আন্তর্জাতিক বিরতিতে চোট পেয়ে উসমান দেম্বেলের ছিটকে যাওয়াকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থানে আছে পিএসজি ও ফ্রান্স জাতীয় দল। ফরাসি ক্লাবটির দাবি, জাতীয় দলের অসাবধানতার কারণেই চোটের শিকার হয়েছেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। তবে সেটা নাকচ করে দিয়েছেন দিদিয়ে দেশম। তার মতে, দেম্বেলে আঘাত পাওয়ায় তাদের কোনো দায় নেই।
ইউক্রেনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফ্রান্সের ২-০ গোলে জয়ের ম্যাচে হামস্ট্রিংয়ে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন দেম্বেলে। একই ম্যাচে তার পিএসজি সতীর্থ দেজিয়ে দুয়ে পায়ের চোটে ছিটকে যান। এরপর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পিএসজি ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন-এর (এফএফএফ) বিরুদ্ধে এই দুজনের ব্যাপারে তাদের মেডিকেল সতর্কতা উপেক্ষা করার অভিযোগ আনে।
আরও পড়ুন
নিয়মরক্ষার ম্যাচে ফাহমিদুল-মোরছালিনদের বড় জয় |
![]() |
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে দেশম অবশ্য পিএসজি এবং ফ্রান্স জাতীয় দলের মধ্যে দ্বন্দ্বের খবরটি প্রত্যাখ্যান করেন
“এটা দুজন পিএসজি খেলোয়াড়ের ব্যাপার। পিএসজি কিন্তু আমাদের প্রতিপক্ষ নয়, কোনো ক্লাব কখনো আমাদের প্রতিপক্ষও হয়নি। আমি নিজেও সেই অভিজ্ঞতা পার করে এসেছি। আগামীকাল আমাদের একমাত্র প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড, আর কেউ নয়।”
চোট থেকে সেরে উঠতে দেম্বেলের কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ বিশ্রাম দরকার হবে বলেই খবর ফরাসি সংবাদমাধ্যমে। আর দুয়েকে প্রায় চার সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে। ফলে দুজনেরই আগামী ১ অক্টোবর চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
No posts available.
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:২১ পিএম
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৫১ পিএম
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:৫৭ পিএম
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৪৭ পিএম
বর্তমানে সেরা ফুটবলারদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় লামিনে ইয়ামালের নাম ওপরের দিকেই থাকবে। ক্লাব আর জাতীয় দলে সমানতালে নিয়মিত বিস্ময় উপহার দিয়ে যাচ্ছেন সদ্য আঠারোতে পা রাখা উইঙ্গার।
ক্যারিয়ারে সংক্ষিপ্ত এই সময়ে এখনো পর্যন্ত কঠিন কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি ইয়ামালকে। মাঠে পারফরম্যান্সের গ্রাফটা এখনো উর্ধ্বমুখী আছে স্প্যানিশ তারকার। তবে মাঠের বাইরে এই ফুটবলারের জীবনে ঘটেছিল ভয়ংকর এক ঘটনা। সেই অভিজ্ঞতার কথা মনে হলে এখনো গা শিউরে উঠে ইয়ামালের।
আরও পড়ুন
ফ্রি’তেই ওনানাকে তুর্কি ক্লাবে পাঠিয়ে দিল ইউনাইটেড |
![]() |
২০২৪ সালের আগস্টে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলেন ইয়ামালের বাবা মুনির নাসরাউই। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সেই মূহূর্তে ঘটনাস্থলে ইয়ামাল যাতে পৌঁছাতে না পারে, সে জন্য পরিবারের লোকজন নাকি তাকে ঘরে আটকে রাখে।
