফ নারী ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ। এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে পাঁচ দেশের পাঁচটি ক্লাব। বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে দেশের ঘরোয়া নারী লিগের ২০২৩–২৪ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ৫ ডিসেম্বর শুরু হবে টুর্নামেন্ট, চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। উদ্বোধনী দিনেই মাঠে গড়াবে প্রথম ম্যাচ, যেখানে স্বাগতিক এপিএফ (আর্মড পুলিশ ফোর্স) ক্লাবের মুখোমুখি হবে নাসরিন স্পোর্টস।
এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ভারতের ইস্টবেঙ্গল, পাকিস্তানের করাচি সিটি এফসি, ভুটানের ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেড এবং স্বাগতিক নেপালের এপিএফ ক্লাব।
ভুটানের ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের হয়ে খেলছেন বাংলাদেশের তিন ফুটবলার—কৃষ্ণা রানী সরকার, রুপনা চাকমা ও মাসুরা পারভীন। এই তিনজনই ছিলেন নাসরিন স্পোর্টস একাডেমির হয়ে সর্বশেষ লিগজয়ী দলের সদস্য।
টুর্নামেন্টটি রাউন্ড-রবিন লিগ পদ্ধতিতে হবে। প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ খেলবে। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দলকে নিয়ে ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল।
নাসরিন স্পোর্টস একাডেমির ম্যাচ সূচি:
• ৮ ডিসেম্বর: করাচি সিটি এফসি
• ১৪ ডিসেম্বর: ইস্টবেঙ্গল
• ১৭ ডিসেম্বর: ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেড
জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ অনুশীলনের নির্ধারিত সময় ছিল বিকেল ৫টা। তার প্রায় ১৫ মিনিট আগেই একে একে মাঠে পৌঁছান জায়ান আহমেদ, আল আমিন, ফাহামিদুল ইসলাম ও তারিক কাজীরা। তবে উপস্থিত সাংবাদিকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন হামজা চৌধুরী। স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেই প্রাণবন্ত হাসি ছড়িয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেন তিনি। তাঁর উপস্থিতি ও উচ্ছ্বাসে পুরো দল যেন নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে।
স্টেডিয়ামে ঢোকার পথেই মাঠকর্মীদের সেলফি আবদার মেটান হামজা। আবদার তো মেটালেনই বুকে জড়িয়ে পিঠ চাপড়ে দেন তাদের । মধুর সেই দৃশ্য ধারণে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সাংবাদিকরা।
বাইরের পর্ব শেষ। এবার অনুশীলনে ফেরার পালা হামজার। তার আগে সতীর্থদের সঙ্গে করমর্দন-খোস গল্পে মাতলেন তিনি। জাতীয় স্টেডিয়ামের সবুজ গালিচায় পা রেখেই বাংলাদেশের 'নম্বর এইট' খুনসুটিতে মেতে উঠলেন সতীর্থ জামাল ভুঁইয়া, মেহেদী হাসান মিঠু ও রাকিব হোসেনের সঙ্গে। গল্পের না ফুরোনোর আগেই উপস্থিত হন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তাতেই শুরু হলো আসল কাজ-অনুশীলন।
অনুশীলনেও প্রাণবন্ত হামজা। মাঠে খুনে ট্যাকেল আর প্রতিপক্ষের ভিত নাড়িয়ে দেওয়া জাতীয় দলের এই মিডফিল্ডার 'শিক্ষকের' চোখ ফাঁকি দিয়ে চালিয়ে যান দুষ্টামি। কখনো উচ্চ স্বরে জামালকে ডাকছেন, কখনো মিষ্টি হাসিতে রাকিবকে কিছু একটা বলছেন। কে বলবে প্রায় চার মাস পর লাল সবুজ ঢেরায় ফিরেছেন হামজা!