‘রেনোনানসিয়া দে কোরাজোনে’ পডকাস্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জীবনের কালো সেই দিনের কথা বলেন ইয়ামাল। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সন্ত্রাসীদের ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হন ইয়ামলের বাবা মুনির।
স্পেনের মাতারোতে হওয়া ওই ঘটনার সূত্রপাত একটি তর্ক-বিতর্ক থেকে। ছুরির আঘাতে তিনদিন চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান মুনির। আর এরপরই বার্সেলোনার হয়ে মাঠে নেমে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে এক অ্যাসিস্ট করেন ইয়ামাল।
আরও পড়ুন
ইংলিশ লিগে দল পেলেন ছেলে, উচ্ছ্বসিত রোনালদিনহো |
![]() |
ভয়ংকর সেই অভিজ্ঞতা স্মরণ করে ইয়ামাল বলেন,
‘আমি তখন আমার কাজিন মোহার সঙ্গে গাড়িতে বসেছিলাম । গাড়িতে কারপ্লে চালু ছিল। তখন আমার আরেক কাজিন, যে মরক্কোতে ছিল, ফোন দিল। সে প্রথমেই আমাকে জিজ্ঞেস করল—‘তুমি একা আছো?’ এরপর ঘটনাটা বলতে শুরু করল। এরই মধ্যে আরও কয়েকটা ফোন আসতে লাগল। তখন আমার বয়স মাত্র ১৬।’
বাবা আক্রমণের স্বীকার হয়েছে শুনেই ঘটনাস্থলে যেতে চেয়েছিলেন ইয়ামাল। তবে বিপদের আশঙ্কায় ইয়ামালকে একটি ঘরে আটকে রাখে তার পরিবার,
‘আমি গাড়ি থেকে নেমে সরাসরি ট্রেন স্টেশনের দিকে ছুটলাম মাতারো যাওয়ার জন্য। কল্পনা করুন, একজন শিশু মাত্র জানতে পারল তার বাবাকে ছুরি মারা হয়েছে! আমি ট্রেনে উঠতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু আমার কাজিন আমাকে যেতে দিল না। আমি তাকে বলেছিলাম, “আমাকে মাতারো নিয়ে চলো, না হলে আর কখনো তোমার সঙ্গে কথা বলব না।” তবুও তারা যেতে দিল না। তারা আমাকে ঘরে আটকে রাখল, আমি বেরোনোর চেষ্টা করলাম।’
আরও পড়ুন
টানা দুই হ্যাটট্রিকে ভুটান লিগে উজ্জ্বল শামসুন্নাহার |
![]() |
পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সেই ভয়াবহ ঘটনার পরদিনই অনুশীলনে যেতে হয়েছিল ইয়ামালকে। তবে হাসপাতালে বাবাকে দেখে কিছুটা স্বস্তি পান তিনি,
‘সময়টা খুব কঠিন ছিল। পরের দিন আবার আমার অনুশীলন ছিল। এরই মধ্যে বাবা ফোন দিলেন—বললেন তিনি ভালো আছেন, শান্ত থাকতে। আমি পরের দিন হাসপাতালে গিয়ে বাবার সঙ্গে দেখা করলাম। তখন সবকিছু ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে এল।’
সবশেষে একজন পুত্র হিসেবে ঘরে ফিরে পরিবারকে সুস্থ দেখাটাই সবচেয়ে বড় বিষয় বলে মনে করেন ইয়ামাল,
‘আজ আমি আমার বাবা আর দাদিকে তাদের ঘরে শান্তিতে বসে থাকতে দেখি। এটাই তো একজন সন্তানের সবচেয়ে বড় চাওয়া।’
যা ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা, সেটাই অবশেষে ঘটল। আন্দ্রে ওনানার সঙ্গে অধ্যায়ের ইতি টানল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে বিক্রি নয়, বা বড় অঙ্কের কোনো চুক্তিও নয়— তুরস্কের ক্লাব ট্রাবজানস্পরে ‘ফ্রিতে’ ধারে পাঠানো হয়েছে ক্যামেরুনের এই গোলকিপারকে।
২৯ বছর বয়সী ওনানার এই দলবদল তেমন কোনো আর্থিক চুক্তির ভিত্তিতে হয়নি। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবদে , এই ধারে ইউনাইটেড কোনো ফি পাচ্ছে না, এমনকি ওনানার বেতনও পুরোটা দিচ্ছে ট্রাবজানস্পর। তার চেয়েও বড় কথা— এই চুক্তিতে স্থায়ীভাবে কিনে নেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। এ যেন ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে ‘ভবিষ্যতের দরজা বন্ধ করে’ দেওয়া এক সিদ্ধান্ত!
আরও পড়ুন
ইংলিশ লিগে দল পেলেন ছেলে, উচ্ছ্বসিত রোনালদিনহো |
![]() |
সাম্প্রতিক সময়ে ইউনাইটেডে গোলকিপার বাড়তে বাড়তে দাঁড়িয়েছে চারজনে— আলতাই বায়িন্দির, টম হিটন, নতুন আসা সানে লমেন্স এবং ওনানা। লমেন্স আসার পরই ওনানার ভবিষ্যৎ নিয়ে গুঞ্জন ছড়ায়। যদিও ক্লাব চারজনকেই রেখে দিতে চাইছিল, তবে নিজে থেকেই অন্য পথ বেছে নেন ওনানা।
২০২৩ সালে ৪ কোটি ৭২ লাখ পাউন্ডে এসি মিলান থেকে ইউনাইটেডে যোগ দেন ওনানা, কোচ এরিক টেন হাগের পছন্দে। আয়াক্সে কোচ-শিষ্য হিসেবে দুজনের সম্পর্ক ছিল চমৎকার। কিন্তু ইউনাইটেডে আসার পর থেকেই ওনানার পারফরম্যান্স ঘিরে চলছিল সমালোচনা।
গত মৌসুমে দলের প্রথম পছন্দ হলেও তার একের পর এক ভুল ইউনাইটেডের ব্যর্থতায় বড় ভূমিকা রাখে। এবারও প্রাক-মৌসুম ম্যাচে ছিলেন না চোটের কারণে। তার একমাত্র ম্যাচ ছিল লিগ কাপে—সেই ম্যাচেই টাইব্রেকারে গ্রিমসবির কাছে হেরে যায় ইউনাইটেড। ভুলের দায় তখনও ছিল ওনানার কাঁধে। এরপর মূল একাদশে ওনানার ফেরার সম্ভাবনা বলতে গেলে ছিল না বললেই চলে।
আরও পড়ুন
টানা দুই হ্যাটট্রিকে ভুটান লিগে উজ্জ্বল শামসুন্নাহার |
![]() |
আন্তর্জাতিক বিরতির সময় ক্যামেরুন জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন ওনানা। সেখান থেকে ফিরে এবার তুর্কি লিগে নামবেন নতুন ক্লাবের জার্সিতে। আগামী পরশু তাঁর অভিষেক হতে পারে ট্রাবজানস্পরের হয়ে। কাকতালীয়ভাবে, ঠিক সেদিনই মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড— প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার সিটি।
বায়িন্দির, হিটন ও লমেন্সকে নিয়ে আপাতত তিন গোলকিপারে আস্থা রাখছে ইউনাইটেড। তবে অনেকেই বলছেন, এভাবে ‘কাড়ি কাড়ি টাকায়’ কেনা একজন গোলকিপারকে এক মৌসুমেই ছেঁটে ফেলা—এ যেন ইউনাইটেডের স্কাউটিং ও ট্রান্সফার নীতির আরেকটি ব্যর্থ দৃষ্টান্ত।
বাবা ফুটবল কিংবদন্তি। তাঁর পথ ধরে ছেলে অনেক আগেই এই পথে পা রাখেন। তবে বাবা রোনালদিনহোর মতো আলোচনায় ছিলেন না হোয়াও মেন্ডেস। অবশেষে পেশাদার ফুটবলের অধ্যায় শুরু হচ্ছে তাঁরও। ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ ক্লাব হাল সিটি এক বছরের চুক্তিতে দলে ভিড়িয়েছে মেন্ডেসকে।
ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লামেঙ্গোতে ফুটবলের হাতেখড়ি। তারপর বার্সেলোনা, বার্নলি, হাল সিটির বয়সভিত্তিক দলেও খেলেছেন। ২০২৩ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে এক ট্রায়ালে নজর কাড়েন মেন্ডেস। তখন তাঁকে দলে ভেড়ায় বার্সেলোনার যুব একাডেমি লা মাসিয়া। কিন্তু মাত্র দেড় বছরের মাথায় ২০২৪ সালে মেন্ডেসকে ছেড়ে দেয় কাতালানরা। তারপর ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান তিনি।
পেশাদার পর্যায়ে অভিষেক হয়নি, তবে ইংল্যান্ডে বার্নলির অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে মেন্ডেসের। সেখান থেকে এবার হাল সিটিতে নতুন অধ্যায় শুরু করবেন এই উইঙ্গার।
হাল সিটিতে যোগ দিয়ে উচ্ছ্বসিত মেন্ডেস বলেন, ‘আমি সত্যিই অনেক খুশি এবং রোমাঞ্চিত। আমার বিশ্বাস একটি ভালো মৌসুম কাটাতে পারব। ডানপ্রান্তে উইঙ্গার বা আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে খেলি। ব্রাজিলে এক ধরনের খেলা, স্পেনে আরেক রকম, আর ইংল্যান্ডে আবার ভিন্ন। বিভিন্ন জায়গায় খেললে খেলার ধরনে ভিন্নতা আসে, যা খেলোয়াড় হিসেবে উন্নত করে।’
ছেলের নতুন পথচলায় বাবা রোনালদিনহো বেশ উচ্ছ্বসিত। ইনস্টাগ্রামে ছেলের ছবি পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি, ‘নতুন ক্লাব ও নতুন চ্যালেঞ্জে তোমাকে শুভকামনা, আমার পুত্র!’