সবশেষ ১০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে ইংল্যান্ডে ফেরেন হামজা। ব্যস্ত সময় কাটান লেস্টার সিটিতে। ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণ সময় পার করার পর হামজার দায়িত্ব এখন জাতীয় দলে। প্রায় ১৬ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে আজ সকালে ঢাকায় পা রাখেন। বিকেলেই নেমে পড়েন অনুশীলনে। তার আগে দুপুরে টিম হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে সমর্থকদের জন্য দেন বিশেষ বার্তা।
হামজার আগমনে নতুন প্রাণের সঞ্জার হয়েছে জাতীয় দলে। এদিন ২৭ জন ফুটবলার নিয়ে অনুশীলন সেশন করেন কাবরেরা। শমিত সোম আসবেন আগামীকাল রাত ৮টায়।
জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হয় গত ২৯ সেপ্টেম্বর। ২০ জন ফুটবলার নিয়ে পরের দিন থেকে শুরু হয় মাঠের অনুশীলন। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ৬ খেলোয়াড় ও হামজা চৌধুরী, শমিত সোমদের ছাড়া জমে ওঠেনি সে সেশন। মাঝে ইনজুরিতে পড়ে ক্যাম্প থেকে ছিটকে পড়েন আবাহনীর মোহাম্মদ ইবরাহীম ও মোহামেডানের সুমন রেজা। সে তালিকায় নাম ওঠান আল আমিন, তারিক কাজী ও তপু বর্মণ। আজ অবশ্য দলের ট্রেইনারের সঙ্গে বসুন্ধরা কিংস ডিফেন্ডারকেও দেখা গেছে মাঠে দৌড়াতে। ম্যাচের আগে পুরোপুরি ফিট হবেন বলেই আশা দলের।
৩০ সেপ্টেম্বর বৃষ্টির বাগড়ায় হয়নি অনুশীলন। মাঝে একদিনের বিরতি। সব মিলিয়ে দলের প্রস্তুতি সেভাবে পায়নি গতি। যা আজ হামজাকে পেয়ে পেল পূর্ণতা। এই উদ্যমে আরও দু-দিন অনুশীলনের সুযোগ পাবেন জামাল ভুঁইয়ারা। সেটি ধরে রেখে ঘরের মাঠ বাংলাদেশ পারবে কি হংকং, চীনের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিতে? উত্তরটা অবশ্য সময় বলে দেবে।
শিশু যৌ*ন নির্যা*তনের সন্দেহে আটক করা হয়েছে মেক্সিকোর ফুটবল কিংবদন্তি ওমার ব্রাভো। ৪৫ বছর বয়সী ব্রাভো মেক্সিকোর হয়ে ৬৬টি ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন ১৫টি। ক্লাব ক্যারিয়ারেও দেড়শ ওপরে গোল করেছেন এই স্ট্রাইকার। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে মেক্সিকো দলের সদস্য ছিলেন তিনি।
সম্প্রতি কয়েক মাসে এক কিশোরীর ওপর একাধিকবার যৌ*ন নির্যা*তনের অভিযোগ রয়েছে। জালিসকো রাজ্যের প্রসিকিউটররা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, তাঁরা আশঙ্কা করছেন ব্রাভোও এমন অপরাধ ঘটাতে পারেন।
সম্প্রতি জাপোপান শহরে, নিজের সাবেক ক্লাব গ্যাডালাহারার কাছে এক অভিযানের সময় গ্রেফতার হন ব্রাভো। শীঘ্রই আদালতে উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রসিকিউটরের তদন্ত এখনও চলছে।
ব্রাভোকে তার প্রজন্মের অন্যতম সেরা মেক্সিকান স্ট্রাইকার হিসেবে মান্য করা হয় এবং তিনি গ্যাডালাহারার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন গোল আর্লিং হালান্ড। মাঠে নামলেই করছেন গোল। গতকাল তাঁর গোলেই ব্রেন্টফোর্ডকে ১-০ গোলে হারায় ম্যানচেস্টার সিটি। আর তাতেই দারুণ এক রেকর্ডের আরও কাছাকাছি নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার।
ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে গোল করে প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে গোল সংখ্যা ৯-এ নিয়ে গেছেন হালান্ড। এখন পর্যন্ত লিগে সর্বোচ্চ গোল তাঁরই। ওয়েস্ট লন্ডনে সেই গোলই ছিল ব্রেন্টফোর্ডের মাঠ জিটেক কমিউনিটি স্টেডিয়ামে তাঁর প্রথম গোল। যার সৌজন্যে প্রিমিয়ার লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে তাঁর দুর্দান্ত রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ হলো।
আরও পড়ুন
হংকং ম্যাচ দেখতে কাল আসছেন হামজার বাবা-মা |
![]() |
২৫ বছর বয়সী হালান্ড প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত যে ২৩টি ভেন্যুতে খেলেছেন, তাঁর মধ্যে ২২টিতেই গোল করেছেন। ৯৬ শতাংশ স্টেডিয়ামে গোল করার রেকর্ড—যা প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
হালান্ড লিগে একটি মাত্র স্টেডিয়ামে গোল করতে পারেননি এখানো। সেটি লিভারপুলের অ্যানফিল্ডই সেই মাঠ। এই বছর রেকর্ডটি আর হচ্ছে না তাঁর। অলরেডদের বিপক্ষে সিটির দেখা হবে আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। সে ম্যাচে ফিট থাকলে অসাধারণ রেকর্ডটি গড়ার সুযোগ পাবেন হালান্ড।
যদিও এর আগে তিনি চ্যাম্পিয়নস লিগে তাঁর সাবেক ক্লাব রেড বুল সালজবুর্গের হয়ে অ্যানফিল্ডে গোল করেছিলেন, তবে প্রিমিয়ার লিগে এখনো লিভারপুলের ঘরে গোল পাওয়া বাকি। হালান্ডের গোল মানচিত্রে এই যেন একটি ফাঁকা দাগ!