মুঠোফোনের ওপারে অল্প হাসিতে শামসুন্নাহারের (জুনিয়র) সরল হাসিমাখা উক্তি- ‘গোল করলে কার না ভাল লাগে।’ ভুটান নারী লিগে সেই ভাল লাগার কাজটা প্রায় প্রতি ম্যাচে করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ২১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
আগের ম্যাচে দলের ৪০-০ ব্যবধানের রেকর্ড জয়ে শামসুন্নাহার করেছিলেন ডাবল হ্যাটট্রিক। বৃহস্পতিবার ফুয়েনসোলিং হিরো'স উইমেন ফুটবল ক্লাবের বিপক্ষে ২৫-০ গোলে জয় পেয়েছে রয়েল থিম্পু কলেজ এফসি। এই ম্যাচে ৫ গোল করেন শামসুন্নাহার।
আরও পড়ুন
বিসিসিআই প্রধান ‘হচ্ছেন না’ শচীন |
![]() |
৯ ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৬ গোল করে বিশেষভাবে নজর কাড়েন সাবিনা খাতুন। কম যাননি সুমাইয়া মাতশুমিয়া ও ঋতুপর্ণা চাকমারা। নিজেদের গোলমেশিন হিসেবে বানিয়েছেন নতুন করে। সেই তালিকায় এবার যোগ হয়েছেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।
থিম্পুর হয়ে এদিন মাঠে নামতে পারেননি দলটির নিয়মিত আরেক বাংলাদেশি ফুটবলার তহুরা খাতুন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গেছেন নারী দলের অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড। তবে তহুরার জ্বর তেমন গুরুতর নয় বলেও জানা গেছে।
আগামী শনিবার ভুটান লিগে আছে থিম্পু ডার্বি। যেটাকে এক অর্থে বাংলাদেশ ডার্বিও বলা যায়। সেদিন মারিয়া মান্দা ও শামসুন্নাহার সিনিয়রদের ক্লাব থিম্পু সিটির বিপক্ষে মাঠে রয়েল থিম্পু।
নিজ দেশে আরও একটি বড় স্বীকৃতি পেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। লিগা পর্তুগাল কর্তৃক 'সর্বকালের সেরা' খেতাব পেলেন পাঁচবারের ব্যালন ডি অর জয়ী তারকা।
জমকালো এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বুধবার এই ঘোষণা দিয়েছে লিগা পর্তুগাল। পরে বিবৃতিতেও এই খবর জানিয়েছে তারা।
“কোটি ভক্তের প্রেরণা, যিনি একটি নতুন যুগের সূচনা করেছেন এবং বিশ্ব ফুটবলে রাখছেন অমোচনীয় ছাপ, সেই সিআর সেভেনকে দেওয়া হয়েছে ‘বেস্ট অব অল টাইম’ পুরস্কার। যা তার সোনালি অধ্যায়ের এক যথার্থ স্বীকৃতি, এখনও যেগুলো লিখে চলেছেন ক্যারিয়ারে।”
“কঠোর পরিশ্রম, প্রতিযোগিতার মানসিকতা, গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার জন্য স্বীকৃত, রোনালদোর প্রভাব কেবল পরিসংখ্যানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ব্যক্তিগত রেকর্ড, দলীয় সাফল্য, গণ মাধ্যমে প্রভাব- সব মিলিয়ে তিনি এমন এক লেগেসি গড়ে তুলেছেন, যা তাকে দাঁড় করিয়েছে সবার ওপরে... দ্য বেস্ট এভার।”
জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ পাঁচ ম্যাচে তিনি করেছেন ৬ গোল। আন্তর্জাতিক ফুটবলে পর্তুগালের হয়ে ২২৩ ম্যাচে তার গোল ১৪১টি। আর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে করেছেন ৩৯ গোল। দুটিই বিশ্ব রেকর্ড।
পোর্তোতে হওয়া পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সশরীরে হাজির হতে পারেননি রোনালদো। তবে এক ভিডিও বার্তায় কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি জয়ী তারকা।
“সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ের এই পুরস্কারের জন্য আমি লিগাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, আমার দেশের জন্য কিছু জেতা আমার কাছে কত বড় সম্মানের।”
“আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার সব সতীর্থকে, যারা আমার ক্যারিয়ার জুড়ে আমাকে এই দারুণ ট্রফি জিততে সাহায্য করেছে। ধন্যবাদ জানাই কোচদের এবং সবাইকে, যারা আমাকে আরও ভালো হতে সহায়তা করেছেন।”
একই আয়োজনে পর্তুগিজ লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন ভিক্তর গিয়োকেরেস। এ নিয়ে টানা দুবার এই স্বীকৃতি পেয়েছেন স্পোর্টিং সিপির সুইডিশ ফরোয়ার্ড। গত মৌসুমে পর্তগিজ ফুটবলের সর্বোচ্চ ৫৪ গোল করেছিলেন তিনি।