সেভিয়ার বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার আগে ২০২৫-২৬ মৌসুমে অপরাজিত ছিল বার্সেলোনা। আগের মৌসুমের মতো ‘খুনে’ মেজাজের বার্সাকে না দেখা গেলেও লিগের পয়েন্ট টেবিলে ঠিকই শীর্ষে উঠে আসে ক্লাবটি।
সবশেষ সেভিয়ার বিপক্ষে গতকাল কাতালান ক্লাবটির ম্যাচ দেখে হয়তো অনেকেই চোখ কচলেছেন। মাঠে এ কোন বার্সাকে দেখতে হচ্ছে। একের পর এক গোলের সুযোগ হাতছাড়া আর রক্ষণভাগে শিশুসুলভ ভুলে শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলে হেরেও যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল বার্সা।
আরও পড়ুন
‘ভাল জার্নি কইরা আইছি, সবাই সাপোর্ট করতে আইবা’ |
![]() |
হ্যান্সি ফ্লিকের কোচিং অধ্যায়ে সবচেয়ে বাজে হারই ছিল এটি। শোচনীয় এই হারে স্বাভাবিকভাবেই কাটাছেঁড়া করবে বার্সা। ভুলটা কোথায় ছিল ? কোচের কৌশলে ? নাকি রক্ষণভাগ থেকে ফরোয়ার্ড কেউ নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারেনি ?
সেভিয়ার বিপক্ষে ভরাডুবির পর ম্যাচ শেষে পাউ কুবার্সি দুষলেন দলের আক্রমণভাগের সদস্যদের। বার্সা ডিফেন্ডারের মতে, গোলের সুযোগ হাতছাড়ার সঙ্গে ফরোয়ার্ডরা প্রেসিংয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে পারেনি। নিজেদের পারফরম্যান্সের হতাশ কুবার্সি বলেন, ‘গত মৌসুমের মতো আমাদের প্রেস করতে হবে। পরের ম্যাচগুলোতে যেন একই ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয়।’
কুবার্সি আরো বলেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের অনেক ভালো সুযোগ ছিল, কিন্তু ফুটবলে এমন হয়। শেষ মুহূর্তে আমরা যেভাবে মনোযোগ হারিয়েছি, সেটা চলতে পারে না। সামনের দিকে তাকিয়ে আমাদের এই ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং আরও বেশি লড়াই করতে হবে।’
প্রথমার্ধে ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে সমতায় ফিরতে পারত বার্সা। তবে ক্লাবটির পোলিশ ফরোয়ার্ড রবার্ট লেভানদোভস্কির স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন। পেনাল্টি মিস ছাড়াও এই ম্যাচে ফরোয়ার্ডরাও বেশ কিছু সহজ সুযোগ হেলায় হারায়।
গত মৌসুমে তীব্র প্রেসিংয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখে বার্সা। সেই চাপ তৈরি করার কথাই বলেন বার্সেলোনার ১৮ বছর বয়সী ডিফেন্ডার, ‘আমাদের গত মৌসুমের মতোই প্রেস করতে হবে। প্রতিপক্ষের সুযোগগুলো আসলে আমাদের আক্রমণভাগ থেকেই শুরু হয়। তাই সামনে থেকেই চাপ তৈরি করতে হবে। আমি মনে করি আমরা কিছুটা আত্মতুষ্ট হয়ে পড়েছিলাম। এটা একদমই চলবে না। অবশ্য এটা কেবলই একটি ম্যাচ, বাড়াবাড়ির প্রয়োজন নেই, কিন্তু এটিই হতে পারে মৌসুমের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত।’
আরও পড়ুন
হংকং ম্যাচ দেখতে কাল আসছেন হামজার বাবা-মা |
![]() |
লিগে এই হারে শীর্ষে ফেরার সুযোগও হারায় বার্সেলোনা। ৮ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে নূ ক্যাম্পের ক্লাবটি। সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে এক নম্বরে রিয়াল মাদ্রিদ। আর বার্সাকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার ছয় নম্বরে উঠে এসেছে সেভিয়া। ৮ ম্যাচে ক্লাবটির সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট।
আন্তর্জাতিক বিরতির পর আগামী ১৮ অক্টোবর লিগে জিরোনার বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সা।